Tag: Ladakh

Ladakh

  • India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    India China Border: চিনা আক্রমণ রুখতে মাস্টারপ্ল্যান! পূর্ব লাদাখে স্থায়ী নয়া সেনা ডিভিশন মোতায়েন করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে ফের সেনাবল বৃদ্ধি করল ভারত। চিনের (China) সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েনের মাঝে ভারতীয় সেনার (Indian Army) এই পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অর্থাৎ, এলএসি (LAC) বরাবর নতুন পদাতিক ডিভিশন মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defense Ministry Of India) সূত্রের খবর, লাদাখের (India China Border) রাজধানী লেহ্‌তে মোতায়েন ১৪ নম্বর কোরের নিয়ন্ত্রণে থাকবে নবগঠিত ওই ৭২ পদাতিক ডিভিশন।

    কোথায় মোতায়েন থাকবে নয়া ডিভিশন

    কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে ধারাবাহিক আলোচনার ফলে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও এখনও পূর্ব লাদাখের (India China Border) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এই আবহে এলএসির নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পুরোদস্তুর একটি নতুন ডিভিশন গড়ছে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর যে কোনও ডিভিশনে একজন মেজর জেনারেলের নেতৃত্বে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার সৈন্য থাকে। তিন থেকে চারটি ব্রিগেড আছে যেগুলো একজন ব্রিগেডিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়। পূর্ব লাদাখে ৭২ ডিভিশনের অধীনে ইতিমধ্যেই একটি ব্রিগেড সদর দফতর খোলা হয়েছে। এখান থেকে কাজও শুরু হয়েছে। লেহ-এর ১৪ ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরের অধীনে ৭২ ডিভিশনকে স্থায়ীভাবে মোতায়েন করা হবে। বর্তমানে, এই এলাকায় একটি কাউন্টার-ইনসার্জেন্সি ইউনিট ইউনিফর্ম ফোর্স রয়েছে, যারা শীঘ্রই ৭২ ডিভিশনকে কমান্ড হস্তান্তর করবে।

    এই বাহিনী তৈরির প্রস্তুতি

    মনমোহন সিং সরকারের শেষলগ্নে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ড্রাগনের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনার পৃথক ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’ তৈরি হবে। ২০১৩-য় ৬৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভারতীয় সেনার প্রায় ৯০ হাজার অফিসার ও জওয়ান নিয়ে ওই বাহিনী মঞ্জুর হয়। লক্ষ্য ছিল, এই বাহিনীই ৩,৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-চিন সীমান্তে ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’-র গতিবিধির উপরে নজর রাখবে। এর পর পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে গড়ে ওঠে ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের একটি ডিভিশন। পূর্ব ভারতে মাউন্টেন কোরের প্রথম ডিভিশন তৈরির পরে লাদাখকে নজরে রেখে ২০১৭-য় পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন তৈরির কাজ শুরু হয়। পরবর্তীকালে, ২০১৭ সালে লাদাখের জন্য পঠানকোটে দ্বিতীয় ডিভিশন গঠনের কাজ শুরু হয়।

    গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফোর্স গঠনে সক্রিয়তা

    ২০২০-র এপ্রিলে পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) চিনা আগ্রাসন এবং গালওয়ানে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে দ্রুত মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সে সময় প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে উঁচু অবস্থানগুলি দখলে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল পানাগড়ের বাহিনী। ঝটিতি অভিযানে সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ কালা টপ, মুকপরী এবং রেজাংলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল তারা। এর ফলে প্যাংগংয়ের দক্ষিণে স্পাংগুর হ্রদ লাগোয়া উপত্যকায় মোতায়েন চিনা বাহিনীও চলে এসেছিল ভারতীয় সেনার ‘নাগালে’। পাশাপাশি থাকুং সেনাঘাঁটির অদূরে হেলমেট টপ এলাকা থেকে রেচিন লা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাতেও ভারতীয় সেনার নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয় ১৭ নম্বর মাউন্টেন স্ট্রাইক কোরের সৌজন্যে। এইসব ঘটনার পর ভারত বুঝতে পারে যে, পূর্ব লাদাখের প্রতিরক্ষা জোরদার করতে হলে আরও শক্তিশালী ডিভিশন মোতায়েন করা দরকার।

