Tag: Laskar-E-Taiba

Laskar-E-Taiba

  • Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    Pakistan Terror Camps: পাকিস্তান আছে পাকিস্তানেই! অপারেশন সিঁদুরের পর ফের চালু জইশের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ (Operation Sindoor) ধ্বংস হওয়া সন্ত্রাসী কেন্দ্র ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটিগুলির (Pakistan Terror Camps) পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে পাকিস্তান। সূত্রের খবর, হামলার এক মাস পর ফের চালু হয়েছে বাহাওয়ালপুরের একটি কুখ্যাত মাদ্রাসার সুইমিং পুল—যা সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। বিভিন্ন সূত্র মারফত পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তান সরকার, সামরিক বাহিনী ও আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো পুনর্নির্মানের কাজ চলছে। ঘাঁটিগুলিতে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিনের মতো বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি প্রশিক্ষণ দিত।

    জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা পাক সেনার

    পহেলগাঁও হামলার পর সম্মুখ সমরে নামে ভারত-পাকিস্তান। ভারতের কাছে রীতিমতো পর্যদুস্ত হওয়ার পরও শোধরানোর কোনও লক্ষণ নেই ইসলামাবাদের। বরং অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানে ভারত যে জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করেছিল, পাকিস্তান সেগুলির পুনর্নির্মাণ করছে। নতুন করে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির এবং লঞ্চপ্যাডের নির্মাণ চলছে সেখানে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের অভিযানে ঘাঁটিগুলি ধ্বংস হওয়ার পরে ‘লাইন অফ কন্ট্রোল’ বরাবর ছোট ছোট শিবির গড়ে প্রশিক্ষণ (Pakistan Terror Camps) দেওয়ার কাজ করছিল জঙ্গি সংগঠনগুলি। কিন্তু এবার জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের অত্যাধুনিক কেন্দ্র গড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনা, গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং দেশের সরকার জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণে সহযোগিতা করছে, আর্থিক সাহায্য় জোগাচ্ছে।

    ফের খুলল জঙ্গিদের সাঁতার কেন্দ্র

    ভারতের অপারেশন সিঁদুরে (Operation Sindoor) বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে নির্ভুল হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মার্কিন উপগ্রহ সংস্থা ম্যাক্সার টেকনোলজির স্যাটেলাইট চিত্রে তা স্পষ্ট হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল ও নির্ভুল বোমার সাহায্যে হামলা চালিয়েছিল। বাহাওয়ালপুরে জইশ এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তইবার প্রধান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিল। তবে পুনরায়, পাক সেনা, আইএসআই ও সরকারের পূর্ণ মদতে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে ছোট ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। খোলা হয়েছে বাহাওয়ালপুরের সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Pakistan Terror Camps)। এই সাঁতার অনুশীলন কেন্দ্রটিই ব্যবহার করেছিল ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার জঙ্গিরা। ওই হামলায় ভারতের সিআরপিএফ জওয়ানদের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন জওয়ান। জানা যায়, ওই চার মূল জঙ্গি—মহম্মদ উমর ফারুক, তালহা রাশিদ আলভি, মহম্মদ ইসমাইল আলভি ও রাশিদ বিল্লা—হামলার আগে এই পুলেই ছবি তুলেছিল। সাঁতার প্রশিক্ষণ ছাড়াও, এই পুলটি সন্ত্রাসবাদীদের “শারীরিক পরীক্ষার” অংশ। যেসব জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে হামলা চালাতে চায়, তাদের এই পুলে কঠিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং সাঁতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়াটাই ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।

    পুনরায় তৈরি হচ্ছে লঞ্চ প্যাড

    গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানত লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন ও দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (TRF) মতো সংগঠনগুলোর নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে লাইন অফ কন্ট্রোল (LoC)-এর কাছাকাছি জঙ্গলে, যাতে সেগুলি সহজে নজরে না আসে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে চারটি লঞ্চপ্য়াডের পুনর্নির্মাণ হচ্ছে, অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানের আওতায় যেগুলিকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জম্মু সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর চারটি লঞ্চপ্যাডকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। মসরুর বড়া ভাই, ছাপরার, লুনি রয়েছে তালিকায়, শকরগড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে ড্রোন কেন্দ্র। ভারতের বিরুদ্ধে নতুন কৌশল নিচ্ছে পাকিস্তান। বড় বড় শিবিরগুলিকে ভেঙে ছোট করা হচ্ছে, যাতে এক জায়গায় সমস্ত রসদ, সব জঙ্গি না থাকে। এতে হামলা হলেও বড় ধরনের ক্ষতি হবে না।

    আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার

    ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর রয়েছে যে, সম্প্রতি বাহওয়ালপুরে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির (Pakistan Terror Camps) সঙ্গে পাক প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়। জইশ, লস্কর, হিজবুল, পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করা দ্য রেজিসস্ট্যান্স ফ্রন্ট, আইএসআই আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মোটা টাকা অর্থসাহায্য় দিতে সম্মত হয় আইএসআই। জঙ্গি ঘাঁটি নির্মাণে উচ্চমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন ঘন জঙ্গলে ছোট ছোট শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে সহজে চোখে না পড়ে, সহজে হামলাও চালানো যায় না। এই মুহূর্তে লুনি, পুটওয়াল, তাইপু পোস্ট, জামিলা পোস্ট, উমরানওয়ালি, ছাপরার, ফরোয়ার্ড কাহুটা, ছোটা চক, জঙ্গলোরায় জঙ্গিঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বসানো হচ্ছে সেখানে, থার্মাল ইমেজার প্রতিহত করার ব্যবস্থা থাকছে। রেডার, স্যাটেলাইট নজরদারি এড়ানোর প্রযুক্তিও থাকছে জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে।

  • Militants Killed: অমরনাথ যাত্রার আগেই কাশ্মীরে জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    Militants Killed: অমরনাথ যাত্রার আগেই কাশ্মীরে জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৪ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গি (Terrorist) দমনে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে (Anti-Militancy Operation) চলাকালীন মঙ্গলবার কাশ্মীরে ৪ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। গত তিনদিনে মোট ১১ জন জঙ্গিকে নিকেশ করে কাশ্মীর পুলিশ (Kashmir Police)।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কাশ্মীরের পুলওয়ামার (Pulwama) তুজ্জান গ্রামে সোমবার রাত থেকে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলেছে পুলিশের। তখনই জইশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Muhammad) দুই জঙ্গিকে মঙ্গলবার সকালে নিকেশ করা হয়। এর মধ্যে একজন ছিলেন মজিদ নাজির ওয়ানি (Majid Nazir Wani, যে ফারুখ আহমেদ (Farooq Ahmed) নামে পুলিশকর্মীর খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল। আরেকজন জঙ্গির নাম আবিদ আহমেদ শেখ (Abid Ahmad Sheikh)।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে খতম ৭ জঙ্গি

    অন্য়দিকে, উত্তর কাশ্মীরের সোপোর (Sopore) এলাকায় পুলিশ, সেনা ও সিআরপিএফ-এর যৌথ অভিযানে আরও দুজন জঙ্গিকে খতম করা হয়। এই দুজন জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবা (Laskar-e-Taiba) সংগঠনের ও এরা সোপোরের টালিবাল এলাকায় গুলি চালাতে শুরু করলে এনকাউন্টারে এদের মৃত্যু হয়, পুলিশ সূত্রে খবর।

    আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra)। সেই সময় পুণ্যার্থীদের উপরে হামলা চালানো হবে, এমন হুমকি দিয়ে রেখেছে বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন। সেই কারণেই বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চলতি মাসেই ২৮ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়, এর মধ্যে ১১ জনকে গত তিনদিনেই খতম করা হয়। এই বছরে এখনও পর্যন্ত মোট ১১৮ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত পাঁচ জঙ্গি

    যদিও কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার (Vijay Kumar) জানিয়েছেন, এই অভিযানের সঙ্গে অমরনাথ যাত্রার কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য হল জঙ্গিদের সংখ্যা কমিয়ে সাধারণ মানুষের মন থেকে সন্ত্রাসের আতঙ্ককে সরিয়ে ফেলা। কাশ্মীরে শান্তি ফিরিয়ে আনাই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। এখনও কাশ্মীর উপত্যকার তিনটি জায়গায় বিদেশের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে।

  • Terrorist Killed: কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে খতম ৭ জঙ্গি

    Terrorist Killed: কাশ্মীরে গুলির লড়াইয়ে খতম ৭ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গি (Terrorist) দমনে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের (Kashmir) তিন জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে নিহত হয় সাত জঙ্গি। সোমবার কাশ্মীরের জেনারেল পুলিশ ইন্সপেক্টর (IGP) বিজয় কুমার (ViJay Kumar) জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় তারা। নিহতদের তিনজন পাকিস্তানের (Pakistan) নাগরিক বলে জানা যায়।

    আরও পড়ুন:শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    তিনি আরও জানান, রবিবারেই কুপওয়ারায়(Kupwara) এনকাউন্টারে (Encounter) মারা যায় পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba ) দুই জঙ্গি। সোমবার সকালে আরও একজন পাকিস্তানি জঙ্গি ও সোপিয়ান (Shopian) থেকে আরেক স্থানীয় জঙ্গি, সওকাত(Showkat) সংঘর্ষে নিহত হয়। অন্যদিকে পুলওয়ামা(Pulwama) থেকে লস্কর-ই-তৈবার এক জঙ্গি ও কুলঘাম (Kulgham) থেকে জইশ-ই-মোহাম্মদের (Jaish-e-Mohammed) এক জঙ্গি ও লস্কর-ই-তৈবার এক জঙ্গিকে গুলি করে নিকেশ করা হয়। সাত জঙ্গিকে খতম করা হলেও এখনও আরো তদন্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কুপওয়ারার পুলিশ সেনাদের সঙ্গে যৌথভাবে একটি অ্যান্টি-টেরোরিস্ট অপারেশন (Anti-Terrorist Operation) শুরু করেছে।

    কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পুলওয়ামার ছাটপোরা (Chatpora) এলাকা ও কুলঘামের ডিএইচ পোরা(DH Pora) এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। গত কয়েকদিনে বেশ অনেকজন স্থানীয় বাসিন্দাকে জঙ্গিরা খুন করে। ফলে এই পরিস্থিতিতে তৎপরতা বাড়িয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীও।

    আরও পড়ুন: ৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত পাঁচ জঙ্গি

    দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Defence Minister) রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) জম্মুতে দু-দিনের সফরে গিয়ে ঘোষণা করেছেন যে জম্মু-কাশ্মীরে (Kashmir) পরের মাস থেকেই বিধানসভার ভোটের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তিনি এদিন আরও জানান যে, কাশ্মীরে ঘৃণা ছড়ানোর কাজে পাকিস্তানের হাত রয়েছে এবং সম্প্রতি ঘটে যাওয়া খুনের জন্যও অন্য দেশের ষড়যন্ত্র রয়েছে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের ছককে বানচাল করবে কেন্দ্র সরকার।

    সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যুক্তদের গ্রেফতারে উপত্যকা জুড়ে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ-সেনার যৌথ বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে,  এর ফলেই গতকাল রাত থেকে কুপওয়ারা, কুলগাম এবং পুলওয়ামায় মোট সাত জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত হয় এবং অভিযান এখনও চলছে।

    আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক বানচাল, কাশ্মীরে খতম তিন জঙ্গি

  • Jammu & Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারায় সেনা এনকাউন্টারে খতম দুই লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জম্মু কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) খতম হল ২ লস্কর জঙ্গি। মঙ্গলবার ভোরে কুপওয়ারায়  (Kupwara) নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে দুই সন্ত্রাসবাদীকে গুলি করে নিকেশ করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মৃতরা পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) সদস্য।

    কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে বলা হয়, জেলার চাকতারাস কান্দি (Chaktaras Kandi) এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম তুফায়েল (Tufail)। সে পাকিস্তানের নাগরিক। কাশ্মীর জোন পুলিশ (Kashmir Zone Police) ট্যুইটে করে বলেছে, “তুফায়েল নামে একজন পাকিস্তানি জঙ্গি সহ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে৷  এখনও তল্লাশি চলছে।”

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: পরপর হিন্দু-হত্যা কাশ্মীরে! সেনাপ্রধান, এনএসএ-র সঙ্গে বৈঠক শাহের 

    একদিন আগেই, বারামুল্লা (Baramulla) জেলার সোপোর (Sopore) শহরে একটি এনকাউন্টারে আরেক লস্কর (LeT) জঙ্গি নিহত হয়েছিল। নিহতের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া তথ্য অনুসারে জানা যায়, তার নাম হানজাল্লা (Hanzalla) এবং সে লাহোরের (Lahore) বাসিন্দা। তার আগে শনিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ (Anantnag ) জেলায় সেনা অভিযানে হিজবুল মুজাহিদিনের ( Hizbul Mujahideen) এক ‘কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছিল।

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার (Terrorists Agttacks) বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। কাশ্মীরে বসবাসকারী হিন্দুদের, বিশেষ করে পণ্ডিত সম্প্রদায়ের (Kashmiri Pandits) মানুষকে বেছে বেছে টার্গেট করছে জঙ্গিরা। গত সপ্তাহে, জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম (Kulgam) জেলায় সন্ত্রাসবাদীদের হাতে এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে খুন হতে হয়। এর আগে, কুলগামেই রজনী ভাল্লা (Rajini Bhalla) নামে একজন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আবার বদগামের চাদুরা (Chadoora) এলাকায় কাশ্মীরি টিভি অভিনেত্রী আমরিন ভাটও ( Amreen Bhatt) সন্ত্রাসবাদীদের কবলে পড়ে নিহত হন, এবং তার ১০ বছর বয়সী ভাইপোও এই দুর্ঘটনায় আহত হয়।

    আরও পড়ুন: ফের জঙ্গি-নিশানায় হিন্দু পণ্ডিত, কাশ্মীরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা

    রবিবার, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা (L-G Manoj Sinha) বলেছেন যে, “সন্ত্রাসবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে উস্কে দেওয়ার জন্য নিরীহ সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করছে৷” তিনি আরও বলেন যে, “আমাদের বাহিনী সন্ত্রাসবাদকে শেষ করার জন্য দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করতে থাকবে।”

LinkedIn
Share