Tag: Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024

  • Bankura: ভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    Bankura: ভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার এই লোকসভা নির্বাচনে পারাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর কাছে। বাঁকুড়া (Bankura) লোকসভার নিরিখে সাতটি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিতে এগিয়ে তৃণমূল। কিন্তু জেতার পরও গলায় কাঁটা তৃণমূলের। এই লোকসভার শহর অঞ্চলের পুর এলাকাগুলিতে একদম দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল। বাজিমাত করেছে বিজপি। কিন্তু কেন এমন হাল হল তৃণমূলের? এই নিয়ে অন্তর্ঘাত শুরু হয়েছে দলের মধ্যে।

    ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি (Bankura)

    বাঁকুড়া (Bankura) লোকসভায় প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে, পুরসভার ২৪টি ওয়র্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে আছে বিজেপি। আবার বাঁকুড়া বিধানসভার সাপেক্ষে তৃণমূলের থেকে বিজেপি মোট ১৬৩১২ ভোটে এগিয়ে গিয়েছে। যেখানে লোকসভা ভোটে তৃণমূল জয়ী হয়েছে, সেখানে এই কেন্দ্রে কীভাবে এই পুর ও শহর এলাকায় তৃণমূল ধারশায়ী হয়েছে, তা নিয়ে দলের তরফ থেকে ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বাঁকুড়ার (Bankura) পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, “শহর অঞ্চলে আমাদের ফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি না, কেন এমনটা হল। গত আড়াই বছর ধরে এলাকায় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পানীয় জল, ড্রেন সহ নানা পরিষেবায় আমরা অনেক কাজ করেছি। হয়তো দলের কোনও সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। তবে দলের মধ্যে অন্তর্ঘাত দেখা দিলে আমরা দলের মধ্যে তা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।

    আরও পড়ুনঃ নকল এমভিআই অফিসার সেজে রাজ্য সড়কে তোলাবাজি! গ্রেফতার চার যুবক

    বিজপির বক্তব্য

    বাঁকুড়া (Bankura) সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেছেন, “মোদি সরকারের আমলে দেশের বিদেশনীতি, সুরক্ষানীতি, অর্থনীতি মানুষের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শহরের মানুষ এই বিষয়গুলিকে ভালো ভাবে গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি তৃণমূলের দুর্নীতি মানুষকে বিপক্ষে ভোট দান করতে প্রভাব ফেলেছে। তবে সামগ্রীক ভাবে কীভাবে বিজেপির পরাজয় হয়েছে তা নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NDA 3 Oath Ceremony: রবি-সন্ধ্যায় শপথ গ্রহণ মোদির, আমন্ত্রিতের তালিকায় সাফাইকর্মী থেকে রূপান্তরকামী

    NDA 3 Oath Ceremony: রবি-সন্ধ্যায় শপথ গ্রহণ মোদির, আমন্ত্রিতের তালিকায় সাফাইকর্মী থেকে রূপান্তরকামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এনডিএ সাংসদদের অনুরোধ মেনে আগামী রবিবার ৯ জুন সন্ধ্যা সাতটা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের শপথ গ্রহণ (NDA 3 Oath Ceremony) করাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। রাষ্ট্রপতি ভবনের (Rashtrapati Bhavan) তরফে শুক্রবার রাতে এই কথা জানানো হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রপ্রধানদের। একইসঙ্গে ‘বিকশিত ভারত দূত’ হিসাবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন সাফাইকর্মী, রেলকর্মী থেকে রূপান্তরকামীরাও।

    এই নিয়ে তৃতীয়বার

    শুক্রবার ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধান জেপি নাড্ডা রাষ্ট্রপতির হাতে বিজেপির সংসদীয় দল ও এনডিএ নেতাদের মোদিকে (PM Modi) নেতা হিসেবে সমর্থন জানানোর চিঠি তুলে দেন। তারপরই শুক্রবার রাতে তৃতীয়বারের জন্য এনডিএ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে শপথ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ২৪০টি আসন জিতেছে বিজেপি। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স একসঙ্গে ২৯৩টি আসন জিতেছে। যা সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট।

