Tag: Kolkata

Kolkata

  • Vice Chancellor: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে রবীন্দ্রভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ রাজভবনের

    Vice Chancellor: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে রবীন্দ্রভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ রাজভবনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। অবসর নেওয়ার পরবর্তী সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রের দায়িত্ব এর আগেও পালন করেছেন তিনি। মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি তাঁকে সাবিত্রীবাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাছাইয়ের সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসিয়েছিলেন। আর এবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পেলেন তিনি। 

    রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত বৈধ

    অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত না থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার নজির স্বাধীনতার পর বাংলায় আর একটি আছে। ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিধূভূষণ মালিককে। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নবান্ন–রাজভবন সংঘাত অনেকদিন ধরেই চলছিল। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর প্রকাশ্যে সংঘাত থেমেছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায় ছিল, অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত বৈধ। আর এই উপাচার্যদের বেতন–সহ অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। তারপরই রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্ত। 

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনাও করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে, নির্দেশ আদালতের

    শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের পরিচয়

    আগে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য ছিলেন নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তী। তাঁর মেয়াদ ফুরিয়েছে। তারপর প্রায় দু’মাস উপাচার্যহীন ছিল রবীন্দ্রভারতী। এবার নির্মাল্যের মেয়াদ শেষ হতেই প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় হলেন রবীন্দ্রভারতীর নতুন অস্থায়ী উপাচার্য। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পাশ করেছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিও ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে কর্নাটক হাইকোর্টে চলে যান।  ২০১৫ সালে তিনি কর্নাটক হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হন। ২০১৬ সালে তাঁকে কর্নাটক হাইকোর্টের স্থায়ী প্রধান বিচারপতি করা হয়। ২০১৭ সালে তিনি অবসর নেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্যের পাশাপাশি শুভ্রকমলকে  শান্তি ও সম্প্রীতি কমিটির চেয়ারম্যানও করা হয়েছে। এই কমিটিও রাজ্যপাল গঠন করেছেন, সেই কমিটির অন্যতম প্রধান কাজ হল শিক্ষাঙ্গনের ভিতরে সংহতির উপর নজর রাখা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: কলকাতায় জরুরি বৈঠকে সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা, কী হল এমন?

    CBI: কলকাতায় জরুরি বৈঠকে সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা, কী হল এমন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা কেলেঙ্কারি, গরু পাচার, শিক্ষায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি – রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির (Scam Case) অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। তদন্তের অগ্রগতি জানতেই মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে বৈঠকে বসলেন সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা। সম্প্রতি সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল পদে উন্নীত হয়েছেন সিনিয়র আইপিএস অফিসার মনোজ শশীধর। এদিনের বৈঠকে রয়েছেন তিনি। রয়েছেন স্পেশাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগরও।

    একাধিক দুর্নীতি

    সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা, গরু এবং শিক্ষায় নিয়োগের মতো একাধিক দুর্নীতির ঘটনায় তদন্তকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। মনোজ শশীধরকে গুজরাট পুলিশ থেকে সিবিআইয়ের ডেপুটেশনে আনা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলেই। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে সরকার যে সিট গঠন করেছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন এই সিবিআই কর্তাই। সম্প্রতি তাঁকে কলকাতা জোনের দুর্নীতি দমন শাখার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।

    তদন্ত করছে ইডিও

    সিবিআইয়ের (CBI) পাশাপাশি তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এই ইডি-ই প্রথমে গ্রেফতার করেছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শিক্ষায় নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এই মামলায় পরে পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআইও। সিবিআই গ্রেফতার করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। কয়লা পাচার মামলায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে গত বছর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। এহেন আবহে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে বসেছেন সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা। কলকাতায় সিবিআইয়ের (CBI) শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসায় আশার আলো দেখছেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের আশা, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্ব মিটলেই ফের জোর কদমে শুরু হতে পারে ধরপাকড়।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ‘বিষদাঁত’ ভাঙতে পারে বিজেপি, কোন কোন জেলায়?

