Tag: Lok Sabha Elections 2024

Lok Sabha Elections 2024

  • Lok Sabha Elections 2024: ভোটার মাত্র এক জন, তাঁর ভোট নিতে দুর্গম পাহাড়ে ৩৯ কিমি ট্রেক করলেন ভোটকর্মীরা

    Lok Sabha Elections 2024: ভোটার মাত্র এক জন, তাঁর ভোট নিতে দুর্গম পাহাড়ে ৩৯ কিমি ট্রেক করলেন ভোটকর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। গণতন্ত্রের উৎসবের এই আনন্দ যজ্ঞে শামিল হবেন সবাই। একজনও যেন বঞ্চিত না হন বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের এই নির্বাচন-যজ্ঞ থেকে। নির্বাচন কমিশনের এহেন স্বপ্ন রূপদান করতে মাত্র একজন ভোটারের জন্য পাহাড়ি ৩৯ কিলোমিটার রাস্তা উজিয়ে ভোট নিতে যাচ্ছেন পোলিং অফিসাররা।

    চিনকে জবাব ভারতের! (Lok Sabha Elections 2024)

    অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গাকে মাঝে মধ্যে নিজেদের মানচিত্রে দেখিয়ে তাদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চিন। এহেন অরুণাচলের প্রত্যন্ত মালোগাম গ্রামে একটি মাত্র ভোট সংগ্রহ করতে পায়ে হেঁটে যে দুর্গম গিরি পার হচ্ছেন পোলিং আধিকারিকরা, তাতে ভারত (Lok Sabha Elections 2024) বিশ্বকে আরও একবার বুঝিয়ে দিল ‘অরুণাচল ভারতেরই ছিল, আছে এবং থাকবে’। ফেরা যাক খবরে। অরুণাচলের আনজ জেলার মালোগামে বাস করেন বছর চুয়াল্লিশের সোকেলা তায়াং। সেই সোকেলার ভোট নিতেই খোলা হয়েছে বুথ।

    পাহাড়ি পথে পাড়ি

    এবার সাত দফায় হবে লোকসভা নির্বাচন। ১৯ এপ্রিল হবে প্রথম দফার নির্বাচন। সেদিনই ভোট হবে অরুণাচলের এই গাঁয়েও। চিন সীমান্ত ঘেঁষা মালোগামের বুথে গিয়ে ভোট দেবেন সোকেলা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে (Lok Sabha Elections 2024) খবর, মালোগামে হাতে গোণা কয়েকটি পরিবার রয়েছে। তবে ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে শুধুই সোকেলার। তাঁকে অন্য বুথে গিয়ে ভোট দিতে বলা হয়েছিল। তিনি রাজি নন। অগত্যা সোকেলার ভোট নিতে পোলিং অফিসারদের পার হতে হচ্ছে ৩৯ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ। অরুণাচলের এই কেন্দ্রে লড়াই করছেন বশিরাম সীরাম এবং তাপির গাও। এঁদেরই একজনের নামের পাশে পড়তে পারে সোকেলার ভোট। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পবন কুমার সাইন বলেন, “এসব ক্ষেত্রে (সোকেলার ভোট নিতে যাওয়া) কতজন ভোট দিচ্ছেন, তা ম্যাটার করে না। কিন্তু আমরা এটি নিশ্চিত করতে চাই যে গণতন্ত্রে যেন প্রত্যেকেই তাঁর মতামত ব্যক্ত করতে পারেন। সোকেলা তোয়াংয়ের ভোট অন্তর্ভুক্তি ও সাম্যের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার দলিল।”

    আরও পড়ুুন: এবার গ্রাউন্ড জিরো থেকে কোচবিহারের ওপর সরাসরি নজর দুই বিশেষ পর্যবেক্ষকের

