Tag: Kolkata

Kolkata

  • Weather Update: বৈশাখের কাছে কালবৈশাখীর আশা! অসহ্য গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী

    Weather Update: বৈশাখের কাছে কালবৈশাখীর আশা! অসহ্য গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাপটে ব্যাট শুরু করল বৈশাখ। চৈত্র যেখানে শেষ করেছে সেখান থেকেই শুরু। নববর্ষের সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় নিরিখে কলকাতা গত পাঁচ বছরের রেকর্ড ভাঙার পথে। আগামী বুধবার অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে এই ধরনের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 

    রেকর্ড গরম

    দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী পাঁচদিনের জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই-ছুঁই। শনিবার কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি থাকতে পারে। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকালে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি। 

    আরও পড়ুন: ‘নব রবিকিরণে’ বৈশাখ-বরণ বাঙালির! কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন

    বাইরে নয়

    দুপুরের সময় অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বার না হওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, বাইরে বার হলে সুতির হালকা রংয়ের পোশাক পরা বাঞ্ছনীয়, জল খেতে হবে বেশি করে। শিশু বা প্রবীণদের দুপুরে রোদের সময় বাইরে বার না হওয়াই ভালো। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, রাজ্যে উত্তর পশ্চিম দিক থেকে গরম হাওয়া প্রবেশ করছে। একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প অনেক কম পরিমাণে প্রবেশ করছে। ফলে অস্বস্তি বাড়ছে। রাজ্যে কবে বৃষ্টি হবে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যবাসী।  হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আপাতত রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। কবে কালবৈশাখী নামতে পারে, সেই বিষয়েও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। বাংলার গরমের স্বাভাবিক চরিত্র অনুযায়ী কিছু দিন পর পর কালবৈশাখী আসার কথা। অর্থাত্‍, কিছু দিন ধরে তাপমাত্রা বাড়লে, সাময়িক স্বস্তি দিতে কালবৈশাখী হাজির হয়ে যায়। যার সাক্ষী সদ্য পেরিয়ে আসা মার্চই। কিন্তু চৈত্রের শেষ থেকে তা উধাও। এখন বৈশাখের কাছে কালবৈশাখীর আশা বঙ্গবাসীর।

  • Weather: শুকনো গরমে নাজেহাল! ৪০ ডিগ্রি ছুঁল কলকাতা, পুড়ছে জেলাও, কী বলছেন আবহবিদরা?

    Weather: শুকনো গরমে নাজেহাল! ৪০ ডিগ্রি ছুঁল কলকাতা, পুড়ছে জেলাও, কী বলছেন আবহবিদরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ১৪২৯ বঙ্গাব্দের শেষ দিন। চৈত্র সংক্রান্তির দিনে জ্বলছে কলকাতা-সহ গোটা বাংলা (Kolkata Weather)। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতায় (Kolkata Weather) তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি পৌঁছে যেতে পারে, বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবারই কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রিতে ঠেকেছে। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করবে।

    কোথায়, কেমন তাপমাত্রা

    পশ্চিমবঙ্গের ১৫ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আজ উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার কয়েকটি অংশে তাপপ্রবাহ হবে। ওই জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গের আটটি জেলায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা অস্বস্তিকর গরম থাকবে। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদার কয়েকটি অংশে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। 

    বদলেছে গরমের ধরন

    এবার গরমটা যেন অন্য রকমের। শুকিয়ে যাচ্ছে ঠোঁট-হাত-পা। নাক জ্বালা করছে গরম হাওয়ায়। আবার অনেকেই বলছেন নাক দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। বাইরের গরম হাওয়ায় শরীর জ্বালা করছে। গরম হলেও ঘামের রেশ পর্যন্ত নেই। এমন গরম আগে দেখেননি শহরবাসী। কলকাতার (Kolkata Weather) গরম সাধারণ ঘর্মাক্ত হয়। ঘাম বেশি হয়। তার জন্য অস্বস্তি বেশি থাকে। এই প্রথম এমন গরম দেখছেন শহরবাসী। এরকম গরম বিহার-উত্তর প্রদেশে দেখা যায়। বাংলায় পুরুলিয়া, বাঁকুড়াতেও এই ধরনের শুকনো গরম থাকে। তবে কলকাতায় এই প্রথম। আবহাওয়াবিদদের কথায়, কলকাতায় গরমের এই ধরন পরিবর্তনের নেপথ্যে রয়েছে এলনিনো প্রভাব। তার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন। কলকাতার উপর দিয়ে যে উচ্চচাপ বলয় অবস্থান করছে তার জেরে বাতাসের জলীয় বাষ্প শুকিয়ে যাচ্ছে। সেকারণে নদীর পাড়ে হলেও কলকাতার বাতাসে আর্দ্রতা কমে গিয়েছে। তাই আর শরীরে ঘাম দেখা যাচ্ছে না।

