Tag: Kolkata

Kolkata

  • Paresh Adhikary: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    Paresh Adhikary: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী (Paresh Adhikary) । কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে বড় ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী। পরেশ অধিকারীর মামলা শুনবে না বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা থেকে অব্যাহতি চাইল বিচারপতি হরিশ টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।

    গতকাল, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ের চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মামলাকারীদের দাবি, পার্সোনালিটি টেস্টে না বসেও এবং মেধাতালিকায় নাম না থেকেও অঙ্কিতা চাকরি পেয়েছেন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার জেরেই পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: আজই হয় হাজিরা সিবিআইয়ে নয়তো হেফাজত, গ্রেফতারি এড়াতে ডিভিশন বেঞ্চে মন্ত্রী পার্থ

    নির্দেশকে চ্যালেঞ্চ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান পরেশ অধিকারী। সিবিআই-জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি টন্ডনের বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মামলা থেকে অব্যাহতি চান বিচারপতি টন্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছিল, মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দিতে হবে পরেশ অধিকারীকে। কিন্তু, কলকাতায় না থাকায় সেই হাজিরা দেননি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সেই সময় তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন।

    এদিকে, পরেশের কলকাতায় আসা নিয়েও তৈরি হয় ধোঁয়াশা। গতকাল আদালত যখন রায় দিচ্ছিল, সেই সময় মেখলিগঞ্জে ছিলেন পরেশ। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তিনি মেয়ে অঙ্কিতাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে রাত পৌনে ৮টার পদাতিক এক্সপ্রেসে চড়ে রওনা হন কলকাতার উদ্দেশে। কিন্তু, বুধবার সকালে দেখা যায়, পদাতিক এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে কলকাতায় পৌঁছলেও, তাতে নেই মন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা। আজ সকাল ৬টা ৪৫-এ শিয়ালদা স্টেশনের ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছয় পদাতিক এক্সপ্রেস। ট্রেন অ্যাটেন্ড্যান্ট জানান, এইচ-১ কামরার নম্বর সি কুপে ছিলেন পরেশ অধিকারী ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী।

    ট্রেনের অ্যাটেন্ড্যান্ট দাবি করেন, মাঝপথেই  ট্রেন থেকে নেমে যান মন্ত্রী ও তাঁর কন্যা। পরে, জানা জায়, বর্ধমান স্টেশনে নেমে যান তাঁরা। স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি। জানা গিয়েছে, ভোর ৪: ৫২ মিনিটে বর্ধমান স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে থামে পদাতিক এক্সপ্রেস৷ মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর সঙ্গে ভোর ৪: ৫৬ মিনিট নাগাদ দেখা যায় পরেশ অধিকারীকে৷ এরপর ভোর ৫:০৪ মিনিট নাগাদ বর্ধমান স্টেশন চত্বর থেকে একটি সাদা স্করপিও গাড়িতে করে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় পরেশ অধিকারীকে৷

    আরও পড়ুন: “সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও ভুল নেই”, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহাল সিবিআই তদন্ত

  • Beat-Heat: রাস্তায় ফ্রিজ,খুললেই মিলছে ঠান্ডা জল, গরমে মানবিকতার ছবি শহরে

    Beat-Heat: রাস্তায় ফ্রিজ,খুললেই মিলছে ঠান্ডা জল, গরমে মানবিকতার ছবি শহরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঠফাটা রোদে রাস্তায় বেরিয়ে জলের জন্য হাহাকার করছেন অনেকে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জলের সংকট দেখা গিয়েছে।   এই পরিস্থিতিতে বাড়ির ফ্রিজ রাস্তায় রেখে পথচারীদের সেবা করছেন কলকাতার তরুণ তুর্কি মোহাম্মদ তৌসিফ রহমান আর মুদর পাথারেয়া।

    আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ২৯ বছরের তৌসিফ প্রায় এক মাস ধরে নিজের বাড়ির ফ্রিজ রাস্তায় রেখে দিয়েছেন। প্রতিদিন ফ্রিজে ৩০টির বেশি জলের বোতল রেখে দিচ্ছেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছেন মুদর। তবে এই ভাবনা কিন্তু মুদরের মেয়ের। যিনি ভিন দেশ থেকে তাঁর বাবাকে জানিয়েছেন, কাতারে নাকি একরকম চিন্তা ভাবনা বাস্তবায়িত হয়েছে। মজার ব্যাপার হল,সারা দিন যখন জল শেষ হচ্ছে,তখন সাধারণ মানুষ নিজেরাই গিয়ে জল ভরে দিচ্ছেন। যে কোনও পথচারী নিজের পিপাসা মেটানোর তাগিদে এখানে এসে ঠান্ডা জল পান করতে পারেন। তার জন্য অর্থ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    [fb]https://www.facebook.com/La.Kolkata.Tales/photos/a.103020028208928/524916896019237/?type=3[/fb]

    এই গরমে ঠান্ডা জলের হাহাকার সর্বত্র। জুস, লস্যি থেকে নরম পানীয়,বিক্র হচ্ছে সব জায়গায়। ঠান্ডা জলের বোতলেরও বিক্রি বেড়েছে বেশ কিছুটা। সেখান থেকে সাধারণের জন্য এরকম অসাধারণ ভাবনা তৌসিফকে সবার কাছে প্রিয় করে দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, শহরের প্রতি,  ভালবাসা, মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদেই তাঁর এই প্রয়াস।

  • Partha Chatterjee: হাইকোর্টে খারিজ রক্ষাকবচের আবেদন, ফের সিবিআই তলব পার্থকে

    Partha Chatterjee: হাইকোর্টে খারিজ রক্ষাকবচের আবেদন, ফের সিবিআই তলব পার্থকে

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: মিলল না রক্ষাকবচ। হাইকোর্ট থেকে খালি হাতেই ফিরতে হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় ফের একবার ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

    সিবিআই হাজিরা এবং হেফাজত এড়াতে সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রক্ষাকবচের আবেদন করেছিলেন পার্থ। তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কোনও কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, বা তাঁকে যাতে সিবিআই হেফাজতে না নেয় তার জন্যই আর্জি পেশ করা হয়েছিল।  একইসঙ্গে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ থেকে মন্ত্রীপদ ছেড়ে দেওয়ার সুপারিশের বিষয়টি বাদ দেওয়ার আবেদনও জানান পার্থর আইনজীবী। এদিন জোড়া আবেদন খারিজ করে দেয় বেঞ্চ। ফলে, প্রয়োজনে সিবিআই হেফাজতে নিতে পারবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। 

    বুধবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই শুনানির সময় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রীত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়ারও পরামর্শ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুপুরে আদালতের এই কড়া নির্দেশের পরেই বুধবার সন্ধ্যায় সিবিআই-এর মুখোমুখি হন পার্থ, চলে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    বৃহস্পতিবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান পার্থ। সেই মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে নেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের সিদ্ধান্ত অনুসারে মামলাটি যায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বে়ঞ্চে। সেখানে গৃহীত হয় মামলা। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি না হয়ে, তা হয় শুক্রবার।

    এদিন পার্থর রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ করার পাশাপাশি, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণই বজায় রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যাযের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখুন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল। সেই অংশটি নিয়েও আপত্তি তুলেছিলেন পার্থর আইনজীবীরা। ডিভিশন বেঞ্চ সেই আপত্তি মানল না। আদালতের তরফ থেকে বলা হল, এই অংশটি বাধ্যতামূলক নয়, তবে এই অংশটি বাদও যাচ্ছে না। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ রাজ্য বা তদন্তকারীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।”

    আরও পড়ুন: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    এরইমধ্যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফের একবার তলব করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে দিনটা জানায়নি সিবিআই৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আরও তথ্য জানতে চায় সিবিআই। প্রথমবার বয়ানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হয়েছে। তথ্য খতিয়ে দেখার পর যে নতুন প্রশ্ন উঠেছে তারই উত্তর চাইবে সিবিআই। তাই তাঁকে ফের তলব৷

  • Pallavi Dey Death: দক্ষিণ কলকাতার আবাসন থেকে টেলি অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুন না আত্মহত্যা? 