    এদিকে, ওড়িশায় সখী বুথ খোলা হল নির্বাচন কমিশনের তরফে। এই বুথের সমস্ত পোলিং অফিসারই মহিলা। ওড়িশা হ্যান্ডলুমের কর্মী তাঁরা। গণতন্ত্রের উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে মহিলারা যাতে অস্বস্তি বোধ না করেন, তাই এই আয়োজন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: রাজ্যপালকে কোচবিহারে যেতে নিষেধ করল কমিশন, কেন জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: রাজ্যপালকে কোচবিহারে যেতে নিষেধ করল কমিশন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কোচবিহার যেতে নিষেধ করল নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Elections 2024)। মঙ্গলবার রাজভবনের তরফে কমিশনকে রাজ্যপালের কোচবিহার সফরসূচির বিষয়ে জানানো হয়। তার পরেই রাজ্যপালকে যেতে নিষেধ করে কমিশন। রাজভবনে ইমেইল করে তা জানিয়েও দেওয়া হয়। 

    কমিশনের বক্তব্য (Lok Sabha Elections 2024)

    শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। এই দফায় নির্বাচন হবে উত্তরবঙ্গের তিন আসনেও। ১৭ এপ্রিল সন্ধে ছ’টায় শুরু হয়ে গিয়েছে সাইলেন্স পিরিয়ড। ভোটের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নিরাপত্তা কর্মীরা (Lok Sabha Elections 2024)। এমতাবস্থায় হাই প্রোফাইল কোনও ব্যক্তি সেখানে গেলে তাঁর নিরাপত্তার প্রয়োজন হবে। সেই কারণে প্রয়োজন হবে ফোর্সের। এই মুহূর্তে যা দেওয়া সম্ভব নয় বলেই কমিশনের বক্তব্য।

    সাইলেন্স পিরিয়ড

    প্রসঙ্গত, সাইলেন্স পিরিয়ড শুরু হয়ে গেলে কোনও নির্বাচনী কেন্দ্রে রাজনৈতিক কোনও ব্যক্তিত্ব যিনি ওই কেন্দ্রের ভোটার নন, তিনিও যেতে পারেন না। যেতে পারেন না হাই প্রোফাইল কোনও ব্যক্তিত্বও। রাজ্যপালের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকতে হয় জেলাশাসক, পুলিশসুপারকে। তাঁরা সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন নির্বাচনের কাজে। এই সব কারণে রাজ্যপালকে কোচবিহার সফরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে কমিশনের তরফে (Lok Sabha Elections 2024)।

    আরও পড়ুুন: রাম নবমীর শোভাযাত্রায় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেত্রী!

    শুক্রবার যে তিনটি আসনে লোকসভা নির্বাচন হবে, তার একটি কোচবিহার। এই কেন্দ্রে বিজেপির বাজি বিদায়ী মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। এই কেন্দ্রেরই শীতলকুচি, ভেটাগুড়ি-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে অশান্তির খবর। দিনহাটা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ সফরে যেতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নির্বাচনের দিন কোচবিহারে থেকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ভোট প্রক্রিয়ার অগ্রগতি দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে কমিশনের তরফে নিষেধ করায় আপাতত স্থগিত হয়ে গেল রাজ্যপালের কোচবিহার সফর (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০০ কোটি টাকা, জানাল কমিশন

    Lok Sabha Elections 2024: ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০০ কোটি টাকা, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালো টাকা উদ্ধারে জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Elections 2024)। তার ফলও মিলল হাতে হাতে। জানা গিয়েছে, মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১০০ কোটি টাকা করে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দাবি, ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকা করে বেআইনি নগদ বাজেয়াপ্ত করছেন কমিশনের আধিকারিকরা। কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এখনও পর্যন্ত ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে ৪ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। জারি করা বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, দেশের ৭৫ বছরের লোকসভা নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথম সর্বাধিক নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে কমিশন। ভোটারদের প্রভাবিত করতেই এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছিল বলেও খবর কমিশন সূত্রে।

    ফোর ‘এম’-এর বিরুদ্ধে লড়াই (Lok Sabha Elections 2024)

    ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। নির্বাচন হবে সাত দফায়। শেষ দফার নির্বাচন হবে ১ জুন। ফল ঘোষণা ৪ জুন। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার সময়ই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছিল, তাদের লড়াই ফোর ‘এম’-এর বিরুদ্ধে। এই ফোর ‘এম’ হল, ‘মানি পাওয়ার’, ‘মাসল পাওয়ার’, ‘মিসইনফর্মেশন’ এবং ‘মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট’ লঙ্ঘন। কমিশন জানিয়েছিল, এই লড়াই তাদের কাছে চ্যালেঞ্জিং। নির্বাচনে মানি পাওয়ার ব্যবহার করে যাতে কোনওভাবেই ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা না হয়, সেজন্য একাধিক কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। তার জেরেই ফি দিন বাজেয়াপ্ত হচ্ছে ১০০ কোটি করে টাকা।