    আরও পড়ুুন: ‘বিরোধিতা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করুন’, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা নিশীথের

    নয়া রেকর্ড

    কলকাতার তাপমাত্রা (Kolkata Weather) তৈরি করল নতুন রেকর্ড। এক নয়, একাধিক। সাত বছর পর এপ্রিলে চল্লিশ ছুঁল কলকাতার পারদ। শেষ বার ২০১৬ সালের ১ মে ৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গরম সইতে হয়েছিল কলকাতাকে। এবছর শুকনো গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গোটা বাংলা। আপাতত ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। তবে তার স্থায়িত্ব আরও বাড়তে পারে। ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত কলকাতার তাপমাত্রা ৪০-৪১ ডিগ্রির মধ্যেই ঘোরাফেরা করার আশঙ্কা রয়েছে। বৃহস্পতিবার দহন-জ্বালায় দিল্লিকেও (৩৮.৬ ডিগ্রি) পিছনে ফেলেছে কলকাতা। রাজস্থানের জয়সালমেরের সঙ্গেও আলিপুরের মধ্যে সমানে টক্কর। একবিন্দুতে দাঁড়িয়ে দু’জায়গার তাপমাত্রা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19: শহরে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু! ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

    Covid-19: শহরে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু! ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে প্রখর দাবদাহ, অন্যদিকে করোনা (Covid-19)—সাঁড়াশি আক্রমণে নববর্ষের প্রাক্কালে সাধারণ মানুষের নাভিঃশ্বাস ওঠার উপক্রম। কোভিড সংক্রামিতের সংখ্যা বাড়ছে দেশে। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। নতুন বছরের গোড়ার দিকে করোনা নিয়ে তেমন ভ্রুক্ষেপ ছিল না কারও। কারণ, এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর খবর সামনে আসেনি। তবে আবার উদ্বেগ বাড়ল এক করোনা রোগীর মৃত্যু ঘিরে। 

    কলকাতায় মৃত্যু

    কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা ভাস্কর দাস (৭৬) করোনায় (Covid-19) সংক্রামিত হয়েছিলেন। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল বাঘাযতীনের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সোমবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। ওই দিনই বৃদ্ধর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আজ সকালে তিনি মারা যান। পরিবারের লোকজনের দাবি, তিনি উত্তরবঙ্গ বেড়াতে গিয়েছিলেন। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। তার মধ্যে কলকাতায় ১৭ জন। দিন কয়েক আগেও দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ষাটের ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। সেদিক থেকে এটাই ইতিবাচক যে, সংক্রামিতের সংখ্যা কমছে। তবে এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৭০। তার মধ্যে কেউ বাড়িতে থেকে কেউ বা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনকও।

    আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ সাত জেলায় জারি তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা! বৃষ্টি নিয়ে কী পূর্বাভাস?

    বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ

    গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৩০ জন। বুধবার দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। গত সাত মাসে এটাই সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ মানুষ অনেকটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠায় করোনা নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে। ভিড় এলাকায় অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। ফলে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত। শুধু তাই নয়, আম জনতার করোনার টিকা নেওয়ার প্রতি অনীহা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনার (Covid-19) বাড় বাড়ন্তের পিছনে সেটাও একটা বড় কারণ। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, করোনা সবচেয়ে বিপজ্জনক বয়স্ক ও শিশুদের পক্ষে। তাই যাঁরা গুরুতর রোগে আক্রান্ত, তাঁদের অবিলম্বে তৃতীয় বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বিভিন্ন মহলে করোনা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে ঠিকই, তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, রাজ্যে করোনার যে ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে, তা হল ওমিক্রন XBB.1.16। যা মানুষের শরীরে দীর্ঘদিন বাসা বেঁধে থাকতে পারছে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চললে দিন পনেরোর মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heatwave: চালিয়ে খেলছে চৈত্র! জানেন হাঁসফাঁস গরমে সুস্থ থাকতে কী কী করবেন?

