Tag: kolkata police

kolkata police

  • Corruption: সরকারি চাকরির নামে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণা, জালে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান

    Corruption: সরকারি চাকরির নামে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণা, জালে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার (Corruption) অভিযোগে এর আগে একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে। এবার এই অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে গেল এক পুলিশ কর্মী এবং এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের নাম। কলকাতা পুলিশের এক এএসআই এবং তাঁর স্ত্রী সহ চারজনকে এই অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা। লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃত চারজনকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। রবিবার তাদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে যে এই ঘটনায় কোনও উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার জড়িয়ে আছে কিনা। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

    ঘটনাটি ঠিক কী?

    গোয়েন্দাদের তরফ থেকে জানা গেছে, মাসখানেক আগে বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা আখতার বানু নামে একজন লালবাজার কর্তাদের কাছে অভিযোগ জানান, তাঁর ছেলেকে মন্ত্রীর কোটায় স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা নেয় বেনিয়াপুকুর থানায় কর্মরত অফিসার সঞ্জীব দেঁড়ে। জানা যায়, এই চক্রে সঞ্জীব ছাড়াও জড়িত রয়েছে আরও চারজন। সেই মতো গ্রেফতার করা হয় সঞ্জীবের স্ত্রী বর্ণালীকে। তিনি বর্তমানে পঞ্চায়েত সদস্য এবং খলিশানি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন। এলাকাবাসীর থেকে টাকা তো তুলতেনই, সঙ্গে বাইরের এলাকা থেকেও টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল এই দম্পতির বিরুদ্ধে। রবিবার তাঁদের দু’জনকে বাউড়িয়া বুড়িখালির একটি বহুতল থেকে গ্রেফতার করেন লালবাজারের পুলিশ কর্তারা। এর পাশাপাশি পুলিশ গ্রেফতার করেছে সৈকত নামের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তিনি গোয়েন্দা দফতরের রিসেপশনে কর্মরত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। কার্তিক মান্না নামের এক দালালকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, গত মাসে অভিযোগ দায়ের হতেই সঞ্জীবের বিরুদ্ধে গোপন তদন্তে নামেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। তখনই এই চক্রের হদিশ মেলে।  

    তদন্তে কী উঠে এল?

    তদন্তে জানা গিয়েছে, এই চক্র স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা তুলেছে বিভিন্ন জনের কাছে। শুধু তাই নয়, কিছু জনকে ভুয়ো নিয়োগপত্রও বিলি করা হয়। ইতিমধ্যে গোয়েন্দারা বেশ কিছু ভুয়ো নথি উদ্ধার করেছেন ধৃতদের কাছ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কলকাতা পুলিশের মানহানির মামলায় হাজিরা দিতে হবে না শুভেন্দুকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: কলকাতা পুলিশের মানহানির মামলায় হাজিরা দিতে হবে না শুভেন্দুকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আদালতে স্বস্তি মিলল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের দায়ের করা মামলায় তাঁকে হাজিরা দিতে হচ্ছে না ব্যাঙ্কশাল আদালতে, এদিন এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।

    মামলাটি কী?

    ঘটনা হল গত মাসের ১৭ এপ্রিল একটি ট্যুইট করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে একটি বাসের ছবি দিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ ছিল যে বিনীত গোয়েল পুলিশ পাহারা দিয়ে ওই বাসটিকে পটুয়াপাড়া থেকে বের করছেন। ওই বাসে কালো টাকা থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ইডি, সিবিআইকে উদ্দেশ্য করে বিজেপি বিধায়ক লেখেন, এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হোক।

