Tag: liver disease

liver disease

  • Diabetes: ডায়াবেটিস রুখতে ভাত-রুটি কি একেবারেই বাদ দিতে হবে? জোর দেবেন কোন কোন খাবারে?

    Diabetes: ডায়াবেটিস রুখতে ভাত-রুটি কি একেবারেই বাদ দিতে হবে? জোর দেবেন কোন কোন খাবারে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বদলে যাচ্ছে জীবন‌যাপনের ধরন। খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের সময়, বদল এসেছে সব কিছুর। আর তার জেরেই বাড়ছে একাধিক রোগের দাপট। সেই তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে ডায়াবেটিস। দেশ জুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিসের প্রকোপ। এই রোগ আর বয়সের সীমানায় আটকে নেই। শিশুদের মধ্যেও মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। শিশুর শরীরে টাইপ টু ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ বাড়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। ১৪ নভেম্বর ছিল ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস ডে! দেশ জুড়ে চলেছে নানান সচেতনতা কর্মসূচি। সুস্থ জীবন এবং ডায়াবেটিসের প্রকোপ রুখতে খাবারকেই হাতিয়ার করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু কীভাবে রুখবেন ডায়াবেটিসের প্রকোপ? চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাদ্যাভ্যাসই ডায়াবেটিস রুখতে সব চেয়ে বেশি সাহায্য করে। আর পুষ্টিকর খাবারে অভ্যস্ত হলে সহজেই এই রোগের প্রকোপ কমানো যায়।

    কখন খাবেন? (Diabetes)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খাবার কখন খাওয়া হচ্ছে, সেটা খুব জরুরি। ডায়াবেটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে ঠিক সময়ে খাওয়া দরকার।‌ অর্থাৎ, তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবার ন’টার মধ্যে খেতে হবে। অনেকেই দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। এর ফলে জলখাবার খাওয়া হয় না। একেবারেই দুপুরের খাবার খান। এই অভ্যাস অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। নিয়মিত সকালের জলখাবার খাওয়া জরুরি। অন্তত তিন ঘণ্টার ব্যবধানে খাবার খেতে হবে। হালকা খাবার খাওয়ার দিকেই নজর দেওয়া জরুরি। অর্থাৎ একসঙ্গে অনেক পরিমাণ খাওয়ার পরিবর্তে বারবার হালকা খাবার খেলে শরীর ভালো থাকবে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে একসঙ্গে অনেক পরিমাণ খাবার খান। আর এর ফলেই একাধিক সমস্যা দেখা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় না খাওয়ার ফলে একদিকে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে। আবার হঠাৎ করেই অনেকটা খাবার খেয়ে নিলে শরীরের একাধিক উপাদান যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাসের মাত্রাও ওঠানামা করে। ফলে ডায়াবেটিসের বিপদ বাড়ে। রাতের খাবারের সময় নিয়েও সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ অনেক রাতে ভারী খাবার খাওয়ায় অভ্যস্থ হয়ে উঠছে।‌ এর ফলে লিভার এবং কিডনির উপরে মারাত্মক চাপ পড়ছে। তাই ডায়াবেটিসের জটিলতা বাড়ছে। কখনই রাত ন’টার পরে ভারী খাবার খাওয়া চলবে না বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী খাবেন?

