Tag: Kolkata

Kolkata

  • SSC Merit List: বিস্তর অসঙ্গতি! এসএসসির নতুন মেধা তালিকা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা

    SSC Merit List: বিস্তর অসঙ্গতি! এসএসসির নতুন মেধা তালিকা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে গত ২৩ অগাস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) নতুন প্যানেল  (Merit List) প্রকাশ করে। সেই প্যানেলেই চূড়ান্ত অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী। ওই মামলাতেই ফের কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।

    কোন মামলার প্রেক্ষিতে এই অভিযোগ

    আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১ অক্টোবর ২০১৯ প্রথম মেধাতালিকা (SSC Merit List) প্রকাশ করে রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিছু অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী সেই তালিকা চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।   ১১ ডিসেম্বর ২০২০ সালে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এসএসসির মেধা তালিকা বাতিল করে দেন এবং প্রার্থীদের তথ্য আপলোড করে সমস্ত তথ্য প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন। নতুন করে ইন্টারভিউর পাশাপাশি মেধা তালিকা প্রকাশ করতে বলেন। ২১ জুন ২০২১ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে যারা প্রথম মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল তাদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মামলা গড়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেও।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মিডল ম্যান প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি সিবিআই-এর

    সর্বশেষ মামলায় অভিযোগ, গত ২৩ অগাস্ট স্কুল সার্ভিস কমিশন যে নতুন মেধা তালিকা (SSC Merit List) প্রকাশ করেছে, তা-ও ঠিক নয়। প্রকাশিত মেধা তালিকায় সকলের ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয়নি। অনেক তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন পত্র বিকৃত করা হয়েছে। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টেট ওয়েটেজ (টেটে নম্বর) পুনরায় মূল্যায়ন করে প্রথম মেধা তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, সেই জন্য প্রথম মেধা তালিকা বাতিল হয়। অথচ সেই নাম্বারের ভিত্তিতে অনেকে সম্প্রতি প্রকাশিত নতুন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। বুধবার ওই মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের আগামী ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিত বক্তব্য আদালতে (Calcutta High Court) জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ সেপ্টেম্বর।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: এবার নার্কোটিক্স ডিটেকশনে প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তাভাবনা যাদবপুরে!

    Jadavpur University: এবার নার্কোটিক্স ডিটেকশনে প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তাভাবনা যাদবপুরে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারকোটিক্স ডিটেকশনের সাহায্যে হস্টেল ও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মাদক রোখার ভাবনাচিন্তা চলছে। সঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে নজরদারিও, জানালেন যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। অ্যান্টি র‌্যাগিং যে স্কোয়াড আছে, তাতে কম করে ৪০ থেকে ৫০ জনকে রাখা হবে বলেও জানান উপাচার্য। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালেয়র ক্যাম্পাসের ভিতরে ওপেন এয়ার থিয়েটার পরিষ্কার করতে গিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বস্তা বস্তা মদের বোতল উদ্ধার করেন। এই খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে কী হয়েছে বলতে পারব না। তবে এবার থেকে পরিস্থিতি বদলাবে।’

    নিরাপত্তার স্বার্থে পদক্ষেপ

    বিবার উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “নিরাপত্তার জন্য এক্স সার্ভিসম্যানদের কথা যেমন ভাবা হয়েছে। সিসিটিভিও বসানো হচ্ছে। পরে আরও দু’টো প্রযুক্তি নিয়ে ভাবছি। অ্যালকোহল ডিটেক্ট করবে বা নার্কোটিক্স ডিটেক্ট করার জন্য যদি কিছু ব্যবস্থা থেকে থাকে। তবে সেটাও আমাদের দেশের আইনের মধ্যে থেকেই করতে হবে। নার্কোটিক্স কন্ট্রোল করেন যারা তাদের থেকে সাজেশন নিতে হবে। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কী কী নির্ণয় করা যায় সেটাও দেখার বিষয়। সবই ভাবনাচিন্তার পর্যায়ে এখন।” সিসিটিভি বসানো প্রসঙ্গেও এদিন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “আমরা ওয়েবেলকে অর্ডার পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি দু’দিনের মধ্যে কাজ শুরু করতে বলেছি। ওয়েবলের লজিস্টিক এবং পরিকাঠামো কী আছে আমি জানি না। কী নিয়ম তাও জানি না। তবে যে কোনও পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। নিরাপত্তায় একটা গাফিলতি তো ছিল। না হলে এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে না। সরকারও নিশ্চয়ই চাইছে ইউজিসির সমস্ত নিয়ম যেন মেনে চলা হয়। আমাদের আচার্যও বলেছেন, নিরাপত্তা ও অ্যান্টি র‌্যাগিং যে নিয়ম তা মেনে এগোতে হবে। এখন ওয়েবল বরাত দেওয়ার পরও যদি দেরি করে, এটা তো কোনও সাধারণ সংস্থা নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রাণ হাতে করে গ্রামে বাস করছি’’, দত্তপুকুরে রাজ্যপালকে নালিশ মহিলাদের

