Tag: kumbh mela

kumbh mela

  • Mahakumbh: স্বচ্ছ মহাকুম্ভ! সাড়ে তিন লক্ষ কেজি ব্লিচিং সহ অন্যান্য উপাদান ব্যবহৃত প্রয়াগরাজে

    Mahakumbh: স্বচ্ছ মহাকুম্ভ! সাড়ে তিন লক্ষ কেজি ব্লিচিং সহ অন্যান্য উপাদান ব্যবহৃত প্রয়াগরাজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভ (Mahakumbh) মেলাতে ভিড় জমিয়েছেন জমাচ্ছেন কোটি কোটি ভক্ত। কুম্ভকে (Kumbh Mela) স্বচ্ছ-পরিষ্কার রাখতে উদ্যোগও নিতে দেখা গিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে। জানা গিয়েছে, মেলা চত্বরে থাকা শৌচাগারগুলিকে পরিষ্কার করতে এক কোটি লিটারের পরিষ্কার করার তরল ব্যবহার করেছে যোগী প্রশাসন। একইসঙ্গে সাড়ে তিন লক্ষ কেজি ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই কাজ করেছে বলে সূত্রের খবর।

    শৌচাগার পরিষ্কার করতে অক্সিডেশন পদ্ধতি (Mahakumbh)

    জানা গিয়েছে, এই কাজে এগিয়ে এসেছে বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং শৌচাগারগুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে তারা অক্সিডেশন টেকনোলজিকে ব্যবহার করেছে। প্রসঙ্গত মহাকুম্ভ (Mahakumbh) শুরু হয়েছে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) স্বচ্ছ করতে ব্যবহার করা হয়েছে সাড়ে তিন লাখ ব্লিচিং পাউডার, ৭৫ হাজার ৬০০ লিটার ফিনাইল, ৪১ হাজার কেজির মেলাথিওন। ইতিমধ্যে মহাকুম্ভের মেলা প্রশাসন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশ রয়েছে এই মেলাকে পরিবেশ বান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সর্বক্ষণের জন্য মোতায়েন রয়েছে দল এবং তাঁরাই মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করার কাজ করছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৬৫০ মেট্রিক টনেরও বেশি বর্জ্যকে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।

    ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে

    সম্প্রতি এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ (Mahakumbh) আমাদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখনও পর্যন্ত এটি পৃথিবীর বৃহত্তম আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে (Mahakumbh) পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৩ কোটি ভক্ত ত্রিবেণীর পবিত্র সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন এবং এই প্রক্রিয়া আগামী নয় দিন ধরে চলবে।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, ‘‘প্রথমবারের জন্য শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এদেশে ধর্ম সম্মান পেয়েছে। ৫০০ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। ভগবান রামচন্দ্র অযোধ্যায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন।’’ প্রসঙ্গত, ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ। সেখানে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। ধনী, দরিদ্র, রাজনৈতিক নেতা থেকে বিদেশি কূটনীতিক সবার মেলবন্ধন দেখা যাচ্ছে প্রয়াগরাজে।

  • Mahakumbh 2025: বুধে স্নান মৌনী অমাবস্যার, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানেন?

    Mahakumbh 2025: বুধে স্নান মৌনী অমাবস্যার, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই মৌনী অমাবস্যা। ২৯ জানুয়ারির এই পুণ্য দিনে প্রয়াগরাজে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে অমৃতস্নান (Mauni Amavasya) করবেন (Mahakumbh 2025) ১০ কোটিরও বেশি ভক্ত। যেহেতু এদিন কয়েক কোটি ভক্তের সমাগম হবে, তাই ব্যবস্থা নিয়েছে উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসন। ভিড় ও যানবাহন ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য কর্তৃপক্ষ একটি অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা চালু করেছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভক্তদের জন্য নির্দিষ্ট পথ ও স্নানের ঘাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিজয় কিরণ আনন্দ বলেন, “সবচেয়ে বড় স্নান উৎসবের জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা যে সেক্টর বা অঞ্চলে স্নান করেছেন, সেখান থেকেই ফিরে যাবেন, এবং কঠোর নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল চলাচল নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    সুরক্ষা ব্যবস্থা

    ভিড় কমাতে তীর্থযাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট ঘাটে স্নান করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কানপুরের তীর্থযাত্রীরা স্নান করবেন সংঘম নোজ ঘাটে। লখনউ ও অযোধ্যার তীর্থযাত্রীরা স্নান করবেন দশাশ্বমেধ ঘাটে। ভিড়ের পরিমাণ বাড়লে পুণ্যার্থীদের পাঠানো হবে নাগবাসুকি, রাসূলাবাদ এবং ফাফামাউ ঘাটে। বারাণসী, জৌনপুর, আজমগড় এবং গোরখপুরের তীর্থযাত্রীরা অমৃতস্নান করবেন ঐরাবত ও ত্রিবেণী ঘাটে। মির্জাপুর এবং মধ্যপ্রদেশের তীর্থযাত্রীরা ডুব দেবেন আরাইল ত্রিবেণী পুষ্পের কাছাকাছি ঘাটে। এখানে সংঘমের দিকে যাওয়ার জন্য গতিবিধি সীমাবদ্ধ থাকবে। স্নান শেষে ভক্তরা (Mauni Amavasya) যাতে তাদের নির্ধারিত অঞ্চলে ফিরে যেতে পারেন, তাই সংঘম নোজের কাছাকাছি আন্তঃঅঞ্চল ভ্রমণ বন্ধ রাখা হবে (Mahakumbh 2025)।