    পাশাপাশি আরও একটি ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মহারাষ্ট্রের প্লেট লাগানো একটি বাসের ছবি পোস্ট করেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ওই পোস্টে ট্যাগ করে বিরোধী দলনেতা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, পুলিশ কর্মীরা বাসটিকে এসকর্ট করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘কয়লা, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ও নথি হয়তো কারও অফিস থেকে পাচার করা হচ্ছে।’’ এর পরেই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ট্যুইট নিয়ে ডিসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। পুলিশের তরফ থেকে সে সময় বলা হয় যে পুলিশ কমিশনারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই শুভেন্দু অধিকারী এই কাজ করেছেন। এরপর পুলিশের তরফ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য ছিল যে ওই নির্দিষ্ট বাসে পুলিশ কেন নিরাপত্তা দিচ্ছে? কী আছে বাসের ভিতর? গত মাসের ২৮ তারিখ এ নিয়ে মামলা দায়ের হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। পরবর্তীতে সেই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। বিবেক চৌধুরী আজকে নির্দেশ দিলেন, হাজিরা দেওয়ার দরকার নেই বিরোধী দলনেতার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘নওশাদের হয়ে পথে নামুন আমরা পাশে আছি’’! তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘নওশাদের হয়ে পথে নামুন আমরা পাশে আছি’’! তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির হয়ে পথে নামুন বিজেপি পাশে আছে, জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নওশাদ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থনের কথা বলেছে রাজ্য বিজেপি। এমনকী রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের প্রতিনিধিদের নওশাদের মুক্তির দাবিতে পথে নামতেও দেখা যায়। এবার তাঁর মুক্তির দাবিতে সরব হলেন শুভেন্দু। 

    নওশাদের জন্য আন্দোলন

    সাগরদিঘি উপনির্বাচনের আগে শুক্রবার সেখানে প্রচারে যান বিজেপি বিধায়ক। রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি এদিন বলেন, ‘নওশাদের জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে।’ একইসঙ্গে আইএসএফ-কেও বার্তা দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘নওশাদ ভাইয়ের জন্য আন্দোলনটা করতে হবে। আপনারা তো রাস্তায় নেমে সিএএ-এনআরসি-র বিরুদ্ধে মিছিল করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়েছিলেন। রাস্তায় নেমে নওশাদের মুক্তি করান। আমাদের শুভেচ্ছা আছে। আমরা সরাসরি যেতে পারব না, কিন্তু আমাদের শুভেচ্ছা আছে।’ শুধুমাত্র নওশাদের গ্রেফতারি নয়, আনিস খানের মৃত্যুর প্রসঙ্গও এদিন উল্লেখ করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, বগটুই থেকে শুরু করে আনিস খানের মৃত্যু, রাজ্য সরকার যা করেছে, তা অনেকেই বুঝে গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: বহু বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী বিজেপির বুথ এজেন্ট হতে চায়! সাগরদিঘিতে নির্বাচনী প্রচারে দাবি শুভেন্দুর

    ভাঙড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে গত ২১ জানুয়ারি কলকাতার ধর্মতলায় একটি জমায়েত করেন নওশাদ ও তাঁর দল আইএসএফের সদস্যেরা। যে জমায়েত ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে শহরের প্রাণকেন্দ্রে। ওই দিনের বিক্ষোভস্থল থেকে নওশাদ সহ মোট ৮৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে একের পর এক মামলায় জেল বা পুলিশ হেফাজতে যেতে হয়েছে বিধায়ককে। দুদিন আগেই নওশাদ সিদ্দিকি প্রসঙ্গে সুর নরম করেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছিলেন, “ওঁর জামিন হয়ে যাওয়া উচিত। এতদিন আটকে থাকার মতো বিষয় এটা নয়।” পরে অবশ্য নিজের অবস্থান থেকে সরে বিমান বলেন, “নওশাদ সিদ্দিকির জামিন পাওয়ার বিষয়টি আদালত বিচার করে দেখবে। আইন আইনের পথে চলবে। এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির প্রতিবাদে বিজেপির ধর্নায় ‘না’ কলকাতা পুলিশের, ফের হাইকোর্টে সুকান্ত

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির প্রতিবাদে বিজেপির ধর্নায় ‘না’ কলকাতা পুলিশের, ফের হাইকোর্টে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ দানা বাঁধছে। শেখ শাহজাহান এবং তাঁর দলবদলের বিরুদ্ধে সরব স্থানীয় মানুষ। প্রতিদিন সেখানে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মহিলারা। আজ তাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছেন। পাশে পেয়েছেন বিরোধী দল বিজেপিকে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের প্রতিবাদ রুখতে চাইছে রাজ্য সরকার। সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিজেপির তিন দিনের ধর্না কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এবার ধর্নায় বসতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

