Tag: Kolkata

Kolkata

  • Sasthipada Chattopadhyay:  প্রয়াত ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

    Sasthipada Chattopadhyay: প্রয়াত ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyay)। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।  বৃহস্পতিবার রাত থেকে পরিস্থিতি আচমকা বিগড়ে যায়, চিকিৎকরা সবরকম চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যে একটা যুগের অবসান হল।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার বাড়িতেই স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। তারপরই অশীতিপর ষষ্ঠীপদকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুপুর ৩টের সময় হাসপাতাল থেকে প্রয়াত সাহিত্যিকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়ার জগাছা এলাকার ধারসায়, তাঁর নিজ বাসভবনে। হাওড়ার শিবপুর বার্নিং ঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এর আগে জানুয়ারি মাসেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyay)। ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছিলেন, কিন্তু ফের ধাক্কা। এবার আর সামলাতে পারলেন না তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়

    ষষ্ঠীপদের সৃষ্টি

    ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’বাঙালির কাছে এক আবেগের ছোঁয়া। ষষ্ঠীপদের (Sasthipada Chattopadhyay) লেখনিতেই বাবলু, বাচ্চু , বিলু, ভোম্বল, বিচ্চু এবং পঞ্চু —এই পঞ্চ পাণ্ডব জটিল রহস্যের সমাধান করেছে বইয়ের পাতায়। প্রতিটা চরিত্রই যেন জীবন্ত। তাঁর এই কাহিনি অবলম্বনে তৈরি হয়েছে একাধিক কমিক স্ট্রিপ, টেলিভিশন ধারাবাহিকও। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৯ মার্চ হাওড়া জেলার খুরুট ষষ্ঠীতলায় জন্মগ্রহণ করেন ষষ্ঠীপদ। কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্যসাধনা শুরু হয় তাঁর। ছোটবেলা থেকে রোমাঞ্চের প্রতি ছিল তাঁর অমোঘ টান। তাঁর গল্প, উপন্যাসে ভ্রমণের ছাপ পাওয়া যায়। ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র পাশাপাশি ‘প্রাইভেট ডিটেকটিভ অম্বর চ্যাটার্জী’, ‘কিশোর গোয়েন্দা তাতার-এর অভিযান’ ইত্যাদি জনপ্রিয় গোয়েন্দা গল্প রচনা করেছেন ষষ্ঠীপদ। ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyay) প্রকাশিত জনপ্রিয় গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে ‘চতুর্থ তদন্ত’, ‘সোনার গণপতি হীরের চোখ’, ‘কাকাহিগড় অভিযান’, ‘সেরা রহস্য পঁচিশ’, ‘সেরা গোয়েন্দা পঁচিশ’, ‘রহস্য রজনীগন্ধার’, ‘দেবদাসী তীর্থ’, ‘কিংবদন্তীর বিক্রমাদিত্য’, ‘পুণ্যতীর্থে ভ্রমণ’, ‘কেদারনাথ’, ‘হিমালয়ের নয় দেবী’। ২০১৭ সালে শিশুসাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয় এই সাহিত্যিককে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Naushad Siddique: নওশাদ সিদ্দিকি মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ রাজ্য

    Naushad Siddique: নওশাদ সিদ্দিকি মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddique) মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ রাজ্য সরকার (West Bengal Govt)। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ। তাঁর নির্দেশেই পুলিশকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) শুনানিতে তাই, নওশাদের বক্তব্যের ভিডিয়ো শুনলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। তারপরই তিনি রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, ‘৬৫ জন মামলাকারি আছেন, ঘটনায় প্রত্যেকের ভূমিকা প্রমাণ করতে পারবেন তো? সবাই গন্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত আছে জানলেন কি করে ? যে বক্তব্যগুলি পেশ হয়েছে, তার যৌক্তিকতা কোথায় দাঁড়িয়ে ?’

