Tag: liquor

liquor

  • CAG Report: আপের আবগারি নীতির কারণে দিল্লি সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা!

    CAG Report: আপের আবগারি নীতির কারণে দিল্লি সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতির কারণে দুর্বল নীতিগত কাঠামো থেকে শুরু করে অপর্যাপ্ত বাস্তবায়নের মতো বিভিন্ন কারণে দিল্লি সরকার ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্মিলিত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় একটি ক্যাগের রিপোর্ট (CAG Report) পেশ করে এ কথা জানানো হয়েছে।

    ক্যাগের রিপোর্ট (CAG Report)

    রিপোর্টটি আগের আম আদমি পার্টি সরকারের কার্যকারিতা সম্পর্কে ১৪টি রিপোর্টের একটি। প্রতিটি রিপোর্ট উপস্থাপিত করবে নয়া মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন (Delhi Govt)। এতে লাইসেন্স ইস্যু করার প্রক্রিয়ায় নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী এবং আবগারি মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সুপারিশ উপেক্ষা করেছিলেন। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আলোচিত ইস্যু হিসেবে উঠে আসা কথিত মদ কেলেঙ্কারির এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ ৯৪১.৫৩ কোটি টাকা। এতে দাবি করা হয়েছে যে “বিধিসম্মত নয় এমন পুরসভা ওয়ার্ডে”ও মদের দোকান খোলার জন্য সময় মতো প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি।

    জমি ব্যবহারের নিয়মাবলী

    আবার এমন অনেক এলাকায় মদ বিক্রয় কেন্দ্র খোলার জন্য যে জমি নেওয়া হয়েছে, তা ব্যবহারের নিয়মাবলীর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, “এই এলাকাগুলি থেকে তাদের লাইসেন্স ফি জমা না হওয়া এবং পুনঃনিলাম প্রক্রিয়ায় ব্যর্থতার কারণে আবগারি বিভাগ প্রায় ৮৯০.১৫ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।” এছাড়াও, কোভিড অতিমারীর কারণে দোকান বন্ধ থাকায় লাইসেন্সধারীদের যে “অনিয়মিত ছাড়” দেওয়ার হয়েছে, তার ফলেও ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৪৪ কোটি টাকার রাজস্ব (Delhi Govt)।

    বিভিন্ন অনিয়ম

    নীতির প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কথিত অনিয়মগুলি (CAG Report) ২০২২ সালের জুলাই মাসে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা যখন সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন, তখন তা রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপির রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়। তদন্ত সংস্থাগুলির দ্বারা গ্রেফতারের পর আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতারা, যেমন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মনীশ সিসোদিয়া এবং সঞ্জয় সিং, মাসের পর মাস জেলে কাটিয়েছেন। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মাস্টার প্ল্যান দিল্লি-২০২১ অনুসারে অননুমোদিত এলাকায় মদের দোকান খোলার অনুমতি ছিল না। কিন্তু আবগারি নীতি ২০২১-২২ অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত দুটি করে খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র খোলার কথা বলা হয়েছিল।

    কী বলছে ক্যাগের রিপোর্ট

    রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন দোকান খোলার জন্য দরপত্র নথিতে উল্লেখ ছিল যে কোনও অননুমোদিত এলাকায় মদের দোকান থাকবে না। তবে, যদি কোনও দোকান অননুমোদিত এলাকায় থাকে, তবে তা সরকারের পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষে বিবেচিত হবে। ক্যাগের রিপোর্ট জানিয়েছে, ” অননুমোদিত এলাকায় প্রস্তাবিত বিক্রয় কেন্দ্রের জন্য আবগারি বিভাগ যথাসময়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এবং দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (DDA) এবং কর্পোরেশন (MCD)-এর মতামত না নিয়েই ২০২১ সালের ২৮ জুন প্রাথমিক দরপত্র প্রকাশ করা হয়েছিল (Delhi Govt)।”