    মাদক ও খয়রাতি

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার মাদক ও খয়রাতি বেড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। কমিশন এ পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করেছে ২,০৬৮.৮ কোটি টাকার মাদক। উদ্ধার হওয়া খয়রাতি দ্রব্যের মূল্য ১,১৪২.৪৯ কোটি টাকা। ৪৮৯.৩ কোটি টাকার মদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে (Lok Sabha Elections 2024)।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির নববর্ষ। ১৪ এপ্রিল জন্মেছিলেন সংবিধান প্রণেতা তথা দেশের প্রথম আইনমন্ত্রী বি আর অম্বেডকর। এহেন শুভ দিনেই লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) ইস্তাহার প্রকাশ করল বিজেপি। যার পোশাকি নাম ‘সঙ্কল্পপত্র’। ‘ন্যায়পত্র’ নাম দিয়ে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেসও। তবে সেখানে গালভরা প্রতিশ্রুতি থাকলেও, কীভাবে তা পূরণ হবে, তার কোনও নির্দিষ্ট দিশা নেই। আর ‘সঙ্কল্পপত্রে’ যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলি কীভাবে বাস্তবায়িত করা হবে, সেই মার্গও দর্শানো হয়েছে। বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা ইস্তাহার কমিটির হোতা রাজনাথ সিংহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

    সঙ্কল্পপত্র (Lok Sabha Elections 2024)

    ‘সঙ্কল্পপত্রে’র প্রথমেই সুনিশ্চিত করা হয়েছে দেশবাসীর খাদ্য নিরাপত্তা। ১১ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, “২০২০ সাল থেকে আমরা ৮০ কোটিরও বেশি নাগরিককে নিখরচায় রেশন সামগ্রী বিলি করছি। পিএম গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় আগামী পাঁচ বছরও মুফতে মিলবে রেশন সামগ্রী।” ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে দরিদ্রদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হবে (Lok Sabha Elections 2024)। এই প্রকল্পে এবার প্রবীণ নাগরিক ও ট্রান্সজেন্ডারদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। পিএম আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়া হবে প্রতিটি গরিব পরিবারকে। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবেন নলবাহিত পানীয় জল। প্রকল্পের নাম ‘হর ঘর নল সে জল’।

    লাখপতি দিদি

    ১৫ নম্বর পৃষ্ঠায় তিন কোটি গ্রামীণ মহিলাকে ‘লাখপতি দিদি’ বানানোর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ৫৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে নিখরচায় ইন্ড্রাস্ট্রি-ফোকাসড কোর্স করানো হবে। স্বল্প আয়ের পরিবারের লোকজন এতে উপকৃত হবেন। ১৩ পৃষ্ঠায় নয়া-মধ্যবিত্তদের রোজগার বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিং যাতে উন্নত হয় সেই সাহায্য করা হবে। গত দশ বছরে সৃষ্টি হয়েছে এই নয়া মধ্যবিত্ত শ্রেণির।

    আরও পড়ুুন: জট কাটল জয়শঙ্করের ফোনে, আটক ভারতীয় জাহাজিদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি ইরানের

    রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্র

    রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রকে স্বচ্ছ ও সিটিজেন-ফ্রেন্ডলি করতে রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি অ্যাক্ট ২০১৬-কে (Lok Sabha Elections 2024) আরও পোক্ত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, টু-টায়ার ও থ্রি-টায়ার শহরগুলিতে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম প্রসারে সাহায্য করা হবে। খোলা হবে নতুন আইআইটি, এইমস এবং আইআইএমএস। মধ্যবত্তি শ্রেণির মানুষের জীবন যাতে অনায়াস হয়, তাই ব্যবহার করা হবে প্রযুক্তির। জনওষুধি কেন্দ্রের মাধ্যমে যে ভর্তুকিযুক্ত ওষুধ সহবরাহ করা হচ্ছিল, তা চলবে। গড়া হবে নয়া মেডিক্যাল কলেজও। মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ যাতে আরও বেশি করে উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা পান, সেই জন্যই এহেন উদ্যোগ পদ্ম-পার্টির।

