Tag: Krishnanagar

Krishnanagar

  • Modi Rally in Krishnagar: আজ কৃষ্ণনগরে মোদির সভা, সিএএ নিয়ে কি বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী?

    Modi Rally in Krishnagar: আজ কৃষ্ণনগরে মোদির সভা, সিএএ নিয়ে কি বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi Rally in Krishnagar)। আজ, ২ মার্চ বাংলায় মোদির সফরের দ্বিতীয় দিন। সামনে লোকসভা নির্বাচন। শনিবার সেই লক্ষ্যেই কৃষ্ণনগরে সভা করবেন তিনি। তাঁর আগে একাধিক সরকারি প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহর জুড়ে ট্র্যাফিক কন্ট্রোলও করা হয়েছে। শুক্রবার আরামবাগে জনসভা করেছেন মোদি। সেই মঞ্চ থেকে বাংলার শাসক দলকে নিশানা করেছেন তিনি। আজ কৃষ্ণনগরের জনসভায় সিএএ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কোনও বার্তা দেন কি না তার দিকেই নজর রয়েছে রাজনীতিকদের।

    আজ মোদির কর্মসূচি

    প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে যে সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজভবন থেকে সড়ক পথে বেরবে মোদির কনভয়। ৯টা ৪০ মিনিটে আরসিটিসি হেলিপ্যাড থেকে উড়বে মোদির কপ্টার। সকাল সাড়ে দশটায় অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছনোর কথা মোদির। সাড়ে দশটা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত সরকারি অনুষ্ঠান থেকে একাধিক সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সকাল ১১টা ৫ মিনিটে অনুষ্ঠান স্থল থেকে সড়ক পথে বেরিয়ে যাওয়ার কথা তাঁর। ১১টা ১০ মিনিটে এসে পৌঁছনোর কথা জনসভার স্থলে। সূচি অনুযায়ী সওয়া ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কৃষ্ণনগরে দলীয় সভা করার কথা মোদির। ১২টা ১০ মিনিটে কৃষ্ণনগর থেকে উড়বে মোদির কপ্টার। ১২টা ৫৫ মিনিটে পানাগড় থেকে মোদির বিমান উড়ে যাবে বিহারে।   

    মতুয়াদের উদ্দেশে বার্তা

    কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মতুয়া ভোটের প্রভাব রয়েছে বেশ ভালো। মতুয়াদের দীর্ঘদিনের দাবি সিএএ। আজ কৃষ্ণনগর থেকে সিএএ নিয়ে কোনও বার্তা প্রধানমন্ত্রী দেন কি না, সেদিকে নজর রয়েছে বঙ্গবাসীর। বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের হিন্দু সহ ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতেই আনা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। ২০১৯ সালে এই আইনটি সংসদের অনুমোদন পেয়ে তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর দাবি করেছিলেন, শীঘ্রই সিএএ কার্যকর হবে। কেন্দ্রীয় স্বরষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলাতেও শোনা গিয়েছিল একই সুর। উল্লেখ্য, সিএএ কার্যকর হলে, তার সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে বাংলাতেই। বাংলাদেশ লাগোয়া নদিয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনায় এর প্রভাব আরও বেশি করে পড়তে পারে। বিগত ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব ইস্যুতেই মতুয়া ভোটের সিংহভাগ বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী কি বার্তা দেন তারই অপেক্ষায় মতুয়া সম্প্রদায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2023: জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন বাংলায় কীভাবে? জানুন ইতিহাস

    Jagadhatri Puja 2023: জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন বাংলায় কীভাবে? জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজো, ভাইফোঁটার পর এবার জগদ্ধাত্রী পুজো। জগদ্ধাত্রী পুজোকে (Jagadhatri Puja 2023) ঘিরে উৎসবমুখর বাঙালির নজর এবং গন্তব্য থাকে দুটি জায়গায়–একটি কৃষ্ণনগর এবং অপরটি চন্দননগর। রাজনৈতিক দলগুলির সমাবেশ ‘ব্রিগেড চলো’, ‘কলকাতা চলো’ ইত্যাদি নামে পরিচিত। জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন কোনও রাজনৈতিক দল ডাক না দিলেও ‘কৃষ্ণনগর চলো’ এবং ‘চন্দননগর চলো’ ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয় রাজ্যের বড় অংশের মানুষ। সুসজ্জিত মণ্ডপ, দুর্দান্ত আলোকসজ্জা, মাতা জগদ্ধাত্রীর প্রতিমা দেখতে লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এই দুই শহরে। জমজমাট জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2023) জন্য ভারতীয় রেল বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করে। রাত বাড়লে মানুষের ঢল নামতে দেখা যায়। কিন্তু জানেন কেন এই দুই শহরের জগদ্ধাত্রী পুজো এত জনপ্রিয়? এর নেপথ্যে ইতিহাস কী? কারা শুরু করেছিল এই পুজো?

    জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন কীভাবে হল?