    Heatwave: চালিয়ে খেলছে চৈত্র! জানেন হাঁসফাঁস গরমে সুস্থ থাকতে কী কী করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখ এখনও ব্যাট করতে নামেনি। চালিয়ে খেলছে চৈত্র। গরমে হাঁসফাঁস করছে শহরবাসী। একই ছবি চোখে পড়ছে সর্বত্র। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে সূর্যমামা। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে বেরোতে মন চাইছে না। তাই বলে ঘরে বসে থাকা যায়! অফিস রয়েছে, রয়েছে অন্য কাজকর্ম। রান্না-বান্না থেকে ছেলে-মেয়েদের স্কুল থেকে আনার দায়িত্ব। মন না চাইলেও চড়া রোদ মাথায় নিয়েই ছুটতে হচ্ছে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। গরমের জেরে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। শরীরে ঘাম জমে বাড়ছে নানা রোগ। তার সঙ্গে তো রয়েছে নিত্যদিনের ফ্লু ও জ্বরজালা। এই পরিবেশে নিজেকে সুস্থ রাখতে মেনে চলুন বেশ কিছু টোটকা।

    গরমে সতেজ থাকতে কী করবেন?

    ১) অবশ্যই ব্যাগে রাখুন জলের বোতল। প্রয়োজনে গ্লুকোজ কিংবা লেবুর জলও ঘন ঘন খাওয়া যেতে পারে। তবে ভুলেও রাস্তার ধারে ঠেলা ওয়ালাদের থেকে কোনওভাবেই রঙিন পানীয় চুমুক দেওয়া উচিত হবে না। তাতে হীতে বিপরীত হতে পারে।

    ২) পকেটে বা ব্যাগে রাখুন রুমাল। প্রয়োজনে দু’টো রুমাল ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ, অতিরিক্ত ঘাম নির্গমনের ফলে রুমাল ভিজে যায়। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় রুমাল কাজে দেবে।

    ৩) সানগ্লাস ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে প্রখর তাপ থেকে যেমন স্বস্তি মিলবে, তেমনি চোখের পক্ষেও আরামদায়ক।

    ৪) ছেলেরা অবশ্যই টুপি ব্যবহার করুন। না হলে অবশ্যই ছাতা। আর মেয়েরা স্কার্ফ পরতে পারেন। এখন হাতের স্ক্রিন গার্ডও বাজারে উপলব্ধ। এতে ত্বক ও শরীর দুই বাঁচবে।

    ৫) গরমে মুখ চ্যাটচ্যাটে হয়ে যায়। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক সেনসেটিভ, তাঁরা ভেজা রুমাল বা ওয়েট টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন।

    ৬) শরীরে ঘাম জমলে অনেক সময় দুর্গন্ধ ছাড়ে। সেক্ষেত্রে অফিসে বা স্কুল কলেজে কিংবা অনুষ্ঠান বাড়িতে সমস্যায় পড়তে হয়। এটা থেকে বাঁচার সেরা উপায় বডি স্প্রে ব্যবহার করা। তবে সেটা যাতে অতিরিক্ত না হয়, তাও খেয়াল রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন: বৃষ্টির দেখা নেই, তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই! কাঠফাটা গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী

    গরমে কী খাবেন ?

    ১) তেল মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের অবশ্যই বিশেষ যত্ন নিতে হবে। দু’টি করে টিফিন দিন। একটিতে খাবার থাকুক। অন্যটিতে স্যালাড বা ফল।

    ২) ছাতুর সরবত লু রুখতে অত্যন্ত কার্যকরী। ডাবের জল, নারকেলের জল, বাটারমিল্ক, লেবুর সরবত খেলে তাপপ্রবাহ দূরে রাখা যাবে।

    ৩) শসা, তরমুজ, টম্যাটো, জামরুলের মতো ফল বেশি করে খেতে হবে। এতে শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকবে, ডিহাইড্রেশন এড়ানো যাবে।