    প্রসঙ্গত, মনোজ শশীধর হলেন গুজরাট ক্যাডারের আইপিএস অফিসার। নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন আমেদাবাদ পুলিশের ডিসিপি (ক্রাইম) ছিলেন শশীধর। পরে হন আমেদাবাদের জয়েন্ট কমিশনার। ভাদোদরায় পুলিশ কমিশনারও হয়েছিলেন তিনি। পরে গুজরাটের সিআইডির ডিরেক্টর জেনারেলও ছিলেন শশীধর। দুঁদে এই আইপিএস অফিসার কলকাতায় আশায় অশনি সংকেত দেখছেন এ রাজ্যের তৃণমূল নেতারা। বিশেষত, যাঁদের নাম জড়িয়েছে নানা কেলেঙ্কারিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: আইসি, এসডিপিও-ওর বিরুদ্ধে এফআইআর! বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের

    Panchayat Elections 2023: আইসি, এসডিপিও-ওর বিরুদ্ধে এফআইআর! বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যানিংয়ের আইসি, এসডিপিও-র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করল রাজ্য। ক্যানিংয়ের হাটপুখুরিয়া পঞ্চায়েতের (Panchayat Elections 2023) তৃণমূল উপপ্রধান সিরাজুল ইসলাম ঘরামির অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যানিংয়ের আইসি, এসডিপিও এবং বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।

    সন্ত্রাসের অভিযোগ

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Elections 2023) মনোনয়ন পর্বের একেবারে শুরু থেকেই বারবার সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়েই চলছে সন্ত্রাস। অভিযোগ, ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের মোট ২৭৪টি আসনে বিরোধীরা মনোনয়নপত্রই জমা দিতে পারেনি। এই আবহে মামলাকারী সিরাজুলের বক্তব্য, গত ১১ জুন ২৭৪ জনকে নিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেখানে স্থানীয় বিধায়ক পরেশ নাথ দাসের মদতে কয়েকশো দুষ্কৃতী তাঁদের ঘিরে ধরেন। মনোনয়ন জমা দিতে যেতে বাধা দেন। অভিযোগ, ভিড়ের মধ্যে এসডিপিও দিবাকর দাস ও ক্যানিংয়ের আইসি দুষ্কৃতীদের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই গুলি চালান। 

    আরও পড়ুন: ‘গ্রেফতার করা হতে পারে’! রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র

    আদালতে সিরাজুলের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সৌরভ চট্টোপাধ্যায় ও সৌম্য নাগ। বিচারপতি মান্থার এজলাসে গোটা বিষয়টি উল্লেখ করেন আইনজীবীরা। ওই ঘটনায় সাত জন আহত হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করে, যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদেরই মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। যদিও মান্থার এজলাসে রাজ্য সরকারের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বেশিরভাগ অভিযোগই মিথ্যা। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে বিচারপতি মান্থা বিধায়ক ও দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন। দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য। আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Group C Scam: গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত ‘ফাইল’ উধাও! সিবিআইকে জানাল বিকাশ ভবন

    Group C Scam: গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত ‘ফাইল’ উধাও! সিবিআইকে জানাল বিকাশ ভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দফতর থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত নথির খোঁজ মিলছে না। গ্রুপ-সি-র (Group C Scam) মামলায় সিবিআই বিকাশ ভবনের কাছে কিছু তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিল পর্ষদ।  সিবিআই সূত্রে খবর, তাদের বলা হয়েছে, ওই ফাইলটি পর্ষদের কাছে নেই। বেশ কয়েক মাস ধরেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পর্ষদের এই জবাবে বিস্মিত সিবিআই।

    কীভাবে হারাল ফাইল? 