    আখড়ার সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্য ব্যবস্থা

    কেবল পুণ্যার্থী নন, মহাকুম্ভের বিভিন্ন আখড়ার সাধু-সন্ন্যাসীদের জন্যও নির্ধারিত হয়েছে স্নানের ঘাট। ১৩টি আখড়ার অমৃতস্নানের পথও নির্ধারণ করা হয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী ত্রিবেণী পন্টুন ব্রিজ অতিক্রম করবে আখড়াগুলি। আখড়াগুলির সাধুসন্তরা যাতে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করতে পারেন, তাই ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। মিডিয়া ও প্রশাসনের জন্য আলাদা করিডরের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

    পুণ্যার্থীদের জন্য স্নানের ঘাটের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি আরও কিছু সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জল পুলিশ, এনডিআরএফ, এবং এসডিআরএফের উদ্ধার অভিযানের নৌকা ছাড়া অন্য কোনও নৌকার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাত্রীদের সুরক্ষায় বসানো হয়েছে স্টিলের ব্যারিকেড। নিরাপত্তা জাল সহ মজবুত ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে অস্থায়ী আবাসন এবং হোল্ডিং এরিয়া স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজনে কাউশাম্বী, প্রতাপগড় বা ভদোহিতে ভ্রমণ আপাতত বন্ধ করা হতে পারে (Mauni Amavasya)।

    উন্নত পরিকাঠামো

    তীর্থযাত্রীদের জন্য উন্নত পরিকাঠামোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ১২ কিমি দীর্ঘ স্নানের ঘাট উন্নত আলো, পরিচ্ছন্ন টয়লেট এবং পোশাক পরিবর্তনের ঘর তৈরি করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থার পাশাপাশি জরুরি অবস্থার জন্য খড় ও চটের বস্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মেলা কর্তৃপক্ষ মৌনী অমাবস্যায় অমৃতস্নানের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্নানের ক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে। মহানির্বাণী এবং অতল আখড়াগুলি প্রথমে স্নান প্রক্রিয়া শুরু করবে। প্রতিটি আখড়া নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে স্নান করবে। এই ক্রমটি শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ভক্তদের সুষ্ঠুভাবে স্নান করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছে। এই সময়সূচির জন্য সমস্ত আখড়ার সদস্যরা পবিত্র আচার-অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট সময় এবং জায়গা পাবেন। বৃহত্তর ভক্ত সমাবেশের নিরাপত্তা এবং সুবিধাও বজায় রাখা হবে। এই ব্যবস্থাগুলির মাধ্যমে প্রয়াগরাজ একটি সুসজ্জিত এবং সুসংগঠিত মহাকুম্ভ স্নান উৎসব আয়োজন করতে প্রস্তুত (Mahakumbh 2025)।

    পূর্ণকুম্ভের যোগ

    প্রতি ১২ বছর অন্তর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণ কুম্ভ শেষে হয় একটি মহাকুম্ভ। অর্থাৎ মহাকুম্ভের এই যোগ আবার আসবে ১৪৪ বছর পরে। সেই কারণেই এবার কুম্ভস্নান করবেন অন্তত ৪০ কোটি মানুষ। দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও ভক্তরা আসছেন ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র ডুব দিতে। এবার প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর মধ্যে অমৃতস্নানের যোগ মোট ৬টি। এর মধ্যে হয়ে গিয়েছে তিনটি স্নান। বুধবার হবে মৌনী অমাবস্যার স্নান। ৩ ফেব্রুয়ারি হবে বসন্ত পঞ্চমীর স্নান। আর এবারের মতো শেষ স্নান হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রির দিন। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের আশা, এবার সব মিলিয়ে কুম্ভস্নান করবেন অন্তত ৪০ কোটি পুণ্যার্থী। ইতিমধ্যেই প্রায় ১২ কোটি পুণ্যার্থী সেরে নিয়েছেন পুণ্যস্নান। বিজেপির বহু নেতা-মন্ত্রীও ডুব দিয়েছেন প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে (Mauni Amavasya)। হিন্দু ভোট কুড়োতে দেরিতে হলেও দিন দুই আগে কুম্ভস্নান করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। ৫ ফেব্রুয়ারি কুম্ভে ডুব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর ১০ ফেব্রুয়ারি অমৃতস্নান (Mahakumbh 2025) করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়।

     

  • Maha Kumbh 2025: ‘অমৃত কুম্ভে’র সন্ধানে ‘বিলম্বিত’ স্নান অখিলেশের, কটাক্ষ বিজেপির

    Maha Kumbh 2025: ‘অমৃত কুম্ভে’র সন্ধানে ‘বিলম্বিত’ স্নান অখিলেশের, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুণে গুণে ১১টা ডুব দিলেন। প্রয়াগরাজে অখিলেশ যাদবের পুণ্যস্নানের সেই ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে সমাজবাদী পার্টি। রবিবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। কুম্ভমেলা (Maha Kumbh 2025) শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। এতদিন পরে কুম্ভস্নান করায় অখিলেশকে নিশানা করেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম পার্টির মতে, অখিলেশের মহাকুম্ভে পা রাখার ঘটনা ‘রাজনৈতিক মোক্ষ’। প্রতি ১২ বছর অন্তর প্রয়াগরাজে হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এবার সেই যোগ।

    মিডিয়ার নজর কাড়ার চেষ্টা!

