Tag: Kolkata

Kolkata

  • Recruitment Scam: কুন্তলের চিঠি কাণ্ডে প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: কুন্তলের চিঠি কাণ্ডে প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি নিয়ে প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে তলব করল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে পৌঁছন সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করাও শুরু হয়েছে। কুন্তলের চিঠি প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। 

    জেল সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    সূত্রের খবর, সিবিআই সুপারের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারেন। জেলে বসেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) ধৃত এবং বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। চিঠি পাঠানো হয়েছিল নিম্ন আদালতের বিচারকের কাছেও। বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল সাম্প্রতিক সময়ে আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েক বার দাবি করেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের বড় নেতাদের নাম বলানোর জন্য তাঁকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা। প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমেই হেস্টিংস থানায় অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল। বিতর্কিত এই চিঠির বিষয়ে তখন থেকে তদন্তকারীদের নজরদারির আওতায় ছিল জেল সুপারের ভূমিকা।

    আরও পড়ুন: মণিপুরে অশান্তির নেপথ্যে বিদেশিদের হাত! কেন্দ্রীয় তদন্ত চাইছে আদিবাসী সংগঠন

    একাধিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর

    এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আঙুলে আংটি থাকার ইস্যুতে জেল সুপারকে তলব করেছিল বিশেষ সিবিআই আদালত। সেই মতো আদালতে সশরীরে হাজিরাও দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী। এবার সিবিআই দফতরে গেলেন তিনি। নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। চিঠি লেখার আগে কুন্তল কী বলে সুপারের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছিলেন কিংবা সেই চিঠি কার হাত দিয়ে তিনি পাঠিয়েছিলেন, এরকম একাধিক বিষয়ে তদন্তকারীরা সুপারের কাছ থেকে জানতে চাইতে পারেন বলে অনুমান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam : একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    SSC Scam : একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ওএমআর শিট নিয়ে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে (SSC Scam) ওএমআর সংক্রান্ত কারচুপি-তে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ২৮ জুনের মধ্যে পেশ করতে হবে রিপোর্ট, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

    ওএমআর নিয়ে বিশদ তথ্য

    বৃহস্পতিবার সিবিআই-কে ৯০৭ ওএমআর (SSC Scam) কারচুপি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এর আগে নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগেও ওমএমআর শিটে-দুর্নীতির বিষয়টি আদালতের নজরে এনেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। হাতে আসা তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারীদের দাবি, নবম ও দশমের ৯৫২টি, একাদশ ও দ্বাদশের ৯০৭টি ওমএরআর শিটে গরমিল রয়েছে। স্কুল সার্ভিস দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একের পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এর আগে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল নীলাদ্রি দাস নামে এক ব্যক্তিকে। নিলাদ্রি যে সংস্থার আধিকারিক সেই সংস্থা নাইসার হাতেই ছিল এসএসসি পরীক্ষার ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব। গাজিয়াবাদ ও দিল্লির অক্ষরধামে সেই সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ওএমআর বিকৃতির ব্যাপারে একাধিক তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে।

    আরও পড়ুন: বন সহায়ক পদে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন

    এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত (SSC Scam) একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেছিলেন, “দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কাউকে ছাড়া হবে না।” প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ওএমআর-এর ক্ষেত্রেও কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। এবার এই সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, “৯০৭ ওএমআর কারচুপি’র ধরণ কী? এই ওএমআর প্রকাশিত করা যায়নি কেন?” তাঁর আরও সংযোজন, “এই ওএমআর প্রকাশিত করা গেলে কবে যাবে, তা বিস্তারিত জানাতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।” একইসঙ্গে ২৮ জুনের মধ্যে সিবিআইকে ৯০৭ ওএমআর কারচুপির তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Recruitment Scam: ৬ ঘণ্টা পার! এখনও ‘কালীঘাটের কাকু’-কে জেরা করে চলেছে ইডি

    Recruitment Scam: ৬ ঘণ্টা পার! এখনও ‘কালীঘাটের কাকু’-কে জেরা করে চলেছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) আজ, মঙ্গলবার ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে তলব করেছে ইডি (ED)। এদিন সকাল ১১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (যেখানে ইডির দফতর রয়েছে) হাজিরা দেন সুজয়। এই প্রথম বার ইডি দফতরে গেলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে কি ভয় পাচ্ছেন সুজয়? সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আত্মবিশ্বাসী কি না বেরোনোর সময় দেখবেন।’’