    নিয়োগ দুর্নীতির (Group C Scam) তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের হাতে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য এসেছে। বিভিন্ন সময়ে নানা তথ্য যাচাই করে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কিংবা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের থেকে বিভিন্ন নথি চেয়েছে সিবিআই। এমনকী প্রয়োজনে একাধিক আধিকারিকের সঙ্গে কথাও বলেছে তারা। সেই মতোই তদন্তের স্বার্থে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পর্ষদের থেকে চেয়ে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে যাওয়ায় অবাকই হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর,  শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়েছিলেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। যার ভিত্তিতেই কমিশনের কাছে সেই সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠান তাঁরা। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ নথি কীভাবে উধাও হল, কে সেই তথ্যগুলি সংরক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন তা সব কিছুই এবার খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: বিশ্বের উন্নয়ন, মঙ্গলের শক্তি হল ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব! অভিমত মোদির

    পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পারে সিবিআই

    সিবিআই সূত্রে খবর, কমিশন গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছে নির্দিষ্ট একটি ফাইল দফতরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক বছর ধরে তার খোঁজ মেলেনি। এমনকী ফাইলটি খুঁজে পেতে বিধাননগর উত্তর থানায় জেনারেল ডাইরিও করা হয়। কিন্তু এরপরও ওই ফাইলের খোঁজ নেই। সিবিআইকে এমনটাই জানিয়েছে কমিশন।  যেহেতু বিধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, সেই কারণে সিবিআই এবার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। খতিয়ে দেখা হবে ফাইলটি খোঁজার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছিল থানা থেকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: রাজীব সিনহার নিয়োগ অবৈধ! জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    Panchayat Election 2023: রাজীব সিনহার নিয়োগ অবৈধ! জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহার নিয়োগ বৈধ নয়। তাঁর নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে  সোমবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি দায়ের করেছেন আইনজীবী নবেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মামলার করার অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    রাজীবের নিয়োগ নিয়ে টানাপড়েন

    গত ৭ জুন রাজীবকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে রাজীবের নিয়োগ নিয়ে প্রথম থেকেই সরব বিরোধীরা। গত বুধবার রাজীবের যোগদান রিপোর্ট (জয়েনিং রিপোর্ট) ফেরত পাঠান রাজ্যপাল। তারপর রবিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন রাজীব। সেই বৈঠকে যোগদান রিপোর্ট নিয়ে দু’জনের কথা হয়েছে। রাজভবন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের। এখনও পর্যন্ত ভোটের জন্য কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, রাজ্যপালকে তা জানান রাজীব। বৈঠকে রাজ্যপাল পরামর্শ দেন, ‘‘আপনি স্বাধীন ভাবে কাজ করুন। ভোটে অশান্তি কোনও ভাবেই যেন বরদাস্ত না করা হয়। শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে সমস্ত পদক্ষেপ করতে হবে। কমিশনের যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা থাকে।’’

    আরও পড়ুন: বিশ্বের উন্নয়ন, মঙ্গলের শক্তি হল ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব! অভিমত মোদির

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের মেয়াদ শেষের পর রাজভবনে রাজীব সিনহা সহ তিন জনের নাম পাঠায় রাজ্য সরকার। প্রথমে রাজীবের নামে অনুমতি দেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পরে রাজীব সিনহার নামে অনুমোদন দেয় রাজভবন। তারপই পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে হিংসার সাক্ষী থাকে রাজ্যবাসী। বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকেন। এর মধ্যে আদালতে এই জনস্বার্থ মামলা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ফের হাইকোর্টে এনআইএ! রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় সাহায্য করছে না রাজ্য

    NIA: ফের হাইকোর্টে এনআইএ! রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় সাহায্য করছে না রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর মিছিলে হামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশের পরেও সহযোগিতা করছে না রাজ্য পুলিশ, দাবি এনআইএ-র (NIA)। রাজ্য সাহায্য না করায় আটকে রয়েছে বহু মামলা। অভিযোগ, মামলার বহু নথিও দিচ্ছে না রাজ্য। এই সব অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। 

    এনআইএ-র দাবি

    রামনবমীতে হাওড়া, রিষড়া, ডালখোলা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় হামলার ঘটনায় এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। রাজ্য পুলিশকে সমস্ত নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৭ এপ্রিলের রায়ে ২ সপ্তাহের মধ্যে নথি হস্তান্তরের কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এনআইএ-র (NIA) অভিযোগ, রাম নবমী সংঘর্ষ নিয়ে তদন্তে কোনও সহযোগিতা করছে না রাজ্য। এমনকী মামলা সংক্রান্ত কোনও নথিও দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তদন্ত আটকে রয়েছে।

