Tag: kolkata police

kolkata police

  • Diary of West Bengal: ‘ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর পরিচালককে তলব মমতা পুলিশের, প্রতিবাদ বিজেপির

    Diary of West Bengal: ‘ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এর পরিচালককে তলব মমতা পুলিশের, প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সন্ত্রাস নতুন কোনও ঘটনা নয়। হত্যা ও লুটের এই রাজনীতির বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। এবার বড় পর্দায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসকে তুলে ধরার জন্য ‘ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ (Diary of West Bengal) নামের ছবির ট্রেলার প্রকাশ পেল। ছবিটির ট্রেলার সামনে আসতেই পরিচালক সনোজ মিশ্রকে থানায় তলব করেছে কলকাতা পুলিশ। জানা গেছে গত ১১ মে আমর্হাস্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ব্যক্তি। শুধু সনোজ মিশ্রই নয় অভিযোগে নাম রয়েছে প্রযোজক জিতেন্দ্র নারায়ণ সিংয়েরও। প্রযোজকই এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন বলে জানা যাচ্ছে।

    কী বলছেন ছবির পরিচালক?

    আগামী ৩০ মে তদন্তকারী অফিসারের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে পরিচালককে। ছবির মালিককেও ডাকা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। পরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে আবার প্রদর্শনীর ছাড়পত্র পায় সিনেমাটি। এবার ‘ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ ছবির ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটছে মমতা সরকার। পরিচালক সনোজ মিশ্র বলেন, ‘‘কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে, বেকারত্ব বাড়ছে এসব নিয়েই বাংলার বাস্তব পরিস্থিতিকে তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে।’’

    কী বলছে বিজেপি?

    ছবির পরিচালককে (Diary of West Bengal) পুলিশি তলবের ঘটনাকে স্বৈরতান্ত্রিক বলছে বিজেপি। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের মতে, ‘‘বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলা থেকে জঙ্গি ধরা পড়ছে। এই বাস্তবতাকে কেউ যদি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরতে চান সেটা তো সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য। সেটা কতটা সত্য, কতটা আংশিক সত্য তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু সিনেমাকে নিষিদ্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চরম অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু।

    ট্যুইট করেছেন অমিত মালব্য

    বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, ‘‘৩০ মে পরিচালককে ডাকা হয়েছে কলকাতার থানায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে এটাই হল বাক স্বাধীনতা, শিল্প ও শিল্পীর মুক্তচিন্তার পরিবেশ।’’

    ছবির খুঁটিনাটি

    এই ছবির যে ট্রেলার প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখানো হয়েছে বাংলায় রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পরিবেশ। এবং তুলে ধরা হয়েছে কীভাবে বাংলা নব্বইয়ের দশকের কাশ্মীর হওয়ার পথে এগোচ্ছে। মহারাষ্ট্রের সনোজ মিশ্র এই ছবিটির পরিচালক। এবং এটি ওয়াসিম রিজভি ফিল্মসের তরফ থেকে প্রযোজনা করা হচ্ছে। চিত্রনাট্য লিখেছেন জিতেন্দ্র নারায়ণ সিং। ফিল্ম নির্মাতাদের দাবি, সত্য ঘটনার উপরেই এই সিনেমা বানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নবান্নের সঙ্গে সংঘাত, ফাইল ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Haridevpur: হরিদেবপুর-কাণ্ডে নয়া মোড়! মা ও তাঁর প্রেমিককে ফাঁসাতে গল্প ফেঁদেছিল মেয়েই

    Haridevpur: হরিদেবপুর-কাণ্ডে নয়া মোড়! মা ও তাঁর প্রেমিককে ফাঁসাতে গল্প ফেঁদেছিল মেয়েই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে মা ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। একদিন পরেই জানা গেল, মা ও তাঁর প্রেমিককে ফাঁসাতে গল্প ফেঁদেছিল মেয়েই। হরিদেবপুর-কাণ্ডে নয়া চমক। নাবালিকার বিরুদ্ধে মিথ্যে তথ্য দেওয়ার অভিযোগে তাকে হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ (Police)।

    মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মায়ের ফোন ক্লোন করে ভুয়ো স্ক্রিনশট বানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিল মেয়ে। এর পর ১৬ বছরের ওই নাবালিকাকে গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, অসুস্থ পারিবারিক পরিবেশই কিশোরীকে এই ধরনের কাজ করার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

    হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত মতিলাল গুপ্ত রোডের বাড়িতে সোমবার ভোরে আগুন লেগেছিল। অভিযোগ ওঠে, মেয়েকে বদ্ধ ঘরে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন সোনালি চন্দ। হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মেয়ে। প্রথম অবস্থায় পুলিশ নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে নাবালিকার মা সোনালি চন্দ এবং তাঁর সঙ্গী প্রসূন মান্নাকে গ্রেফতার করে।

    মায়ের সিম ক্লোন করে মেয়ে

    পুলিশ জানতে পেরেছে সোনালি দেবীর ফোনের কন্ট্রোল তাঁর মেয়ে নিজের ফোনে নিয়েছিল। মায়ের সিম ক্লোন করে নিয়েছিল। বেশ কিছু এসএমএস নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। যেখান থেকে খুনের পরিকল্পনার কথা উঠে আসে। তা দেখেই পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে সেই এসএমএস গুলোর প্রত্যেকটাই ফেক। ওই নাবালিকা নিজেই খুনের পরিকল্পনার গল্প বানাতে এসএমএস গুলো বানিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের।

    আরও পড়ুন: অভিষেক যেতেই প্রশাসনিক পদ থেকে অপসৃত তৃণমূল নেত্রী, এত সময় লাগল?

    পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করা, বিভ্রান্ত করার অভিযোগে কিশোরীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাকে পাঠানো হয় হোমে। আজ, বুধবার জুভেনাইল জাস্টিট বোর্ডের সামনে কিশোরীকে হাজির করবে পুলিশ। 

    অন্যদিকে রহস্য উন্মোচনের আগেই আদালতে পেশ করা হয় সোনালি ও তার বন্ধুকে। এরমধ্যে সমস্ত বিষয় স্পষ্ট হতেই আদালতে পুরো বিষয় জানায় হরিদেবপুর থানার পুলিশ। দুজনের একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে পুলিশের অনুমান বাবা মায়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন, আলাদা থাকা সমস্ত কিছুর প্রভাব পড়ে থাকতে পারে কিশোরীর মনে। কিশোরীর বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে পুলিশের তরফে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

    Kolkata Police: আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু বারের লাইসেন্সই নয়, আবগারি দফতরে চাকরি করে দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সোমনাথ ভট্টাচার্য। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। এমনিতেই সঞ্জয় বসু নামে উত্তরপাড়ার এক বাসিন্দার কাছ থেকে বারের লাইসেন্সের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। আর একজনের কাছ থেকে নিয়েছিলেন ৩৬ লক্ষ টাকা। সঞ্জয়বাবুকে চালানও দিয়েছিলেন ওই পুলিশ অফিসার (Kolkata Police)। আবগারি দফতরের সেই চালান যে ভুয়ো, তা পুলিশ তদন্তে জানতে পারে।  সব মিলিয়ে তিনি প্রায় কোটি টাকা তুলেছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।

    আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার জন্য কতজনের থেকে টাকা নিয়েছিলেন ওই পুলিশ অফিসার?