    দিলীপের অভিযোগ

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে সেখানে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বাম সমর্থকদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলেছেন ডিন এবং অধ্যাপকদেরও। তাঁর কথায়, “যাদবপুরে কিছু বাম এবং অতি বাম সমর্থক পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে নষ্ট করছে। এদের মদত দিচ্ছেন ডিন এবং কিছু অধ্যাপক।” রবিবার বিকালে মহেশতলার মোল্লার গেটের দলীয় জনসভায় যান বিজেপি সাংসদ। সেখানেই নিজের বক্তব্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চন্দ্রযানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মান তুলে ধরে দিলীপ ঘোষ একদিকে যেমন বাম ও অতি বাম সমর্থকদের কটাক্ষ করেন, তেমনই শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “ঐতিহ্যশালী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কত প্রতিভাবান ছেলে-মেয়ে পড়েন। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা পড়েন। সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে নষ্ট করতে সাহায্য করছে তৃণমূলও।” দিলীপের প্রশ্ন, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর পর প্রশাসনের সক্রিয়তা বেড়েছে এতদিন সরকার কোথায় ছিল?

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • STF: দেশের গোপন নথি পাক গুপ্তচর সংস্থাকে পাচারের অভিযোগ! কলকাতায় ধৃত বিহারের যুবক

    STF: দেশের গোপন নথি পাক গুপ্তচর সংস্থাকে পাচারের অভিযোগ! কলকাতায় ধৃত বিহারের যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হল বিহারের এক যুবককে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে ভক্ত বংশী ঝা নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ভক্ত আদতে বিহারের দাড়ভাঙার বাসিন্দা। তাঁকে শুক্রবার কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের মোবাইলেও দেশ সম্পর্কিত গোপন ছবি ও ভিডিয়ো মিলেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য় সংক্রান্ত নথিও মিলেছে বলে খবর।

    ধৃত দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত!

    শনিবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (এসটিএফ) ভি সলোমন নেশাকুমার জানান, শুক্রবার ওই  ব্যক্তিকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৩৬ বছর বয়সি ভক্ত বংশী ঝা জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠাচ্ছিল। ধৃত বিহারের দারভাঙার বাসিন্দা। এসটিএফের দাবি, ভক্ত বংশী ঝায়ের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ধৃত দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ভক্ত বংশী ঝা এমন অনেক তথ্য পাকিস্তানে পাঠিয়েছে, যেগুলি দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত।

    আরও পড়ুন: চাঁদে নামার পর ৮ মিটার গড়ালো প্রজ্ঞানের চাকা! আপডেট দিল ইসরো

    জিজ্ঞাসাবাদে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে!

    ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি ধারায় ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করার পাশাপাশি অফিসিয়াল অ্যাক্ট ৩/৯ এর আর/ডব্লিউ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এসটিএফ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত বংশী গত তিন মাস ধরে কলকাতায় বাস করছিলেন। সম্প্রতি তাঁর কলকাতার আস্তানা সম্পর্কে গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। তার ভিত্তিতেই শুক্রবার অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে অভিযুক্ত দিল্লির এক কুরিয়ার সার্ভিসে কাজ করছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের দাবি, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীর তরফে সেনা জওয়ান ও দেশের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সতর্ক করা হয়। মূলত সামাজিক মাধ্যমেই পাতা হত হানি ট্রাপের ফাঁদ। সেখানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা আধিকারিক কিংবা সেনার জওয়ানদের ফাঁসানো হত। গোপনীয় তথ্য ফাঁস হওয়া থেকে রক্ষা পেতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কার্যকলাপ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: ‘পিক অ্যান্ড চুজ করে মারা হয়েছে’! যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভের জেল হেফাজত

