Tag: law and order

law and order

  • WB Law And Order: রাজ্যে বাড়ছে গণপিটুনির ঘটনা, বাংলায় অরাজক পরিস্থিতি কেন?

    WB Law And Order: রাজ্যে বাড়ছে গণপিটুনির ঘটনা, বাংলায় অরাজক পরিস্থিতি কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এরা (বিজেপি) কোর্ট কিনে নিয়েছে। আমি সুপ্রিম কোর্টের কথা বলছি না। সিবিআইকে কিনে নিয়েছে, বিএসএফকে কিনে নিয়েছে।” কথাগুলি যিনি বলেছেন তিনি ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রীও বটে। তাঁরই রাজত্বে (WB Law And Order) গত কয়েকদিন ধরে নির্বিচারে চলছে গণপিটুনির ঘটনা। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্রই আইন হাতে তুলে নিয়েছে জনতা। স্বাভাবিক। যে রাজ্যের খোদ মুখ্যমন্ত্রীরই আস্থা নেই আদালতের ওপর, সে রাজ্যের জনগণের যে তা থাকবে না, তা বলাই বাহুল্য।

    রাজ্যের অরাজক পরিস্থিতি (WB Law And Order)

    অগত্যা কোথাও ছেলেধরা সন্দেহে হয়েছে গণধোলাই। কোথাও আবার মোবাইল চোর সন্দেহে পিটিয়ে খুন। কোথাও আবার তৃণমূল নেতার দাবি মতো জরিমানা না দেওয়ায় চুলের মুঠি ধরে তরুণীকে রাস্তায় ফেলে মার মমতার অনুগত এক সৈনিকের! রাজ্যের এই অরাজক পরিস্থিতিতে গোটা দেশে ছিছিক্কার! এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক গত কয়েকদিনে বঙ্গের রঙ্গভূমিতে কোন কোন ঘটনা জায়গা করে নিয়েছে সংবাদপত্রের প্রথম পাতা।

    মৃত্যু, মৃত্যু এবং মৃত্যু…

    রবিবারই চোপড়ায় এক তরুণ ও তরুণীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেছেন এক ব্যক্তি। পরে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম তাজম্মুল। চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ। এদিনই চোর সন্দেহে গণপিটুনির জেরে ঝাড়গ্রামে মৃত্যু হয়েছে পেশায় টোটো চালক বছর তেইশের সৌরভ সাউয়ের। হাসপাতালে (WB Law And Order) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তাঁরই বন্ধু অক্ষয় মাহাত।

    গত শুক্রবারই খাস কলকাতায় বউবাজার এলাকার একটি ছাত্রাবাসে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে ইরশাদ নামের এক তরুণের। মোবাইল চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। বউবাজারের এই ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা আগেই সল্টলেকের পোলের আইট এলাকায়ও মোবাইল চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের একের পর এক গণপিটুনির ঘটনায় কার্যত ঠুঁটো হয়ে বসে রয়েছে প্রশাসন। বিভিন্ন ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঠিকই, তবে তারা কবে শাস্তি পাবে, আদৌ পাবে কিনা, এসব প্রশ্নও উঠছে।

    রাজনৈতিক মহলের মতে, খোদ মুখ্যমন্ত্রী যেখানে আদালতের ওপর ভরসা করছেন না, সেখানে জনগণ যে আইন হাতে তুলে নেবে, তা খুবই স্বাভাবিক। একজন মুখ্যমন্ত্রী, সংবিধান এবং রাজ্যবাসীকে রক্ষার দায় যাঁর ঘাড়ে, তাঁর আলটপকা মন্তব্যের পরিণতি কী হতে পারে, এই ঘটনাগুলোই তার জাজ্জ্বল্য প্রমাণ। রাজ্যের এই অরাজক পরিস্থিতিকে কটাক্ষ করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। এই তালিকায় যেমন রয়েছে বিজেপি, তেমনি রয়েছে সিপিএমও। রাজ্যের শাসক দলের প্রতি তাঁরা হেনেছেন কটাক্ষ-বাণ (WB Law And Order)।

    আর পড়ুন: জরিমানা না দেওয়ায় চুলের মুঠি ধরে মার তরুণীকে, ভাইরাল ভিডিওয় কাঠগড়ায় তৃণমূল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Elections 2023: বাংলার হিংসা ‘ছোট ঘটনা’! ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, রাজ্য পুলিশের ডিজি-র দাবিতে বিতর্ক

    Panchayat Elections 2023: বাংলার হিংসা ‘ছোট ঘটনা’! ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, রাজ্য পুলিশের ডিজি-র দাবিতে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১ মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) ঘোষণার পর রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে ১৫ জনের। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তারপরও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে, বলে দাবি করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। তাঁর কথায়, “হিংসার ঘটনা এখন অনেকটাই কমেছে। বড় করে দেখানো হচ্ছে যে কোনও ছোট ঘটনাকে।”

