Tag: lok sabha election

lok sabha election

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর করতে চাইছেন মোদি, কী এর উপকারিতা?

    One Nation One Election: ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর করতে চাইছেন মোদি, কী এর উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election)। দীর্ঘদিন ধরেই এর পক্ষে সওয়াল করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বলেছিলেন, মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদেই এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর করা হবে। এ সংক্রান্ত রিপোর্টও পেশ করেছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটি।

    কেন এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election)

    বুধবার কোবিন্দ কমিটির সেই প্রস্তাব অনুমোদনও করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। জানা গিয়েছে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ করা হবে এ সংক্রান্ত বিলটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের এহেন প্রস্তাবের বিরুদ্ধাচরণ করতে শুরু করেছে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দল। তার পরেও বিলটি সংসদে পেশ করতে ও পাশ করাতে মরিয়া মোদি সরকার। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের যুক্তি স্পষ্ট। এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর হলে বারবার ভোট করতে যে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হয়, তা বন্ধ হবে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণবিধি। এই কারণে থমকে যায় উন্নয়নমূলক কাজকর্ম। উন্নয়নের গতির চাকা থমকে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। এহ বাহ্য। ঘন ঘন নির্বাচন হলে ঝামেলা পোহাতে হয় ভোট কর্মীদের। তাদের প্রশিক্ষণের পেছনে ব্যয় হয় সময়, অর্থ। কাজকর্ম ফেলে তাঁদের যেতে হয় ভোট করাতে। এক দেশ, এক নির্বাচন হলে, এই তিন সমস্যাই মিটবে। তার পরেও অযথা বিরোধীরা হইচই করছেন বলে অভিযোগ।

    বিশ্বের অনেক দেশেই রয়েছে এই ব্যবস্থা

    অথচ, বিশ্বের অনেক দেশেই চালু হয়েছে এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) ব্যবস্থা। এই তালিকায় যেমন রয়েছে সুইডেন, বেলজিয়ামের মতো দেশ, তেমন রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। এই দেশগুলিতে জাতীয় ও রাজ্য নির্বাচন হয় একই সঙ্গে। বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশেও চালু রয়েছে এই ব্যবস্থা। এ তো গেল বিদেশের কথা। ভারতেও বেশ কয়েকবার একই সঙ্গে নির্বাচন হয়েছে লোকসভা ও বিধানসভার। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হয়। প্রথমবার নির্বাচন হয় ১৯৫২ সালে। তার পর থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে, প্রতিবারই লোকসভার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন হয়েছে বিধানসভারও। দিব্যিই চলছিল এই ব্যবস্থা। গোল বাঁধে ১৯৬৮ ও ১৯৬৯ সালে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে গিয়েছিল কয়েকটি বিধানসভা। শুরু হয় অকাল নির্বাচন। তার পর থেকে আর এক সঙ্গে ভোট হয়নি। লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন হয়েছে আলাদা আলাদা সময়ে।

    এই ব্যবস্থায়ই বদল আনতে চান মোদি

    এই ব্যবস্থাতেই বদল আনতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আজ নয়, তিনি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় থেকেই। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি। সেই সময়ও তিনি এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রস্তাব দেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি যে ইস্তাহার প্রকাশ করেছিল, তাতেও এক দেশ, এক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় মোদি জমানায় সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। সেই দফায় জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ হয়েছিল ৩৭০ ধারা এবং ৩৫ এ ধারা। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই এক দেশ, এক নির্বাচন কার্যকর করতে কোমর কষে মাঠে নেমে পড়েছে মোদি সরকার। সোমবারই যার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায়।

    কোবিন্দ কমিটি

    তবে এক দেশ, এক নির্বাচন (One Nation One Election) কার্যকর করতে মোদি সরকার যে বদ্ধপরিকর, তার আঁচ মিলেছিল গত সেপ্টেম্বরেই। তখনও লোকসভা নির্বাচনের ঢের দেরি। মোদি সরকার ক্ষমতায় ফিরবে কিনা, তাও নিশ্চিত ছিল না। তা সত্ত্বেও, কার্যত দেশের স্বার্থেই এক দেশ, এক নির্বাচন প্রস্তাব কার্যকর করতে কোবিন্দের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে মোদি সরকার। সেই কমিটি কথা বলে দেশের ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। আলোচনা করে অর্থনীতিবিদ এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। বিশ্বের যেসব দেশে এক সঙ্গেই সাধারণ নির্বাচন ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলির নির্বাচন হয়, সেসব দেশে কীভাবে এই ব্যবস্থা পরিচালিত হয়, তাও খতিয়ে দেখে কোবিন্দ কমিটি। শেষমেশ দিন কয়েক আগে রিপোর্ট পেশ করে সেই কমিটিই। তার পরেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে চর্চা।

