Tag: lalit Jha

lalit Jha

  • Parliament Security Breach: দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ ললিতের, আজ তোলা হবে কোর্টে

    Parliament Security Breach: দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ ললিতের, আজ তোলা হবে কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে হানার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হল দিল্লি পুলিশ। আজ শুক্রবার তাকে পেশ করা হবে পাতিয়ালা কোর্টে। বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করে ললিত। বুধবার সংসদের (Parliament Security Breach) ভিতরে রঙ বোমা (স্মোক গ্রেনেড) নিয়ে হানা দেয় ২ যুবক এবং বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে স্লোগান দিতে থাকে অন্য দুই যুবক-যুবতী। তাদেরকে ধরে ফেলে পুলিশ। জেরা করে সেই সূত্রে জানা যায় ললিতের কথা। জানা যায়, ললিত ওই ঘটনার ভিডিও করতে সংসদের বাইরে উপস্থিত ছিল। এই ঘটনায় উঠে আসে কলকাতা যোগও। সেই ভিডিও কলকাতার এক কলেজ পড়ুয়াকেও পাঠায় ললিত। এরপর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল সে।

    ঘটনার পরে রাজস্থানে যায় সে

    বুধবার ১৩ ডিসেম্বরের এই ঘটনার পরেই ললিতকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। তার মোবাইল নেটওয়ার্ক ধরে তার অবস্থান জানার চেষ্টা করছিল পুলিশ যে সে কোথায় কোথায় গিয়েছে, সেই সব তথ্য জোগাড় করছিল (Parliament Security Breach)। সদা সক্রিয় ছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, বিহার পুলিশ সমেত অন্যান্য সমস্ত রাজ্যের পুলিশ। ললিতের সন্ধান দিতে মাঠে নেমেছিল হরিয়ানা ও রাজস্থান পুলিশও কারণ হরিয়ানা যোগও ইতিমধ্যে উঠে এসেছে এবং গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার হয়েছে পঞ্চম অভিযুক্ত বিশাল শর্মা। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর বাসে চেপে রাজস্থান চলে যায় ললিত। সেখানে দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে এবং রাতে একটি হোটেলে কাটায়।

    সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কী কী বদল

    এদিকে ঘটনার পরপরেই সংসদ সচিবালয়ের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করতে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ প্রস্তাব। এর মধ্যে রয়েছে লোকসভায় যাঁরা ঢুকবেন, বিমানবন্দরের ধাঁচে তাঁদের শরীর পরীক্ষা করতে বডি স্ক্যানার বসানো, সাংসদ, সংসদ কর্মী, সাংবাদিক এবং দর্শকদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ নির্দিষ্ট করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। 

    বুধবার হানাদারেরা লাফ দিয়েছিল (Parliament Security Breach) দর্শক গ্যালারি থেকে। তাই মূল অধিবেশন কক্ষ ও দর্শক আসনের মধ্যে বসানো হবে কাচের দেওয়াল। দর্শকরা যাতে বেপরোয়া আচরণ করতে না পারেন, তাই অধিবেশন চলাকালীন বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সাংসদদের নিরাপত্তায় এসব ব্যবস্থা যতক্ষণ না বাস্তবায়িত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত দর্শকদের পাশ দেওয়া হবে না। দর্শকদের যখন ফের নতুন করে পাস দেওয়া হবে, তখন তাঁদের ঢুকতে হবে সংসদের চতুর্থ গেট দিয়ে। সাংসদদের প্রবেশের জন্য স্মার্ট কার্ড চালুর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সচিবালয়ের তরফে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: মিলল বাংলা-যোগ! সংসদ হানার মাস্টারমাইন্ড ললিত ভাড়া থাকত কলকাতায়!

