Tag: Kulpi

Kulpi

  • South 24 Parganas: ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: ভোটের মুখে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হন বিজেপির বেশ কিছু কর্মী সমর্থক। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি ব্লকের আটমনোহরপুর এলাকায়। ইতিমধ্যেই ভোটের মুখে এই হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি ব্লকের আট মনোহরপুর গ্রামে মঙ্গলবার দোল উৎসব চলছিল। ঠিক সেই সময় বক্স বাজানো কে কেন্দ্র করে এক বিজেপি কর্মীর সঙ্গে বচসা বাধে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর। এরপরেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাস, রড নিয়ে  বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে। এরই জেরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে কুলপি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দোল উৎসব চলাকালীন উচ্চস্বরে বক্স বাজানোয় এলাকার এক বাসিন্দা প্রতিবাদ করলে  দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়  কুলপি থানার পুলিশ। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

    আরও পড়ুন: লোকসভার আগেই তৃণমূল নেতার বাইক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার! চাঞ্চল্য এলাকায়

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনায় কুলপি ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি স্বপন দাস বলেন,  কুলপি ব্লকে বিজেপি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভালো ফলাফল করেছে। তাই দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক। তিনি এও জানান, আগামী দিনে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করাবো। কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রিয় হালদার বলেন, বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ করে। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। কারণ ভোটের আগে কোন ইস্যু নেই। ইচ্ছাকৃতভাবে এলাকায় গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ১০০ দিনের তালিকায় স্কুল ছাত্রের নাম, সরকারি কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ

    South 24 Parganas: ১০০ দিনের তালিকায় স্কুল ছাত্রের নাম, সরকারি কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি বিধানসভার করঞ্জলী গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের জব কার্ডের বেনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার মহিলারা। শনিবার দিন করঞ্জলী গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাবেনিয়া এলাকায় কুলপি ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের প্রতিনিধিরা ১০০ দিনের জব কার্ডের লিস্ট নিয়ে যায়। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। সরকারি কর্মীদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান।

    এলাকাবাসীর কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপি বিধানসভার করঞ্জলী পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের তালিকায় রয়েছে একাধিক বেনিয়ম। যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের অনেকেরই নাম নেই, আবার যাঁরা কাজ করেননি এমন অনেকের নাম রয়েছে তালিকায়। তালিকায় নাম রয়েছে, বরণ হালদার। সে একাদশ শ্রেণির ছাত্র। স্কুলে যায়। কখনও কোদাল হাতে ধরেনি। অথচ তার নাম রয়েছে। আর চন্দনা সরকার, প্রভুরানি শিকারির মতো বাসিন্দার তালিকায় নাম নেই। আর তালিকার বিষয়টি জানতে পেরেই মহিলারা রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের বক্তব্য, যাঁরা কাজ করেছেন অবিলম্বে তাঁদেরকে বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে হবে। আমরা এই তালিকা মানি না।

    দলের প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে সরব পঞ্চায়েত সদস্য

    করঞ্জলী পঞ্চায়েতেরই কাটাবেনিয়া এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যার পাশাপাশি তাঁর  স্বামী বুবুন চক্রবর্তী বলেন, প্রাক্তন প্রধান ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে নিজের স্বার্থে লাগিয়েছে। এমনকী নিজের ব্যক্তিগত কাজ এই ১০০দিনের মাধ্যমে তিনি করিয়েছেন। আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির টাকাও আমরা পাইনি। কুড়ি হাজার টাকা করেও তিনি দেননি। পরে,  ঘটনাস্থলে কুলপি থানার পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভ ওঠে। করঞ্জলী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শান্তনু কয়াল বলেন, এলাকার মানুষ যে অভিযোগ করছেন তা সম্পূর্ণ সঠিক নয়।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী  আম্বিয়া বিবি বলেন, তৃণমূল টাকা লুটের জন্য এই তালিকা তৈরি করেছে। প্রশাসন ওদের হয়ে কাজ করছে। মানুষ আর ওদের মেনে নিচ্ছে না। তাই, ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। যারা এই তালিকা তৈরি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলে যোগদানকারীদের অস্বীকার বিধায়কের, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    South 24 Parganas: তৃণমূলে যোগদানকারীদের অস্বীকার বিধায়কের, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের দলীয় সভা থেকে যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দল থেকে আসা সমস্ত কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন, সেখানেই বেসুরো দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। বিরোধী দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সদস্যদের মানতে রাজি নন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর অবস্থানের জন্য দলের অঞ্চল নেতৃত্বের কাছে সমালোচিত হয়েছেন বিধায়ক। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    বিধায়কের বক্তব্যে সরব যোগদানকারীরা (South 24 Parganas)