    তরুণদের ক্ষমতায়ণ

    দেশের তরুণদের ক্ষমতায়নের দিশা দেখানো হয়েছে ১৮ নম্বর পৃষ্ঠায়। ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া সিড ফান্ড স্কিম’ ও ‘স্টার্টআপ ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমে’ ফান্ডিং বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। মুদ্রা লোন লিমিটের (তরুণ ক্যাটেগরি) পরিমাণ ১০ লাখ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। জাতীয় শিক্ষা নীতির ওপরও জোর দিয়েছে বিজেপি। সঙ্কল্পপত্রের ৬০ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শিশুদের উন্নত শিক্ষা দিতে ‘পিএম শ্রী স্কুল’, ‘একলব্য স্কুল’ এবং এই ধরনের অন্যান্য স্কুলগুলিকে বিশ্বমানের গড়ে তোলা হবে। অটোমেটিক পার্মানেন্ট অ্যাকাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রির মাধ্যমে ‘এক দেশ, এক স্টুডেন্ট আইডি’র ব্যবস্থা করা হবে। ৫৭ পৃষ্ঠায় আরও বেশি করে এইমস এবং মেডিক্যাল কলেজ তৈরি এবং সেগুলিতে পড়ুয়াদের জন্য আসন সংখ্যাও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

    কিষান নিধি

    ‘কিষান নিধি যোজনা’য় কৃষকদের বার্ষিক ৬ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ধানের মতো প্রধান শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোরও। ভারতকে বিশ্বের নিউট্রিহাবে পরিণত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। মিলেট চাষেও উৎসাহ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল বীজ সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ৩১ নম্বর পৃষ্ঠায় ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাড়াতে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। খাদির পুনরুজ্জীবনের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। ভারতকে ‘গ্লোবাল টয় হাবে’ পরিণত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

    গ্লোবাল লিডার

    ভারতকে ‘গ্লোবাল লিডার’ বানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ৩৫ নম্বর পৃষ্ঠায় (Lok Sabha Elections 2024)। বলা হয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত যাতে স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে, তার চেষ্টাও করা হবে। সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিরুদ্ধ জারি থাকবে লড়াই। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। বিশ্বে যোগ এবং আয়ুর্বেদ চিকিৎসা প্রমোট করা হবে। ৪০ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ভারতকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় তিন নম্বরে নিয়ে যাওয়া হবে। ভারতের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। অযোধ্যার উন্নয়ন, ভারতীয় ম্যানুস্ক্রিপ্টের ডিজিটাইজেশন এবং ভারতীয় সংস্কৃতি কোষের উন্নয়নে গেরুয়া পার্টির দায়বদ্ধতার কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারের ৩৮ নম্বর পাতায়। এ প্রসঙ্গে ২০১৬-র ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ এবং উনিশের ‘এয়ার স্ট্রাইকে’র কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ইমপ্লিমেন্টেশনও নিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সিএএ লাগু করতে গিয়ে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা পূরণ করা হবে। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে দেশে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ লাগুর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারের ৫৪ পৃষ্ঠায়।

    বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে ডিজাইন, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং কবচ ট্রেন প্রোটেকশন সিস্টেম প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ৬জি প্রযুক্তির বিকাশ, দুলাখ গ্রাম পঞ্চায়েতকে ভারত নেটের আওতায় নিয়ে আসা, হাইস্পিড ইন্টারনেট অ্যাকসেসের সুবিধা দানের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু করতে যে কমিটি গড়া হয়েছিল, তার সুপারিশ বাস্তবায়িত করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: “কংগ্রেস দুর্নীতির আখড়া, ওদের অবস্থা বিগবসের মতো”, তোপ রাজনাথের