    Parliament Security Breach: মিলল বাংলা-যোগ! সংসদ হানার মাস্টারমাইন্ড ললিত ভাড়া থাকত কলকাতায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে স্মোক গ্রেনেড নিয়ে তাণ্ডবের পরেই উঠে এল বাংলা-যোগ। এই ঘটনার অন্যতম সন্দেহভাজন ললিত ঝা। সূত্রের খবর, ললিত ভাড়া থাকত কলকাতার বড়বাজারে। টিভিতে সংসদে তাণ্ডবের খবর দেখে তাকে সনাক্ত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। লোকসভায় রং বোমা বানিয়ে তাণ্ডব চালানোর অন্যতম মাস্টারমাইন্ড (Parliament Security Breach) ললিতের পরিবার বিহারে থাকতো বলে জানা গিয়েছে। সন্দেহভাজন ললিতকে এখনও খুঁজে চলেছেন তদন্তকারীরা।

    টিউশন পড়াত ললিত

    জানা গিয়েছে, ললিত ঝা ভাড়া থাকত কলকাতার ২১৮ রবীন্দ্র সরণিতে। এখানেই এক তলার একটি ঘরে সে ভাড়া থাকত। স্থানীয় কিছু বাচ্চাদের ললিত টিউশন পড়াত বলেও খবর। তারপর বছর দেড়েক আগে সে  হঠাৎই সেই ঘর ছেড়ে চলে যায় (Parliament Security Breach)। স্থানীয় এক বাসিন্দা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘একটা কোণার ঘরের ললিত থাকতো। ওই ঘরে পড়াত ছেলেদের। বাচ্চারা দেখতাম বই নিয়ে জোরে জোরে পড়তো। শুনতে পেতাম।’’ তবে ললিত এখানে একা থাকত কিনা, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি ওই বাসিন্দা।

    বাড়ির মালিক বর্তমানে দিল্লিতে থাকে

    জানা গিয়েছে, যে বাড়িতে ভাড়া থাকত ললিত, তার মালিক এখন দিল্লিতে থাকেন। এখন ওই বাড়িতে যাঁরা ভাড়া থাকেন, তাঁরা অনলাইনে বাড়ির মালিককে টাকা পাঠান। কার মাধ্যমে ললিত ভাড়া পেয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছেল তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, কলকাতার বাসিন্দা এক কলেজ পড়ুয়া নীলাক্ষকে সংসদে স্মোকিং তাণ্ডবের (Parliament Security Breach) ভিডিও পাঠিয়েছিল ললিত। নীলাক্ষ এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমি তখন কলেজে ছিলাম। কলেজ থেকে বেরনোর পরে হোয়াটসঅ্যাপে দেখি একটি ভিডিও এসেছে। ললিত ঝা পাঠিয়েছিলেন। সংসদের বাইরে রাস্তায় যেটা হয়েছিল, স্মোক টর্চ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দু,জন। ওই ভিডিও পাঠিয়েছিলেন। আমি তখন পুরোটা দেখিনি। তখন জানতামও না সংসদে এমন ঘটে গিয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম এটা কোথায় হয়েছে, তারপর থেকে কোনও উত্তর পাইনি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: লোকসভাকাণ্ডের মূল চক্রী ললিতের কলকাতার ডেরায় হানা দিল্লি পুলিশের

    Parliament Security Breach: লোকসভাকাণ্ডের মূল চক্রী ললিতের কলকাতার ডেরায় হানা দিল্লি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) মূল চক্রী ললিত ঝা। এই ললিতের ডেরার খোঁজে কলকাতার অলি-গলিতে চক্বর দিচ্ছেন দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা। সোমবারই তাঁরা পৌঁছেছিলেন রবীন্দ্র সরণিতে। এখানে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে টিউশন পড়াত ললিত। এদিন বাগুইআটি থেকে ডালহৌসি— সর্বত্র চষে বেড়াল দিল্লি পুলিশের দল।

    বিএসএনএল অফিসে দিল্লি পুলিশ

    মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের আরও একটি দল আসে ইকোপার্ক থানায়। পরে যায় ডালহৌসির বিএসএনএল অফিসে। ললিতের নামে নেওয়া একটি সিমকার্ডের ডুপ্লিকেটের জন্য দিল্লি পুলিশের ওই দলটি গিয়েছিল বিএসএনএল অফিসে। ললিতের সঙ্গে যে বাংলার নিবিড় যোগ রয়েছে, সে খবর আগেই জানিয়েছিল মাধ্যম। বাংলার একটি এনজিওর কর্মী সে। ব্যবহার করত বিএসএনএলের সিমকার্ড। এই সিমকার্ডেরই ডুপ্লিকেটের খোঁজে বিএসএনএলের দফতরে ঢুঁ মেরেছিলেন তদন্তকারীরা। ললিতের ওই সিমকার্ডটি কোন (Parliament Security Breach) কোন ফোনে ব্যবহার করা হয়েছিল, কোথায় কোথায় ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মূলত এসবই জানতে চান তাঁরা। বিএসএনএলের কাছে প্রযুক্তিগত কিছু তথ্যও চেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    বাগুইআটির ভাড়া বাড়িতেও হানা

