Tag: lok sabha polls

lok sabha polls

  • Lok Sabha Polls: ফের ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে, বিজেপিতে যোগ বিহারের তিন বিধায়কের

    Lok Sabha Polls: ফের ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে, বিজেপিতে যোগ বিহারের তিন বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে। মঙ্গলবার কংগ্রেসের দুই ও আরজেডির এক বিধায়ক ঘোষণা করলেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা (Lok Sabha Polls)। মহাগটবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি শিবিরে ফিরেছেন নীতীশ কুমার। তার পর থেকে বিহারে ভাঙছে ‘ইন্ডি’ জোট। এদিন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর উপস্থিতিতে তাঁরা যোগ দেন বিজেপিতে।

    কারা যোগ দিলেন বিজেপিতে?

    এদিন যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁরা হলেন কংগ্রেসের মুরারী গৌতম ও সিদ্ধার্থ সৌরভ। আরজেডির বিধায়ক সঙ্গীতা দেবীও হাতে তুলে নিয়েছেন গেরুয়া ঝান্ডা। মহাগটবন্ধন সরকারে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ। সেই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন মুরারী। আর পাটনা জেলার বিক্রম বিধানসভা কেন্দ্রের দু বারের বিধায়ক সিদ্ধার্থ। মোহানিয়া কেন্দ্রের সঙ্গীতা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন (Lok Sabha Polls)।

    ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা ব্যর্থ

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিজেপি শিবিরে ভিড়েছিলেন নীতীশ। তখনই জল্পনা ছড়িয়েছিল, কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়কের মধ্যে অন্তত ১০ জন হাত-সঙ্গ ছাড়তে চলেছেন। ভাঙন ঠেকাতে তড়িঘড়ি কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গনার একটি রিসর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিধায়কদের। তার পরেও অবশ্য এড়ানো গেল না ভাঙন। লোকসভা নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ভাঙন তত বাড়বে বই কমবে না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩ জন। এর মধ্যে বিজেপি, জেডি(ইউ) এবং পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝির দল এইচএএমের জোটের দখলে রয়েছে ১২৮টি আসন।

    আরও পড়ুুন: “মমতা ভোটের রাজনীতি করছেন”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁছেছিল বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছিল ইন্ডি। জন্মলগ্ন থেকেই অশান্তির চোরা স্রোত বইছে ইন্ডির অন্দরে। কখনও প্রধানমন্ত্রী মুখ কে হবেন তা নিয়ে, কখনও আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জোটের কোনও এক নেতার মঞ্চ শেয়ার করা নিয়ে অশান্তি লেগেই রয়েছে। এরই মাঝে পদ্মার ভাঙনের মতো নিত্য ভাঙছে জোট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়তে থাকবে ভাঙন। তাই বিজেপিকে মাত দিতে গিয়ে জন্ম হয়েছিল যে জোটের, নির্বাচনের আগে সেই জোট আদৌ টেকে কিনা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন (Lok Sabha Polls)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Artificial Intelligence: বুথ জ্যাম, ছাপ্পা রুখতে লোকসভা ভোটে নির্বাচন কমিশনের হাতিয়ার এআই প্রযুক্তি

    Artificial Intelligence: বুথ জ্যাম, ছাপ্পা রুখতে লোকসভা ভোটে নির্বাচন কমিশনের হাতিয়ার এআই প্রযুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোট নিয়ে নির্বাচনে কম অভিযোগ ওঠে না। এসব রুখতে লোকসভা নির্বাচনে আসছে এআই (AI) প্রযুক্তি। যে সব বুথে ওয়েব কাস্ট হবে, সেখানে ব্যবহার করা হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence)। ইতিমধ্যেই ওয়েব কাস্টিং নিয়ে ই টেন্ডার ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে বিষয়টি নিয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠে। এবার তাই সরাসরি AI প্রযুক্তিতে ভরসা রাখতে চলেছে কমিশন।