    আদালতের দ্বারস্থ

    সন্দেশখালি নিয়ে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। অনুমতি মেলেনি। এরপরই হাইকোর্টে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শুনানি হতে পারে। গত শুক্রবার বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব স্থির করেন, সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে খাস কলকাতায় টানা তিন দিন ধর্না কর্মসূচি পালন করবে দল। ধর্না কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি সূত্রে খবর ছিল, আগামী মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত টানা তিন দিন কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সেই ধর্না চলবে। পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হলে তা দেওয়া হয়নি। অবশ্য সেনার তরফে ধর্নার অনুমতি পেয়েছিল বলে দাবি বিজেপির। 

    আরও পড়ুন: ‘জ্ঞানবাপীর তহখানায় চলবে পুজো’, মুসলিম পক্ষের আপত্তি নাকচ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    ময়দান এলাকা সেনার অধীন

    উল্লেখ্য, ময়দান এলাকার মালিক সেনা। তাই সেখানে ধর্না করতে গেলে সেনার অনুমতি প্রয়োজন পড়ে। তবে বিজেপির দাবি, সেনার অনুমতি থাকলেও পুলিশি ছাড়পত্র মেলেনি। পুলিশ নাকি বিজেপিকে বলেছে, সেই এলাকায় লাউডস্পিকার বাজানো মানা। তাই ধর্নার অনুমতি দেওয়া যাবে না। তবে বিজেপির পালটা যুক্তি, কয়েকদিন আগেই সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্না করেন। এই আবহে ধর্নার অনুমতি চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi Programme: প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আগেই স্ক্রিন বন্ধ করল পুলিশ, শ্যামবাজারে বিক্ষোভ বিজেপির 

    PM Modi Programme: প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আগেই স্ক্রিন বন্ধ করল পুলিশ, শ্যামবাজারে বিক্ষোভ বিজেপির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর ‘নমো নব মতদাতা সম্মেলন’-এর সম্প্রচার বন্ধ করে দিল পুলিশ। উত্তর কলকাতার একাধিক জায়গায় উঠল এমনই অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাল বিজেপি। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিজেপির এই কর্মসূচিতে এসে এলইডি স্ক্রিনের প্লাগ খুলে দেন পুলিশ কর্মীরা।

    কী ঘটেছিল

    ভোটার দিবসে নতুন ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা সরাসরি সম্প্রচার করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। এলইডি স্ক্রিনে সেই অনুষ্ঠান দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই মতো সাউন্ড বক্স, চেয়ার সব ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশি বাধার প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। যদিও পুলিশের দাবি, অনুমতি না থাকায় কর্মসূচি বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে দলদাস পুলিশকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: অনলাইনে গেমে আসক্ত! সতর্ক হোন, আর্জি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাইবার ক্রাইম বিভাগের

    বিজেপির দাবি

    শ্যামবাজারে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষের নেতৃত্বে তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। তমোঘ্নবাবু দাবি করেন, আদালতের ভর্ৎসনার হাত থেকে বাঁচতে এখন নতুন ফন্দি করেছে পুলিশ। বিজেপির কর্মসূচিতে প্রথমে অনুমতি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে সেই অনুমতি। যাতে আদালতে যাওয়ার সময় না থাকে। বিজেপি নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শাহজাহানের বাড়িতে ইডি যখন আক্রান্ত হল, তখন পুলিশকে দেখা যায়নি। আর এই অনুষ্ঠানে অতি সক্রিয় পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ২৭ তারিখ উত্তর কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুরের আঁচ বিধানসভায়ও, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির, ওয়াকআউট

    Jadavpur University: যাদবপুরের আঁচ বিধানসভায়ও, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির, ওয়াকআউট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের (Jadavpur University) আঁচ পৌঁছল বিধানসভায়ও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তোলপাড় হয় রাজ্য। মঙ্গলবার এ নিয়ে সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে এদিন গলায় কালো উত্তরীয় জড়িয়ে বিধানসভায় আসেন বিজেপি বিধায়করা। আনেন মুলতুবি প্রস্তাব। প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন স্পিকার। অধিবেশন শুরু হলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শ্রেণির উগ্র বাম মানসিকতার লোক রয়েছে, তারা মাঝে মধ্যে দেশবিরোধী কথাবার্তাও বলে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশবিরোধী কথা বলার একটা ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। তাদের জন্য যাদবপুরে রুলস-রেগুলেশন কিছুই মানা হয় না। মানা হলে গ্রামের মেধাবী ছাত্রটির জীবন এভাবে চলে যেত না।”