    নওশাদ-মামলায় রাজ্যকে প্রশ্ন আদালতের

    বুধবার শুনানি চলাকালীন এজলাসে বসেই ল্যাপটপে সিদ্দিকির (Naushad Siddique) ভাষণের ভিডিও দেখেন তিনি। এরপরই বিচারপতি বসাকের প্রশ্ন, “পুলিশকে মারতে বলছে সেই প্রমাণ কোথায়?” গত ২১ জানুয়ারি ভাঙড়ের অশান্তির জের পৌঁছয় ধর্মতলায়। আইএসএফের কর্মী-সমর্থকেরা পথ অবরোধ শুরু করলে তাঁদের সরাতে যায় পুলিশ। তখনই পুলিশের সঙ্গে নওশাদ (Naushad Siddique) শিবিরের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা ধর্মতলা চত্বর। সেদিনই গ্রেফতার করা হয় নওশাদ-সহ ১৮ আইএসএফ কর্মী-সমর্থককে। আপাতত জেলেই রয়েছেন তিনি জামিনের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইএসএফের বিধায়ক।

    আরও পড়ুন: ‘সব ক্রিয়ারই বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে’, উদয়নকে মনে করালেন সুকান্ত 

    নওশাদের আইনজীবীকেও প্রশ্ন বিচারপতির

    এদিন বিচারপতি দেবাংশু বসাক রাজ্যের কাছে জানতে চান, ‘কোনও ব্যক্তি হয়ত পাশ থেকে হেঁটে যাচ্ছিলেন, সেই সময় গণ্ডগোল শুরু হয়েছে। তিনি হয়ত পাশে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর এই গণ্ডগোলে কী ভূমিকা থাকতে পারে?’একই সঙ্গে নওশাদের (Naushad Siddique) আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, যদি রাজ্য দেখায় যে নওশাদ সিদ্দিকির উস্কানিমূলক বক্তব্যের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে, তাহলে? মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, এই ধরনের কোনও প্রমাণ পুলিশ দেখাতে পারবে না। এই প্রশাসনের ওপর কোনও ভরসা নেই বলে দাবি করে নওশাদের আইনজীবী বলেন, ‘পুলিশকে মারতে বলা হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ নেই। এই ধরনের কোনও আক্রমণের নির্দেশ দেওয়া হয়নি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে অসুস্থ মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিতের মা

    Post Poll Violence: ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে অসুস্থ মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিতের মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে মারা গিয়েছেন ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence), আর আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন তাঁরই মা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয় কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। আর এই মামলায় মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিতে আদালতে গিয়েছিলেন অভিজিতের মা মাধবী সরকার। পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শিয়ালদহ আদালতে এদিন সকালে সাক্ষ্য দিতে পৌঁছান তিনি। কিন্তু রাস্তায় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন নিহত বিজেপি কর্মীর মা। এর পর পুলিশই তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যায়। ফলে আজ আর তাঁর জবানবন্দি নেওয়া হল না।

    কী ঘটেছিল (Post Poll Violence)?

    ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিংসার (Post Poll Violence) অভিযোগ উঠে ছিল। ওই বছরের ২ মে ফল ঘোষণার দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ উদ্ধার করা হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে অভিজিতের পরিবার। ভাইকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। এর পর হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে ২০ জনের বিরুদ্ধে খুন, মারধর, হুমকি লুঠপাট সহ একাধিক ধারায় চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালেরও। পরেশকে ডেকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল সিবিআই। কিন্তু, তাঁর নাম সিবিআই চার্জশিটে না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা।

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে অসুস্থ নিহতের মা (Post Poll Violence)