    লাইসেন্স বরাদ্দ

    লাইসেন্সগুলি ২০২১ সালের (CAG Report) অগাস্টে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই সমস্যার সমাধান হওয়ার আগেই, এবং দোকানগুলি ১৭ নভেম্বর ২০২১ থেকে ব্যবসা শুরু করার জন্য নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যেই, দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এর ঠিক আগের দিনই একটি নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে অননুমোদিত এলাকায় দোকান চালানোর অনুমতি বাতিল করা হয়। এরপর লাইসেন্সধারীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ৯ ডিসেম্বর ২০২১-এ আদালত ৬৭টি অননুমোদিত ওয়ার্ডে বাধ্যতামূলক দোকানগুলির জন্য লাইসেন্স ফি প্রদানের দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়। এর ফলে প্রতি মাসে ১১৪.৫০ কোটি টাকার লাইসেন্স ফি মকুব হয়। ক্যাগের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, “নোটিশ ইনভাইটিং টেন্ডার প্রকাশের আগে এই সমস্যার সমাধান না করায় এই ছাড় দেওয়া হয়। এজন্য ক্ষতি হয় প্রায় ৯৪১.৫৩ কোটি টাকা।”

    লাইসেন্স জমা দেওয়ার হিড়িক

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯টি অঞ্চলিক লাইসেন্সধারী তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০২২ সালের অগাস্টে তাদের লাইসেন্স জমা দেন। এর মধ্যে মার্চেই জমা দেন চারজন, মে মাসে পাঁচজন এবং জুলাই মাসে ১০ জন। তবে মদের দোকান চালু রাখতে আবগারি দফতর কোনও পুনঃটেন্ডারিং প্রক্রিয়া শুরু করেনি। এর ফলে এই অঞ্চলগুলিতে লাইসেন্স ফি থেকে কোনও রাজস্ব আদায় হয়নি। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই অঞ্চলগুলিতে মদের খুচরা বিক্রি চালিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। লাইসেন্সধারীরা ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে আবগারি দফতরের কাছে ফি মকুবের আবেদন জানান। ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাদের রায়ে দফতরকে এই বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

    আবগারি এবং অর্থ দফতর (CAG Report) বিষয়টি পর্যালোচনা করার পর প্রস্তাব দেয় যে কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে লাইসেন্স ফির আনুপাতিক মকুব বিবেচনা করা যাবে না। কারণ টেন্ডার নথিতে এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেই। তবে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, “বিভাগীয় মন্ত্রীর দ্বারা এই প্রস্তাব খারিজ করা হয় এবং ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ২৭ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বন্ধ থাকা দোকানগুলির জন্য প্রতিটি অঞ্চলিক লাইসেন্সধারীকে ফি মকুবের অনুমোদন দেওয়া হয় (Delhi Govt)।”

  • Liquor: গ্রামে মদ নিয়ে ঢুকলেই শাস্তির নিদান, কোথায় জানেন?

    Liquor: গ্রামে মদ নিয়ে ঢুকলেই শাস্তির নিদান, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মদের (Liouor) নেশা করে এই গ্রামে কেউ আসলেই, মিলবে শাস্তি। গ্রামবাসীদের তৈরি ষোলো আনা কমিটির পক্ষ থেকে এই অভিনব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর কমিটির সেই সিদ্ধান্তকে  পুরুলিয়ার মানকিয়ারি গ্রাম পঞ্চায়েতের  চিতিডি গ্রামের বাসিন্দারা সকলেই মান্যতা দিয়েছেন। গ্রামে ঢুকলেই রাস্তার পাশের দেওয়ালে বড় বড় করে লেখা রয়েছে, গ্রামে মদ (Liouor) বিক্রি করা, মদ খাওয়া, মদ (Liouor) খেয়ে মাতলামি করা সম্পুর্নরূপে নিষিদ্ধ। যদি কেউ তাঁহার অন্যথা করে, তাহলে চিতিডি ষোলআনা কমিটির বিবেচনা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে শাস্তি পেতে হবে। তবে, গ্রামবাসীরা শাস্তি হিসেবে কী নিদান ঠিক করে রেখেছেন তা জানা যায়নি। গ্রামের বাসিন্দা তথা ষোলো আনা কমিটি সদস্য যুধিষ্টির মাহাত, সীতারাম মাহাত ও রমানাথ মাহাতরা বলেন, নেশা করার পর গ্রামের অধিকাংশ পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত। যুব সমাজও পড়াশুনা ছেড়ে এই নেশার দিকে ঝুঁকে পড়েছিল। গ্রামের পরিবেশ একেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বহুবার গ্রাম কমিটি থেকে গ্রামবাসীদের নেশা না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এরপরই গ্রামের মানুষকে নেশা থেকে মুক্ত করতে এই কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রামের দেওয়ালে বড় বড় করে আমাদের এই সিদ্ধান্তের কথা লিখে রাখা হয়েছে। কারণ, শুধু গ্রামের মানুষ নয়, বাইরে থেকে আসা লোকজনও যাতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারেন। যদিও কয়েকদিন আগে আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা গ্রামে গিয়ে মদ (Liouor) কেন খেতে নিষেধ করা হয়েছে তা জানতে চান। পরে, দেওয়ালে লেখা গ্রাম কমিটির সিদ্ধান্তের কথা গ্রামবাসীদের মুছে দিতে বলা হয়। তবে, এলাকার মানুষ তাতে কোনও  কর্ণপাত করেননি। বরং, নেশামুক্ত সুন্দর  গ্রাম গড়তে তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়।

