Tag: Lok sabha Vote 2024

Lok sabha Vote 2024

  • Arabul Islam: ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    Arabul Islam: ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (Lok Sabha Vote 2024), তার আগেই এবার দল থেকে ভাঙড়ের (Bhangar) দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলামকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। ফলে এবার লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে (Arabul Islam) ছাড়াই ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিল দল। ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক বা কনভেনর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। দাপুটে এই তৃণমূল নেতা যে ব্লক তৃণমূলের কোনও পদে আর নেই, সে কথা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিল ঘাসফুল শিবির। বর্তমানে জেলবন্দি তিনি। আরাবুল জেল বন্দি থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে এখন ভাঙড়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দলের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা।

    শওকত মোল্লার বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা (Saokat Molla) বলেছেন, “আরাবুল ইসলামকে দলের কনভেনার করেছিলাম। এখন তিনি জেলে, তাই দলের দায়িত্ব আমার কাঁধে নিয়ে ও ভাঙড়ের যাঁরা তৃণমূলের (TMC) নেতা-কর্মীরা রয়েছেন তাঁদের দায়িত্ব দিয়েই আমরা এই নির্বাচনে লড়াই করব। এখন আরাবুলের দলের কোনও পদ নেই। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রয়েছেন। আমি আশা করি তিনি ভবিষ্যতে দলের অনুগত সদস্য হয়েই কাজ করবেন। আর যদি তা না করেন পরবর্তী পদক্ষেপ দল থেকে নেওয়া হবে।”

    বর্তমানে জেলে আরাবুল

    আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লার খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) গ্রেফতার করে কাশীপুর (উত্তর) থানার পুলিশ। পরবর্তীতে ভাঙড়, পোলেরহাট থানা এলাকায় অশান্তিতেও জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে আরাবুলের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন তোলাবাজি ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে ভাঙড়ের এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুনঃ “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    জেল থেকে নির্বাচনে লড়ে ছিলেন

    উল্লেখ্য, তৃণমূলের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন আরাবুল। ২০০৬ সালে তৃণমূলের টিকেটে ভাঙড়ের (Bhangar) বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। তারপরেই তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বা সহ-সভাপতি থেকেছেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরাবুল। সেই সময়ে জেল থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেবারের নির্বাচনে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। তারপর তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দলের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে পরবর্তী সময় তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: “পঞ্চাশ হাজারের মিছিল হবে রাম নবমীতে”, হুঙ্কার দিলেন দিলীপ ঘোষ

    Ram Navami 2024: “পঞ্চাশ হাজারের মিছিল হবে রাম নবমীতে”, হুঙ্কার দিলেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাজো সাজো রব গোটা ভারত জুড়ে। কারণ আগামী কাল অর্থাৎ বুধবারই দেশ জুড়ে পালন করা হবে রাম নবমী (Ram Navami 2024)। দীর্ঘ  ৫০০ বছরের প্রচেষ্টার পর অযোধ্যায় (Ayodhya) তৈরি হয়েছে রাম মন্দির। তাই এবছরের রাম নবমী (Ram Navami 2024) বিশাল সমারোহের সাথে পালন করবেন হিন্দুরা। কিন্তু তার আগেই বর্ধমান দুর্গাপুরের হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) রাম নবমী নিয়ে হুঙ্কার ছাড়লেন। রাজ্যের রাম ভক্তদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    রাম নবমীর মিছিল প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য