    এদিন সকাল ১১টায় শিয়ালদহ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিহত অভিজিতের মায়ের জবানবন্দি রেকর্ড হওয়ার কথা ছিল (Post Poll Violence)। সেই মত তাঁকে নারকেলডাঙা থানার পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাঁদের শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। মাধবী সরকারের সঙ্গে ছিলেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারও। পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে তাঁরা যখন আদালতের ভিতরে ঢুকছিলেন, তখনই মাথা ঘুরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মাধবী সরকার। মায়ের মাথা ঘুরে পড়ে যেতে দেখে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে ফেলেন বিশ্বজিৎ ও আশপাশের লোকেরা। প্রথমে তাঁকে আদালত চত্বরের ভিতরেই একটি বেঞ্চে নিয়ে গিয়ে বসানো হয়। কিন্তু মাধবী দেবীর শারীরিক অসুস্থতা ক্রমেই বাড়তে থাকায় তড়িঘড়ি পুলিশকর্মীদের সাহায্য নিয়ে বিশ্বজিৎ সরকার তাঁকে সেখান থেকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যান। আপাতত সেখানেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই অভিজিতের পরিবারকে মামলা (Post Poll Violence) তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সাক্ষীকে হুমকি দেন দুষ্কৃতীরা। সোমবার সেই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার। তাঁরা পুলিশি নিরাপত্তা দাবি করে। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নারকেলডাঙা থানার পুলিশকে অভিজিতের পরিবারের নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Eastern Command: চিনকে কড়া বার্তা! ভারতীয় সেনায় প্রথম মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল রেজিমেন্ট

    Eastern Command: চিনকে কড়া বার্তা! ভারতীয় সেনায় প্রথম মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল রেজিমেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন সীমান্তে (India-China Border) গুরুত্ব দিয়ে ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ড (Indian Army Eastern Command)। সেই লক্ষ্যেই তৈরি হল মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল রেজিমেন্ট (MRSAM Regiment)। ভারতীয় সেনায় প্রথম এই ধরনের রেজিমেন্ট গড়ে তোলা হল। সেনা পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামের মাধ্যমে এই রেজিমেন্ট পরিচালিত হবে। 

    কীভাবে কাজ করবে এই রেজিমেন্ট

    সেনা সূত্রে খবর, ইস্টার্ন কমান্ডের অধীন কাজ করবে এই রেজিমেন্ট। ভারত- চিন সীমান্তকে ঘিরে কোথাও যাতে সুরক্ষার ক্ষেত্রে ফাঁক না থাকে সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে ভারতীয় সেনা। তাই এই ধরনের রেজিমেন্ট গড়ে তোলা হল। এই রেজিমেন্টের সঙ্গে থাকবে মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল যা একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে ডিআরডিও। এই ধরনের মিসাইল সিস্টেমকে বলা ‘অভ্র’ ওয়েপন সিস্টেমও বলা হয়। প্রসঙ্গত, এই মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেমের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রও। আসলে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার উপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছে ভারত। তারই অঙ্গ হিসাবে তৈরি হয়েছে এই দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভর এই নয়া সিস্টেম।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, গ্রেফতার ডিআরডিও আধিকারিক

    লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কালিটা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে একটি লম্বা লাফের মতো। দেশের আত্মনির্ভর ভারত-এর লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিরক্ষা সামগ্রী তৈরির ক্ষেত্রেও ভারত দ্রুত স্বনির্ভর হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী তিনি। এই রেজিমেন্ট গঠন হওয়া উত্তর-পূর্ব ভারতে সেনার শক্তি আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে এই রেজিমেন্টকে পরিচালিত করা হবে।  বিশেষ করে আকাশপথে দেশের প্রতিরক্ষা আরও নিশ্ছিদ্র করার পথে এই মিডিয়াম রেঞ্জ সারফেস ও এয়ার মিসাইল রেজিমেন্ট একটি বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে এবারে সিবিআই হানা বরানগরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে

