Tag: Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024

  • Raju Bista: “লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটেই জিতেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক রাজু বিস্তা

    Raju Bista: “লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটেই জিতেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক রাজু বিস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে খুব বেশি দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। তবে, দক্ষিণবঙ্গে সবুজ ঝড় বয়ে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক কেন্দ্রে বিজেপি হেরেছে। বিশেষ করে হিরণ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল, দিলীপ ঘোষের মতো প্রার্থীও পরাজিত হয়েছেন। আর তৃণমূলের এই বিপুল জয় নিয়ে এবার মুখ খুললেন দার্জিলিংয়ের জয়ী বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা (Raju Bista)। সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গ জুড়ে বিজেপি ফের কেন দাপট দেখাতে পেরেছে তা তিনি ব্যাখ্যা করেন। একইসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গে শাসক দলের জয় নিয়ে একেবারে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী।

    লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটেই জিতেছে তৃণমূল (Raju Bista)

    রাজু বিস্তা (Raju Bista) বলেন, ” লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, অনুপ্রবেশকারীদের ভোটেই জিতেছে তৃণমূল। সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে এসে যারা ভোটার কার্ড তৈরি করালেন, তাদের আটকাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। আমরা চাইছি এই সমস্যা নিয়ে দ্রুত তদন্ত করে দেখা হোক। ভোটারেরা বৈধ নাগরিক কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। উত্তরবঙ্গে অনুপ্রবেশ সমস্যা কম, তাই এখানে বিজেপি জিতেছে। দক্ষিণবঙ্গে অনুপ্রবেশ বেশি। আর অনুপ্রবেশকারীদের পাশে থাকে তৃণমূল। তাই, এই দুইয়ের মেলবন্ধনেই তৃণমূলের এই ফল।”

    আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, নদিয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    কংগ্রেস ও বামের দুই শতাংশ করে ভোট তৃণমূলে গিয়েছে

    তিনি (Raju Bista) আরও বলেন, “রাজ্যে কংগ্রেস ও বামের দুই শতাংশ করে ভোট তৃণমূলে যাওয়ায় আসন কমেছে বিজেপির। তবে, শতাংশের বিচারে বিজেপির ভোট কমেনি।” রাজু বলেন, “উত্তরপ্রদেশে আসন কমেছে এটা যেমন ঠিক, তেমনি ওড়িশায় আসন পেয়েছি। আমার মতে অনুপ্রবেশকারীদের ভোট,কংগ্রেস-সিপিএমের ভোট তৃণমূলে যাওয়ায় বাংলায় এই ফল।” এই মুহুর্তে বিজেপির আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোই মূল লক্ষ্য বলে জানান বিজেপির জয়ী প্রার্থী। তিনি বলেন, “বাংলায় নেতৃত্ব ব্যার্থ এমনটা নয়। আমরা হারিনি। তবে, তৃণমূল জিতেছে। কেউ হয়তো ভাবছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য এই ফল। কিন্তু, আমার মনে হয় মোদি সরকারের কাছেও এমন অনেক ভান্ডার ছিল। ফলে, লক্ষ্মীর ভান্ডার একমাত্র কারণ এমন ভাবা ভুল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বর্ধমান জেলা বিজেপির অফিসে হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, একাধিক গাড়ি ভাঙচুর!

    Post Poll Violence: বর্ধমান জেলা বিজেপির অফিসে হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, একাধিক গাড়ি ভাঙচুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের পর জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) অব্যাহত। এবার বর্ধমান বিজেপির জেলা অফিসে হামলার অভিযোগ উঠলো শাসকদলের বিরুদ্ধে। একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে ইট, লাঠি নিয়ে হামলা করেছে। কিন্তু কার্যালয়ে অশান্তির খবর ছড়িয়ে পড়তেই পার্টি অফিসের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।

    বিজেপির অভিযোগ (Post Poll Violence)