    ওয়েব কাস্টিং-এর ক্ষেত্রে কার্যকর (Artificial Intelligence)

    প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সব রকম কারচুপিকে আর্টিফিশিয়ালি নিয়ন্ত্রণ করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিশেষ করে ওয়েব কাস্টিং-এর ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়েই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে এই বিষয়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়ে গিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ই-টেন্ডার হয়ে গিয়েছে ওয়েব কাস্টিং নিয়ে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে (Artificial Intelligence) কাজে লাগিয়েই বিরোধীদের তোলা সব অভিযোগকে নস্যাৎ করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

    খুঁটিনাটি ধরা পড়বে কমিশনের সকলের চোখে (Artificial Intelligence)

    প্রযুক্তির মাধ্যমেই এবার এক নিমেষ ওয়েব কাস্টিং-এর খুঁটিনাটি ধরা পড়বে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সকলের চোখে। উল্লেখ্য, এর আগে শাসক থেকে বিরোধী, সকলেই অভিযোগ তুলেছিল নির্বাচন কমিশনের দিকে এই ওয়েবকাস্টিংকে নিয়ে। এতে বেশ কিছু জায়গায় খামতির অভিযোগ ছিল। কিন্তু এবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) যেভাবে কাজ করবে, তাতে আর কোনও অভিযোগ উঠবে না বলেই নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। এখন দেখার বিষয় একটাই, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হবার আগে থাকতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন এই প্রথমবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সহ যেসব পদক্ষেগুলি করছে, তাতে করে এই রাজ্যে সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে কতটা সক্ষম হয় তারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ভোটের কালি সহজে ওঠে না, জানেন কোথায় তৈরি হয় এই বিশেষ রঙ?

    Lok Sabha Elections 2024: ভোটের কালি সহজে ওঠে না, জানেন কোথায় তৈরি হয় এই বিশেষ রঙ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়রে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এই ভোট যুদ্ধ। সাত দফার এই লম্বা ভোটপর্ব চলবে ৪ জুন পর্যন্ত৷ ভোট দিলেই হাতে লাগিয়ে দেওয়া হয় কালি, যা আপনার নাগরিকত্বের একটা প্রমাণ। তবে ভোট দেওয়ার সময় হাতের আঙুলে যে কালি লাগানো হয়, তা কে বা কারা তৈরি করেন,জানতে ইচ্ছে করে তো! ১৯৬২ সাল থেকে মাইসোর পেইন্টস অ্যান্ড বার্নিশ লিমিটেড (Mysore Paints) অথবা এমপিভিএল এই ভোটের কালি তৈরি করে আসছে৷ 

    এই সংস্থার পরিচয়

    ভোট প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে ১৯৬২ সালে প্রথমবার এই কালি ভোটারদের আঙুলে লাগানো শুরু হয়৷ যেহেতু এই কালি সহজে মোছে না, তাই একজন ভোটার যাতে দু বার ভোট (Lok Sabha Elections 2024) না দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন৷ সেই সময় থেকেই এই কালি তৈরি করছে মাইসোর পেইন্টস অ্যান্ড বার্নিশ লিমিটেড। এটি কর্ণাটক সরকারের অধীনস্ত একটি সংস্থা৷ ১৯৩৭ সালে এই সংস্থা শুরু হয়৷ শুধু ভারত নয়, আরও ২৫টি দেশে এই সংস্থা ভোটের কালি রফতানি করে। এবারও নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২৬ লক্ষ ভায়াল (শিশি) কালি তৈরির বরাত পেয়েছে ‘দ্য মাইসোর পেইন্টস অ্যান্ড বার্নিশ লিমিটেড’৷ এমনিতে এই কালি খোলা বাজারে বিক্রি হয় না। নির্বাচন কমিশন বরাত দিয়ে এই কালি বানায়।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ৩ বিজেপি কর্মীর খুনে অভিযুক্ত শাহজাহান, কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

