Tag: lok sabha

lok sabha

  • Lok Sabha Eelections 2024: তৃণমূলের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা, মোদি ফিরছেন জেনেই হাটুরে রাজনীতি!

    Lok Sabha Eelections 2024: তৃণমূলের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা, মোদি ফিরছেন জেনেই হাটুরে রাজনীতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন শুরুর ঠিক দু’দিন আগে ইস্তাহার প্রকাশ করল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের ক্যাপ্টেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডি জোটে রয়েছেন। অথচ পৃথকভাবে প্রকাশ করেছেন ইস্তাহার (Lok Sabha Eelections 2024)। তাতে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। যদিও ইস্তাহারের কোথাও প্রতিশ্রুতি পূরণের দিশা দেখানো নেই। ইস্তাহারে যে দশটি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০ শপথ হিসেবেই তুলে ধরেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

    মার্গ দর্শন কই? (Lok Sabha Eelections 2024)

    কংগ্রেসের ইস্তাহারের পোশাকি নাম ছিল ‘ন্যায়পত্র’। বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্র’। তৃণমূলের অবশ্য এমন কোনও নাম নেই। রয়েছে (মিথ্যা) প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি। তোষণ, তুষ্টিকরণ এবং সস্তার রাজনীতি করতে যা যা উপাদানের প্রয়োজন, তা সবই মজুত রয়েছে ঘাসফুল আঁকা দুই মলাটের মাঝে থাকা ইস্তাহারের পৃষ্ঠায়। যে (Lok Sabha Eelections 2024) দশটি শপথ নিয়েছে তৃণমূল, তার কোথাও বেকারত্ব সমস্যার সমাধানের উল্লেখ নেই। উল্টে রয়েছে দান-খয়রাতির হাটুরে রাজনীতি। জবকার্ড হোল্ডারদের ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দেওয়া হবে ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে। বাস্তবে আমরা কী দেখেছি? দেখেছি, একশো দিনের কাজে খরচ করা যায়নি পুরো কেন্দ্রীয় বরাদ্দ। অনেক সময়ই তা গিয়েছে ফেরত।

    জনগণকে নিখাদ ধোঁকা!

    বিরোধীদের অভিযোগ, যারা তৃণমূলের ধামাধরা, জবকার্ডে কাজ পেয়েছে তারাই। তার মজুরির একটা বড় অংশ ঢুকেছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে। দারিদ্রসীমার নীচে প্রত্যেক পরিবারকে বছরে ১০টি করে মুফতে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। খয়রাতির সেই টাকা কোথা থেকে আসবে, তার কোনও দিশা নেই বাজেটে। ওবিসি, এসসি-এসটি যুবকদের উচ্চশিক্ষা বৃত্তি বাড়ানো হবে। বার্ধক্যভাতা বাড়িয়ে করা হবে হাজার টাকা। বিরোধীদের অভিযোগ, মাগ্গিগণ্ডার বাজারে দৈনিক এই ৩৩ টাকার কিছু বেশি পয়সায় কী হয়! পেট্রল-ডিজেল ও সিলিন্ডার দেওয়া হবে স্বল্পমূল্যে। সেই মূল্যটি কত, তা বলা হয়নি। যেমন বলা হয়নি, কাঁড়ি কাঁড়ি ভর্তুকির টাকা আসবে কোত্থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কোনও একতা নেই, ছন্নছাড়া’’, ইন্ডি জোটকে তুলোধনা অমর্ত্য সেনের

    ২৫ বছর পর্যন্ত সব স্নাতক ও ডিপ্লোমাধারীদের দক্ষতা বাড়াতে শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রতিশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে তার পরে তাঁদের কোথায় নিয়োগ করা হবে, শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করে হা-শিল্পের রাজ্যে তাঁরা কোথায় কাজ করবেন, সেই মার্গ দর্শনও করানো হয়নি তৃণমূলের ইস্তাহারে। মোদি সরকারের যে তিনটি প্রতিশ্রুতি পূরণ হলে দেশ এগিয়ে যেত একলপ্তে অনেকখানি, তৃণমূলের ইস্তাহারে সেখানে পেছন থেকে টেনে ধরা হয়েছে। সিএএ লাগু হয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের ইস্তাহারে বলা হয়েছে, ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে সিএএস, এনআরসি এবং ইউসিসি প্রয়োগ করা হবে না।