    হিন্দুদের বিশ্বাস, প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করলে মোক্ষ লাভ হয়। যেহেতু এবার মহাকুম্ভ, তাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এসে জড়ো হয়েছেন প্রয়াগরাজে। ১ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান সারবেন বিশ্বের ৭৩টি দেশের কূটনীতিকরা। ৫ ফেব্রুয়ারি স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর কুম্ভস্নানের আগে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান সেরে মিডিয়ার ফোকাস হয়ে কৌশলে প্রচার সেরে ফেললেন অখিলেশ।

    বিলম্বিত বোধদয়

    কুম্ভস্নান শুরু হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যেই কুম্ভস্নান করেছেন ১০ কোটিরও বেশি মানুষ। এক এক করে স্নান করেছেন বিজেপির নেতামন্ত্রীরা। ১০ ফেব্রুয়ারি স্নান করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। বিরোধীদের কাউকে এতদিন কুম্ভস্নান করতে দেখা যায়নি। সেই রীতি ভেঙে প্রথম অমৃতস্নান সারলেন ইন্ডি জোটের নেতা অখিলেশ। এদিন কুম্ভস্নান (Maha Kumbh 2025) শেষে বাবা মুলায়ম সিং যাদবের মূর্তিতে মাল্যদান করেন অখিলেশ। পরে সাক্ষাৎ করেন কুম্ভমেলায় আগত পুণ্যার্থী ও সাধু-সন্তদের সঙ্গে। কুম্ভ-ডুব শেষে অখিলেশ বলেন, “সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভ মুহূর্তে সঙ্গমে ১১ ডুব দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। আজকের বিশেষ দিনে ভেদাভেদ ভুলে, সৌভ্রাতৃত্ব ও সহনশীলতাকে সঙ্গী করে দেশ গঠনের প্রতিজ্ঞা করা উচিত আমাদের।”

    বিজেপির কটাক্ষ

    অখিলেশের ‘বিলম্বিত’ কুম্ভস্নানকে কটাক্ষ করেছে পদ্ম শিবির। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ব্রজেশ পাঠক বলেন, “বেটার লেট দ্যান নেভার। আজ তিনি বিশ্বাসের ঢেউ প্রত্যক্ষ করলেন।” তিনি বলেন, “তাঁর অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। সনাতন সবার জন্য এবং এখানকার ব্যবস্থাপনাও চমৎকার (BJP)। তিনি নিজের চোখে দেখলেন, কীভাবে সারা বিশ্বের মানুষ এখানে জড়ো (Maha Kumbh 2025) হয়েছেন।”

    পদ্ম শিবিরের দাবি

    পদ্ম শিবিরের দাবি, মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) হল হিন্দু ঐক্যের এক বিরাট প্রদর্শন। হিন্দুদের এই একতা দেখে ভয় পেয়েছেন অখিলেশ যাবদ। যার জেরেই রাজনীতির মোক্ষলাভে কুম্ভে ডুব দিয়েছেন তিনি। উদ্দেশ্য, হিন্দু ভোট নিজের দিকে টানা। তবে সমাজবাদী পার্টির মাফিয়ারাজ ও তোষণের রাজনীতি আগেই দেখেছে উত্তরপ্রদেশ। তাই এই ডুবে বিশেষ কাজ হবে না।

    রাহুলের কুম্ভস্নান

    অখিলেশের কুম্ভস্নানের পরে কুম্ভ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। কংগ্রসের দাবি, প্রয়াগরাজে কুম্ভস্নান করেছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এবার (BJP) তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন রাহুলও। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কবে কুম্ভস্নানে যাবেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, অমৃস্নানের এখনও তিনটি তিথি রয়েছে। একটি ৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীর দিন, আর একটি ৪ ফেব্রুয়ারি মৌনী অমাবস্যা, এবং শেষ কুম্ভস্নান হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রির দিন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, মোক্ষ লাভের আশায় বসন্ত পঞ্চমীর দিন পুণ্যস্নান সারতে পারেন রাহুল।

    কুম্ভে অমিত শাহ

    এদিকে, আজ, সোমবার প্রয়াগরাজে কুম্ভস্নান করার কথা (Maha Kumbh 2025) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। পাঠক বলেন, “আমরা অমিত শাহজিকে স্বাগত জানাতে উত্তেজিত, যিনি দেশের যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করেছেন এবং উত্তরপ্রদেশের মানুষের মানুষের প্রতি অপার ভালোবাসা দেখিয়েছেন। ২৫ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।”

