Tag: labour

labour

  • Four Labour Codes: দেশে লাগু হয়ে গিয়েছে নয়া চার শ্রমবিধি, জেনে নিন কী কী সুবিধা মিলবে?

    Four Labour Codes: দেশে লাগু হয়ে গিয়েছে নয়া চার শ্রমবিধি, জেনে নিন কী কী সুবিধা মিলবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার থেকেই দেশে লাগু হয়ে গিয়েছে নয়া চার শ্রমবিধি (Four Labour Codes)। এই চার শ্রমবিধি সংক্রান্ত বিল সংসদে পাশ হয়েছে অনেক আগেই। একটি পাশ হয়েছিল ২০১৯ সালে। বাকি (Worker) তিনটি পাশ হয় তার পরের বছর। শুক্রবার ওই চার শ্রমবিধি চালু করে দিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই চার শ্রমবিধি কার্যকর করার মাধ্যমে একটি নতুন শ্রম যুগে প্রবেশ করল ভারত। এই চারটি বিধি হল, মজুরি সংহিতা, শিল্প সম্পর্ক সংহিতা, সামাজিক সুরক্ষা সংহিতা এবং পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মপরিবেশ সংহিতা। এগুলি কার্যকর হওয়ায় স্বাধীনতার পর দেশের শ্রম ক্ষেত্রে অন্যতম বিস্তৃত ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

    নয়া শ্রমবিধি (Four Labour Codes)

    নয়া চারটি শ্রমবিধি চালুকে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করে ভারত সরকার জানিয়েছে, এই পদক্ষেপে বর্তমানে চালু রয়েছে এমন ২৯টি কেন্দ্রীয় শ্রম আইনকে যুক্তিযুক্তভাবে একীভূত করা হয়েছে, সরল করা হয়েছে শতবর্ষ পুরানো নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে এবং বিস্তৃত করা হয়েছে শত শত মিলিয়ন শ্রমিকের সুরক্ষাও। ২১ নভেম্বর, শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই বিধি (Worker)। এদিন কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশকে আত্মনির্ভর করতে এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মধ্যে দিয়ে শ্রম সংক্রান্ত বিধির আধুনিকীকরণ করে, শ্রমিক কল্যাণ এবং কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বর্তমান সময়ের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ করতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের। ওই বিবৃতিতেই জানানো হয়েছে, দেশের অনেক শ্রম আইনই স্বাধীনতার আগে এবং স্বাধীনতার ঠিক পরে পরে চালু হয়েছিল। তখনকার অর্থনীতি এবং কর্মক্ষেত্রের তুলনায় এখনকার পরিস্থিতি অনেক আলাদা (Four Labour Codes)।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “আজ আমাদের সরকার চারটি শ্রমবিধি কার্যকর করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে এটি সব চেয়ে ব্যাপক এবং প্রগতিশীল শ্রমভিত্তিক সংস্কারগুলির একটি। এটি দেশের শ্রমিকদের ক্ষমতা আরও বাড়াবে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রকে করে তুলবে আরও সহজতর। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও দাবি করেন, এই শ্রমবিধি দেশের শ্রম আইনের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় সংস্কার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চারটি শ্রমবিধি শ্রমিকদের সুরক্ষা মজবুত করে, সামাজিক সুরক্ষা বাড়ায় এবং কর্মক্ষেত্রের মানকে আধুনিক করে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রটি এবং সেক্ষেত্রে কেমন সুবিধা মিলবে।

    স্থায়ী কর্মচারীর সমান মর্যাদা

    শ্রমবিধিতে স্থায়ী-মেয়াদি কর্মচারীদের স্থায়ী কর্মচারীর সমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, যা স্বল্পমেয়াদি কাজের ক্ষেত্রেও স্থিতিশীলতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে। স্থায়ী কর্মীদের মতোই তাঁরা ছুটি, চিকিৎসা ও সামাজিক সুরক্ষা-সহ সব সুবিধা পাবেন। ৫ বছরের পরিবর্তে মাত্র ১ বছর কাজের পরেই মিলবে গ্র্যাচুইটি। স্থায়ী ও স্থায়ী-মেয়াদি কর্মচারীর মজুরি সমান। এটি সরাসরি নিয়োগকে উৎসাহিত করে এবং কন্ট্রাক্টর-নির্ভরতা কমায় (Worker)। এই প্রথমবারের মতো গিগ ও প্ল্যাটফর্ম কর্মী এবং অ্যাগ্রিগেটরদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে লাখ লাখ কর্মী সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আসবেন। এই সংস্কারগুলি চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের সুরক্ষা বাড়ায় এবং উন্নত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে। প্রধান নিয়োগকর্তাকে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধা দিতে হবে। নয়া বিধি মহিলা শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে (Four Labour Codes) তাঁদের প্রাপ্য অধিকার, সুরক্ষা এবং সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের ওপর আইনগত নিষেধাজ্ঞা, সম কাজে সম বেতন দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

