Tag: Lok Sabha Secretariat

Lok Sabha Secretariat

  • BJP: সুকান্তকে বারবার হেনস্তা! ব্যাখ্যা তলব লোকসভার, একই অভিযোগে হাইকোর্টে বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    BJP: সুকান্তকে বারবার হেনস্তা! ব্যাখ্যা তলব লোকসভার, একই অভিযোগে হাইকোর্টে বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপর হামলার ঘটনায় এবার সক্রিয় হল লোকসভার সচিবালয়। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, তাঁকে একাধিকবার ‘হেনস্থা’ করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে এদিনই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, পুলিশ তাঁকে বার বার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেনস্থা করেছে। পুলিশের ‘অতিসক্রিয়তা’ নিয়ে মামলা দায়েরের আবেদন জানানো হয় এদিন। আদালত থেকে মামলা দায়েরের অনুমতিও মিলেছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিলেই সুকান্তকে বার বার পুলিশ হয়রানি করছে

    এর আগে, কখনও বজবজে, আবার কখনও খাস কলকাতার বুকে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এমনকি, তিনি একাধিকবার গ্রেফতারও হয়েছেন পুলিশের হাতে। পরে অবশ্য ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন সুকান্ত। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিলেই সুকান্তকে বার বার পুলিশি হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। গেরুয়া শিবির মনে করছে, এর সবটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

    ১৯ জুন বজবজে আক্রান্ত হন সুকান্ত, ভিডিও পাঠানো হয় ওম বিড়লাকে

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে এক আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। সেই সময় তাঁর কনভয় প্রথমে আটকে দেওয়া হয়, এরপর তিনি রাস্তায় নামতেই ইট-পাটকেল, এমনকি জুতো ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ-সহ বিবরণ পাঠানো হয় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে। সেই সঙ্গে ‘স্বাধিকারভঙ্গ’-এর অভিযোগও তোলা হয় এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে (BJP) চিঠি দেয় লোকসভার সচিবালয়। ওই চিঠিতে ১৫ দিনের মধ্যে ঘটনার প্রকৃত বিবরণ (ফ্যাকচুয়াল নোট) জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নোট তৈরির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করার কথা বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিবেদন হাতে এলেই তা স্পিকারের কাছে পেশ করবে লোকসভার সচিবালয়।

    কী বলছেন সুকান্তর আইনজীবী?

    অন্যদিকে, এদিন হাইকোর্টে মামলা দায়েরের সময় সুকান্ত মজুমদারের আইনজীবীও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিজেপি (BJP) নেতাকে টার্গেট করা হচ্ছে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে এই বিষয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছিল। তবে, কোনও জবাব না পাওয়ায় আইনি পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে খবর বিজেপি সূত্রে।

    ১৯ জুনের ঘটনার জেরে তিন পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে

    এছাড়া ১৯ জুনের ঘটনার জেরে তিন পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে। তাঁরা হলেন ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), এবং স্থানীয় এসডিপিও। সুকান্ত যে চিঠিটি ২০ জুন স্পিকারকে পাঠিয়েছিলেন, তাতে এই তিন জনের বিরুদ্ধেই নির্দিষ্ট অভিযোগ তোলা হয়েছে। সুকান্তর দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর কনভয় ঘিরে হামলা চালায়, ইট-পাটকেল ছোড়ে, গাড়ি ভাঙচুর করে। তাঁর অনেক অনুগামী এতে আহত হন বলে জানিয়েছেন সুকান্ত। পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কোনওরকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও এসডিপিও ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। লোকসভার সচিবালয় এবার ওই তিন অফিসারের ভূমিকাতেই বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে। ওই চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছেও।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার

    অন্যদিকে, কসকাকাণ্ডের প্রতিবাদে গত শনিবারই গড়িয়াহাট মোড়ে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি সংগঠিত করে বিজেপি। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি সেদিন দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে গড়িয়াহাট মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। কিন্তু বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অভিযোগ, পুলিশ জোর করে বিজেপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ভাঙার চেষ্টা করে। তখনই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ সুকান্ত মজুমদারকে আটক করে। তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে বিজেপি। তাদের দাবি, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতেই বারবার রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করছে শাসকদল। সুকান্ত নিজেও এই ঘটনার পরে একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করে বলেন, “এক মাসে চারবার আমাকে রাস্তায় আটক করে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে। কোনও অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও আমাকে লালবাজারে এনে বসিয়ে রাখছে।” এই সমস্ত অভিযোগ নিয়েই এবার তিনি (Sukanta Majumdar) দ্বারস্থ হলেন হাইকোর্টে।

  • Mahua Moitra: মহুয়া মৈত্রর মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ব্যাখ্যা চাইতে পারে না, দাবি লোকসভার সচিবালয়ের

    Mahua Moitra: মহুয়া মৈত্রর মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ব্যাখ্যা চাইতে পারে না, দাবি লোকসভার সচিবালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষ নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অপরাধে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজ করা নিয়ে মামলা চলছে শীর্ষ আদালতে। এ প্রসঙ্গে লোকসভার সচিবালয়কে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই লোকসভার সচিবালয়ের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে এই বিষয়টি নিয়ে আদালত কোনও ব্যাখ্যা চাইতে পারে না। কারণ ১২২ নম্বর ধারা অনুসারে সংবিধান নির্দিষ্টভাবে দেখিয়ে দিয়েছে যে সংসদ তাদের অভ্যন্তরীন কাজকর্মে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে। সেখানে আদালতের কোনও হস্তক্ষেপ চলবে না।

    লোকসভার সচিবালয়ের যুক্তি

    ঘুষ নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগে লোকসভা থেকে মহুয়ার (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। লোকসভার এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের বরখাস্ত তৃণমূল সাংসদ। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই মামলা শুনছিলেন। আগামী ৬ মে ফের এই মামলার দিন পড়েছে। তার আগেই লোকসভার সচিবালয়ের তরফে চিঠিতে লেখা হয়েছে,‘‘ভারতীয় সংবিধানে আইনসভা এবং বিচারবিভাগের ক্ষমতা এবং এক্তিয়ারের সুস্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। তাই সংসদের কার্যপদ্ধতি (এবং সিদ্ধান্ত) সংক্রান্ত পদ্ধতির কোনও অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে না শীর্ষ আদালত। হাউস (এ ক্ষেত্রে লোকসভা) নিজেই এর বৈধতার একমাত্র বিচারক।’’

    আরও পড়ুন: ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন করলেই এসএসসি চুপ থাকে’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কটাক্ষ

    মহুয়ার ধাক্কা

    একের পর এক ক্ষেত্রে ধাক্কা খাচ্ছেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টেও ধাক্কা খেয়েছিলেন মহুয়া। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় দেহাদ্রাই যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ‘ভুয়ো ও মানহানিকর’ বিষয়বস্তু পোস্ট বা প্রচার না করেন সেটা থেকে বিরত রাখতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র আবেদন করেছিলেন। দিল্লি হাইকোর্টে এই আবেদন করা হয়েছিল। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share