Tag: Kolkata

Kolkata

  • Calcutta Medical College: ঘেরাওমুক্ত অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানরা! মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ তুলল ছাত্ররা

    Calcutta Medical College: ঘেরাওমুক্ত অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানরা! মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ তুলল ছাত্ররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পর উঠল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র বিক্ষোভ। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ঘেরাও তুলে নেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। যদিও ঘেরাও তুললেও তাঁরা কিন্তু আন্দোলনের পথ থেকে সরে যাচ্ছেন না। পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, বুধবার ৭ ডিসেম্বর দুপুর দুটো পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে সময় দেওয়া হচ্ছে। যদি কর্তৃপক্ষ পূর্ব নির্ধারিত আগামী ২২ ডিসেম্বর কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের বিধি বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) ঘোষণা না করেন তবে তাঁরা আমরণ অনশনে সামিল হবেন। 

    ছাত্রদের দাবি

    ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকে উত্তাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। ছাত্রদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের নির্বাচনের দাবি জানানো হলেও তা মানেনি কর্তৃপক্ষ। আলাপ আলোচনার পর আগামী ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু এরপর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও নিশ্চয়তা না পেয়ে সোমবার বিক্ষোভে সামিল হয় পড়ুয়ারা। পূর্ব নির্ধারিত ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন চেয়ে পড়ুয়ারা কলেজের অধ্যক্ষ,উপাধ্যক্ষ এবং বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানদের ঘেরাও করেন। মঙ্গলবার বিকেলে নার্সিং সুপার এবং ৩ জন শিক্ষিকাকে ছেড়ে দিলেও বাকিদের প্রশাসনিক ব্লকে আটকে রেখেছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ব্লকের গেট খুলে দেওয়া হয়। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানকে ছেড়ে দেন তাঁরা। কিন্তু ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এখনও অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। 

    আরও পড়ুন: ভোগান্তি চলছেই, মেডিক্যালের অচলাবস্থার জন্য কাঠগড়ায় শাসক দলের ভূমিকা

    রোগী পরিষেবা

    ছাত্র বিক্ষোভে ইতিমধ্যেই পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছিলেন রোগী এবং তাঁদের পরিজন। প্রয়োজনীয় পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে ইট দিয়ে তালা ভেঙে প্রশাসনিক ব্লকের ভিতরেও ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন রোগীর আত্মীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, ওয়ার্ডে রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছচ্ছে না, সকাল থেকে হাসপাতালের প্যাথলজি, এক্সরে এবং বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ বন্ধ। স্থগিত ছিল অস্ত্রোপচারও বলে দাবি করেন বেশ কিছু রোগীর পরিজনেরা। তবে দেড় দিন পর ঘেরাও মুক্ত হওয়ার পর বুধবার সকাল থেকে বিভাগীয় প্রধানরা রোগী দেখতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা ফের অনশনে বসলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • New Market: হকারদের দখলে নিউ মার্কেটের তিন ভাগ রাস্তাই?

    New Market: হকারদের দখলে নিউ মার্কেটের তিন ভাগ রাস্তাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ মার্কেট (New Market) এলাকার কয়েকটি রাস্তার চার ভাগের তিন ভাগ অংশ দখল হয়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন দেবাশিস কুমার টাউন ভেন্ডিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার নিউ মার্কেট এলাকা পরিদর্শন করেন হকার (Hawker) পুনর্বাসন বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। এদিন নিউ মার্কেট চত্বর জুড়ে হকারদের জন্য তৈরি সমস্যা নিয়ে সমীক্ষার কাজও করেন তিনি। দেবাশিসের সঙ্গে ছিলেন টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্য এবং নিউ মার্কেট থানার পুলিশ আধিকারিকরা। কলকাতা পুরসভার সামনে থেকে এস এস হগ মার্কেট পর্যন্ত পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন টাউন ভেন্ডিং কমিটির সদস্যরা। পুর সেক্রেটারি হরিহর প্রসাদ মণ্ডল এবং নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন দেবাশিস।