    ব্লক সভাপতির হাত ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপির গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছিলেন আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা। আর ব্লক নেতৃত্বের উদ্যোগে এই যোগদানকারীদের অস্বীকার করেন কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। তিনি বলেন, শুধুমাত্র পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য প্রধানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী মোট পাঁচজন সদস্য। কিন্তু, তাঁরা দলে যোগদান করেননি।

    অন্যদিকে বিধায়কের বক্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাঁরা বলেন, গত ১১ ই নভেম্বর সুন্দরবন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রী পূর্ণিমা হাজারিকা ও কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রিয় হালদারের হাত ধরে গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমরা দুজন আইএএফ এবং তিনজন কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করি। আমরা তৃণমূলে যোগদান করার পরই গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন বিধায়ক না মানলে হব? জেলা নেতৃত্ব তো আমাদের দলে নিয়েছে।

    কী বললেন দলের অঞ্চল সভাপতি?

    এই ঘটনায় তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গাজিপুর অঞ্চল সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, ব্লক সভাপতি ও জেলা মহিলা সভানেত্রী উপস্থিতিতে বিরোধীদের পাঁচজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। কিন্তু, কীভাবে বিধায়ক এই কথা বলতে পারেন তা তিনিই জানেন। যোগদানকারীরা তৃণমূলে রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: নিজেদের পঞ্চায়েতে তালা ঝোলালেন বিজেপি কর্মীরা, কেন জানেন?

    Gram Panchayat Election: নিজেদের পঞ্চায়েতে তালা ঝোলালেন বিজেপি কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat Election) গেটে পড়ল তালা। তালা ঝুলিয়ে দিলেন স্থানীয় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভার বাবুরমহল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই পঞ্চায়েতে এবার তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। প্রধান, উপপ্রধান নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। সোমবার তাঁদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তা দেওয়া হয়নি বলেই প্রতিবাদে পঞ্চায়েতের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতে সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন নতুন পঞ্চায়েত বোর্ডের উপ প্রধান সামসুদ্দিন মোল্লা। তিনি বলেন, তৃণমূল একটা নোংরা খেলায় নেমেছে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat Election) বোর্ড বিজেপি দখল করেছে। কিন্তু, প্রধান, উপপ্রধান এবং আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের তৃণমূল প্রশাসনের সাহায্যে হেনস্তা করছে। পুরানো বোর্ডের যে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারটা থাকে, সেটা তৃণমূল বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত করা হয়নি। পাশাপাশি পঞ্চায়েত প্রধান ১৪ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। কাজ না করেই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এদিন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে অফিসকে পিছনের রাস্তা দিয়ে বের করে দিয়েছেন কর্মীরা। তাই, কর্মীরাও এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ১০০ দিনের প্রকল্প, শেড তৈরি সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করা হয়নি। অসম্পূর্ণ কাজ তাদের সম্পূর্ণ করতে হবে। এসবের দাবিতে আমাদের পঞ্চায়েত এলাকায় যেসব নেতা-কর্মীরা রয়েছেন, তাঁরা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে দিয়েছেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের কুলপি ব্লকের সভাপতি সুপ্রিয় হালদার বলেন, বিজেপি নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল করেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ওরা তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমাদের দলকে বদনাম করার জন্য এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ নেই। বরং, পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat Election)  সমস্ত কর্মীদেরকে ভিতরে রেখে ওরা তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে কুলপির বিরোধী তিন প্রার্থীকে অপহরণ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে কুলপির বিরোধী তিন প্রার্থীকে অপহরণ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়তে আইএসএফের জয়ী দুই প্রার্থী এবং কংগ্রেসের এক প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভার গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। কংগ্রেস ও আইএসএফের জয়ী প্রার্থীজোট এই পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তাই বিরোধীদের তিনজনকে নিয়ে তৃণমূল (TMC) সেই পঞ্চায়েত দখল করতেই এমন আচরণ করছে বলে অভিযোগ।

    কেন বিরোধীদের তিন সদস্যকে তুলে নিয়ে গেল তৃণমূল (TMC)?