    সরকারি, বিবৃতি অনুযায়ী, শাহ প্রয়াগরাজে পৌঁছে অমৃতস্নান করবেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। তিনি বড়ে হনুমানজির মন্দির, অক্ষয়বট এবং জুনা আখড়া পরিদর্শন করবেন। সাধু-সন্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করবেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তাঁদের সঙ্গে। গুরু শরণানন্দজির আশ্রমেও যাওয়ার কথা তাঁর। শৃঙ্গেরি, পুরী এবং দ্বারকা থেকে (BJP) আগত শঙ্করাচার্য-সহ বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে (Maha Kumbh 2025) সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

  • Maha Kumbh 2025: ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন বিশ্বের ৭৩ কূটনীতিক

    Maha Kumbh 2025: ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন বিশ্বের ৭৩ কূটনীতিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025)। মহাকুম্ভ যোগ আসে প্রতি ১৪৪ বছর অন্তর। এবার এসেছে সেই যোগ। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ কোটি মানুষ স্নান (Holy Dip) সেরেছেন গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমে। মেলা ও পুণ্যস্নান চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তাই উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের আশা, মাস দেড়েকের এই মেলায় সব মিলিয়ে স্নান করবেন ৪০ কোটি পুণ্যার্থী। হিন্দুদের বিশ্বাস, কুম্ভস্নান করলে মোক্ষ লাভ হয়। সেই বিশ্বাসেই আমজনতার সঙ্গে সঙ্গে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন বিশ্বের ৭৩টি দেশের কূটনীতিকরা। আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি কুম্ভস্নান করবেন তাঁরা। মহামিলনের এই মেলায় সঙ্গমে ডুব দেবেন যুদ্ধে লিপ্ত রাশিয়া এবং ইউক্রেনের কূটনীতিকরাও। জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ থেকেও কূটনীতিকরা আসছেন পুণ্যস্নানে।

    ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান

    ১ ফেব্রুয়ারি যে ওই ৭৩টি দেশের কূটনীতিকরা ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারবেন, সে ব্যাপারে বিদেশমন্ত্রকের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিবকে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে চিঠিতে জানানো হয়েছে, পবিত্র সঙ্গমে ডুব দেওয়ার পাশাপাশি তাঁরা দর্শন করবেন বড়ে হনুমান মন্দির ও অক্ষয়াবত। নৌকোয় চড়ে তাঁরা দর্শন করবেন সঙ্গমস্থল (Maha Kumbh 2025)। সঙ্গমে স্নান সেরে ওই কূটনীতিকরা যাবেন ডিজিটাল মহাকুম্ভ এক্সপিরিয়েন্স সেন্টারে। সেখানে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তাঁরা জানবেন মহাকুম্ভের মাহাত্ম্য সম্পর্কে। মহাকুম্ভ-পর্ব সেরে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যাবেন তাঁরা। কুম্ভমেলায় আখড়া পরিদর্শনও করবেন তাঁরা। একাধিক প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক ট্যুরও করানো হবে তাঁদের। ওই কূটনীতিকরা ঘুরে দেখবেন যমুনা কমপ্লেক্স, অশোক স্তম্ভ-সহ অন্যান্য দ্রষ্টব্য স্থান।

    কুম্ভমেলা

    প্রতি ১২ বছর অন্তর উত্তরপ্রদেশের এই ত্রিবেণী সঙ্গমে হয় কুম্ভমেলা। এগুলিকে বলা হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এবার সেই যোগ। এই যোগ আবার আসবে ১৪৪ বছর পরে। এবার প্রয়াগরাজের এই কুম্ভমেলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি পবিত্র স্নান করবেন ৫ ফেব্রুয়ারি। ১০ ফেব্রুয়ারি কুম্ভস্নান করবেন (Holy Dip) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Maha Kumbh 2025)।

  • Yogi Adityanath: মহাকুম্ভে অগ্নিকাণ্ডের পরে ত্রিবেণী সঙ্গম পরিদর্শন যোগীর, দিলেন একগুচ্ছ নির্দেশিকা

    Yogi Adityanath: মহাকুম্ভে অগ্নিকাণ্ডের পরে ত্রিবেণী সঙ্গম পরিদর্শন যোগীর, দিলেন একগুচ্ছ নির্দেশিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভে (Maha Kumbh) অগ্নিকাণ্ডের পরে মেলার নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা তদারকি করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। প্রসঙ্গত, রবিবারের অগ্নিকাণ্ডের ফলে মেলা প্রাঙ্গণে ১৮টি তাঁবু সম্পূর্ণ হবে ধ্বংস হয়ে যায় এবং একজন ব্যক্তি অল্পবিস্তর আহত হন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোন করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে৷ দুই নেতার মধ্য়ে বেশি কিছুটা সময় কথা হয়। আগুন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দেন যোগী। রবিবারই আদিত্যনাথ হাজির হয়ে যান ত্রিবেণী সঙ্গমে এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। এর পরেই যোগী আদিত্যনাথ নতুন কিছু নির্দেশিকা চালু করেন। 