    Pallavi Dey Death: দক্ষিণ কলকাতার আবাসন থেকে টেলি অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, খুন না আত্মহত্যা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মহত্যা নাকি খুন? উঠতি অভিনেত্রীর রহস্য মৃত্যুতে বিভক্ত টলি পাড়া। রবিবারে যখন ছুটির মেজাজে কলকাতা তখনই আকাশ ভেঙে পড়ল টলি পাড়ায়। খবর এল তাদেরই এক সহকর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁরই ফ্ল্যাট থেকে। এই তো কালই কথা হল মেয়েটার সাথে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তো কাল রাতেও অ্যাক্টিভ ছিল, হেসে হেসে পোজ দিচ্ছিল ক্যামেরায়। এক রাতে এমন কী হল প্রাণবন্ত মেয়েটার? সবার মনে তখন একটাই প্রশ্ন।      

    রবিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার গড়ফার আবাসন থেকে টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দের (Pallavi Dey) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়েই কাল চলল দিনভরের টানাপোড়েন। পল্লবীর পরিবার তাঁর লিভ-ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে গড়ফা থানায়। তাদের বক্তব্য, ‘খুনই করা হয়েছে ওকে। কেউ যদি আত্মহত্যা করার কথা ভাবে, তার আগে কি নতুন কোনও রান্না শিখতে চায়?’ পল্লবীর প্রেমিক তথা লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর যদিও দাবি,  যদিও পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গীর দাবি, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। প্রাথমিক ময়না তদন্তের রিপোর্টেও দাবি, আত্মহত্যা করেছেন পল্লবী।  

    গড়ফার আবাসন থেকে ‘আমি সিরাজের বেগম’-এর ‘লুৎফা’-র নায়িকার ঝুলন্ত দেহ যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তাঁর গলায় বিছানার চাদর জড়ানো ছিল। দরজা ভেঙে ঢুকে  ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বলে দাবি করেন পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তী। তারপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।  

    রবিবার সন্ধ্যায় পল্লবীর ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে। তাতে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে মুখ খোলা হয়নি। আপাতত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। সেই রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে সূত্রের খবর।

    পল্লবীর পরিবার বার বার অভিনেত্রীকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে। হাওড়ার রামরাজাতলার মেয়ে পল্লবীর বাবার দাবি, শনিবারই নাকি ফোন করে মায়ের কাছে ডালনার রেসিপি জানতে চেয়েছিলেন পল্লবী। তারপরই তাদের প্রশ্ন, কেউ যদি আত্মহত্যা করার কথা ভাবেন, তার আগে কি নতুন কোনও রান্না শিখতে চান? অভিনেত্রীর বাবা আরও বলেন, পল্লবী খুব বুঝদার মেয়ে ছিলেন। আত্মহত্যা করার মতো মানুষ নন তিনি।  

    সাগ্নিক যদিও নিজের দাবিতে অনড়। তাঁর বক্তব্য আত্মহত্যাই করেছেন পল্লবী। তাঁর সহকর্মী এবং বন্ধুদেরও দাবি পল্লবী আত্মহত্যা করার মতো মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন না। পল্লবীর পরিচিত অনেকেই দাবি করেছেন, পল্লবীর সাথে প্রেমিকের বেশ কিছুদিন ধরেই সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। সেটাই মৃত্যুর কারণ কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।    

     

     

  • Rima Chatterjee: রূপকথাকেও হার মানাবে বার্নার্ড ক্যাসেলের বাঙালি মেয়রের জীবনের গল্প 