    JU Student Death: ‘পিক অ্যান্ড চুজ করে মারা হয়েছে’! যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভের জেল হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের (JU Student Death) রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে পুলিশ। শুক্রবার সৌরভকে আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে সরকারি আইনজীবী গোপাল হালদার বলেন, ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ করে প্রথম বর্ষের সেই ছাত্রকে মারা হয়েছে।

    প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা

    সরকারি আইনজীবী জানান, একটি গামছা উদ্ধার হয়েছে। যেটা দিয়েই মৃত ছাত্রের মুখ চাপা দেওয়া হয়েছিল। সেই রক্ত মাখা গামছা ও ২ টো ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফোনে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে মেসেজ চালাচালি হত। আইনজীবীর দাবি, সেখানে তদন্ত প্রভাবিত করার প্রমাণ হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ফোনে ‘জেইউএমএইচ’ নামে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সৌরভের সেই গ্রুপে ‘ইনস্ট্রাকশন’ দিতেন। মাঝেমধ্যে সেই গ্রুপে অ্যাক্টিভ হতেন নির্দেশ দেওয়ার জন্য।

    র‌্যাগিংয়ের প্রমাণ

    আদালতে সৌরভের আইনজীবীর সঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল পাল্টা সওয়াল চলে। সৌরভের আইনজীবী জানান, তদন্তে সৌরভ সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি। যদিও পুলিশ দাবি করেছে, এই মামলায় অনেক অগ্রগতি হচ্ছে। দাগী বন্দিদের সঙ্গে যাতে জেলে সৌরভকে না রাখা হয়, সেই আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। এই প্রসঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, এই নিয়ে যা নিয়ম রয়েছে, তা মেনে চলা উচিত। গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে এক ছাত্র নীচে পড়ে যান বলে অভিযোগ। পরের দিন ভোরে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের মৃত্যু (JU Student Death) হয়। র‌্যাগিংয়ের জেরে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া মিলিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: মালদায় রাজ্যপাল, দেখা করলেন নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে

    সৌরভই ‘কিংপিন’

    ছাত্রমৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় প্রথম সৌরভকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সৌরভকেই ‘কিংপিন’ বলে দাবি করেছে পুলিশ। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন সৌরভ।  লালবাজার সূত্রে খবর, হস্টেলের ৭০ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র করানো হয়েছিল। তার পর তাঁকে বারান্দায় বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়। কী ভাবে র‌্যাগিং হয়েছে, তার নথি মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে জমা করেছে পুলিশ। গত ৯ অগস্ট রাতে ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল বলে দাবি। এই ঘটনায় শুক্রবার যাদবপুরকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের আরও চার আবাসিক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কলকাতা পুলিশের অপরাধ দমন শাখার যুগ্ম কমিশনার শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী। যাদবপুর থানায় বৃহস্পতিবারও টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করেন কলকাতা পুলিশের ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতাও। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যুগ্ম কমিশনার জানান, চার পড়ুয়াকে আটক করা হয়নি। তবে তাঁরা ঘটনার দিন উপস্থিত ছিলেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C V Ananda Bose: র‍্যাগিং-মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে ইসরোর সাহায্য চাইলেন রাজ্যপাল 

    C V Ananda Bose: র‍্যাগিং-মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে ইসরোর সাহায্য চাইলেন রাজ্যপাল 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র‌্যাগিং রুখতে  প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করার কথা ভাবছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। র‌্যাগিং মোকাবিলায় এ বার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।

    রাজ্যপালের আর্জি

    রাজভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে র‌্যাগিং থেকে মুক্ত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে ইসরো। রাজভবনের ওই সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে, এদিন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে অনেকটা সময় ধরে আলোচনা করেছেন বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। কীভাবে প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলিকে র‌্যাগিং থেকে মুক্ত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে উভয়ের মধ্যে। শুধু ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গেই নয়, এর পাশাপাশি হায়দরাবাদের একটি সংস্থার সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল বোস।

    প্রযুক্তিগত সাহায্য

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ভিডিও বিশ্লেষণ, ইমেজ ম্যাচিং স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য শনাক্তকরণ এবং রিমোট সেন্সিংয়ের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ বিষয়ে প্রযুক্তিগত সমাধান তৈরি করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি র‌্যাগিং-এর অভিযোগে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও প্রাক্তনী মিলিয়ে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে।