    মঙ্গলবার রাম নবমী (Ram Navami 2024) প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পঞ্চাশ হাজারের মিছিল হবে রাম নবমীতে। কেউ আটকাতে পারবে না। এই দেশ রামের দেশ। ৫০০ বছরের চেষ্টায় রাম মন্দির হয়েছে। হিন্দুরা (Hindu) বিজয় উৎসব পালন করবে। আমি আবেদন রাখছি হিন্দু সমাজের কাছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামুন। দিলীপ ঘোষ সঙ্গে আছে। ত্রিশূল ধরেছি। প্রয়োজনে সব ধরবো হিন্দু সমাজের জন্য। কোনও বাপের ব্যাটার হিম্মত নেই হিন্দুস্থানে হিন্দুদের আটকায়। আদালত এবং সংবিধান আমরা তৈরি করেছি দেশ রক্ষার জন্য। তৃণমূল (TMC) এলে তাঁদের এই নির্বাচনে সমূলে বিনাশ করুন।”

    রামমহোৎসব বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Ram Navami 2024)

    উল্লেখ্য রাজ্যে এখন ভোটের হাওয়া। রাম নবমীর (Ram Navami 2024) একদিন বাদেই অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Vote 2024)। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত প্রতিটি দলের প্রার্থীরাই। কিন্তু অন্যদিকে ভোটের আবহের মধ্যেই রাজ্যে রামমহোৎসব শুরু করে দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ১৫ দিন ধরে চলবে এই অনুষ্ঠান। তার মধ্যে আছে রাম নবমী এবং হনুমান জয়ন্তীও।

    আরও পড়ুন:রাজ্যের আপত্তি ধোপে টিকল না, হাইকোর্টের নির্দেশে হাওড়ায় দুদিন হবে রাম নবমীর শোভাযাত্রা

    গত বছর অশান্তি হয়েছিল রাম নবমীতে

    প্রসঙ্গত, গত বছর রাম নবমীকে (Ram Navami 2024) কেন্দ্র করে হাওড়া, হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরের কয়েকটি জায়গায় অশান্তি হয়েছিল। তাই এবার একাধিক জনসভায় রাম নবমী নিয়ে দাঙ্গার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাম নবমীর অনুষ্ঠান ও মিছিলের অনুমতি পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেই মামলার শুনানিতে সোমবারই আদালত রাম নবমীর মিছিলের অনুমতি দিয়েছে। শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, “রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) পক্ষে রাম নবমীর মিছিল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে তারা কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে মিছিলের ২৪ ঘণ্টা আগে বাহিনী (Central Force) চাইতে হবে রাজ্য পুলিশকে। সেই মতো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ভোটের প্রচারেই আবাস যোজনার বাড়ির প্রতিশ্রুতি তৃণমূল নেতার, আচরণবিধি ভঙ্গ!

    Jalpaiguri: ভোটের প্রচারেই আবাস যোজনার বাড়ির প্রতিশ্রুতি তৃণমূল নেতার, আচরণবিধি ভঙ্গ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছলে বলে কৌশলে চলছে তৃণমূলের রাজনীতি। রাজনীতি কথাটায় যে নীতি আছে, তার তোয়াক্কা অনেকেই করেন না। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির (jalpaiguri) একটি ঘটনাকে ঘিরে এমনই অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ভোটের দুদিন আগে আবাস (PM Awas) যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করাচ্ছেন মমতার এই দূতেরা। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ এলাকার পানকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। টেবিল-চেয়ার পেতে রীতিমতো শিবির খুলে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণ করানোর প্রক্রিয়া চলছে। উদ্যোক্তা পানকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেত্রী পাপিয়া দে। শিবির খোলার আগে এলাকায় প্রচার করা হয় আবাস যোজনার বাড়ি পেতে আগ্রহীরা শিবিরে যোগাযোগ করুন।

    রাজনৈতিক তরজা কেন?

