Tag: list

list

  • Scientists List: স্ট্যানফোর্ড এলসেভিয়ার শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানী তালিকায় ঠাঁই ৩,৩৭১ জন ভারতীয় গবেষকের

    Scientists List: স্ট্যানফোর্ড এলসেভিয়ার শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানী তালিকায় ঠাঁই ৩,৩৭১ জন ভারতীয় গবেষকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্ট্যানফোর্ড/এলসেভিয়ার ‘টপ ২ পারসেন্ট সায়েন্টিস্টস লিস্ট’ (Scientists List) ২০২৫। এই বৈশ্বিক ডেটাবেসে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এঁদের র‍্যাঙ্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ২২টি প্রধান ক্ষেত্র ও ১৭৪টি উপক্ষেত্রে তাঁদের সাইটেশন ইমপ্যাক্ট অনুযায়ী (PU Teachers)।

    ৩,৩৭১ জন ভারতীয় গবেষক (Scientists List)

    ২০২৫ সালের তালিকায় মোট ৩,৩৭১ জন ভারতীয় গবেষক স্থান পেয়েছেন স্ট্যানফোর্ড শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এলসেভিয়ারের সহযোগিতায় যে তালিকাটি তৈরি করেছে, তা স্কোপাস ডেটার ওপর ভিত্তি করে এবং এতে একটি যৌথ উদ্ধৃতি স্কোর ব্যবহার করা হয়েছে, যা সহ-লেখকত্ব ও লেখকের অবস্থান অনুযায়ী সমন্বয় করা হয়। অর্থাৎ, এটি শুধু বেশি প্রকাশনা নয়, বরং কাজটির প্রভাবের ওপর গুরুত্ব দেয়। বিজ্ঞানীদের র‍্যাঙ্ক করা হয়েছে একটি যৌগিক উদ্ধৃতি স্কোরের ভিত্তিতে, যেখানে লেখকত্ব, সহলেখকত্বের সমন্বয় এবং স্ব-উদ্ধৃতির হিসাব রাখা হয়েছে, যাতে প্রভাব মূল্যায়ন আরও ন্যায্য হয়। ২০২৪ সালে ৫৩০০-রও বেশি ভারতীয় বিজ্ঞানী এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।

    র‍্যাঙ্কিং কীভাবে কাজ করে

    তালিকাটি বিজ্ঞানীদের দীর্ঘমেয়াদি (ক্যারিয়ার-ভিত্তিক) প্রভাব এবং ২০২৪ সালের এক বছরের উদ্ধৃতি-সংক্রান্ত তথ্য, দুই-ই দেয়। এতে প্রত্যাহৃত গবেষণাপত্রগুলিও ধরা হয় এবং অতিরিক্ত বা ফুলিয়ে-ফাঁপানো উদ্ধৃতি সংখ্যার সংশোধন করা হয়। এ বছরের ডেটাসেটটি ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বিশ্বের ২,৩০,০০০-এরও বেশি শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীর তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে (Scientists List)। প্রসঙ্গত, ভারতের মধ্যে সবচেয়ে ওপরে রয়েছে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এরপর রয়েছে বড় বড় আইআইটিগুলি। দীর্ঘমেয়াদি ডেটাসেটে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যা হল—

    আইআইএসসি-১৩৩

    আইআইটি দিল্লি -১০৫

    আইআইটি খড়গপুর – ৯১

    আইআইটি মাদ্রাজ – ৭৫

    আইআইটি বম্বে – ৭০

    আইআইটি রুরকি -৫৬

    আইআইটি কানপুর -৪৯

    অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অবদানকারীদের মধ্যে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (৪০), ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার (৩৯), বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (৩৮) এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৮)। এ বছর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় (PU Teachers) ৪৮ জন শিক্ষকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এটি একটি স্পষ্ট স্থানীয় সাফল্য।

    তালিকার পরিসর

    প্রসঙ্গত, তালিকাটি ২২টি বিস্তৃত ক্ষেত্র এবং ১৭৪টি উপক্ষেত্র জুড়ে তৈরি, যেখানে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যা থেকে শুরু করে চিকিৎসা এবং টেকনোলজি সম্পর্কিত বিশেষ শাখাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ভারতীয় বিজ্ঞানের বেশ কিছু সুপরিচিত নামও এতে রয়েছে। চিন্তামণি নাগেশ রামচন্দ্র রাও এবং অশোক সেন—এই দুজনই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, যারা ভারতীয় বিজ্ঞানকে অনুসরণ করেন তাঁদের কাছে পরিচিত ব্যক্তিত্ব।বড় গবেষণা কেন্দ্রগুলি সংখ্যার দিক থেকে প্রাধান্য পেলেও, বেশ কিছু ছোট বা ভিন্নধর্মী প্রতিষ্ঠান—আঞ্চলিক কলেজ, একক ল্যাব ইউনিট এবং বিশেষায়িত গবেষণা কেন্দ্র থেকেও এক বা দু’জন গবেষকের নাম এসেছে। এই বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর প্রভাব কখনও অপ্রত্যাশিত স্থান থেকেও আসতে পারে (Scientists List)।