    রাজনৈতিক মহলের মতে, ইস্তাহারের ছত্রে ছত্রে স্পষ্ট তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিচারিতা। তিনি ইন্ডি জোটে থেকেও পৃথক ইস্তাহার প্রকাশ করেছেন, রাজ্যে ইন্ডির বাকি শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেননি। যার জেরে রাজ্যের প্রায় সব আসনেই ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে। যার ফয়দা তুলবে বিজেপি। তাহলে কী ফের মোদি সরকার আসছে জেনেই ইস্তাহারে মিথ্য প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী (Lok Sabha Eelections 2024)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: রাজ্যপালকে কোচবিহারে যেতে নিষেধ করল কমিশন, কেন জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: রাজ্যপালকে কোচবিহারে যেতে নিষেধ করল কমিশন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কোচবিহার যেতে নিষেধ করল নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Elections 2024)। মঙ্গলবার রাজভবনের তরফে কমিশনকে রাজ্যপালের কোচবিহার সফরসূচির বিষয়ে জানানো হয়। তার পরেই রাজ্যপালকে যেতে নিষেধ করে কমিশন। রাজভবনে ইমেইল করে তা জানিয়েও দেওয়া হয়। 

    কমিশনের বক্তব্য (Lok Sabha Elections 2024)

    শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। এই দফায় নির্বাচন হবে উত্তরবঙ্গের তিন আসনেও। ১৭ এপ্রিল সন্ধে ছ’টায় শুরু হয়ে গিয়েছে সাইলেন্স পিরিয়ড। ভোটের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নিরাপত্তা কর্মীরা (Lok Sabha Elections 2024)। এমতাবস্থায় হাই প্রোফাইল কোনও ব্যক্তি সেখানে গেলে তাঁর নিরাপত্তার প্রয়োজন হবে। সেই কারণে প্রয়োজন হবে ফোর্সের। এই মুহূর্তে যা দেওয়া সম্ভব নয় বলেই কমিশনের বক্তব্য।

    সাইলেন্স পিরিয়ড

    প্রসঙ্গত, সাইলেন্স পিরিয়ড শুরু হয়ে গেলে কোনও নির্বাচনী কেন্দ্রে রাজনৈতিক কোনও ব্যক্তিত্ব যিনি ওই কেন্দ্রের ভোটার নন, তিনিও যেতে পারেন না। যেতে পারেন না হাই প্রোফাইল কোনও ব্যক্তিত্বও। রাজ্যপালের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকতে হয় জেলাশাসক, পুলিশসুপারকে। তাঁরা সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন নির্বাচনের কাজে। এই সব কারণে রাজ্যপালকে কোচবিহার সফরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে কমিশনের তরফে (Lok Sabha Elections 2024)।

    আরও পড়ুুন: রাম নবমীর শোভাযাত্রায় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেত্রী!

    শুক্রবার যে তিনটি আসনে লোকসভা নির্বাচন হবে, তার একটি কোচবিহার। এই কেন্দ্রে বিজেপির বাজি বিদায়ী মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। এই কেন্দ্রেরই শীতলকুচি, ভেটাগুড়ি-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে অশান্তির খবর। দিনহাটা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ সফরে যেতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নির্বাচনের দিন কোচবিহারে থেকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ভোট প্রক্রিয়ার অগ্রগতি দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে কমিশনের তরফে নিষেধ করায় আপাতত স্থগিত হয়ে গেল রাজ্যপালের কোচবিহার সফর (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘‘কোনও একতা নেই, ছন্নছাড়া’’, ইন্ডি জোটকে তুলোধনা অমর্ত্য সেনের

    Lok Sabha Elections 2024: ‘‘কোনও একতা নেই, ছন্নছাড়া’’, ইন্ডি জোটকে তুলোধনা অমর্ত্য সেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে, কোনও একতা নেই।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। হাতে গোনা আর দু’দিন পরেই শুরু হয়ে যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। তার ঠিক আগে অমর্ত্যর এই বক্তব্যে জাস্ট অ্যাডভান্টেজ বিজেপি।

    অমর্ত্য উবাচ (Lok Sabha Eelections 2024)

    নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “বিরোধী জোট সেভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। নীতীশ কুমার ও জয়ন্ত চৌধুরীর মতো শরিকরা রাতারাতি বেরিয়ে গিয়েছেন। নিজেদের মধ্যে কোনও একতা নেই। ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে বিরোধী জোট। একজোট হতে পারলে তারা আরও শক্তিশালী হতে পারত।” তাঁর সংযোজন, “কংগ্রেসের অনেকগুলি সমস্যা রয়ে গিয়েছে।” ক্ষমতায় (Lok Sabha Elections 2024) এলে দেশে জাতিগত জনগণনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। এ প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেনের মতে, জাতিগত জনগণনার চেয়ে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দেশে পিছিয়ে পড়া মানুষের কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের আবশ্যিকতা রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ প্রয়োজন সমাজের সমস্ত স্তরেই।

    আরও পড়ুুন: অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    ঘেঁটে ঘ ‘ইন্ডি’

    বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বাঁধে দেশের ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয় ‘ইন্ডি’। জন্মলগ্ন থেকেই ইন্ডির অন্দরে ঘনিয়েছে অশান্তির কালো মেঘ। কখনও নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক, কখনও আবার (Lok Sabha Elections 2024) কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। একটি অনুষ্ঠানে ইন্ডির শরিক শারদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করায়ও হয়েছিল বিতর্ক। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেলেও, জোটের অন্দরে আসন রফা হয়নি। বাংলায় একলা চলো নীতি নিয়েছে ইন্ডির শরিক তৃণমূল।

    পাঞ্জাবে আবার একলা লড়ছে আম আদমি পার্টি। ঝাড়খণ্ডে একলা লড়ার কথা ঘোষণা করেছে ‘ইন্ডি’র আর এক শরিক সিবিআইও। একলা চলোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা। ‘ইন্ডি’ জোটের শরিক হলেও, জম্মু-কাশ্মীরের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির দলও আলাদা করে প্রার্থী দিচ্ছে। সব মিলিয়ে ঘেঁটে ঘ ‘ইন্ডি’ জোট। ‘ইন্ডি’র অন্দরে নিরন্তর চলা অশান্তির জেরে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক ছেড়ে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরে ফিরে গিয়েছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরীও ইঙ্গিত দিয়েছেন এনডিএতে যোগ দেওয়ার (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ, কার কী ভূমিকা জানাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ, কার কী ভূমিকা জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ১৯ এপ্রিল হবে প্রথম দফার নির্বাচন। এবার নির্বাচন হবে সাত দফায়। শেষ দফার ভোট হবে ১ জুন। প্রথম দফায় দেশের বেশ কিছু আসনের সঙ্গে এদিন নির্বাচন হবে বাংলার তিনটি আসনেও। এই তিনটি আসনই অবশ্য উত্তরবঙ্গে। নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) বিঘ্নহীন করতে চেষ্টার কসুর করছে না জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে গুচ্ছ নির্দেশিকা। যেসব কেন্দ্রে প্রথম দফায় নির্বাচন হবে, সেসব জায়গায় ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের মুখে আসতে পারে আরও কয়েক কোম্পানি। পর্যাপ্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় নির্বাচনের কাজে লাগানো হতে পারে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশকেও।

    ডুজ (Lok Sabha Election 2024)

    নির্বাচন চলাকালীন পর্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী কিংবা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ কার কী করণীয়, তা জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। এগুলি হল,

    ১) পোলিং স্টাফ, ভোটার ও পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে ভদ্র, সৌজন্যমূলক ও সহযোগিতামূলক আচরণ করতে হবে। প্রসাইডিং অফিসারের আদেশ মেনে চলতে হবে। দায়িত্বের সময় সতর্ক থাকতে হবে।

    ২) ভোট কেন্দ্র বা (Lok Sabha Election 2024) ভোট প্রাঙ্গনে ঘটতে থাকা যে কোনও দুর্ঘটনা বা ঘটনার মোকাবিলা করুন দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে।

    ৩) জনগণকে নিরাপদ বোধ করুন। আস্থার বোধ তৈরি করুন, যাতে তাঁরা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।

    ৪) নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও নির্বাচনী প্রার্থীদের নিরাপত্তা বজায় রাখুন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সর্বদা সতর্ক থাকুন।

    ৫)ভোটকেন্দ্র বা পোস্টের যথাযথ প্রতিরক্ষা স্থাপন করতে হবে।

    ৬) ভোট কেন্দ্রের প্রবেশ গেটে দাঁড়ান। প্রিসাইডিং অফিসার ডাকলেই বুথে প্রবেশ করুন।

    ৭)ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানোর পর ভোটকেন্দ্র প্রাঙ্গন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিদর্শন করুন (Lok Sabha Election 2024)।