    এদিন ললিতের বাগুইআটির ভাড়া বাড়িতেও হানা দেন তদন্তকারীরা। এই এলাকাটি ইকোপার্ক থানার অধীনে। তাই আগে থানায় যায় দিল্লি পুলিশের দলটি। পরে যায় ললিতের ভাড়া বাড়িতে। সেখানে ঝুলছে তালা। তদন্তকারীরা অবশ্য ঘরের তালা খোলেননি। তবে কথা বলেছেন ললিতের প্রতিবেশীদের সঙ্গে। তাঁরা জানিয়েছেন, লোকসভাকাণ্ডের তিন তিনেক আগেও এই বাড়িতে ছিল ললিত। পরে ঘরে তালা দিয়ে কোথাও চলে যায়। এদিন ললিতের বাড়ির মালিকের সঙ্গেও কথা বলেছে তদন্তকারী দলটি। ঘটনার দিন তিনেক আগে বাগুইআটির বাড়িতে থাকলেও, ২১৮ রবীন্দ্র সরণির ভাড়া বাড়িতে বহু দিন সে যায়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের দলটিকে। এই ঠিকানায়ই টিউশন পড়াত সে।

    আরও পড়ুুন: সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্রেই ওজনে কারচুপি, ১৫ কুইন্টাল ধানে ৬০ কেজি হাপিশ!

    গত বুধবার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীনই লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে দুই হানাদার। জুতোয় লুকিয়ে রাখা রং-বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। পরে হানাদারদের ধরে ফেলেন দুই সাংসদ। মার্শাল ডেকে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। ওই ঘটনায় সব মিলিয়ে গ্রেফতার হয়েছে ৬ জন। পুরো ঘটনার মূল চক্রী ললিতই বলে মনে করছেন (Parliament Security Breach) তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ললিত ঝা-র, কী বলল লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?  

    Parliament Security Breach: চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ললিত ঝা-র, কী বলল লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশি জেরায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি লোকসভাকাণ্ডে (Parliament Security Breach) ধৃত ললিত ঝায়ের। টানা পুলিশি জেরায় ললিতের স্বীকারোক্তি, প্ল্যান-এ সফল না হলে প্ল্যান-বি তৈরি ছিল সাগর-নীলমদের। লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড এই ললিতই। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করে সে। প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে সে নষ্ট করে ফেলেছে নিজের ও বাকি অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনগুলি।

    মাস্টারমাইন্ড ললিত

    বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন দর্শক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে অধিবেশন কক্ষে পড়ে দুই হানাদার। আগে থেকে জুতোয় লুকিয়ে রাখা স্মোক গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। তার জেরে অধিবেশন কক্ষ ভরে যায় রঙিন ধোঁয়ায়। পরে দুই সাংসদের হাতে ধরা পড়ে যায় হানাদাররা। ওই ঘটনায় সংসদ চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। তার পরেই জানা যায়, লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) মাস্টারমাইন্ড ললিত। ললিতকে টানা জেরা করছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল।

    কী জানাল ললিত?

    লাগাতার জেরায় তদন্তকারীদের ললিত জানিয়েছে, যদি ভিজিটর্স গ্যালারি থেকে স্মোক গ্রেনেড বিস্ফোরণের সুযোগ সাগর-নীলমরা না পেত, তাহলে তৈরি ছিল প্ল্যান-বি। ললিত বলেন, “যদি প্রথম পরিকল্পনা অনুযায়ী নীলম ও আমল সংসদের সামনে পৌঁছতে না পারত, তাহলে মহেশ ও কৈলাশকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। অন্য দিক থেকে লোকসভায় গিয়ে কালার বম্ব ফাটাত ওরা। মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে স্লোগান দেওয়ার জন্যও তৈরি ছিল দুজন।”