    আরও পড়ুন: পূর্বসূরির চোখে উত্তরসূরি! চাঁদের বুকে ‘বিক্রম’-এর ছবি তুলে পাঠালো ‘চন্দ্রযান ২’ অরবিটার

    ইসরো যাদবপুর সম্পর্ক

    বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে ইসরোর চন্দ্রযান ৩। প্রথম দেশ হিসাবে ভারত এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। সেই সাফল্যকে সামনে রেখেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র‌্যাগিং নির্মূল করতে ইসরোর প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের ‘পাখির পালকের মতো অবতরণ’ (বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যার নাম ‘সফ্‌ট ল্যান্ডিং’) কর্মসূচিতে ইসরোর সহযোগীর ভূমিকায় ছিল দেশের কয়েকটি প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই তালিকার অন্যতম নাম যাদবপুর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: বিজ্ঞানচর্চায় উৎসাহ দান! ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ ঘোষণা রাজ্যপালের

    Chandrayaan 3: বিজ্ঞানচর্চায় উৎসাহ দান! ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ ঘোষণা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রাভিযানে ভারতের সাফল্যের পর গোটা চন্দ্রযান (Chandrayaan 3) টিম ও ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor C V Anand Bose)। একইসঙ্গে বিজ্ঞান-চর্চায় পড়ুয়াদের উৎসাহিত করতে নয়া উদ্যোগ নিচ্ছেন বাংলা সাংবিধানিক প্রধান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে সেরা পড়ুয়াকে ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সেরা পড়ুয়াদের ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ বাবদ ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। 

    কী বললেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপাল বোস বাংলার সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিক্ষার প্রসারে নজর দিয়েছেন। এবার ভারতের চন্দ্রাভিযানে (Chandrayaan 3) ইতিহাস গড়ার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ এবং ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সেল’ চালুর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ভারতই একমাত্র দেশ, যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে সফল অভিযান চালাল। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পরে চতুর্থ দেশ হিসাবে মহাকাশযান সফল ভাবে চাঁদে অবতরণ করানোর তালিকায় উঠে এল ভারত। ভারতের জয়তে গর্বিত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    রাজ্যপাল এদিন বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোটা বিশ্বকে বুঝিয়েছেন কীভাবে যোগচর্চার মাধ্যমে ‘ইনার স্পেস’-কে জয় করা যায়। আর এবার চন্দ্রযান দেখিয়ে দিল আমরা ‘আউটার স্পেস’-কেও জিততে পারি। আমাদের বিজ্ঞানীরা আজ গোটা দেশকে গৌরবান্বিত করেছেন। বিজ্ঞানের জয়জয়াকার হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “ইতিহাস গড়ে, ইসরো ভূগোলের আইডিয়া তৈরি করল”! চন্দ্রযানের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রাষ্ট্রপতি

    রাজভবনে বিজ্ঞান সেল

    কলকাতায় রাজভবনে এদিন একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সেল চালু করার কথাও ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। এর মূল কাজ হবে রাজ্যবাসীকে বিজ্ঞানচর্চায় আরও বেশি উৎসাহিত করে তোলা। চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় চন্দ্রযান ৩-এরসা সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সমস্ত বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “ভারত এবার মহাকাশের সুপার লিগে।”

    চন্দ্রযানের সাফল্যের জন্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম রাজ্যের ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রীকে তলব সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম রাজ্যের ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রীকে তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (municipality recruitment scam) এবার রাজ্যের এক মন্ত্রীকে তলব করল সিবিআই। ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে তলবের চিঠি স্পিড পোস্ট করে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর,আগামী ৩১ অগাস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। 