    কীভাবে কার্যকর করা হবে

    কোবিন্দ কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দু’ধাপে কার্যকর করা যেতে পারে এই ব্যবস্থা। প্রথমে একযোগে হবে লোকসভা ও বিধানসভাগুলির নির্বাচন (One Nation One Election)। এর ঠিক ১০০ দিনের মধ্যে করা হবে দেশের সব পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচন। অবশ্য, এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন। সংসদ ও রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ, লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দেওয়া এবং রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সংক্রান্ত বিষয়গুলি সংশোধন করতে হবে। সংশোধন করতে হবে সংবিধানের ৮৩ ও ১৭২ নম্বর ধারা। এই দুই ধারায় বলা হয়েছে সংসদ ও রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ কতদিনের হবে।

    কমিটি জানিয়েছে, শাসন ব্যবস্থাকে ব্যাহত না করে নির্বাচনগুলিকে একত্রিত করার জন্য টেকসই আইনি ব্যবস্থা প্রয়োজন। মেয়াদ ফুরনোর আগে কোনও সরকারের বিলুপ্তি ঘটাতে হলে সেই জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে। অথবা সুসঙ্গত নির্বাচন চক্রে সামিল করতে নির্বাচনের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদের সরকার গঠন করা যেতে পারে।

    বাড়বে ভোটার

    কোবিন্দ কমিটির রিপোর্টে এক দেশ, এক নির্বাচনের (One Nation One Election) সুখ্যাতি গাওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, একযোগে নির্বাচন হলে নির্বাচনী খরচ এক ধাক্কায় কমে যাবে অনেকটা। প্রশাসনিক বোঝাও হালকা হবে। বাড়বে ভোটারের সংখ্যাও। কমিটির বক্তব্য, বারবার নির্বাচন হলে অনেক সময়ই ভোট দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ভোটাররা। কর্মসূত্রে যাঁরা বাইরে থাকেন, তাঁদের সমস্যাটা আরও বেশি। কাজের ক্ষতি করে মোটা টাকা গচ্চা দিয়ে বারবার ভোট দিতে ‘গাঁয়ে’ ফেরা তাঁদের পক্ষেও বোঝা স্বরূপ। এক সঙ্গে নির্বাচন হলে, এক ঢিলে তাঁরা মারতে পারবেন দুই পাখি। এক খরচে এবং এক ছুটিতেই লোকসভা ও বিধানসভার ভোট দিয়ে তাঁরা ফিরতে পারবেন কর্মস্থলে।

    ২০২৯ সালেই এক দেশ, এক নির্বাচন

    দেশে ফের লোকসভা নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে। সে ক্ষেত্রে কী হবে সেই সব রাজ্যের, যেগুলিতে আগামী বছরই নির্বাচন রয়েছে? এই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু। কোবিন্দ কমিটির রিপোর্টে সেই প্রসঙ্গেরও অবতারণা করা হয়েছে। এবং কীভাবে এর সমাধান করা হবে, তাও বাতলে দেওয়া হয়েছে। যেসব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে ২০২৫ সালে, সেই সব রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ হবে চার বছরের। আবার কর্নাটকের মতো রাজ্য যেখানে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২৮ সালে, সেখানে বিধানসভার মেয়াদ হবে মাত্রই কয়েক মাসের।

    আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজে কায়েম ‘থ্রেট কালচার’, জানুন এই সংস্কৃতি সম্পর্কে

    যদি কখনও কোনও কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তখন নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শও দিয়েছে কোবিন্দ কমিটি। সেক্ষেত্রে পরবর্তী মেয়াদকে এমনভাবে সীমাবদ্ধ করতে হবে যাতে তাকে মিলিয়ে (PM Modi) দেওয়া যায় পরবর্তী এক দেশ, এক নির্বাচনের (One Nation One Election) সঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বাগদায় উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই দেওয়াল লিখন শুরু বিজেপির, জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী

    North 24 Parganas: বাগদায় উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই দেওয়াল লিখন শুরু বিজেপির, জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি দেশের অষ্টাদশ লোকসভার নির্বাচন শেষ হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে গতকাল সোমবার উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর তাই ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করল বিজেপি। মঙ্গলবার সকালে উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Parganas) বাগদার বানেশ্বরপুর বাজার সংলগ্ন মনোহরপুর এলাকায় দেওয়াল লিখেন শুরু করে দেয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। তবে প্রার্থী নামের জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য (North 24 Parganas)