    এই অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা?

    পুরুলিয়ার আড়ষা থানার চিতিডি গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা। পাশাপাশি তিনি তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, এই কাজ তো করা উচিত প্রশাসনের, তাহলে সেটা গ্রামবাসীদের করতে হবে কেন? আসলে তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে না। কারণ, মদের (Liouor) আমদানির ওপর এই সরকার চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস চায় না সমাজ থেকে মদ মুক্ত হোক। তারা চায়, যত বেশি মদ (Liouor) বিক্রি হবে, তাতে তাদের রাজস্ব আদায় বেশি হবে। অন্যদিকে, জেলা পরিষদের তৃণমূলের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রশাসনের আইন থাকলেও সবার উপর রয়েছে মানুষ। তাই, গ্রামের মানুষ সকলে মিলে যে ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, তাঁকে আমি সমর্থন করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় এবিভিপি নেতার বাড়িতে তৃণমূলীদের হামলা, জখম প্রাক্তন সেনাকর্মী সহ ৩

    ABVP: মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় এবিভিপি নেতার বাড়িতে তৃণমূলীদের হামলা, জখম প্রাক্তন সেনাকর্মী সহ ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হোলির দিনে পাড়ার মধ্যে মদ্যপ যুবকরা অভব্য আচরণ করছিল। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন  বারাকপুরে শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কলেজ পল্লির এলাকার মানুষ। কিন্তু, সাহস করে কেউ মদ্যপদের প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেনি। প্রাক্তন সেনা কর্মী জন্মেঞ্জয় মাহাতোর দুই ছেলে জগদীশ ও সমীরণ বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন। জগদীশবাবু বারাকপুরের অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক (Abvp)। আর জন্মেঞ্জয়বাবু কার্গিল যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনা অফিসার ছিলেন। তাদের বাধায় দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। পরে, মদ্যপরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, দলবল নিয়ে এসে মদ্যপরা প্রাক্তন সেনা কর্মীর বাড়ির ভিতরে ঢুকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সকলেই তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচত। বাড়ির ভিতরে দুই ছেলের উপর হামলা হতে দেখে প্রাক্তন সেনা কর্মী বাধা দিয়ে এগিয়ে আসেন। তাঁর উপরও হামলাকারীরা চড়াও হন। হামলার জেরে প্রাক্তন সেনা কর্মীসহ তিনজন জখম হন। স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে তাঁরা চিকিত্সা করেন। পরে, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    এলাকায় তৃণমূলের দাপট দেখাতেই কী দলবল নিয়ে হামলা? Abvp

    শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা তৃণমূলের খাস তালুক। এই এলাকায় প্রাক্তন সেনা কর্মীর ছেলে প্রকাশ্যেই এবিভিপি-র (Abvp) নেতৃত্ব দেন। ফলে, স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আগে থেকে প্রাক্তন সেনা কর্মীর বাড়ির দিকে নজর ছিল। মদ্যপদের পাড়া থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা সুযোগ পেয়ে যায়। দলবল নিয়ে তারা এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রাক্তন সেনা কর্মী জন্মেঞ্জয় মাহাত বলেন, পাড়ার মধ্যে ওরা চরম অভব্য আচরম করছিল। গালিগালাজ দিচ্ছিল। তাই, প্রতিবাদ করা হয়েছিল। সকলেই তৃণমূল কর্মী (Tmc) হিসেবে পরিচিত। নিজেদের দাপট দেখাতেই এভাবে বাড়ির ভিতরে ঢুকে ওরা হামলা চালায়। হামলার জেরে বড় ছেলের কলার বোন ভেঙে যায়। ছোট ছেলের পা ভাঙে। আমার মাথা ফেটে যায়। ওরা হামলা চালানোর সময় তৃণমূলের স্থানীয় প়ঞ্চায়েতের প্রধানের  নাম নিয়েছিল। হামলার বিষয় নিয়ে শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান অরুণ ঘোষ বলেন, এটা নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়। এরসঙ্গে দলের কোনও বিষয় নেই। আর আমি কাউকে এই ধরনের কাজে মদত দিই না।