    পার্কিং লট…

    নিউ মার্কেট (New Market) এলাকায় রয়েছে বার্ট্রাম স্ট্রিট। এখানেই রয়েছে পার্কিং লট। এই রাস্তার পার্কিং লটের প্রায় পুরোটাই দখল করে ফেলেছেন হকাররা। এই সব হাকারের এই ব্যবসা ছাড়াও চার-পাঁচটি সারিতে ব্যবসা রয়েছে। দেবাশিস কার পার্কিং দফতরের চার্জেও রয়েছেন। পার্কিং লটের দুরাবস্থা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। ডেকে পাঠান পার্কিং অ্যাটেনডেন্টকে। কথা বলেন তাঁর সঙ্গেও। নিউ মার্কেট প্রথম সারির হেরিটেজ মার্কেট। এদিন যে সব এলাকায় সমীক্ষার কাজ হয়, সেগুলি হল বার্ট্রাম স্ট্রিট, হুমায়ুন প্লেস, লিন্ডসে স্ট্রিট এবং জওহরলাল নেহরু রোড।

    আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    নিউ মার্কেট (New Market) চত্বর পরিদর্শনের পর দেবাশিস কথা বলেন হকারদের প্রতিনিধির সঙ্গে। হকারদের রাস্তা দখলের বিষয়ে তাঁকে অবহিত করেন। পুরসভার এ সংক্রান্ত নিয়ম কানুনের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তাঁকে। প্রথম সারির হেরিটেজ মার্কেট চত্বর পরিদর্শন শেষে এদিন দেবাশিস বলেন, গাড়ি চলার রাস্তা এবং ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছেন একদল হকার। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, আমি এটাও লক্ষ্য করলাম যে কার পার্কিংয়ের জায়গাটাও ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। আমরা টাউন ভেন্ডিং কমিটিকে এই রিপোর্ট দেব। কমিটির পরবর্তী মিটিংয়ে এটা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনাও করব।

    আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মলেন ভারতের নেতৃত্ব দেওয়াটা একটা সুযোগ, গর্বের মুহূর্ত, বললেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • C V Ananda Bose: নতুন রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস

    C V Ananda Bose: নতুন রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। শপথবাক্য পাঠে বাংলার মানুষের ভালো-মন্দের দেখভালের প্রতিশ্রুতি দিলেন নয়া রাজ্যপাল। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ রাজভবনে হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়,পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও। তবে সংঘাতের আবহে রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বসার জন্য আসনবিন্যাস নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এদিন সকালে ট্যুইটও করেন তিনি। নয়া রাজ্যপালের সময় অনুযায়ী, তিনি পরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে আসার কথা জানান।

    রসগোল্লা উপহার

    আগের রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক মোটেও ভালো ছিল না রাজ্যের।  সিভি আনন্দ বোসের পূর্বসূরি জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন নবান্ন ও রাজভবনের সংঘাত প্রায় রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে এবারের নয়া রাজ্যপালের সঙ্গে সম্পর্ক সুমধুর করতে বদ্ধ পরিকর রাজ্য। তাই শপথ গ্রহণের দিন সকাল সকাল এক হাড়ি রসগোল্লা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের নয়া ফার্স্ট সিটিজেনকে বিশেষ উপহার পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী। সি ভি আনন্দ বোসের জন্য নীল হাঁড়িতে ১০০টি রসোগোল্লা পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই তিক্ততা ভুলে মিষ্টি সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে নবান্ন। এমনটাই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মিষ্টি খাইয়ে লাভ নেই, তাঁর যোগ্যতা-অভিজ্ঞতাকে যেন কাজে লাগায় রাজ্য সরকার’। তিনি আরও বলেন,“আমরা চাইব এরকম একজন বিদ্বান, দূরদর্শী মানুষকে আমরা রাজ্যপাল হিসাবে পেয়েছি, তার যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা, সেটা যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাজে লাগায় ।” 

    আরও পড়ুন: সাংসদ ও বিধায়কেরা শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চাইছেন! দাবি মহাগুরু মিঠুনের