    বিধানসভার উপনির্বাচনকে ঘিরে বিজেপির কর্মীদের মধ্যে এখন ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এই বিধানসভায় ২০২১ সালে বিজেপির প্রার্থী হয়ে জয়ী হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। কিন্তু পরবর্তী সময়ে, তিনি দল বদল করে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। তিনিই আবার বনগাঁ লোকসভা (North 24 Parganas) কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের কাছে পরাজিত হন তিনি। এইবার এই উপনির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, “যেই প্রার্থী হোক আমরা তাঁকে সমর্থন করব। আমরা জয় লাভ করব, তাই সময় নষ্ট না করে দেওয়াল লিখন শুরু করলাম।” আবার বিজেপির বাগদা মন্ডল ১-এর যুব মোর্চার সভাপতি অর্ঘ্য হালদার বলেন, “সকাল ৫টা থেকে আমরা দেওয়াল লেখন শুরু করেছি। বাগদায় সকল বিজেপি কর্মীরা একযোগে কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রার্থী যেই হোক না কেন আমাদের মূল লক্ষ্য হল বিজেপিকে জয়ী করা। প্রত্যেক বুথে বুথে আমরা প্রচার করব।”

    আরও পড়ুন: “মিছিল থেকেই বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বাগদা (North 24 Parganas) পশ্চিম ব্লকের তৃণমূল সভাপতি অঘোর চন্দ্র হালদার বলেন, “গতকাল নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। তবে দুই এক দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। এই নির্বাচন, লোকসভার নির্বাচন নয় এটা বিধানসভার নির্বাচন, তাই এই এলাকার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর বিশ্বাস রাখবেন। বিজেপি যত চেষ্টা করুক জয় তৃণমূলেরই হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election: ‘‘কোর্ট, এক্সিট পোল মানেন না, ৪ তারিখ তো মানতেই হবে’’, মমতাকে তোপ দিলীপের

    Lok Sabha Election: ‘‘কোর্ট, এক্সিট পোল মানেন না, ৪ তারিখ তো মানতেই হবে’’, মমতাকে তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, ৪ জুন অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) ফলাফল প্রকাশিত হবে। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে বেশ কিছু বুথ ফেরত সমীক্ষা এবং এর প্রত্যেকটিতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির জয়জয়কার। তবে এক্সিট পোল নিয়ে গতকাল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় আসছে না।’’ এই নিয়েই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকরা এদিন দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করেন, বুথ ফেরত সমীক্ষা মানিনা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এ নিয়ে আপনি কী বলবেন? দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘যেমন আশা ছিল সেদিকেই পরিস্থিতি যাচ্ছে। এনডিএ ৪০০ এর কাছাকাছি, বিজেপি ৩৭০। পশ্চিমবঙ্গে ২৫ থেকে ৩০টা, কেউ কেউ ৩১ পর্যন্ত দেখিয়েছেন। মমতার সমস্যা হল, কোর্ট বিরুদ্ধে রায় দিলে মানেন না। এক্সিট পোল তাঁর বিরুদ্ধে গেলে উনি মানেন না। কিন্তু কাল ৪ তারিখ যেটা বেরোবে, সেটা তো মানতেই হবে।’’

    সংখ্যালঘুদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে অশান্তি পাকানো 

    ভোটের পর ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি এবং ভাঙড়। এই প্রসঙ্গে দিলীপের প্রতিক্রিয়া, ‘‘সংখ্যালঘুদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে অশান্তি পাকানো ও ক্রিমিনাল তৈরির পরম্পরা চলছে। তারাই গোলমাল করে। সরকার চাইলে একদিনে গোলমাল থামাতে পারে। বিধায়ক গুণ্ডারা গিয়ে ওখানে গণ্ডগোল করে। পুলিশ গিয়ে গোলমাল পাকায়। বিহার উত্তরপ্রদেশ এমনকি কাশ্মীরও ঠাণ্ডা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ হয়না। আমার মনে হয় এই সরকার যতদিন আছে ওই এলাকা শান্ত হবে না।’’

    ডায়মন্ড হারবারের ফলাফল অন্যরকম হতে যাচ্ছে! 