    Rima Chatterjee: রূপকথাকেও হার মানাবে বার্নার্ড ক্যাসেলের বাঙালি মেয়রের জীবনের গল্প 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন এক রূপকথার গল্প। বিশ্বজয় করলেন বঙ্গকন্যা। ইংল্যান্ডের (England) ডারহাম কাউন্টির বার্নার্ড ক্যাসেলের প্রথম বাঙালি মেয়র (Mayor) রিমা চট্টোপাধ্যায় (Rima Chatterjee)। উত্তর ইংল্যান্ডের ডারহাম কাউন্টির ছোট্ট শহর বানার্ড ক্যাসেল (Barnard Castles)। শহরের আনাচে-কানাচে লেগে আছে ইতিহাসের ছোঁয়া। আর কিছুটা আছে বাঙালিয়ানার ছাপ। বার্নার্ড ক্যাসেলের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে কষা মাংস, রসগোল্লা এবং ফুচকা পর্যন্ত পাওয়া যায়৷ এই শহরে খুঁজে পাওয়া যায় এক টুকরো কলকাতা। এসবই সম্ভব হয়েছে এক বাঙ্গালির জন্য। বাংলার মেয়ে রিমা চট্টোপাধ্যায় এই  ছোট্ট শহরটির বর্তমান মেয়র। প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি হিসেবে বার্নার্ড ক্যাসেলের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।   

    রিমার জন্ম কলকাতায়। কলকাতার লরেটো হাউজ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাস করার পর হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়তে গোয়া যান৷ বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে ইংল্যান্ডে চলে যান। সেই  থেকেই যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা তিনি। সম্প্রতি তিনি বার্নার্ড ক্যাসেলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন। 
      
    জীবনের শুরুতে রিমা চট্টোপাধ্যায় তাঁর স্বামী রয়ের সঙ্গে লাগোস, ইথিওপিয়া ও ব্রিটেনের একাধিক জায়গায় রেস্তোরাঁর ব্যবসা করেছেন। সেই সূত্রে বছর দশেক আগে উত্তর ইংল্যান্ডের ডারহাম কাউন্টির বার্নার্ড ক্যাসেলে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। একটি পরিত্যক্ত সরাইখানা কিনে সেটিকে রেস্তোরাঁয় রূপান্তরিত করেন। এই রেস্তোরাঁটির মাধ্যমেই তিনি বেশ কিছু বাঙালি পদ যেমন মাছ ভাজা, কষা মাংসকে ইংল্যান্ডে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। 

    এভাবেই বেশ চলছিল। হঠাৎ করেই একদিন নাম লেখান ইংল্যান্ডের রাজনীতিতে। সাফল্যের সঙ্গে প্রবাসে শুরু হয় তাঁর রাজনৈতিক জীবন। দু’দুবার বার্নার্ড ক্যাসেলের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। কাউন্সিলর পদে বসার পর এমন কিছু কাজ করে দেখান যা এই শহরের আমূল পরিবর্তন আনে। পান বিপুল জনসমর্থন। এখন তিনি শহরটির মেয়র।  

    এত বছর ইংল্যান্ডে থাকলেও তিনি ভুলতে পারেননি তিলোত্তমা কলকাতাকে। শহরটির কথা মাঝেমাঝেই উঠে আসে স্মৃতিচারণায়৷ কষা মাংস, ঘি দিয়ে মাখা গরম ভাত খুব মিস করেন।  

     

  • Amit shah: শুভেন্দুকে নিয়ে সৌরভের বাড়িতে ‘শাহি’ভোজ অমিতের, কী ছিল মেনুতে?

    Amit shah: শুভেন্দুকে নিয়ে সৌরভের বাড়িতে ‘শাহি’ভোজ অমিতের, কী ছিল মেনুতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাজের বাড়িতে ‘শাহি’ভোজ সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার রাতে সৌরভ (Sourav) গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে আয়োজিত ওই ভোজের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু  (Suvendu) অধিকারী, বিজেপি নেতা অমিত মালব্য (Amit Malviya) প্রমুখ। সৌরভের বাড়ির এই ভোজ নিয়ে ফের একবার অক্সিজেন পেল মহারাজের বিজেপি যোগের জল্পনা।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের (2021 West Bengal Assembly election) আগে আগে মহারাজ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে গুঞ্জন ছড়ায়। তাঁকে নিরস্ত করতে শিলিগুড়ি থেকে সৌরভের বাড়িতে ছুটে আসেন সিপিএম নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার তৎকালীন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তার পরেই সৌরভ জানিয়ে দেন, তাঁর বিজেপিতে যোগদানের খবর নিছকই রটনা।