    কোন ফর্মুলায় তৈরি

    কোন ফর্মুলায় এই ভোটের কালি (Lok Sabha Elections 2024) তৈরি করা হয়, তা এমপিভিএল গোপন রাখে৷ ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরির সহায়তায় এই ভোটের কালি তৈরি করে এমপিভিএল৷ যাঁরা এই কালি তৈরিতে যুক্ত, তাঁরাও গোটাটা জানেন না। একেক জন এক একেকটি অংশ জানেন। ‘সবে মিলে করি কাজ’ ফর্মুলায় তৈরি হয় ভোটের কালি। এই কালি ভোটদানের চিহ্নস্বরূপ সাধারণ মানুষের বাঁ-হাতের তর্জনীতে লাগানো হয়৷ এমপিভিএল-এর তৈরি এই বিশেষ কালি এক একটি ছোট শিশিতে ১০ এমএল করে থাকে৷ তা দিয়ে প্রায় ৭০০ জনের আঙুলে কালি লাগানো যায়। ভোটে কালির এই দশ এমএল-এর শিশির দাম ১২৭ টাকা। আগে, কালি কাঁচের শিশিতে সরবরাহ করা হলেও এখন প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা হয়৷ কালিতে সিলভার নাইট্রেট থাকে, যা ত্বকের সংস্পর্শে এসে কালো হয়ে যায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: দুয়ারে লোকসভা ভোট, মোদিকে দিয়ে শতাধিক সভা করাতে চাইছে বিজেপি

    PM Modi: দুয়ারে লোকসভা ভোট, মোদিকে দিয়ে শতাধিক সভা করাতে চাইছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। বিরোধীদের অবশ্য ছন্নছাড়া দশা। এমতাবস্থায় আরও বেশি করে আসন নিয়ে এবারও কেন্দ্রের রশি হাতে নিতে চাইছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) দিয়ে ১৪০টিরও বেশি জনসভা করাতে চাইছে পদ্মশিবির।

    ‘গাঁও চলো অভিযান’

    জনগণের দোরে পৌঁছতে বিজেপি হাতে নিয়েছে ‘গাঁও চলো অভিযান’। ফেব্রুয়ারির ৪ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে বিজেপির অন্তত একজন কর্মী দেশের সাত লাখ গ্রাম এবং শহরের বুথগুলিতে উপস্থিত থাকবেন। নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে কী কী উন্নয়নমূলক এবং জনকল্যাণমূলক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, ভোটারদের কাছে তা তুলে ধরতেই ‘গাঁও চলো অভিযান’ পালন করবেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রে খবর, জনসংযোগ করতে প্রধানমন্ত্রী যোগ দিতে পারেন ১৪০টিরও বেশি কর্মসূচিতে। এর মধ্যে যেমন জনসভা রয়েছে, তেমনি রয়েছে মিছিল, রোড-শোও।

    ক্লাস্টার নেতাদের সঙ্গে কথা মোদির

    বিজেপির (PM Modi) একটি সূত্রের খবর, সাত থেকে আটটি লোকসভা নিয়ে একটি ক্লাস্টার গঠন করা হয়েছে। এই ক্লাস্টারগুলির দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপির স্থানীয় নেতারা। এই নেতারা নির্বাচনে লড়বেন না। ক্লাস্টারগুলির অন্তত একটি লোকসভা কেন্দ্রে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যোগ দেবেন জনসভা কিংবা রোড-শোয়ে। কথা বলবেন ক্লাস্টার ইনচার্জের সঙ্গে। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলবেন। ক্লাস্টারের যে কেন্দ্রটিতে তিনি যাবেন, সেটি বাদে ওই ক্লাস্টারের বাকি আসনগুলির নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: পরাক্রম দিবসে সন্ধ্যায় লালকেল্লার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    পদ্মশিবির সূত্রে খবর, বিভিন্ন কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ এবং যাঁরা প্রার্থী হতে চাইছেন একটি কমিটির মাধ্যমে তাঁদের ওপর নজর রাখছেন ক্লাস্টার ইনচার্জ। এই কমিটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং জাতীয় সম্পাদক (সাংগঠনিক) বিএল সন্তোষ। গেরুয়া শিবিরের এক প্রবীণ নেতা জানান, দিল্লি নিজেই একটি ক্লাস্টার। আবার উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রে দলের তরফে আয়োজন করা হয়েছে ‘খেল স্পর্ধা’র (ক্রীড়া প্রতিযোগিতা)। এই ‘খেল স্পর্ধা’ হবে দেশের বাছাই করা কিছু লোকসভা কেন্দ্রে। এভাবেই ভোটারদের কাছে পৌঁছতে চাইছে পদ্ম শিবির (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Durgapur: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নতুন প্রচার, শুরু ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’