    চাকরিতে আরও বেশি সুরক্ষা

    তরুণ শ্রমিকরা প্রাথমিক পর্যায়ের চাকরিতে আরও বেশি সুরক্ষা পাবেন। সব শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। নিয়োগপত্রের পাশাপাশি ছুটির সময় মজুরি দেওয়াও বাধ্যতামূলক। এই বিধিগুলি এমএসএমই কর্মীদের একটি ঐক্যবদ্ধ কল্যাণ কাঠামোর আওতায় আনে, যার ফলে কর্মপরিবেশ ও সুরক্ষা আরও উন্নত হয়। বিড়ি ও সিগার শ্রমিকদেরও আইনি সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এঁদের ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে। সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা কাজ করানো যাবে। বছরে ৩০ দিন কাজ করলেই বোনাস দিতে হবে। প্ল্যান্টেশন শ্রমিকদেরও আধুনিক নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষার মানদণ্ডের আওতায় আনা হয়েছে (Worker)।

    সমান সুরক্ষা

    ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, প্রযুক্তিবিদ ও পারফর্মাররা এখন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও সমান সুরক্ষা পান (Four Labour Codes)। তাঁদের বেতন ও সুবিধা উল্লেখ করে বাধ্যতামূলক নিয়োগপত্র দিতে হবে, দিতে হবে সময় মতো মজুরিও। ডাবিং শিল্পী, স্টান্ট কর্মী ও ডিজিটাল মিডিয়া কর্মীদেরও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খনি-খাতের কর্মীরা আরও শক্তিশালী নিরাপত্তা ও কল্যাণের মানদণ্ডের সুবিধা পাবেন। উচ্চ-ঝুঁকির শিল্পে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সুরক্ষা আরও জোরদার করা হয়েছে। নয়া শ্রমবিধিগুলি অভিবাসী ও শিল্পাঞ্চলের টেক্সটাইল শ্রমিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা নিয়ে এসেছে। আইটি খাতের হোয়াইট-কলার কর্মীরা এখন আরও স্পষ্টতা, কাঠামোবদ্ধ ব্যবস্থা ও সময়মতো বেতন পাওয়ার নিশ্চয়তা পাবেন। বন্দর শ্রমিকরা এখন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও সুরক্ষা পাচ্ছেন। ভারতের রফতানিমুখী শিল্পে এই সংস্কারগুলি শ্রমিকদের সুরক্ষা আরও শক্তিশালী করেছে (Four Labour Codes)।

  • Rishi Sunak: ব্রিটেনের ভোটে লেবার পার্টির জয়জয়কার! ‘‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী’’, পরাজয় স্বীকার সুনকের

    Rishi Sunak: ব্রিটেনের ভোটে লেবার পার্টির জয়জয়কার! ‘‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী’’, পরাজয় স্বীকার সুনকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনের ফল (UK Election Results) ঘোষণা শুরু হয়েছে। ভারতীয় সময় সকাল ৯টা পর্যন্ত বিরোধী দল লেবার পার্টি প্রায় ২০০ আসনে জয়ী হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টি এখনও পর্যন্ত (সকাল ৯টা) ২৭টি আসনে জয় পেয়েছে। আর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি জয় পেয়েছে ৩২টি আসনে। যা ট্রেন্ড, তাতে লেবার পার্টি ৪১০ আসনে জয় পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কনজারভেটিভ পার্টি জয় পেতে পারে ১৩১ আসনে। এই আবহে ঋষি সুনক (Rishi Sunak) সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘অত্যন্ত পরিশ্রমের পরেও অনেক কনজারভেটিভ প্রার্থীরা পরাস্ত হয়েছেন। আমি (Rishi Sunak) এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’’

    পরাজয়ের দায় নিলেন সুনক (Rishi Sunak)