    ডায়াবেটিস রুখতে সব্জি, ফল এবং প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে ব্যালান্স জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত সব্জি খেতে হবে। বিশেষ করে সবুজ সব্জি! পালং শাক, পটল, ঢ্যাঁড়শ, ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো নানা রকমের সব্জি নিয়মিত মেনুতে থাকা জরুরি। সঙ্গে রাখতে হবে ডাল। মটর, ছোলার মতো নানান দানাশস্য নিয়মিত খাবারের তালিকায় থাকলে শরীরে ডায়াবেটিসের (Diabetes) প্রকোপ কমবে। শরীরে এনার্জির জোগান থাকবে। তবে প্রাণীজ প্রোটিনকেও মেনুতে রাখতে হবে। যদিও পরিমাণ নিয়ে সতর্কতা জরুরি। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলেও নিয়মিত মাছ, মাংস, ডিম খাওয়া যাবে। তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় প্রাণীজ প্রোটিন নিয়মিত বেশি পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি পনির, ছানা এবং টক দই নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল‌। প্রতিদিন শশা, আপেল, পেয়ারা, কিউই, লেবু জাতীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের নানান খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিনের জোগান ঠিকমতো হলে ডায়াবেটিস জটিল আকার নিতে পারে না।

    ডায়াবেটিস রুখতে কি ভাত-রুটি বাদ? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রুখতে কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrates) সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। বরং, ডায়াবেটিসের মোকাবিলার জন্য ব্যালান্স ডায়েট জরুরি। তাই‌ নিয়মিত ফল, সব্জি, মাছ-মাংসের জন্য দরকার কার্বোহাইড্রেট। অর্থাৎ ভাত কিংবা রুটি। কারণ ভাত-রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার থেকেই শরীরে এনার্জি পাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট শরীরে এনার্জি‌ জোগানে সব চেয়ে বেশি সাহায্য করে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা‌ দিতে পারে। ফলে, নানান রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট নিয়মিত খেতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    চিনি, ধূমপান, মদ্যপান বিপদ বাড়াবে! (Diabetes)

    নিজে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে কিংবা যাদের পরিবারে কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত, তাদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন‌ চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, তাদের নানান জটিলতা ও ঝুঁকি তৈরি হয়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে‌, বিপদ কমাতে একেবারেই চিনি খাওয়া চলবে না। বংশানুক্রমিক ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে প্রথম থেকেই মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ টানতে হবে। চকলেট, পেস্ট্রি, প্যাকেটজাত পানীয় কিংবা রাসায়নিক উপাদান দেওয়া চটজলদি খাবার একেবারেই খাওয়া চলবে না। অর্থাৎ, বার্গার, পিৎজা থেকে বিরিয়ানি, খাবারের তালিকায় রাশ না টানলেই বিপদ‌ বাড়বে। আবার খাবারের পাশপাশি স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের দিকেও‌ নজর দিতে হবে। অর্থাৎ, মদ্যপান এবং ধূমপানের মতো অভ্যাস ছাড়তে হবে। এই ধরনের অভ্যাস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। কিডনি এবং লিভারের জটিল রোগ তৈরি করতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Janmashtami Festival: তালের বড়া, ক্ষীর কিংবা পিঠে! জন্মাষ্টমীর ভোগে এমন নানা পদের ছড়াছড়ি

    Janmashtami Festival: তালের বড়া, ক্ষীর কিংবা পিঠে! জন্মাষ্টমীর ভোগে এমন নানা পদের ছড়াছড়ি

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তালের বড়া, তালের ক্ষীর, তাল-ফুলুড়ি কিংবা তালের পিঠে! বাঙালি বাড়িতে জন্মাষ্টমীর ভোগে (Janmashtami Festival) এমন নানান পদ তৈরির রীতি রয়েছে! শ্রাবণ মাসে বাজারে সহজেই তাল পাওয়া যায়! বর্ষার মরশুমে এই ফলের চাহিদাও অনেক। কিন্তু তাল খেলে কী হয়, শরীরের জন্য কতখানি উপকারী এই ফল? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?