    সম্প্রতি স্থিতিশীল সীমান্ত

    গত বছর ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। এরপর ভারত এবং চিনের (India China Border) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নয়নের রাস্তায় ফেরাতে গত ২১ অক্টোবর দিল্লির তরফে জানানো হয়, ডেপসাং এবং ডেমচকের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সহমত হয়েছে দুই দেশ। সীমান্ত থেকে এলএসি-তে পাঁচটি জায়গায় ভারত ও চিনের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল – ডেপসাং, ডেমচোক, গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং। ২০২০ সালের পর কয়েক দফা আলোচনার পরে, উভয় দেশের সেনাবাহিনী গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং সো এবং গোগরা হট স্প্রিং থেকে পিছু হটেছিল। তবে ডেপসাং ও ডেমচোকে সেনা মোতায়েন করায় সংঘর্ষের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি চুক্তির পর ভারত ও চিনা সেনারা পাঁচটি স্থান থেকে সরে গিয়েছে এবং এখানে আগের মতোই টহল শুরু হয়েছে।

    নিরাপত্তা নিয়ে আপোষ নয়

    তবুও দেশের নিরাপত্তা (India China Border) নিয়ে কোনওরকম আপস করতে রাজি নয় মোদি সরকার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাই পূর্ব লাদাখের এলএসিকে ‘পাখির চোখ’ করে পাঠানকোটের পরিবর্তে পার্বত্যযুদ্ধে পারদর্শী ৭২ নম্বর ডিভিশনকে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। ভারতীয় সেনার নর্দার্ন কমান্ডের অধীনে পূর্ব লাদাখের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হয়। কারণ কারাকোরাম পাসের কাছে দৌলত বেগ ওল্ডি পোস্ট থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ের মাঝে একটি সমতল এলাকাও রয়েছে, যা সামরিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে, ডেমচোক সিন্ধু নদীর কাছে পড়ে। এখানে চিনের নিয়ন্ত্রণ থাকলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোতে জল সরবরাহে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই অঞ্চলে কড়া পাহারার কথাই ভাবল কেন্দ্র, এমনই অনুমান কূটনীতিকদের।

  • Jammu Kashmir High Court: ২০,০০০ টাকা জরিমানা! ডিভোর্সি শব্দের ব্যবহার নিয়ে কঠোর মন্তব্য কাশ্মীর হাইকোর্টের

    Jammu Kashmir High Court: ২০,০০০ টাকা জরিমানা! ডিভোর্সি শব্দের ব্যবহার নিয়ে কঠোর মন্তব্য কাশ্মীর হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিভোর্সি কারুর পদবী নয়, তাহলে কেন বিবাহবিচ্ছেদের পর মহিলাদের নামের সঙ্গে বারবার ডিভোর্সি শব্দটি উচ্চারিত হবে, প্রশ্ন তুলল কাশ্মীর হাইকোর্ট। সম্প্রতি একটি শিশুর অভিভাবকত্ব মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনা আবেদন খারিজ করে এই মত দেয় কাশ্মীর ও লাদাখ হাইকোর্ট। আদালত ডিভোর্সি শব্দটি আইনগত প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করাকে কঠোরভাবে নিন্দা করেছে এবং এর ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    পারভেজ আহমদ খান ও তার প্রাক্তন স্ত্রী আরীবের মধ্যে সন্তানদের অভিভাবকত্ব নিয়ে একটি দীর্ঘকালীন বিতর্ক চলছিল। আরীবই তাদের ছোট ছেলের মূল অভিভাবক, বলে জানিয়েছেন বিচারপতি বিনোদ চট্টোপাধ্যায়। পারভেজ খানকে ২০,০০০ টাকা জরিমানাও করেছে আদালত। পারভেজ খান তার পর্যালোচনা আবেদনপত্রে দাবি করেছিলেন যে, পূর্ববর্তী রায়টি তার আবেদনটির অধিকারিতা সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে সরাসরি মূল বিষয়ে রায় দিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, তার মামলা শুধুমাত্র আবেদনটির গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির জন্য রেখেছিল, কিন্তু মূল বিষয়ের উপর কোনও আলোচনা হয়নি। তবে আদালত এই দাবি খারিজ করে দিয়ে জানায় যে, আবেদনটি শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১ জুন রিজার্ভ করা হয়েছিল এবং আদালত ঠিকমতো মূল বিষয়টির উপরই রায় দিয়েছিল। বিচারপতি কৌল তার ৩৩ পৃষ্ঠার রায়ে উল্লেখ করেন, “মামলার মূল বিষয়টি খোলামেলা শুনানি হয়েছিল এবং আদালত অবশ্যই তার সিদ্ধান্তে স্বচ্ছ ছিল।”