    শুক্রবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ (NDA 3 Oath Ceremony) জোটের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থনে ফের সরকার গঠনের জন্য একাধিক চিঠি পান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাতে সরকার গঠনের জন্য এনডিএ-র কাছে যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে বলে বিশ্বাস করেন রাষ্ট্রপতি। এই জোট ১৮তম লোকসভায় সম্পূর্ণ মেয়াদের জন্য সরকার গঠনের সক্ষম বলে মনে করার পরেই তিনি সংবিধানের ৭৫ (১) ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকে মনোনীত করেন।

    আরও পড়ুন: রেপো রেট এক রাখল আরবিআই, মোদির উপর আস্থা রেখে ফের সর্বকালীন উচ্চতায় সেনসেক্স

    শপথ অনুষ্ঠানে থাকবেন কারা

    নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে (NDA 3 Oath Ceremony) আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন একাধিক তাবড় রাষ্ট্রনেতা।  সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনে ৮ হাজারেরও বেশি অতিথিদের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি ধরে বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, মলদ্বীপ, মরিশাস, সেশেলস ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রনেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই সমারোহে। যে মলদ্বীপের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক গত কয়েক মাসে তলানিতে সেখানে মুইজ্জুকে আমন্ত্রণ একটি বিশেষ দিক। এছাড়াও সাফাই কর্মী থেকে সেন্ট্রা ভিস্তা নির্মাণের শ্রমিকরাও থাকছেন আমন্ত্রিত হিসাবে। বন্দে ভারত এবং মেট্রো রেলে কর্মরত রেলওয়ে কর্মীরা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুবিধাভোগীরাও থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে ‘বিকশিত ভারত দূত’ হিসাবে রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত হবেন এঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: রবিতে শপথ! ভাবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ রাষ্ট্রপতির

    Narendra Modi: রবিতে শপথ! ভাবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ রাষ্ট্রপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার দেশে সরকার গড়ার পথে এনডিএ (NDA)। শুক্রবার সেন্ট্রাল হলে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট এনডিএ-র সংসদীয় দলের বৈঠক। এই বৈঠকে নরেন্দ্র মোদিকেই (Narendra Modi) প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয়েছে। এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় বার সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) কাছে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে মোদি জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে আগামী ৯ জুন সন্ধ্যায় শপথ গ্রহণের কথা বলেছেন।

    আডবাণী-জোশীর সঙ্গে সাক্ষাত

    এদিন এনডিএ বৈঠক সেরে রাষ্ট্রপতি ভবন যাওয়ার আগে বিজেপির দুই প্রবীণ নেতার সঙ্গে দেখা করেন মোদি (Narendra Modi)। প্রথমেই তিনি যান দলের মার্গদর্শন মণ্ডলীর সদস্য লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গে দেখা করতে। অনেকেই মনে করেন মোদির রাজনৈতিক গুরুই হলেন আডবাণী। এরপর তিনি যান রাম মন্দির আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা  মুরলীমনোহর জোশীর বাড়িতে। শেষে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বাড়িতে যান মোদি।

    আরও পড়ুন: রেপো রেট এক রাখল আরবিআই, মোদির উপর আস্থা রেখে ফের সর্বকালীন উচ্চতায় সেনসেক্স

    রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদি

    সেখান থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সরকার গঠনের দাবি জানান নরেন্দ্র মোদি। এনডিএ-র মোট ২১ জন নেতার সমর্থনপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি কাছে গিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানান মোদি (Narendra Modi)। তার সেই প্রস্তাব মেনে নিয়ে সরকার গঠণের আমন্ত্রণপত্র নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি, চিরাচরিত প্রথা মেনে হবু প্রধানমন্ত্রীকে দই খাওয়ান রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাষ্ট্রপতি ভবনের লনেই ফের ভাষণ দেন তিনি। সেই ভাষণেই তিনি জানান, রবিবার তাঁকে শপথ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি ভবনের ভাষণে নির্বাচন জুড়ে অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য দেশের সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সুস্থতা কামনা করেন মোদি। এর পাশাপাশি তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার কোন পথে চলবে তার দিশাও দেখান।