    লেবার পার্টির এই জয়ের পরে তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। ব্রিটেনের এই নির্বাচনে ইতিমধ্যে তিনি নর্থ ইয়র্কশায়ারের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘লেবার পার্টি এই সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। আমি স্যার কিয়ের স্টার্মারকে ফোন করে তাঁর দলের বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতা বদল হতে চলেছে ব্রিটেনে। আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত স্থিতিশীলতা বজায় (UK Election Results) রয়েছে। ব্রিটিশ নাগরিকরা আজ রাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন। আমার দলের পরাজয়ের জন্য আমি দায় নিচ্ছি। অনেক কিছু শিখতে হবে আমাদের। অত্যন্ত পরিশ্রমের পরেও অনেক কনজারভেটিভ প্রার্থীরা পরাস্ত হয়েছেন। আমি (Rishi Sunak) এজন্য দুঃখিত।’’ অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতা জ্যাকব রিসমগ বলেন, ‘‘এই রাত দলের জন্য খুবই হৃদয়বিদারক।’’

    ১৪ বছর পরে ক্ষমতা বদল হতে চলেছে ব্রিটেনে

    প্রসঙ্গত, ১৪ বছর পরে ক্ষমতা বদল হতে চলেছে ব্রিটেনে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নাম ‘হাউস অফ কমন্স’। মোট আসন রয়েছে ৬৫০টি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ৩২৬টি আসন। ট্রেন্ড সত্যি হলে, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে দ্বিগুণ ভোট এবং তিন গুণ আসন নিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে কিয়ের স্টার্মারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি।

    কী বলছেন কিয়ার স্টার্মার?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টার্মার হলবন ও সেন্ট প্যানক্রাস আসনে জয় পেয়েছেন। তারপর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘পরিবর্তন শুরু হয়েছে। এখন আমাদের দেওয়ার সময়।’’ লেবার পার্টির এই নেতা হলবন ও সেন্ট প্যানক্রাসের জয়কে বড় পাওয়া হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘‘এটা আমার বাড়ি। যেখানে আমার সন্তানেরা বড় হয়েছে। আমার স্ত্রীর জন্ম হয়েছে।’’ তাঁকে সমর্থনের জন্য পরিবারকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্টার্মার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: এ যেন ল্যান্ডমাইন! বাড়ির ভিত কাটতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ, জখম চার শ্রমিক, এলাকায় আতঙ্ক

    Bomb Blast: এ যেন ল্যান্ডমাইন! বাড়ির ভিত কাটতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ, জখম চার শ্রমিক, এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  তৃণমূলের সরকারের আমলে বোমার স্তুূপের মধ্যে রয়েছে গোটা রাজ্য। এমনই অভিযোগ করে বিরোধীরা। সেটা যে সত্যি তার প্রমাণ মিলল নদিয়ার চাকদায়। বাড়ি তৈরির ভিত কাটতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) । আর তাতে জখম হন চারজন শ্রমিক। একজনের চোট গুরুতর। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদার লালপুর এলাকায়। গুরুতর জখমসহ চারজন শ্রমিককে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে। ইতিমধ্যে কে বা কারা মাটির তলায় বোমা রেখেছিল তার তদন্ত শুরু করেছে চাকদা থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নদিয়ার চাকদার পাজির মোড় লালপুরে মৌসুমী বিশ্বাস নামে এক গৃহবধূর বাড়ি তৈরির জন্য ভিত খোঁড়ার কাজ চলছিল। পাশেই তাঁর ঘর রয়েছে। নিজের ফাঁকা জমিতে নতুন করে ঘর তৈরির জন্য ভিত কাটার কাজ চলছিল। সেখানে চারজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। আচমকা মাটির নীচে থাকা একটি কৌটোর ওপর কোদালের কোপ লাগে। এরপর বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। চারজন শ্রমিকই মাটিতে ছিটকে পড়েন। তবে, যে শ্রমিকের কোদাল লেগে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে তিনি গুরুতর জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চলছে চিকিৎসা। দিনের বেলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত গোটা এলাকার মানুষ। অন্যদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চাকদা থানার পুলিশ। এই বোমাটি কীভাবে এল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: নদিয়ার গঙ্গার চরে ফের কুমির, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দা শিপ্রা দত্ত বলেন, ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলাম। হঠাৎ বিকট আওয়াজ (Bomb Blast) পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। যেখানে ভিত কাটার কাজ চলছিল, সেখানে ধোঁয়ায় ভরে যায় এলাকা। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখি শ্রমিকদের। মাটিতে রক্ত ভাসছিল। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকে আমরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছি। কে বা কারা এই বোমা মাটির তলায় রেখেছিল তা তদন্ত হওয়া দরকার। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা মাটির নীচে ল্যান্ড মাইন পেতে রাখত। এদিনের ঘটনা সেরকম মনে হচ্ছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দুবাইয়ে আটকে ১৩ শ্রমিক, বাড়ি ফেরাতে সুকান্তর দ্বারস্থ পরিবারের লোকজন