    ১ জুন ডায়মন্ড হারবারে ছিল লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election)। এখানকার প্রার্থী তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবার নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আশ্চর্য ব্যাপার। আজ তৃণমূলকে স্ট্রংরুম আগলে রাখার কথা বলতে হচ্ছে। সাধারণত যা এতদিন বিরোধীরা বলে এসেছে। মানে ওখানে ফলাফল অন্যরকম হতে যাচ্ছে কী ?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election: মোদি তথা বিজেপির বড় জয়ের কামনায় বারাণসীর মন্দিরে রুদ্রাভিষেক

    Lok Sabha Election: মোদি তথা বিজেপির বড় জয়ের কামনায় বারাণসীর মন্দিরে রুদ্রাভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম দফা লোকসভার ভোট শেষ হতেই দেশ জুড়ে সামনে এসেছে এক্সিট পোল। প্রতিটি এক্সিট পোলেই দেখা যাচ্ছে বিজেপির জয়জয়কার। সারা দেশের নজর এখন ৪ জুনের ফলাফলের দিকে। ঠিক এই আবহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপির বড় জয়ের কামনায় (Lok Sabha Election) বারাণসীর মহামৃত্যুঞ্জয় মন্দিরে রুদ্রাভিষেক করলেন জ্ঞানবাপী মামলার একদল মামলাকারী এবং আইনজীবী। এই রুদ্রাভিষেক পর্বে বিধি অনুসারে মহাদেবের দুগ্ধাভিষেক ও জলাভিষেক করা হয়।

    কী বললেন অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা?

    অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা এদিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমাদের একটাই প্রার্থনা যে বিজেপি তথা এনডিএ যেন ৪০০ আসন পায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন বড় জয় পান। এই কামনাই আমরা মহামৃত্যুঞ্জয় ভগবানের কাছে করেছি।’’ প্রসঙ্গত, বারাণসী কেন্দ্র থেকেই ২০১৪ সাল থেকে টানা জিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Lok Sabha Election)। ২০১৯ সালের মতো এবারেও তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন কংগ্রেসের অজয় রাই। দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী বলে পরিচিত বারাণসীতে অষ্টাদশ লোকসভায় ভোটদান পর্ব সম্পন্ন হয়েছে গত ১ জুন।

    আরও পড়ুন: “ধ্যানের মধ্যেও নিরন্তর ভেবেছি উজ্জ্বল ভারতের ভবিষ্যৎ নিয়ে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রাম মন্দিরের মতো সমস্যার সমাধান হোক মথুরা ও জ্ঞানবাপী

    জ্ঞানবাপীর অন্যতম মামলাকারী শোভনলাল আর্য, তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘যেভাবে ভগবান রামচন্দ্রের মন্দির অযোধ্যাতে তৈরি হয়েছে, ঠিক একইভাবে জ্ঞানবাপী এবং মথুরাতেও সমস্যার সমাধান হোক। এটাই চাইছি। এছাড়াও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও শক্তিশালী নীতি নেওয়া প্রয়োজন এবং এগুলো তখনই সম্ভব যখন ভারতীয় জনতা পার্টি ব্যাপকভাবে জিতে আসবে (Lok Sabha Election)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি ও ভারতীয় জনতা পার্টির বিপুল সাফল্য কামনায় আজকে সংকল্প নেওয়া হয়েছে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্দিরে এবং রুদ্রাভিষেক করা হয়েছে ভগবানের কাছে। প্রার্থনা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীজি যেন বড় ব্যবধানে জেতেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।
     

  • Lok Sabha Election: শেষ দফায় বাংলায় ভোট পড়ল ৭৬.৮ শতাংশ, আগের সংখ্যা বদলে দিল কমিশন

    Lok Sabha Election: শেষ দফায় বাংলায় ভোট পড়ল ৭৬.৮ শতাংশ, আগের সংখ্যা বদলে দিল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১ জুন শেষ হয়েছে দেশের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের অন্তিম তথা সপ্তম দফার ভোট গ্রহণ। শেষ দফাতে পশ্চিমবঙ্গের ন’টি কেন্দ্রে নির্বাচন (Lok Sabha Election) ছিল। নির্বাচন কমিশন যে তথ্য দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, শেষ দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট পড়েছে ৭৬.৮ শতাংশ। প্রসঙ্গত, শেষ দফায় ভোট ছিল- দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে।

    রবিবার ও সোমবার কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যানে তারতম্য

    তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে রবিবার নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Election) যে তথ্য প্রকাশ করে সেখানে দেখা যায় ভোটদানের গড় হার ছিল ৭৩.৭৯ শতাংশ। সোমবারই কমিশনের দেওয়া তথ্যে দেখা যায় যে ওই ভোটদানের গড় হার ৭৬.৮ শতাংশ। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভোটের হার বেড়ে গেল ৩ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৪ সালে এই ন’টি কেন্দ্রে ভোটদানের গড় হার ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের থেকে কম। আজ অর্থাৎ সোমবারও দুটি বুথে পুনর্নির্বাচন চলছে যার মধ্যে একটি বুথ রয়েছে বারাসাত লোকসভার অন্তর্গত এবং অপরটি মথুরাপুর লোকসভার অন্তর্গত।

    ৯ কেন্দ্রে ভোটের হার

    সোমবার কমিশন জানায়, দমদমে ভোট পড়েছে ৭৩.৮১ শতাংশ। তবে রবিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই কেন্দ্রে ভোটের হার ছিল ৭২.৩৭ শতাংশ। রবিবার কমিশন বলেছিল, বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে ভোটদানের হার ৭৬.১১ শতাংশ। সোমবারের দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ওই কেন্দ্রে ভোটদানের হার বেড়ে হয়েছে ৮০.১৮ শতাংশ। বসিরহাট কেন্দ্রের ক্ষেত্রে কমিশন রবিবার জানিয়েছিল সেখানকার ভোটদানের হার ৮২.৮১ শতাংশ। তবে জানানো হয়েছে বসিরহাট লোকসভা (Lok Sabha Election) কেন্দ্রে ভোটদানের হার ৮৪.৩১ শতাংশ। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রেও কমিশনের দেওয়া তথ্যে ভোটদানের হার প্রায় সাড়ে তিন শতাংশ বেড়ে গিয়েছে সোমবার, তা হয়েছে ৮০.০৮ শতাংশ।

    ভোটের হার বদলে গেল ২৪ ঘণ্টায়

    রবিবার কমিশন জানিয়েছিল মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটদানের হার ৮০.৭৩ শতাংশ। সোমবার তা বেড়ে হয়েছে ৮২.০২ শতাংশ। রবিবারের তুলনায় ডাময়ন্ড হারবারের ভোটদানের হারও বেড়েছে কমিশনের দেওয়া তথ্যে। সোমবার কমিশন জানিয়েছে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৮১.০৪ শতাংশ। যাদবপুর, কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণেও একই তারতম্য দেখা গিয়েছে কমিশনের দেওয়া তথ্যে। সোমবার কমিশন জানিয়েছে, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটদানের হার ৭৬.৬৮ শতাংশ। কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৬৩.৫৯ শতাংশ এবং ৬৬.৯৫ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: শেষ দফায় মোদির বারাণসী কেন্দ্র সহ দেশের ৫৭ আসনে ভোটগ্রহণ আজ

    Lok Sabha Election 2024: শেষ দফায় মোদির বারাণসী কেন্দ্র সহ দেশের ৫৭ আসনে ভোটগ্রহণ আজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ মার্চ দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়েছিল কমিশন। ভোট শুরু হয় ১৯ এপ্রিল। তারপর থেকে ৬ দফায় ভোট সম্পন্ন হয়েছে। আজ শেষ তথা সপ্তম দফার ভোট। এই দিন ভোট হবে সাতটি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ে। রাজ্যগুলির মধ্যে, উত্তরপ্রদেশে ১৩টি আসনে ভোট চলছে। এর পাশাপাশি, পাঞ্জাবে ১৩টি, পশ্চিমবঙ্গের ৯টি, বিহারে ৮টি, ওড়িশায় ৬টি, হিমাচল প্রদেশে ৮টি, ঝাড়খণ্ডে ৩টি এবং চণ্ডীগড়ের একটি আসনে ভোট হচ্ছে আজ। অর্থাৎ মোট ৫৭টি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে আজ। নির্বাচনের ফলাফল বের হবে আগামী ৪ জুন। প্রসঙ্গত, বারাণসী লোকসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই কেন্দ্রেও ভোট (Lok Sabha Election 2024) চলছে আজকে। অন্যান্য দফার মতো সপ্তম দফাতেও সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত।

    ৬ দফায় ভোটদানের হার

    নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম দফায় (Lok Sabha Election 2024) দেশে ভোট পড়েছিল ৬৬.১৪ শতাংশ। দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছিল ৬৬. ৭১ শতাংশ, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফায় ভোটদানের হার ছিল যথাক্রমে ৬৫.৬৮ শতাংশ, ৬৯.১৬ শতাংশ, ৬২.২০ শতাংশ ও ৬৩.৩৭ শতাংশ।

    কোন কোন আসনে ভোট আজ (Lok Sabha Election 2024)