    Lok Sabha Elections 2024: “কংগ্রেস দুর্নীতির আখড়া, ওদের অবস্থা বিগবসের মতো”, তোপ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী (Lok Sabha Elections 2024) প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের। কংগ্রেস যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দুর্নীতি বেড়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। কংগ্রেস পার্টিকে তিনি রিয়েলিটি শো ‘বিগবসে’র সঙ্গেও তুলনা করেছেন।

    কী বললেন রাজনাথ? (Lok Sabha Elections 2024)

    শনিবার ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া ও কাঙ্কের জেলায় আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের পর এ রাজ্যে কংগ্রেসকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তারা ডাইনোসোরের মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।” এদিনের জনসভায় রাজনাথ আরও একবার ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র পক্ষে সওয়াল করেন। এতে যে সময় ও অর্থ দুই সাশ্রয় হয়, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। রাজনাথ বলেন, “কংগ্রেস যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দুর্নীতি বেড়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে দলটি (কংগ্রেস) যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।”

    ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’

    ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ছত্তিশগড়ের ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। সেই সময় উঠেছিল গোবর কেলেঙ্কারির অভিযোগ। এদিনের জনসভায় সেই প্রসঙ্গও টানেন রাজনাথ। তবে টানা দশ বছর ক্ষমতায় থাকলেও, নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ ওঠেনি, তাও মনে করিয়ে দেন রাজনাথ (Lok Sabha Elections 2024)। বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কেউ একটাও দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারবেন না।” মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেওকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যের নয়া বিজেপি সরকার দ্রুত ছত্তিশগড়ের উন্নয়ন করবে।” কংগ্রেসকে মরচে পড়া লোহার সঙ্গেও তুলনা করেন রাজনাথ। তার পরেই তিনি বলেন, “কংগ্রেস বিগবস (রিয়েলিটি শো) হাউসের মতো। এর নেতারা সর্বদা একে অন্যের জামা ছিঁড়ে ফেলতে ব্যস্ত।”

    আরও পড়ুুন: প্রচারে গিয়ে পাথরের ঘায়ে জখম অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী, আরোগ্য কামনা প্রধানমন্ত্রীর

    কংগ্রেসের অবস্থা ক্রমেই শোচনীয় হচ্ছে বলেও দাবি রাজনাথের। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যেই কংগ্রেস দলটা লাটে উঠে যাবে। পরে যখন প্রসঙ্গক্রমে কংগ্রেসের কথা উঠবে, তখন বাচ্চারা জিজ্ঞাসা করবে কংগ্রেস কে।” এর পরেই তিনি বলেন, “ডাইনোসোরের মতো কংগ্রেসও বিলুপ্ত হয়ে যাবে অচিরেই। সেই কারণেই কংগ্রেস ছেড়ে নেতারা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে (Lok Sabha Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: প্রচারে গিয়ে পাথরের ঘায়ে জখম অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী, আরোগ্য কামনা প্রধানমন্ত্রীর  

    Lok Sabha Elections 2024: প্রচারে গিয়ে পাথরের ঘায়ে জখম অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী, আরোগ্য কামনা প্রধানমন্ত্রীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাথরের ঘায়ে জখম অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি (Lok Sabha Elections 2024)। তাঁর কপাল ফেটে গিয়েছে। কপালে দু’টি সেলাইও করতে হয়েছে। রেড্ডির দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    কপালে সেলাই (Lok Sabha Elections 2024)

    শনিবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন রেড্ডি। লোকসভার পাশাপাশি এ রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচনও। এদিন বিজয়ওয়াড়ায় প্রচারে গিয়ে রেড্ডি হাত নাড়ছিলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে। সেই সময় জনতার ভিড় থেকে আচমকাই একটি (Lok Sabha Elections 2024) পাথরের টুকরো এসে লাগে মুখ্যমন্ত্রীর কপালে। স্থানীয় চিকিৎসক তাঁর কাটা জায়গা সেলাই করে দেন। এরপর ফের প্রচারে বের হন ওয়াইএসআর কংগ্রেস সুপ্রিমো।

