Tag: Lachit Barphukan

Lachit Barphukan

  • Lachit Barphukan: প্রজাতন্ত্র দিবসে অসমের ট্যাবলোতে লাচিত বরফুকন, জানেন কে ছিলেন তিনি?

    Lachit Barphukan: প্রজাতন্ত্র দিবসে অসমের ট্যাবলোতে লাচিত বরফুকন, জানেন কে ছিলেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে লাচিত বরফুকনের (Lachit Barphukan) বিভিন্ন কার্যকলাপের ট্যাবলো দেখা গেল। গত বছরে লাচিত বরফুকনের (Lachit Barphukan) ৪০০ তম জন্মদিনে নতুন দিল্লিতে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যেগুলিতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হাজির ছিলেন।
    অসমের এই ট্যাবলোতে দেখা যাচ্ছে ১৬৭১ সালের বিখ্যাত সরাইঘাটের যুদ্ধের বিভিন্ন থিম। যেখানে লাচিত বরফুকনকে (Lachit Barphukan) দেখা যাচ্ছে তাঁর সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিতে। একটি নৌকার উপরে চড়ে আছেন তিনি, সঙ্গে রয়েছে তাঁর বাহিনী। অসমের ট্যাবলোতে এবার অবশ্য কামাখ্যা মন্দিরও উছে এসেছে।

    আরও পড়ুন: কালনাতে ব্যাপক জনপ্রিয় সরস্বতী পুজো, এবছর কোন ক্লাব কী থিম করল জানেন?

    আসামের কালচারাল অ্যাফেয়ার্স এর ডিরেক্টর মীনাক্ষী দাস নাথ বলেন এই ট্যাবলোতে কামাখ্যা মন্দিরকেও রেখেছি  আমরা। কামাখ্যা মন্দির হল নারী শক্তির অন্যতম প্রতীক।

    কে ছিলেন লাচিত বরফুকন (Lachit Barphukan)

    আহোম সাম্রাজ্যের সাহসী ও পরাক্রমী সেনাপতি ছিলেন লাচিত বরফুকন
    । ১৬৭১ সালে সরাইঘাটের যুদ্ধে তিনি বিশাল মোঘল সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে মোঘল সাম্রাজ্যকে চিরকালের জন্য অসম থেকে দূর করেছিলেন বলে জানা যায়। লাচিত বরফুকনের (Lachit Barphukan) বীরত্বের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিবছর ২৪ নভেম্বর তারিখ অসমে লাচিত দিবস পালন করা হয়।

    শোনা যায়, সরাইঘাট যুদ্ধের সময় লাচিত বরফুকন (Lachit Barphukan) মোঘলদের বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আহোম সেনাদের একটি দেওয়াল নির্মাণ করার আদেশ দিয়েছিলেন। লাচিতের নিজের মামা এই দেওয়াল নির্মাণের দ্বায়িত্বে ছিলেন কিন্তু অলসতার কারণে পর্যাপ্ত সময়ের মধ্যে দেওয়াল নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করতে পারেননি। এই অপরাধে লাচিত তাঁর নিজের মামার শিরশ্ছেদ করেন। বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, মামার শিরশ্ছেদ করার সময় লাচিতের (Lachit Barphukan) উক্তি ছিল “দেশতকৈ মোমাই ডাঙর নহয়” যার বাংলা মানে জন্মভূমি থেকে মামার স্থান বড় নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Indian History: ভারতের ইতিহাস বীরত্বের, যোদ্ধাদের! নতুন করে তা লিখতে হবে অভিমত প্রধানমন্ত্রীর

    Indian History: ভারতের ইতিহাস বীরত্বের, যোদ্ধাদের! নতুন করে তা লিখতে হবে অভিমত প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ইতিহাস কেবলমাত্র দাসত্বেরই নয়। ভারতের উজ্জ্বল ইতিহাসে বহু যোদ্ধাও রয়েছেন। তবে ইতিহাসের পাতায় সকলের নাম উল্লেখ নেই। তাঁদের নাম ইতিহাসের পাতায় তুলে ধরতে হবে বলে অভিমত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi)। অসমের সরাইঘাট যুদ্ধের হিরো কম্যান্ডার জেনারেল লাচিত বারফুকানের (Lachit Barphukan) ৪০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে এই কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। একই দিনে লাচিত বারফুকানকে নিয়ে আর একটি অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদদের নতুন করে ইতিহাস লেখার আর্জি জানানলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।