    তবে সৌরভকে যে দলে পাওয়ার আশা একেবারেই ছাড়েননি বিজেপি নেতৃত্ব, তার প্রমাণ মিলল শুক্রবার। এদিন ভিক্টোরিয়া মেমরিয়ালে মুক্তি মাতৃকা নামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন মহারাজের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের স্কুল দীক্ষা মঞ্জরী। ওই অনুষ্ঠান শেষে শাহ সোজা চলে যান সৌরভের বাড়িতে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দু, অমিত সহ কয়েকজন বিজেপি নেতা। এদিনের মেনুতে ছিল, ভাত, রুটি, লুচি, বেগুন ভাজা, শাহি পনির, ডাল মাখানি, আলুর দম, ভেজ কাটলেট, কাজু বরফি, মিষ্টি দই এবং রসগোল্লা। অতিথিদের সঙ্গে এদিন নৈশভোজ সারেন গৃহকর্তা সৌরভ ও তাঁর দাদা স্নেহাশিস। খাওয়াকালীন পর্বের পুরো সময়টাই ডোনা ছিলেন তদারকিতে।

    অমিত শাহ যে শুক্রবার মহারাজের বাড়িতে নৈশভোজ সারবেন, সে খবর ছড়িয়েছিল আগেই। ঘটনার দিকে শ্যেনদৃষ্টি ছিল তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের। যদিও এই ‘শাহি’ ভোজের’ আয়োজন নিছকই সৌজন্যমূলক, দাবি গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের। নৈশভোজ প্রসঙ্গে সৌরভ বলেন, ২০০৮ সাল থেকে আমি ওঁকে (অমিত শাহ) চিনি। আমি ওঁর ছেলের সঙ্গে কাজ করি। তিনি আমার বাড়িতে এসেছেন। নিরামিষ থালির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন (2024 LS Election)। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি (BJP)। লোকসভা নির্বাচনে হেভিওয়েটদের প্রার্থী করে চমক দিতে চাইছে বিজেপি। সেই তালিকায় সৌরভ থাকেন কিনা, সেটাই দেখার।

  • Rain in Kolkata: সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শহরজুড়ে, জল জমল দক্ষিণ থেকে উত্তরে

    Rain in Kolkata: সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শহরজুড়ে, জল জমল দক্ষিণ থেকে উত্তরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে রোদের দেখা মিলেছিল। মুহূর্তে তিলোত্তমার আবহাওয়া পরিবর্তন। কলকাতায় (Kolkata) জুড়ে তুমুল বৃষ্টি (Rain in Kolkata)। ইতিমধ্য়েই, মহানগরীর একাধিক রাস্তায় জল জমে যাওয়ার খবর মিলেছে। দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) অবস্থিত নিম্নচাপের জেরে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (IMD) সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি জারি থাকবে। ঘূর্ণিঝড় অশনি (Cyclone Asani) আসার আগেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও। মনে করা হচ্ছে, প্রত্যক্ষ না হলেও সাইক্লোন অশনির পরোক্ষ প্রভাবেই বৃষ্টি শহর কলকাতায়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমেছে বলে খবর। সায়েন্স সিটি গামী রাস্তায় জল জমেছে। যার জেরে দিনের ব্যস্ত সময়ে যান চলাচল খানিকটা শ্লথ হয়েছে। অফিস টাইমে বৃষ্টিতে নাকাল হতে হয় শহরবাসীকে। আধঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পরে শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট। জলমগ্ন বিদ্যাসাগর সেতুতে শুরু হয়ে যায় যানজট। বৃষ্টিতে জলমগ্ন সেন্ট্রাল এভিনিউ, সেক্টর ফাইভের বেশ কিছু এলাকা।

    ‘অশনি’ (Asani) সংকেতের মাঝেই কালো মেঘে ঢাকল কলকাতার আকাশ। শহরজুড়ে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় সোমবার সকাল থেকেই। পুরসভা (KMC) সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতার বালিগঞ্জে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বালিগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ৫৭ মিমি। মোমিনপুরে বৃষ্টির পরিমাণ ৫৫ মিমি। সার্দার্ন অ্যাভিনিউতে বৃষ্টি হয়েছে ৫৩ মিমি।