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, “বিকাশের পথে দেশকে চালিত করে দেশবাসীর আশা আকাঙ্খা পূরণ করাই নতুন সরকারের (NDA) লক্ষ্য হবে।” তাঁর কথায়, “আমি যখন গণতন্ত্রের সমৃদ্ধির কথা ভাবি, আমি বিশ্বাস করি মধ্যবিত্তের জীবনে সরকারের হস্তক্ষেপ যত কম হবে, ততই ভালো। আজকের প্রযুক্তির যুগে আমরা এটা করতে পারি। আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে থাকব। এটুকু আশ্বাস দিতে পারি, গত দু’দফায় উন্নয়নের যে গতি বজায় ছিল, তৃতীয় দফার পাঁচ বছরেও তা থাকবে।”  এর পরে তিনি বলেন, ‘‘মাননীয় রাষ্ট্রপতি আমাকে ডেকেছিলেন। সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি তাঁকে জানিয়েছি, ৯ তারিখ (রবিবার) বিকেলে শপথগ্রহণ হলে ভাল হয়। তার মধ্যেই মন্ত্রীদের তালিকা আমি রাষ্ট্রপতিকে পাঠিয়ে দেব।’’

    পরে, রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে জানানো হয়, এনডিএ সাংসদদের অনুরোধ মেনে আগামী রবিবার ৯ জুন সন্ধ্যা সাতটা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের শপথ গ্রহণ করাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “অন্তর্ঘাত হয়েছে, বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে”, ভোটে হেরে বিস্ফোরক বিপ্লব মিত্র

    Balurghat: “অন্তর্ঘাত হয়েছে, বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে”, ভোটে হেরে বিস্ফোরক বিপ্লব মিত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের মুখ থেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। ২০০৯ সালের পর ফের লোকসভায় ভোটে নিজের হারের পিছনে এবার অন্তর্ঘাত দেখছেন বালুরঘাটের (Balurghat) তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। তাঁর অভিযোগের তির মূলত দলের অন্য গোষ্ঠীর দিকে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    অন্তর্ঘাত হয়েছে, বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে (Balurghat)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে লড়াই বলে বালুরঘাট আসনে নজর ছিল রাজ্যবাসীর। সেই যুদ্ধে গণনা শুরুর প্রথম থেকেই আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন বিপ্লব। প্রথম রাউন্ড থেকে শুরু করে ৭ম রাউন্ড পর্যন্ত লিড ধরে রাখেন। তখন থেকেই জয়ের আশা জাগতে শুরু করে তৃণমূল শিবিরে। ৮ম রাউন্ডে এগিয়ে যান সুকান্ত। ১৩ রাউন্ডে গিয়ে ফের সুকান্তকে টক্কর দিয়ে এগিয়ে যান বিপ্লব। ১৪ রাউন্ডের পর পিছিয়ে যেতে থাকে রাজ্যের শাসকদল। বালুরঘাট (Balurghat), গঙ্গারামপুর ও তপন বিধানসভায় লিড বাড়ে সুকান্তর। বিপ্লবের গড় বলে পরিচিত গঙ্গারামপুরে শাসকদল দাঁত ফোটাতে পারেনি। হারের পর বিপ্লব মিত্র বলেন, বিজেপি এমন কোনও কাজ করেনি যে তারা জিতবে। আমরা জেতার মতো জায়গায় ছিলাম। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছি। জেলায় যা উন্নয়ন হয়েছে, সব রাজ্য সরকার করেছে। দলে নিশ্চয়ই অন্তর্ঘাত হয়েছে। রয়েছে। এনিয়ে আর বিতর্কের জায়গা নেই। আমরা পর্যালোচনা করব। বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে। রাজ্য থেকে আমার কাছে হারের কারণ জানতে চাওয়া হলে অন্তর্ঘাতের বিষয়টি তখন ব্যাখ্যা করব।

    আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    মুখ্যমন্ত্রীও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন

    দলীয় অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব সামনে আনলেও ঠিক কোনদিকে ইঙ্গিত করছেন জেলার বর্ষীয়ান নেতা বিপ্লব মিত্র , সেই অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন দলের ভোট ম্যানেজাররা। জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, জেলার প্রাক্তন দুই সভাপতি রয়েছেন তপন ও গঙ্গারামপুর বিধানসভা এলাকায়। তাঁদের সঙ্গে নির্বাচনের আগে থেকেই অনেকটা দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন বিপ্লব। নির্বাচনে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পৌঁছেছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। পরে, বালুরঘাটে (Balurghat) সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছিলেন। তারপরও সবকিছু যে ঠিক হয়নি, বিপ্লবের দাবিতে সেকথা স্পষ্ট।

    দলীয় প্রার্থীর হার নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতারা?

    এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি গৌতম দাস বলেন, আমি তো দলের একজন সামান্য কর্মী। দল মনে করেছে বড় জায়গায় কাজ করতে পারব না, সেজন্য ছোট জায়গায় কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। সেই মতো  দলের কাজ করেছি। কে কী মন্তব্য করেছেন, আমার জানা নেই। প্রার্থীর হার নিয়ে নিশ্চয় পর্যালোচনা হবে। আবার জেলা তৃণমূলের আর এক প্রাক্তন সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, লোকসভা নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী যেমন কাজ করতে বলেছেন, সেভাবেই চলেছি। কে অন্তর্ঘাত  করেছেন, দলীয়স্তরে তার পর্যালোচনা  করা হোক। গঙ্গারামপুর শহরে দলের বিপর্যয় কেন হল, সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: রচনার জয়ের পরেও চুঁচুড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ইস্তফা! কেন জানেন?

    Hooghly: রচনার জয়ের পরেও চুঁচুড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ইস্তফা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলিতে (Hooghly) জয়ের পরও চুঁচুড়া বিধানসভায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা ইস্তফা দিলেন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয় লাভ করেছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই পদত্যাগের ঘটনায় দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের চিত্র কি আরও একবার স্পষ্ট হল?

    তিনটি বিধানসভায় এগিয়ে বিজেপি (Hooghly)

    হুগলিতে (Hooghly) সাতটি বিধানসভার মধ্যে তিনটিতে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। রচনা জয়যুক্ত হয়েছেন ৭৬৮৫৩ ভোটে। কিন্তু ওই তিনটি বিধানসভার মধ্যে লকেট ৮২২৮৪ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। তবে দলের প্রার্থী জয়ী হলেও চুঁচুড়াতে খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। হারের কারণ খোঁজ করতে গিয়ে বিশ্লেষণে বসে জেলা নেতৃত্ব। ব্যান্ডেল, দেবানন্দপুর, কোদালিয়া-১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং চুঁচুড়া পুরসভার দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। সেখানে প্রধান, উপপ্রধান এবং জন প্রতিনিধিদের চরম অপমান করেন এই বিধায়ক। এরপর পঞ্চায়েতগুলির প্রধান এবং উপপ্রধানেরা মগরা বিডিও অফিসে গিয়ে পদত্যাগ করেন।

    পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য

    তৃণমূলের (Hooghly) বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্যরা বলেন, “রচনা তিনটি বিধানসভায় কম ভোট পেয়েছেন বলে গরু-ছাগলের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের অপমান করা হয়েছে।” এই প্রসঙ্গে কোদালিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুচেতা মান্না পাল বলেন, “আমাদের উপর কোনও চাপ ছিল না। তবে দলের পরাজয়ের দায় নিয়ে আমি পদত্যাগ করলাম।“ আবার চুঁচুড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘‘মানুষের সঙ্গে, দলের কর্মী এবং কাউন্সিলরদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের ফল এই পরাজয়।

    আরও পড়ুনঃ তমলুক কেন্দ্রে ভোটে হেরে দলেরই বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

    অসিত মজুমদারের বক্তব্য

    বিধায়ক (Hooghly) অসিত মজুমদার বলেন, “ওঁদের বিবেক আছে। ওঁরা থাকা অবস্থায় দলের পরাজয় হয়েছে। মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। তবে কেন দিয়েছেন, তা নিয়ে বসে পর্যালোচনা করব আমরা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: তমলুক কেন্দ্রে ভোটে হেরে দলেরই বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

    Tamluk: তমলুক কেন্দ্রে ভোটে হেরে দলেরই বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটে হেরে বেজায় চটেছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তমলুক (Tamluk) লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। কিন্তু শুক্রবার ভোটে হারার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। দলের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই জেলায় অনেকে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছেন।” দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে এই মন্তব্যে জেলার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল নেতা (Tamluk)?

    তমলুকে (Tamluk) নিজের হারের কথা বলতে গিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে দেবাংশু বলেন, “আমার নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বেশ ভালো। অনেকে আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। আমি দেখেছি, এই জেলায় অনেকে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছেন। সেই জন্য ভোটে প্রভাব পড়েছে। যাঁরা এই দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছেন, তাঁদের আমি চিহ্নিত করতে পেরেছি। তবে এই ভাবে চলতে পারে না। দুই দিকে থাকব আবার দলের হয়ে কাজ করব, এমনটা চলতে পারে না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরোধীশূন্য পুরসভায়ও ধরাশায়ী তৃণমূল, এগিয়ে বিজেপি

    ৭৭ হাজার ভোটে পরাজিত দেবাংশু

    ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের টিকিটের জন্য বিস্তর জল্পনা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে দল দেবাংশুকে টিকিট দেয়নি। এইবারে লোকসভা নির্বাচনে তমলুক থেকে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। এরপর সেখানে নির্বাচনে লড়াই করেন। কিন্তু বিজেপির কাছে ৭৭ হাজার ভোটে পরাজিত হন। তবে নির্বাচনের সময় নানা জায়গায় প্রচার করতে গেলে চোর চোর শ্লোগান শুনতে হয়েছিল তাঁকে। এই বিষয়ে একটি ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু আজ নিজে ভোটে হেরে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    যদিও এই তমলুক (Tamluk) লোকসভা থেকে একটা সময় সিপিএম নেতা লক্ষণ শেঠকে পরাজিত করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। এবার লোকসভার নির্বাচনে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে পরাজয় হতে হয়েছে দেবাংশুকে। তবে এই নির্বাচনে, এই কেন্দ্র ছিল বিরাট হাই ভোল্টেজ কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরোধীশূন্য পুরসভায়ও ধরাশায়ী তৃণমূল, এগিয়ে বিজেপি

    Election Result 2024: পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরোধীশূন্য পুরসভায়ও ধরাশায়ী তৃণমূল, এগিয়ে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধীশূন্য পুরসভা অঞ্চলে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। আবার একই সঙ্গে শহর অঞ্চল বা ব্লকেগুলিতে তৃণমূল থেকে অনেক বেশি ভোটে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। লোকসভার ফলাফলে (Election Result 2024) তৃণমূলের বিপক্ষে এই জনমত বিজেপির জন্য আশার আলো দেখা যাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক পুরসভায় বাজিমাত করেছে বিজেপি। অপর দিকে হিরণ, ঘাটালে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস বন্ধ করতে নাম না করে দেবের কাছে আবেদন করলেন সামজিক মাধ্যমে।

    তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে জনতা (Election Result 2024)

    রাজ্যের ২০২১ সালের পুরসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি পুরসভাতেই বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। এইবারের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে শহরের জনতা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তৃণমূলের কাছ থেকে। ভোটের ফলাফলে (Election Result 2024) দেখা যাচ্ছে পাঁচটি পুরসভার মধ্যে চারটি পুরসভা অঞ্চলে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন অনেক বেশি পরিমাণে। গত দুই বছরের তৃণমূলের শাসনে দুর্নীতি একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। তৃণমূল কথিত পুরসভার উন্নয়নমুখী কাজ কি দুর্নীতি ইস্যুর সামনে একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে? এই প্রশ্ন এখন সব জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

    কোন কোন পুরসভায় এগিয়ে বিজেপি?

    পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকার ঘাটাল মহকুমার মধ্যে একমাত্র চন্দ্রকোনা পুরসভায় জয়কে অব্যাহত রাখতে পেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপর দিকে ঘাটাল, খড়ার, ক্ষীরপাই এবং রামজীবনপুর পুরসভায় এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। গতবারের পুর নির্বাচনে বিরোধীশূন্য ছিল এই পুরসভাগুলি। এবার এই এলাকাগুলিতে বাজিমাত করেছে বিজেপি। সামগ্রিক ভাবে এগিয়ে থাকা পুর এলাকাগুলির মধ্যে কোথাও এক হাজার আবার কোথাও দেড় হাজার ভোটে এগিয়ে (Election Result 2024) রয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ বিধানসভার নিরিখে জ্যোতিপ্রিয়-জীবনকৃষ্ণ ধরাশায়ী, বাজিমাত বিজেপির

    ফেসবুকে সন্ত্রাস বন্ধের আবেদন হিরণের

    ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পরবর্তী হিংসা (Election Result 2024) নিয়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস বন্ধ করতে সামজিক মাধ্যমে নিজের আবেদন রেখেছেন হিরণ। তিনি নাম না করে দেবের কাছে আবেদন করে বলেন, “আমি হেরে গিয়েছি। আমি হার স্বীকার করেছি। আমাকে প্রয়োজনে শাস্তি দিন। কিন্তু আমার কর্মীদের অত্যাচার করবেন না। গরিব অসহায় মানুষের উপর অত্যাচার বন্ধ করেদিন। রাজনৈতিক অধিকারকে রক্ষা করে বেঁচে থাকার অধিকারে দয়া করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkali: গাড়ি ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা! খুন হওয়ার আতঙ্কে বিজেপি কর্মী

    Sandeshkali: গাড়ি ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা! খুন হওয়ার আতঙ্কে বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লোকসভায় এবার  বিপুল ভোটে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তবে, সন্দেশখালির মানুষ শাসক দলের সেই বিজয় রথ আটকে দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে তৃণমূল দাঁত ফোটাতে পারেনি। লিড পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। ফল বের হওয়ার পর সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবার নতুন করে অশান্তির শিকার হলেন এক বিজেপি কর্মী। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    গাড়ি ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলল তৃণমূলের লোকজন! (Sandeshkhali)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কোড়াকাঠি এলাকার ২২৭ নম্বর বুথে বাড়ি বিজেপি কর্মী কৃশানু গাইনের। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। তিনি বলেন, ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই নানাদিক থেকে আমাদের হুমকি আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে আমার বাড়িতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। আমাকে মারধর করার জন্য জড়ো হয়েছে বুঝতে পেরে আমি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিই। আমাকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়ির পাশে থাকা একটি চার চাকা গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর “জয় বাংলা” স্লোগান দিতে দিতে রাস্তার পাশে পুকুরে গাড়িটিকে ফেলে দেয়। ওরা বাড়িতে এসে আমাকে খুন করার হুমকি দিয়ে গিয়েছে। ওরা যে ভাবে হামলা চালিয়েছে তাতে আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। আমরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। তবে, এই হামলা আমার সঙ্গে শুধু হয়েছে এমন নয়, এই এলাকার সব বিজেপি কর্মীদের একই অবস্থা। সকলের পরিবারের লোকজন চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    তৃণমূল বিধায়ক কী সাফাই দিলেন?