    এই ঘটনা আদর্শ আচরণ (MCC) বিধি ভঙ্গের শামিল বলে দাবি বিজেপির। ভোটের মুখে এই ধরনের কাজ করা যায় না। যারা শিবিরে আসছে না তাদের বাড়ি গিয়ে ফরম পূরণ করানো হচ্ছে। বাড়িতে পৌঁছে তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, “আমরা দিদির হয়ে এসেছি। এবার দিদিই ঘর দেবেন। বাংলার আবাস যোজনার একটা ফর্ম দিয়ে যাচ্ছি। ভোটের পর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থাৎ এবছরের মধ্যেই আপনি ঘরের টাকা পেয়ে যাবেন। এবার কেন্দ্রের ভরসায় থাকতে হবে না।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় তৃণমূল নেত্রী পাপিয়া দে সরকার বলেন, “২০১৮ সালে একটি সার্ভে করা হয়েছিল। ২০২৪ সাল হয়ে গেলেও কেন্দ্রের টাকা আটকে থাকায় অনেকে ঘর পাননি। মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছেন রাজ্যই এবার থেকে বাড়ি বানিয়ে দেবে। সেই মতোই স্থানীয়দের মধ্যে যারা ঘর পায়নি তাদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। দিদি যেমন ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছেন, লোকসভা ভোট মিটে গেলে আবাস যোজনার টাকাও দেবেন। ২০১৮ সালে যাদের তালিকা নাম ছিল, যারা প্রকৃত দরিদ্র সীমার নীচে, তারা ঘর যাতে পায় সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির দাবি, তৃণমূল নির্বাচনে বিধি ভেঙে এসব কাজ করছে। স্থানীয় বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য নিতাই কর বলেন, “ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে এসব করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এসব কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু তার দলের লোকেরা পাড়ায় পাড়ায় এসব করে বেড়াচ্ছে। আসলে তৃণমূল হতাশায় ভুগছে। তারা জানে উত্তরবঙ্গে তারা ভালো ফল করতে পারবে না। তাই এসব করছে ওরা। একাধিক এলাকায় পঞ্চায়েতেও হেরেছে তৃণমূল। ঘর দেবে বলে সাধারণ মানুষকে দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করানো হচ্ছে। আর বাড়ি যখন আসবে তখন পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মীয়, স্বজনেরা বাড়ি পাবে। যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য তারা বঞ্চিত হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Vote 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজর রাখতে জেলাস্তরে নোডাল অফিসার নিয়োগ কমিশনের

    Lok Sabha Vote 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজর রাখতে জেলাস্তরে নোডাল অফিসার নিয়োগ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Vote 2024) এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রতি জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। শনিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে সব জেলাশাসক তথা জেলার নির্বাচনী আধিকারিককে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজরদারি (Lok Sabha Vote 2024)

    সম্প্রতি ভোটে (Lok Sabha Vote 2024) বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল অবজারভার ও পুলিশ অবজারভার। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কমিশন সূত্রের খবর, সিএপিএফ-এর জন্য এই নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হচ্ছে। জানা গেছে এই নোডাল অফিসারেরা (nodal officers) মূলত কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নজরদারি চালাবেন। এর আগে ৬ এপ্রিল দুই বিশেষ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠকে এই একই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ঠিক করা হয়েছিল জেলাস্তরে একজন নোডাল অফিসারকে নিযুক্ত করা হবে, যিনি জেলায় জেলায় সবকটি কন্ট্রোল রুমের (Control Room) মধ্যে যোগসূত্র বজায় রাখবেন। এবার সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিল নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: ফের বাংলায় সফট টার্গেট বন্দে ভারত! কাচ ভাঙল ইটে, চিন্তায় রেল

    প্রথম দফায় ভোট ১৯ এপ্রিল

    উল্লেখ্য আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ভোট (Lok Sabha Vote 2024) হবে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে। উত্তরবঙ্গের ওই তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে ৫,৮১৪ টি ​​বুথ রয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর, সুষ্ঠুভাবে ভোট (Election) সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার আগে রাজ্যে এসে পৌঁছেছে ২৭৭ কোম্পানি। যার মধ্যে ২৬৩ কোম্পানি ব্যবহার করা হবে প্রথম দফার নির্বাচনে। বাহিনীর পাশাপাশি ভোটের কাজে লাগানো হচ্ছে রাজ্য পুলিশকেও। কমিশন (Election Commission) সূত্রে খবর, ১০ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হতে পারে প্রথম দফার ভোটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: উত্তরবঙ্গে শেষ বেলায় মনোজ টিগ্গার হয়ে জমকালো রোড শো-তে মহাগুরু  

