Tag: literary

literary

  • RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যের দেওয়া ‘বঙ্গরত্ন’ ফেরালেন সাহিত্যিক পরিমল দে

    RG Kar Rape-Murder: আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যের দেওয়া ‘বঙ্গরত্ন’ ফেরালেন সাহিত্যিক পরিমল দে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Rape-Murder) প্রতিবাদে বঙ্গরত্ন (Banga Ratna) প্রত্যাখ্যান করলেন আলিপুরদুয়ারের বিশিষ্ট লেখক সাহিত্যিক পরিমল দে। রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কারকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানান তিনি। রাজ্যের এক মহিলা চিকিৎসককে নির্মমভাবে অত্যাচার করে হত্যার ঘটনায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরিমলবাবু।

    দীর্ঘদিন ধরে নৈরাজ্য চলছে রাজ্যে (RG Kar Rape-Murder)

    এদিন রাজ্যে নারী নির্যাতনের (RG Kar Rape-Murder) পরিস্থিতি নিয়ে বিশিষ্ট সাহিত্যিক পরিমল দে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নৈরাজ্য চলছে। দুর্নীতির পাশাপাশি আরজি করে যে অমানবিক ঘটনা ঘটেছে, তাতে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। এই বাঙালি, বঙ্গবাসী ভারতের নানা রাজ্যে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে আমি একমত, সহমর্মিতা জানাই। এই জন্য আমি রাজ্য সরকারের দেওয়া পুরস্কার বঙ্গরত্ন ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।” উল্লেখ্য ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ উৎসবে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে তাঁর হাতে সাহিত্য রচনার জন্য বঙ্গরত্ন (Banga Ratna) সম্মান তুলে দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য এমন সম্মান ফেরানোর ঘটনা আগেও ঘটেছে। ২০২২ সালে মমতাকে বিশেষ সম্মান দিয়েছিল বাংলা অ্যাকাডেমি। এই ঘটনার প্রতিবাদে ‘অন্নদাশঙ্কর স্মারক সম্মান’ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুনঃ বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ

    আরজি করকাণ্ড (RG Kar Rape-Murder) নিয়ে রাজ্য তথা দেশবাসীর মনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। স্কুল, কলেজ, শিক্ষক, ডাক্তার, আইনজীবী থেকে শুরু করে সমাজের সকল স্তরের মানুষ আন্দোলনে নেমেছেন। অপর দিকে হত্যার পর হাসপাতালের অধ্যক্ষ, পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে ন্যায় বিচার চাইছে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। কিন্তু ধর্ষণের করে হত্যার পর মুখ্যমন্ত্রী মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলে মানুষ আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়েছেন বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ক্রমেই জোরাল হয়ে উঠেছে রাজ্য জুড়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রতিবাদী কবিতা লিখে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত নদিয়ার সাহিত্যিক, সর্বত্র নিন্দার ঝড়

    Nadia: প্রতিবাদী কবিতা লিখে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত নদিয়ার সাহিত্যিক, সর্বত্র নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল নদিয়ার শান্তিপুরের গোবিন্দপুর এলাকার নিজের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তায় বেশ কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী কবি কল্লোল সরকারের ওপর আক্রমণ চালায়। কবির দোষ, কেন সরকারের বিরুদ্ধে কবিতা লিখলেন! আর তাই আক্রান্ত কবি কল্লোল সরকার আজ শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন। এরপর থানায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় সাহিত্যিক মহলে তীব্র নিন্দার ঝড়।

    কবির ঠিক অভিযোগ কী (Nadia)?

    শান্তিপুরের (Nadia) কবি কল্লোল সরকার জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কিছু দিন আগেই একটি প্রতিবাদী কবিতা প্রকাশ করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজ্যের ধর্ষণ, হিংসা, হানাহানির কথা বলে সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। আর তাই নিয়েই শোরগোল পড়ে যায়, এমনকি তাঁকে একাধিকবার শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। গতকাল, বিকেলে কলকাতা থেকে বাড়ি ফেরার পথে শান্তিপুরের গলায়দড়ি বটতলা এলাকায় বেশ কিছু তৃণমূলের দুষ্কৃতী তাঁর ওপর আক্রমণ চালায়। তাঁকে একাধিকবার চড়, কিল, লাথি মারা হয়। এরপর এলাকাবাসী সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পরেই কবি কল্লোল সরকার শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

    কবিতায় কী লিখেছেন?

    কবি কল্লোল সরকার (Nadia) বলেন, তাঁর কবিতার মধ্য দিয়ে বাস্তব চিত্র তুলে ধরার কারণেই দুষ্কৃতীর হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তাঁর কবিতায় রয়েছে, “বুদ্ধিজীবী তকমা নিয়ে/উল্লাসে চিৎকার করে/যারা বাংলাকে ধর্ষণ করে চলে!/আমি ঘৃণা করি,/আমি ঘৃণা করি যারা সরকারের পা চেটে চলে”। যারা এই রাজ্যে ধর্ষণ দেখে চুপ থাকে, সেইসব বুদ্ধিজীবী এবং চটিচাটা মানুষকে ঘৃণা করেন কবি। অরাজক রাজ্যের পরিস্থিতিতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ কলরবের কথা বলেছেন। স্বপ্ন দেখার মানুষগুলি শকুনের চঞ্চুতে বন্দি হয়ে রয়েছেন। চারিদিকে বিষাদ আর বিষাদে কবি স্তব্ধ। এই ভাবেই বর্তমান সময়কে তুলে ধরেন কবিতায়। যারা কবিকে মারধর করল, তারা প্রত্যেকে তৃণমূল দলের সঙ্গে যুক্ত। এই ঘটনায় রীতিমতো নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share