    ডায়ারিয়া রুখতে বিশেষ সাহায্য করে

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, কচি তালের শাঁস দেহের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে‌। আর দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা পেলে ডায়ারিয়ার মতো রোগকে সহজেই কাবু করা যায়। পাশপাশি কচি তালের শাঁস বমি ভাব কমাতেও বিশেষ সাহায্য করে।

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর (Janmashtami Festival)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই তাল সহজেই দেহের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জোগানে সাহায্য করতে পারে। এর জেরে ক্যান্সারের মতো রোগের প্রতিরোধ সহজ হয়। আবার এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।

    লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী

    তাল লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী। এমনটাই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, তালে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস সহ একাধিক উপাদান থাকে।  এই সব উপাদান লিভারের রোগ কমাতে সাহায্য করে (Janmashtami Festival)।

    বাতের সমস্যার মোকাবিলা করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, বাতের সমস্যা মোকাবিলায় তাল (Taler Bora) বিশেষ সাহায্য করে! তালের রস জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের অভাব সহজেই পূরণ হয়। তাই বাতের সমস্যা কমে।

    কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

    তাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সহজেই দূর হয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ। তাই এই খাবার খেলে সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে যায়।

    জেলাটিন কমাবে স্থূলতার ঝুঁকি (Janmashtami Festival) 

    তালে থাকে প্রচুর পরিমাণে জেলাটিন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, জেলাটিন থাকার কারণে অল্প পরিমাণে তাল খেলেও পেট ভরে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। আর সেই কারণেই বেশি পরিমাণে খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। এতে স্থূলতার মতো রোগের ঝুঁকি কমে! 

    তবে, তাল টাটকা কিনা, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, পাকা তাল খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাজা তাল না খেলে নানান সমস্যা হতে পারে। পেটের অসুখ, হজমের গোলমাল সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই তাল পেকে গেলে (Taler Bora) একদিনের বেশি বাড়িতে রাখা উচিত নয়। কারণ, পাকা তাল সতেজ না থাকলে সেই খাবারে কোনও পুষ্টিগুণ থাকবে না। বরং আরও সমস্যা বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • World Liver Day: নিয়মিত কুকিজ, চকোলেট কিংবা ঠান্ডা পানীয়? কোন‌ বিপদ হতে পারে জানেন? 

    World Liver Day: নিয়মিত কুকিজ, চকোলেট কিংবা ঠান্ডা পানীয়? কোন‌ বিপদ হতে পারে জানেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হজমের গোলমাল নিত্যসঙ্গী? প্রায় দিন‌ খাওয়ার পরে বমি হয়? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সতর্ক হতে হবে। পরবর্তীতে বাড়তে পারে বিপদ। লিভারের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নন অ্যালকোহলিক লিভারের অসুখ ভারতে আরও বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে একাধিক সর্বভারতীয় সমীক্ষা। দেশের সাম্প্রতিক এক স্বাস্থ্য সমীক্ষায় জানা‌ গিয়েছে, নন অ্যালকোহলিক লিভারের রোগ এ দেশে কয়েকগুণ বেড়েছে। ১৯৯০ সালে এ দেশে নন অ্যালকোহলিক লিভারের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, এখন দেশে ৯৮ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। মদ্যপান না করেও লিভারের একাধিক রোগে ভুগছেন পুরুষ, মহিলা। এমনকী শিশুরাও লিভারের নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে (World Liver Day)। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি। তবেই লিভারের রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ঠিকমতো‌ খাদ্যাভ্যাস থাকলে‌ এই রোগের প্রকোপ কমানো সম্ভব বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

    লিভারের বিপদ কে বাড়াচ্ছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মদ্যপানে লিভারের রোগের বিপদ বাড়ে। এই কথা অনেকেই জানেন। সে নিয়ে সচেতনতাও রয়েছে। কিন্তু মদ্যপান না করেও লিভারের একাধিক রোগ হতে পারে। আর তার জন্য কিছু খাদ্যাভ্যাস দায়ী। একথা অবশ্য অনেকেই জানেন না। তাই দেশজুড়ে নন অ্যালকোহলিক লিভারের রোগের প্রকোপ বাড়ছে (World Liver Day)। এমনকী শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই ওয়ার্ল্ড লিভার ডে উপলক্ষে একাধিক কর্মশালায় চিকিৎসকেরা এই বিষয় সম্পর্কে সচেতন করেছেন।

