Tag: Laser Weapon

  • India’s First Laser Weapon: এক লহমায় ধ্বংস এক ঝাঁক ড্রোন! পাকিস্তান-চিনের ঘুম উড়িয়ে দেশীয় লেজার অস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের

    India’s First Laser Weapon: এক লহমায় ধ্বংস এক ঝাঁক ড্রোন! পাকিস্তান-চিনের ঘুম উড়িয়ে দেশীয় লেজার অস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন প্রজন্মের অস্ত্রের দুনিয়ায় পা রাখল ভারত। লেজার অস্ত্রের (India’s First Laser Weapon) সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-এর এই অস্ত্র মনে করাচ্ছে জর্জ লুকাসের তৈরি বিখ্যাত সিরিজ স্টার ওয়ারস-এর (Star Wars) যোদ্ধাদের। যেখানে যোদ্ধাদের অত্যাধুনিক তলোয়ার থেকে প্রতি নিয়ত বেরোচ্ছে আলোক রশ্মি। যা মাঝখান থেকে চিরে দিতে পারে একটা আস্ত বিমানকেও। এবার প্রায় একই রকম শক্তি নিজের হাতে তুলতে চলেছে ভারতীয় সেনা। শত্রু রাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান থেকে গুপ্তচর ড্রোন, যে কোনও কিছু নিমিষে ধ্বংস করে দিতে পারে ডিআরডিও-র তৈরি এই লেজার অস্ত্র।

    ৩০ কিলোওয়াট লেজার অস্ত্রের ট্রায়াল রান সফল

    ডিআরডিও সূত্রে খবর, রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে এক দল গবেষক এই সদ্য নির্মিত ৩০ কিলোওয়াটের লেজার অস্ত্রের ট্রায়াল রান করায়। যাতে সফল হয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, এই অত্যাধুনিক অস্ত্র তৈরির মাধ্যমেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও রাশিয়ার সঙ্গে জুড়ে গেল ভারতের নাম। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই নতুন মার্ক-২(এ)  ডিইডব্লু সিস্টেমটি দূর পর্যন্ত যে কোনও শত্রু ড্রোনের আক্রমণকে প্রতিহত করতে পারে। সেই ড্রোন এক ঝটকায় উড়িয়েও দিতে পারে। তারা আরও জানিয়েছে, এই অস্ত্র থেকে নির্গত লেজার বা আলোকরশ্মি ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা যে কোনও ড্রোন বা হেলিকপ্টারকে আকাশপথেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। যা স্থল ও নৌসেনা উভয়েই নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করতে পারবেন।

    সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি লেজার অস্ত্র

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলের ন্যাশনাল ওপেন এয়ার রেঞ্জে লেজার (India’s First Laser Weapon) হাতিয়ারের পরীক্ষা করা হয়। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি প্রকৃতপক্ষে একটি ‘ডিরেক্ট এনার্জি ওয়েপন সিস্টেম’ বা ডিইডব্লিউ। বর্তমান বিশ্বের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছে আছে এই হাতিয়ার। এটি তৈরির মূল কৃতিত্ব ডিআরডিওর ‘সেন্টার ফর হাই এনার্জি সিস্টেমস অ্যান্ড সায়েন্সেস’-এর (সিএইচইএসএস)। লেজার হাতিয়ারের গবেষণায় হারদরাবাদের একাধিক ল্যাবরেটরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য পেয়েছে ডিআরডিও। পরে নকশা অনুযায়ী অস্ত্রটিকে তৈরি করে একটি দেশীয় প্রতিরক্ষা সংস্থা। ট্রাক আকৃতির গাড়ির উপর ‘মার্ক-টু(এ) লেজার’কে বসানো হয়েছে। যুদ্ধের সময়ে একে একাধিক রণাঙ্গনে মোতায়েন করতে পারবে ফৌজ।