    Durgapur: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নতুন প্রচার, শুরু ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ প্রচার অভিযানের সূচনা হল। সামনেই লোকসভার নির্বাচন। তাই প্রচার নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে দুর্গাপুরে (Durgapur)। কেন্দ্রীয় সরকারের নানান জনমুখী কাজের প্রচার করতেই এই ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’ ক্যাম্পের আয়োজন। রাজ্যের মধ্যে দুর্গাপুর নগর নিগমের চার নম্বর ওয়ার্ডের ইস্পাতপল্লিতে এই প্রকল্পের সূচনা করলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, আমাদের ‘দুয়ারে সরকার’-এর দেখাদেখি বিজেপি ভোটের আগে প্রচারের আলো পেতে নাটক করছে।

    রাজ্যে রাজ্যে আগে এই যাত্রার সূচনা হলেও বাংলায় এবার শুরু হয়েছে। রাজ্যে মোট এই সংকল্প যাত্রায় দলের কেন্দ্রীয় স্তর থেকে মোট ১৮ টি ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র রথ পেয়েছে। রথের মতো করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পোস্টার দিয়ে একটি গাড়িকে সাজানো হয়েছে। গাড়িতে রয়েছে একটি করে বড় টিভি। সঙ্গে চলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ এবং ভিডিও।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ (Durgapur)?

    দুর্গাপুরে (Durgapur) এই দিন ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’-এর সূচনা করে বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া বলেন, “মোদি সরকারের জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা সকল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই ক্যাম্প থেকে উজ্জলা যোজনা, মুদ্রা লোন, প্রধানমন্ত্রী জীবন বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা-সহ আরও একধিক কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের কথা সম্পর্কে বিস্তৃত জানা যাবে। কীভাবে আবেদন করবেন, কীভবে প্রকল্পের সুবিধা পাবেন, কোনও অসুবিধা হলে কোথায় জানাবেন ইত্যাদি বিষয়ে ক্যাম্প থেকে সহযোগিতা করা হবে। এমনকী আবেদনকারীরা কীভাবে ঋণ পাবেন সেই ব্যবস্থা করা হবে।” শুধু ক্যাম্প নয়, ক্যাম্পের বিষয় নিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ গাড়ি এলাকায় এলাকায় প্রচার করবে বলে জানা গিয়েছে। এই সাংসদ ‘বিকশিত প্রকল্প’ প্রচারে প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলকে বলেন, “যদি বাধা প্রদান করে তাহলে তারাও বুঝতে পারবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপির এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে স্থানীয় তৃণমূলের বক্তব্য, “আমাদের সফল প্রকল্প ছিল ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। বিজেপি তৃণমূল সরকারকে অনুকরণ করছে।” দুর্গাপুর (Durgapur) জেলার তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের প্রাপ্য টাকা যদি বিজেপি সরকার না দেয় তাহলে ‘বিকশিত ভারত’ প্রকল্পের কর্মীদের আটক করে বিক্ষোভ দেখানো হবে।” প্রসঙ্গত এই ক্যাম্পে যে সব উপভোক্তারা এসেছেন তাঁরা এই উদ্যোগে বেশ খুশি বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক নিযুক্ত মঙ্গল পাণ্ডে, জানেন কে তিনি?