    কেন তলব?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডলের মুখে প্রথম উঠে আসে কালীঘাটের কাকুর নাম। কে এই কালীঘাটের কাকু, সেই নিয়ে চর্চা হয় বিস্তর। জানা যায়, তাঁর আসল নাম সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাপস দাবি করেন, কুন্তল ঘোষ ও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যোগসাজশ রয়েছে। এমনকী টাকা লেনদেনের ব্যাপারে সবই জানতেন সুজয়। যদিও কুন্তল দাবি করেছিলেন, তিনি সুজয়কৃষ্ণকে চেনেন না। একাধিবার সুজয়কে জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দিন কয়েক আগেই নিজামে সুজয়কে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই।

    আরও পড়ুন: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি! ফিরহাদ হাকিমের দফতরকে চিঠি ইডি-র

    গত ২০ মে ‘কালীঘাটের কাকু’র বেহালার বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। সকাল ছ’টা নাগাদ কার্যত তাঁর বাড়ি গিয়ে সুজয়কে ঘুম থেকে তুলে তল্লাশি অভিযান ও জেরা শুরু করেন ইডি অফিসাররা। টানা ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে সুজয়ের একটি মোবাইল ও কিছু নথি নিয়ে যান গোয়েন্দারা। মনে করা হচ্ছে, সেইসব সূত্র ধরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজয়কে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে। সুজয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি দেখে অনেকগুলি লেনদেন সন্দেহজনক লেগেছে তদন্তকারীদের। তারপর নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়িয়েছে। সেটা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান অফিসাররা। কুন্তল–তাপসকে কেমন করে চিনতেন সেটা জানতে চাইতেই এই তলব। তাঁদের সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছিল বলে খবর রয়েছে অফিসারদের কাছে। এমনকী এক প্রভাবশালী আমলার সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল বলে তথ্য পেয়েছেন তাঁরা। এইসব নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডি অফিসাররা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি! ফিরহাদ হাকিমের দফতরকে চিঠি ইডি-র

    Recruitment Scam: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি! ফিরহাদ হাকিমের দফতরকে চিঠি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির  (Recruitment Scam) কিনারা করতে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দফতরে চিঠি দিল ইডি। কোন পুরসভায় কত নিয়োগ হয়েছে, তা জানতে চেয়ে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন এবং পুর নগরোন্নয়ন দফতরকে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কী কী তথ্য জানতে চাইল ইডি?

    ইডি সূত্রে খবর, গত ১০ বছরের মেয়াদে কলকাতা পুর নিগম সহ রাজ্য জুড়ে পুরসভা ও কর্পোরেশনগুলিতে কত নিয়োগ করা হয়েছে, সেই নিয়োগের প্রক্রিয়া কী ছিল, কীভাবে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে, কত জনের প্যানেল তৈরি হয়েছিল, এই সব তথ্যই জানতে চাওয়া হয়েছে (seeking information)। ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোন কোন পুরসভায় কত নিয়োগ (Recruitment Scam) হয়েছে, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে চেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুধু পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকেই নয়, এর পাশাপাশি রাজ্যের মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনকেও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। সূত্রের খবর, ২০১৪ সাল থেকে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন মারফত নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা। ২০১৪ সাল থেকে কোন কোন পুরসভায় কত নিয়োগ হয়েছে, কোন এজেন্সি দায়িত্বে ছিল, সেই সব বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে বিজেপির বিকল্প নেই, দেখিয়ে দিল সাগরদিঘি, তোপ সুকান্তর

    কোথায় কোথায় দুর্নীতি!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি মজদুর, সুইপার, ক্লার্ক, পিওন, অ্যাম্বুলেন্স অ্যাটেন্ড্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট মিস্ত্রি, পাম্প অপারেটর, হেল্পার, স্যানিটারি অ্যাসিস্ট্যান্ট, ড্রাইভার-সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে (Recruitment Scam) টাকা-পয়সার লেনদেন হয়েছিল। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলকে। অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছিল ইডি। ওই অফিস থেকে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। ইডি মনে করছে, অয়নের সংস্থা যে সব উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে, সে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে। পুর নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অয়ন ৩৫-৪০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরানগর-সহ বহু পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অয়ন জড়িত ছিলেন বলে দাবি ইডির। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: কলকাতার শেরিফ করা হোক সৌরভকে, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: কলকাতার শেরিফ করা হোক সৌরভকে, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে সম্মান দিয়েছে ত্রিপুরার (Tripura) বিজেপি (BJP) সরকার। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা হয়েছে তাঁকে। বাংলার ছেলে হলেও, এ রাজ্যে পানি পাননি তিনি। তিনি প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার তাঁকেই কলকাতার শেরিফ করার দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) দাবি