    শুভেন্দুর প্রশ্ন

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সিসি ক্যামেরা বসানো সহ যেসব নির্দেশিকা দিয়েছিলেন হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, সেসব মানা হয়নি কেন, এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসুর কাছে তা জানতে চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে পদ্যত্যাগে বাধ্য করেছিলেন বলেও শিক্ষামন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। বিজেপির তরফে এদিন ফের এনআইএ তদন্তের দাবিও জানানো হয়। অধিবেশন কক্ষেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পরে ওয়াক-আউট করেন বিধানসভা কক্ষ থেকে। 

    শুভেন্দুকে নোটিশ 

    এদিকে, এবার শুভেন্দুকে নোটিশ পাঠাল যাদবপুর থানা। তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, যেদিন শুভেন্দুর ওপর হামলা হয়েছিল, সেদিনের ঘটনা বিশদে জানতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে শুভেন্দুকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আইনি সন্ত্রাস’’! ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের (Jadavpur University) প্রতিবাদে দিন কয়েক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপির যুব মোর্চা। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কর্মসূচি সেরে ফেরার সময় শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তাঁর গাড়িতে হামলা হয় বলেও অভিযোগ। এর পরেই যাদবপুর জিআরপিতে আরএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পরে শুভেন্দুর অভিযোগ জিআরপির তরফে হস্তান্তরিত করা হয় কলকাতা পুলিশে। তার প্রেক্ষিতেই শুভেন্দুকে নোটিশ পাঠিয়েছে যাদবপুর থানা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুরে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি! জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

    Jadavpur University: যাদবপুরে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি! জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব়্যাগিংয়ের সঙ্গে সঙ্গেই এবার যাদবপুরে উঠল ‘তোলাবাজির’ অভিযোগ। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন থেকে মেইন হস্টেলে ‘তোলাবাজি’ চালিয়ে গিয়েছেন সিনিয়ররা। যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় (Jadavpur University Student Death) এখনও পর্যন্ত প্রাক্তনী ও বর্তমান পড়ুয়া নিয়ে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে শুক্রবার রাতে তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ (police custody)। শনিবার তাঁদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সেখানে বিচারক অভিযুক্তদের আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানানো হয়েছে।

    সিবিআই তদন্তের দাবি

    ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানো হোক। এই দাবি জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। যাদবপুরেরই এক প্রাক্তনী মামলা করেছেন। তাঁর দাবি, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানো হোক। শুধু সিবিআই নয়, তদন্তে যুক্ত করা হোক এনআইএ ও এনসিবিকেও। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ তদন্ত করছে ঠিকই, কিন্তু অনেক ধীর গতিতে। এছাড়াও তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও তুলেছেন যাদবপুরের ওই প্রাক্তন পড়ুয়া। তিনি বলেন, সিবিআই তদন্ত করলে তাড়াতাড়ি মৃত্যু রহস্যের (Jadavpur Student Death Case) কিনারা হবে। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    তোলাবাজির অভিযোগ

    পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সৌরভ চৌধুরী ও তাঁর গ্যাং হস্টেলের মধ্যে নবাগতদের থেকে টাকা তুলত। ‘তোলাবাজি’ চলত ডিজিটাল কায়দায়। টাকা পেলেই শুরু হতো মোচ্ছব। পুলিশ সূত্রে খবর, কোথাও সিনিয়ররা খাওয়া-দাওয়া করলে সেখানে ডিজিটাল পেমেন্ট করতে বলা হতো নবাগতদের।

    আরও পড়ুন: ‘‘পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে মিলেছে ‘মানি ট্রেল’-এর সন্ধান’’! সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই

    কুৎসিত ইঙ্গিত যাদবপুর-কাণ্ডে ধৃতের

    যাদবপুর কাণ্ডের তদন্তে ১১ অগস্ট প্রথমে গ্রেফতার করা হয় সৌরভ চৌধুরীকে। তারপর গ্রেফতার করা হয় দীপশেখর দত্ত, মনোতোষ ঘোষকে। ১৬ অগস্ট গ্রেফতার করা হয় সপ্তক কামিল্যা, অসিত সর্দার, মহম্মদ আরিফ, সুমন নস্কর, অঙ্কন সর্দার, মহম্মদ আসিফ আজমল নামে ৬ পড়ুয়াকে। এরইমধ্যে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয় শেখ নাসিম আক্তার, হিংমাশু কর্মকার, সত্যব্রত রায়কে। গ্রেফতারির সময়ে সত্যব্রতর একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সত্যব্রত মুখ ঢাকা অবস্থায় মধ্যমা দেখাচ্ছেন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাগুলিতে। সত্যব্রত কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের বর্তমান ছাত্র৷ বাড়ি নদীয়ার হরিণঘাটায়৷ জানা গিয়েছে, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার আগে সেদিন রাতে তাঁর ফোন থেকেই ডিন অফ আর্টসের ফোনে ফোন গিয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘গলায় গামছা দিয়ে পদত্যাগ করুন পুলিশ কমিশনার’’, বেহালা কাণ্ডে মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘গলায় গামছা দিয়ে পদত্যাগ করুন পুলিশ কমিশনার’’, বেহালা কাণ্ডে মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় খুদে পড়ুয়ার মৃত্যুকে ঘিরে শুক্রবার সকালে অগ্নিগর্ভ হয় বেহালা। এই ঘটনায় পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলনে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘বিনীত গোয়েলের উচিত গলায় গামছা দিয়ে পদত্যাগ করা।’’

    জুতো-মোজা খুলে পুলিশ পিসি-ভাইপোকে নিরাপত্তা দেয়, মন্তব্য শুভেন্দুর 

    প্রসঙ্গত, বেহালায় শুক্রবারের পথ দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষজন পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা অভিযোগ তোলেন যে পুলিশ শুধুমাত্র ঘুষ খেতে ব্যস্ত অথচ যান নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশদের কোনও ভূমিকা এখানে দেখা যায় না। তাঁরা ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করতেই ব্যস্ত। এই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পুলিশের লোকেরা ব্যস্ত থাকেন।  তিনি বাড়ি থেকে বের হলে ৭ হাজার পুলিশ লাগে, আর তাঁর ভাইপো বাড়ি থেকে বের হলে ৪ হাজার পুলিশ লাগে।’’ এদিন ট্রাফিক পুলিশ সম্পর্কে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘তাদের কাজে হল তৃণমূলের হয়ে ভোট বা কর্মসূচির সফল করানো। আর ট্রাক থেকে তোলাবাজি করা। পুলিশের এই তোলাবাজির জন্য প্রত্যেকটা বাজারের সবজি ও মাছের দাম আজকে আকাশ ছুঁয়েছে।’’  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘শুক্রবার যে ঘটনা ঘটেছে চোখের জল ছাড়া আমরা কিছু দিতে পারি না, ওই ফুটফুটে একটা সাত বছরের বাচ্চাকে যেভাবে পিষে দিল লরি… তাতে পুলিশ মন্ত্রীর অপদার্থতা প্রকাশ পায়।’’  পুলিশকে তীব্র আক্রমণ জানিয়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ, ‘‘আমি তো সকাল ৯টার আগে আর রাত ৯টার পরে কোথাও পুলিশ দেখতে পাই না। কখনও ভাইপো ব্যাংকক পালাচ্ছে, কখনও দুবাই যাচ্ছে, কখনও পিসিমণি নবান্ন যাচ্ছে, তার ব্যবস্থা করতে পুলিশ জুতো-মোজা খুলে রাস্তার পাশে দাঁড়ায়।’’