    কেন মন্ত্রীকে তলব

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আস্তে আস্তে জাল গোটাচ্ছেন তদন্তকারীরা। হাইকোর্টের আইনি জটিলতা কেটে যাওয়ার পরই আরও তৎপর সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেস থেকে বুধবারই স্পিড পোস্টে নোটিস পাঠানো হল রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে। যাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তিনি একজন হেভিওয়েট মন্ত্রী। তিনি দুর্নীতির সময় পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের কীভাবে পরিচয়, দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁর ভূমিকাই বা কী ছিল, কীভাবে এবং কবে এই দুর্নীতির শুরু, তা জানতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    প্রসঙ্গত, অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। এই মামলায় সিবিআই-কে তদন্ত করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে হাইকোর্টে এই মামলার বেঞ্চ বদল হয়। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে। এরপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কিন্তু সেখানেও কার্যত ধাক্কা খায় রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই-এর পক্ষে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এ এস ভি রাজু সওয়াল করেছিলেন, দুটি মামলা অর্থাৎ স্কুল ও পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির ক্ষেত্রে এক সাধারণ অভিযুক্ত রয়েছেন। এই সওয়ালকে মান্যতা দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পরই প্রথম রাজ্যের কোনও মন্ত্রীকে তলব করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: জাতীয় পতাকার অবমাননা! শুভেন্দুর করা মামলায় রাজ্যকে তিরস্কার হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: জাতীয় পতাকার অবমাননা! শুভেন্দুর করা মামলায় রাজ্যকে তিরস্কার হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের দিন বাঁশবেড়িয়ার জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় রাজ্যকে তিরস্কার করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘জাতীয় পতাকার অবমাননা করে কেউ নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারে না’।

    কী ঘটেছিল

    জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে একটি জনস্বার্থ মামলা হয় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ৷ সেই মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৫ অগাস্ট পতাকা উত্তোলনের সময় বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাইস্কুলে কিছু দুষ্কৃতী পতাকার অবমাননা করে৷ পাথর ছোড়ে। হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। সওয়াল জবাবের সময়ে রাজ্যের তরফে এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, আদৌ সেদিন ওই স্কুলে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছিল কিনা, সেই বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। রাজ্যের আইনজীবী অনির্বাণ রায় আদালতে জানান, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তখনই মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরাই আদতে ‘ভিক্টিম’। তখন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যদি বলছেন, কিছু হয়নি, তাহলে তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হয়েছে?” রাজ্যের আইনজীবী উত্তর দেন, “স্কুলের বাইরে জমায়েত করেছিলেন। গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা চলছিল।” রাজ্যের এহেন উত্তরে অসন্তুষ্ট হন প্রধান বিচারপতি। এরপরই রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য,” আপনার কী মনে হয় না, এটা সিরিয়াস।” বিচারপতির মন্তব্য, “রাজ্যের এ বিষয়ে আরও সজাগ হওয়া উচিৎ ছিল।”  শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “মামলাকারী ইনি বলেই কি এত অনীহা?” 

    আরও পড়ুন: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    আদালতের অভিমত

    রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, “আপনি ভুলে যান কে আদালতে এসেছে। জাতীয় পতাকার অবমাননা আমাদের সবার অবমাননা। রাজ্যের আরও প্রোঅ্যাক্টিভ হওয়া উচিত। পুলিশ-থানার উচিৎ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত পদক্ষেপ নেওয়া।” এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, “সরকারি স্কুলের ভিতরে জাতীয় পতাকা (National Flag) অবমাননার অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। রাজ্য অভিযোগ খতিয়ে না দেখে কে মামলা করেছে সেইদিকে তাকিয়ে রয়েছে, এটা ঠিক নয়।” প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “সব কিছুকে রাজনৈতিক রঙ দেবেন না। মিথ্যে বলবেন না। আপনি চোখ বন্ধ রাখলেই পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায় না। যবে থেকে এসছি দেখছি মামলাকারী কে সেটা এখানে খুব গুরুত্ব পায়।” এবিষয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।  স্কুলকে এই মামলায় যুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ সেপ্টেম্বর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: কেন নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি নয়? কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে হিডকো

    Durga Puja: কেন নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি নয়? কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে হিডকো

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: দুর্গা পুজোর অনুমতি চেয়ে  আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নিউ টাউনের একটি পুজোর উদ্যোক্তারা। গত বছর পুজোর অনুমতি পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল ‘নিউ টাউন ইন্টেলেকচুয়াল’ নামে একটি সংগঠনকে। তাদের দাবি, নিউ টাউন মেলা প্রাঙ্গনে পুজোর অনুমতি দিতে হবে তাদের। গত বছর আদালতের হস্তক্ষেপে মেলা প্রাঙ্গনে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