    চিনি খাওয়ার অভ্যাসে বদল জরুরি (World Liver Day)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিনি লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। তাঁরা জানাচ্ছেন, সরাসরি চিনি খাওয়ার অভ্যাস শরীরে একাধিক রোগের কারণ হয়। পাশপাশি ক্যান্ডি, ললিপপ জাতীয় খাবার, যা মূলত চিনি দিয়েই তৈরি করা হয়, সেগুলোও লিভারের ক্ষতি করে।‌ তাই নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি কিংবা ক্যান্ডি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, তা বদল জরুরি। না হলে লিভারের অসুখ হতে পারে।

    অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবারে ‘না’ (World Liver Day)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেশজুড়ে নন অ্যালকোহলিক লিভারের রোগ বাড়ার অন্যতম কারণ এই অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবারের অভ্যাস। তরুণ প্রজন্মের একাংশ বিরিয়ানি, মোগলাই কিংবা চাইনিজ খাবারে অভ্যস্ত। জলখাবার কিংবা সন্ধ্যার খাবার বলতে অনেকেই বোঝে ফাস্টফুড। এমনকী কলেজ বা অফিস ফেরত খাবারের তালিকায় থাকে চাউমিন, এগরোল কিংবা পিৎজা, ফ্রেঞ্চফ্রাইয়ের মতো খাবার‌। এই ধরনের খাবার একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। এগুলো লিভারে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই রকম অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবারে ‘না’ বলা জরুরি।

    কুকিজ, পেস্ট্রিতে লাগাম জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, যে কোনও ধরনের বেকড করা খাবার অতিরিক্ত খেলে লিভারের অসুখের ঝুঁকি বাড়ে। তাই কুকিজ, পেস্ট্রির মতো খাবারে লাগাম জরুরি।‌ নিয়মিত কখনই এই ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ (World Liver Day)।

    নরম পানীয় সবচেয়ে বিপজ্জনক

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মদ্যপানে লিভারের ক্ষতি হয়, এই নিয়ে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু সোডামিশ্রিত নরম পানীয় যে একই রকম ক্ষতিকারক, সে নিয়ে সচেতনতা খুবই কম। তাই গরম হোক কিংবা যে কোনও উৎসব উদযাপনের আনন্দে, এই ধরনের সোডামিশ্রিত ঠান্ডা পানীয় লাগাতার খাওয়া হয়। এমনকী পরিবারের খুদে সদস্যেও এই ধরনের পানীয় খায়। তাই লিভারের রোগের বিপদ বাড়ে।

    কীভাবে সুস্থ থাকবে লিভার?

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কিছু খাবার বাদ দেওয়ার পাশপাশি লিভার সুস্থ রাখতে কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। তবেই রোগের ঝুঁকি কমবে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত সবুজ সবজি খেতে হবে।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিনের তুলনায় সবজির থেকে শরীর প্রোটিন পেলে লিভারের রোগের ঝুঁকি কমে। কারণ সবুজ সবজি থেকে পাওয়া প্রোটিন সহজপাচ্য হয়। তাই পালং শাক, লাউ, ব্রোকলির মতো সবজি নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এতে লিভার ভালো থাকে।

    তাছাড়া নিয়মিত লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে (World Liver Day)।

    প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন লিভার সুস্থ রাখতে শরীরে পর্যাপ্ত জল জরুরি। তাই নিয়মিত ৫-৬ লিটার জল খেতে হবে। পাশপাশি ডাবের জল, ফলের রস খেলে লিভারের রোগের ঝুঁকি কমে। কারণ এগুলো‌ শরীরে জলের চাহিদা মেটায়। আবার প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের জোগান দেয়। ফলে লিভার সুস্থ থাকে।

    লিভার সুস্থ রাখতে এবং কার্যক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ বাদামে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান। এগুলো‌ লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

    ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত মাছ লিভারের জন্য উপকারী। তাই লিভার সুস্থ রাখতে বড় মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ (World Liver Day)।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Protein Deficiency: শহুরে বাসিন্দাদের ৭৩ শতাংশ ভুগছেন প্রোটিনের অভাবে! কোন রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে?