    Mithun Chakraborty: উত্তরবঙ্গে শেষ বেলায় মনোজ টিগ্গার হয়ে জমকালো রোড শো-তে মহাগুরু  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের শেষ বেলার প্রচারে সোমবার আলিপুরদুয়ারে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী মনোজ টিগ্গার হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। সকাল থেকেই ৮ থেকে ৮০ বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস নিয়ে আলিপুরদুয়ারের রাজপথে ভিড় জমিয়েছিলেন। ডিআরএম চৌপথী থেকে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) শহরের চৌপথী পর্যন্ত দলমত নির্বিশেষে বিএফ রোডের দু ধারে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন। বিজেপির মেগা প্রচারে মহাগুরুর যোগদান এক অভূতপূর্ব মাত্রা যোগ করেছিল।

    কড়া গরমেও রোড-শো

    প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাজার হাজার মানুষ একবার তাঁদের প্রিয় নায়ককে দেখার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। কড়া গরমেও রোড-শো দেখলেন মানুষ। তবে মাধবমোড় এলাকায় এসে মিঠুন চক্রবর্তী প্রচণ্ড গরমে ক্লান্ত বোধ করায় হুডখোলা গাড়ি থেকে নেমে যান। এরপর তাঁর কনভয় আলিপুরদুয়ার চৌপথীর দিকে রওনা হয়।

    জনসংযোগে মিঠুন

    এদিন মিঠুনের রোড শো দেখতে বাড়ির ছাদে, রাস্তার ধারে ভক্তরা হাত নেড়েছেন। পাল্টা মিঠুন নমস্কার করেছেন সকলকে। তাঁর সঙ্গে হুড খোলা গাড়িতে ছিলেন বিজেপির (BJP)  প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। মহাগুরু গাড়ি থেকে নেমে যেতেই বাকি পথ হেঁটেছেন বিজেপি প্রার্থী মনোজও (Manoj Tigga)। তবে মিঠুন গরমে একটু অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর রাস্তার পাশে বিজেপি কর্মীরা প্রার্থীকে হাওয়া করতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর স্থিতিশীল হন মিঠুন।

    লোকসভা ভোটের আগে প্রকাশ্য দিবালোকে শুটআউট আসানসোলে! তীব্র উত্তেজনা

    রাজনীতির উর্ধ্বে অন্য ছবি

    অন্যদিকে শহরের কালীবাড়ি এলাকায় জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শ্যামল রায় মিঠুন চক্রবর্তীর কনভয়ের সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়েন, তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে আসায় মিঠুন চক্রবর্তীও পাল্টা হাত এগিয়ে দিয়েছেন। রাজনীতির উর্ধ্বে এ যেন অন্য ছবি ধরা পড়ল আজ। মিঠুনের আলিপুরদুয়ার শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রচার বেশ জমজমাট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের মুখে আরও এক ডিআইজি বদল, বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ!

    Murshidabad: ভোটের মুখে আরও এক ডিআইজি বদল, বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘তৃণমূলের হয়ে কাজ’ করছেন আইপিএস অফিসার (IPS Officer), সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছিলেন বহরমপুরের বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan  Chowdhury)। আর কাকতালীয় ভাবে তার পরেই মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে (DIG) অপসারণ করল নির্বাচন কমিশন। লোকসভা ভোটের মুখে বাংলার আরও এক অফিসার ডিআইজি মুকেশ কুমারকে সরালো নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডিআইজি পদের জন্য তিন জনের নাম বাছাই করে কমিশনকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। তাঁদের মধ্যে থেকে এক জনকে নতুন ডিআইজি পদে নিয়োগ করবে কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ (Murshidabad)