    ধৃত পুলিশ অফিসারের বাড়ি থেকে আবগারি দফতরের কিছু নিয়োগপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল। পরে সেই নিয়োগপত্রগুলি খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, সবই ভুয়ো। আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই পুলিশ অফিসার (Kolkata Police) টাকা তুলেছেন বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন। সেইমতো ধৃত পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। তাতে নতুন তথ্য পুলিশের হাতে আসে। জানা যায়, পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই কারও কাছ থেকে চেক বা অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নিতেন না। সমস্ত টাকা নগদে নিতেন। মূলত বরানগরে বনহুগলির বাড়িতে বসেই এই কারবার চালাতেন। পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার জন্য তিনি মাথাপিছু ৪ লক্ষ টাকা করে নিতেন। এইভাবে আটজনের কাছ থেকে মোট ৩২ লক্ষ টাকা তিনি তুলেছেন। উত্তরপাড়া এলাকায় এরকম বেশ কয়েকজন প্রার্থীর কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন। এমনকী বারের লাইসেন্স দেওয়ার নাম করে যে সঞ্জয় বসুর কাছে থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীকে আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। এজন্য তাঁর কাছ থেকেও টাকা নিয়েছিলেন। কলকাতা এবং দক্ষিণেশ্বর এলাকাতেও অনেকের কাছ থেকে তিনি টাকা তুলেছিলেন। আর কার কাছ থেকে তিনি টাকা তুলেছিলেন, তা তদন্তকারী আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: ধৃত কলকাতা পুলিশের সেই এসিপি-র কাছ থেকে মিলল আবাসন দফতরের একাধিক জাল নিয়োগপত্র

    Kolkata Police: ধৃত কলকাতা পুলিশের সেই এসিপি-র কাছ থেকে মিলল আবাসন দফতরের একাধিক জাল নিয়োগপত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারের জাল লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ ছিল ধৃত কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (এসিপি) সোমনাথ ভটাচার্যের বিরুদ্ধে। এবার তাঁর হেফাজত থেকে মিলল আবাসন দফতরে গ্রুপ সি পদে একাধিক জাল নিয়োগপত্র। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের। লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগে ধৃত ওই পুলিশ অফিসারকে (Kolkata Police) জিজ্ঞাসাবাদ করে যে সব তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে তা দেখে হতবাক বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা।

    জাল নিয়োগপত্র উদ্ধার নিয়ে কী বললেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা?

    এতদিন সোমনাথবাবু (Kolkata Police) পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। বুধবারই তাঁকে ফের আদালতে তোলার কথা ছিল। কিন্তু, তাঁর আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। এতদিন এই পুলিশ অফিসারের (Kolkata Police) বিরুদ্ধে বারের লাইসেন্স, কলকাতা পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ ছিল। বারের জাল লাইসেন্স তৈরি করার অভিযোগও পুলিশ পেয়েছে। তবে, আবাসন দফতরের বিষয়টি একেবারেই আড়ালে ছিল। পুলিশ অফিসারের (Kolkata Police) বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই জাল নথিগুলি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। এই সব জাল নথি তৈরি করার পিছনেও টাকার লেনদেন হয়েছে। ফলে, আবাসন দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করেও তিনি অনেক টাকা তুলেছেন বলে কমিশনারেটের কর্তারা মনে করছেন। কাদের কাছে থেকে সেই টাকা তুলেছেন তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। আর আবাসন দফতরের জাল নিয়োগপত্র কী করে তৈরি করলেন তা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছে। তবে, এই সব কর্মকাণ্ডের পিছনে আরও অনেকে রয়েছে বলে পুলিশ কর্তাদের সন্দেহ। ইতিমধ্যেই সোমনাথবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাগুইআটির একজনের নাম পুলিশ জানতে পেরেছে। এই সব লেনদেনে তার কী ভূমিকা ছিল তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। আর আবাসন দফতরের কোনও আধিকারিক যুক্ত রয়েছে কি না তা পুলিশ যাচাই করছে। এমনিতেই ওই পুলিশ অফিসারের ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তার কললিস্টে কাদের সঙ্গে নিয়মিত কথা হত তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, আবাসন দফতর ছাড়াও আর কোন কোন দফতরে জালিয়াতি করেছেন তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হওয়ায় ধৃত সোমনাথ ভট্টাচার্যের কথা অনেকেই বিশ্বাস করতেন। নিজের পদকে ব্যবহার করেই বারের লাইসেন্স বা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। জানা গিয়েছে, সঞ্জয় বসু নামে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বারের লাইসেন্সের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। অন্য একজনের কাছে ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। সঞ্জয়বাবুকে বারের লাইসেন্সও পাইয়ে দিয়েছিলেন সোমনাথবাবু। আবগারি দফতরের স্ট্যাম্পসহ সব কিছুই ওই লাইসেন্সে ছিল। সঞ্জয়বাবু দোকান খোলার জন্য উদ্যোগও নিয়েছিলেন। পরে, আবগারি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেই জানতে পারে, সমস্ত কাগজপত্র জাল। এরপরই তিনি বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অন্য একজনও প্রতারিত হয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু লোকজনের কাছে তিনি চার-পাঁচ লক্ষ টাকা করে তুলেছেন। সব মিলিয়ে তিনি প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি তুলেছিলেন বলেই পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে, জাল নথি তিনি কী করে তৈরি করলেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে।