    ‘ড্রোন ঘাতক’ লেজার অস্ত্র

    প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা সূত্রে খবর, শত্রুর নজরদারি সেন্সর, অ্যান্টেনা বা রাডার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে পারবে ‘মার্ক-টু(এ)’। চোখের পলক ফেলার আগে নিখুঁত নিশানায় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা চালাতে পারবে এই সমরাস্ত্র। লেজার হাতিয়ারটি ৩০ কিলোওয়াট শক্তি সম্পন্ন। তবে এর পাল্লার বিষয়টি গোপন রেখেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা। ডিআরডিওর তরফে অত্যাধুনিক অস্ত্রটিকে ‘ড্রোন ঘাতক’-এর তকমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থাটির কর্তা-ব্যক্তিদের দাবি, ‘মার্ক-টু(এ)’র সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এর নামমাত্র খরচ। এক-দু’লিটার পেট্রলের দামে কয়েক সেকেন্ডের জন্য লেজার রশ্মি ছুড়তে পারবে এই হাতিয়ার।

    ৩০-কিলোওয়াট লেজার অস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য

    ● এই লেজার অস্ত্র ড্রোন, হেলিকপ্টার ও ক্ষেপণাস্ত্রের মতো আকাশপথের হুমকি ৫ কিলোমিটার দূর থেকেই ধ্বংস করতে পারে।

    ● শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্যাটেলাইট সিগন্যাল জ্যাম করতে সক্ষম।

    ● স্থল ও সমুদ্র – দুই জায়গায়ই এটি ব্যবহারযোগ্য।

    ● ৩৬০ ডিগ্রি সেন্সর দ্বারা সজ্জিত, যা টার্গেটিং-এ নির্ভুলতা নিশ্চিত করে।

    ● সহজেই বিমান, রেল, সড়ক বা জলপথে মোতায়েন করা যায়।

    ● বিভিন্ন সামরিক প্রয়োজনে এর ডিজাইনকে মানিয়ে নেওয়া যায়।

    বদলে যাবে আকাশ প্রতিরক্ষার সংজ্ঞা

    প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’র (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) সংজ্ঞা বদলে দেবে ডিআরডিওর তৈরি অত্যাধুনিক এই অস্ত্র (India’s First Laser Weapon)। এর দু’রকম ব্যবহারের কথা বলেছেন সাবেক সেনাকর্তারা। দীর্ঘ দিন ধরেই ড্রোনের সাহায্যে জম্মু-কাশ্মীর এবং পঞ্জাবে হাতিয়ার ও মাদক চোরাচালান চালিয়ে আসছে পাকিস্তান। বাহিনীতে ‘মার্ক-টু(এ)’ চলে এলে সেই সূচক অনেকাংশেই নেমে আসবে, তা বলাই বাহুল্য। এ ছাড়া যুদ্ধ বা সীমান্ত সংঘর্ষের সময়ে শত্রুর ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা ড্রোনকে পুড়িয়ে শেষ করতে পারবে নতুন লেজার হাতিয়ার। তবে ভারতীয় সেনা কবে থেকে এটি ব্যবহার করবে, তা স্পষ্ট করেনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

    ডিআরডিও-র পরের লক্ষ্য ‘সূর্য’

    ডিআরডিও-র পরের লক্ষ্য এরই আরও উন্নত সংস্করণ ‘সূর্য’, ৩০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। যার সীমা ২০ কিমি। এটি এখন গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে ‘সূর্য’কে সামনে আনার চেষ্টায় রয়েছে ডিআরডিও। নতুন লেজার (India’s First Laser Weapon) হাতিয়ারটির সঙ্গে ‘সূর্য’-র কোনও মিল রয়েছে কি না, সেটা জানা যায়নি। তবে ‘সূর্য’র মাধ্যমে লেজার, মাইক্রোওয়েভ বা পার্টিকল বিমের (কণা রশ্মি) মতো কেন্দ্রীভূত শক্তিকে শত্রুর উপর সরাসরি প্রয়োগ করা যাবে বলে জানা গিয়েছিল। ‘সূর্য’ নিয়ে গবেষণার কাজে নিয়োজিত রয়েছে ডিআরডিওর লেজার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টার। প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থাটির দাবি, ২০২৭ সালের মধ্যে হাতিয়ারটির প্রোটোটাইপ তৈরি করার কাজ পুরোপুরি শেষ করতে পারবে তারা। তবে এর জন্য একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

LinkedIn
Share