    বর্ধমান জেলা বিজেপি নেতা সুমিত দত্ত বলেন, “ভোটের ফল প্রকাশের পর আজ বৃহস্পতিবার তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে এসে হামলা (Post Poll Violence) চালায়। জেলা সভাপতির গাড়িতে ইট মারা হয়। নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গার দলীয় কর্মীরা ঘর ছাড়া হয়ে পড়েছেন। আমাদের অনেক কর্মীরা পার্টি অফিসে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিন হামলার সময় আমাদের দলীয় কর্মীদের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাইরে থেকে দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা পালিয়ে যায়।” বিজেপির আর এক নেতা দেবজ্যোতি সিংহ রায় বলেন, “বর্ধমান উত্তর বিধানসভা এলাকায় আজ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের বাইক মিছিল হয়। সেই মিছিল শেষে আমাদের পার্টি অফিসে হামলা করে।”

    পানীয় জলের লাইন কাটা হয়েছে!

    বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, “জেলার বিভিন্ন জায়গার বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা (Post Poll Violence) করা হচ্ছে। ভাতারে পানীয় জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন প্রশাসনের উপর ভরসা আছে। পুলিশের কাছে আমাদের আবেদন দুস্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বর্ধমানের তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, “জেলায় বিজেপি সাফ হয়ে গেছে। তাই ওদের তৃণমূল কেন আক্রমণ (Post Poll Violence) করবে? বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে গোলমাল হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    Post Poll Violence: মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) জেরে মিনাখাঁর আটপুকুর অঞ্চলের কচুরহূলো এলাকার ১১৩ নম্বর বুথে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আনুমানিক ১০ থেকে ১২টি ঘর ভাঙচুর করার পাশাপাশি ওই এলাকা থেকে দুটি মোটর বাইক, তিনটি সাইকেল সহ একাধিক বাড়ি থেকে টিভি, ফ্রিজ নানা জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ওই এলাকার শতাধিক বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।

    বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য (Post Poll Violence)

    উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর আটপুকুরের আক্রান্ত এক বিজেপি কর্মী বলেছেন, “লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে পুলিশের প্রত্যক্ষ মদতে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের পরিবারের উপর আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার করছে। চলছে লুটপাট, বাড়ি ভাঙচুর। এমনকী আমাদের বাড়ির বাইকে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে নিপীড়িত মানুষের জীবন এবং সম্পত্তিকে রক্ষা করা। দেশের গণতান্ত্রিক উৎসবে অংশ গ্রহণের পর, নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়াটা কি এই রাজ্যে অন্যায়? তৃণমূল স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছে।”

    আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে ধরাশায়ী গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র! অধিকাংশ ওয়ার্ডে বাজিমাত করল বিজেপি

    তৃণমূলের বক্তব্য

    লোকসভার ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সন্ত্রাসের (Post Poll Violence) অভিযোগকে অস্বীকার করে মিনাখাঁ তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিরোধিতার নামে চক্রান্ত করেছে বিজেপি। তৃণমূল ব্যাপক জনমত নিয়ে এই ভোটে জয়ী হয়েছে। বিজেপি নিজেদের মধ্যে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গোলমাল বাঁধিয়েছে। পুরোটাই একটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত নয়।” অপর দিকে বারাসত, মধ্যমগ্রাম, বারাকপুর, নিউটাউন, ক্যানিং, কোচবিহার, নদিয়া, বীরভূমের একাধিক এলাকায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়িতে ধরাশায়ী গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র! অধিকাংশ ওয়ার্ডে বাজিমাত করল বিজেপি

    Siliguri: শিলিগুড়িতে ধরাশায়ী গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র! অধিকাংশ ওয়ার্ডে বাজিমাত করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী না হয়েও দুটি লোকসভা আসনে পরাজিত শিলিগুড়ির (Siliguri) মেয়র তথা তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। এর পরেও শিলিগুড়ির মেয়র পদে থাকার ক্ষেত্রে গৌতম দেবের নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। শুধু গৌতম দেবের ওয়ার্ড নয়, গোটা শিলিগুড়ি পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ডে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে বাজিমাত করেছে বিজেপি।

