Tag: Liberation Army

Liberation Army

  • Baloch Liberation Army: জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক, ভিডিও প্রকাশ করে পাক দাবি খণ্ডন বিএলএ-র

    Baloch Liberation Army: জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক, ভিডিও প্রকাশ করে পাক দাবি খণ্ডন বিএলএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুচিস্তানের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা (Baloch Liberation Army) হাইজ্যাক করেছিলেন পাকিস্তানের জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express Hijack)। এই অভিযানের কোড নেম ছিল “দর্রা-ই-বোলান ২.০”। সম্প্রতি এই মুক্তি বাহিনীর মিডিয়া শাখা ‘হাক্কাল’ ৩৬ মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এই ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে তাদের অভিযানের আদ্যন্ত চিত্র। এই ভিডিওতেই স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে অভিযানের সময় বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব। ভিডিওটিতে পাকিস্তানের সরকারি দাবি-দাওয়াকে খণ্ডনও করা হয়েছে।

    ক্লিয়ারেন্স অপারেশন (Baloch Liberation Army)

    ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বালোচ লিবারেশন আর্মির স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ট্রেনের ভিতরে একটি ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালাচ্ছে। প্রথমেই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য রয়েছে। অথচ পাক সেনা দাবি করেছিল, ঘটনাটি নৃশংস।আস্ত একটা ট্রেন হাইজ্যাক করার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এক বালোচ স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমাদের সংগ্রাম ও যুদ্ধ এমন এক পর্যায়ে (Baloch Liberation Army) পৌঁছেছে যেখানে আমাদের এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। আমাদের তরুণরা এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। কারণ তারা জানে এ ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। একটি বন্দুক থামাতে আর একটি বন্দুকের প্রয়োজন। বন্দুকের গুলির শব্দ হয়তো এমন এক জায়গায় পৌঁছতে পারে।”

    বালোচদের বক্তব্য

    তিনি বলেন, “বালোচ তরুণরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শত্রুর ওপর আঘাত হানার, কোনওরকম দ্বিধা বা নিজেদের জীবনের পরোয়া না করেই। আজ যখন একজন ছেলে তার বাবাকে পেছনে রেখে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে যাচ্ছে, তেমনি একজন বাবা-ও তার ছেলেকে পেছনে রেখে এই সংগ্রামের জন্য আত্মবিসর্জন দিচ্ছেন।” সংগঠনটি তাদের ফিদাঁয়ে ইউনিট মাজিদ ব্রিগেডের সদস্যদের নাম, ছবি এবং বিদায়বার্তা প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে তারা দাবি করেছে, তাদের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম। কারণ তাদের অভিযান ছিল শক্তিশালী এবং নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত (Jaffar Express Hijack)।

    যদিও পাক সেনার মুখপাত্র ডিজিআইএসপিআরের বক্তব্যের সঙ্গে এই বক্তব্যের বিস্তর অমিল ধরা পড়ে। কারণ পাক সেনা দাবি করেছিল, বালোচ লিবারেশন আর্মি বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে (Baloch Liberation Army)।

  • Baloch Liberation Army: ৭৮ পাকিস্তানি সেনাকে খতম করল বালোচ লিবারেশন আর্মি

    Baloch Liberation Army: ৭৮ পাকিস্তানি সেনাকে খতম করল বালোচ লিবারেশন আর্মি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৮ পাকিস্তানি সেনাকে খতম করল বালোচ লিবারেশন আর্মি (Baloch Liberation Army)। দু’ দিনের দারা-ই-বোলান অপারেশন চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি। অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন বালোচ ফ্রিডম ফাইটার্স। এঁদের মধ্যে ১২ জন ফিঁদায়েও ছিলেন।

    অপারেশন দারা-ই-বোলান

    বালোচ লিবারেশন আর্মির তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “৩৮৫ বালোচ ফ্রিডম ফাইটার্স, যার মধ্যে ১২ ফিঁদায়েও রয়েছেন, অংশ নিয়েছিলেন অপারেশন দারা-ই-বোলানে। খতম করা হয়েছে ৭৮ জন শত্রুকে। শত্রুপক্ষের (পড়ুন, পাকিস্তান) বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় যেসব দেশ, আমরা তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে রাজি।” দু’ দিন ব্যাপী অপারেশন দারা-ই-বোলান শুরু হয়েছিল ২৯ জানুয়ারি। অপারেশনে যে ৩৮৫ জন অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা বালোচ লিবারেশন আর্মির বিভিন্ন শাখার সদস্য। মাজিদ ব্রিগেডের ১২ জন ফিঁদায়েও অংশ নিয়েছিলেন। ফতে স্কোয়াড, স্পেশাল ট্যাকটিক্যাল অপারেশনস স্কোয়াড এবং গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরাও অংশ নিয়েছিলেন এই অপারেশনে (Baloch Liberation Army)।

    খতম ৭৮

    ৩১ জানুয়ারি সন্ধে সাতটায় যে অপারেশন হয়েছিল, সেদিন সমস্ত লক্ষ্যে আঘাত হানা করা হয়েছিল বলে দাবি বালোচ লিবারেশন আর্মির। ৭০ কিমি ব্যাসার্ধ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। এর মধ্যে রয়েছে মাচ শহর এবং এনএইচ ৬৫, কৌশলগতভাবে যার গুরুত্ব কম নয়। জানা গিয়েছে, অপারেশন শুরুর প্রথম তিন ঘণ্টায়ই খতম করা হয়েছে ৭৮ জন শত্রুকে। পরে হামলা চালানো হয় ১০ ফ্রন্টিয়ার কর্পসের ওপর। পিয়ার ঘাইব, বোলন এলাকায়ও হামলা চালানো হয়। জানুয়ারির ৩০ তারিখে বালোচ লিবারেশন আর্মি এফসি হেডকোয়ার্টারে হামলা চালায়। এই হামলায় খতম করা হয় ১২ পাকিস্তানি সেনাকে। পাঁচজন এসএসজি কমান্ডার ও দুই পুলিশ কর্মীও খতম হয়েছে। এদের মধ্যে একজন স্টেশন হাউস অফিসারও রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, দলীয় বৈঠকে জয়ের মন্ত্রদীক্ষা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    বালোচ লিবারেশন আর্মির এই অপারেশনে আত্মবলিদান দিয়েছেন ১২ জন ফিঁদায়েও। প্রাণ হারিয়েছেন ফতে স্কোয়াডের এক সদস্যও। বালোচ লিবারেশন আর্মির তরফে জারি করা বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, “দেশমাতৃকার জন্য আত্মবলিদান দেবেন বলে যুদ্ধে নেমেছিলেন সব ফিঁদায়েরা। তাঁরা সফলভাবে এফসি হেডকোয়ার্টারে ঢুকে পড়েছিলেন। দু’ দিন ধরে বোলানের বিস্তীর্ণ এলাকার দখল নেওয়ার পরে শত্রুরা আমাদের একজন যোদ্ধাকে হত্যা করতে সক্ষম হয়। এ থেকেই প্রমাণ হয় বালোচ লিবারেশন আর্মির (Baloch Liberation Army) দক্ষতা ও শক্তি কত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share