    পুলিশ অফিসারের (kolkata Policeলক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ারও নিয়ম ছিল, কী সেটা জানেন?

    পুলিশের চোখে ধূলো দিতেই কারও কাছ থেকে চেক বা অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নিতেন না। সমস্ত টাকা নগদে নিতেন কলকাতার (Kolkata Police) এসিপি সোমনাথ ভট্টাচার্য। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা এই তথ্য জানতে পেরেছেন। মূলত বরাহনগরে বনহুগলির বাড়িতে বসেই সে এই কারবার চালাত। অফিসে কারও সামনে এসব বিষয়ে কথা পর্যন্ত বলত না। বাড়িতে বসেই এই সব বিষয়ে কথাবার্তা এবং লেনদেনও হত সেখানে। ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু কাগজপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে, বাকি টাকার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। আর ওই পুলিশ অফিসারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একসঙ্গে নগদ এত টাকা নিয়ে তিনি কোথায় রাখতেন তা পুলিশ আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: মদের দোকানের লাইসেন্সের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের আধিকারিক

    Kolkata Police: মদের দোকানের লাইসেন্সের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি এক শিক্ষক ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়ায় এবং তাঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় ওই কেলেঙ্কারি ফের অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। কিন্তু এবার দেখা গেল, সরষের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভূত। এবার একই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এক পদস্থ কর্তাকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুই ব্যক্তিকে মদের দোকানের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বড় অঙ্কের টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতারিত এক ব্যক্তি বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে ওই অভিযোগের তদন্তভার হাতে নেয় বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। গ্রেফতার করা হয় সোমনাথ ভট্টাচার্য নামে ওই আধিকারিককে, যিনি কলকাতা পুলিশের অষ্টম ব্যাটালিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন।

    কী অভিযোগ ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ?

    অভিযোগ অনুযায়ী, বরাহনগরের বাসিন্দা এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই পুলিশ অফিসার (Kolkata Police) দু-দফায় ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। পানশালার লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বোনের চাকরি করে দেবেন, এমন আশ্বাসও তিনি দিয়েছিলেন। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে যা হয়, সেটাই ঘটেছে। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পরও পানশালার লাইসেন্স মেলেনি, বোনের চাকরিও হয়নি। উত্তরপাড়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তিও একই অভিযোগ জানান। তাঁর দাবি, তাঁর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল ৩০ লক্ষ টাকা। এই দুই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ কমিশনারেট পুলিশকর্তাকে গ্রেফতার করে। আদালতে এই অফিসারের ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

    আরও কার কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, শুরু তদন্ত

    পুলিশ এখন ওই অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইছে, কার কার কাছ থেকে তিনি কত টাকা নিয়েছিলেন। এই ধরনের দুর্নীতির জাল আরও কতদূর বিস্তৃত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অফিসারকে গ্রেফতার করার আগে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সরকারের বিভিন্ন গ্রুপ ডি এবং অস্থায়ী পদে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা তুলতেন। পাশাপাশি মদের দোকানের লাইসেন্স পেতে অনেকেই তাঁকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এত বড় পদে থেকে কিভাবে তিনি এই ধরনের কাজ করলেন, তা দেখে অনেকেই অবাক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Dharna: আজ শহরে ধর্নায় বিজেপি! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে পথে সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপরা

    BJP Dharna: আজ শহরে ধর্নায় বিজেপি! কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে পথে সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার রাজপথ সরগরম। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্নায় বসছে বিজেপি। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দু’দিনের ধর্নায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন তো চলছেই। আর সেখান থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে আজই তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের সমাবেশ। যেখানে প্রধান বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ পথে নামছে বাম-কংগ্রেসও। সপ্তাহের মধ্যে কর্মব্যস্ত দিনে শহরের রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।

    বিজেপির ধর্না

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার দিনই রাজ্যের বিরুদ্ধে পাল্টা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে অবস্থানে বসছে বঙ্গ বিজেপি।  শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের গেটের কাছে ৪০ ফুটের ধর্না মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ধর্নায় বসছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী,বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ধর্না চলবে। শ্যামবাজারে দলীয় ধর্না মঞ্চে হাজির থাকার কথা রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। থাকতে বলা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের দলীয় বিধায়কদেরও। 

    বিজেপির প্রশ্ন, রাজ্য সরকার এখনও কেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিচ্ছে না দিল্লিকে? কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন থেকে শুরু করে কাটমানি৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে আবাস যোজনা৷ এইধরনের নানান ইস্যুকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এদিন সুর সপ্তমে তুলতে চাইছেন শুভেন্দু- সুকান্ত- দিলীপরা। শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের সামনে কর্মসূচি হবে বিজেপির। গাড়ি বন্ধ হবে না। তবে দুপুরের দিকে রাস্তার একাংশ বন্ধ করে যানযট নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মোতায়েন থাকবে প্রচুর পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: ‘লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’, বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে বললেন মোদি

    তৃণমূলের অবস্থান

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুধবারই ধর্না দেবেন আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে। সেখানে নিরাপত্তায় উপস্থিত থাকবেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ধর্মতলা চত্বরে যান নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাড়ি যাবে সভাস্থলের দিকে। ধর্মতলায় অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের শহিদ মিনারের সভার জন্য একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। থাকছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার একজন অফিসার, ২ জন যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার, ৪ জন ডিসি। এছাড়াও ৫০০-র বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকছে। পুলিশ সভাস্থলে ৩০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাবে। এছাড়া আরও বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে আয়োজকদের তরফে। অন্যদিকে, ডিএ-র ধর্নামঞ্চে থাকছেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসার একজন। এছাড়াও বেশ কিছু পুলিশ মোতায়েন থাকবে শহিদ মিনারে।

    বাম-কংগ্রেসের মিছিল

    একই দিনে দুপুর আড়াইটে নাগাদ পথে নামছে বাম-কংগ্রেস। বুধবার বিকেলে রামলীলা ময়দান থেকে মিছিল শুরু করে মৌলালীর দিকে এগিয়ে যাবে। মল্লিক বাজার হয়ে পার্ক সার্কাসের সেভেন পয়েন্ট পার করে লেডি ব্র্যাবর্ন কলেজের সামনে শেষ হবে মিছিল। ফলে ওই সময় মৌলালি, এন্টালি, শিয়ালদহ, এপিসি রোড, পার্ক সার্কাস এলাকায় প্রবল যানজট হতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে জোর ধাক্কা কলকাতা পুলিশের, কৌস্তভের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে জোর ধাক্কা কলকাতা পুলিশের, কৌস্তভের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের দায়ের করা এফআইআর-এর তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালত জানাল, ‘কোর্টের অনুমতি ছাড়া কৌস্তভের বিরুদ্ধে কোনও থানা পদক্ষেপ করতে পারবে না।’ কৌস্তভের দায়ের করা আবেদনের শুনানিতে বুধবার ৪ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এছাড়াও মাঝরাতে কংগ্রেস নেতার বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার করার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।