    বিহার: নালন্দা, পাটনা সাহেব, পাটলিপুত্র, আররাহ, বক্সার, সাসারাম, কারাকাট, জাহানাবাদ

    হিমাচল প্রদেশ: কাংড়া, মান্ডি, হামিরপুর, সিমলা

    ঝাড়খণ্ড: রাজমহল, দুমকা, গোড্ডা

    ওড়িশা: ময়ূরভঞ্জ, বালাসোর, ভদ্রক, জাজপুর, কেন্দ্রপাড়া, জগৎসিংহপুর

    পাঞ্জাব: গুরুদাসপুর, অমৃতসর, খাদুর সাহেব, জলন্ধর, হোশিয়ারপুর, আনন্দপুর সাহেব, লুধিয়ানা, ফতেহগড় সাহেব, ফরিদকোট, ফিরোজপুর, বাথিন্দা, সাংগুর, পাতিয়ালা

    উত্তরপ্রদেশ: মহারাজগঞ্জ, গোরখপুর, কুশি নগর, দেওরিয়া, বাঁশগাঁও, ঘোসি, সালেমপুর, বালিয়া, গাজিপুর, চান্দৌলি, বারাণসী, মির্জাপুর, রবার্টসগঞ্জ

    পশ্চিমবঙ্গ: দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর

    চণ্ডীগড়: চণ্ডীগড় আসনে ভোট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vivekananda Rock Memorial: কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসছেন প্রধানমন্ত্রী, জানুন বিবেকানন্দ রক সম্পর্কে

    Vivekananda Rock Memorial: কন্যাকুমারীতে ধ্যানে বসছেন প্রধানমন্ত্রী, জানুন বিবেকানন্দ রক সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য কন্যাকুমারীতে (Vivekananda Rock Memorial) ধ্যানে বসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এখানকার বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে ধ্যান করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৮৯২ সালে এই স্থানে স্বামী বিবেকানন্দ ধ্যান করেছিলেন। ওই একই স্থানের ধ্যান মন্ডপমে ধ্যান শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেই এই স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঠিক ফল ঘোষণার আগে একইভাবে উত্তরাখণ্ডে প্রধানমন্ত্রীকে এমন ধ্যানরত অবস্থায় দেখা যায়। তখন কেদারনাথের কাছে একটি গুহায় তিনি ধ্যান করেছিলেন।

    কেন বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালকে (Vivekananda Rock Memorial) বাছা হল

    সম্প্রতি, চেন্নাইতে শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘‘সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর আদর্শ স্বামী বিবেকানন্দ।’’ তিনি সেখানে আরও বলেছিলেন, ‘‘যখনই কোনও বিশেষ সুবিধা দেওয়া বন্ধ হয় কোনও বিশেষ লোক অথবা গোষ্ঠীকে, তখনই সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা হয় এবং সমাজ এগিয়ে চলে। আমাদের সরকারের সমস্ত কর্মসূচিতে এমন সাম্য দেখা যায়। কিন্তু এর আগে মানুষের মৌলিক সুযোগ সুবিধাগুলি প্রদানের ক্ষেত্রেও ভাগ করা হতো। এর ফলে অনেক মানুষই যোগ্য হয়েও সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতেন এবং শুধুমাত্র কিছু বাছাই করার লোক ও গোষ্ঠী এই সুবিধা পেতেন। কিন্তু এখন উন্নয়নের দরজা সবার জন্য খুলে গিয়েছে।’’ এক বিজেপি নেতা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন যে কন্যাকুমারীতে (Vivekananda Rock Memorial) প্রধানমন্ত্রী ধ্যান করবেন এবং এরই মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের বার্তা দেবেন।

    নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    ১৪০ কোটি দেশবাসীর প্রধানমন্ত্রী তিনি। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যথেষ্ট আঁটোসাঁটো করা হয়েছে কন্যাকুমারীতে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে ২,০০০ পুলিশ কর্মী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ১ জুন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি ভারতীয় কোস্টগার্ড, ভারতীয় নৌবাহিনী সমুদ্রে নজরদারি (Vivekananda Rock Memorial) চালাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায়।