    Recruitment Scam: নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতিতে এবারে সিবিআই হানা বরানগরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এল এক নয়া মোড়। নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগেও বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে, আর সেই তদন্তেই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডানলপের একটি ফ্ল্যটে হানা দিল সিবিআই। এদিন বরানগর বারুইপাড়া লেনে অভিযান চালাল সিবিআই-এর বিশেষ দল। সূত্রের খবর, যার বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছে, তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী। সিবিআই সূত্রে খবর, মালদহ থেকে ধৃত তৃণমূল নেতা আব্দুল খালেককে জেরা করেই বরানগরের এই ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। তাঁর কাছে অবৈধ নিয়োগের কমিশন আসত বলে তদন্তকারীদের দাবি। এই সূত্র ধরেই তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। চলেছে জেরাও।

    ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে সিবিআই হানা

    সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন বরানগরের বাসিন্দা শ্যামল কুমার সেনের বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। শ্যামল কুমার সেন পেশায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী। তল্লাশি চালানোর পর তাঁর বাড়ি সিল করে দিয়েছে সিবিআই। দু’ঘণ্টা ধরে শ্যামল সেন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও চালান সিবিআইয়ের দল। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তির ব্যাঙ্কের সমস্ত নথি যাচাই করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, শ্যামল কুমার সেন নবম-দশমে নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও গত কয়েকদিন আগেই বেশ কয়েকজন সাব-এজেন্টকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। দফায় দফায় জেরা শেষে অন্তত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জেরা করেই এই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মীর নাম উঠে আসে বলে জানা যাচ্ছে। এর পর আজ সোমবার সকালে তল্লাশি চালিয়েছে বলে খবর।

    স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “শুনলাম এসএসসি দুর্নীতিতে তদন্তে এসেছে। এর আগেও এসেছিল। ১৮ ফেব্রুয়ারি এসেছিল। এখানে এখন সব সিল করে দিয়ে গিয়েছে।” জানা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী শ্যামল বর্তমানে ব্যবসা করেন। এর আগেও একবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এবার ফের চলে তল্লাশি। ২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি।

    জেল হেফাজতে তৃণমূল নেতা আব্দুল খালেক

    উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার উত্তরবঙ্গেও থাবা বসিয়েছে সিবিআই। মালদহ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আব্দুল খালেক নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। সূত্রের খবর, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলতেন তিনি। স্কুলের সাধারণ শিক্ষাকর্মী হলেও তাঁর বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। মালদহে প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তৃণমূলের একাধিক বড় নেতাদের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। এমনকী কলকাতাতেও তাঁর টাকা যেত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এর পর তাঁকে জেরা করেই ডানলপ বরানগরের ওই ব্যাঙ্ককর্মী শ্যামল সেনের নাম উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে নিয়োগ দুর্নীতির চক্রে এই প্রাক্তন ব্যাঙ্ককর্মীর কী ভূমিকা ছিল, তিনি কত টাকা কমিশন পেতেনে, কার কার সঙ্গে তাঁর যোগ ছিল, তা জানতে জেরা করছে সিবিআই। উল্লেখ্য, এদিন আব্দুল খালেককে ২ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

  • Kolkata: মহাকাশ থেকে কেমন দেখায় তিলোত্তমাকে? কলকাতার নতুন ছবি প্রকাশ বিজ্ঞানীদের

    Kolkata: মহাকাশ থেকে কেমন দেখায় তিলোত্তমাকে? কলকাতার নতুন ছবি প্রকাশ বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ থেকে কেমন দেখায় এই দেশকে? কেমনই বা দেখায় তিলোত্তমাকে (Kolkata)? বিজ্ঞানীরা পাঠালেন পূর্ব ভারতের ছবি। সুজলা-সুফলা মাটি এবং বহমান নদীর সৌন্দর্যে চোখ জুড়িয়ে যায়। 
    এই ছবিতে আলাদা করে নজর কেড়েছে শহর কলকাতা। ২০৬ বর্গ কিমির কলকাতাকে বেশ চেনা যাচ্ছে। পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হুগলী নদী। কলকাতার ঠিক পাশেই শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশ। সুন্দরবনকেও দেখাচ্ছে অসাধারণ। ছবিটির সঙ্গে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে আলাদা করে উল্লেখ করা হয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের বাসস্থান, বিশাল ম্যানগ্রোভ অরণ্যের কথা। বিবৃতিতে ইউরোপের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা লিখেছে, ‘‘এটি সুসংরক্ষিত জঙ্গলকে বিশ্ব হেরিটেজের তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। এটি বেঙ্গল টাইগারের আঁতুড়ঘর। এখানে বিশাল ম্যানগ্রোভ জঙ্গল রয়েছে।’’

    দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের বেশির ভাগ অংশই সবুজ। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রকমের নীল রঙের আঁকিবুঁকি রয়েছে ছবিটিতে (Kolkata)। ওই অংশে নদী ও জলাশয়ের আধিক্য। খয়েরি রঙের আভাও দেখা গিয়েছে ছবিতে। চাষের বিস্তীর্ণ ক্ষেত্র ওই রঙে ধরা পড়েছে।

    আরও পড়ুন: তিন উপগ্রহকে কক্ষপথে স্থাপন করার লক্ষ্যে সফল উৎক্ষেপণ ইসরোর    

    ইউরোপের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার কোপারনিকাস সেন্টিনেল ২ মিশনে এই ছবি তোলা হয়েছে। এই মিশনে পৃথিবীর নানা অংশের ছবি তোলা হয়ে থাকে। মহাকাশ থেকে আমাদের পৃথিবীকে (Kolkata) কেমন দেখায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেখানে কী ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে তা নিরীক্ষণ করাই এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য। জমি ও জলভাগের সমস্ত অংশেই উপগ্রহে তোলা ছবি খতিয়ে দেখে পৃথিবীর পরিবর্তনের স্বরূপ বোঝাই বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্য।

    ছবিটি কোপার্নিকাস সেন্টিনেল-২ মিশন একই কক্ষপথে দুটি অভিন্ন উপগ্রহের নক্ষত্রপুঞ্জের অংশ। প্রতিটি স্যাটেলাইট একটি উদ্ভাবনী ওয়াইড সোয়াথ হাই-রেজোলিউশন মাল্টিস্পেকট্রাল ইমেজার বহন করে। 

    উল্লেখ্য, এর আগে ফেসবুকে দীপাবলির আগে একটি ছবি ভাইরাল (Kolkata) হয়েছিল। যেখানে দাবি করা হয়েছিল ছবিটি দীপাবলির আগে মহাকাশ থেকে তোলা ভারতের ছবি। ভাইরাল ছবিতে আলোকোজ্জ্বল ভারতের মানচিত্র দেখা যাচ্ছিল। ছবিটিকে ফেসবুকে অনেকেই শেয়ার করছিলেন, এই মনে করে যে এটি দীপাবলির উৎসবের ছবি। কিন্তু পরে জানা যায়, ছবিটি ভুয়ো।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

           
      

  • Gariahat: বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট! গাড়ি থেকে উদ্ধার ‘টাকার পাহাড়’, গ্রেফতার ২

    Gariahat: বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট! গাড়ি থেকে উদ্ধার ‘টাকার পাহাড়’, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কোটি কোটি টাকা উদ্ধার মহানগরীতে! এবার, বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট! আজ, বৃহস্পতিবার গড়িয়াহাট মোড় থেকে নগদ এক কোটি টাকা উদ্ধার করল পুলিশ। জানা যায়, গাড়িতে করে টাকা নিয়ে যাচ্ছিল ২ ব্যক্তি। এক কোটি টাকা-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের গড়িয়াহাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর। এই টাকাও কয়লা পাচারের টাকা কিনা তা নিয়ে তদন্তে ইডি।