    Protein Deficiency: শহুরে বাসিন্দাদের ৭৩ শতাংশ ভুগছেন প্রোটিনের অভাবে! কোন রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিরিয়ানি হোক কিংবা বার্গার, চটজলদি হাজির হয়ে যায় নানান পদ। তারপরেও প্রোটিনের অভাবে (Protein Deficiency) ভুগছেন‌ বেশিরভাগ মানুষ। শিশু থেকে প্রবীণ, অধিকাংশ শহুরে বাসিন্দার খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকছে না। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় গবেষণায় উঠে আসছে এমনই তথ্য। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত প্রোটিন না থাকার জেরেই শরীরে বাসা বাঁধছে নানান‌ রোগ। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, খাবারের মেনুতে ব্যালান্স না থাকলে বিপদ বাড়বে।

    কী বলছে সাম্প্রতিক তথ্য? (Protein Deficiency)

    সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতে শহুরে বাসিন্দাদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ প্রোটিনের অভাবে ভুগছেন‌। গর্ভবতীদের মধ্যে ৬২ শতাংশ জানেন না, গর্ভাবস্থায় কতখানি প্রোটিন জরুরি। তার প্রভাব তাঁদের খাবারে পড়ে। ফলে, তাঁরা প্রোটিনের অভাবে ভোগেন। ওই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ ছেলেমেয়ে প্রোটিনের অভাবে ভুগছে। কর্মরত মহিলাদের মধ্যে প্রোটিনের অভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রায় ৭২ শতাংশ কর্মরত মহিলা প্রোটিনের অভাবে ভুগছেন‌।

    প্রোটিনের অভাব কোন ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে? (Protein Deficiency)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রোটিনের অভাব নানান‌ রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হাড়ের সমস্যার অন্যতম কারণ প্রোটিনের অভাব।‌ দেহে পর্যাপ্ত প্রোটিন না‌ থাকলে সহজেই হাড় ভাঙতে পারে। তাছাড়া পেশির একাধিক সমস্যার কারণ প্রোটিনের অভাব (Protein Deficiency)। বিশেষত বয়স্কদের মধ্যে নানান সমস্যা হয়। পেশি দূর্বল হলে নিয়মিত জীবন‌যাপন, হাঁটাচলায় সমস্যা হয়। প্রোটিন পর্যাপ্ত না থাকলে পেশির এই সমস্যা বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। প্রোটিনের অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়।‌ তবে, প্রোটিনের অভাবে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় লিভারে।‌ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রোটিন শরীরে পর্যাপ্ত না থাকলে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে। এমনকী লিভারে ঘা হয়ে যায়। ফলে, বড় বিপদ ঘটতে পারে।‌

    কেন প্রোটিনের অভাব শহরে বেশি?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রোটিনের অভাবের (Protein Deficiency) অন্যতম কারণ অসচেতনতা। পুষ্টিবিদদের মতে, অধিকাংশ শহুরে‌‌ বাসিন্দা চটজলদি প্রসেসড খাবারে অভ্যস্ত। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।‌ তাই আরও সমস্যা বাড়ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন‌ সোয়াবিন, পনির, দুধ নিয়মিত খাওয়া হয় না। আবার মাছ, মাংস, ডিম খেলেও, সেটা হয়তো বার্গার, পিৎজার মতো চটজলদি খাবারের মাধ্যমে খাওয়া হচ্ছে। ফলে, শরীর পুষ্টি পাচ্ছে না। আবার পুষ্টি নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণাও শহুরে বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। ওই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ২০ শতাংশের বেশি শহুরে বাসিন্দার ধারণা, প্রোটিন শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। ফলে, অনেকেই ফি-দিনের খাবারের তালিকায় প্রোটিন বাদ রাখেন।‌‌ যা একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সবকিছুই শরীরে জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাই বাড়ির তৈরি সহজপাচ্য খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। যাতে প্রত্যেক উপাদান শরীরে শক্তি জোগাতে পারে। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Liver Disease: ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কতটা ভয়াবহ? শিশুরা মোকাবিলা করবে কীভাবে? 