    বিবেকানন্দ রক

    প্রসঙ্গত, কন্যাকুমারী উপকূলে তামিল সাধু তিরুভাল্লুভারের মূর্তির কাছেই অবস্থিত হল বিবেকানন্দ রক (Vivekananda Rock Memorial)। এটি একটি পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। প্রসঙ্গত, ১৮৯২ সালের ২৪ থেকে ২৬ ডিসেম্বর স্বামী বিবেকানন্দ এখানে বসে ধ্যান করেছিলেন বলে জানা যায়। প্রাচীন তামিল প্রবাদ অনুসারে, এই শিলাতে দেবী কুমারী বসে তপস্যা করেছিলেন। তাই এই শিলার আগেকার নাম ছিল শ্রীপদ পারাই (দেবী কুমারীর পদস্পর্শধন্য শিলা)। বর্তমানে শিলার উপর একটি ধ্যানমণ্ডপ নির্মিত হয়েছে। এখানে বসে পর্যটকরা ধ্যান করেন। মণ্ডপের ভিতরে স্বামী বিবেকানন্দের একটি মূর্তি আছে। এখান থেকে আরব সাগর, ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের মিলনস্থল দেখা যায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: সপ্তম দফায় রাজ্যে ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: সপ্তম দফায় রাজ্যে ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম দফায় রাজ্যে ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, ১৯০০টি কিউআরটি মোতায়েন করা হবে, বলে জানাল কমিশন। আগামী ১ জুন শনিবার সারা দেশে শেষ তথা সপ্তম দফা ভোট (Lok Sabha Election 2024)। ষষ্ঠ দফার ভোটে রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে কুইক রেসপন্স টিমের দেখা মেলেনি এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। তাই শেষ দফায় বাড়ানো হল সংখ্যা।

    কোথায় কত বাহিনী

    শনিবার, ভোট (Lok Sabha Election 2024) রয়েছে কলকাতা-সহ রাজ্যের ৯টি লোকসভা কেন্দ্রে। তালিকায় রয়েছে দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার, কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক স্পর্শকাতর বুথ। তাই সপ্তম দফার ভোট সুষ্ঠুভাবে করার জন্য সতর্ক নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মোট ১৯০০টি কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) থাকবে সপ্তম দফায়। এর মধ্যে কলকাতাতেই থাকবে মোট ৬০০টি  কিউআরটি। ৯৬৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে কলকাতায় মোতায়েন করা হবে ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বারাসাতে থাকবে ৮১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বারাকপুরে মোতায়েন করা হবে ৮১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, বারুইপুরে থাকবে ১৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ ছাড়াও সন্দেশখালির যে লোকসভার অন্তর্গত, সেই বসিরহাটে থাকবে ১১৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিধাননগর কমিশনারেটে মোতায়েন করা হবে ৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, ডায়মন্ড হারবারে রাখা হবে ১১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, সুন্দরবনের দায়িত্বে থাকবে ১১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces)।

    আরও পড়ুন: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের নির্দেশ, সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট

    অশান্তি এড়ানো লক্ষ্য

    সপ্তম তথা শেষ দফা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে ফের তিন পুলিশ আধিকারিককে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, যে ৯টি কেন্দ্রে আগামী শনিবার ভোট রয়েছে, তার মধ্যে বসিরহাট ও দমদম লোকসভা আসনের অন্তর্গত পুলিশ অফিসারদের বদলি করা হয়েছে। সুন্দরবনের পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও নলবথ, বসিরহাট পুলিশ জেলার অন্তর্গত মিনাখাঁর এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান এবং রহড়া থানার আইসি দেবাশিস সরকারকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, তিন পুলিশ আধিকারিককে ভোটের কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না। বিকল্প নাম চেয়ে পাঠানো হয়েছে রাজ্যের কাছে। বুথ পাহারা এবং কিউআরটি-র পাশাপাশি নাকা তল্লাশিতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে (Central Forces) ব্যবহার করা হবে। প্রশাসনিক বিশ্লেষকদের মতে, ষষ্ঠ দফার ভোটে কেশপুর, গড়বেতার কিছু এলাকায় গোলমাল হয়েছিল। সেখানে কিউআরটি দেরিতে পৌঁছন নিয়ে অভিযোগও উঠেছিল, তাই শেষ দফায় সতর্ক কমিশন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: তৃণমূলের সন্ত্রাসে বুথে যেতে পারেননি, ১০ বছর পর ভোট দিলেন ভোটাররা