    কাঠগডায় টিডিপি

    ওয়াইএসআর কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের দাবি, স্কুল বিল্ডিং থেকেই হামলা চালানো হয়েছিল। টিডিপি ভয় পেয়ে এমন ঘৃণ্য হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু। তিনি বলেন, “জগন্মোহন রেড্ডির ওপরে এই হামলার তীব্র নিন্দা করি। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করছি।” ঘটনার নিন্দা করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ওপর পাথর ছোড়ার তীব্র নিন্দা করি। রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য কখনওই হিংসার রূপ নেওয়া উচিত নয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমাদের পারস্পরিক সম্মান ও সৌজন্য তুলে ধরা উচিত। ওঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।”

    প্রসঙ্গত, ১৩ মে নির্বাচন হবে অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫টি লোকসভা কেন্দ্রে। এদিনই হবে রাজ্যের ১৭৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনও। রেড্ডির ওপর আঘাতের খবর পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমি আপনার দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করি। অন্ধ্রপ্রদেশের সিএম ওয়াইএস জগন গুরুর সুস্বাস্থ্যও কামনা করি (Lok Sabha Elections 2024)।”

      আরও পড়ুুন: “বাংলা হচ্ছে জঙ্গিদের সেফ করিডর”, বিস্ফোরক দিলীপ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: বাংলা নববর্ষে ইস্তাহার প্রকাশ করবে বিজেপি! সঙ্কল্পপত্রে কী রয়েছে জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: বাংলা নববর্ষে ইস্তাহার প্রকাশ করবে বিজেপি! সঙ্কল্পপত্রে কী রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হবে ১৯ এপ্রিল। তার আগে ১৪ এপ্রিল ইস্তাহার প্রকাশ করবে বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024)। ঘটনাচক্রে এই দিনটি বাংলা নববর্ষ। এই দিনেই ইস্তাহার প্রকাশ করবে পদ্ম-পার্টি। বিজেপির ইস্তাহারের নাম ‘সঙ্কল্প পত্র’। ইস্তাহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ইস্তাহার কমিটির মাথায় রয়েছেন রাজনাথ। ইতিমধ্যেই এই কমিটির বৈঠক হয়ে গিয়েছে দু’বার। ইস্তাহার তৈরিতে বিজেপি দেড় মিলিয়নেরও বেশি প্রস্তাব পেয়েছে জনগণের কাছ থেকে।

    বিজেপির সঙ্কল্পপত্র

    গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বিজেপির সঙ্কল্পপত্রে (Lok Sabha Elections 2024) আলোকপাত করা হবে মূলত উন্নয়নের ওপর। সমৃদ্ধশালী ভারত, মহিলা, যুব, গরিব এবং কৃষকের জন্য কী কী উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, থাকছে তাও। যেসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করা যাবে, সেগুলির ওপরই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। আলোকপাত করা হবে সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের ওপরও। ইস্তাহারের থিম, ‘মোদির গ্যারান্টি: ডেভেলপড ইন্ডিয়া ২০৪৭’।

    ইস্তাহার কমিটি

    বিজেপির এই ইস্তাহার কমিটিতে রয়েছেন ২৭ জন। কমিটির আহ্বায়ক নির্মলা সীতারামন। সহ-আহ্বায়ক পীযূষ গয়াল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে কমিটিতে জায়গা হয়েছে ধর্মেন্দ্র প্রধান, অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং ভূপেন্দ্র যাদবের। বিজেপি শাসিত (Lok Sabha Elections 2024) চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন। এঁরা হলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। এই কমিটিতে বাংলার কোনও প্রতিনিধি নেই। যেমন ওই চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কমিটিতে জায়গা দেওয়া হলেও, ঠাঁই হয়নি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির তারকা প্রচারক যোগী আদিত্যনাথের। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তারিক মনসুর ও অনিল অ্যান্টনি অবশ্য রয়েছেন ওই সাতাশজনের কমিটিতে।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু, শিখদের সম্পত্তি ফেরাবে তালিবান সরকার! স্বাগত জানাল ভারত