    ডিভোর্সি শব্দটা অপমানজনক

    একই সাথে আদালত সাফ জানায়, যে কোনও মামলায় “তালাকপ্রাপ্তা” শব্দ ব্যবহার একটি অত্যন্ত অবমাননাকর আচরণ। আদালত বলেন, “একজন নারীর নামের সঙ্গে তালাকপ্রাপ্তি শব্দ যুক্ত করা যেন তার পদবী বা জাতির অংশ হয়ে দাঁড়ায়—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অসঙ্গতিপূর্ণ। যদি একে সঠিক মনে করা হয়, তবে তালাক দেওয়া পুরুষের নামেও ‘তালাকদাতা’ শব্দ যুক্ত করা উচিত, যা অবশ্যই অশোভন হবে।” এই রায়ের পর আদালত নির্দেশ দেয় যে, কোনও আইনি নথিতে “তালাকপ্রাপ্তা” শব্দ ব্যবহার করা হলে সেই নথি নিবন্ধন বা ডায়রি করা যাবে না।

  • Ladakh: বরফ ঘেরা সিয়াচেন, দৌলত বেগ ওলডিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন

    Ladakh: বরফ ঘেরা সিয়াচেন, দৌলত বেগ ওলডিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারো মাস বরফে ঢাকা লাদাখের (Ladakh) সিয়াচেন এবং দৌলত বেগ ওলডিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন করল ভারতীয় সেনা। এর ফলে চরম প্রতিকূল আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও ওই অঞ্চলের খবর পাবে সেনাবাহিনী। সহজ হবে যোগাযোগ। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, সিয়াচেনের অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে, ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরে’র সিগন্যালার-রা চরম প্রতিকূল আবহাওয়া ও বিপজ্জনক দুর্গম ভূমি উপেক্ষা করে ১৮ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতার এলাকা পার করে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন করেছে। এর ফলে দেশের নিরাপত্তা জোরদার হবে বলে জানিয়েছে সেনা।

    কঠিন লড়াই করে সংযোগ স্থাপন

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮,০০০ থেকে ২০,০০০ ফুট উচ্চতায় কাশ্মীরের কারাকোরাম পর্বতশ্রেণিতে অবস্থিত সিয়াচেন হিমবাহ। এটি বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। এখানে কর্মরত সেনাদের তীব্র ঠান্ডা, প্রচণ্ড বাতাস, এবং বরফ সহ নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। সম্প্রতি ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোর তাদের একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে সেনারা বরফে ঢাকা পাহাড়ে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপন করছেন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেনারা বরফে হাঁটছেন, বরফ-ঢাকা শিখরে ওঠা এবং চরম খাড়াই ঢাল পার করার পর ধীরে ধীরে কেবল স্থাপন করছেন।

    সেনার উল্লেখযোগ্য সাফল্য

    ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোর তাদের পোস্টে জানিয়েছে, ‘‘এই প্রথমবার এবং সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে অপটিক্যাল ফাইবার কেবলগুলি দক্ষতার সঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যোগাযোগ চালু রাখা যায়।’’ তারা আরও বলেছে, ‘‘বিপজ্জনক গর্ত এবং তীব্র ঠান্ডা বাতাসের মধ্যেও, সংকেতবাহিনীর সদস্যরা অটুট মনোবল এবং নিষ্ঠা নিয়ে তাদের কাজ সম্পন্ন করেছেন।’’ এছাড়াও, ডেমচক ও ডেপসাং সমভূমিতে গত একমাস ধরে ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের পর, এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর প্যাট্রলিং পুনরায় শুরু হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সতর্ক এবং সজাগ রয়েছে, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। এই আবহে কারাকোরাম পর্বতমালার এই রেঞ্জগুলিতে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ স্থাপন সেনার উল্লেখযোগ্য সাফল্য। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Highest Airfield: প্রস্তুত লাদাখে দেশের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ড, চিনকে টেক্কা দিতে তৈরি বায়ুসেনা