    প্রধানমন্ত্রীর কথা

    এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত তার বিচিত্র ঐতিহ্য উদযাপন এবং বীরদের স্মরণ করার মাধ্যমে অতীতের ভুল সংশোধন করেছে। তিনি বলেন, “ঔপনিবেশিক আমলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রচিত ইতিহাসের পাতা থেকে বহু বীরদের কথা হারিয়ে গিয়েছে। ভারতের ইতিহাস যোদ্ধাদের ইতিহাস, বিজয়ের ইতিহাস, আত্মত্যাগ, নিঃস্বার্থতা ও বীরত্বের ইতিহাস।” মোদী বলেন, স্বাধীনতার পরও যে ইতিহাস পড়ানো হচ্ছে তা, ঔপনিবেশিক আমলের ষড়যন্ত্রের স্বীকার। তিনি বলেছেন, “স্বাধীনতার পর দাসত্বের উদ্দেশ্য পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল। তবে তা করা হয়নি।”

    আরও পড়ুন: জামা মসজিদে মেয়েদের ‘একা’ ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা! ‘‘এটা ইরান নাকি?’’ তোপ মহিলা কমিশনের

    প্রসঙ্গত, ১৬২২ খ্রিস্টাব্দের ২৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন লাচিত বারফুকন। তিনি অহম রাজ প্রতাপ সিংয়ের অধীনস্ত অহম বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন। প্রবল পরাক্রমী মুঘল সেনাবাহিনীও লাচিত এবং তাঁর বাহিনীর কাছে হার মানত। ১৬৭১ সালের সরাইঘাটের যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। লাচিত বারফুকনের বীরত্ব এবং সরাইঘাটের যুদ্ধে অহম বাহিনীর বিজয়কে স্মরণ করার জন্য ২৪ নভেম্বর অসমে লাচিত দিবস পালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদির কথায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাসত্বের বিরুদ্ধে বীর পুরুষ, নারীরা গর্জে উঠেছেন। তবে ইতিহাসের পাতায় তাদের জায়গা হয়নি। এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ কাজ করা হয়েছে। লাচিত বারফুকনের জীবন আমাদের পরিবারের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের কথা ভাবতে শেখায়। আমরা বুঝতে পারি, দেশের থেকে কোনও সম্পর্ক বড় নয়।”

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আর্জি

    দিল্লিতে অসম সরকারের একটি অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদদের নতুন করে দেশের ইতিহাস লেখার জন্য আহ্বান জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “যে লিখিত ইতিহাস আমরা জানি, তা অনেক সময়ই সঠিক নয় এবং কোথাও কোথাও বিকৃতও। আমি ইতিহাসের একজন ছাত্র। বহুদিন ধরেই শুনে আসছি আমাদের ইতিহাস ঠিকভাবে পরিবেশন করা হয়নি। হয়তো সেটা সত্য়ি কথাই। কিন্তু এবার আমাদের সেটা সংশোধন করতে হবে।” দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ইতিহাসের ছাত্র ও ইতিহাসবিদদের প্রতি তাঁর আবেদন, “আমাদের ইতিহাস সঠিক নয়, এই বক্তব্যকে পেরিয়ে নতুন করে গবেষণা শুরু করুন। একবার সেই ইতিহাস লেখা হলে, মিথ্যাভাষণের এই ধারাকে মুছে দেওয়া যাবে।” তিনি বলেন, দেশের এমন ৩০ টি মহান শাসনকালকে বেছে নিয়ে ইতিহাস লেখা হোক যাঁরা ১৫০ বছরেরও বেশি রাজত্ব করেছে, বেছে নেওয়া যাক ৩০০ এমন যোদ্ধাকে যাঁদের সাহস অনুপ্রাণিত করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share