    ৪) জিরে ভেজানো জল রাখতে পারেন ডায়েটে। পেট ঠান্ডা থাকবে। হলুদ ভেজানো জলও পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। সঙ্গে থাকুক দই ও দইজাতীয় খাবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Supreme Court: শিক্ষকদের চাকরি বাতিলে হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: শিক্ষকদের চাকরি বাতিলে হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট তিন দফায় মোট ২৬৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হয়েছিল মামলা। ২৩ ডিসেম্বর ও ৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে যাঁরা মামলা করেছিলেন, মূলত তাঁদের আবেদনের উপরই সুপ্রিম কোর্ট এই চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট তার মধ্যে ১৯৬ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরীর বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ

    মূলত ২০১৪ সালে টেট পাশ করে ২০১৭ সালে চাকরি পেয়েছিলেন ২৬৯ জন। ২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বর ৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়, ৪ জানুয়ারি ১৪৩ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁরাই যান সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ১২ এপ্রিল শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অন্যান্য মামলার সঙ্গে এই মামলার শুনানি হবে।

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চের

    অন্যদিকে, মঙ্গলবার প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, মঙ্গলবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছে। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পর্ষদ জানিয়েছিল, টেট উত্তীর্ণ যে সব প্রার্থী ২০২০-২২ সালে ডিএলএড প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন সৌমেন পাল-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। 

    আরও পড়ুন: এই প্রথম! টেট দুর্নীতিতে ইডির দফতরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী

    মামলাকারীদের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ২০১৬ সালের নিয়ম অনুযায়ী ডিএলএড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন যাঁরা, তাঁরাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ২০২০-২২ সালের প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে তাঁরা কী ভাবে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন? বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করে পর্ষদের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। আজ, মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চে তা খারিজ করে দেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: শহিদ মিনারে যুবরাজের সভার জন্য টেন্ডার ডেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল সরকার! এ কোন রাজত্ব?

    Abhishek Banerjee: শহিদ মিনারে যুবরাজের সভার জন্য টেন্ডার ডেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল সরকার! এ কোন রাজত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ঘাসফুলের ব্যাটন এখন তাঁর হাতে। তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও (Abhishek Banerjee), পাশাপাশি যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতিও তিনিই। দলে বর্ষীয়ান সাংসদরা থাকলেও যুবরাজ থাকলে কারও নাকি কথা বলারই সাহস থাকে না, এমনটাই জনশ্রুতি। অভিষেক (Abhishek Banerjee) কোনও জেলা সফরে গেলে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের থরহরিকম্প অবস্থা হয়। সভায় যাওয়ার রাস্তা খারাপ থাকলে প্রশাসন সঙ্গে সঙ্গে সেই রাস্তা মেরামত করে দেয়। 

    ২৯ মার্চ কী  ছিল শহিদ মিনারে?

    এবার ২৯ মার্চ কলকাতার শহিদ মিনারে যুব তৃণমূলের সভার আয়োজন ছিল। রাজ্যের সমস্ত জেলার ছাত্র, যুব এবং মাদারের কর্মীরা সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন। আর সভার প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূলের এই যুবরাজ (Abhishek Banerjee)। ফল যা হওয়ার, তাই-ই হয়েছে। পার্টির প্রোগ্রাম, ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সরকার। তাঁর সভার ব্যারিকেড, এমনকী অস্থায়ী প্যান্ডেল তৈরির জন্য টেন্ডার ডেকে দেয় খোদ পূর্ত দফতর। পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে যেভাবে টেন্ডার ডেকে যুবরাজের (Abhishek Banerjee) সভার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, সেই বিষয়টি সামনে আসতেই রাজ্য জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় সভার আয়োজন প্রশাসন কী করে করতে পারে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিও প্রশাসনের সাফাই, নিরাপত্তার স্বার্থেই যা করার করা হয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের মিটিংয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেখা যাক, টেন্ডারে কী রয়েছে?