    প্রার্থী না হয়েও কেন পরাজিত গৌতম দেব? (Siliguri)

    দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার ৩৩টি ওয়ার্ড। আর জলপাইগুড়ি লোকসভার অধীনে রয়েছে ১৪ টি ওয়ার্ড। শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূলের দখলে থাকার পরেও ৪৬ টি ওয়ার্ডে বিজেপি বিপুল ভোটে লিড নিয়েছে। দার্জিলিং আসনে পুরসভার ৩৩  টি ওয়ার্ডে  গতবার ৬৫ হাজার ৪৮৬ ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার তা বেড়ে ৬৬ হাজার ৯ ভোট হয়েছে। এরমধ্যে মেয়রের নিজের পাড়া ও ডেপুটি মেয়রের ওয়ার্ডও রয়েছে। একমাত্র ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সামান্য কিছু ভোটে তৃণমূল প্রার্থী লিড নিয়েছেন। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি আসনে শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ১৪ টি ওয়ার্ডেও একই অবস্থা। মেয়র গৌতম দেবের নিজের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডেও তৃণমূল প্রার্থী পিছিয়ে রয়েছেন। এই ১৪ টি ওয়ার্ড ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। এই এলাকায় দলের নির্বাচনী দায়িত্বে ছিলেন গৌতম দেব। এই বিধানসভা এলাকায় তিনি এর আগে ১০ বছর বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। তারপরেও এবার এই বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ৭২ হাজার ২৪৫ ভোটে লিড নিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, নদিয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    পুরসভা চালাতে ব্যর্থ মেয়র!

    মেয়র গৌতম দেব ও তাঁর কাউন্সিলারদের ব্যর্থতা ও ব্যবহারের জন্যই শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের এই ভরাডুবি বলে মনে করছেন দলের একাংশ। তৃণমূলের এক জেলা নেতা বলেন, “মেয়র হয়ে গৌতম দেব  নিজের সুবিধা ও প্রচার ছাড়া তিনি কিছু বোঝেন না। এবার নিজের মতো করে বিক্ষিপ্তভাবে ভোটের প্রচার করেছেন। কতটা প্রচার করছেন তা দেখানোর জন্য সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন। আর্থিক সঙ্কটের কারণে শহরে পরিষেবা যখন ব্যাহত হচ্ছে, তখন তিনি কোটি কোটি টাকা খরচ করে পুরসভার ঝাঁ চকচকে নতুন ভবন তৈরি করেছেন। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর চেম্বারের অনুকরণে নিজের চেম্বার বানিয়েছেন। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর ব্যবহার ভালো নয়। তৃণমূল কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এসবের কারণেই এই ভরাডুবি। ” দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও নির্বাচনে গৌতম দেবের ভূমিকা নিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিচ্ছে।

    কী বলছেন মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেব?

    শিলিগুড়ির (Siliguri) মেয়র বলেন, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র ২০০৯ সাল থেকে বিজেপির দখলে রয়েছে। এই আসনে আমরা কেন ভালো ভোট জোগাড় করতে পারছি না তা বুঝতে পারছি না। কেন এরকম বারবার হচ্ছে তা পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। জলপাইগুড়ি সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ফল নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, নদিয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    Nadia: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, নদিয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত। এবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাপড়া থানার দোয়ের বাজার এলাকায়। মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম মোসলেম শেখ (৩০)।

    গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, কোন্দল প্রকাশ্যে (Nadia)

    সদ্য লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। কৃষ্ণনগর (Nadia) লোকসভা কেন্দ্রে পুনরায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। আর লোকসভা ভোটের ফলাফলের ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাপড়া থানার হাটরা এলাকার বাসিন্দা মোসলেম শেখ দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় তৃণমূল রাজনীতি দলের সঙ্গে যুক্ত। চলতি লোকসভা নির্বাচনে তিনি দলের হয়ে এলাকায় লড়াই করেছেন। পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার রাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বাড়ি থেকে তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে, চাপড়া থানার দোয়ের বাজার ভগবানপুর এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বলে পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চাপড়া থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৮ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, কারা কারা উপস্থিত থাকবেন জানেন?