    Bengal BJP: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক নিযুক্ত মঙ্গল পাণ্ডে, জানেন কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (2024 Lok sabha Elections)। আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) সহ বিভিন্ন রাজ্যের রশি তুলে দেওয়া হল দক্ষ সংগঠকদের হাতে। শুক্রবার বৈঠকে বসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়। বাংলার দায়িত্ব বর্তাল মঙ্গল পাণ্ডের হাতে। বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী কাঁধে তুলে দেওয়া হল দায়িত্ব। 

    কে এই মঙ্গল পাণ্ডে? জানা গিয়েছে, বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে বাংলার সংগঠনের দেখভাল করবেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে তাঁকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা তাঁকে নিয়োগ করেন। মঙ্গল পাণ্ডেকে সাহায্য করবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য এবং নেত্রী আশা লাখরা। এরাজ্যে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরা।

    নীতীশ কুমার যখন বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার চালাচ্ছিলেন, তখন মঙ্গল পাণ্ডে পালন করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। দুঁদে রাজনীতিকের পাশাপাশি তিনি দক্ষ সংগঠকও। সেই কারণেই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বাংলার দায়িত্ব। একুশের ভোটে বাংলায় আশাব্যঞ্জক ফল হয়নি বিজেপির। তাই রাজ্য বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে একাধিকবার স্থায়ী পর্যবেক্ষকের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। রাজ্য বিজেপির সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই মঙ্গল পাণ্ডেকে দেওয়া হল বাংলার দায়িত্ব। 

    আরও পড়ুন : লক্ষ্য ২০২৪, মেগা বৈঠকে বিজেপি, কী আলোচনা হল জানেন?

    গতমাসেই রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নেতা নিযুক্ত হন বহু-যুদ্ধের ঘোড়া সুনীল বনসল। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও, ওড়িশা ও তেলঙ্গানার দায়িত্বে রয়েছেন সুনীল। ওড়িশা ও তেলঙ্গানায় বিধানসভা ভোট আসন্ন। দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের নেতৃত্বের কাছে, এই দুই বিরোধী-শাসিত রাজ্যে জয়ী হতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। ফলত, সুনীলের ওপর গুরুদায়িত্ব রয়েছে। সব দিক বিচার করে, পশ্চিমবঙ্গকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষক হিসেবে মঙ্গলকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। জানা গিয়েছে, সুনীলের অধীনে থাকবেন মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য ও আশা লখরা।

    বাংলার পাশাপাশি বিজেপি নজর দিয়েছে বিহারের দিকেও। বিহারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিনোদ টাওডেকে। বিহারের সহ পর্যবেক্ষক থাকছেন হরিশ দ্বিবেদী। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রকেও। উত্তর পূর্বের আটটি রাজ্যের কোঅর্ডিনেটর করা হয়েছে তাঁকে। দলের জাতীয় সম্পাদক ঋতুরাজ সিনহাকে দেওয়া হয়েছে জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাঞ্জাব ও ছত্তিশগড়ের। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে দেওয়া হয়েছে হরিয়ানার দায়িত্ব। কেরলের ভার দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের হাতে। 

    গুজরাট এবং ত্রিপুরায় সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আরও কয়েকটি রাজ্যেও রয়েছে নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই রাজ্যগুলির কুর্সি দখলই এই মুহূর্তে পাখির চোখ গেরুয়া নেতৃত্বের। এই বিধানসভা নির্বাচনের পর্ব মিটতে মিটতে বাজবে লোকসভা ভোটের বাদ্যি। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই অগোছাল বিরোধীদের একজোট হওয়ার আগেই ঘর গুছিয়ে ফেলল বিজেপি। সেই কারণেই রদবদল হল পদ্মশিবিরে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     
LinkedIn
Share