    অনুষ্ঠানের আগেই শহিদ মিনার ও রেড রোড চত্বরে অস্থায়ী প্যান্ডেল, ব্যারিকেড, বাফার ব্যারিকেড এবং একটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। ২৫ মার্চ এই টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। নোটিশে শুধু ২৯ মার্চ শহিদ মিনারে অস্থায়ী প্যান্ডেলসহ পরিকাঠামো তৈরির কথা বলা হয়। কোনও দলের উল্লেখ নেই। তবে, ওইদিন যুবরাজের সভা ছাড়া শহিদ মিনারে আর কোনও কর্মসূচি ছিল না। ফলে, নোটিশে উল্লেখ না থাকলেও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভার জন্যই যে এই আয়োজন করা হয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। এই ধরনের সভার জন্য দলীয় ফান্ড থেকেই খরচ করে প্যান্ডেল তৈরি করার কথা। তাহলে সরকারি টাকা খরচ করে দলীয় সভার আয়োজন করা হল কেন? উত্তর নেই। স্বাভাবিকভাবেই দলীয় সভার জন্য টেন্ডার ডাকায় পূর্ত দফতরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    রাস্তার জন্য মাথা খুঁড়ে মরছেন বাসিন্দারা। আর….!!

    সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই রাজ্যের একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় বেহাল রাস্তার জন্য গ্রামবাসীরা ভোট বয়কটের ডাক দিচ্ছেন। শুক্রবারই মালদহের গাজোলে রাস্তা না হওয়ায় বহু বাসিন্দা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রাজ্য জুড়ে অনুন্নয়নের ছবি সামনে আসছে। সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে দলীয় সভার প্যান্ডেল করা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, দলীয় সভার জন্য পূর্ত দফতর এই ধরনের উদ্যোগ কি নিতে পারে? সরকারি টাকা জনগনের কাজে ব্যবহার হবে। তা না করে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতাকে তুষ্ট করতে আসরে নেমেছে সরকার। এই রাজ্যে এতদিন দলদাস ছিল পুলিশ। এখন প্রশাসনও দলদাসে পরিণত হয়েছে। বাংলার মানুষ এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী আগে কখনও হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: সপ্তাহান্তে বৃষ্টি জারি, সঙ্গী ঝড়ো হাওয়া! সোমবার থেকেই কি ঊর্ধ্বমূখী তাপমাত্রার পারদ?

    Weather Update: সপ্তাহান্তে বৃষ্টি জারি, সঙ্গী ঝড়ো হাওয়া! সোমবার থেকেই কি ঊর্ধ্বমূখী তাপমাত্রার পারদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার মধ্য রাতেই শুরু হয়েছিল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। আজ, শনিবার সপ্তাহের শেষ দিনেও আকাশের মুখ ভার। আলিপুর হাওয়া অফিস (Weather Update) জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে আজ কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি থাকবে। কলকাতা-সহ রাজ্যের ১৪টি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার গতি বাড়ার পাশাপাশি বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণও। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

    রবিবার থেকে পরিষ্কার আকাশ

    ঝড়-বৃষ্টির জেরে এপ্রিলের শুরুতেই সামান্য নামল শহরের তাপমাত্রা। এদিনও প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের একাংশে। আগামীকাল আবহাওয়ায় বিশেষ পরিবর্তন আসবে না বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবার বিকেল থেকে আকাশ পরিষ্কার হবে। ৩ তারিখ থেকে রৌদ্রজ্বল দিন দেখতে পারে শহরবাসী। সেদিন থেকেই ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে তাপমাত্রার পারদ। আগামী সপ্তাহতেই ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছতে পারে তাপমাত্রা। আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিরও বিশেষ সম্ভাবনা নেই, জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। বৃষ্টির পাশাপাশি বইবে দমকা হাওয়াও। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: হাওড়ার শিবপুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা, কী বললেন শুভেন্দু?

    বঙ্গোপসাগর থেকে পশ্চিমাঞ্চলে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরেই এমন আবহাওয়ার ভোলবদল বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা৷ হাওয়া অফিস (Weather Update) সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলাতেই সকাল থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। অন্যদিকে আজ শনিবারও দার্জিলিং এবং কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তৃর্ণ এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ দক্ষিণের তুলনায় উত্তরবঙ্গে হাওয়ার গতিবেগও থাকবে বেশি৷ তাই বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে৷

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Railway: পাঁচটি জ্যোতির্লিঙ্গসহ ৮টি তীর্থক্ষেত্র ভ্রমণের ব্যবস্থা করছে রেল মন্ত্রক! থাকছে ইএমআইয়ের সুবিধা, কবে ছাড়ছে এই ট্রেন?