    বাংলা নববর্ষের দিন বিজেপি ইস্তাহার প্রকাশ করলেও, কংগ্রেসের ‘ন্যায়পত্র’ (ইস্তাহারের পোশাকি নাম) প্রকাশিত হয়েছে ঢের আগে। এই ইস্তাহারে মূলত ২৫টি বিষয়ে গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, কংগ্রেসের ইস্তাহারে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, তা কীভাবে রূপায়িত হবে, তার কোনও সঠিক দিশা নেই। কংগ্রেসের ইস্তাহারকে ‘মিথ্যার ফুলঝুরি’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: স্কুলে খয়রাতির খাতায় মমতার ছবি, কমিশনে নালিশ ঠুকল বিজেপি

    Lok Sabha Elections 2024: স্কুলে খয়রাতির খাতায় মমতার ছবি, কমিশনে নালিশ ঠুকল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টম শ্রেণির ‘স্বাস্থ্য ও শরীর শিক্ষা’ বই পায়নি বহু স্কুলের পড়ুয়া। অথচ নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024) ঘনিয়ে আসতেই বিলি করা হচ্ছে খাতা। খয়রাতির এই খাতায় তুলে ধরা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিজ্ঞাপন। অন্তত এমনই অভিযোগ বিজেপির।

    খয়রাতির খাতার মলাটে মমতার ছবি (Lok Sabha Elections 2024)

    পদ্ম-পার্টির অভিযোগ, সম্প্রতি শিক্ষা দফতরের তরফে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে খাতা। অভিযোগ, খয়রাতির সেই খাতার মলাটেই ব্যবহার করা হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তৃণমূল পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণ বিধিভঙ্গের অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। বুধবার রাজ্যের (Lok Sabha Elections 2024) মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে এ ব্যাপারে নালিশ ঠুকেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের প্রভাবিত করতেই খাতায় ব্যবহার করা হয়েছে তৃণমূল নেত্রীর ছবি।

    বিকল্প মার্গ দর্শন বিজেপির

    অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে লেখা ওই চিঠির সঙ্গে খয়রাতির সেই খাতার ছবিও পাঠিয়েছেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া। নির্বাচন কমিশন যাতে বিষয়টিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে, সেই অনুরোধও করা হয়েছে। খাতার মলাটে স্বামী বিবেকানন্দ ও বিদ্যাসাগরের মতো মনীষীদের ছবি ব্যবহারের বিকল্প মার্গ দর্শনও করা হয়েছে চিঠিতে। চিঠিটির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে বিশেষ পর্যবেক্ষক ও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের কাছেও।

    এ বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, “শিক্ষা দফতর হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠেছে ও পড়ুয়াদের নোটবুক বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও আদর্শ নির্বাচনী বিধি কার্যকর হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একজন জনপ্রতিনিধি। তাই তাঁর ছবি সম্বলিত নোটবুক বিলির বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে পড়ে যেতে পারে। নির্বাচন কমিশনের মনে হতে পারে, অভিভাবকদের প্রভাবিত করতেই নোটবুক বিলি করা হচ্ছে। শিক্ষা দফতরের উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সরিয়ে ফেলা এবং স্বামী বিবেকানন্দ ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছবি ছাপিয়ে নোটবুক বিলি করা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অসাংবিধানিক ভাষা প্রয়োগ করার অভিযোগও উঠেছিল মমতার বিরুদ্ধে। সেই প্রেক্ষিতেও কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024)।

    আরও পড়ুুন: ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় সায়, ন্যাশলান হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: কোচবিহারে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী, প্রথম দফায় মোট ২৬৩ কোম্পানি আধাসেনা

    Lok Sabha Elections 2024: কোচবিহারে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী, প্রথম দফায় মোট ২৬৩ কোম্পানি আধাসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়রে লোকসভা ভোট (Lok Sabha Elections 2024)। আগামী ১৯ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট হবে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে। প্রথম দফাতে কোচবিহারে সব থেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। কোথায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে তা নিয়ে সম্প্রতি বিএসএফ গেস্ট হাউসে বৈঠকে বসেছিলেন কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল কুমার শর্মা। সেখানেই ফোর্স মোতায়েনের সম্ভাব্য সংখ্যা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    কোথায় কত কোম্পানি বাহিনী