    বুধবার শুনানির সম্ভাবনা

    এ প্রসঙ্গে রাজ্যের তরফে বলা হচ্ছে, প্রধান বিচারপতির এনআইএ তদন্তের নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কিন্তু সেই মামলায় কোনও অর্ডার নেই। গরমের ছুটির পড়ে সেই মামলার শুনানির কথা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি মান্থা মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    সক্রিয় এনআইএ

    এই মুহূর্তে এনআইএ কলকাতা শাখায় ডিএসপি ও ইন্সপেক্টর মিলিয়ে ৬জন তদন্তকারী অফিসার রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেকের উপরেই অন্তত দু’ থেকে তিনটি কেসের চাপ রয়েছে। ফলে অফিসারদের নির্দিষ্ট কোনও কেসের উপর নজর দিতে সমস্যা হচ্ছে। আর এই দুর্বলতা ধরতে পেরেছেন ডিজি দীনকর গুপ্তা। সম্প্রতি কলকাতা সফরে এসে যত দ্রুত সম্ভব অফিসারের অভাব পূরণ করা হবে বলে আশ্বাসও দেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Iskcon Rathyatra 2023: ৫২ তম বছরে কলকাতার ইসকনের ‘থিমে’র রথযাত্রা

    Iskcon Rathyatra 2023: ৫২ তম বছরে কলকাতার ইসকনের ‘থিমে’র রথযাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর বাইরে কলকাতার ইসকন রথযাত্রা (Iskcon Rathyatra) সারা বিশ্বে সমাদৃত। মঙ্গলবার, সকাল ৮ টায় চিরাচরিত প্রথা মেনে শুরু হয়েছে পাহান্ডি বিজয় যাত্রা। এদিন কলকাতা ইসকন মন্দির থেকে বেরিয়ে একে একে রথে আসীন হবেন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা। 

    থিম মানসিক শান্তি

    ইসকন (Iskcon Rathyatra) আয়োজিত কলকাতা রথযাত্রা এবার ৫২ বছরে পড়ল। এ বছরের রথযাত্রার থিম মানসিক শান্তি। এটি ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনার পাশাপাশি মানসিক অসুস্থতা বৃদ্ধিকে তুলে ধরবে। করোনার প্রকোপ কমার পর থেকে ইসকনের মন্দিরে ভক্তদের ভিড় বাড়ছে। সম্প্রতি করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতদের সিংহভাগই বাংলার বাসিন্দা। তাই ৫২ তম রথযাত্রায় বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একথা জানিয়েছেন কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। তিনি জানান, যুদ্ধরত দুই দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়ার ভক্তরাও এদিন মিলবেন জগন্নাথ প্রেমের ধারায়। 

    বিপুল ভক্ত সমাগম

    মঙ্গলবার অ্যালবার্ট রোড মন্দিরে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ডান্স ট্রুপ দীক্ষামঞ্জুরী একটি ওড়িশি নৃত্য পরিবেশন করবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চলবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রথের রশিতে টান দিয়ে যাত্রার সূচনা করবেন। প্রতিবছর আনুমানিক ৮ লাখ ভক্তের সমাগম হয় কলকাতায় ইসকনের রথযাত্রায় (Iskcon Rathyatra)। এবার তা আনুমানিক ১০ লাখ হতে পারে বলে মনে করা হয়েছে। কলকাতা ছাড়াও গঙ্গাসাগর-সহ ইসকনের শাখাগুলিতেও রথযাত্রার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।

    আরও পড়ুন: ‘জয় জগন্নাথ’ ধ্বনিতে মুখরিত পুরী, রথযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

    কোন পথে ইসকনের রথ?