    উত্তর জানতে আমাদের যেতে হবে নবাব আলিবর্দী খাঁ-এর আমলে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে ১২ লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করেন নবাব‌। কৃষ্ণচন্দ্র রায় দিতে অপারগ হলে, তাঁকে বন্দি করে নবাবের বাহিনী। মুর্শিদাবাদ অথবা বিহারের মুঙ্গেরে রাজাকে রাখা হয় বলে জানা যায়। মুক্তির পর নদীপথে নিজের রাজ্যে ফিরছিলেন রাজা। এমন সময় বিজয়া দশমীর প্রতিমা নিরঞ্জনের বাজনা শুনে তাঁর অন্তরে আকুলতা তৈরি হয়। দুর্গাপুজোয় অংশ না নিতে পারার আকুলতা। প্রাসাদে ফিরে রাজা মনের দুঃখে ঘুমোতে যান। কথিত আছে, ওই রাতে মাতা দুর্গা রাজাকে স্বপ্ন দেন, শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2023) রূপে তাঁকে পুজো করতে হবে। তখন থেকেই নাকি কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা।

    অন্য একটি মতে, ১৭৬৬ সালে কৃষ্ণনগরের রাজবাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা হয়। আবার অনেকে কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপৌত্র গিরিশচন্দ্রকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রবর্তক মনে করেন। কৃষ্ণনগরের প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজোগুলোর মধ্যে চাষা পাড়াতে বুড়িমার পুজো অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। ৭৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দ্বারা মাতা জগদ্ধাত্রীকে (Jagadhatri Puja 2023) সাজানো হয় এখানে। এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত বলে এলাকার মানুষ মনে করেন এবং দেবী তাঁর ভক্তদের সমস্ত মনস্কামনাও পূর্ণ করেন বলেই বিশ্বাস। এই পুজো শুরু হয় ১৭৯০ সালে। জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দরজা খুলে রাখার রীতি আজও চোখে পড়ে। তৎকালীন কৃষ্ণনগরের রানিমা রাজবাড়িতে বসেই প্রতিমা দর্শন করতেন। নিরঞ্জনের পূর্বে প্রতিমা রাজবাড়ির সামনে থেকে একবার ঘুরিয়ে আনতে হয়, এটাই এখানকার রীতি।

    চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর ইতিহাস

    অন্যদিকে ফরাসি ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল চন্দননগর। এখানকার জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2023) পুজোর সূচনা করেন ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অত্যন্ত  ঘনিষ্ঠ ছিলেন ইন্দ্রনারায়ণ। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন চন্দননগরের ফরাসি সরকারের দেওয়ান। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রনারায়ণ চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেন। তাঁর প্রচলিত পুজো চন্দননগরে আদি পুজো নামে বিখ্যাত। জনশ্রুতি আছে, আদি প্রতিমাকে জলে নিরঞ্জন করা মাত্রই শুশুক বা সাপের দেখা পাওয়া যায়। স্থানীয় বিশ্বাসে এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত এবং ভক্তদের সকল মনস্কামনা পূর্ণ করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Border: বাংলাদেশ যাওয়ার নতুন একটি রুট চালু হতে চলেছে, কোথায় জানেন?

    India Bangladesh Border: বাংলাদেশ যাওয়ার নতুন একটি রুট চালু হতে চলেছে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্কের আরও এক ঐতিহাসিক স্বীকৃতি ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশের নতুন যোগাযোগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে। খুব শিগগিরই চালু করা হবে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Border) হৃদয়পুর চেকপোস্ট। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই চেকপোস্টে যাতায়াতের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়ে উঠবে।

    কী বললেন বাংলাদেশের হাই কমিশনার?

    সম্প্রতি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Border)  নদীয়ার হৃদয়পুর চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসেছিলেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার আন্দালিপ ইলিয়াস। নদীয়ার চাপড়া ব্লকের হৃদয়পুর সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। তিনি বলেন, “এদেশ থেকে আমাদের দেশে যাতায়াত করার রাস্তা খুব শীঘ্রই চালু হবে। এই যোগাযোগ সড়ক স্থাপনের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ইস্যুকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। দুই দেশের মধ্যে অসম্ভব ভালো যে বন্ধুত্ব রয়েছে তা আরও একবার আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবে। এই চেকপোস্ট চালু হয়ে গেলে নদীয়ার কৃষ্ণনগর এবং বাংলাদেশের মুজিবনগরের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে। ভারত -বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য  এই চেকপোস্ট বড় ভূমিকা নেবে।” এতদিন এই সব এলাকার মানুষদের অনেক ঘুরে সীমান্ত পার হতে হত। এখন বাড়ির কাছেই চেকপোস্ট গড়ে ওঠায় দুই দেশের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত আরও সুগম হবে। তিনি আরও বলেন, ” ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ সহায়তা পেয়েছে ভারত সরকারের কাছ থেকে। এটাই একটি তার স্মারক। তাই এই রাস্তাটির নাম দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা সড়ক। বাঙালির হৃদয়ে যে আবেগ রয়েছে, এই রাস্তাটি যখন তৈরি হয়ে যাবে বা চালু হয়ে যাবে তখন আমরা সেই আবেগকে বাস্তবে রূপ দিতে পারব। এই রাস্তার মধ্যে দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে। তবে, এই রাস্তা দিয়ে পন্য পরিবহণ করা সম্ভব নয়। কারণ, রাস্তার পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। আশা করি, আগামীদিনে তা হয়ে যাবে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share