    এসটিএফ-এর গোপন সূত্রে টাকা উদ্ধার

    জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখা এবং এসটিএফ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে যৌথ ভাবে অভিযান চালায়। আর সেই অভিযানে গড়িয়াহাটের কাছাকাছি এলাকা থেকে একটি সন্দেহভাজন গাড়ি আটক করেন পুলিশ আধিকারিকরা। আর এরপরেই গাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়। আর তখনই গাড়ির পিছন থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। সেই ব্যাগে দেখা যায় বান্ডিল বান্ডিল টাকা। মোট নগদ ১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরেই গাড়ি থেকে দু’জন সন্দেজভাজনকে আটক করে পুলিশ। গড়িয়াহাট থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেই টাকা গোনার কাজ চলছে বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এক কোটি টাকা গোনা হয়েছে বলে খবর। তবে পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচারের অর্থে ‘প্রপার্টি-ডিল’! ১.৪ কোটি টাকা ছিল ‘পার্ট-পেমেন্ট’! বাকি টাকার খোঁজে ইডি

    ধৃতদের জেরা করছে পুলিশ

    গাড়ি চালক দুলাল মণ্ডল এবং মুকেশ সারস্বত নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। দুলাল বেলিগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা। মুকেশের বাড়ি রাজস্থানে। বিপুল পরিমাণ এই টাকা কোথায় এবং কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা নিয়ে জেরা করা হচ্ছে বলেই খবর। তবে জেরায় পুলিশ সন্তোষজনক কোনও উত্তর পায়নি বলেই জানা যাচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে গতকালই বালিগঞ্জে এক বেসরকারি দফতরে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে কিছু ডিজিটাল তথ্যও। ইডি জানতে পারে, এই বেসরকারি সংস্থাটির মাধ্যমে কয়লা পাচারকাণ্ডের টাকা বিনিয়োগ করা হত। এ ভাবে কালো টাকা সাদা করা হত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। ফলে গতকালের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই শহরে ফের টাকার হদিশে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। এখন প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বালিগঞ্জের টাকার সঙ্গে গড়িয়াহাটের যোগসূত্র রয়েছে? গড়িয়াহাটের টাকাও কি কয়লা পাচারের টাকা? এরই তদন্তে ইডি।

  • Kolkata Metro: চলতি বছরেই গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো! চালু হবে আরও পাঁচটি নতুন রুট

    Kolkata Metro: চলতি বছরেই গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো! চালু হবে আরও পাঁচটি নতুন রুট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে কলকাতাবাসী জন্য আসছে আরও সুখবর। সূত্রের খবর, চলতি বছরেই একাধিক মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করতে চলেছে কলকাতা মেট্রো। সম্প্রতি বাজেটে বিপুল অর্থ বরাদ্দ হয়েছে কলকাতার মেট্রো প্রকল্পের জন্য। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কলকাতা মেট্রোর জন্য ৩২২০.২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। গত বছরের বাজেট প্রস্তাবের তুলনায় ১৬৪.৭৭ শতাংশ বেশি। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই হাওড়া ময়দানের সঙ্গে এসপ্ল্যানেড যুক্ত হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু এই একটি কাজই নয়, চলতি বছরে পাঁচটি বড় মেট্রো প্রকল্প চালু হয়ে যাবে। সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন, কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। কোন কোন মেট্রো শুরু হতে চলেছে দেখে নিন।

    হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে বিমানবন্দর

    রাজারহাট মেট্রো প্রকল্প (কমলা লাইন) হয়ে নিউ গড়িয়ার হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন বা রুবি ও নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পথ ইতিমধ্যেই রেলওয়ে সেফটি কমিশনার পরীক্ষা করেছেন। খুব শীঘ্রই এই মেট্রো শুরু হতে চলেছে।

    নোয়াপাড়া-বারাসাত

    নোয়াপাড়া-বারাসত রুটেও নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা অক্টোবর মাসেই চালু করা যাবে বলে আশাবাদী কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে উত্তর শহরতলি মানুষদের কলকাতায় আসা আরও দ্রুত হয়ে যাবে। কলকাতা শহরের মূল কেন্দ্রে পৌঁছতে এই এলাকার যাত্রীদের বর্তমানে চরম যানজট, অত্যধিক সময়, এবং অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।