    কালীঘাট মন্দির দর্শন

    শপথগ্রহণের আগের দিন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে গিয়ে মায়ের দর্শনও করেন নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ কালীঘাটে আসেন সি ভি আনন্দ বোস। প্রথমে কালীঘাট প্রসাদের দোকানগুলির সামনে দেখা যায় তাঁকে। তারপর মায়ের পুজো দেন। মায়ের পুজো দেওয়া পর গোটা মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন। পুরোহিতদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটান,মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে কথা বলেন । বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন কালীঘাট মন্দিরে। তবে মায়ের আরতির আগেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল। ৭১ বছর বয়সি মালয়ালি, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার আনন্দ বোসের প্রশাসক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা পদেও তিনি কাজ করেছিলেন। সূত্রের খবর, শীঘ্রই আনন্দ বোস দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ-পর্ব সেরে আসবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sagar Dutta Hospital: হোস্টেলে ঘর পেতে, দিতে হবে টাকা! তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে

    Sagar Dutta Hospital: হোস্টেলে ঘর পেতে, দিতে হবে টাকা! তৃণমূল ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজের হোস্টেল পাওয়ার নিয়ম বাড়ির দূরত্ব অনুযায়ী। কিন্তু সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন নিয়ম তৈরি করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের মাথা পিছু ৩ হাজার টাকা না দিলে হোস্টেলের ঘর পাওয়া যাবে না। প্রতিবাদ করলে জুটছে শারীরিক হেনস্থা। এমনই অভিযোগ উঠেছে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Sagar Dutta Hospital)। অভিযোগ, প্রথম বর্ষের ছাত্র ভর্তি হতেই হোস্টেলের জন্য আবেদন জমা পড়ে। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ নয়, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ, সেই আবেদনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারাই ঠিক করে,কার হোস্টেলের আবেদন মঞ্জুর হবে। 

    সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের (Sagar Dutta Hospital) প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে তাদের জানানো হয়, ছাত্র নেতাদের ৩০০০ টাকা দিতে হবে। তবেই তাদের আবেদন মঞ্জুর হবে। ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের একাংশ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তাঁরা অধ্যক্ষ ও ডিনের কাছে অভিযোগ করেন। যদিও এর কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের। জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই ‘ঘুষ’ নেওয়ার প্রতিবাদ করলে শারীরিক হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্ররা  যে হোস্টেলে থাকেন,তাঁদের ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করা হচ্ছে, তাঁদেরকে শারীরিক নিগ্রহ করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসের মধ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

    অভিযোগ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ (Sagar Dutta Hospital) কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেননি। ভুক্তভোগী এক পড়ুয়ার অভিযোগ, “তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকরাও পাশে থাকছেন না। তাই ডিনকে বারবার সমস্ত ঘটনা জানালেও তিনি কোনও সাহায্য করছেন না। এরকম হেনস্থা চললে পড়াশোনা চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কীভাবে কোর্স শেষ করব জানি না। প্রতি রাতে হোস্টেলের ঘরে ঢুকে হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা। ” 

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি ভয়াবহ, এর থেকে রেহাই পেতে কী করবেন ও কী করবেন না?

    হাসপাতাল প্রশাসন রাজ্যের শাসক দলের হয়েই পরোক্ষে কাজ করে এ অভিযোগ ব্যতিক্রম নয়। রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি হাসপাতাল প্রশাসন এখন শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনেই চলে। আর তাই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনে অধ্যক্ষের ঘরেই শাসকের হয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়া থেকে শুরু করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগে নীরব থাকছে কর্তৃপক্ষ। সবকিছুই চলছে অবাধে। কোথাও প্রশাসনের পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। 