    মৃতের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য?

    এ বিষয়ে মৃত মোসলেম শেখের স্ত্রী রহিমা বিবি বলেন, ওই এলাকারই কিছু তৃণমূল দুষ্কৃতী আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারাই গুলি করে খুন করে স্বামীকে। এবছর তৃণমূলের হয়ে লোকসভা নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল আমার স্বামী। তারপরও  তাকে খুন করা হল। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    চাপড়া (Nadia) তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জেবের শেখ বলেন, আমাদের দলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র জয়লাভ করার কারণে আমাদের একটি বিজয় মিছিল ছিল। আমি সেখানেই খবর পাই এই খুনের ঘটনার কথা। মৃত মোসলেম শেখ আমাদের দলেরই কর্মী ছিল। তবে, কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল এখন সেটা স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: সিএএ-এর ওপর ভর করে বনগাঁয় বিজেপির বাজিমাত, শান্তনুতেই ফের আস্থা মতুয়াদের

    Shantanu Thakur: সিএএ-এর ওপর ভর করে বনগাঁয় বিজেপির বাজিমাত, শান্তনুতেই ফের আস্থা মতুয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে অন্যতম ইস্যু ছিল সিএএ কার্যকরী করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিক সভা মঞ্চে বার বার সিএএ-র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) সিএএ কার্যকরী করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। শেষ দফা ভোটের আগেই রাজ্যে একাধিক শরনার্থী নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পেয়ে যান। এরপরই তাঁরা কুর্ণিশ জানান প্রধানমন্ত্রীকে। আস্থা রাখেন বিজেপির ওপর। আর এই সিএএ-এর ওপর ভর করেই বনগাঁ আসনে বাজিমাত করলেন বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। পরপর দু’বার জয় পেলেন শান্তনু।

    সিএএ-এর ওপর ভর করে বিজেপির বাজিমাত (Shantanu Thakur)

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনুর (Shantanu Thakur) প্রাপ্য ভোট ৭ লক্ষ ১৯ হাজার ৫০৫। ৭৩ হাজারেরও বেশি ভোটে প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসকে হারিয়েছেন তিনি। বিশ্বজিৎ দাস পেয়েছেন ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮১২ ভোট। জানা গিয়েছে, গণনার প্রথম কয়েক দফায় ভালই লড়াই দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আর ধরে রাখতে পারেননি। এমনিতেই বনগাঁ কেন্দ্রে বড় ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট। আর মতুয়া গড়ে মুখ শান্তনু ঠাকুর, যিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের আবহেই সিএএ কার্যকর করে কেন্দ্রীয় সরকার। মতুয়া গড়ে উচ্ছ্বাসের ঝড় বয়ে যায়। বিজ্ঞপ্তি জারি ও আবেদনের ভিত্তিতে নাগরিকত্বও পেয়েছেন অনেকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেটা শান্তনুর জয়ে বড় প্রভাব ফেলেছে। তৃণমূলের অনেকেই মনে করছেন, বামেদের একাংশের ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছে। এটাও তৃণমূলের হারের কারণ। গত পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। সেই সবই শান্তনুকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি, জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব

    জয়ী হওয়ার পর কী বললেন শান্তনু?