    প্রসঙ্গ অভিষেকের গ্রেফতারি 

    অন্যদিকে শুক্রবারই আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। এ বিষয়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ, ‘‘অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টের একজন জনপ্রিয় আইনজীবী। অন্যদিকে তিনি রাজ্যসভায় তৃণমূল সমর্থিত কংগ্রেস সাংসদ। যদি উপযুক্ত প্রমাণ থাকে তবে তদন্তকারী সংস্থার অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Slams Mamata: ‘‘পুলিশের কাজ ভোট লুট, টাকা তোলা’’, বেহালার ঘটনায় মমতাকেই দুষলেন শুভেন্দু

    Suvendu Slams Mamata: ‘‘পুলিশের কাজ ভোট লুট, টাকা তোলা’’, বেহালার ঘটনায় মমতাকেই দুষলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহালার সড়ক দুর্ঘটনায় বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুর জন্য সরাসরি পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘‘এখন পুলিশের কাজ তৃণমূলের হয়ে ভোট লুট করা এবং রাস্তা থেকে টাকা তোলা। পুলিশ ব্যবস্থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ করে দিয়েছেন, ধ্বংস করে দিয়েছেন। তার পরিণতিতে ওইরকম একটা ফুটফুটে বাচ্চার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটল। পুলিশের এই অবস্থার জন্য আইপিএস এবং ইন্সপেক্টররা দায়ী, নিচুতলার কনস্টেবল বা এসআই দায়ী নন।’’

    পুলিশই দায়ী, বলছেন শিক্ষকরাও

    শুধু শুভেন্দু নন, ছোট্ট সৌরনীলের মৃত্যুতে পুলিশকেই দায়ী করেছেন স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। অভিযোগ, স্কুল শুরুর সময়ে প্রতি দিন যানজট দেখা গেলেও তা সামলাতে ট্র্যাফিক পুলিশের দেখা মেলে না। আরও অভিযোগ, পাশে অন্য বেসরকারি স্কুলের সামনে ট্র্যাফিক পুলিশ থাকে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু এই স্কুলের সামনে থাকে না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘স্কুলে গরিব ঘর থেকে শিশুরা আসে, কেউ চার-চাকা করে আসে না। তাই স্কুলের সামনে নেই কোনও নিরাপত্তা।’’ তিনিও এই দুর্ঘটনার জন্য পুলিশকেই দায়ী করেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘সকালে আমার সঙ্গে কত কথা বলল…’’, ছেলের রক্তাক্ত ব্যাগ আঁকড়ে রয়েছেন সৌরনীলের মা

    ছোট্ট সৌরনীলকে পিষে দিয়ে যায় লরি

    শুক্রবার সাতসকালে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় বেহালার বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি তার বাবা সরোজ কুমার সরকার। এই দুর্ঘটনাকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। উত্তেজিত জনতা রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের গাড়ি-বাইক জ্বালিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার ট্রাফিক গার্ডে। অফিসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কন্ট্রোল রুমে। পাল্টা লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। দফায় দফায় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। আহত হন পুলিশ এবং আমজনতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার?

    এদিকে, ধুন্ধুমার কাণ্ডের পরে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার নগরপাল পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সহ শীর্ষ আধিকারিকরা। সিপি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেদিকে নজর রাখছি আমরা। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে ওই এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হয়। সাউথ ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বেহালা, ঠাকুরপুকুর, পর্ণশ্রী ও হরিদেবপুর থানা। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে অসুবিধার কথা জেনেছি। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।”

    আরও পড়ুন: লরির ধাক্কায় মৃত খুদে পড়ুয়া! পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার বেহালায়

    রিপোর্ট তলব নবান্নর

    এদিকে, নবান্ন সূত্রের খবর, বেহালা দুর্ঘটনা ও তার পরবর্তী অশান্তিতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছেন। লালবাজারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। কলকাতা পুলিশের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচির মধ্যে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা মুখ্যমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের নির্দেশে স্কুলে পৌঁছেছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তারাও পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। মৃত পড়ুয়ার বাড়িতেও যাচ্ছেন সরকারি অফিসাররা। শোনা যাচ্ছে, নিহতের বাড়িতে যেতে পারেন রাজ্যপালও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nusrat Jahan: ২৪ কোটির প্রতারণা! বয়স্কদের ঠকিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত? ‘কীর্তি’ জানত পুলিশও