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ (Sagar Dutta Hospital) কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “ঘটনার অভিযোগ পেয়েই তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছি। সেই নির্দেশ কার্যকরী হয়েছে। কমিটি মিটিং করেছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ সত্যি হলে দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে। ” যদিও এই তদন্ত কমিটির উপর আস্থা নেই ভুক্তভোগীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, একাধিক মেডিক্যাল কলেজেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জুলুম চলছে। এরকম তদন্ত কমিটি তৈরি হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু তার কোনও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের তদন্ত কমিটিতেও অধ্যক্ষ উপস্থিত থাকছেন না। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যেরা ভুক্তভোগীদের জানিয়ে দিচ্ছেন, প্রত্যেক মুহূর্তে সকলকে নিরাপত্তা দেওয়া কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব নয়। নিজেদের সাবধান থাকতে হবে। 

  • Dengue: হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, জনগণকে দুষছে প্রশাসন

    Dengue: হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, জনগণকে দুষছে প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মাঝেই ভয় বাড়াচ্ছে রাজ্যের ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি ২৪ পরগনায়। কলকাতার পরিস্থিতিও বেশ উদ্বেগজনক।  

    রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডেঙ্গি সংক্রমণের নিরিখে গত ছয় বছরের মধ্যে ২০২২-এর সংক্রমণ সর্বাধিক। এবারের ডেঙ্গি সংক্রমণ ইতিমধ্যে ২০১৯-এর রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রত্যেক দিনই ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর আসছে।

    ২০১৯-এ রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১,৭৪৩ জন। এবছর এখনই সেই সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া  পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই বছর এখনও পর্যন্ত গত সপ্তাহে সর্বাধিক সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭, ২০১৮ সালে রাজ্যে ডেঙ্গি  আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ১৪,৬৮৬ এবং ১৪,৬৪৭। ২০২০ ও ২০২১-এ আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ২০১৮ এবং ২১৭৬ জন। এই দুবছরে করোনার কারণে ডেঙ্গির সংক্রমণ কম ছিল।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সফর, সরকারি টাকায় সাজছে তৃণমূল নেতার রিসর্ট! সত্য ফাঁস শুভেন্দুর 

    আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি উত্তর ২৪ পরগনায়। গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৫৩ জন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত  এবছরে আক্রান্ত প্রায় ৬ হাজার। হাওড়ায় গত সপ্তাহের আক্রান্তের  সংখ্যা ছিল ৬৩৬। আর এই বছরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৬৬। কলকাতায় গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬০০। এই  বছরে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ১০ জেলার ১২ টি ব্লককে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও ৯ জেলার যে ১২ টি পুরসভাকে সতর্ক করা হয়েছে। তার মধ্যে কলকাতা ও দক্ষিণ দমদম ছাড়াও রয়েছে ব্যারাকপুর, হাওড়া, শিলিগুড়ি, বালি, বহরমপুর, কালিম্পং, কামারহাটি, বাঁকুড়া এবং উত্তরপাড়া।   

    কয়েক দিনের ব্যবধানে ২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন সাময়িক তৎপরতা দেখালেও বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকতে দেখা যায়। যদিও স্থানীয় প্রশাসন দায় চাপিয়েছে বাসিন্দাদের কাঁধে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP: নবান্ন অভিযানে আহত নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, কী বললেন তাঁরা?

    BJP: নবান্ন অভিযানে আহত নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, কী বললেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযানে (nabanna abhiyan) আহত নেতা কর্মীদের বাড়ি গেলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতারা। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা দুই নেতা মঙ্গল পাণ্ডে এবং আশা লকড়া ঘুরে বেরাচ্ছেন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। রবিবার দমদম বিমানবন্দর থেকে বিধাননগর ও রাজারহাট নিউটাউন এলাকায় গিয়ে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেন আশা লকড়া। পাশাপাশি অপর কেন্দ্রীয় নেতা মঙ্গল পাণ্ডে দমদম বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে খড়দহ,পানিহাটি,উত্তর দমদম ও দমদম এলাকায় বিজেপির দলীয় কর্মীদের দেখতে যান। এ দিন আহত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক আশা বলেন, ” রটানো হচ্ছে, বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে আক্রমণ করেছে, গাড়ি জ্বালিয়েছে। আসলে, তৃণমূলের গুন্ডারাই কোনও না কোনও ভাবে এই কাজ করে বিজেপির নামে মিথ্যা প্রচার করছে। বিজেপি এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ করে না। আইন হাতে নেয় না।”

    আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলকাতা ও হাওড়ার বিভিন্ন অঞ্চল। রাজ্যে শাসকদলের প্ররোচনায় বিজেপি কর্মীদের আটকাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ অভিযোগ বিজেপির। আহত হন বিজেপি-কাউন্সিলর-সহ কয়েকজন নেতা-কর্মী। ঘটনা খতিয়ে দেখতে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাঁচজনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমে রাজ্যে আসে। ছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রিজ লাল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর, সাংসদ ও প্রাক্তন আইএএস অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, প্রাক্তন সাংসদ সুনীল জাখর ও বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সমীর ওঁরাও। গতকাল তাঁরা প্রথমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে আহত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর নবান্ন অভিযানে আহত বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের বাড়িতে যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। এরপর হেয়ার স্ট্রিট থানায় যায় বিজেপির এই দল। দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে (JP Nadda) রিপোর্ট দেওয়ার কথা বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের।

    আরও পড়ুন :নবান্ন অভিযানের পুলিশি অত্যাচারের তদন্তে বিশেষ কমিটি গঠন বিজেপির

    কলকাতায় এসে নবান্ন অভিযানে আহত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন বঙ্গ বিজেপির নতুন পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলও। এদিন প্রথমে কলেজ স্ট্রিটের কাছে কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটে বিজেপি কর্মী সুবোধ দাসের বাড়িতে যান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা। হাত ভাঙা বিজেপি কর্মীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। পরে বেলেঘাটায় আহত বিজেপি কর্মী রীতা রজকের বাড়িতেও যান তিনি। এরপর যান শ্যামবাজারে এক কর্মীর বাড়িতেও। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নতুন পর্যবেক্ষক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dengue in West Bengal: পুজোর আগে দুশ্চিন্তার মেঘ! ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, কলকাতাতেই আক্রান্ত ৪৫১ জন

    Dengue in West Bengal: পুজোর আগে দুশ্চিন্তার মেঘ! ফের ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, কলকাতাতেই আক্রান্ত ৪৫১ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। এবার করোনার পাশাপাশি নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue in West Bengal)। আক্রান্তের গ্রাফও ঊর্ধ্বমুখী। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দুশ্চিন্তায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট জেলার সীমান্ত থেকে সুন্দরবন অবধি, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। 

    আরও পড়ুন: ডেঙ্গি মোকাবিলায় হল না সমন্বয়, ডেঙ্গির প্রকোপে তাই জেরবার রাজ্যবাসী! 
          
    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগর সারাফুল হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জ্বর নিয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। সন্দেশখালি ঘোষপুরের হাসপাতালে গতকাল থেকেই আউটডোরে ডেঙ্গি রোগীদের ভিড় বাড়ছে। বেশিরভাগেরই রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গি (Dengue) জ্বর নিয়ে ভর্তি অনেকে। হিঙ্গলগঞ্জ সান্ডেলেরবিল ব্লক হাসপাতালে ইতিমধ্যে দুজনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত। ডেঙ্গির ন্যুনতম উপসর্গ দেখলেই পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।   

    কলকাতায় ২৪টা ওয়ার্ডে ৪৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মহানগরীতে মোট ৮০০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতা পুরসভার কাশিপুর, কালীঘাট, পূর্বাচল হালতু শহীদ স্মৃতি, রাজডাঙ্গা, ব্যানার্জি পাড়া, কালমার্কস সরণি, চেতলা হাট, নিউ আলিপুর সহ ২০- ২৫টি এলাকায় নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ডেঙ্গি। গতকাল কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে এক মহিলা ডেঙ্গিতে প্রাণ হারিয়েছেন। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি ও মাল্টি অর্গান ফেলিওরের উল্লেখ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: পুজোর আগে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৪০১ জন

    ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার কলকাতা পুরসভায় একটি বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকের পর মেয়র জানান, ডেঙ্গি প্রতিরোধে ‘‌ফিভার ক্যাম্প’‌ করবে পুরসভা। এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কেন্দ্র সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় কেএমডিএর জমিতে পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরি হবে। যেসব সংস্থা ডেঙ্গি টেস্ট করার পর পজিটিভ হলে সরকারকে জানাচ্ছে না ,তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    মেয়র আরও জানিয়েছেন, “যে সমন্ত ওয়ার্ড ডেঙ্গুপ্রবণ, সেইসব ওয়ার্ডেই ফিভার ক্যাম্পগুলি করা হবে। ক্যাম্পগুলিতে ২৪ ঘণ্টা ডেঙ্গি পরীক্ষা করা যাবে। শিশুদের জন্য বেডও থাকবে সেখানে। বেলেঘাটা আইডি ও এমআর বাঙুরে ৮০টা করে বেড থাকবে। দুটি হাসপাতালেই শিশুদের জন্য ১০টি করে সিসিইউ সংরক্ষিত থাকবে।” 

    ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে চিন্তায় প্রশাসন। জরুরি নাগরিক পরিষেবা বিভাগের ছুটি বাতিলের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। পুজোর সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর। স্বাস্থ্য কর্মী ও কঞ্জারভেন্সি বিভাগের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতির মোকাবিলাতেই এই ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। কঠোর ভাবে নির্দেশিকা পালন করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TMC Councillors son hanged: গার্ডেনরিচে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    TMC Councillors son hanged: গার্ডেনরিচে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে কলকাতার (Kolkata) গার্ডেনরিচ এলাকা। এবার রহস্যমৃত্যু তৃণমূল কাউন্সিলের (TMC Councilor) ছেলের। শনিবার নিজের অফিস থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় পিন্টু শীলের (Pintu Shil)। তিনি ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জিত শীলের ছেলে। পিন্টু আত্মহত্যা করেছেন নাকি, তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    শনিবারই গার্ডেনরিচের পরিবহণ ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয় ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। সেই খবরের রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই নিজের অফিস থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় পিন্টুর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন কাউন্সিলরের ছেলে।

    ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জিত শীল। তিনি ১৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যানও। এদিন রাতে নিজের অফিসে ছিলেন তাঁর ছেলে পিন্টু। তিনি প্রমোটিং করতেন। রাতে কয়েকজন তাঁর খোঁজে ওই অফিসে যান। দেখেন, গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন কাউন্সিলরের ছেলে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় রঞ্জিতবাবুকে। খবর দেওয়া হয় মেটিয়াবুরুজ থানায়ও। গভীর রাতে পিন্টুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন : এবার তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৮০ লক্ষ নগদ! কে এই রাজু সাহানি?

    পুলিশ জানিয়েছে, পিন্টুর দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। তা থেকেই অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন পিন্টু। তবে কেন তিনি নিজের অফিসে গিয়ে আত্মহত্যা করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে ঠিক পিন্টু আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রমোটিং সংক্রান্ত বিবাদের জেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    দিন কয়েক আগে খিদিরপুরে পথ দুর্ঘটনায় ছেলেকে হারিয়েছিলেন ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাম পিয়ারি রাম। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর ছেলে কিঙ্কর রামের। সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে  যাওয়ার আগে তৃণমূল শিবিরে ফের শোকের খবর। এবার সন্তান হারা হলেন আরও এক দলীয় কাউন্সিলর রঞ্জিত শীল।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Dengue: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, দিনের পর দিন বাড়ছে সংক্রমণ

    Dengue: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি, দিনের পর দিন বাড়ছে সংক্রমণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সেই অর্থে বঙ্গে (West Bengal) বর্ষার বৃষ্টি হয়নি। তাতে কি? পুজোর মুখে ডেঙ্গি (Dengue) এসে হাজির। কেবল হাজির নয়, রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে মশাবাহিত এই রোগ। জানা গিয়েছে, গত দু সপ্তাহে এ রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন দু হাজার ২৪০ জন। গোটা রাজ্যের ছবিটাও চোখ কপালে তোলার পক্ষে যথেষ্ট। সংক্রমিতের সংখ্যা ছ হাজার ৪২৪ জন। গত এক সপ্তাহে কেবল সরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ছশোর কাছাকাছি ডেঙ্গি সংক্রমিত রোগী।