    Liver Disease: ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কতটা ভয়াবহ? শিশুরা মোকাবিলা করবে কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পঞ্চাশের চৌকাঠ পেরিয়ে তবেই‌ দেখা দিত এই ধরনের সমস্যা। তবে, এখন কম বয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এই রোগ (Liver Disease)।‌ শুধু তরুণ প্রজন্ম নয়। স্কুল পড়ুয়ারাও কাবু হচ্ছে এই রোগে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই সতর্ক হতে না পারলে আজীবন ভোগান্তি চলবে।‌ ভারতে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সাধারণত পঞ্চাশ পেরনোর পরে এই ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দিত। কিন্তু গত কয়েক দশকে কম বয়সীরাও এই রোগে ভুগছে। সাম্প্রতিক এক তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ‌ বেড়েছে চিকিৎসক‌‌ মহলে।

    কী‌ বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা?

    সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। আর ভারতেও এই সমস্যা অত্যন্ত বেশি। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ওই গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ১০ শতাংশ শিশু ফ্যাটি‌ লিভারের (Liver Disease) সমস্যায় ভুগছে।‌ যা বছর দশেক আগেও‌ এত বেশি ছিল না। ফলে, আগামী দিনে শিশুদের ভোগান্তি বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কী‌ এই ফ্যাটি লিভার রোগ? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, লিভারে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হলে, তাকে ফ্যাটি লিভার (Liver Disease) বলা হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে বমি, পেটের সমস্যা লাগাতার হতে পারে। ফলে, হজমের সমস্যা বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে লিভারের কার্যক্ষমতা হারিয়ে যায়।

    কেন শিশুদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরন আর খাদ্যাভ্যাসের জেরেই শিশুদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, খুব কম বয়স থেকেই এখন সকলে ফাস্ট ফুডে অভ্যস্থ হয়ে পড়ছে। স্কুল বন্ধুদের জন্মদিন উদযাপন হোক কিংবা কোনও ঘরোয়া অনুষ্ঠান, সব জায়গায় পিৎজা, বার্গার, হটডগের‌ মতো‌ খাবার স্কুল পড়ুয়াদের পছন্দ। আর সেটাই দেদার খাওয়া চলছে।‌ পাশপাশি নানা প্যাকেট জাত খাবার যেমন চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, এগুলো খাওয়া চলছে। এর ফলে, স্থূলতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে।‌ আর এটাই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম ধাপ।‌ ওজন বাড়লেই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি‌ বাড়ে।‌ অধিকাংশ শিশুই এখন ওবেসিটি বা স্থূলতার শিকার। এর ফলে ভারতে ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যাও বাড়ছে। 
    পাশপাশি, ফাইবার, ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়া কম হচ্ছে। অতিরিক্ত প্রোটিন ও‌ ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ কম বয়সীরাই আটার রুটি, সুজি, ছাতু খায় না। ফলে, ফাইবার শরীরে কম যায়। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন উপাদানের ব্যালান্স হয় না।‌ যার জেরে ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন‌ লিভারের জন্য ক্ষতিকারক। শুধু মাংস, মাছ খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। প্রয়োজন তার সঙ্গে পরিমাণ মতো রুটি, ভাত, সবজির।‌ তবেই শরীর সবরকমের উপাদান পাবে। 
    পাশপাশি স্কুল পড়ুয়াদের খেলাধুলো কিংবা শারীরিক কসরত প্রয়োজন মতো হচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ আর তার জেরেই বাড়ছে ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা। কারণ, স্থূলতা এড়াতে পারলে তবেই ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) ঝুঁকি কমবে।‌

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Hepatitis Day: বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে কী বার্তা দিলেন চিকিৎসকরা?