    Sukanta Majumdar: দুবাইয়ে আটকে ১৩ শ্রমিক, বাড়ি ফেরাতে সুকান্তর দ্বারস্থ পরিবারের লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন এলাকার ১৩ জন শ্রমিককে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে দুবাইয়ের এক সংস্থার বিরুদ্ধে। রবিবার ওই শ্রমিকরা এক ভিডিও বার্তার মধ্য দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে দেশে ফেরানোর আর্জি জানান। আর ওই বার্তা পাওয়ার পরেই ওই পরিবারদের পক্ষ থেকে  বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাড়ি গিয়ে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। সুকান্ত বাবুও এ বিষয়ে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে  জানিয়েছেন।

    দুবাইয়ে কেন আটকে রাখা হয়েছে শ্রমিকদের?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কয়েকজন শ্রমিক সম্প্রতি দুবাইয়ে কাজের খোঁজে যায়। তাদের জেলারই এক এজেন্ট এর মাধ্যমে ওই কাজে নিয়ে যাওয়া হয়। গত মাস থেকেই  শ্রমিকরা যেতে শুরু করেছিলেন। সম্প্রতি, গত ৫ তারিখেও বিমানে চেপে জেলার আরও কয়েকজন শ্রমিক শারজাতে কাজে পৌঁছায়। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, প্রচুর বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কম্পিউটারের কাজ করতে নিয়ে গিয়ে, নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগানো হচ্ছে। ওই শ্রমিকদের কম্পিউটারে কাজের বদলে তাদের নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগানো হয়। প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা করে কাজ করানো হচ্ছে। কাজের দু একদিন কাজ করতে এই শ্রমিকরা বিদ্রোহ করে বসে। এরপরে তাদের শারজা থেকে আবুধাবির একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। জেলার মোট ১৩ জন শ্রমিকের ওই ঘরের মধ্যে আটকে রাখার শুধু নয় তাদের খাওয়া-দাওয়া বা অন্যান্য খরচও দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি ওই শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে আসতে চাইলে তাদের কাছে ক্ষতিপুরন হিসেবে মাথা পিছু এক লক্ষ টাকা চাইছে আরবের এক নির্মান সংস্থা। এমন অবস্থায় প্রবল অসহায় পড়া ওই শ্রমিকরা এবারে ভিডিও বার্তার মধ্য দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে তাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করার আর্জি জানায়।

    ভিডিও বার্তায় শ্রমিকরা কী আর্জি জানিয়েছেন?

    ভিডিও বার্তায় শ্রমিকরা বলেন,  একটি ছোট্ট ঘরের মধ্যে ১৩ জন শ্রমিককে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে আমাদের খাবার, ওষুধ বা অন্যান্য খরচ দিতে অস্বীকার করছে আরবের ওই সংস্থা। দুদিন ধরে ওই ঘরে আটকে রাখার পর থেকে আরব বা দক্ষিণ দিনাজপুরে কোনও এজেন্টই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে করছে না। খুব অসহায় ভাবে দিন কাটছে আমাদের। দ্রুত দেশে না ফেরানো হলে আমাদের মৃত্যু ছাড়া কোনও উপায় নেই।

    শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা কী বললেন?

    শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করে ওই শ্রমিকদের দেশে ফেরানোর আর্জি জানান। সাগরিকা কর্মকার নামে এক শ্রমিক পরিবারের সদস্য বলেন, আমার ভাই ও  ভাগ্নে গিয়েছে দুবাইয়ে। ওরা গত পাঁচ তারিখেই প্লেনে করে রওনা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র দুদিন সেখানে কাজ করার পরই,  তাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে ওরা  দেশে ফিরে আসতে চাইছে। কিন্তু তাদের আটকে রাখা হয়েছে। ওনাদের সকলকে দ্রুত দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে কাছে আমরা সাংসদের (Sukanta Majumdar) কাছে আবেদন জানিয়েছি।

    শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর আশ্বাস সুকান্তর (Sukanta Majumdar)  

    সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, শ্রমিক পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই  বিষয়টি নিয়ে আমি বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে, ওই শ্রমিকদের সকলকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Michaung: ‘বাংলার থেকে আয় হয় দ্বিগুণ,’ দাবি দুর্যোগে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকের

    Cyclone Michaung: ‘বাংলার থেকে আয় হয় দ্বিগুণ,’ দাবি দুর্যোগে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) ধাক্কায় বেহাল চেন্নাই। প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত স্তব্ধ জনজীবন। চারিদিক জলমগ্ন। দুর্যোগের মধ্যে আটকে রয়েছেন এই রাজ্যের বহু পরিযায়ী শ্রমিক। স্বাভাবিকভাবে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা।  মালদা ও বাংলার অন্য নানা জেলা থেকে চেন্নাইয়ে এসেছেন বহু শ্রমিক। তাঁরা এখন দুর্দশায় পড়েছেন।

    চেন্নাইয়ের মজুরি দ্বিগুণ, দাবি পরিযায়ী শ্রমিকদের

    পরিযায়ী শ্রমিক মালদার বাসিন্দা সেলিম সেখ। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি বলেন, বৃষ্টি দেখে বুঝতেই পারিনি এমন পরিস্থিতি হবে। বাড়ি যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) জেরে এমনভাবে জল বেড়েছে যে আটকে পড়েছিলাম আমরা। ইন্টারনেট নেই, বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। ফলে মোবাইল বন্ধ হয়ে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছিলেন না। বৃষ্টির জন্য বন্ধ রয়েছে সব কাজ। এখানে রোজগার না থাকলে বসে খরচ বেড়ে যায়। তাই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছি। কিন্তু বাড়ি-ঘর ছেড়ে এতদূরে কেন আসেন তাঁরা? কারণ স্পষ্ট জানালেন ওই শ্রমিক। তিনি বলেন, রাজ্যেও রাজমিস্ত্রির হেল্পারের কাজ করতাম। কিন্তু বাংলায় যে কাজের জন্য দিনে ৩০০-৩৫০ টাকা মেলে, সেই কাজের জন্যই চেন্নাইয়ে মেলে ৭০০ টাকা। বাংলার থেকে দ্বিগুণ আয় হয় এখানে। বেশি আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হই। ডালিম হক বলেন, বাংলায় কাজ নেই। মজুরিও কম। এখানে মজুরি অনেকটাই বেশি। তাই, বাড়তি রোজগারের আশায় আমরা বাড়ি ছেড়ে এখানে এসেছি।

    দুদিন পরই খোঁজ মিলল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী

    চেন্নাইয়ে থারাইপক্কমে থাকেন হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সৌমাভ মিত্র। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) জেরে  দুদিন ধরে তিনি পাননি খাবার ও পানীয় জল। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের সঙ্গে। প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে শেষমেশ খোঁজ মেলে সৌমাভর। শেষ পর্যন্ত,  ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। তাঁর বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন পরিবারের লোকজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand tunnel: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে স্বামী! দুশ্চিন্তায় তুফানগঞ্জের হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী

    Uttarakhand tunnel: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে স্বামী! দুশ্চিন্তায় তুফানগঞ্জের হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিন ধরে উত্তরকাশীতে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে (Uttarakhand tunnel) আটকে থাকা ৪১ জনের শ্রমিকের মধ্যে রয়েছেন তুফানগঞ্জের এক শ্রমিক। মঙ্গলবার প্রশাসনের তরফ থেকে খোঁজ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশপাশি পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে পরিবারের লোকজন দিন গুনছেন। স্বামীর জন্য দুশ্চিন্তায় ইতিমধ্যেই স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসন জোর কদমে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

    আটকে পড়া শ্রমিকের পরিচয় (Uttarakhand tunnel)

    উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে (Uttarakhand tunnel) উদ্ধার কাজে প্রশাসন নেমেছে। মঙ্গলবার ৬ ইঞ্চি পাইপ লাইনের মাধ্যমে আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শ্রমিকদের অনেকেই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। আটকে থাকা শ্রমিকের মধ্যে তুফানগঞ্জের এক শ্রমিকের পরিচয় জানা গিয়েছে। তাঁর নাম মানিক তালুকদার। বাড়ি কোচবিহারের তুফানগঞ্জে। তাঁর সঙ্গে পরিবারের সারাসরি কথা না হলেও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপরে স্বামীর চিন্তায় স্ত্রী মণি তালুকদার অস্থির হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    শ্রমিকদের ভিডিও ধরা পড়েছ