    ৮) ভোট দেওয়ার জন্য লাইনকে সাবধানতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত করা উচিত।

    ৯) ভোটকেন্দ্রে দুর্নীতিবাজদের শনাক্ত করার জন্য সতর্ক থাকুন এবং যদি এমন কিছু লক্ষ্য করা যায়, তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে ডিইও/আরও, সেক্টর অফিসার এবং পর্যবেক্ষককে অবহিত করুন।

    ১০) পোলিং স্টাফ/ইভিএম নিয়ে আসা এবং ডি-ডি-এর সময়, এসকর্ট করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

    ১১) অসদাচরণ/আইন-শৃঙ্খলাভঙ্গের আশঙ্কা প্রিসাইডিং অফিসার/সেক্টর অফিসারের নজরে আনতে হবে।

    ১২) কোনও চরমপন্থী হামলার ক্ষেত্রে আদেশের জন্য অপেক্ষা করবেন না এবং হুমকিকে নিরপেক্ষ করতে কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া করুন।

    ১৩) নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেন – ক) নির্বাচক, খ) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট এবং পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি প্রার্থীর একজন করে পোলিং এজেন্ট।

    ১৪) নিরপেক্ষভাবে আপনার দায়িত্ব পালন করুন।

    ডোন্টজ

    নির্বাচনী দায়িত্বের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ কী কী করবেন না।

    ১) নির্বিচারে (Lok Sabha Election 2024) গুলি চালানোর পন্থা অবলম্বন করবেন না। গুলি চালানো উচিত আত্মরক্ষার শেষ অবলম্বন হিসেবে। ভোটার ও ইভিএমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও।

    ২) আপত্তিজনক শব্দ ব্যবহার করবেন না এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে বলপ্রয়োগ করবেন না।

    ৩) কারও সঙ্গে খুব বেশি বন্ধুত্ব করবেন না। ভোটগ্রহণ কর্মী বা বহিরাগত কারও কাছ থেকে চা, সিগারেট বা কোনও অনুগ্রহ গ্রহণ করবেন না। ভোট কেন্দ্রে ধূমপান করবেন না।

    ৪) পোলিং স্টাফ, কাগজপত্র এবং ইভিএম সুরক্ষার জন্য শক্তি ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না যা আপনার প্রাথমিক দায়িত্ব।

    ৬) আপনার নির্ধারিত ডিউটি পয়েন্ট (পোলিং স্টেশন/প্রাঙ্গন) ছেড়ে যাবেন না।

    ৬) অপ্রয়োজনীয় কথা বলবেন না, প্রিসাইডিং অফিসারের দেওয়া সমস্ত আদেশ/নির্দেশ মেনে চলুন

    ৭) একটি নির্দিষ্ট বিভাগ বা বর্ণের লোকদের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সাথে পরিচিতি দেখাবেন না।

    ৮) কোনও পক্ষ থেকে কোনও অনুগ্রহ গ্রহণ করবেন না বা এমনভাবে কাজ করবেন না, যা এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে পারে

    কোনও দল বা প্রার্থীর জয়ে সম্ভাবনাকে। কোনওভাবেই কোনও ভোটারকে প্রভাবিত করবেন (Lok Sabha Election 2024) না।

    ৯) নিরাপত্তা প্রদান করা ছাড়া ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলবেন না। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখবেন।

    ১০) কোনও নির্বাচনী সভা সংগঠিত বা তাতে অংশগ্রহণ করবেন না। সভা চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়তা করবেন না।

    ১১) কোনও ব্যক্তি/দলকে ভোট দিতে বলবেন না/অনুরোধ করবেন না। আপনার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং অনুভূতিগুলি দেখানো/শেয়ার করবেন না (Lok Sabha Election 2024)।

     

    আরও পড়ুুন: মোদির সভায় জন সুনামি, ভিড়ের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ডায়মন্ড হারবারে অভিষেককে মাত দিতে বিজেপির বাজি শ্রমিক নেতা অভিজিৎ দাস