    World Hepatitis Day: বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে কী বার্তা দিলেন চিকিৎসকরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ওয়ান লাইফ, ওয়ান লিভার! সুস্থ জীবন যাপনের জন্য লিভার সুস্থ থাকা হল প্রাথমিক শর্ত! বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসে (World Hepatitis Day) এই বার্তাই দিল চিকিৎসক মহল। শুক্রবার ওয়ার্ল্ড হেপাটাইটিস ডে! বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে লিভারজনিত সমস্যা। হেপাটাইটিসের জেরে প্রাণ যাচ্ছে বহু মানুষের। আর তাই সচেতনতাকে হাতিয়ার করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

    হেপাটাইটিস কী (World Hepatitis Day)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস লিভারের রোগ। পাঁচ ধরনের হেপাটাইটিস হয় (World Hepatitis Day)। এ, বি, সি, ডি এবং ই। এ এবং ই হল জলবাহিত রোগ। বর্ষার সময় অপরিচ্ছন্ন জল থেকে হতে পারে হেপাটাইটিস এ। বিশেষত শিশুদের জন্য যা মারাত্মক। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অবশ্য হেপাটাইটিস ই প্রাণঘাতী বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। হেপাটাইটিস ই হয় জল থেকেই। গর্ভবতী মহিলার এই লিভারঘটিত সমস্যা প্রাণ সংশয় তৈরি করে। তবে, হেপাটাইটিস বি এবং সি সংক্রমিত হয় রক্তের মাধ্যমে। আবার হেপাটাইটিস বি অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মায়ের দেহে হেপাটাইটিস বি থাকলে, সন্তানের দেহে তা সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

    হেপাটাইটিসের (World Hepatitis Day) উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে কোনও ধরনের হেপাটাইটিসের উপসর্গে কিছু মিল রয়েছে। যেমন, হেপাটাইটিস আক্রান্তের চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়। চামড়া খসখসে হয়ে যায়। এছাড়াও, হাত ও পায়ের পাতা অস্বাভাবিক রকমের ফ্যাকাসে হয়ে যায়। এছাড়াও পেটে যন্ত্রণা হয়। হাত-পায়ের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। জ্বর ও বমির মতো উপসর্গও দেখা দেয়।

    কীভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সচেতনতা কমাতে পারে হেপাটাইটিসের বিপদ (World Hepatitis Day)। তাঁদের পরামর্শ পরিশ্রুত জলের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। হেপাটাইটিস এ ও ই যেহেতু জলবাহিত রোগ, তাই পরিশ্রুত জলের উপর বাড়তি নজর দিতে হবে। বিশেষত, শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের সব সময়েই জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে, হেপাটাইটিস রুখতে টিকাকরণ সবচেয়ে জরুরি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। হেপাটাইটিস বি-র মতো মারণ রোগ নিয়ন্ত্রণে টিকা সবচেয়ে কার্যকর। তাই টিকা নিতেই হবে। পাশপাশি, হেপাটাইটিস রয়েছে কিনা, তা যাচাই করতে প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা দরকার। বিশেষত গর্ভবতীদের এই স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা আবশ্যিক। যদি কোনও গর্ভবতীর হেপাটাইটিস বি-র মতো সংক্রমণ থাকে, তাহলে তার বাড়তি নজরদারি জরুরি। সদ্যোজাত যাতে হেপাটাইটিস বি রোগে আক্রান্ত না হয়, তার জন্য জন্মের পরেই তার টিকাকরণ প্রয়োজন। এই সব দিক নজরে রাখলে হেপাটাইটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, আর সুস্থ দীর্ঘ জীবন যাপন সহজ হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Liver Disease: শুধু মদ্যপান নয়, খাদ্যাভ্যাসও লিভারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