    অশনির প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগণায়  আজ, সোমবার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ৷ আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ বাসিন্দাদের বলা হয়েছে নিরাপদ স্থানে থাকতে ৷ ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই বুধ ও বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। শুক্রবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

     

  • Paresh Adhikary: নির্ধারিত সময়ে সিবিআই হাজিরা দিলেন না, কলকাতা রওনা দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ

    Paresh Adhikary: নির্ধারিত সময়ে সিবিআই হাজিরা দিলেন না, কলকাতা রওনা দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় মুখ পুড়ল স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission)। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ের চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের (CBI probe) নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি, তাঁকে মন্ত্রী পদ সরানোর জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালত অনুরোধ করেছে। একইসঙ্গে তদন্তের খাতিরে মামলার সঙ্গে জড়িত যে কোনও কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের স্বাধীনতা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

    রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment) মামলায় বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এল। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে অঙ্কিতা মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। মামলাকারীদের দাবি, পার্সোনালিটি টেস্টে না বসেও এবং মেধাতালিকায় নাম না থেকেও অঙ্কিতা চাকরি পেয়েছেন। 

    এই ঘটনায় মঙ্গলবার সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।  এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার জেরেই পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছিল, মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দিতে হবে পরেশ অধিকারীকে। 

    কিন্তু, সেই হাজিরা দেননি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, এদিন আদালত যখন রায় দিচ্ছে, তখন মেখলিগঞ্জে ছিলেন পরেশ। সূত্রের খবর, নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তিনি মেয়ে অঙ্কিতাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। ফলে, ৮টার মধ্যে তিনি যে কলকাতায় হাজির হচ্ছেন না, তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। 
    তবে, এদিনই জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে রাত পৌনে ৮টার পদাতিক এক্সপ্রেসে চড়ে রওনা হন কলকাতার উদ্দেশে। 

    তার আগে, আদালতের রায় নিয়ে পরেশকে প্রশ্ন করা হলে, রায় সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। পরেশ বলেন, ‘‘এ প্রসঙ্গে আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হয়নি। যে হেতু কোর্টের বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে কোনও উত্তর দিতে পারছি না। কোর্টের কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতে পারছি না। যা কিছু বলা হচ্ছে, সে তো একতরফা ভাবে বলা হচ্ছে। কোর্টের কাগজ হাতে পাওয়ার পরে নিশ্চয়ই জবাব দেব।’’

    এদিকে, নিজাম প্যালেস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পরেশকে ফোন করা হলেও সে সময় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাঁর ফোন বন্ধ করা ছিল বলে দাবি। এর পর সিবিআই আধিকারিকরা মন্ত্রীকে মেসেজ করেন। তাতে জানতে চাওয়া হয়, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো তিনি কখন কলকাতায় সিবিআই দফতরে আসছেন? ওই সূত্র মারফত খবর, পরেশের জন্য রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

    পরেশ অধিকারীর মেয়ের স্কুল শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জালিয়াতির মামলা কোন দিকে এগোয়, এখন দেখার সেটাই।

  • KK Demise: “আলবিদা..!” গানই  শেষ সঙ্গী, দর্শকই বন্ধু, সুরলোকে কে কে

    KK Demise: “আলবিদা..!” গানই শেষ সঙ্গী, দর্শকই বন্ধু, সুরলোকে কে কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ‘অলবিদা…’। ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ সিনেমায় তাঁর গাওয়া বিখ্যাত গান। সুরের শহর কলকাতাকে সেই কথাই হয়তো জানাতে এসেছিলেন কেকে (K K Demise)। 

    পুরো নাম কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Krishnakumar Kunnath), তবে পরিচিত ছিলেন কেকে (K K) নামেই। দিল্লিতে ১৯৬৮ সালের ২৩ অগাস্ট তাঁর জন্ম। ছোটবেলায় ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিরোরিমল কলেজে পড়াশোনা করেছেন কে কে। বাণিজ্যে স্নাতক। পরে একটি হোটেলে কাজ করতেন। তবে আট মাস পর হোটেলের সেই চাকরি ছেড়ে দেন ভবিষ্যতের তারকা।