    ফি বৃহস্পতিবার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে হয় সাপ্তাহিক আলোচনা। সেখানকার একটি সূত্র থেকেই জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে ডেঙ্গি চোখ রাঙালেও, সংক্রমণ সব চেয়ে বেশি হাওড়া (Howrah), জলপাইগুড়ি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Pargana)। সম্প্রতি হাওড়ায় ডেঙ্গি সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর এগারোর শুভম সরকারের। শনিবার এনআরএস (NRS) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। কিছু দিন আগে হাওড়া পুরসভারই আট নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের। 

    আরও পড়ুন : প্রাণঘাতী রোগ থেকে মুক্তি পেতে চান? প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন দানা শস্য বা হোল গ্রেন

    প্রাণঘাতী ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে বছর সাঁইত্রিশের সন্দীপকুমার মুখোপাধ্যায়ের। উত্তরপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগেও এই ওয়ার্ডেরই এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গিতে। ডেঙ্গি মারণ থাবা বসিয়েছে লাগোয়া শহর শ্রীরামপুরেও। কিছু দিন আগে এখানেও মৃত্যু হয় ডেঙ্গি সংক্রমিত এক মহিলার। জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহে কলকাতা পুরসভায় ডেঙ্গি সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছে ১৪২ জন। যমজ শহর হাওড়ায় ৬৪ জন। বালি পুরসভায় ৬৩ জন।আর উত্তরপাড়ায় ৩৭ জন। উত্তর ২৪ পরগনায়ও দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গি সংক্রমিতের সংখ্যা।

    ডেঙ্গি সংক্রমণ যে ক্রমেই বাড়ছে, সে ছবি ধরা পড়ছে রোগ পরীক্ষায়ও। কলকাতায় ডেঙ্গির এনএস-১ পরীক্ষা করিয়েছিলেন ৪২৪০ জন। তাঁদের মধ্যে পজিটিভ কেস ২৯৬। আইজিএম টেস্ট করিয়েছিলেন ১৫৭১ জন। তাঁদের মধ্যে পজিটিভ ১৩৩। হাওড়ায় এনএস-১ টেস্ট করিয়েছিলেন ২৯৮১। তার মধ্যে পজিটিভ রোগীর সংখ্য ৪৬১। উত্তর ২৪ পরগনায় ওই টেস্ট করিয়েছেন ৫৭৭১। পজিটিভ ৪৬৭।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Weather Forecast: কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী জেলায় তুমুল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, বাড়বে ট্রাফিকজনিত সমস্যা

    Weather Forecast: কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী জেলায় তুমুল বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, বাড়বে ট্রাফিকজনিত সমস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সকাল থেকেই তিলোত্তমার আকাশের মুখ ভার। সঙ্গে রয়েছে আদ্রতাজনিত অস্বস্তি। সারাদিন এমনটাই থাকবে আকাশ। কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে তুমুল বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস (Weather Department)। জল জমে বাড়তে পারে ট্রাফিকজনিত সমস্যা। জানতে পারা গিয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তৃত এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে ৷ চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি কম, দক্ষিণবঙ্গে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হবে। 

    আরও পড়ুন: রাজীব ভট্টাচার্য কি কেষ্টর ‘বেনামি’, কার চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ দিয়েছিলেন? তদন্তে ইডি-সিবিআই

    দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎসহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সাধারণ মানুষকে বজ্রপাতের সময় নিরাপদ স্থানে থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। 

    এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ ২৪ অগাস্ট বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 

    পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ২৫ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং-এ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা বৃষ্টিপাত হবে। আপাততউত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

    আরও পড়ুন: ভারতের হাতে আসছে আমেরিকার হানাদার ড্রোন ‘এমকিউ-৯ রিপার’! জানেন এর ক্ষমতা?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ২৫ অগাস্ট বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কোথাও আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।   

    গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টা আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টি কিংবা কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৫ শতাংশ।

       

LinkedIn
Share