    হাইকোর্টে জোর ধাক্কা কলকাতা পুলিশের

    গত ৪ মার্চ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের বড়তলা থানা। গভীর রাতে কৌস্তভের বাড়ি গিয়ে তাঁকে জেরা করে গ্রেফতার করেন পুলিশ আধিকারিকরা। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। কিন্তু সেদিনই বিকেলে আদালত থেকে মাত্র ১০০০ টাকার বন্ডে জামিন পান কৌস্তভ। এরপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৌস্তভ। সেই মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন আইনজীবী। তবে অন্যদিকে চাপ বাড়ল রাজ্য পুলিশের। কারণ তদন্তর উপর স্থগিতাদেশ তো দিয়েছেই, এর পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারকে পুলিশের অভিযান নিয়েও রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

    আরও পড়ুন: ইডি-র ডাকে সিজিও-তে কুন্তল-পত্নী, নিজামে সিবিআইয়ের জেরা ‘কালীঘাটের কাকু’-কে

    বিচারপতি মান্থা কী বলেছেন?

    এদিন মামলার শুনানিতে বুধবার বিচারপতি মান্থা বলেন, “কোনও নোটিশ না পাঠিয়ে নাগরিকের অধিকার ক্ষুণ্ণ করেছে পুলিশ। কীসের ভিত্তিতে মাঝরাতে কৌস্তভের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ? সারা রাত তাঁর বাড়িতে থেকে পরদিন সকালে কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার? পুলিশের এই ভূমিকা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধী। এক্ষেত্রে বড়তলা থানার ভূমিকা খতিয়ে দেখে ৩ সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিপিকে। আগামী ৪ সপ্তাহ কৌস্তভের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর-এর তদন্তপ্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।”

    এছাড়াও আদালত (Calcutta High Court) প্রাথমিক ভাবে মনে করছে, কৌস্তভ বাগচীকে হুমকি দেওয়ার আশঙ্কা থাকছে। ফলে আদালতের নির্দেশ, আগামী সোমবার সিআরপিএফ-কে জানাতে হবে, তারা নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না। আপাতত ব্যারাকপুর পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে অন্তত পাঁচজন পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া হয় কৌস্তভের বাড়িতে। সশস্ত্র কনস্টেবলও দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Gariahat: বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট! গাড়ি থেকে উদ্ধার ‘টাকার পাহাড়’, গ্রেফতার ২

    Gariahat: বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট! গাড়ি থেকে উদ্ধার ‘টাকার পাহাড়’, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কোটি কোটি টাকা উদ্ধার মহানগরীতে! এবার, বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট! আজ, বৃহস্পতিবার গড়িয়াহাট মোড় থেকে নগদ এক কোটি টাকা উদ্ধার করল পুলিশ। জানা যায়, গাড়িতে করে টাকা নিয়ে যাচ্ছিল ২ ব্যক্তি। এক কোটি টাকা-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের গড়িয়াহাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর। এই টাকাও কয়লা পাচারের টাকা কিনা তা নিয়ে তদন্তে ইডি।

    এসটিএফ-এর গোপন সূত্রে টাকা উদ্ধার

    জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা এবং এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে যৌথ ভাবে অভিযান চালায়। আর সেই অভিযানে গড়িয়াহাটের কাছাকাছি এলাকা থেকে একটি সন্দেহভাজন গাড়ি আটক করেন পুলিশ আধিকারিকরা। আর এরপরেই গাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়। আর তখনই গাড়ির পিছন থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। সেই ব্যাগে দেখা যায় বান্ডিল বান্ডিল টাকা। মোট নগদ ১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরেই গাড়ি থেকে দু’জন সন্দেজভাজনকে আটক করে পুলিশ। গড়িয়াহাট থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেই টাকা গোনার কাজ চলছে বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এক কোটি টাকা গোনা হয়েছে বলে খবর। তবে পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচারের অর্থে ‘প্রপার্টি-ডিল’! ১.৪ কোটি টাকা ছিল ‘পার্ট-পেমেন্ট’! বাকি টাকার খোঁজে ইডি

    ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ

    গাড়ি চালক দুলাল মণ্ডল এবং মুকেশ সারস্বত নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। দুলাল বেলিগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা। মুকেশের বাড়ি রাজস্থানে। বিপুল পরিমাণ এই টাকা কোথায় এবং কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা নিয়ে জেরা করা হচ্ছে বলেই খবর। তবে জেরায় পুলিশ সন্তোষজনক কোনও উত্তর পায়নি বলেই জানা যাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে গতকালই বালিগঞ্জে এক বেসরকারি দফতরে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে কিছু ডিজিটাল তথ্যও। ইডি জানতে পারে, এই বেসরকারি সংস্থাটির মাধ্যমে কয়লা পাচারকাণ্ডের টাকা বিনিয়োগ করা হত। এ ভাবে কালো টাকা সাদা করা হত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। ফলে গতকালের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই শহরে ফের টাকার হদিশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। এখন প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বালিগঞ্জের টাকার সঙ্গে গড়িয়াহাটের যোগসূত্র রয়েছে? গড়িয়াহাটের টাকাও কি কয়লা পাচারের টাকা? এরই তদন্তে ইডি।

  • Sukanta Majumdar:  রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সরব সুকান্ত! জানেন কী বললেন তিনি?

    Sukanta Majumdar: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সরব সুকান্ত! জানেন কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া নিয়ে সওয়াল করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “হাইকোর্ট একাধিকবার রাজ্য সরকারের গালে থাপ্পড় মারলেও সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দিচ্ছে না রাজ্য।”

    সুকান্তর দাবি

    সোমবার গঙ্গা আরতি মামলায় জামিন পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP Sukanta Majumdar)। সেই মামলায় আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে এই মত ব্যক্ত করেন তিনি। গত ১০ জানুয়ারি বাবুঘাটে বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচি ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় গ্রেফতার হন সুকান্ত মজুমদার-সহ ৮১ জন বিজেপি নেতা কর্মী। ঘটনার দিন থানা থেকে জামিন নিয়েছিলেন তাঁরা। তবে জামিনের শর্ত ছিল, বিচার ভবন থেকে নিয়ম মেনে জামিনের আবেদন করে জামিন নিশ্চিত করতে হবে। সেইমতো এদিন ৪৪ জন জামিন পেলেন। এদিন জামিন নিয়ে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের কী অবস্থা দেখুন। গঙ্গা আরতি করতে গেলেও তার জন্য মামলা হচ্ছে। আমি গঙ্গা আরতি করেছি বলে আমার নামে মামলা করা হয়েছে। তার জামিন আজ হল। আমার সঙ্গে আরও কয়েকজন কর্মীরও জামিন হল। এখনও ২৩ জনের জামিন হয়নি। আগামিদিনে হবে। আমরা দেখেছি ঔরঙ্গজেবও এক সময় এরকম করত। তবে আমরা লড়াই করতে জানি।”

    আরও পড়ুন: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ বাড়িভাড়া ভাতা পান কীভাবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    আদালত সূত্রে খবর, গঙ্গা আরতির সময় সুকান্ত মজুমদার-সহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তাতে সকলেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে পুলিশের কাছ থেকে জামিন পান। এদিন ৪৪ জন আত্মসমর্পণ করে, ‘রেগুলার বেল’ পেলেন। নিয়ম অনুযায়ী থানা থেকে ‘পিএস বেল’ পেলে ‘রেগুলার বেল’-এর জন্য আবেদন করতে হয়। সেখানে জামিন নিশ্চিত হয়। এদিন ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান সুকান্তরা। এদিন তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, “বিজেপি গত নির্বাচনে ক্ষতায় আসার পর বলা হয়েছিল মুসলিমদের স্বার্থে আঘাত আসবে। তাদের মসজিদে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মুসলিমদের অবস্থা দেখলেই বোঝা যাবে, এগুলি অপপ্রচার। “

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share