    India’s Highest Airfield: প্রস্তুত লাদাখে দেশের সর্বোচ্চ এয়ারফিল্ড, চিনকে টেক্কা দিতে তৈরি বায়ুসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC)-র কাছে নতুন বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি করেছে নয়াদিল্লি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখের (Ladakh) মুধ-নিয়োমাতে নবনির্মিত বিমানঘাঁটির যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হবে দেশের সর্বোচ্চ ‘এয়ারফিল্ড’-এর (India’s Highest Airfield)। তারই অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

    বিমানঘাঁটির কৌশলগত গুরুত্ব

    পূর্ব লাদাখের ওই এয়ারফিল্ডটির উচ্চতা মাটি থেকে আনুমানিক ১৩ হাজার ৭০০ ফুট। এর পোশাকি নাম ‘অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’ (এএলজি)। যুদ্ধের সময়ে এর কৌশলগত অবস্থান বাহিনীকে বাড়তি সুবিধা দেবে। পাশাপাশি, লাদাখের মতো পাহাড়ি এলাকায় সংঘর্ষ বাধলে দ্রুত ফৌজকে রণাঙ্গনে নিয়ে যাওয়া বা সৈনিকদের জন্য হাতিয়ার ও জরুরি রসদের জোগান ঠিক রাখতেও এই ঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং। স্থলসেনার সেখানে পৌঁছতে কালঘাম ছুটে যায়। এত দিন পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনও বায়ু সেনাঘাঁটি না থাকায় সে ভাবে নজর রাখতে পারছিল না বায়ুসেনা। এবার স্থলবাহিনীর পাশাপাশি চিন সীমান্তের উপর কড়া নজরদারি করতে পারবে তারাও।

    তিন কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে

    এলএসি লাগোয়া ওই ঘাঁটিতে নিয়মিত ওঠানামা করবে সুখোই, রাফাল বা তেজসের মতো যুদ্ধবিমান। নিয়োমার নবনির্মিত বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রয়েছে তিন কিলোমিটার লম্বা রানওয়ে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাবতীয় অপারেশন চালিয়ে যাওয়ার কথা মাথায় রেখে ওই রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে। সেতু ও পাহাড়ি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে লাদাখের একাধিক এলাকার সঙ্গে মুধ-নিয়োমাকে সংযুক্ত করা হয়েছে, যা সীমান্তে মোতায়েন ফৌজকে গোলা-বারুদ এবং অন্যান্য রসদ সরবরাহে সাহায্য করবে। এগুলির কৌশলগত গুরুত্বও নবনির্মিত এয়ারফিল্ডের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।

    প্রশংসা প্রাক্তন সেনাকর্তাদের

    ২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে এই ঘাঁটি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। এর জন্য আনুমানিক ২১৪ কোটি টাকা খরচ করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। উল্লেখ্য, সাড়ে ১৩ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় বায়ুসেনার ঘাঁটি নির্মাণ মোটেই সহজ কাজ ছিল না। এটি তৈরিতে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাই ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই প্রতিকূলতা সয়ে সময়ের মধ্যে কাজ হওয়ায় সরকারের সদিচ্ছার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন সেনাকর্তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মুহূর্তে পাশার দান উল্টে দিতে সক্ষম হবে এই এয়ারফিল্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • India China Border: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    India China Border: সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দীপাবলিতে মিষ্টি বিনিময় ভারত-চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক বছরে ভারত-চিন সীমান্তে (India China Border) শুধুই শোনা গিয়েছে বাক-বিতণ্ডা। এবার দীপাবলিতে ছবিটা ভিন্ন। পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখা (LAC)-র বিতর্কিত অঞ্চলগুলিতে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছোনো’-র কাজ শেষ করেছে ভারত ও চিন। আজ, বৃহস্পতিবার দীপাবলির শুভেচ্ছার নজির তৈরি করতে এলএসিতে চিন সেনাকে মিষ্টিমুখ করাল ভারতীয় সেনা। সাম্প্রতিক অতীতে এই খবর বিরল। তাই বাস্তবিকই এই দীপাবলি বিশেষ বার্তাবহ। চিনা দূতাবাসের তরফেও ভারতীয়দের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানানো হয়।