    ‘মাচিস’ ছবির  বিখ্যাত গান ‘ছোড় আয়ে হাম ও গলিয়া…’ দিয়ে বলিউডে পা রাখেন কেকে। সেই গানে তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছিলেন  হরিহরণ। এরপর এক এক করে বলিউডে কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন।হিন্দি ছাড়াও বাংলা, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালায়লাম, মারাঠি, ভাষায় প্লেব্যাক করেছেন। ২০০৫ সালে তামিল ভাষায় সেরা নেপথ্যশিল্পী নির্বাচিত হন।

    ২০১০ সালে কন্নড় ভাষায় দক্ষিণের ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান। অসংখ্য কালজয়ী গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কেকে। প্রেম, বন্ধুত্ব বা বিরহ সব ধরনের গান সমানতালে চালিয়ে গেছেন তিনি। মঙ্গলবার কলকাতায় একটি লাইভ কনসার্টে এসেছিলেন জনপ্রিয় এই শিল্পী। তাঁর এই আসা যে শেষ যাত্রায় পরিণত হবে এ কথা কে জানত! মাত্র ৫৩ বছর বয়সে থেমে গেল কণ্ঠ। না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন কেকে।

    জীবনের শেষ দিনেও গানই ছিল তাঁর সঙ্গী। অগণিত শ্রোতা ছিল তাঁর বন্ধু। একের পর এক গান করে চলেছেন প্রিয় গায়ক। পরনে টি শার্ট। কেকে-কে মঞ্চে দেখে উন্মাদনার শেষ নেই ভক্তদের মধ্যে। তাঁরাও গলা মেলাচ্ছিলেন প্রিয় গায়কের সঙ্গে। পর মুহূর্তে কী ভয়ানক সংবাদ অপেক্ষা করে রয়েছে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কেউ। ৩১ তারিখ শ্রী গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের জন্য শো করতে নজরুল মঞ্চে (Nazrul Manch) ওঠেন তিনি। এদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তিনি মঞ্চে ওঠেন। এরপর একের পর এক গানে মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। শিল্পীকে চোখের সামনে দেখে উল্লাসে, আনন্দে ফেটে পড়ছিলেন ভক্তরা। 

    [tw]


    [/tw]

    কণ্ঠে সুরের ঝাঁপি আর হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে দর্শকদের মনোরঞ্জন করছিলেন তিনি। হাততালিতে ফেটে পড়ছিল হল। গান শুরু হতেই উৎসাহ-উত্তেজনায় দর্শকদের গলা ফাটিয়ে চিৎকার। হবে না-ই বা কেন! মঞ্চে যিনি গান গাইতে উঠেছেন, তিনি তো আর সাধারণ কেউ না। বলিউডের তারকা নেপথ্যগায়ক কেকে। নজরুল মঞ্চে হাজির দর্শক-শ্রোতারা দেখলেন, ৫৩ বছর বয়সি এক জন গায়ক কতটা তরতাজা।

    গান গাইতে গাইতে মঞ্চের এ পাশ থেকে অন্য পাশে দাপিয়ে বেড়াতেও দেখা গেল কেকে-কে। কখনও দর্শকদের উদ্দেশে ‘ফ্লাইং কিস’ ছুড়ে দিচ্ছেন, তো কখনও আবার গান গাইতে গাইতে নিজের মনেই লাফাচ্ছেন। তবে অনুষ্ঠানের শেষের দিকে বেশ ক্লান্ত লাগছিল। স্পটলাইট নিভিয়ে দিতে বলেন। যাঁর গানের সুরে ভারতের আপামর শ্রোতা মুগ্ধ, তাঁর আবার স্পটলাইটের দরকারই কী! স্পটলাইট নেভাতেই শতাধিক ফোনের ফ্ল্যাশলাইটের ঝলকানি গানের পরিবেশে অন্য এক মাত্রা যোগ করে দিল।

    গান গাইতে গাইতে গায়ককে দরদর দরদর করে ঘামছিলেন। মাঝে মাঝে সাদা তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিচ্ছিলেন। তবে চোখে মুখে বিরক্তির লেশমাত্র ছিল না। অনুষ্ঠান শেষ হতেই চলে যান ধর্মতলার বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানে পৌঁছে শারীরিক অবস্থার অবনতি। সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে কেকে-র (K K)।