    আদালতে সওয়াল-জবাব

    দুর্গাপুজোর অনুমতি না দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন পুজো কমিটির লোকেরা। তাঁদের দাবি, সরকার বিরোধী পক্ষের লোক হওয়ায় তাঁদের পুজো করতে দেওয়া হচ্ছে না।  কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশ আবেদন করেন। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে পুজো উদ্যোক্তারা প্রশ্ন তোলেন, পাশেই কেএমডিএ কর্তা দেবাশিস সেনের স্ত্রীর উদ্যোগে একটি দুর্গা পুজো হয়। সেই পুজোর জৌলুস যাতে কমে না যায়, সেই কারণেই কি নতুন পুজোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? হিডকোর আইনজীবী জানিয়েছেন, গত বছর ব্যতিক্রমীভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাদের দাবি, আগের বার যেখানে পুজো হয়েছিল, এবার সেখানে অনুমতি দিলে ট্রাফিকের সমস্যা হতে পারে। তিনি আরও জানান, ট্রাফিক ছাড়াও হাউজিংয়ের পুজো হয়। বিগত বছরে বাস স্ট্যান্ডের পরিবর্তে মেলা প্রাঙ্গণে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়। তখন বিচারপতি জানতে চান, তাহলে এই বছর সেই জায়গায় অনুমতি দিতে বাধা কোথায়? কী কারণ পুজোর অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না তা জানাতে বলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: আর দিতে হবে না ‘পেনাল ইন্টারেস্ট’! গ্রাহকদের সুরাহায় নানা নির্দেশ আরবিআইয়ের

    মামলাকারী সংগঠনের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারির দাবি, “কলেজের উৎসব-সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অনুমতি দেওয়া হয় মেলা প্রাঙ্গনে, তাহলে পুজোয় কেন নয়? ওখানে সার্ভিস রোড আছে। ফলে যানজট হওয়ার কথা নয়। অথযা যানজটের বাহানা দেওয়া হচ্ছে।” দীর্ঘ শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।  এই মর্মে হিডকোর জবাব চেয়েছেন বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: ক্যাম্পাসের ভিতরেও হিংসার প্রবেশ! ছাত্র মৃত্যুর পর যাদবপুরে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল

    Jadavpur University: ক্যাম্পাসের ভিতরেও হিংসার প্রবেশ! ছাত্র মৃত্যুর পর যাদবপুরে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, ” রাজ্যপাল পদে দায়িত্ব পাওয়ার পর আমার জীবনের অন্যতম দুঃখের দিন। ক্যাম্পাসের ভিতরেও হিংসার প্রবেশ ঘটেছে। এটা খুব দুঃখের বিষয়। ক্যাম্পাসের ভিতরেও হিংসার প্রবেশ ঘটেছে। এটা তার বহিঃপ্রকাশ।”

    কী বললেন রাজ্যপাল

    সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল স্পষ্ট বলেন, হিংসা বর্জিত বাংলার পাশাপাশি হিংসা বর্জিত বিশ্ববিদ্যালয়ও চান তিনি। সূত্রের খবর, সে কারণেই আজকের দিনটিকে ক্যাম্পাসে অ্যান্টি-ভায়োলেন্স ডে হিসাবে পালন করার ঘোষণা করেন তিনি। শুধু তাই নয়, কী ভাবে স্বপ্নদীপের মৃত্যু হয়েছে তা জানার জন্য তাঁর বাবার সঙ্গেও কথা বলেন। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে তার সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। কথা বলেন পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গেও। কথা বলেন স্বপ্নদীপের সহপাঠীদের সঙ্গে। কিন্তু, যেহেতু তদন্ত চলছে তাই তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তবে সাফ জানিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সঙ্গে মিনিটে মিনিটে যোগাযোগ রাখবে রাজভবন। 

    আরও পড়ুন: আজ আসছেন মোহন ভাগবত! ‘পঞ্চায়েত রাজ’ সম্মেলন সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যে নাড্ডাও

    রাজ্যপালের দুঃখপ্রকাশ

    ইতিমধ্যেই ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করছে পুলিশ। সঠিক তদন্তের দাবিতে এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় অরবিন্দ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায়  একাধিক ছাত্র সংগঠন। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সন্ধ্যাবেলা ক্যাম্পাসে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল ক্যাম্পাসে ঢুকতেই পড়ুয়াদের স্লোগানের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকে। ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে রাজ্যপাল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “একজন তরুণকে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ , সময়ে হারালাম আমরা। একটা গাছকে আমরা কেটে ফেললাম পুরোপুরি বড় হওয়ার আগেই। যে গাছটি খুব সুন্দর ফুল, ফল দিতে পারতো। আমাদের শপথ নিতে হবে, যে নতুন প্রজন্মের মধ্য হিংসার প্রবেশ ঘটতে দেব না আমরা।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

LinkedIn
Share