    সীমান্তে মিষ্টিমুখ

    বুধবারই সেনা সূত্রে জানানো হয়, “লাদাখ (India China Border) সেক্টরের ডেপসাং এবং ডেমচকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই টহলদারি শুরু হবে। সেনা প্রত্যাহার যাচাইয়ের কাজ চলছে এবং স্থানীয় কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা চলছে। ব্রিগেডিয়ার এবং তার নীচের স্তরের গ্রাউন্ড কমান্ডাররা আলোচনা করে টহল পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন।” বৃহস্পতিবার সকালে সেনার তরফে জানানো হয়,  দীপাবলি উপলক্ষে ভারত ও চিনের মধ্যে সমস্ত সীমান্ত কর্মীদের মিটিং পয়েন্টে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। আমেরিকার ম্যাক্সার টেকনোলজির নেওয়া সাম্প্রতিক উপগ্রহচিত্রে স্পষ্ট, ডেপসাং ও ডেমচক এলাকায় বিভিন্ন অস্থায়ী সেনা ছাউনি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেনা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ডেমচক এবং ডেপসাং-এ যাতে দুই পক্ষের আর কোনও মুখোমুখি সংঘর্ষ না হয়, তার জন্য টহলের বিষয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করা হবে। প্রতিটি টহলদারি দলে ২০ জন সৈন্যর একটি ব্যাচে থাকবে। তাদের হাতে অস্ত্রশস্ত্রও থাকবে। 

    আরও পড়ুন: গত অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষায় ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকার উৎপাদন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    গত ২১ অক্টোবর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দাবি করেছিলেন, পূর্ব লাদাখের (Eastern Ladakh) এলএসিতে টহলদারির সীমানা (India China Border) নির্ধারণের প্রশ্নে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে। তার ভিত্তিতেই ভারত ও চিনের সেনা ২০২০-র মে মাসের আগেকার অবস্থানে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে। তার পর রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস বৈঠকের সময় এই বিষয় নিয়ে পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বার্তা দেন তাঁরা। গত বুধবার থেকে দুই পক্ষ লাদাখের এই দুই এলাকা থেকে অস্থায়ী সেনা ছাউনি ও তাঁবুগুলি এবং সৈন্যদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার মাধ্যমে লাদাখের অধিকাংশ সংঘর্ষের জায়গায় টহল দেওয়া নিয়ে দুই দেশ ঐক্যমত হলেও, ডেমচক এবং ডেপসাং নিয়ে বিরোধ ছিল। অবশেষে, রাশিয়ার কাজানে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বৈঠকের ঠিক আগে, এই দুই জায়গায় টহলের বিষয়েও দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাস থেকে এই দুই এলাকায় ভারতীয় সেনাদের টহল দিতে বাধা দিয়েছিল চিন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    India China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের ছবি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত এবং চিন (India China Relation)। সূত্রের দাবি, এর মধ্যে রয়েছে লাদাখের (Ladakh) ডেপসাং ও ডেমচক অঞ্চলও। শুক্রবার তোলা স্যাটেলাইট চিত্রগুলো এর প্রমাণ দিয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রগুলোতে একাধিক স্থানে কাঠামোগুলোর হ্রাস দেখা গিয়েছে, যা ভারত-চিন দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের শেষের সংকেত হতে পারে। শীতের আগে দুই দেশের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    স্যাটেলাইট চিত্র প্রমাণ

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের আগে সেনা যেখানে ছিল সেখানেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুই দেশের সেনাকে। মার্কিন ভিত্তিক ম্যাক্সার টেকনোলজিসের স্যাটেলাইট চিত্রে গত কয়েক দিনে বিভিন্ন কাঠামো এবং আশ্রয়স্থল ভাঙার চিত্র দেখা গিয়েছে। অঞ্চলটিতে এখনও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চিনা কাঠামো রয়ে গেছে, যা সংঘাতকালীন সময়ে তাদের উপস্থিতির মাত্রা নির্দেশ করে। তবে, ভারতের আশা কথা রাখবে চিন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সরানোর প্রক্রিয়া শেষ হবে। আগের ছবিতে যে জায়গায় কাঠামোগুলি ধরা পড়েছিল এখন সে জায়গায় নেই।

    আরও পড়ুন: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    সীমান্তে শান্তি কাম্য