    প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে (Yogi Adityanath)

    মৌনী অমাবস্যাকে মহাকুম্ভের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বলে মনে করা হয়। কারণ এই সময়ে বিভিন্ন আখড়ার সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীদের দীক্ষা দান চলে। একই সঙ্গে মৌনী অমাবস্যার স্নানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে হিন্দু ধর্মে। এই সময়ে পুরো দেশ থেকে ব্যাপক সংখ্যায় ভক্তরা ভিড় জমাতে পারেন বলেই মনে করছে প্রশাসন। সে কারণেই আগত তীর্থযাত্রীদের কোনওরূপ অসুবিধা যাতে না হয় তাই সর্বদা প্রশাসনকে সজাগ থাকতে বলেছেন যোগী আদিত্যনাথ। প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।

    যোগীর নির্দেশিকা (Yogi Adityanath)

    একইসঙ্গে, রবিবার যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) জানিয়েছেন, মৌনী অমাবস্যার স্নানে যাতে কারও থাকার অসুবিধা না হয় সেদিকে যেমন নজর রাখতে হবে, তেমনই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জলের ব্য়বস্থাও রাখতে হবে। এর পাশাপাশি, মেলা চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতেও বলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তীর্থযাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে শৌচাগারের বন্দোবস্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। রবিবার তিনি প্রশাসনকে আরও নির্দেশ দিয়েছেন যে, স্নানের সময় ঘাটগুলিতে যেন নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করা হয়। কারণ সেখানেই পবিত্র ডুব দেবেন তীর্থযাত্রীরা, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ যে, এত বিপুল পরিমাণে ভক্ত স্নান করবেন, এখানে যেন কোনও রকমের দুর্ঘটনা না ঘটে। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) এমন নির্দেশিকার লক্ষ্য হল মহাকুম্ভ মেলাকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Kumbh Mela: কুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন স্টিভ জোবস, বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, সেই চিঠি বিক্রি হল ৪.৩২ কোটিতে

    Kumbh Mela: কুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন স্টিভ জোবস, বন্ধুকে জানিয়েছিলেন, সেই চিঠি বিক্রি হল ৪.৩২ কোটিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাপল-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্টিভ জোবসের (Steve Jobs) হাতে লেখা একটি চিঠি বিক্রি হল ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪.৩২ কোটি টাকায়। চিঠিটি লেখা হয়েছিল ১৯৭৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। ১৯তম জন্মদিনে তিনি চিঠিটি লিখেছিলেন তাঁর ছোটবেলার বন্ধু টিম ব্রাউনকে। চিঠিটিতে তিনি হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে তাঁর চিন্তাভাবনা এবং কুম্ভ মেলায় (Kumbh Mela) যোগ দেওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন।

    জোবসের চিঠি (Kumbh Mela)

    জোবস (Steve Jobs) লিখেছিলেন, ‘‘আমি কুম্ভ মেলায় যোগ দেওয়ার জন্য ভারতে যেতে চাই, যা এপ্রিল মাসে শুরু হবে। আমি মার্চ মাসে কোনও এক সময়ে রওনা দেব, তবে এখনও নিশ্চিত নই।’’ তিনি উত্তরাখণ্ডে নিম করোলি বাবার সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছিলেন। সেই টানে তিনি নৈনিতালে পৌঁছেওছিলেন। পরে জানতে পারেন তার আগের বছরই প্রয়াত হয়েছেন নিম করোলি বাবা। সেবার সাত মাস ধরে ভারতে ছিলেন জোবস। এই পর্বে তিনি আত্তীকরণ করেছিলেন ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা এবং সংস্কৃতিকে। নেড়া মাথা, রোদে পোড়া চেহারা নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। তাঁর পরিবারও তাঁকে দেখে চিনতে পারেননি। ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর অকালে প্রয়াত হন জোবস (Steve Jobs)। তাঁর চিঠিটি নিলাম হল বুধবার।

    আরও পড়ুন: যুদ্ধের মেঘ কাটল মধ্য প্রাচ্যের আকাশে, যুদ্ধবিরতি ইজরায়েল-হামাসের

    কুম্ভ মেলা দর্শনে জোবসের স্ত্রী

    অকালে প্রয়াত হওয়ায় কুম্ভ মেলায় যোগ দেওয়া হয়নি জোবসের (Steve Jobs)। এ বছর কুম্ভ মেলা দর্শনে এসেছেন তাঁর স্ত্রী লরেন পাওয়েল জোবস। লরেনের গুরু স্বামী কৈলাসানন্দ গিরি। লরেনের নতুন (Kumbh Mela) নাম দিয়েছেন ‘কমলা’। ৪০ সদস্যের একটি দলের সঙ্গে ভারতে এসেছেন তিনি। ধ্যান, ক্রিয়া যোগ ও প্রণায়াম-সহ আধ্যাত্মিক অনুশীলনে অংশগ্রহণও করছেন। প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমে প্রতি ১২ বছর অন্তর হয় পূর্ণ কুম্ভ। ১২টি পূর্ণ কুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। ১৪৪ বছর পরে এবার এসেছে সেই মহাকুম্ভ যোগ (Kumbh Mela)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela 2025: কুম্ভ মেলার সাত-সতেরো, জানেন আখড়া কী, অমৃত স্নানই বা কী?