    আরও পড়ুন: কবি সুভাষ থেকে রুবি, নতুন লাইনে মেট্রো চলবে চলতি মাসেই! জুড়ে যাবে দুটি ভিন্ন লাইন

    সল্টলেক সেক্টর ৫ থেকে সেক্টর ২

    চলতি বছরের অক্টোবরেই সল্টলেক সেক্টর ২ থেকে সেক্টর ৫ পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। ফলে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরতরা খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবে। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার যাত্রীরা সবথেকে বেশি উপকৃত হবেন।

    শিয়ালদা থেকে হাওড়া ময়দান

    বহু প্রতীক্ষিত শিয়ালদহ-হাওড়া ময়দান মেট্রো পরিষেবাও চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। এই রুট চালু হয়ে গেলে গঙ্গার নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো। এটিই দেশে প্রথম নদীর নীচ দিয়ে মেট্রো চলবে। শহরতলী থেকে আসা যাত্রীরা এসপ্ল্যানেড, শিয়ালদহ বা সল্টলেকের মত জায়গায় দ্রুত এবং খুব সহজেই পৌঁছতে পারবেন।

    জোকা থেকে মাঝেরহাট

    কিছুদিন আগেই জোকা-তারাতলা রুটের মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। ওই রুটের কাজ তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারণ হয়ে যাবে অক্টোবরের মাসের মধ্যেই।

  • Sukanta Majumdar:  রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সরব সুকান্ত! জানেন কী বললেন তিনি?

    Sukanta Majumdar: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সরব সুকান্ত! জানেন কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া নিয়ে সওয়াল করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “হাইকোর্ট একাধিকবার রাজ্য সরকারের গালে থাপ্পড় মারলেও সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দিচ্ছে না রাজ্য।”

    সুকান্তর দাবি

    সোমবার গঙ্গা আরতি মামলায় জামিন পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP Sukanta Majumdar)। সেই মামলায় আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে এই মত ব্যক্ত করেন তিনি। গত ১০ জানুয়ারি বাবুঘাটে বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচি ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় গ্রেফতার হন সুকান্ত মজুমদার-সহ ৮১ জন বিজেপি নেতা কর্মী। ঘটনার দিন থানা থেকে জামিন নিয়েছিলেন তাঁরা। তবে জামিনের শর্ত ছিল, বিচার ভবন থেকে নিয়ম মেনে জামিনের আবেদন করে জামিন নিশ্চিত করতে হবে। সেইমতো এদিন ৪৪ জন জামিন পেলেন। এদিন জামিন নিয়ে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের কী অবস্থা দেখুন। গঙ্গা আরতি করতে গেলেও তার জন্য মামলা হচ্ছে। আমি গঙ্গা আরতি করেছি বলে আমার নামে মামলা করা হয়েছে। তার জামিন আজ হল। আমার সঙ্গে আরও কয়েকজন কর্মীরও জামিন হল। এখনও ২৩ জনের জামিন হয়নি। আগামিদিনে হবে। আমরা দেখেছি ঔরঙ্গজেবও এক সময় এরকম করত। তবে আমরা লড়াই করতে জানি।”

    আরও পড়ুন: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ বাড়িভাড়া ভাতা পান কীভাবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    আদালত সূত্রে খবর, গঙ্গা আরতির সময় সুকান্ত মজুমদার-সহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তাতে সকলেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে পুলিশের কাছ থেকে জামিন পান। এদিন ৪৪ জন আত্মসমর্পণ করে, ‘রেগুলার বেল’ পেলেন। নিয়ম অনুযায়ী থানা থেকে ‘পিএস বেল’ পেলে ‘রেগুলার বেল’-এর জন্য আবেদন করতে হয়। সেখানে জামিন নিশ্চিত হয়। এদিন ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান সুকান্তরা। এদিন তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, “বিজেপি গত নির্বাচনে ক্ষতায় আসার পর বলা হয়েছিল মুসলিমদের স্বার্থে আঘাত আসবে। তাদের মসজিদে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মুসলিমদের অবস্থা দেখলেই বোঝা যাবে, এগুলি অপপ্রচার। “