    কমিশনের তরফে আইপিএস অফিসার মুকেশ কুমারকে ভোটের সঙ্গে যোগ নেই, পুলিশের এমন পদে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেই নির্দেশ কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীরের অভিযোগ, “মুকেশ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এসপি থাকাকালীন থানায় যে কজন ওসি বা আইসি ছিলেন, ডিআইজি হওয়ার পর সেই অফিসারদেরই তিনি আবার থানায় নিয়ে এসেছেন। ওই সব পুলিশ আধিকারিকেরা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দিনের পর দিন কাজ করে গিয়েছেন। এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন এই আইপিএস মুকেশ কুমার।” এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের (Election commission ) নজরে এনে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন অধীর। তাঁর মতে, হয়তো তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    আগে চার জেলার জেলাশাসককে সরানো হয়েছিল

    উল্লেখ্য ২০১৯ সালে মুকেশ কুমার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার এসপি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া রেঞ্জের ডিআইজি করা হয়। তবে ঠিক কী কারণে ভোটের মুখে আইপিএস মুকেশ কুমারকে নির্বাচন কমিশন সরাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও এমন ঘটনা প্রথম নয়, লোকসভা ভোটের মুখে (Lok Sabha Vote 2024) এর আগে রাজ্যের চার জেলার জেলাশাসককেও সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। আর এবার সরানো হল মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diamond Harbour: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    Diamond Harbour: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour), পড়ল বোমা, চলল গুলি। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের রবীন্দ্রনগরের চার নম্বর ওয়ার্ডের গুলজার বাগ এলাকায় দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর মধ্যে জমি দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। অশান্তির মাঝেই আচমকাই বোমা পড়তে শুরু করে এলাকায়। প্রায় ২৫টি বোমা পড়ে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে চলে গুলিও। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভাকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য

    স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, “শূন্যে তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়। বোমার স্প্লিন্টার ছিটকে এসে একটি শিশুও আহত হয়েছে। আরও এক ব্যক্তি মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” এই ঘটনার প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গোলাব, মিনু আরও একজন ছিল। বোমা ফেলছিল তারা। এখন হুমকি দিচ্ছিল যে গোটা পাড়ার মানুষকে মেরে ফেলব তারা। আমার বাড়ির পাশেও বোমা ফেলে। একই ভাবে আমার ঘরে বৃদ্ধ মা রয়েছেন। গুন্ডারা বলছে উড়িয়ে দেব সব।”

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) একপক্ষের অভিযোগ, জমি দখলে বাধা দিলে অপরপক্ষের লোকজন ঝামেলা শুরু করে, তারপরেই শুরু হয় মারধর, আশান্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রবীন্দ্রনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের সঙ্গে নামানো হয় র‍্যাফ। এরপর অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    আগেও বোমাবাজি হয়েছে

    উল্লেখ্য এর আগেও গত ১৮ মার্চ ওই একই জায়গায় বোমা বাজির ঘটনা ঘটেছিল। আর এবার ফের একই ঘটনায় আতঙ্কে এলাকাবাসী। তবে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। কেন বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhisekh Banerjee) গড়ে এমন বোমাবাজি অশান্তির ঘটনা ঘটছে? নাকি ভোটের মুখে এসব বোমাবাজি, গোলাগুলির ঘটনা কি ইচ্ছে করেই ঘটাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল! সাধারণ মানুষের মনে এক প্রকার আতঙ্ক যে সৃষ্টি হয়েছে সে কথা এলাকার অনেক মানুষ মনে করছেন। যদিও গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্থানীয় কোনও তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: পয়লা বৈশাখ ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ কবে হল আমরা জানি না, তৃণমূলকে তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: পয়লা বৈশাখ ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ কবে হল আমরা জানি না, তৃণমূলকে তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পয়লা বৈশাখ, পশ্চিমবঙ্গ দিবস কবে হল আমরা জানি না। টিএমসি (TMC) চলে গেলে এই দিনটাও চলে যাবে। পশ্চিমবঙ্গ কবে শুরু হয়েছে তৃণমূল জানে না। পশ্চিমবঙ্গকে মিটিয়ে দিয়ে বাংলা করার চেষ্টা করছে, আবার পশ্চিমবঙ্গ দিবসও করছে।” পয়লা বৈশাখের সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এবারে মমতার পশ্চিমবঙ্গ দিবসকেই একহাত নিলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)।