    ডেটাসেটের ক্ষেত্র

    ডেটাসেটটি ২২টি বিস্তৃত ক্ষেত্র এবং ১৭৪টি উপক্ষেত্র জুড়ে বিস্তৃত, ফলে উপস্থিতি রয়েছে রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞানসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে। এখানে দুটি কার্যকর দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, একটি হল দীর্ঘ-মেয়াদি কর্মজীবনের প্রভাব এবং একক-বছরের প্রভাব। টপ সায়নেটের অনুসন্ধানযোগ্য ডাটাবেস গবেষকদের প্রোফাইল খুঁজে বের করতে, দাবি করতে এবং আপডেট করতে সাহায্য করে দৃশ্যমানতা বাড়ানোর এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগ সংশোধনের একটি দ্রুত উপায় (PU Teachers)। এই তথ্য ব্যবহার করে সহযোগিতা পরিকল্পনা করুন, কৌশলগতভাবে নিয়োগ করুন এবং যেখানে উদ্ধৃতির গতি বাড়ছে সেখানে অর্থায়নকে টার্গেট করুন।

    অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষতার গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড

    প্রতিষ্ঠান ও তরুণ গবেষকদের জন্য স্ট্যানফোর্ড/এলসেভিয়ার টপ ২ শতাংশ তালিকা অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হয়ে উঠেছে। এটি কেবল বৈজ্ঞানিক সাফল্য উদযাপনই করে না, বরং তাৎপর্যপূর্ণ গবেষণার প্রভাব কীভাবে মাপা হয় তার আরও আন্ডারস্ট্যান্ডিংকে উৎসাহিত করে (Scientists List)। প্রসঙ্গত, স্ট্যানফোর্ড টপ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীনদের তালিকা হল একটি সরল কিন্তু কার্যকর প্রতিফলন – যা ২০২৫ সালে ভারতের উদ্ধৃত গবেষণার শক্তি কোথায় রয়েছে, তা দেখায়। বড় সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আইআইটিগুলি মূল অংশ দখল করে রয়েছে, এবং প্রচলিত সীমার বাইরে উৎকর্ষতার (PU Teachers) নতুন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে (Scientists List)।

  • Supreme Court: “দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেই ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: “দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেই ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে,” সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একজনও দাগি প্রার্থী পরীক্ষায় বসলে ফল ভুগতে হবে এসএসসিকে (SSC)।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অযোগ্যদেরও পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসএসসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তার জেরেই এদিন কমিশনকে ভর্ৎসনা করে দেশের শীর্ষ আদালত। এসএসসির আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, “যদি অভিযোগকারীর আইনজীবী প্রমাণ করতে পারেন যে আবারও অযোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়েছে, তাহলে আপনাদের কড়া সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে।”

    প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছিল (Supreme Court)

    এর পরেই তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে অযোগ্য (এঁরাই তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাকে টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছিলেন বলে অভিযোগ।) প্রার্থীদের তালিকা রয়েছে। আপনারা যদি ওই প্রার্থীদের ছাড় দেন, তাহলে তার ফল ভুগতে হবে।” বিচারপতির প্রশ্ন, “অযোগ্য প্রার্থীদের জন্য কেন হাইকোর্টে গিয়েছে এসএসসি? যদি না কিছু মন্ত্রী চান যে ওই প্রার্থীরা থাকুন, তাহলে কোনও যুক্তিই এর জন্য যথেষ্ট নয়।” শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, “প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছিল, কারণ কিছু মন্ত্রী চেয়েছিলেন তাঁদের প্রার্থীরা থাকুক। ত্রুটিপূর্ণ বাছাই প্রক্রিয়ার জন্য বোর্ড, এসএসসি এবং রাজ্য সরকার দায়ী।” বিচারপতি বলেন, “আপনাদের জন্যই যোগ্যরা চাকরি হারিয়েছেন। তাঁদের জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন। আপনারাই বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন, আর আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে, এটা কি ঠিক?” বিচারপতি বলেন, “এসএসসির কাজের ওপর কড়া নজর রাখছে সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ নিয়ে কারচুপি করা হলেই হস্তক্ষেপ করবে সুপ্রিম কোর্ট।”

    অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ

    এর আগের শুনানিতে বিচারপতি বলেছিলেন, “স্বচ্ছতার স্বার্থেই পুরো প্যানেল বাতিল করা হয়েছিল। এখন দাগিরাও আবেদন করছেন, এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে তা হবে দুর্ভাগ্যজনক।” এর পরেই এসএসসিকে (SSC) সতর্ক করে শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, এটা যেন কোনওভাবেই না হয়। বৃহস্পতিবার শুনানির সময় বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন (Supreme Court)। প্রশ্ন তোলা হয়, “কেন এখনও অযোগ্যদের নাম প্রকাশ করেনি এসএসসি? কেন অযোগ্যদের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কমিশন? এর পরেই সঞ্জয় কুমারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী সাত দিনের মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে অযোগ্যদের তালিকা। আদালত অবশ্য এও জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই পরীক্ষা হবে ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। এসএসসির তরফে আইনজীবী তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়, সাত দিনের মধ্যেই যাতে তালিকা প্রকাশ করা হয়, সে ব্যাপারে।

    আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সাতদিনের সময় সীমা দিয়েছে। তবে আমি আপনাদের বলতে পারি ওরা এখনও সততার সঙ্গে সেই লিস্ট পাবলিশড করবে না। কারণ ওরা জানে, যাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, তাঁদের (SSC) নাম প্রকাশ্যে এলে ঘোর বিপদ। তাই কোনও কাজই ওরা সততার সঙ্গে করবে না (Supreme Court)।”

  • PM Modi: ট্রাম্পকে অনেক পেছনে ফেলে গ্লোবাল লিডার তালিকার শীর্ষে ভারতের নরেন্দ্র মোদি, এবারও তিনিই ফার্স্ট

    PM Modi: ট্রাম্পকে অনেক পেছনে ফেলে গ্লোবাল লিডার তালিকার শীর্ষে ভারতের নরেন্দ্র মোদি, এবারও তিনিই ফার্স্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তিনি পেছনে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। দৌড়ে তাঁকে ধরতে পারেননি অন্য কোনও বিশ্বনেতাও (Global List)। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আরও একবার তিনি দখল করলেন মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের শীর্ষস্থান। ‘ফার্স্ট বয়’ নরেন্দ্র মোদি পেয়েছেন ৭৫ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বের সব চেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত নেতা। আগেও তিনিই হয়েছিলেন প্রথম। এবারও টলানো গেল না তাঁর আসন। এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয়বার জয়ী হওয়ার পরেও দেশ ও বিদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়েও অনেক বেশি পোক্ত হয়েছে।

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার (PM Modi)

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকার বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের অনুমোদনের রেটিং ট্র্যাক করে। সেই নিরিখে দেখা গিয়েছে, প্রতিপক্ষদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ঢের পেছনে রয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর ঝুলিতে পড়েছে মাত্রই ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। প্রসঙ্গত, এ বছরের গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল রেটিং করা হয়েছিল ৪ থেকে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে। ২০টিরও বেশি দেশের নেতাদের মধ্যে থেকে মানুষ পছন্দ করে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদিকেই।

    সাত দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি

    যেসব রাষ্ট্রনেতাদের নির্বাচন করা হয়েছিল, তাঁদের প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের মতামতের সাত দিনের গড় অনুসারে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল (PM Modi)। মর্নিং কনসাল্ট একটি আমেরিকান সংস্থা। বিজনেস ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা অ্যানালিস্টের কাজ করে এরা। এই সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি চারজন মানুষের মধ্যে তিনজন গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ এভাবে ভাবেননি। আর ৭ শতাংশ মানুষ নিশ্চিতভাবে কোনও মতামত প্রকাশ করেননি।

    মোদিই প্রথম

    মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের তৈরি করা ওই তালিকায় নরেন্দ্র মোদির পরেই রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লি-জে-মিয়ং। তিনি পেয়েছেন ৫৯ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। থার্ড হয়েছেন আর্জেন্টিনার জেভিয়ার মিলেই। তিনি পেয়েছেন ৫৭ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। ওই তালিকার চার নম্বরে রয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। তাঁর ঝুলিতে পড়েছে ৫৬ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল। ৫৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল পেয়ে ফিফথ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিস। তালিকায় এর পর রয়েছে মেক্সিকো। সে (PM Modi) দেশের নয়া প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম পেয়েছেন ৫৩ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তাঁর পরে রয়েছেন সুইৎজারল্যান্ডের কারিন কেলার সাটার। তিনি পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। তালিকার একেবারে শেষে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Global List)। তিনি পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং। ৫০ শতাংশ মানুষ তাঁর বিরোধিতা করেছেন।