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Saraswati Puja: কোথাও খাঁচায় বন্দী, কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী! দেবী বন্দনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছোঁয়া শহরের মণ্ডপে

    Saraswati Puja: কোথাও খাঁচায় বন্দী, কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী! দেবী বন্দনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছোঁয়া শহরের মণ্ডপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যার দেবী সরস্বতী (Saraswati Puja 2023)। বাগদাত্রী দেবী শ্বেত পদ্মের উপর আসন পেতে থাকেন। মাঘী পঞ্চমীতে তাঁর আরধনায় মাতে ছোট থেকে বড়রা। বিদ্যা বিনয় দান করে। ন্যায়-অন্যায় বুঝতে শেখায়। কিন্তু বাংলায় এখন শিক্ষা বিক্রি হয়। অর্থের বিনময়ে শিক্ষক কেনা-বেচা হয়। বিদ্যাকে ছোট করে অর্থের বিনময়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ বাংলার অলি-গলিতে।  অভিযোগ উঠেছে,অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন। ফেল করেও শিক্ষকতা করার সুযোগ পেয়েছেন। তাই শহর কলকাতায় এবার সরস্বতী পুজোর থিমে কোথাও খাঁচায় বন্দি বাগদেবী কোথাও আবার দাঁড়িপাল্লায় তোলা হয়েছে তাঁকে।

    দাঁড়িপাল্লায় সরস্বতী

    সাধারণত এ রাজ্যে বিভিন্ন পুজোর থিমের মাধ্যমেই তুলে আনা হয় সাম্প্রতিক কালের আলোচিত-চর্চিত বিভিন্ন ঘটনাকে। বাংলায় সাম্প্রতিককালের সবথেকে আলোচ্য বিষয় শিক্ষক নিয়োগে ‘দুর্নীতি’। তাই এবার শহরের বুকে সরস্বতী পুজোর থিম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। অভিনব এই থিমের নাম ‘বঙ্গে বিক্রি শিক্ষা’। কাকুড়গাছি রেল ব্রিজ সংলগ্ন এই পুজোর প্যান্ডেলে দেখা যাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যারের মডেল। সামনে টাকার ৫০০ ও ২ হাজার টাকার নোটের বান্ডিল। ঠিক যেমনটা ইডির তল্লাশি অভিযানে দেখা গিয়েছিল। এই প্যান্ডেলে দেখানো হবে, দাঁড়িপাল্লায় রাখা হয়েছে সরস্বতীর মূর্তি ও টাকা। অর্থের ভারে হেলে গিয়েছে সরস্বতী। খাঁচায় বন্দি রাখা হয়েছে বইপত্র ও মা সরস্বতীকে। যার মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে, এ রাজ্যে শিক্ষাকে বন্দি রেখেই অর্থের বিনিময় অযোগ্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে আগামীর ভবিষ্যৎ।

    আরও পড়ুন: মাঘেও উধাও শীত! গরমেই কাটবে সরস্বতী পুজো, জানিয়ে দিলেন আবহবিদরা

    পৌষ পেরিয়ে বাংলার গায়ে এখন মাঘের আমেজ। স্কুলে স্কুলে বাণী বন্দনার প্রস্তুতি তুঙ্গে। এরই মধ্যে এই ধরনের থিম এনেছে অভিনবত্বের ছোঁয়া। সঙ্গে শিক্ষা নিয়ে যে অশিক্ষা বঙ্গে দেখা গিয়েছে, তাঁর জন্য ধিক্কার জানানো হয়েছে। থিমের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ও তাঁদের দাবিদাওয়াও তুলে ধরা হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের মডেল তৈরি করে তাঁদের হাতে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দাবি দেওয়া সম্মিলিত প্ল্যাকার্ড। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

LinkedIn
Share