    চিনের (India China Relation) সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কিছু জায়গায় ভারতের জমি দখল করে রেখেছিল চিনা বাহিনী। আর এবার সেই জটই কাটতে চলেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত এবং চিনের মধ্যস্থতাকারীরা লাগাতার আলোচনা করেছেন। তার পরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। সেনা সরানো নিয়ে সহমত হওয়ার পরে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ আরও গলে ব্রিকস সম্মেলনে। গালওয়ান সংঘর্ষের পরে প্রথমবার বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি এবং শি জিনপিং। ২০১৯ সালের পর এই প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানে মোদি সাফ জানিয়ে দেন, সীমান্তে শান্তি ফেরানোই অগ্রাধিকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ladakh: লক্ষ্য উন্নত পরিষেবা প্রদান! লাদাখে পাঁচটি নতুন জেলা তৈরি করল মোদি সরকার

    Ladakh: লক্ষ্য উন্নত পরিষেবা প্রদান! লাদাখে পাঁচটি নতুন জেলা তৈরি করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল লাদাখে (Ladakh) তৈরি করা হল পাঁচটি নতুন জেলা। সোমবার, জন্মষ্টামীর দিন নতুন জেলাগুলির নাম ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। এই নিয়ে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী মোদি লাদাখের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নিজের ট্যুইট বার্তায়। প্রসঙ্গত, অমিত শাহের মন্ত্রকই লাদাখের প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। উন্নত পরিষেবা প্রদানের উদ্দেশেই এমন সিদ্ধান্ত বলে নিজের পোস্টে জানিয়েছেন শাহ।

    লাদাখের (Ladakh) নতুন ৫ জেলার নাম

    ২০১৯ সালেই ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয় লাদাখকে। লাদাখের প্রশাসনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এত দিন লাদাখে দু’টি জেলা ছিল একটি লেহ এবং অপরটি কার্গিল। এ বার নতুন করে পাঁচটি জেলায় ভাগ করা হল লাদাখকে (Ladakh)। নতুন পাঁচটি জেলা হল- জানস্কার, দ্রাস, শাম, নুবরা এবং চাংথাং। অমিত শাহ জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ করার ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও সহজে ও দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যাবে।

    অমিত শাহের পোস্ট লাদাখ নিয়ে (Ladakh)

    সমাজমাধ্যমে পোস্টে শাহ লিখেছেন, ‘‘উন্নত এবং সমৃদ্ধ লাদাখ গড়ার যে লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুসরণ করছেন, তার প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক লাদাখকে পাঁচটি জেলায় ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানস্কার, দ্রাস, শাম, নুবরা এবং চাংথাং নামের পাঁচটি জেলা লাদাখের (Ladakh) মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও ভালো ভাবে এবং আরও দ্রুত পৌঁছে দেবে। লাদাখের মানুষের জন্য অসংখ্য সুযোগ তৈরি করতে বদ্ধ পরিকর মোদি সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ladakh: হড়পা বানে ভেসে গেল সেনার ট্যাঙ্ক, আধিকারিক-সহ মৃত ৫

    Ladakh: হড়পা বানে ভেসে গেল সেনার ট্যাঙ্ক, আধিকারিক-সহ মৃত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ি নদী পার হতে গিয়েই বিপত্তি। হড়পা বানে ভেসে গেলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক। ঘটনায় পাঁচ জওয়ানের মৃত্যু। এঁদের মধ্যে একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার, বাকি চারজন জওয়ান। শুক্রবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটে লাদাখের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তী দৌলত বেগ ওল্ডি এলাকায়। মৃত জওয়ানদের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা।

    হড়পা বানে বিপত্তি (Ladakh)

    জানা গিয়েছে, এদিন টি-৭২ ট্যাঙ্কে চড়ে নদী পার হচ্ছিলেন ওই জওয়ানরা (Ladakh)। রাতের অন্ধকারে কীভাবে পাহাড়ি নদী পার হতে হয়, চলছিল তারই অনুশীলন। হঠাৎই নদীতে চলে আসে হড়পা বান। জলের তোড়ে ভেসে যায় ট্যাঙ্কটি। দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। একে একে উদ্ধার হয় পাঁচজনেরই দেহ। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ঘটে লাদাখ থেকে ১৪৮ কিলোমিটার দূরে মন্দির মোড় এলাকায়।