    অন্যদিকে, বিজেপির নোয়াপাড়া যুব মোর্চার কনভেনার সুপ্রিয় দে-র উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সুপ্রিয়বাবু বলেন, দোল খেলে বাড়ি ফেরার পথে ওরা আমার পথ আটকায়। এরপর আমার উপর হামলা চালায়। ওরা দুষ্কৃতীকারী। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

     

     

     

  • TMC: ‘সরকারি মদ খান’, নিদান দিয়ে বিতর্কে তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    TMC: ‘সরকারি মদ খান’, নিদান দিয়ে বিতর্কে তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি যে মদ রয়েছে, সেই মদ তো খেতেই পারে, কিনে খেতেই পারে। এই কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি কোনও সাধারণ মানুষ নন, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। একজন বিধায়ক হয়ে কীভাবে রাজ্যবাসীকে মদ্যপানে উৎসাহিত করছেন, তা ভাবতেও পারছেন না এ রাজ্যের সিংহভাগ বিধায়ক (MLA)। স্থানীয় বাসিন্দারাও বুঝতে পারছেন না হুমায়ুন ঠিক কী বললেন!

    ‘চলো গ্রামে যাই’…

    রবিবার ছুটির দিনে নিজের বিধানসভা এলাকার হৈপথ গ্রামে সাইকেলে চড়ে ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক হুমায়ুন। পথে এক জায়গায় তাঁকে ঘিরে ধরেন স্থানীয় মহিলারা। বিধায়ককে হাতের নাগালে পেয়ে উগরে দেন ক্ষোভ। এলাকায় মদের রমরমা কারবার বলেও অভিযোগ জানান তাঁরা। মদ কারবারিদের বাড়বাড়ন্তের জেরে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা, কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার অর্থনীতি, তাও জানান ওই মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ থেকে আবগারি দফতর কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর জেরেই মাস কয়েক আগে প্রাণ গিয়েছে বছর চৌত্রিশের এক যুবকের।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    এর পরেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) হুমায়ুন বলেন, প্রতিদিন মদ খাওয়ার ফলে এলাকায় বছর চৌত্রিশের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে খালি পেটে মদ খায় এবং সেই কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আর তার জেরে অসুস্থ হয়ে অনেকেরই মৃত্যু হয়। এখানে বেআইনি মদের ঠেক বন্ধ করার জন্য আমি থানার বড়বাবুকে বলেছি। যাতে বেআইনি মদ বিক্রি এখানে বন্ধ করা হয়। তিনি বলেন, দেশি মদ যেটা বিক্রি হয়, সেটা দোকান থেকে এনে খাচ্ছে কিনা, তা দেখতে হবে। বেআইনি মদ থাকলে ওটা আবগারি দফতরের গাফিলতি। সরকারি মদ যেটা আছে, ওটা কিনে এনে খেতেই পারে। ডেবরার বিধায়ক বলেন, এদের সচেতন হতে হবে। মদ খেলেও একটা পরিমাণ মতো খেতে হবে। তিনি বলেন, কেউ যদি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মদ খায়, তাহলে তো লিভারের সমস্যা হবেই। সপ্তাহখানেক আগেই বিডিও, এসডিওর চেয়ারের গদি কেড়ে নেওয়ার দাবি করেছিলেন হুমায়ুন। এবার রাজ্যবাসীকে করলেন মদ খাওয়ায় উৎসাহিত। রাজ্যের একজন প্রাক্তন মন্ত্রী কীভাবে একথা বললেন, তা ভাবতে পারছেন না এ রাজ্যের শিক্ষিত সমাজও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share