    সুড়ঙ্গের  (Uttarakhand tunnel) মধ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের এন্ডোস্কোপিক ফ্লেক্সি ক্যামেরা সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে ভিতের খবরাখবর নেওয়া হয়। একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। পাইপের মাধ্যেমেই পাঠানো হয় মোবাইল ফোন, চার্জার। এর মাধ্যমেই বাইরের প্রশাসন এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পাইপের মধ্যে দিয়েই খিচুড়ি, ডালিয়া এবং নানা রকম ফল সরবরাহ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছে মনোবল।

    উদ্ধার কাজে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দল

    উত্তরকাশীতে ৬০ মিটারের বেশি গভীর সুড়ঙ্গের  (Uttarakhand tunnel) মধ্যে আটকে রয়েছেন ৪০ জন শ্রমিক। এই সুড়ঙ্গ হল চারধামকে সংযোগ করার একটি সরল সড়ক। ভিতরে চারিদিকে ধ্বংসস্তূপের অবশেষ জমে রয়েছে। উদ্ধার কাজ করতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদলও ঘটনাস্থলে কাজ করে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। পাশ থেকে সুড়ঙ্গে ঢোকা সম্ভব নয়, তাই উপর থেকে মাটি খুঁড়ে শ্রমিকদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। উদ্ধারে আরও চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sanitation: দুর্গাপুর পুরসভায় কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে কেন সাফাই কর্মীরা?

    Sanitation: দুর্গাপুর পুরসভায় কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে কেন সাফাই কর্মীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সাত সকালেই গোটা শহর ঝাঁ চকচকে করে রাখা তাঁদের কাজ। কিন্তু, তিন মাস ধরে পরিবার নিয়ে চরম অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন দুর্গাপুর পুরসভার ৪৫৮ জন সাফাই (Sanitation) কর্মী। জানুয়ারি মাস থেকেই তাঁদের বেতন হচ্ছে না। বকেয়া বেতনের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখান সাফাই কর্মীরা। যার জেরেই এদিন সকাল থেকেই শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডে কোনও সাফাই (Sanitation) হয়নি। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, জানুয়ারি থেকে বেতন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। বেতন না পাওয়ায় সংসার চালাতে চরম সমস্যা হচ্ছে। দোকানে কেউ ধার দিচ্ছে না। ছেলেমেয়েদের টিউশন ফি দিতে পারছি না। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে আমরা সকলে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে বকেয়া বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। বিষয়টি জানতে পেরে পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় সাফাই কর্মীদের দাবি বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে আমরা ওদের বকেয়া বেতন দেওয়ার চেষ্টা করব।

    সাফাই কর্মীদের বেতন পেতে সমস্যা হচ্ছে কেন? Sanitation

    দুর্গাপুর পুরসভার সাফাই কর্মীরা ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ হন। ফলে, তাঁদের বেতনও দেন ঠিকাদাররা। এতদিন যে ঠিকাদার তাঁদের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি নিয়মিত বেতন দিতেন বলে সাফাই (Sanitation) কর্মীদের দাবি। এখন নতুন ঠিকাদার নিয়োগ হওয়ার পর থেকেই বেতন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সাফাই কর্মীদের বক্তব্য, সরকারি নিয়ম মেনে ঠিকাদার পরিবর্তন করা হয়েছে। তাতে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু, নতুন ঠিকাদার বার বার আমাদের কাছে বিভিন্ন কাগজপত্র চেয়ে হেনস্থা করছে। এমনিতেই আমাদের কোনও ছুটি নেই। এরপরও যদি আমাদের নিয়মিত বেতন না দেয় তাহলে আমরা কী করে কাজ করব?

    দুর্গাপুর পূর্বের বিজেপির বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, জোর করে তৃণমূল সরকার এই পুরসভার নির্বাচন করছে না। প্রশাসক বোর্ড বসিয়ে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রেখেছে। সাফাই (Sanitation) কর্মীরা সামান্য বেতনে কাজ করেন। তাঁদের ন্যায্য বেতন তিনমাস ধরে আটকে রেখেছে। আমরা চাই, অবিলম্বে পুরভোট করা হোক। স্বচ্ছভাবে  ভোট হলে এই বোর্ড থাকবে না। সাফাই কর্মীরা নিজেদের ন্যায্য পাওনা থেকে আর বঞ্চিত হবেন না। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, সাফাই কর্মীদের বেতন না দেওয়া অন্যায়। এই বোর্ডের উদাসীনতার কারণে এসব হচ্ছে। অবিলম্বে পুরভোট করা দরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share