    রাজ্য পুলিশের ডিজির দাবি

    মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে মনোজ মালব্য বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত কয়েকটি অশান্তি ছাড়া রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওপর মহল থেকে নির্দেশ রয়েছে যে কোনও গন্ডগোলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিতে হবে। আমরা সেই গাইডলাইন মেনে কাজ করছি।’রাজ্যে নিত্যদিন অশান্তির খবর আসছে। বাসন্তীতে গত শনিবারই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে শাসকদলের এক কর্মীর। রবি ও সোমবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, নিত্য রাজ্যের কোনও কোনও প্রান্ত থেকে বোমাবাজি, গুলিচালনার খবর মিলছে। তার নেপথ্যে গোষ্ঠীকোন্দলই থাক কিংবা শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ। তারপরও রাজ্য পুলিশের ডিজির বক্তব্য, “রাজ্যের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এখানে অনেক বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। কিছু ঘটনা ঘটতেই পারে। আপনার কী সত্যিই মনে হয়, বাংলায় হিংসা হচ্ছে? বাংলায় ২-৩ টি ঘটনা ঘটেছে, তাতে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূল না করলে চলে যাবে সিভিকের চাকরি’! হুঁশিয়ারি ব্লক সভাপতির

    ডিজিকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মনোজ মালব্যের মন্তব্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “ওনাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তম কুমার বলেন। একজন ডিজির কোনও ভূমিকা আমরা ওনার মধ্যে দেখতে পাই না। উনি এক ধরনের মেরুদণ্ডহীন সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষ্য। তার মুখ থেকে এর থেকে ভালো কথা বেরোতে পারে না।” বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বক্তব্য, “১৩টা পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে, তারপরও তিনি কীভাবে বলতে পারলেন এটা ছোট ঘটনা? পুলিশ সম্বন্ধে মানুষের কী ধারণা হবে? বোমা পড়েছে, আর পুলিশ বলছে কোথায় বোমা পড়ছে? ওই যে মন্ত্রী বলে দিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: বাংলায় শাসকের আইন চলে! মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: বাংলায় শাসকের আইন চলে! মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি হয়েও বাংলার মানুষের দুর্দশার কথা ভুলতে পারছেন না জগদীপ ধনখড়। যখন শাসকের শাসন আইনের শাসনকে ছাপিয়ে যায়, তখন কী পরিস্থিতি হয় তা প্রতিনিয়ত দেখছে বঙ্গবাসী। এমনই দাবি করলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল। বুধবার রাজধানী দিল্লিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই মত ব্যক্ত করেন তিনি। মানবাধিকার কমিশনের অনুষ্ঠানে উপরাষ্ট্রপতি অভিযোগ করেন,পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক দাঙ্গা ক্রমশ বাড়ছে। মোমিনপুর কাণ্ডের পর বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে উপরাষ্ট্রপতির এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুন: ধনখড়ের প্রশ্নের মুখে মমতার ১৯ বিল, নতুন রাজ্যপাল কি আদৌ সই করবেন?

    ২০১৯ সালের জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। তারপর থেকেই রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর বিরোধ শুরু। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে বারংবার আওয়াজ তুলেছিলেন ধনখড়।  রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতি নিয়েও সরব ছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে তাঁর সংঘাত এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন তিনি  ট্যুইটারে রাজ্যপাল ধনখড়কে ব্লক করে দিয়েছেন। এখনও তাঁর রেশ বর্তমান।

    আরও পড়ুন: কৃষক-পুত্র জগদীপ ধনখড়কে শুভেচ্ছা নরেন্দ্র মোদি সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীদের

    এদিন অনুষ্ঠানে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি তিনবছর বাংলার রাজ্যপাল ছিলাম। আমি যখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলাম তখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি রিপোর্ট পেশ করেছিল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। রিপোর্টের প্রথম বাক্যটা আমি কোনওদিনও ভুলব না। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বাংলায় আইনের শাসন চলে না। শাসকের আইন চলে।’ এদিন পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ধনখড়। তিনি বলেন, “মানবধিকার লঙ্ঘন যাঁরা সহ্য করেন, তাঁরাও সমান অপরাধী। যেখানে শাসকের আইন নয়, আইনের শাসন চলে সেখানেই মানবধিকার রক্ষিত হয়।” তাঁর মতে, “স্বাধীনতার সবচেয়ে ভাল সংজ্ঞা হল, সর্বত্র মানবধিকার রক্ষা এবং সংবিধানের সারমর্ম এবং সমস্ত ধর্মের মূলসত্ত্বাই হল, সবার ঊর্দ্ধে মানবধিকার রক্ষা করা।” তিনি আরও জানান, “রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা, বংশপরিচয়, জাতি বা ধর্মের নিরিখে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে রক্ষা করা যায় না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share