    হড়পা বানে আগেও ভেসেছেন জওয়ান

    গত বছর জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় হড়পা বানে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই জওয়ানের। কাকতালীয়ভাবে সেই দিনটিও ছিল শনিবার। সেনা সূত্রে খবর, সেদিন সুরানকোট এলাকার দগরা নালা পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন নায়েব সুবেদার কুলদীপ সিং এবং সিপাই তেলু রাম। সেই সময়ই চলে আসে হড়পা বান। জলের তোড়ে ভেসে যান দুই জওয়ানই। পরে দেহ উদ্ধার হয়েছিল তাঁদের।

    আর পড়ুন: সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট ‘পক্ষপাতদুষ্ট’, জানাল নয়াদিল্লি

    কৌশলগতভাবে লাদাখের গুরুত্ব ভারত এবং চিন দুই দেশের কাছেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বছরভর এখানকার তাপমাত্রার পারদ নীচের দিকে থাকলেও, শত্রুর চোখে চোখ রেখে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর জওয়ানরা। এজন্য তাঁদের পার হতে হয় কঠোর অনুশীলন-পর্ব। এই অনুশীলন-পর্বের মধ্যেই রয়েছে রাতের অন্ধকারের বুক চিরে কীভাবে চালাতে হয় ট্যাঙ্ক, কীভাবেই বা পার হতে হয় পাহাড়ি নদী। সমস্তরকমের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও শত্রুর মোকাবিলা কীভাবে করতে, তাও শেখানো হয় জওয়ানদের। এদিন গভীর রাতে সেরকমই এক প্রশিক্ষণ-পর্ব চলাকালীন ঘটে দুর্ঘটনা। যে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জওয়ানের (Ladakh)।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ladakh: লাদাখ যাওয়ার সব-ঋতুতে ব্যবহারযোগ্য তৃতীয় গিরিপথ নির্মাণ করছে কেন্দ্র

    Ladakh: লাদাখ যাওয়ার সব-ঋতুতে ব্যবহারযোগ্য তৃতীয় গিরিপথ নির্মাণ করছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লাদাখ পৌঁছনো হবে আরও সহজ। লাদাখে (Ladakh) পৌঁছনোর জন্য নয়া গিরিপথ খনন করতে চলছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও)। এই গিরিপথটি নিম্মু-পদুম-দারচা (NPD) রুটের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শিনকু লা পাসের (Shinku-La Pass Ladakh) নীচে একটি টানেল নির্মাণ শুরু করবে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (BRO)। এই গিরিপথ নির্মাণ হলে লাদাখ যাওয়ার জন্য সব ঋতুতে ব্যবহৃত তৃতীয় সড়ক হবে এটি। এর ফলে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জেরদার হবে। একই সঙ্গে লাদাখের পর্যটন ব্যবসাও উন্নত হবে।

    চিনকে টেক্কা

    নিম্মু-পদ্মম-দরচা (Ladakh) রাস্তাটির কৌশলগত দিক থেকেও গুরুত্ব রয়েছে। নয়া এই রাস্তা খুলে গেলে লাদাখের আবহাওয়ার খবরও দ্রুত মিলবে। এই রাস্তা প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিকে শক্তিশালী করবে এবং ওই উপত্যকায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকাও নেবে। এই টানেল তৈরি হলে সহজ হয়ে যাবে অনেক কিছুই। শিনকু লা পাসের (Shinku-La Pass Ladakh) নীচে এই গিরিপথ তৈরি হলে মানালি থেকে লেহ্ যাওয়ার সময় পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা কমে যাবে। ৪.১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই গিরিপথটি ১৬ হাজার ৬১৫ ফুট উচ্চতায় শিনকু লা পাসের নীচে ১৫ হাজার ৮০০ ফুট উঁচুতে খনন করা হবে। এই গিরিপথ নির্মাণ হলে এটি হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ টানেল হয়ে উঠবে। এটি ১৫ হাজার ৫৯০ ফুট উঁচুতে চিনের মিলা টানেলকেও ছাড়িয়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, সেদেশের বিদেশমন্ত্রীও