    Maha Kumbh Mela 2025: কুম্ভ মেলার সাত-সতেরো, জানেন আখড়া কী, অমৃত স্নানই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গল সংক্রান্তির দিন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অমৃত স্নান (Amrit Snan) সারলেন কয়েক কোটি পুণ্যার্থী (Maha Kumbh Mela 2025)। সোমবারই শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ ২০২৫। প্রথম শাহি স্নান হল মঙ্গলবার, মকর সংক্রান্তির পবিত্র দিনে। প্রতি ১২ বছর অন্তর হয় পূর্ণকুম্ভ। আর ১৪৪ বছর পর হয় মহাকুম্ভ। এবার সেই যোগ।

    সঙ্গমে স্নান

    প্রত্যাশিতভাবেই প্রয়াগরাজে গঙ্গা-যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতীর সঙ্গমে স্নান করবেন লাখ লাখ পুণ্যার্থী। কুম্ভস্নানে মোক্ষ লাভ হয় বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। তাই কুম্ভমেলায় সাধুদের পাশাপাশি ভিড় করেন সাধারণ মানুষও। এঁদের সিংহভাগই পুণ্যার্থী। দর্শনার্থীও ভিড় করেন অনেকে। কুম্ভে আখড়া বসে। মোট ১৩টি আখড়া রয়েছে। এই আখড়াগুলি আবার তিনটি দলে বিভক্ত। এগুলি হল, সন্ন্যাসী (শৈব), বৈরাগী (বৈষ্ণব) এবং উদাসীন। শৈব আখড়াগুলির মধ্যে রয়েছে মহানির্বাণী, আতাল, নিরঞ্জনী, আনন্দ, ভৈরব, আওহান এবং অগ্নিষ। বৈরাগী আখড়াগুলি হল, নির্মোহী, দিগম্বর আনি এবং নির্বাণী আনি। উদাসীন আখড়া দুটি – উদাসীন আখড়া ও নির্মলা আখড়া।

    আখড়ার ভূমিকা

    আসুন, আখড়াগুলির সংগঠন, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং কুম্ভমেলায় তাদের মূল ভূমিকা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এই আখাড়াগুলি কুম্ভমেলার (Maha Kumbh Mela 2025) রক্ষক হিসেবে কাজ করে, যেখানে তারা গুরুত্বপূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান পালন করে এবং পবিত্র ঘটনায় অবদান রাখে, যেমন ‘অমৃত স্নান’। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, আখাড়াগুলি হিন্দু ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের মন্দির এবং পবিত্র স্থানগুলি রক্ষায় সহায়ক ছিল। অষ্টম শতাব্দী থেকে বিভিন্ন আখাড়ার সাধুরা প্রয়াগরাজে জমায়েত হচ্ছেন অমৃত স্নান করতে। নবম শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত আখাড়াগুলি একমাসব্যাপী কুম্ভ উৎসবের আয়োজন করত। অমৃত স্নানের ক্রম নির্ধারণ করত। বর্তমানে অমৃত স্নানের ক্রম প্রতিষ্ঠানভুক্ত হয়েছে। তা সত্ত্বেও আখাড়াগুলির এখনও একটি প্রাধান্য রয়েছে।

    আখড়ার গঠন

    আখড়াগুলির শীর্ষে থাকেন একজন মহন্ত বা আচার্য। এঁরা আধ্যাত্মিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বগুলি পালন করেন। আখড়ার মধ্যে বিভিন্ন পদমর্যাদা রয়েছে। এঁদের মধ্যে আখড়ায় উচ্চ পদমর্যাদার সন্ন্যাসী হলেন মহামণ্ডলেশ্বর। তাঁদের প্রভাব এবং কর্তৃত্ব সবচেয়ে বেশি। আখড়াগুলিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় নবাগতদের। যা অত্যন্ত কঠোর। প্রশিক্ষণ পর্বে আধ্যাত্মিক অনুশীলন, ধ্যান, ধর্মগ্রন্থ পাঠ, এবং শারীরিক অনুশীলন যেমন ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় কুস্তি এবং মার্শাল আর্টস অনুশীলন। এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনুসৃত শৃঙ্খলা শারীরিক এবং মানসিক দক্ষতা উভয়ই অর্জন করে, যার লক্ষ্য আধ্যাত্মিকতা অর্জন।

    হিন্দু ধর্মে আখড়ার গুরুত্ব

    হিন্দু ধর্মে আখড়ার বিশাল (Amrit Snan) গুরুত্ব রয়েছে বিভিন্ন কারণে। এগুলি হল—

    প্রথা সংরক্ষণ: আখড়া প্রাচীন আধ্যাত্মিক প্রথা, আচার-অনুষ্ঠান এবং শিক্ষা সংরক্ষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা পবিত্র গ্রন্থ, স্তোত্র এবং অভ্যাসের জ্ঞান এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে পৌঁছে দেয় এবং এভাবে তা সংরক্ষণ করে।

    আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ: এই প্রতিষ্ঠানগুলি আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানীদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিবেশ দেয়। এখানে তারা কঠোর প্রশিক্ষণ নেয়। এগুলি শৃঙ্খলা, ভক্তি এবং আত্ম-আবিষ্কারের বিকাশ ঘটায়। আধ্যাত্মিক আলোকোজ্জ্বলতা অর্জনের উদ্দেশ্যে সদস্যরা কঠোর জীবনযাপন করেন।

    সাংস্কৃতিক রক্ষক: প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান, উৎসব এবং তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আখড়াগুলি হিন্দু সমাজের সাংস্কৃতিক পরিসরে অবদান রাখে। কুম্ভ মেলার মতো অনুষ্ঠানগুলিতে তাদের উপস্থিতি তাদের সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক নেতৃস্থানীয় ভূমিকা তুলে ধরে।

    যুদ্ধকালীন ঐতিহ্য: ঐতিহাসিকভাবে, আখড়াগুলি যুদ্ধ প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আখড়ার সদস্যদের ধর্মরক্ষা এবং পবিত্র স্থানগুলির সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হত। এই যুদ্ধকালীন ঐতিহ্য এখনও কিছু আখড়ায় দেখা যায়, বিশেষ করে নাগা সাধুরা — যারা তাদের যোদ্ধা-ভাবমূর্তির জন্যই পরিচিত।

    সামাজিক প্রভাব: আখাড়াগুলি সামাজিক এবং দানশীল কর্মকাণ্ডে জড়িত, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং নানা প্রয়োজনে সাহায্য দিয়ে থাকে।

    ‘অমৃত স্নান’ ১৩টি আখড়ার (Maha Kumbh Mela 2025) অংশগ্রহণ দিয়ে শুরু হয়। প্রতিটি আখড়া তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্রম এবং নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পবিত্র স্নান সারেন। এই অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে সংগঠিত হয়, যেখানে প্রশাসন সময়সূচি সমন্বয় করে নিশ্চিত করে যে প্রতিষ্ঠিত রীতিনীতি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে (Amrit Snan)।

    কুম্ভমেলায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আখড়া হল-

    জুনা আখড়া: এটি ১৩টি আখড়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়। জুনা আখড়া শৈবধর্মের দশনামী সাম্প্রদায়ে বিশ্বাসী, যা আদি শংকরাচার্য প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এঁরা ভগবান দত্তাত্রেয়র পুজো করেন। কিন্নর আখড়া (তৃতীয় লিঙ্গ আখাড়া) জুনা আখড়ারই একটি অংশ। জুনা আখড়ার অনুসারীরা প্রধানত শৈব, যাঁরা ভগবান শিবের প্রতি নিবেদিত। এঁদের মধ্যে অনেক নাগাও আছেন। জুনা আখড়া কুম্ভ মেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই আখড়ার সাধুরা তপস্যা ও ত্যাগের জন্য পরিচিত। আখড়াটির একটি সমৃদ্ধশালী আধ্যাত্মিক ও মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণের ঐতিহ্য রয়েছে। এর প্রধান হলেন আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অভদেশনন্দ।

    নিরঞ্জনী আখড়া: দ্বিতীয় বৃহত্তম আখড়া হল শ্রী পঞ্চায়েতি নিরঞ্জনী আখড়া। ৯০৪ খ্রিস্টাব্দে গুজরাটে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই প্রতিষ্ঠানে ভক্তরা প্রধানত কার্তিকের পুজো করেন। এই আখড়ায় বহু উচ্চশিক্ষিত সদস্য রয়েছেন। পিএইচডি এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরাও রয়েছেন। এর প্রধান হলেন আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর কৈলাশানন্দজি মহারাজ।

    মহানির্বাণী আখড়া (প্রয়াগরাজ): শ্রী পঞ্চায়েতি মহানির্বাণী আখড়ার প্রধান দেবতা হলেন ঋষি কপিলমুনি। ভক্তরা ভৈরব প্রকাশ ভল্লা এবং সূর্য প্রকাশ ভল্লার মতো পবিত্র চিহ্নগুলির পুজো করেন। এগুলি যথাক্রমে সুরক্ষা ও জ্ঞানদানের প্রতীক। এই আখড়ার প্রধান হলেন আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী বিশোকানন্দ।

    আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    কিন্নর আখড়া: তৃতীয় লিঙ্গ আখড়া একটি অনন্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায় কুম্ভ মেলা এবং অন্যান্য পবিত্র আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। ঐতিহ্যবাহী আখড়াগুলি মূলত পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত হয়। আর কিন্নর আখড়া পরিচালিত হয় তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের দ্বারা। কিন্নর আখড়ার সদস্যরা বিভিন্ন আধ্যাত্মিক চর্চায় অংশগ্রহণ করেন, যেমন আচার, প্রার্থনা, এবং ধ্যান। কুম্ভ মেলা প্রক্রিয়ায় অন্যান্য আখড়ার সঙ্গে তাঁদের অংশগ্রহণ তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের গ্রহণযোগ্যতা এবং পরিচিতির বড় প্রমাণ। কিন্নর আখড়ার উপস্থিতি হিন্দুধর্মের অন্তর্ভুক্তি ও বৈচিত্র্যের একটি শক্তিশালী স্মারক। এটি আধ্যাত্মিক যাত্রায় সমস্ত শ্রেণীর মানুষকে আলিঙ্গন করে (Maha Kumbh Mela 2025)।