    তিনি বলেন, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একজন আইকন। তাঁকে নিয়ে বাংলা এবং বাঙালি পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচিত ছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে আগেই ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার সৌরভকে এ ব্যাপারে মর্যাদা দেয়নি। ত্রিপুরায়ও প্রচুর বাঙালি রয়েছেন। ত্রিপুরার পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সৌরভ হওয়ায় আমরা খুশি। আমরা ত্রিপুরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো একজন ব্যক্তিত্বকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য।” বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “রাজ্য সরকারের কাছে আমি দাবি করছি যে কলকাতায় এই মুহূর্তে কোনও শেরিফ নেই। সৌরভকে অবিলম্বে শেরিফ করা হোক।”

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ

    বিজেপি যে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রয়েছে, এদিন তা আরও একবার মনে করিয়ে দেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধু। সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন সরকারি কর্মীদের ৪২ শতাংশ পর্যন্ত ডিএ দিচ্ছেন। তাই দিদি যখন তামিলনাড়ুর দেখাদেখি দ্য কেরালা স্টোরি বাতিল করেছিলেন, তাহলে এবার তামিলনাড়ুর দেখাদেখি এখানে ডিএটাও নিশ্চয়ই দেবেন।” তিনি আরও বলেন, “দিদি, আপনি তো কথায় কথায় এগিয়ে বাংলা বলেন। এবার তো এগিয়ে তামিলনাড়ু হয়ে গেল, বাংলা কোথায় গেল? বাঙালি কোথায় এগোল?”

    আরও পড়ুুন: কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের কাছে ‘হিন্দু বিরোধী’ তিন দাবি অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়ার!

    প্রসঙ্গত, কলকাতার শেরিফ পদটি অরাজনৈতিক। শহরের কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তিকেই এই পদে বসানো হয়। নিয়োগ হয় এক বছরের জন্য। শেরিফের একটি অফিস থাকে, থাকেন কর্মীও, তবে নির্বাহী কোনও ক্ষমতা শেরিফের থাকে না। মেয়রের ঠিক পরের পদটিই হল শেরিফের। ভারতের একমাত্র মুম্বই ও কলকাতায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই পদটি। কলকাতার প্রথম শেরিফ ছিলেন দিগম্বর মিত্র। ১৮৭৪ সালে কলকাতার শেরিফ হয়েছিলেন তিনি। ২০০১ সালে শেরিফ হয়েছিলেন বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুচিত্রা মিত্র। ২০১৩ সালে তৃণমূল সরকার ওই পদে বসান অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিককে। ২০১৯ সালে বসানো হয়েছিল মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: নিজের ঘরেই ব্রাত্য! হতাশ দ্য কেরালা স্টোরির পরিচালক সুদীপ্ত সেন

    The Kerala Story: নিজের ঘরেই ব্রাত্য! হতাশ দ্য কেরালা স্টোরির পরিচালক সুদীপ্ত সেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই শহরে এসেছেন দ্য কেরালা স্টোরির পরিচালক সুদীপ্ত সেন। এসেছেন অভিনেত্রী আদা শর্মা। আসেনি শুধু ছবিটি।  শীর্ষ আদালতের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে দ্য কেরালা স্টোরি (The Kerala Story) সিনেমা (Cinema) প্রদর্শনে বাধা নেই। তবে এখনও সিনেমা দেখানো হচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গের (Westbengal) হলে। এই ঘটনায় হতাশ বাংলার ছেলে ছবির পরিচালক সুদীপ্ত। তাঁর কথায়, “নিজের ঘরেই আমি ব্রাত্য।” 

    হতাশ সুদীপ্ত 

    কলকাতায় এসে শুক্রবার একরাশ হতাশা প্রকাশ করলেন সুদীপ্ত। এদিন তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার মানছে না পশ্চিমবঙ্গ। এই সমস্যার সমাধান না হলে আমাদের আবার কোর্টে যেতে হবে। নিরাপত্তা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কিন্তু দেওয়া হচ্ছে না। সিনেমার স্ক্রিনিং (Screening) করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা খুব হতাশার বিষয়। যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে আবার আদালতের দ্বারস্থ হব। সেন্সর বোর্ড পাশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, একবার সিনেমাটা দেখুন। সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে সিনেমা থেকে একটা লাইনও কাটার কথা বলা হয়নি। ডিস্ট্রিবিউটররা ফোন করে বলছে আমরা সিনেমা চালাতে চাই। কিন্তু আমাদের চালাতে দেওয়া হচ্ছে না।” 

    আরও পড়ুন: বক্স অফিসে বাজিমাত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র! প্রথম দিনে আয় কত?