    Lok Sabha Election 2024: তৃণমূলের সন্ত্রাসে বুথে যেতে পারেননি, ১০ বছর পর ভোট দিলেন ভোটাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে গত ১০ বছর ভোট দিতে পারেননি। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিলেন আমডাঙার উলুডাঙার সাধনপুর নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ৬৭ ও ৭২ নম্বর বুথের ভোটাররা। এদিন বুথের বাইরে লম্বা লাইন দেখা গেল আজ। ভোটারদের দাবি, তাঁরা ভোট দিতে পারতেন না। গ্রামে আটকে থাকতেন। ১০ বছর ধরে এমনই নাকি হত। গ্রামের এক মহিলা বললেন, “এই প্রথমবার লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছি। প্রায় ১০ বছর পর ভোট দিচ্ছি। এখানে এমনই হয়।” আরও এক মহিলা বলেন, “ভোট দিতে পেরেছি ভাল লাগছে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তো আমার ছেলেকে মেরে ছিল। আমরা শাক-ভাত খাওয়া মানুষ। অন্য লোকের মার কেন খাব?” গ্রামবাসীরা একযোগে বললেন, “আমরা তো ভয়ে বের হতেই পারতাম না। এবার কমিশনের তৎপরতায় ভোট দিতে পারলাম।”

    আঙুল কাটলো ভোটারের (Lok Sabha Election 2024)

    এবার আমডাঙায় এক ভোটারের আঙুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। তিনি ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলেন। সেই সময়েই এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত ওই ব্যক্তিকে জখম অবস্থায় বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসা করানোর জন্য। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘যা কিছু অভিযোগ, সব আমাদের দিকে? আমি জানি না এই অভিযোগের ভিত্তি কী আছে। অভিযোগ যদি করে থাকে, পুলিশ সেটা দেখবে।’

    আরও পড়ুন: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    আমডাঙায় ভোটারদের হুমকি

    আমডাঙা বিধানসভার বোদাই সরদারপাড়া এলাকার ১৩০ নম্বর বুথে সাধারণ ভোটারদের  বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিরুদ্ধে। ঘটনায় বারাসাত পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কিউআরটি টিম পৌঁছায়। মানুষের অভিযোগ, ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে গেলে রাতের বেলা বোম মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে হাত কেটে নেওয়া হবে। আর এই কারণে গ্রামের মহিলা থেকে পুরুষ কেউই ভোট দিতে যেতে পারছে না ভোট কেন্দ্রে। একই ভাবে দুই বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয় এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ায় বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর, আবাসনে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Howrah: হাওড়ায় বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর, আবাসনে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার (Howrah) একাধিক এলাকায় ক্ষমতা দেখালো তৃণমূল। কোথাও বোমাবাজি করে ভোটারদের ভয় দেখিয়েছে। কোথাও আবার বিজেপির ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে পঞ্চম দফা নির্বাচনে হাওড়া জুড়়ে তৃণমূলের সন্ত্রাসের ছবি সামনে এসেছে।

    বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর (Howrah)

    এদিন হাওড়ার (Howrah) উনসানি ষষ্ঠীতলা এলাকা বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপিও প্রতিহত করার চেষ্টা করে। হামলার জেরে জখম হয়েছেন দু-পক্ষের বেশ কয়েকজন। উনসানি ষষ্ঠীতলা এলাকায় বিজেপির ক্যাম্প ভাঙচুর হয়। সেই খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। তিনি যেতেই পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বিজেপির কর্মী সমর্থকরা তাঁকে সামনে পেয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রবিবার রাত থেকেই তারা এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। অন্যদিকে, হাওড়ার ডোমজুড়ের বাঁকরা হাই ইসলামিয়া হাই স্কুলের বুথের সামনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জমায়েত করার অভিযোগ উঠেছে। পরে, ভিড় সরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পরে ওই স্কুলে পৌঁছন। তাঁর অভিযোগ, যেখানে সংখ্যালঘু ভোট বেশি, সেখানে ইচ্ছা করে বাহিনী সব করছে। এই নিয়ে বিজেপি-সিপিএমকেও দোষেন তৃণমূল প্রার্থী। শ্রীরামপুর লোকসভার ডোমজুড়ে বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। দেবীপাড়ায় বিজেপির ওই কার্যালয়ে টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের দিকে তেড়ে যায় পুলিশ। দু’দলেরই বেশ কয়েক জন সমর্থককে আটক করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হলে বসে থাকতে পারি না”, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা কার্তিক মহারাজের

    হাওড়ার আবাসনে বোমাবাজি

    হাওড়ার (Howrah) আবাসনে বোমাবাজি! ভোটারদের আটকাতে তৃণমূল আবাসনের মূল গেট বন্ধ করিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। গেট খুললে নিরাপত্তা কর্মীকে গুলি করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা গেট বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশ ওই আবাসনে গিয়ে গেট খুলে দেয়। হাওড়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যাম করার অভিযোগ। গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে দু-পক্ষ। মারধরে মাথা ফাটে দু-পক্ষের বেশ কয়েকজনের। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ এবং র‍্যাফ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share