    বাংলা দিবসের প্রস্তাব বিধানসভায়

    উল্লেখ্য, গত বছরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন, “বাংলা দিবস নিয়ে বিধানসভায় আনা প্রস্তাবে রাজ্যপাল স্বাক্ষর না করলেও পহেলা বৈশাখ দিনটিই বাংলা দিবস হিসাবে পালন করা হবে।” এবার রবিবার পয়লা বৈশাখের দিনে পশ্চিমবঙ্গ দিবসের প্রসঙ্গ তুলে আনেন দিলীপ ঘোষ। এদিন আলমগঞ্জের কল্পতরু মাঠে প্রাতঃভ্রমণে যান তিনি। এরপর সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। এদিন মাঠে নেমে আবার খোলা ব্যাটে নানা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গে মমতা বা অভিষেকের (abhisekh banerjee) বক্তব্য।

    মমতাকে তোপ দিলীপের

    অভিষেক বলেছিলেন, “টিএমসি জিতলে ডিসেম্বরে আবাসের টাকা ঢুকবে।” আর এবার সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বললেন, “দু’তিনবার তো জেতাল তৃণমূলকে মানুষ। টাকা কোথায় যাবে, সবাই জেনে গেছে। বিজেপি (BJP) জিতলে সবাই সব প্রকল্পের সুবিধা পাবে। টিএমসি জিতলে কয়েকটা পরিবার মাত্র পাবেন।” পাশাপাশি মমতা উত্তরবঙ্গে বলেছিলেন, “কেন ভোটদান বিজেপিকে?” এই প্রসঙ্গেও দিলীপ সপাটে জবাব দিয়ে জানিয়েছেন, “হ্যাঁ, বিজেপিকে ভোট দিয়ে বাড়ি পেয়েছেন, শৌচালয় পেয়েছেন, ফ্রিতে রেশন-ভ্যাকসিনও পেয়েছেন। মমতাকে ভোট দিয়ে কী পেয়েছেন? রাস্তাও পাননি ঠিকমতো। রাস্তা করেছেন? মাঠ ফাঁকা করে দিয়ে লুঠ করেছে সর্বত্র। পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য লুঠ করেছে তৃণমূল। আর ওদের মত কাটমানিখোরেরা আজ টিএমসির নেতা এখানে। কটা রাস্তা হাটার মতো আছে? সারা রাত পার্টি করে, নেতারা সকালবেলায় ঘুমায়। ওরা কী করে জানবে? রাস্তায় তো নামুক একবার।”

    আর কী বললেন?

    উল্লেখ্য এই প্রসঙ্গের সূত্র ধরেই দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, উত্তরবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ে থাকুন। বসে থাকুন, শুয়ে থাকুন। উত্তরবঙ্গের আর জঙ্গলমহলের মানুষ তাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন। তৃণমূলের জেতার চান্স ও কোনও সুযোগ নেই। এখন মানুষের মন গলাবার চেষ্টা করছেন। উনি গোয়াও গেয়েছিলেন। আসামেও গেয়েছিলেন। কী হলো? ওখানকার লোক দেখিয়ে দিয়েছে টিএমসির কী ওজন আছে। মানুষ টিএমসিকে ছাড়তে শুরু করে দিয়েছে। আর পিছন দিকে তাকাবে না।

    আরও পড়ুন: “ভোটের পর তিহাড়েই যাবেন দেব!”, নির্বাচনী প্রচারে আক্রমণ হিরণের

    কীর্তি আজাদকে কী বললেন?

    অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ (kirti azad) সম্প্রতি বলেছিলেন, “দিলীপ ঘোষের সঙ্গে লোক না, কতগুলো কুকুর হাঁটে।” এবার কীর্তি আজাদের সেই মন্তব্য তুলে দিলীপ বলেছেন, “একদিন আমার সঙ্গে হাঁটুন না তিনি। লোক আছে কী না বুঝে যাবেন। আমার লোকেরা তো আমায় তাড়া করে না। আমাকে পালাতেও হয় না নিজেরই লোকের চাপে। তিনি নাচানাচি করে বাঁদর খেলার মতো লোক জড়ো করার চেষ্টা করছেন। আবার ঘোড়ায়ও চাপছেন। একই সঙ্গে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে হাঁটছেন। এটা কী ধরণের গণতন্ত্র? তিনি দাড়িয়েছেন না তাঁর স্ত্রী দাড়িয়েছেন? এটাই বড় প্রশ্ন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dev-Hiran: “ভোটের পর তিহাড়েই যাবেন দেব!”, নির্বাচনী প্রচারে আক্রমণ হিরণের

    Dev-Hiran: “ভোটের পর তিহাড়েই যাবেন দেব!”, নির্বাচনী প্রচারে আক্রমণ হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকদিন বাকি লোকসভা ভোটের (lok sabha vote), আর এরই মধ্যে আবারও হিরণের নিশানায় তৃণমূল প্রার্থী দেব (Dev-Hiran)। ভোটের প্রচারে বেড়িয়ে এর আগে একাধিকবার দেবকে নিশানা করেছেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি ফের প্রচারে নেমে ঘাটালের তৃণমূল তারকা প্রার্থী দেবকে নিয়ে মন্তব্য করলেন তিনি। “গরু পাচারের টাকা খেয়েছেন দেবও। ভোটের পর তিহাড়েই যাবেন দেব!” ভোটপ্রচারে (election campaign) বেরিয়ে কার্যত এমনই আক্রমণ করলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ।

    কী বলেছিলেন হিরণ (Dev-Hiran)?

    বৃহস্পতিবার, লোকসভা ভোটের প্রচারে সবং ব্লকের ৭ নম্বর নারায়ণবাড় অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারে যান বিজেপি প্রার্থী হিরণ (Dev-Hiran)। সেখানে ভোটপ্রচারের সময় তিনি বলেন, ‘‘দেব, ভোট শেষ হলেই কলকাতায় পালিয়ে যান। এবারে ভোটের পরে কেউ পালাতে দেবে না। ভোটের পরে আপনাকে সবাই জবাব দেবে। ভোটের আগে আপনাকে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করছে না। কারণ আমরা চাই, নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ ভাবে হোক। ভোটের আগে কেউ কাউকে অ্যারেস্ট করবে না। কিন্তু ভোটের পরে আপনাকে তিহাড়ে জেলে (tihar jail) যেতে হবে। কারণ, গরু চুরির টাকা নিয়েছেন আপনিও।’’

    আরও পড়ুন: ইডির বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে নয়া ফন্দি! কুন্তলের পথেই কি শাহজাহান?

    দেবের পাল্টা জবাব

    হিরণের (Dev-Hiran) আক্রমণে ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী (TMC candidate) যে চাপে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। শনিবার বিকেলে তিনি সবং ব্লকের তেমাথানি বাজার, চাঁদকুড়ি বাজার, বড়সাহারা কালীমন্দির, খড়িকা বাসস্ট্যান্ড, দশগ্রাম বাসস্ট্যান্ড, দেহাটি বাসস্ট্যান্ড-সহ বেশ কিছু এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে যান। সেখানে দেব বলেন, ‘‘হিরণ কে? তিনি বিজেপি প্রার্থী। ভগবান তো নন। আমার কাছে মানুষই ভগবান। মানুষ ভোটটা দিয়ে তাঁকেই বুঝিয়ে দেবেন, তিনি কত ভোটে হারবেন। ভগবান হচ্ছে মানুষ, হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায় (hiran chatterjee) নন।’’ যদিও দেবকে (Dev) হারিয়ে ঘাটাল জয় করতে আত্মবিশ্বাসী বিজেপির তারকা প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এখন পালা শুধু অপেক্ষার। সমস্ত জল্পনার অবসান হবে ৪ জুনেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: তৃণমূলকে ভোট না দিলে ভোটারদের দেখে নেওয়ার হুমকি চোপড়ার বিধায়কের