    যদিও সন্দেশখালি (Sandeshkhali) তৃণমূলের বিধায়ক সুকুমার মাহাত এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। আক্রান্তরা পুলিশ প্রশাসনকে জানাতে পারে। তারা আইন অনুয়ায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gopal Rai: কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নয়! পরবর্তী বিধানসভায় একাই লড়বে আপ, সাফ জানালেন গোপাল রাই

    Gopal Rai: কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নয়! পরবর্তী বিধানসভায় একাই লড়বে আপ, সাফ জানালেন গোপাল রাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪এর লোকসভা ভোটের ফলাফল। আর লোকসভা ভোট মিটতেই এবার বড় ঘোষণা করলেন আপ নেতা গোপাল রাই (Gopal Rai)। পরবর্তী বিধানসভায় কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে জোট নয়, বরং একাই লড়বে আপ (Aam Aadmi Party), বৃহস্পতিবার একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গোপাল রাই।  

    আপ নেতার মন্তব্য

    এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে দলীয় বিধায়ক ও প্রবীণ নেতাদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গোপাল রাই (Gopal Rai) বলেন, ,”এটা শুরু থেকেই পরিষ্কার যে লোকসভা নির্বাচনের জন্য ইন্ডি জোট (INDIA) গঠিত হয়েছিল। আমরা একসঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে লড়েছি। কিন্তু দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কোনোও জোট নেই। আমরা দিল্লির জনগণের সঙ্গে একসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন লড়ব।” 
    তিনি (Gopal Rai) আরও বলেন, “আমরা সবচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নির্বাচনে লড়েছি। আমাদের শীর্ষ নেতারা জেলে। সব আসনেই জয়ের ব্যবধান কমেছে। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পর দলের কর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিলেও কঠিন পরিস্থিতিতেও দল ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং ‘একনায়কতন্ত্রের’ বিরুদ্ধে ভাল লড়াই করেছে। অন্যদিকে জোটের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল দিল্লিতে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান কমেছে।”

    আরও পড়ুন: ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা! গ্রেফতার ৩

    এছাড়াও এদিন আপ নেতা জানান, আগামী ৮ জুন তাদের  কাউন্সিলরদের সঙ্গে একটি বৈঠক হওয়ার কথা আছে এবং ১৩ জুন দিল্লির সমস্ত দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে। বর্তমানে কেজরিওয়াল যেহেতু জেলে রয়েছেন, তাই তাদের লড়াই চলবে। অন্যদিকে নির্বাচনের পরে আদর্শ আচরণবিধি উঠে যাওয়ায় উন্নয়নের কাজে গতি আনতে শনি ও রবিবার কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলের সব বিধায়ক।  
    উল্লেখ্য, দিল্লির লোকসভা ভোটে এবারে কংগ্রেস (Congress) জোট শূন্য ড্র করেছে, অন্যদিকে বিজেপি তৃতীয়বারের জন্য সাতটি সংসদীয় আসনে ক্লিন সুইপ করেছে। আর এরই মধ্যে এবার পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে জোট ছাড়া একাই লড়ার কথা জানিয়ে দিল আপ নেতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi 3.0: পাশে নীতীশ, নায়ডু, মোদির নেতৃত্বেই সরকার গড়ার পথে এনডিএ