    বাঙালি হিসেবে আক্ষেপ

    সুদীপ্ত আরও বলেন,  ‘ভারতবর্ষে দেড় থেকে দু’ কোটি লোক দেখেছে ছবিটা। সারা পৃথিবীতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে ছবিটা নিয়ে। আমরা রাজনীতিবিদ নই, আমরা সিনেমা তৈরি করি। আমরা অনেক আশা নিয়ে এসেছিলাম, যে আজ বিভিন্ন হল-এ মানুষের কাছে পৌঁছে যাব। কিন্তু, এখানে এসে জানতে পারলাম আজও চালোনো হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও কীভাবে এমনটা হয় জানা নেই।’ সাত থেকে আট বছর রিসার্চ করে তবে ছবিটা তৈরি করেছেন বলেও জানিয়েছেন পরিচালক। এমনকী মাস দু’য়েক ছবিটা সেন্সর বোর্ডেও পড়েছিল। যারা ছবিটা দেখেছে তারা কখনও কোনও অভিযোগ করেনি। বরং, ছবি যারা দেখেনি তারাই অভিযোগ করছে বললেন পরিচালক। এমনকী তিনি এমনও বলেছেন, ‘একজন বাঙালি হিসেবে এই ছবি নিয়ে গর্ববোধ করার কথা। কারণ, এই ছবির পরিচালক থেকে মিউজিক ডিরেক্টর সকলেই বাঙালি। তাই ভেবেছিলাম পশ্চিমবঙ্গে এসে সেলিব্রেট করব সবচেয়ে বেশি।’কিন্তু এখানে বাস্তব ছবিটাই ভিন্ন আক্ষেপ দ্য কেরালা স্টোরির (The Kerala Story) পরিচালক সুদীপ্ত সেনের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: বাংলায় নিষিদ্ধ! বিশ্ব মাতাচ্ছে বাঙালির তৈরি ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’

    The Kerala Story: বাংলায় নিষিদ্ধ! বিশ্ব মাতাচ্ছে বাঙালির তৈরি ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় নিষিদ্ধ হলেও বিশ্ব মাতাচ্ছে বাঙালির তৈরি ছবি। বিতর্কের মাঝে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story)। ৬ দিনে বক্স অফিসের সংগ্রহে ৮০ কোটি টাকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাতেও ২০০টির বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। 

    তিন মেয়ের গল্প

    বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই ছবিটিকে করমুক্ত ঘোষণা করেছে। তবে সমস্যা তৈরি হয়েছে তামিলনাড়ু এবং বাংলায়। তামিলনাড়ুর প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সুদীপ্ত সেনের ছবি, আর বাংলায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কে (The Kerala Story) নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত ৫ মে তিন মেয়ের গল্প নিয়ে তৈরি ছবিটি মুক্তি পায়। কেরল থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর এই তিন মেয়ের ধর্মান্তর করা হয়। পরে তারা আইসিস-এ যোগ দেয়।

    ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ হল এক মিশন

    ছবি প্রসঙ্গে পরিচালক সুদীপ্ত সেন জানান, ছবিটি একটি লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, যা শৈল্পিক উদ্দেশ্যের ঊর্ধ্বে। সাংবাদিক বৈঠকে সুদীপ্ত বলেন, “কেরল রাজ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যমান সমস্যাটিকে দেশ অস্বীকার করছিল। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) হল এক মিশন, যা সিনেমার সৃজনশীল সীমানার বাইরে, একটি আন্দোলন, যা সারা বিশ্বের জনসাধারণের কাছে পৌঁছনো উচিত এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত।” প্রযোজক বিপুল শাহের দাবি, এই সত্য লুকিয়ে রাখা হয়েছিল দিনের পর দিন, কিন্তু প্রকাশ্যে আনা জরুরি ছিল, তাই এই ছবিটি হওয়ার প্রয়োজন ছিল। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিতে শালিনী উন্নিকৃষ্ণনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অদা শর্মা। ট্যুইট বার্তায় আদা জানান, ‘‘আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ, যাঁরা এই ছবি দেখছেন, যাঁরা এই ছবি নিয়ে কথা বলছেন, যাঁরা এটাকে ট্রেন্ডিং করেছেন এবং যাঁরা আমার কাজের প্রশংসা করেছেন।”