    Uttar Dinajpur: তৃণমূলকে ভোট না দিলে ভোটারদের দেখে নেওয়ার হুমকি চোপড়ার বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Vote 2024), আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই চলছে শাসক-বিরোধী দলের তীব্র লড়াই। ভোটের মুখে এবার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিরোধী ভোটারদের প্রকাশ্যে দেখে নেবার হুমকি দিলেন উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ার (Chopra) বিধায়ক হামিদুল রহমান। তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিলে পরিস্থিতি হবে ভয়ঙ্কর । ২৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবার পর তৃণমূল বাহিনীই থাকবে, তখন বিরোধী ভোটারদের (Voter) কিছু হলে তার সমাধান তিনি করবেন না বলে প্রকাশ্যে জানালেন তৃণমূল বিধায়ক।

    চোপড়ায় সভায় হুমকি (Uttar Dinajpur)

    বুধবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী (TMC Candidate) গোপাল লামার সমর্থনে চোপড়া ব্লকের (Uttar Dinajpur) মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চোপড়ার বিধায়ক বিরোধী দলের ভোটারদের এমনই হুমকি দিলেন। বিধায়কের এই হুমকির পরেই জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে এই নির্বাচনী প্রচারে হুমকি না দেবার জন্য সতর্ক করেছে চোপড়ার বিজেপি (BJP) নেতা বরুন সিংহ।

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য

    চোপড়া (Uttar Dinajpur) তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল সভায় বলেছেন, “চোপড়ার প্রতিটি পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য। এলাকায় প্রতিটি বুথে ৯০ শতাংশ ভোট তৃণমূল কংগ্রেস না পেলে দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বসিয়ে দিয়ে দলের নেতাদের দিয়ে উন্নয়ন করাবো। পঞ্চায়েত সদস্যদের শুধু বুথে লিড দিলেই হবে না, বুথে বুথে ৯০ শতাংশ ভোট দলের প্রার্থী গোপাল লামাকে দিতে হবে। যদি এই কাজ না হয় তাহলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।” ঘটনায় এলাকায় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে এই প্রসঙ্গে চুপ থাকেননি চোপড়ার (Uttar Dinajpur) বিজেপি নেতা বরুন সিংহও। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিধায়ক হামিদুল রহমানকে অত হুমকি না দেবার জন্য সতর্ক করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে এই বিজেপি নেতা বলেছেন, “ভোটে তৃণমূল সন্ত্রাস তৈরি করতে চাইছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচন (lok sabha vote 2024) দুটি আলাদা নির্বাচন। নির্বাচনে বল খাটাতে গেলে তার পরিনাম ভাল হবে না।”

    আরও পড়ুনঃ নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি প্রার্থীদের কীভাবে যেতে হবে মানুষের কাছে, জানালেন অমিত মালব্য

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তপ্ত ছিল চোপড়া

    উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে স্পর্শকাতর এলাকা ছিল চোপড়া (Uttar Dinajpur)। বিরোধী সিপিএম (CPIM), কংগ্রেস (congress) মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মিছিলের উপর গুলি, বোম ছোড়া হয়েছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যুও পর্যন্ত হয়েছিল। গুলি এবং বোমার আঘাতে বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। এই ঘটনার পর রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। বিরোধীদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) এই হামলার পর বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতেই পারেননি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসনগুলি জয় লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share