    Railway: পাঁচটি জ্যোতির্লিঙ্গসহ ৮টি তীর্থক্ষেত্র ভ্রমণের ব্যবস্থা করছে রেল মন্ত্রক! থাকছে ইএমআইয়ের সুবিধা, কবে ছাড়ছে এই ট্রেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সুখবর। এবার গরমের ছুটিতে দেশের পাঁচটি জ্যোতির্লিঙ্গসহ  ৮টি তীর্থক্ষেত্র ভ্রমণের জন্য ‘ভারত গৌরব স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেন’ ছাড়ছে রেল (Railway) মন্ত্রক। এই প্রথম পর্যটকদের সুবিধার জন্য রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইএমআই-এর সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশনে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন আইআরসিটিসির কলকাতা জোনাল অফিসের সিনিয়র সুপারভাইজার কিঙ্কর রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, “ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এই বিশেষ ট্রেন চালু করা হচ্ছে। এর আগেও আমরা এই ধরনের বিশেষ ট্রেন ছেড়ে সাফল্য পেয়েছি। মাথাপিছু ধার্য টাকার বাইরে কোন টাকা লাগবে না। এছাড়া, পর্যটকদের সুবিধার জন্য এই প্রথম ইএমআই-এর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। জিনিসপত্র যেমন ইএমআই এর মাধ্যমে কেনা হয় তেমনই ভ্রমণের জন্য এই পদ্ধতিতে টাকা দিতে পারবেন পর্যটকেরা।”

    কোন কোন তীর্থক্ষেত্র যাবে এই বিশেষ ট্রেন? Railway

    ২০ মে কলকাতা স্টেশন থেকে এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে। জ্যোতির্লিঙ্গসহ স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, শনি মন্দির ঘোরানো হবে পর্যটকদের। এই বিশেষ ট্রেনটি ওমকারেশ্বর, মহাকালেশ্বর, সোমনাথ, নাগেশ্বরসহ ৫টি জ্যোতির্লিঙ্গ যাবে। এছাড়া  শিরডি সাঁই বাবা, শনি শিংনাপুর সহ স্ট্যাচু অফ ইউনিটি ঘুরে দেখানো হবে পর্যটকদের। বিশেষ এই ট্রেনে ১১ রাত ১২ দিন  ভ্রমণের ব্যবস্থা থাকবে। কলকাতা ছাড়া ব্যাণ্ডেল জংশন, বর্ধমান জংশন, বোলপুর-শান্তিনিকেতন, রামপুরহাট জংশন, পাকুড়, সাহেবগঞ্জ, ভাগলপুর, মুজাফফরপুর, পাটলিপুত্র প্রভৃতি স্টেশনে দাঁড়াবে ট্রেনটি। এই স্টেশনগুলি থেকে বুকিংও করা যাবে।

    ভারত গৌরব স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনের ভাড়া কত জানেন? Railway

    পর্যটকদের সুবিধার জন্য তিনটি বিশেষ প্যাকেজ রাখা হয়েছে। বাতানুকূল সহ মোট ৬৫৬ টি আসন রয়েছে এই ট্রেনে। স্লিপার কোচ, থার্ড এসি এবং সেকেন্ড এসি। স্লিপার কোচের ভাড়া মাথাপিছু ২০ হাজার ৬০ টাকা। থার্ড এসির ভাড়া রাখা হয়েছে ৩১ হাজার ৮০০ টাকা এবং সেকেন্ড এসির ভাড়া করা হয়েছে ৪১ হাজার ৬০০ টাকা। রেল পর্যটনের প্রচারের জন্য রেলমন্ত্রক (Railway) এই ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের ৩৩ শতাংশ ছাড়ও দিচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই প্রথম পর্যটনের জন্য ইএমআই সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ৩ থেকে ১৮ মাসের ইএমআই সুবিধায় ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকেরা। যে কেউ ইণ্ডিয়ান রেলওয়ে (Railway) ক্যাটারিং এণ্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট www.irctctourism.com এর মাধ্যমে বুকিং করতে পারবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tiljala Murder Case: তিলজলায় শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশন

    Tiljala Murder Case: তিলজলায় শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিলজলায় (Tiljala murder case) সাত বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশন। সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো ট্যুইট করে একথা জানান। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘‘কলকাতায় সাত বছরের শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কমিশন উদ্বিগ্ন। ওই রাজ্যের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের কাছে আমরা নোটিস পাঠাচ্ছি। আমাদের একটি প্রতিনিধি দল এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানবেন।’’

    কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনের নোটিস

    মঙ্গলবার রাজ্যকে পাঠানো কমিশনের ওই নোটিসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিলজলার (Tiljala murder case) ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। শুধু রিপোর্ট তলবই নয় কলকাতায় টিম পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (NCPCR)। সূত্রের খবর, আগামী ৩১শে মার্চ কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো নিজেই আসছেন কলকাতা। মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। কথা বলবেন রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গেও। তিলজলা ছাড়াও মালদায় স্কুলে শিশু নিগ্রহের ঘটনায় প্রতিনিধিদল পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিপিসিআর।

    অগ্নিগর্ভ এলাকা

    তিলজলায় (Tiljala murder case) শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ওই শিশুটি রবিবার সকালে আবাসনের নীচে আবর্জনা ফেলতে গিয়েছিল। সেই সময় তাকে দোতলার ফ্ল্যাটে টেনে নিয়ে যান প্রতিবেশী যুবক অলোক কুমার। শিশুর হাত, পা, মুখ বেঁধে তার উপর অত্যাচার চালানো হয়। তার পর শিশুটিকে খুন করেন অলোক। রবিবার সন্ধ্যায় ওই ফ্ল্যাট থেকে নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করা হয়। এর পরেই এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। 

    আরও পড়ুন: সন্তান পেতে তান্ত্রিকের নির্দেশে ‘শিশু-বলি’! নাবালিকা হত্যাকাণ্ডের জেরে ধুন্ধুমার তিলজলায়

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শিশুকন্যা খুনে পুলিশ প্রথমে নিষ্ক্রিয় ছিল। তাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তিলজলা (Tiljala murder case), পার্ক সার্কাস, বন্ডেল রোড, পিকনিক গার্ডেন এবং তপসিয়ার একাংশ। সকাল থেকে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। থানায় সে খবরটি জানানোও হয়। তারপরও পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেনি। অনেক পরে তল্লাশি শুরু করে। তিলজলাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সোমবার পার্ক সার্কাসে রেল অবরোধ করা হয়। স্থানীয়েরা বিক্ষোভ দেখান এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপর রাতভর তল্লাশি চালিয়ে এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: শুভেন্দুর অভিযোগকে মান্যতা দিয়েও পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    Panchayat Election: শুভেন্দুর অভিযোগকে মান্যতা দিয়েও পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) দিন ঘোষণা করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আর কোনও বাধা থাকল না৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিবর্গের গণনার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই অভিযোগকে মান্যতা দিয়েও নির্বাচন নিয়ে আপাতত হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার সেই মামলার রায়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপাতত কোনও বাধা নয়। এই পর্যায়ে আদালত নির্বাচনে (Panchayet Election) কোনও বাধা দেবে না। তবে মামলাকারী চাইলে নতুন আবেদন করতে পারেন। নির্বাচনী আইন মেনে কমিশন যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে।

    আদালতের রায়

    রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালে তফসিলি জাতি এবং উপজাতির গণনা করা হলেও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র গণনা হয়নি। পাল্টা কমিশন বলেছিল, তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই গণনা করছেন। শুভেন্দু সেই প্রক্রিয়াকেও চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। মঙ্গলবার শুভেন্দুর সেই জনস্বার্থ মামলাটিই ওঠে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে মূলত দু’টি বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের মামলা করেছিলেন শুভেন্দু। অন্যটি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আর্জি জানিয়ে। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, শুভেন্দু চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়টি নিয়ে আলাদা মামলা করতে পারেন। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    জট আপাতত কাটল

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election) ঘিরে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল,আদালতের এদিনের রায়ের পর সেই জট আপাতত কাটল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এক্ষেত্রে নিয়ম মেনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার ক্ষেত্রে আপাতত কোনও বাধা থাকল না কমিশনের হাতে। রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উভয়ের ক্ষেত্রেই হাইকোর্টের এই রায় কিছুটা স্বস্তির বলেই মনে করা হচ্ছে। এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করার ইঙ্গিত রয়েছে কমিশনের দিক থেকে। আদালতের রায় প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, আদালতের রায়কে অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। তবে আদালত মামলাকারীর আবেদন পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে এমন নয়। আদালত জানিয়েছে, মামলাকারী যদি পুনরায় আবেদন করতে চান, তা তিনি করতে পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share