    আরও পড়ুুন: “মোদিজির পা ধরে লাভ নেই, কিছুই পাবেন না”, দিল্লিতে বৈঠকের আগে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    অপারেশন সাকসেসফুল হওয়ার পর যাতে তারা পালাতে পারে, সেজন্য বাকিদের সাহায্য করতেও একটি প্ল্যান তৈরি করে রেখেছিল ললিত। কথা ছিল, সকলেই পালিয়ে যাবে রাজস্থানে। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে নীলম, সাগর, মনোরঞ্জন ও আমলকে পালাতে সাহায্য করার কথা ছিল মহেশের। ললিতের জন্য গেস্ট হাউসের ব্যবস্থা করেছিল এই মহেশই। এই গেস্ট হাউসে বসেই টেলিভিশনের পর্দায় লোকসভাকাণ্ডের খবরের ওপর নজর রাখছিল সে।

    এদিকে, সেদিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চাইছে দিল্লি পুলিশ। ঘটনার দিনের মতোই সাগর ও মনোরঞ্জন দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেবে লোকসভার চেম্বারে। নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি পেরিয়ে বুধবার তারা কীভাবে লোকসভার অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়েছিল, মূলত তা-ই জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা (Parliament Security Breach)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: বাগুইআটিতে ললিতের দ্বিতীয় বাড়ির হদিশ, থাকত পরিবারও, কী বলছে ভাই?

    Parliament Security Breach: বাগুইআটিতে ললিতের দ্বিতীয় বাড়ির হদিশ, থাকত পরিবারও, কী বলছে ভাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেই সংসদ হামলার (Parliament Security Breach) অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা-র বাংলা যোগের প্রমাণ মিলেছিল। এবার বাগুইআটিতে মিলল দ্বিতীয় বাড়ির হদিশ। জানা গিয়েছে, বাগুইআটির হেলা বটতলার পালপাড়াতে তিন বছর ধরে পরিবারের সঙ্গেই ভাড়া থাকত ললিত। তবে ললিত যে এমন কাজ করতে পারে তা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি প্রতিবেশীরা। ভালো ছেলে বলেই পরিচিত ছিল ললিত। জানা যায়, সংসদ ভবনে হানার দিন বাইরে নীলম এবং আনমোল যখন স্লোগান দিচ্ছিল, তখন তা ভিডিও করে ললিত। এরপরে রাজস্থানের উদ্দেশে রওনা দেয় সে। সেখানে ললিতকে (Parliament Security Breach) সাহায্য করে মহেশ ও কৈলাস নামে দুই ব্যক্তি। তাদেরকেও আটক করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। মূলত তাদের সহায়তেই রাজস্থানের হোটেলে থাকে ললিত। শুক্রবার ললিতকে পাতিয়ালা কোর্টে তোলা হলে, বিচারক তাকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    ১০ ডিসেম্বর পরিবার যায় বিহারে, থেকে যায় ললিত

    প্রতিবেশীদের দাবি, গত ১০ ডিসেম্বর ললিতের বাবা-মা এবং ভাই বিহারে চলে যায়। ললিত কিন্তু পালপাড়াতে থেকে গিয়েছিল। যাওয়ার আগে সে প্রতিবেশীদের জানায় কয়েক দিনের মধ্যে সে ফিরে আসবে। এক প্রতিবেশীর মতে, সেখানে তারা (ললিতের পরিবার) অনেকদিন ধরেই ভাড়া থাকত এবং স্থানীয় একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াত ললিত। এর পাশাপাশি বাচ্চাদের টিউশনিও দিত সে। বাড়িতে সন্দেহভাজন সেরকম কেউ আসত না বলেই জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সংসদ ভবনে হামলার অভিযোগে এখনো পর্যন্ত সকল অভিযুক্তকে (Parliament Security Breach) গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই সেদিন চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় বিশাল শর্মাকে। বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ললিত।

    কী বলছে ললিতের ভাই?

    ললিতের ভাই সোনু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, দশ ডিসেম্বর শিয়ালদা স্টেশনে তাদেরকে রওনা করতে এসেছিল ললিত। সেদিনই তারা (ললিতের পরিবার) বিহারে পৈতৃক বাড়িতে ফিরে যায়। তখনই তাদের সঙ্গে শেষ দেখা হয় ললিতের। তারপর ১১ ডিসেম্বর ফোনে কথা হয়। তখন ললিত (Parliament Security Breach) বলে যে সে দিল্লিতে যাবে। জানা গিয়েছে, ললিতের বাবা পেশাতে পুরোহিত এবং পূজা-অর্চনা করেন। ললিতের বাকি দুই ভাই দোকানে কাজ করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share