    জানা যায়, কুলপি বিধানসভার গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৫টি। নির্বাচনে ৬ টি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হন। তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস পেয়েছে ৫ টি, আইএসএফ ২টি, বিজেপি ১টি, সিপিআইএম ১টি আসন পেয়েছে। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে দরকার ৮ জন সদস্য। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেস মোট পাঁচটি আসনে জয় লাভ করায় তাদের পক্ষে বোর্ড গঠন করা সম্ভব নয়। তাই আইএসএফের দুই জয়ী প্রার্থী এবং কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী মোজাফফর মোল্লাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে শাসক দলের গাজিপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা। এমনটাই অভিযোগ দুই রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তাদের।

    কী বললেন আইএসএফ নেতৃত্ব?

    আইএসএফের ব্লক নেতৃত্বের অভিযোগ, গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসক দল (TMC) বোর্ড গঠন করতে না পেরে আইএসএফ  ও কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তা নেওয়া হয়নি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে ওঠা  অভিযোগ অস্বীকার করেন গাজিপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা। তিনি বলেন, কাউকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তাঁরা স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। নিখোঁজ জয়ী প্রার্থীদের খোঁজ না মিললেও জয়ী প্রার্থীরা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জানান, তাঁরা নিরাপদ জায়গায় রয়েছেন এবং নিজেদের ইচ্ছায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। অবশ্য জয়ী বিরোধী দলের ৩ পঞ্চায়েত সদস্য কোথায় রয়েছেন, তার হদিশ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kulpi: খড়ের গাদায় মিলল বোমার পাহাড়ের হদিশ, ত্রস্ত কুলপির গ্রাম

    Kulpi: খড়ের গাদায় মিলল বোমার পাহাড়ের হদিশ, ত্রস্ত কুলপির গ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে তপ্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের একাধিক জেলা। এরই মধ্যে ফের মিলল বোমার পাহাড়ের খবর। তবে এবার বোমার স্তূপের খবর বীরভূমে নয়, মিলল তৃণমূলের (TMC) দাপটে থাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির (Kulpi) ছামনাবনিতে। মঙ্গলবার সকালে দু ব্যাগ তাজা বোমা উদ্ধার (Bomb Recovery) করল কুলপি থানার পুলিশ। বোমা উদ্ধারের খবর মেলায় ত্রস্ত গোটা তল্লাট।

    কুলপির ওই গ্রামে…

    বৃহস্পতিবারই কুলপির (Kulpi) ওই গ্রামে বিস্ফোরণ হয় কৌটো বোমায়। জখম হয়েছিল বছর ষোলোর দুই কিশোর। এর ঠিক তিন দিনের মাথায় ওই একই গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৪টি বোমা। ওই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ফের খড়ের গাদায় মিলল বোমার হদিশ। জানা গিয়েছে, গ্রামের মাঠের একটি খড়ের গাদায় নাইলনের ব্যাগে ভরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বোমাগুলি। মঙ্গলবার সকালে সেগুলি নজরে পড়ে স্থানীয় কয়েকজনের। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে তাজা বোমাগুলি।

    বৃহস্পতিবার কৌটো বোমা ফাটার পরে গ্রেফতার করা হয় জনৈক বাবুসোনা পাইককে। তাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে ছামনাবনির একাধিক জায়গায় বোমা মজুত রয়েছে। সেই মতো পরপর দুদিন কুলপির (Kulpi) ওই গ্রামে তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার হয় বোমা। মঙ্গলবার সকালে ফের বোমা উদ্ধারের খবরে এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল এক নাবালিকার। উত্তর ২৪ পরগনার সেই ঘটনার পরে পরেই একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে পড়শি জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

    আরও পড়ুন: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, চলল গুলি, জখম পুলিশ

    কিছুদিন আগে পর্যন্তও বারুদের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়েছিল বীরভূম। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা উদ্ধারের খবর জায়গা করে নিত হেডলাইনে। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার পর সেভাবে বীরভূম থেকে বোমা উদ্ধারের খবর শিরোনামে আসেনি বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এবার বীরভূমের সেই জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। গত কয়েক দিনে পর পর উদ্ধার হয়েছে বোমা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতেই কী মজুত করা হচ্ছে  বোমা? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share