    জয়ের বিষয়ে শান্তনু (Shantanu Thakur) বলেন, গত পাঁচ বছর আমি এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম। এছাড়া এবার আমাদের অন্যতম ইস্যু ছিল, সিএএ কার্যকরী করা। আমরা সেটা করে দেখিয়ে দিয়েছি। আমরা যে ভাঁওতা দিই না, তা মানুষ বিশ্বাস করেছেন। তাই, আমার ওপর তাঁরা ফের আস্থা রেখেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: কাউন্সিলর থেকে প্রার্থী হয়েই বিজেপির সাংসদ, কার্তিকের ওপর আস্থা রায়গঞ্জবাসীর

    Raiganj: কাউন্সিলর থেকে প্রার্থী হয়েই বিজেপির সাংসদ, কার্তিকের ওপর আস্থা রায়গঞ্জবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Raiganj) ফের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি। গতবার এই আসনে দেবশ্রী চৌধুরীকে প্রার্থী করে পদ্ম ফুটিয়েছিল বিজেপি। তবে, এবার সেখানে দেবশ্রী না দাঁড়ালেও বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের হাত ধরে আসন ধরে রাখল পদ্ম শিবির। তাঁর কাছে পরাজিত হলেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের কৃষ্ণ কল্যাণী।

    রায়গঞ্জে অনেক উন্নয়ন হবে, দাবি বিজেপি কর্মীদের (Raiganj)

    বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির হাত ধরে ছাত্র রাজনীতি করেছেন তিনি। প্রিয়রঞ্জন রাজনীতিতে থাকাকালীনই কালিয়াগঞ্জ পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁর যোগ্য শিষ্য হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে কার্তিক ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এরপর কালিয়াগঞ্জ পুরসভার তৃণমূলের বোর্ডে চেয়ারম্যান হন তিনি। প্রথম থেকেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এরপর ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগ দিলে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে তিনিও যোগ দেন বিজেপিতে।  শেষ পুরসভা (Raiganj) নির্বাচনেও কার্তিক জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি-র টিকিটে। কাউন্সিলর হন কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের। এরপর সরাসরি সেখান থেকে তাঁকে সাংসদ পদের জন্য প্রার্থী করে বিজেপি। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, আমাদের সাংসদ রায়গঞ্জের জন্য অনেক উন্নয়ন করবেন।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি, জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব

    কত ভোটে জয়ী হলেন বিজেপি প্রার্থী?

    গতবার এই আসনে পদ্ম ফুটলেও জয় ছিনিয়ে আনতে মরিয়া ছিল তৃণমূল। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া কৃষ্ণকল্যাণীকে প্রার্থী করে তৃণমূল। প্রশ্ন ওঠে, কৃষ্ণকল্যাণীর বারবার দলবদল মেনে নেয়নি রায়গঞ্জের (Raiganj) মানুষ? কারণ একসময় তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। পরে ফের দলবদল করে আসেন তৃণমূলে। ফলে কৃষ্ণ কল্যাণীর ওপর আস্থা রাখতে না পেরেই বিজেপি প্রার্থীর ওপর আস্থা রাখলেন  রায়গঞ্জবাসী। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির কার্তিক চন্দ্র পাল পেয়েছেন ৫,৬০৮,৯৭। আর তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪,৯২৭,০০। ৬৮ হাজার ভোটে জয়ী হন। তাঁর জয়ের খবর পাওয়ার পরই কর্মীরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। কার্তিকবাবু বলেন, এবারও বিজেপির ওপর আস্থা রাখাই আমি সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এই জয় মানুষের জয়। রায়গঞ্জবাসীর জন্য আরও অনেক বেশি করে কাজ করতে পারি, এটাই আমার লক্ষ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: তৃণমূলের ‘ভেল্কিবাজ’, ‘বেইমান’, ‘চোর’ অপবাদকে উপেক্ষা করে ভোটে জয়ী খগেন মুর্মু

    Election Result 2024: তৃণমূলের ‘ভেল্কিবাজ’, ‘বেইমান’, ‘চোর’ অপবাদকে উপেক্ষা করে ভোটে জয়ী খগেন মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে সবুজ আবির খেলার মধ্যেই গেরুয়া আবির নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য, উত্তর মালদা থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী (Election Result 2024) হয়েছেন খগেন মুর্মু। প্রথম থেকেই তাঁর রাজনৈতিক লড়াই ছিল ব্যাপক জোরদার। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে ৭৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে আরেকবার পদ্মফুল ফোটালেন মালদায়। উত্তরবঙ্গে বিজেপির এই জয়ে ব্যাপক উল্লাস।