    Nusrat Jahan: ২৪ কোটির প্রতারণা! বয়স্কদের ঠকিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত? ‘কীর্তি’ জানত পুলিশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে প্রায় ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে ইডির দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন বয়স্ক লোককে ফ্ল্যাট দেবেন বলে টাকা নিয়েছিলেন নুসরত জাহানের সংস্থা। কিন্তু ফ্ল্যাট মেলেনি। ইডির কাছে সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়েছেন প্রতারিত ব্যক্তিরা।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    মঙ্গলবার, এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বিরাট দুর্নীতি। ওই বয়স্ক লোকরা আমার কাছে এসেছিলেন। সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে ওই সাংসদ যুক্ত। ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা একটা ফ্ল্যাটও কিনেছেন, বয়স্ক লোকগুলোর টাকা ডাইভার্ট করে। সব নথি আমাদের কাছে রয়েছে।” বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করে এ-ও বলেন, ‘‘বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘প্রবীণ মানুষদের টাকা নিয়ে সাংসদ নিজে এক কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনে নিয়েছেন।’’ শুভেন্দুর আরও দাবি, অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে। সমস্ত তথ্য তাঁর এবং তাঁদের কাছে রয়েছে বলেও বিধানসভায় বলেছেন বিরোধী দলনেতা। 

    নুসরতের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়

    শঙ্কুদেব ইডিকে জানিয়েছেন, গড়িয়াহাট রোডের একটি সংস্থায় যৌথ ডিরেক্টর পদে রয়েছেন নুসরত। ওই সংস্থা ২০১৪ সালে মোট ৪২৯ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, রাজারহাটে হিডকোর দফতরের কাছে তাঁদের প্রত্যেককে ৩ কামরার (৩ বিএইচকে) ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। তিন বছরের মধ্যে ওই ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালেও তাঁরা কোনও ফ্ল্যাট পাননি বলে ইডির কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন শঙ্কু। 

    ইডির দ্বারস্থ প্রতারিতেরা

    যে নাগরিকেরা ইডি-র কাছে গিয়েছিলেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন, নুসরতের সঙ্গে ওই সংস্থার যৌথ ডিরেক্টর রাকেশ সিংহ নামের এক ব্যক্তি। ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তিনিই দিয়েছিলেন। প্রতারিতেরা গড়িয়াহাট থানায় এফআইআর-ও দায়ের করেছেন। শঙ্কুর দাবি, পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সমস্ত নথিপত্র নিয়ে ইডি অফিসে গিয়ে গতকাল অভিযোগ জানিয়েছি। নুসরতের লোকজন ওই সংস্থার মাধ্যমে টাকা তুলছে। অবিলম্বে এটা আটকানো দরকার। কিন্তু পুলিশ কিছু করছে না।’’

    আরও পড়ুুন: প্রচারের হাতিয়ার স্থানীয় বিষয়, তৃণমূলের দুর্নীতি, রাজ্য বিজেপি নেতাদের ‘মার্গদর্শন’ মোদির

    পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ

    প্রতারিতদের অভিযোগ,  নুসরতের এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল রাজ্য প্রশাসনও। এমনকি নুসরতের বিরদ্ধে তদন্তে নেমে অভিযোগের সত্যতাও খুঁজে পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। তারপরও নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা।প্রতারিতদের অভিযোগ, তাঁরা প্রথমেই গড়িয়াহাট থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাঁদের অভিযোগ নেওয়াই হয়নি। পরে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। জানা যাচ্ছে, আদালতের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) গড়িয়াহাট থানাকে দিয়ে আর্থিক প্রতারণার মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধান করিয়েছিলেন। অভিযোগ গ্রহণ করতে বাধ্য হয় গড়িয়াহাট থানা। অনুসন্ধান রিপোর্ট গত ৩০ জানুয়ারি আদালতে জমা পড়ে। সেই রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এই প্রতারিত ব্যাঙ্ক কর্মীদের অভিযোগের সত্যতা হয়েছে। তা-ও কোনও পদক্ষেপ না করা হলে প্রতারিতরা সোমবারই নুসরতের বিরুদ্ধে ইডি-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share