    সহজ হবে যোগাযোগ

    লাদাখে (Ladakh) যাওয়ার অন্য দুটি রুট হল শ্রীনগর-দ্রাস-কারগিল এনএইচ-১ডি হাইওয়ে, যা ১১,৫৭৫ ফুট উঁচু জোজি-লা পাসের উপর দিয়ে যায় এবং মানালি-সারচু-লেহ হাইওয়ে। ভারী তুষারপাত এবং তুষারপাতের কারণে এই দুটি রুট সাধারণত প্রতি শীতে প্রায় ছয় মাস অবরুদ্ধ থাকে। নতুন এই সুড়ঙ্গপথ সারা বছরই খোলা রাখার মতো রে তৈরি করা হচ্ছে। হিমালয়ের বুক চিড়ে এই সুড়ঙ্গ পথটি জুড়বে লাদাখের (Ladakh) কার্গিল এবং মানালিকে (Shinku-La Pass Ladakh)। এই সুড়ঙ্গটি তৈরি করতে ভারতকে বহু প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে। এই সুড়ঙ্গের পরিকল্পিত দৈর্ঘ্য ৪.১ কিলোমিটার। পাহাড় ফাটিয়ে ওই উচ্চতায় গিরিপথ তৈরি করতে কোটি কোটি টাকা খরচ হবে। এত উঁচুতে পাহাড় কাটা মুখের কথা নয়। এর জন্য টলাতে হবে সাড়ে চার কোটি বছরের পুরনো পাথরকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “সিয়াচেন ভারতের বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী”, বললেন রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh: “সিয়াচেন ভারতের বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী”, বললেন রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিয়াচেন (Siachen) ভারতের বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী”, বলে মন্তব্য করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন পরিদর্শনে গিয়ে এমনই বললেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Ministar)। সোমবার সকালেই দিল্লি থেকে সিয়াচেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সিয়াচেনে পৌঁছে তিনি বেস ক্যাম্পে (Siachen base camp) বীর সৈনিকদের স্মৃতিসৌধে পুস্তস্তবক অর্পণ করে সাহসী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    কী বললেন রাজনাথ?

    রাজনাথ সিং পৌঁছতেই জওয়ানরা ‘ভারত মাতা কি জয়’ প্রতিধ্বনিতে সিয়াচেন মুখরিত করে তোলেন। এরপর সেখানকার বীর যোদ্ধাদের সঙ্গে সময় কাটান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। সিয়াচেন হিমবাহের কুমার পোস্টে মোতায়েন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করে মিষ্টিমুখও করেন তিনি। এরপর রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, “বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহে আপনারা যেভাবে দেশকে রক্ষা করেছেন, তার জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই। সিয়াচেন কোনও সাধারণ জায়গা নয়। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অধ্যাবসার প্রতীক। আমাদের জাতীয় সংকল্পের প্রতিনিধিত্ব করে সিয়াচেন। আমাদের রাজধানী দিল্লি, মুম্বই আমাদের অর্থনৈতিক রাজধানী, আমাদের প্রযুক্তির রাজধানী বেঙ্গালুরু, কিন্তু সিয়াচেন বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী।”

    আরও পড়ুনঃহাইকোর্টের রায়ে বিপাকে নির্বাচন কমিশন, ভোটের ডিউটি করবেন কারা?

    ৪০ বছর পূর্ণ ‘অপারেশন মেঘদূত’

    জানা গেছে, এই অঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডের সাথে এদিন সাক্ষাত করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের ১৩ এপ্রিল ভারতীয় সেনাবাহিনীরা পাকিস্তানকে পরাজিত করে সিয়াচেনকে রক্ষা করে ‘অপারেশন মেঘদূত’ মিশনের মাধ্যমে। ১৩ এপ্রিল, ২০২৪ সালে ‘অপারেশন মেঘদূত’ ৪০ বছর পূর্ণ করেছে। সেই স্মৃতির উদযাপনেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সিয়াচেন পরিদর্শন। উল্লেখ্য, প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় কারাকোরাম পর্বতমালায় অবস্থিত। সিয়াচেন হিমবাহ বিশ্বের সর্বোচ্চ সামরিক অঞ্চল হিসাবে পরিচিত, যেখানে সৈন্যদের তুষারপাত (snowfall) এবং প্রবল ঝড়ের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করে দেশকে রক্ষা করতে টিকে থাকতে হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share