    আরও পড়ুন: প্রথা ভেঙে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে শাহরুখ খানের ‘পাঠান’! প্রথম ২ দিনের টিকিট প্রায় শেষ

    সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠকে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-কে (The Kerala Story) নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের একাধিক শহরে সিনেমাহলগুলিতে এ নিয়ে বিক্ষোভ চলছে। ইতিমধ্যেই ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-কে নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। পাশাপাশি এনিয়ে বিরোধীতা করেছেন শাবানা আজমি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: চণ্ডীপুর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি! কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: চণ্ডীপুর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি! কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আদালত সূত্রে খবর, শুভেন্দুর আবেদনের ভিত্তিতে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আদালতে বিরোধী দলনেতার আইনজীবীর বক্তব্য, যে রাস্তা দিয়ে তাঁর মক্কেলের কনভয় যাচ্ছে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে না রাজ্য সরকার। শুভেন্দুর আবেদনের ভিত্তিতে আগামী বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে উচ্চ আদালতে।

    পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব

    গত বৃহস্পতিবার চণ্ডীপুর পেট্রল পাম্পের কাছে রাস্তা পারাপার করছিলেন শেখ ইসরাফিল নামে এক যুবক। সেখানেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয় যাওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। প্রতিবাদে দিঘাগামী ১১৬বি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসীরা। এরপর অবশ্য ওই কনভয়ের ড্রাইভার আনন্দকুমার পাণ্ডে আত্মসমর্পণ করেন চণ্ডীপুর থানায়। গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। দুর্ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের চার জনকে নোটিস পাঠায়। কনভয়ের যে গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ, তমলুক থানায় রাখা সেই গাড়িটিও পরীক্ষা করে দেখেন রাজ্য ফরেন্সিক দলের সদস্যেরা। গাড়িটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশ, চাকা এবং বিভিন্ন যন্ত্রাংশের পরীক্ষা করেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতার দাবি, যে পথ দিয়ে তাঁর কনভয় যাচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে না। ফলে বিপদ বাড়ছে। সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন: পটাশপুরে শুভেন্দুর সভা বাতিল প্রশাসনের! রবিবার ফের জনসভার ডাক বিরোধী দলনেতার

    বুলেটপ্রুফ গাড়ি

    বিরোধী দলনেতার দফতর সূত্রে দাবি, যে গাড়িটির বিরুদ্ধে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠেছে, সেটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি। সেই কারণেই সাধারণ গাড়ির তুলনায় সেটি বেশি ভারী। এ ছাড়াও ওই গাড়িটি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কনভয়ের থেকে অন্তত দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলে। গাড়িটি তুলনামূলক ভারী বলেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার ওই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় যাবতীয় নথি সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Today IPL Match: ক্রিকেটের নন্দনকাননে মুখ থুবড়ে পড়ল কেকেআর, জয়ী গুজরাট টাইটান্স

    Today IPL Match: ক্রিকেটের নন্দনকাননে মুখ থুবড়ে পড়ল কেকেআর, জয়ী গুজরাট টাইটান্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডেনে ফের হারল কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR)। চলতি আইপিএলের (Today IPL Match) ফিরতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কেকেআর এবং গুজরাট টাইটান্স (Gujarat Titans)। এই গুজরাট টাইটান্সের কাছেই কার্যত ধরাশায়ী হল কেকেআর। আমেদাবাদে হারের মুখে দাঁড়িয়েও দলকে জয় উপহার দিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। তবে শনিবাসরীয় বিকেলে ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেনে তেমন কোনও পারফর্মেন্স দেখা গেল না কেকেআরের কারও কাছেই। নাইটদের সাদামাটা পারফর্মেন্সের জেরে হার্দিক পাণ্ডিয়াদের জয় হয়েছে আক্ষরিক অর্থেই কেক ওয়াক। কেকেআরকে গুণে গুণে ৭ উইকেটে হারিয়েছে গুজরাট টাইটান্স।