    মিন্টো পার্কের কাছে হাঙ্গরফোর্ড স্ট্রিটে ইসকন মন্দির থেকে দুপুর ১:৩০ এ রথযাত্রা (Iskcon Rathyatra) শুরু হবে। এজেসি বোস রোড-শরৎ বোস রোড-হাজরা রোড-শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড-আশুতোষ মুখার্জি রোড-চৌরঙ্গী রোড-এক্সাইড মোড়-জে এল নেহরু রোড-আউটট্রাম রোড হয়ে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে শেষ হবে। উল্টো রথযাত্রা বুধবার ২৮শে জুন ২০২৩ পার্ক স্ট্রিট মেট্রোর কাছে আউটট্রাম রোড থেকে দুপুর ১ টা থেকে শুরু হবে। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড-আউটট্রাম রোড-জেএল নেহরু রোড-ধর্মতলা মোড়-এস.এন ব্যানার্জি রোড-মৌলালি মোড়-সি আই টি রোড-সোহরাওয়ার্দী এভিনিউ-পার্ক সার্কাস ৭ পয়েন্টস মোড়-শেক্সপিয়ার সরণি-হাঙ্গরফোর্ড স্ট্রিট হয়ে ইসকন মন্দিরে শেষ হবে। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এবছর রথযাত্রার মেলা চলবে ২১শে জুন থেকে ২৭শে জুন পর্যন্ত।    

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? ফের হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Panchayat Election 2023: কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? ফের হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, কমিশন সেই নির্দেশ মানেনি। সেক্ষেত্রে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। 

    বিরোধীদের দাবি

    নির্বাচনী (Panchayat Election 2023) প্রক্রিয়ার একেবারে প্রাথমিক ধাপেই গত ১০ দিনে রাজ্যে ৭টি খুনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। গোটা বিষয়টিতে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিরোধীরা। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। পাশাপাশি, আদালতের নির্দেশ ছিল মনোনয়নপত্র জমা থেকে কাউন্টিং , গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে এবং সিসিটিভি বসাতে হবে। সেই নির্দেশও পালন হয়নি বলে অভিযোগ। কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন হাইকোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী সওয়াল করেন, ‘‘ সুপ্রিম কোর্টে আজও কমিশন ও রাজ্যের এসএলপি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। রাজ্য ও কমিশন করা এসএলপি নিয়ে কোনও নোটিস দেওয় হয়নি। তাই আদালত অবমাননার মামলা হাইকোর্টে হতে কোনও আইনি বাধা নেই।’’

    আরও পড়ুুন: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

    ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷  শনিবার এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ সূত্রের খবর, সেই আবেদন শুনতে রাজিও হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ আগামিকাল, অর্থাৎ, মঙ্গলবার কমিশন ও রাজ্যের আর্জির শুনানির সম্ভাবনা৷ বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এম এম সুন্দরেশের বেঞ্চে শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে৷ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee : জামিনের আবেদন খারিজ! আলিপুরে পার্থকে ধমক বিচারকের

    Partha Chatterjee : জামিনের আবেদন খারিজ! আলিপুরে পার্থকে ধমক বিচারকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ (Partha Chatterjee) সাত জনের জামিনের আবেদন (Bail Plea Rejected) ফের খারিজ করল আদালত। ২৭ জুন পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত (Alipore Court)। একই সঙ্গে বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যের জন্য মঙ্গলবার, তাঁকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যা বলেছেন তা বরদাস্ত করা যায় না। তা আদালতের পক্ষে অপমানজনক।

    পার্থকে ভর্ৎসনা বিচারকের

    এর আগের শুনানির দিন আদালত চত্বরে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে পার্থ (Partha Chatterjee) বলেছিলেন, ‘‘বিচার কী হচ্ছে, বুঝতে পারছি। আমি বিচার চাই না, জেলের ভিতরে চিকিৎসা চাই।’’ সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শুনানির সময় ক্ষুব্ধ বিচারক পার্থ এবং তাঁর আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘বাইরে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যে ভাষায় কথা বলেছেন উনি, তা আদালতের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। বুঝতে হবে, সব ক্ষেত্রে জামিন দেওয়া যায় না।’’ সবুজ রঙের পাঞ্জাবী-সাদা রঙে পাজামা পরে এদিন বিচারকের ঠিক সোজাসুজি বেঞ্চে অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গেই বসে ছিলেন পার্থ। শুনানি চলার সময়ে ক্ষুব্ধ বিচারককে দেখে কখনও মাথা নিচু করছিলেন, কখনও আবার চশমা খুলে চোখ বন্ধ করছিলেন। পরে কোর্ট রুমের বাইরে সংবাদমাধ্যমকে পার্থ বলেন, ‘‘আমি কোনও দিন আদালতকে অবমাননা করিনি, করবও না।’’ যদিও আদালতে সওয়াল জবাবের সময় বিচারকের কাছে মক্কেলের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন পার্থর আইনজীবী।