    Liver Disease: শুধু মদ্যপান নয়, খাদ্যাভ্যাসও লিভারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

     তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনের নানা অভ্যাস তৈরি করছে নানা ঝুঁকি। শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ। তেমনই একটা সমস্যা হল নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (Liver Disease)। সপ্তাহ জুড়ে চলছে লিভার ডিজিজ অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম! স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, শুধু মদ্যপান নয়, খাওয়ার অভ্যাসও লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। 

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    এক সর্বভারতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মদ্যপানের জন্য লিভারের রোগের তুলনায় খাদ্যাভ্যাসের জেরে লিভারের সমস্যায় জর্জরিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষত মহিলারা নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যায় বেশি ভুগছেন। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ৪০ শতাংশ ভারতীয় নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ, খুব কম বয়স থেকেই অনেকে এই লিভারের অসুখে কাবু হচ্ছেন। 

    ফ্যাটি লিভার কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, লিভারে ফ্যাট বা অতিরিক্ত চর্বি জমাকেই সহজ ভাষায় ফ্যাটি লিভার (Liver Disease) বলা হয়। অতিরিক্ত চর্বি জমলে লিভারের কার্যশক্তি কমতে থাকে। ফলে নানা শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। 

    কী করে বুঝবেন ফ্যাটি লিভার হয়েছে? 

    সাধারণত খুব প্রকট উপসর্গ দেখা দেয় না। তবে ফ্যাটি লিভার (Liver Disease) থাকলে ওজন মারাত্মক বাড়ে অথবা কমে। তাছাড়া অনেক সময় খাবার খাওয়ার পরে বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। বারবার বমি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। তবে, ফ্যাটি লিভার থাকলে প্রায়ই পেটের যন্ত্রণা হয়। সেটাও অন্যতম উপসর্গ বলেই ধরা হয়। জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 

    কোন পাঁচ খাবার ফ্যাটি লিভার কমাতে সাহায্য করবে? 

    আধুনিক খাদ্যাভ্যাসের জেরেই বাড়ছে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা। বিশেষত অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত ফাস্ট ফুড বিপদ বাড়াচ্ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাদ্য তালিকায় এই পাঁচটি খাবার নিয়ম করে রাখলে বিপদ করবে। প্রথমেই চিকিৎসকদের পরামর্শ তালিকায় থাকছে, শাক-সবজি। সবুজ সবজি নিয়মিত খেতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সবুজ সবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইবার। এই দুই উপাদান লিভারে ফ্যাট জমতে দেয় না। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত সবজি খেলে বিপদ কমবে। দ্বিতীয়ত, দানা শস্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা কমাতে ওটস, ডালিয়ার মতো কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খাবার নিয়মিত খাওয়া দরকার। কারণ, এই ধরনের খাবারে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে, ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকিও কমে। তৃতীয়ত, নিয়মিত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাছে থাকে ওমেগা থ্রি, যা লিভারের জন্য খুব উপকারী। যে কোনও মাছ নিয়মিত খেতে বলছেন তাঁরা। তবে, ছোট মাছের উপকার বেশি বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার ফ্যাটি লিভারের (Liver Disease) সমস্যা রুখতে বিশেষ সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল। তাই তাদের পরামর্শ, দুধ, পনির, ডিমের মতো খাবার নিয়ম করে থাকুক খাদ্য তালিকায়। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন চিকেন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, চিকেনে শুধু প্রোটিন নয়, থাকে ফাইবার। আর ফাইবার ফ্যাটি লিভার রুখতে বিশেষ সাহায্য করে। তবে, রেড মিট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাতে দেহে চর্বি জমে। যা শরীরে নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share