    আইপিএলে (Today IPL Match) ধরাশায়ী…

    ঘরের মাঠে বড় রান করতে (Today IPL Match) পারেননি ঋদ্ধিমান সাহা। এদিন তাঁকে বেশ অগোছালই দেখাল। ১০ বলে ১০ রান করে আউট হলেন আন্দ্রে রাসেলের বলে। শুভমন গিলের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের ইনিংস টানলেন হার্দিক। তবে অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিলেন শুভমন। হাতছাড়া হল অর্ধশত রান। বড় রান পাননি হার্দিকও। ২০ বলে ২৬ রান করেছেন গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক। পর পর ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় গুজরাটের ইনিংস। তবে ডেভিড মিলার এবং বিজয় শঙ্করের জুটির হাতযশেই জয়ী হল গুজরাট। ১৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় গুজরাট। ১৮ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকলেন মিলার। ২৪ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন বিজয়। ২৫ রান দিয়ে ১ উইকেট হর্ষিত রানার। ২৪ বলে ১ উইকেট নিলেন নারাইন। রাসেল নিয়েছেন ১ উইকেট। বল করার সুযোগ পাননি শার্দূল ঠাকুর।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    মেঘলা আবহাওয়া দেখে প্রথমে বল (Today IPL Match) করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট টাইটান্স। নতুন বলে নাইটদের ভয় ধরিয়ে দেন মহম্মদ শামি। বাংলার এই বোলার কেকেআরের এক ওপেনার নারায়ণ জগদীশন এবং তিন নম্বরে নামা শার্দূলকে দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে দেন তিনি। গুজরাটের সফলতম বোলার শামিই। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন লিটল ও নুর। ৪ ওভার বল করে ৫৪ রান দিলেন আফগান অধিনায়ক রশিদ। এদিন কোনও উইকেটও পাননি তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: শেষমেশ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন ‘নিঃস্ব’ মুকুল

    Mukul Roy: শেষমেশ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন ‘নিঃস্ব’ মুকুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ১১ দিন দিল্লিতে ছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy)। শেষমেশ রাজধানী থেকে ফিরলেন শূন্য হাতেই। সূত্রের খবর, বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মুকুল দেখা করার চেষ্টা করলেও, তাঁর সঙ্গে কেউই দেখা করেননি। যদিও কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে মুকুল দাবি করেন, সবার সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। প্রয়োজন পড়লে ফের দিল্লি (Delhi) যাবেন বলেও জানান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। তবে তাঁর এবারের দিল্লি সফরে কার কার সঙ্গে দেখা হয়েছে জানতে চাইলে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি মুকুল।

    মুকুল রায়ের (Mukul Roy) ঘরওয়াপসি…

    তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে মত বিরোধের জেরে বছর কয়েক আগে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তরে পদ্ম চিহ্নে প্রার্থী হন তিনি। বিজেপির প্রার্থী হওয়ায় বিপুল ভোটে জয়ীও হন মুকুল। বিধানসভা নির্বাচনের পরে পরেই পদ্ম শিবির ছেড়ে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তৃণমূল ভবনে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘরওয়াপসি হয় মুকুলের। পুরস্কার স্বরূপ জুটে যায় পিএসির চেয়ারম্যানের পদ। প্রথা অনুযায়ী যে পদ পাওয়ার কথা বিরোধীদের। এর পরেই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানায় বিজেপি।

    গত ১৭ এপ্রিল আচমকাই দিল্লি উড়ে যান মুকুল (Mukul Roy)। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন শুভ্রাংশু। তাঁর দাবি, মুকুলকে ভুল বুঝিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর মানসিক অবস্থা যে ভাল নয়, সেই ইঙ্গিতও দেন মুকুল-পুত্র। দিল্লিতে গিয়ে মুকুল দাবি করেন, কেউ তাঁকে জোর করে দিল্লিতে আনেননি। তিনি স্বেচ্ছায় এসেছেন। তাঁর দাবি, তিনি বিজেপিতেই ছিলেন, তৃণমূলে ছিলেন না। দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতেই যে তিনি দিল্লি এসেছেন, জানান তাও।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    এদিন বিমানবন্দরে নেমে মুকুল (Mukul Roy) ফের বলেন, আমি তো বিজেপিতেই আছি। নিজের ইচ্ছেতেই দিল্লি গিয়েছিলাম। আমার কিছু কাজ ছিল। সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে ঠিক কার কার সঙ্গে মুকুলের কথা হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। এদিন আবারও মুকুল বলেন, আমাকে কেউ জোর করে দিল্লিতে নিয়ে যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share