    Narendra Modi 3.0: পাশে নীতীশ, নায়ডু, মোদির নেতৃত্বেই সরকার গড়ার পথে এনডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi 3.0)। দুই প্রধান স্তম্ভ নীতীশ কুমারের জেডিইউ আর চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপিকে নিয়ে সরকার গড়বে এনডিএ (NDA)। শুক্রবার সেন্ট্রাল হলে মেগা-বৈঠকে সব শরিকদেরই দেখা গেল হাসি মুখে। সর্বসমক্ষে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের উপর অগাধ ভরসা দেখালেন নায়ডু, নীতীশ উভয়ই।

    সর্বসম্মত নেতা মোদি

    শুক্রবার বৈঠকে মোদির (Narendra Modi 3.0) নেতৃত্বেই আগামীর উন্নয়ন দেখছেন বলে জানালেন জোট শরিকেরা। এদিন বৈঠকে রাজনাথ সিং এনডিএ-র (NDA) নেতা হিসাবে মোদির নাম প্রস্তাব করেন। শুধু তা-ই নয়, সংসদে বিজেপির নেতা হিসাবেও মোদির নাম প্রস্তাব করা হয়। এই প্রস্তাবে সায় দিলেন এনডিএ-র শরিক দলের নেতারা। শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু, জনতা দল ইউনাইটেড দলের নেতা নীতীশ কুমার, শিবসেনা দলের নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, এনসিপির নেতা অজিত পওয়ার, জেডিইউ নেতা এইচডি কুমারস্বামীরা। এদিন মোদির নাম প্রস্তাব করার পর প্রথমেই তা সমর্থন করেন অমিত শাহ। তার পর নিতিন গড়করিও সমর্থন জানান। শাহ-গড়করির পর একে একে কুমারস্বামী, চন্দ্রবাবু, নীতীশ, একনাথ, অজিত, চিরাগ পাসোয়ানরা সমর্থন জানান। 

    আরও পড়ুন: মোদি মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে শরিকদের দাবি-দাওয়া, কী ভাবছে বিজেপি?

    সকলকে নিয়ে চলার বার্তা মোদির

    শরিক দলের সকলের প্রতি ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন মোদি (Narendra Modi 3.0) বলেন, ‘‘এনডিএ দলের নেতা রূপে সর্বসম্মত ভাবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ২০১৯ সালের পর আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় আমি নিজেকে সৌভাগ্য মনে করি। এটাই আমার কাছে বড় পুঁজি। জোট করে নির্বাচন লড়া এবং সরকার গড়ার ব্যাপারে এত বড় সাফল্য আগে আসেনি। সরকার চালানোর জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা আবশ্যক, তবে দেশ চালানোর জন্য সর্বমত জরুরি। নির্বাচনের আগে জোট করে লড়াই করে এনডিএ-র মতো সাফল্য কেউ পায়নি।’’ এনডিএ-র (NDA) শরিকদের মধ্যে বিজেপি এ বার ২৪০টি আসন পেয়েছে। তার পরই রয়েছে চন্দ্রবাবুর দল। তাদের ঝুলিতে রয়েছে ১৬টি আসন। এ ছাড়াও নীতীশের জেডিইউ বিহারে পেয়েছে ১২টি আসন।

    রাষ্ট্রপতির দরবারে

    এদিন মোদির (Narendra Modi 3.0) নেতৃত্বকে সমর্থন জানিয়ে টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু বলেন, “নির্বাচনী প্রচারের সময়ে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে দেখেছি। অটল দৃঢ়তা নিয়ে তিনি তিন মাস দিনরাত অক্লান্ত ভাবে প্রচার করে গিয়ছেন।” বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মোদির উপর পূর্ণ আস্থা রেখে বলেন, “এবার বিহারের সমস্ত মুলতুবি থাকা কাজ করা হবে৷ এটা খুবই ভালো হল যে, আমরা সবাই একত্রিত হতে পেরেছি। আমরা সবাই আপনার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করব৷” জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেলেই রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন এনডিএ-র (NDA) নেতারা। সেখানে বিজেপি-সহ এনডিএ-র ২৯৩ জন সাংসদ সই সম্বলিত সমর্থনপত্র পেশ করবেন ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share