    অমৃত স্নান

    কুম্ভে গিয়ে পবিত্র দিনে স্নানকে বলা হত শাহি স্নান। বর্তমানে এই নাম বদলে হয়েছে অমৃত স্নান। শব্দটি চালু করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি নিজে নাথ সম্প্রদায়ের যোগী। হরিদ্বারের মাণসা দেবী মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি মহন্ত পুরী বলেন, ‘‘আমরা সবাই হিন্দি এবং উর্দু ভাষায় কথা বলি। এটা সম্ভব নয় যে আমরা কোনও উর্দু শব্দ বলি না। কিন্তু আমরা ভাবলাম যে যখন আমাদের দেবতাদের কথা আসে, তখন আমাদের চেষ্টা করা উচিত সংস্কৃত ভাষায় নাম রাখা বা ‘সনাতনী’ নাম দেওয়ার। সেই কারণেই শাহি স্নান হয়েছে অমৃত স্নান (Amrit Snan)। আমাদের উদ্দেশ্য, হিন্দু বনাম মুসলিম করা নয় (Maha Kumbh Mela 2025)।’’ প্রসঙ্গত, এবছর অমৃত স্নানের যোগ রয়েছে পাঁচটি। এগুলি হল, ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি, ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যা, ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমী, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘি পূর্ণিমা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela 2025: ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ মেলা, প্রয়াগরাজে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    Maha Kumbh Mela 2025: ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ মেলা, প্রয়াগরাজে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা যোগী সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর আগে হয়েছিল মহাকুম্ভ (Maha Kumbh Mela 2025)। আগামী বছর রয়েছে সেই যোগ। অনেক আগেই মহাকুম্ভের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার (Uttar Pradesh)। আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি শুরু হবে মহাকুম্ভ। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় সপ্ত-স্তয়ীর নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা করতে চলেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।

    পূর্ণকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh Mela)

    প্রতি ১২ বছর অন্তর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে হয় পূর্ণকুম্ভ মেলা। ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে আসে মহাকুম্ভ যোগ। আগামী বছর সেই যোগ। পূর্ণকুম্ভে যত ভিড় হয়, মহাকুম্ভে ভিড় হয় তার চেয়ে ঢের বেশি। কারণ মহাকুম্ভ হবে ফের ১৪৪ বছর পরে। এই ভক্তদের কথা ভেবেই আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভ (Maha Kumbh Mela 2025) উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় মোতায়েন করা হবে ৩৭ হাজারেরও বেশি পুলিশ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত হবেন এই পুলিশকর্মীরা। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে নিবিড় সংযোগও থাকবে মেলা চলাকালীন।

    আঁটসাঁট নিরাপত্তা 

    পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় পুরো মেলা চত্বরকে ভাগ করা হবে ১০টি জোনে, ২৫টি সেক্টরে। তৈরি করা হবে ৫৬টি পুলিশ স্টেশন এবং ১৫৫টি পুলিশ পোস্ট। ধর্মীয় স্থানগুলি, পুণ্যার্থীদের ক্যাম্প, সেতু এবং স্নানের ঘাটগুলিতে কড়া নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হবে। পুরুষ পুলিশকর্মীদের পাশাপাশি মহিলা পুলিশ কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এবার মেলায় থাকবেন ১ হাজার ৩৭৮ জন মহিলা পুলিশ আধিকারিক। মহিলা ভক্তদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করবেন তাঁরা। সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে সপ্ত-স্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর। মেলায় ঢোকা থেকে শুরু করে গোটা তল্লাট মুড়ে ফেলা হবে নিরাপত্তার মোড়কে।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে সই উপরাজ্যপালের, ভূস্বর্গ পাচ্ছে রাজ্যের মর্যাদা!

    মেলা চত্বরে যেসব পুলিশ কর্মী থাকবেন, তাঁদের মধ্যে আধিকারিকই থাকবেন ২২ হাজার ৯৫৩ জন। প্রয়াগরাজে থাকবেন ৬ হাজার ৮৮৭ জন, জিআরপি থাকবেন ৭ হাজার ৭৭১ জন। ভিড় সামলাতেও মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত আধিকারিকদের। যেহেতু মহাকুম্ভ স্নানে পুণ্যার্থীর ভিড় বেশি হবে, তাই ১০ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ আধিকারিক মোতায়েন করা হবে। এর পাশাপাশি থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। ইতিমধ্যেই মেলাস্থল ঘুরে চলে এসেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পুণ্যার্থীরা যাতে নিরাপদে স্নান সারতে (Uttar Pradesh) পারেন, তার যাবতীয় ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনকে (Maha Kumbh Mela 2025)।

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share