    প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু। শারীরিক কষ্ট উপেক্ষা করেই কি অনুষ্ঠান করেছিলেন কেকে? উঠছে প্রশ্ন? তবে নিজে বুঝে থাকলেও, শারীরিক অসুবিধার কথা বুঝতে দেননি দর্শকদের। দক্ষ জাদুকরের মতো সুরের জাদু দেখিয়েছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। 

    “হাম রহে ইয়া না রহে কাল… ইয়াদ আয়েগি ইয়ে পল” 

  • Partha Chatterjee: হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    Partha Chatterjee: হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, রক্ষাকবচের জন্য ছুটছেন মন্ত্রী পার্থ, কিন্তু পাবেন কি?

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই হাজিরা থেকে ‘রক্ষাকবচ’ পেতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইভাবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও তিনি আবেদন করেছেন বর্তমান শিল্পমন্ত্রী। ফলে, আজ শুক্রবার, দুই আদালতে জোড়া শুনানির সম্ভাবনা। 

    এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উপরে উঠে আসে। নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি গঠনের অনুমোদন দিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সেটিও সম্পূর্ণ বেআইনি ছিল৷ এই প্রেক্ষিতে, তাঁকে সিবিআই অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: নিজাম প্যালেসে সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে

    সিবিআই-এর হাজিরা এড়ানোর জন্য পার্থবাবু বুধবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ কোনও নির্দেশ দিতে রাজি হয়নি। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে সেই মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। পাশাপাশি, সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি মামলা ফিরিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। যার জেরে, সেদিন সন্ধ্যায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। সেখানে তাঁকে প্রায় সাড়ে তিন-ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

    সূত্রের খবর, বর্তমানে উপদেষ্টা কমিটির  সঙ্গে তাঁর বক্তব্য মিলিয়ে দেখছে সিবিআই। পার্থ বিলক্ষণ জানেন, এক্ষেত্রে কোনও রকম অসঙ্গতি দেখা দিলে তাঁকে পুনরায় সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হতে পারে। ঘন ঘন ডাকা হতে পারে তাঁকে ৷ এমনকী প্রয়োজন পড়লে তৃণমূল মহাসচিবকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই ৷ সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ কড়া ব্যবস্থার হাত থেকে বাঁচতে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: “কান টানলেই মাথা আসবে…”, কার দিকে ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আবেদন করেন পার্থ। কিন্তু, সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে করা তাঁর আবেদন শোনেনি কোনও বেঞ্চই৷ ব্যক্তিগত কারণে এই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে নেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ।

    সেই শুরু। মামলাটি ফেরত যায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে। তিনি মামলাটি পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে। সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনটি গ্রহণ করে। সেখানে পার্থর আইনজীবীর তরফে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করা হলে, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার সাফ জানান, কোনওভাবেই বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি সম্ভব নয়। তিনি জানান, শুক্রবার মামলাটি শুনতে পারেন। আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির পরামর্শ আগামীকাল (অর্থাৎ শুক্রবার) চেষ্টা করুন। 

    আরও পড়ুন: নথি নষ্টের আশঙ্কায় “সিল” এসএসসি দফতর, নিরাপত্তায় সিআরপিএফ, মধ্যরাতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    এদিকে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন মন্ত্রী৷ বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে তিনি স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছেন। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তিনি আবেদন করেছেন যে, স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় তাঁকে কখনোই ‘পক্ষ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে সিবিআই অফিসে যেতে হচ্ছে তাঁকে। 

    এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তৃণমূল নেতা। ফলে আগামীদিনে সেই পদক্ষেপের হাত থেকে বাঁচার জন্য এদিন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন পার্থ। তাঁর সেই আবেদন গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলাটির শুনানি হতে পারে। ফলে আজ পার্থর এই জোড়া আবেদনের ফল কী হয় সেদিকেই দৃষ্টি থাকবে সকলের৷

     

LinkedIn
Share