    কোচবিহারে এবার ১১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ এ ছাড়া জলপাইগুড়িতে মোট ৭৫ কোম্পানি আধাসেনা রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ও আলিপুরদুয়ারে মোট ৬৩ কোম্পানি আধা সেনা থাকবে৷ এ ছাড়াও শিলিগুড়িতে থাকবে মোট ১৩ কোম্পানি আধাসেনা৷ তিন লোকসভা আসন মিলিয়ে মোট ২৬৩ কোম্পানি আধাসেনা রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এডিজি আইনশৃঙ্খলার তরফ থেকে৷ কমিশন সূত্রের খবর, কোচবিহারে মোট ভোটার সংখ্যা  ১৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৯৩ জন। আলিপুরদুয়ার ১৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ২৫২ জন এবং জলপাইগুড়িতে ১৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৯৬৩ জন।

    কেন কোচবিহারে বেশি বাহিনী

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহারেই ফলিমারিতে বুথের মধ্যে ঢুকে বিজেপি এজেন্টকে বোমা ছুড়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। এই কোচবিহারেই আবার শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্র। গত একুশের নির্বাচনে সেখানেও রক্ত ঝরে। কোচবিহারে রয়েছে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র। প্রতিটি কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসাবে গণ্য করছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠুভাবে ভোটের (Lok Sabha Elections 2024) কাজ সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে এলাকায় পৌঁছে রুটমার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে বাকি ফোর্সও এলাকার উদ্দেশে রওনা দেবে বলে কমিশন সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ ধারাটির অপব্যবহার হচ্ছে, মত কর্নাটক হাইকোর্টের

    প্রথম থেকে বাংলার প্রতিটি বুথেই অর্থাৎ মোট ৮০ হাজার ৫৩০ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচন কমিশনের মুখ্য আধিকারিক রাজীব কুমার। বাংলায় প্রথমেই ১৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। এরপর আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। রাজ্যের একশো শতাংশ বুথকেই স্পর্শকাতর হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে চাইছে কমিশন।  এবারের লোকসভা নির্বাচনে মোট ৯২০ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে চাইছে কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chief Election Commissioner: প্রাণহানির আশঙ্কা! মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা কেন্দ্রের

    Chief Election Commissioner: প্রাণহানির আশঙ্কা! মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। তাই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner) রাজীব কুমারকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরা। জানা গিয়েছে, রাজীবের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের ৪০-৪৫ জন রক্ষী। সম্প্রতি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা। রাজীবকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। তার পরেই আজ, মঙ্গলবার থেকেই রাজীবের নিরাপত্তায় তৈরি হয়েছে বলয়। সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক হুমকির কারণে রাজীবের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

    রাজীবের নিরাপত্তা

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের যাওয়া-আসা মায় চব্বিশ ঘণ্টা দিল্লিতে ও তাঁর অফিসে থাকার সময়ও এই জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তিনি কোথাও সফরে গেলেও, তাঁর নিরাপত্তার বলয় থাকবে অটুট। এবার লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। প্রথম দফায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে ১৯ এপ্রিল। এদিন দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন হবে এ রাজ্যের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার আসনেও। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখতে কার্যত দেশ চষে বেড়াতে হবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে। তদন্তকারী একাধিক সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ই হামলা হতে পারে রাজীবের ওপর। এই তথ্য পাওয়ার পরেই রাজীবকে (Chief Election Commissioner) জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক।

    আরও পড়ুুন: শুরু হয়ে গেল নবরাত্রি উৎসব, জানুন এই মহাব্রতের তাৎপর্য

    রাজীব কুমার

    ১৯৮৪ সালের ব্যাচের প্রাক্তন আইএএস রাজীব। ২০২২ সালের ২৫ মে ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। তার আগে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার। ওই পদে তিনি যোগ দিয়েছিলেন ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর। তিনি দেশের ২৫তম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। এবার রক্তপাতহীন নির্বাচন করাতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। সেই কারণেই সাত দফায় হচ্ছে নির্বাচন। মোতায়েন করা হচ্ছে প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাংলার প্রতিটি বুথে থাকবে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা। সাহায্য নেওয়া হবে এআই প্রযুক্তিরও। পাঞ্জাবের ভোটেও থাকবে এসব ব্যবস্থা। এসব কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই রাজীবের ওপর হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা (Chief Election Commissioner)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share