    পার্থের উদ্দেশে ‘চোর’ স্লোগান

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সামনে মঙ্গলবার আবারও ওঠে ‘চোর চোর’ স্লোগান। এদিন আদালত চত্বরে অল ইন্ডিয়া ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সই সংগ্রহের পর্ব চলছিল। ওই সই সংগ্রহ পর্ব চলাকালীনই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে। পার্থকে দেখামাত্রই সই সংগ্রহ অভিযানের একাংশের থেকে উঠতে থাকে ‘চোর চোর’ স্লোগান। 

    আরও পড়ুন: আমেরিকায় মোদিকে স্বাগত জানাবে ২১ গান স্যালুট! ভাবনা বাইডেন প্রশাসনের

    পার্থের জামিনের আর্জি খারিজ

    মঙ্গলবার একাদশ-দ্বাদশ এবং গ্রুপ-সি মামলায় আলিপুর বিশেষ সিবিআই কোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, নাইসার প্রাক্তন কর্তা নীলাদ্রি দাস এবং এজেন্ট চন্দন মণ্ডলকে হাজির করা হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা তাঁদের মক্কেলদের জামিনের আবেদনের পক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু এদিনও পার্থ-সহ ৭ জনের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ! দক্ষিণে কত দেরি? কী বলছেন আবহবিদরা

    Weather Update: উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ! দক্ষিণে কত দেরি? কী বলছেন আবহবিদরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রবেশ করল মৌসুমী বায়ু। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) তরফে সোমবারই জানিয়ে দেওয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছে। রাজ্যের একাংশে দক্ষিণ-পশ্চিম বায়ু ঢুকে পড়েছে গতকালই। বাংলায় এবার পাঁচ দিন দেরিতে বর্ষার আগমন ঘটল। তবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) কবে বর্ষা প্রবেশ করবে, তা এখনও জানায়নি আবহাওয়া দফতর। সোমবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী অক্ষরেখা, মালদার ওপর দিয়ে অবস্থান করছে। মেই তা আরও এগিয়ে আসবে দক্ষিণবঙ্গের দিকে। সিকিম ও বিহারেও ঢুকে পড়েছে মৌসুমী বায়ু। 

    কলকাতার আবহাওয়া

    মঙ্গলবার, সকাল থেকে শহরের আকাশে ফের রোদের তেজ। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও ছিল। তবে আগের থেকে তা অনেকটাই কম। সোমবার কলকাতাতে বৃষ্টি হয়েছে ১৪.৬ মিলিমিটার। বিকেল হতেই ঘনিয়ে এসেছে মেঘ। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া আর ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে ভিজেছে শহরতলির বিভিন্ন অংশ। তবে মঙ্গলবার সকাল হতেই ফের ঘামে নাকানিচোবানি অবস্থা শহরবাসীর। সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন, কবে আসবে বর্ষা? আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকার কোনও ইঙ্গিতই নেই। কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৪ থেকে ৯৭ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: বাবা হচ্ছেন সুনীল! অধিনায়কের জয়সূচক গোলে ফাইনালে ভারত

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি শুরু 

    উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবার সেই বৃষ্টি আরও বাড়বে উত্তরবঙ্গে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোথাও ভারী বৃষ্টি কোথাও বা অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা (Weather Update) জারি করা হয়েছে। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির কিছু অংশে। অন্যদিকে, আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রেখেছে হাওয়া অফিস। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share