    জয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস (Election Result 2024)

    লোকসভা ভোটের প্রচারে তৃণমূলের কাছ থেকে ভেল্কিবাজ, বেইমান, চোরের মতো বাক্যবাণ শুনতে হয়েছিল খগেন মুর্মুকে। তাঁকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূলের বড় বড় নেতারাও কুমন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু সকল প্রতিকূলতার মধ্যে নিজের রাজনৈতিক লড়াইকে তীব্র করে জনমতকে সঠিক ভাবে প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তিনি। উত্তর মালদার সাধারণ মানুষ, কেন্দ্রে তৃতীয় বারের জন্য বিজেপি সরকার গড়তে জনাদেশ (Election Result 2024) দিয়েছেন তাঁর পক্ষে। তাঁকে ঘিরে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই বারে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী মোস্তাক আলম, আইএসএফ প্রার্থী হয়েছিলেন মহম্মদ সোহেল।

    আরও পড়ুনঃ ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    আগের বারের মার্জিন ছিল ৮০ হাজার

    ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে, মালদা উত্তর থেকে জয়ী  হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছিলেন প্রায় ৮০ হাজার ভোটে। তাঁর গত লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ ৭ হাজার ৭৯৮। তৃণমূলের মৌসম পেয়েছিলেন ৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৫১৭। ওই বছর কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করেছিলেন ইশা খান চৌধুরী। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩ লক্ষ ৪ হাজার ৯৬৪। আর সিপিএমের বিশ্বনাথ ঘোষ পেয়েছিলেন ৫০ হাজার ৩১৫ ভোট। এইবারে জয় (Election Result 2024) করে, বিজেপি আরও একবার প্রমাণ করল উত্তরবঙ্গের অন্যতম শক্তিশালী কেন্দ্র উত্তর মালাদা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মনোজের ওপর আস্থা রাখলেন আলিপুরদুয়ারবাসী, শহরাঞ্চলে বাজিমাত করল বিজেপি

    Alipurduar: মনোজের ওপর আস্থা রাখলেন আলিপুরদুয়ারবাসী, শহরাঞ্চলে বাজিমাত করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ফের বাজিমাত করল বিজেপি। ২০১৯ এ প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটের ব্যবধানে আলিপুরদুয়ারের এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী জন বারলা। এবার জয়ের মার্জিন কমলেও এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞার ওপর আস্থা রেখেছেন আলিপুরদুয়ারবাসী।

    শহরাঞ্চলে বাজিমাত করেছে বিজেপি (Alipurduar)

    চা বলয়ের মধ্যে মাদারিরহাট বিধানসভা এলাকায় রয়েছে মানোজ টিগ্গার বাড়ি। গত লোকসভায় ৪৩ হাজার ৮৩৮ ভোটের ব্যবধানে  তৃণমূল প্রার্থীর থেকে এগিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। এবারে বিজেপি প্রার্থী প্রায় ৯০০০ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। তবে, তৃণমূলের ভোট আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। একইভাবে কালচিনি, ফালাকাটা বিধানসভায় গত লোকসভার তুলনায় চা বলয়ে ভোটের ব্যবধান কমিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক চা বলয়ে জোরদার টক্কর দিলেও পুরসভাসহ শহরাঞ্চলের ভোটে খারাপ ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদল সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ও ফালাকাটা পুরসভার সবকটি ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। অথচ গত প্রায় দু বছর আগে পুরসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ টি তে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হন। ফালাকাটায় ১৮ টি ওয়ার্ডের সবকটি ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে এসেছিল। আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ার দুই পুরসভার ফল খারাপ হওয়ার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে বলে দলের আন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপির বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে শাসকদলে যোগদান করিয়েও আলিপুরদুয়ার বিধানসভা এলাকায় বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারেনি তৃণমূল।

    আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল বিজেপি, জয়ী প্রার্থীকে দিল্লিতে তলব

     উন্নয়ন করা আমার একমাত্র লক্ষ্য

    বিজেপি সাংসদ (Alipurduar) মনোজ টিগ্গা বলেন, মানুষ ফের বিজেপির ওপর আস্থা রেখেছেন। সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তবে, গতবারের তুলনায় আমাদের জয়ের ব্যবধান কমেছে। চা বলয়ে মূলত আমাদের ভোট কিছুটা কমেছে। তবে, এরজন্য কাউকে দায়ী না করে চা বলয়ে কেন ভোট কমল, সেটা আমরা দলগতভাবে বসে আলোচনা করে কারণ খুঁজে বের করতে হবে। জেলার আরও উন্নয়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Adhir Chowdhury: হারের পর কি রাজনীতি ছাড়ছেন অধীর? কী বললেন সাংবাদিক সম্মেলনে?

    Adhir Chowdhury: হারের পর কি রাজনীতি ছাড়ছেন অধীর? কী বললেন সাংবাদিক সম্মেলনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুর লোকসভার পাঁচ বারের সাংসদ ছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। টানা ২৫ বছর ধরে দিল্লি, বহরমপুরে রাজনৈতিক জীবন কাটিয়েছেন। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে নিজের কেন্দ্রে তৃণমূলের কাছে পারাজিত হয়েছেন তিনি। যদিও নির্বাচনের আগে ঘোষণা করেছিলেন যে, হেরে গেলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। একইভাবে, ইন্ডি জোট নিয়ে এই রাজ্যে মমতাকে সমর্থন করার বিষয়ে দলের সঙ্গে মতান্তর হয়েছিল তাঁর। পাল্টা দলের জাতীয় সভাপতির কাছ থেকে দল ছেড়ে গেলে কিছুই যাবে আসবে না এমন মন্তব্য শুনতে হয়েছিল। কিন্তু অধীর নিজের ভাবনায় স্থির ছিলেন।

    পরাজয়ের পর কী বললেন অধীর (Adhir Chowdhury)?

    নিজের পরাজয়ের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে অধীর (Adhir Chowdhury) বলেন, “হেরে যাওয়া মানে হেরেই যাওয়া। আমার কোনও অভিযোগ নেই। আমি আমার কথা থেকে সরে আসিনি। আমার সিদ্ধান্ত আমি স্পষ্ট করে জানাব। আপনারা জানেন এখানে কোনও ভোট হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে সমীকরণ বদলে গিয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী, রাহুল গান্ধীকেও নির্বাচনে হারতে হয়েছিল। আমিও ভোটে হেরেছি। মানুষ আমাকে ভোট দেননি এটাই সত্য। আমিও মানুষের রায় মেনে নিলাম।”

    আরও পড়ুনঃ ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    আর কী বললেন?

    সাংবাদিক সম্মেলন করে অধীর (Adhir Chowdhury) আরও বলেন, “আমরা এই নির্বাচনে এটা কখনই বলিনি সারা পশ্চিমবঙ্গে জয়ী হব। কিন্তু আমাদের যেখানে যেখানে সম্ভব ছিল আমরা চেষ্টা করেছি। আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে লড়াই করেছি। তবে হ্যাঁ, এখন পরাজয় স্বীকার করছি। ইউসুফ পাঠানকে আমি অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। বঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষের উপর চরম আঘাত আসতে চলেছে। মোদি কখনই ৪০০ সিট পাবেন না বলে আমরা আগেই জানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু কিছু সংবাদ মাধ্যম মোদির হয়ে প্রচার করেছে। রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা আমাদের আরও শক্তিশালী করেছে। কঠোর পরিশ্রম এবং মানুষের বিশ্বাস আমাদের বড় জয়ের দিকে নিয়ে গিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share