    কম জনপ্রিয় নেতার শিরোপা

    এদিকে, বিশ্বের সব চেয়ে কম জনপ্রিয় নেতার শিরোপা পেয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রী পেট্র ফিয়ালা। তাঁরা পেয়েছেন মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ৭৪ শতাংশ মানুষই তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি পেয়েছেন ৪০ শতাংশ মানুষের সমর্থন। জার্মানির ফ্রেডরিক মর্জ পেয়েছেন ৩৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন। তুরস্কের রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান পেয়েছেন ৩৩ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ব্রাজিলের লুলা দ্য সিলভা পেয়েছেন ৩২ শতাংশ মানুষের সমর্থন। ব্রিটেনের কিয়ের স্টার্মার পেয়েছেন ২৬ শতাংশ মানুষের সমর্থন। আর ২০ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়ে তালিকার একেবারে শেষে রয়েছেন জাপানের শিগেরু ইশিবা।

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    সমীক্ষার ফল প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “১০০ কোটিরও বেশি ভারতীয়ের প্রিয় এবং বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের সম্মানপ্রাপ্ত নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আবারও মর্নিং কনসাল্ট সমীক্ষা অনুসারে বিশ্বনেতাদের তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন। মোদিজির নেতৃত্বে ভারত নিরাপদ।” ট্যুইট-বার্তায় কেন্দ্রীয় (PM Modi) মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও লেখেন, “বিশ্বমঞ্চে মোদিজির নেতৃত্ব ভারতকে গৌরবের আসনে বসিয়েছে। তাঁর দৃঢ়তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ভারতকে বিশ্ব রাজনীতিতে এক নয়া উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছে (Global List)।”

    বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন এবং অভ্যন্তরীণ বিভাজনের আবহে মোদির এই আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা শুধু ভারতীয় রাজনীতির জন্য নয়, দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত পরিসরের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে যেখানে চিন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বৈরথ স্পষ্ট, সেখানে ভারতের সতর্ক ও ভারসাম্যপূর্ণ নেতৃত্বকে আশার আলো দেখছে অনেক দেশ (PM Modi)।

  • Security:  রাতারাতি তুলে নেওয়া হল বারাকপুর মহকুমার বহু তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা রক্ষী, জানেন কী তালিকায় কারা রয়েছেন?

    Security: রাতারাতি তুলে নেওয়া হল বারাকপুর মহকুমার বহু তৃণমূল নেতার নিরাপত্তা রক্ষী, জানেন কী তালিকায় কারা রয়েছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের ছোট, মাঝারি, বড় মাপের নেতাদের নিরাপত্তার জন্য কারও কাছে একজন, কারও কাছে আবার দুজন করে নিরাপত্তা রক্ষী ছিল। কিন্তু, আচমকাই কমিশনারেটে পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় ৪১ জন দাপুটে তৃণমূল নেতার কাছে থেকে রাতারাতি নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হল। এরমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন। এছাড়া এই তালিকায় জগদ্দলের প্রাক্তন বিধায়ক পরশ দত্ত, উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী রয়েছেন। আর ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় যে সব নেতারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন, নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়, খড়দহ পুরসভার কাউন্সিলর সুকণ্ঠ বনিক, নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিং, উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস, খড়দহ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন মজুমদার, নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদ সদস্য সনত্ দে, ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদ সদস্য অমিত গুপ্তা, ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলর অরুণ ব্রহ্ম সহ একাধিক নেতা রয়েছেন। অবশ্য বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট এর বক্তব্য, পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, পুলিশ কমিশনারেটের এই নির্দেশিকা ঘিরে শাসক দলের অন্দরে নেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসতেই অনেক নেতা তাঁদের ক্ষোভের বিষয়টি চেপে রাখতে পারেননি। তাঁদের বক্তব্য, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই অবস্থায় নিরাপত্তা না তোলায় দরকার ছিল। অনেকেই ফের নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষী ফিরে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তদারকি করা শুরু করেছেন। একটি সূত্রে থেকে জানা গিয়েছে, কয়েকজন নেতার ফের নিরাপত্তা রক্ষী ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বিবেচনা করা হচ্ছে। ফলে, অনেকে ফের নিরাপত্তা রক্ষী ফিরে পেতে পারে।

    তৃণমূল নেতাদের কেন নিরপত্তা রক্ষী দেওয়া ছিল?

    ২০২২ সালে রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার মতো ব্যারাকপুর মহকুমার সব পুরসভায় পুরভোট হয়। পুরভোটের সময় ১৩ মার্চ পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে আগরপাড়া স্টেশন রোডে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। প্রকাশ্যে এই খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের তৃণমূলের জন প্রতিনিধিরা। পুলিশ কমিশনারের কাছে তাঁরা নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে কমিশনারেট এলাকায় অধিকাংশ দাপুটে তৃণমূলের জন প্রতিনিধিদের নিরপত্তা রক্ষীর ব্যবস্থা করা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share