    Lok Sabha Election 2024: ডায়মন্ড হারবারে অভিষেককে মাত দিতে বিজেপির বাজি শ্রমিক নেতা অভিজিৎ দাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) সর্বশেষ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। এই প্রার্থী লড়বেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে। বাংলায় লোকসভা আসন রয়েছে ৪২টি। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে ৪১টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম। মঙ্গলবার অন্নপূর্ণা পুজোর পুণ্যলগ্নে ঘোষণা করা হল ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থীর নাম।

    রণাঙ্গনে অভিজিৎ-অভিষেক (Lok Sabha Election 2024)

    অভিজিৎ দাস ওরফ ববিই লড়বেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। অভিজিৎ বিজেপির শ্রমিক নেতা। রাজনীতিতে তিনি নতুন মুখ নন। ২০১৪ সালেও ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে পদ্ম-প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সেবার অবশ্য হেরে গিয়েছিলেন। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ‘ভাইপো’কে মাত দিতে প্রার্থী বদল করে বিজেপি। সেবার প্রার্থী হন নীলাঞ্জন রায়। এবার ফের শ্রমিক নেতা তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাক্তন জেলা সভাপতির ওপরই আস্থা রাখলেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা (Lok Sabha Election 2024)।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা

    শিক্ষাগত যোগ্যতায় বিরোধী প্রার্থীদের অনেকের চেয়ে ঢের এগিয়ে অভিজিৎ। এমএসসি পাশ করার পর করেছেন এলএলবি। আরএসএসের জেলা প্রচার প্রমুখও ছিলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অভিজিৎ দাস ওরফে ববি আমাদের বহুদিনের সংগঠক। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করে লড়ে চলেছেন তিনি। এমন ভাবার কোনও কারণ নেই যে আমরা কমজোরি প্রার্থী বা কম ওজনের প্রার্থী দিয়েছি।“

    আরও পড়ুুন: “দেশকে কালো টাকার দিকে ঠেলে দেওয়া হল”, বললেন মোদি

    ডায়মন্ড হারবারে রুদ্রণীল ঘোষ বা কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কৌস্তুভ  বাগচিকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে চর্চা চলছিল। সব জল্পনায় জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে এই কেন্দ্রে প্রার্থী বেছে নেওয়া হল অভিজিৎকে। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সাংগঠনিক কাজ করছেন অভিজিৎ৷ কেন্দ্রের আনাচ-কানাচ হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি৷ তাঁর জনসংযোগও দারুণ। সেই কারণেই তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর (Lok Sabha Election 2024)৷ ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের প্রার্থী প্রসঙ্গে সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, প্রার্থী তো নিমিত্ত মাত্র। ভোট হবে প্রধানমন্ত্রীর নামে। ডায়মন্ড হারবারে পুরো বিজেপি ভোট করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০০ কোটি টাকা, জানাল কমিশন

    Lok Sabha Elections 2024: ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১০০ কোটি টাকা, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালো টাকা উদ্ধারে জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Elections 2024)। তার ফলও মিলল হাতে হাতে। জানা গিয়েছে, মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১০০ কোটি টাকা করে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দাবি, ১ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১০০ কোটি টাকা করে বেআইনি নগদ বাজেয়াপ্ত করছেন কমিশনের আধিকারিকরা। কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এখনও পর্যন্ত ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে ৪ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। জারি করা বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, দেশের ৭৫ বছরের লোকসভা নির্বাচনের ইতিহাসে এই প্রথম সর্বাধিক নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে কমিশন। ভোটারদের প্রভাবিত করতেই এই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছিল বলেও খবর কমিশন সূত্রে।

    ফোর ‘এম’-এর বিরুদ্ধে লড়াই (Lok Sabha Elections 2024)

    ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। নির্বাচন হবে সাত দফায়। শেষ দফার নির্বাচন হবে ১ জুন। ফল ঘোষণা ৪ জুন। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করার সময়ই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছিল, তাদের লড়াই ফোর ‘এম’-এর বিরুদ্ধে। এই ফোর ‘এম’ হল, ‘মানি পাওয়ার’, ‘মাসল পাওয়ার’, ‘মিসইনফর্মেশন’ এবং ‘মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট’ লঙ্ঘন। কমিশন জানিয়েছিল, এই লড়াই তাদের কাছে চ্যালেঞ্জিং। নির্বাচনে মানি পাওয়ার ব্যবহার করে যাতে কোনওভাবেই ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা না হয়, সেজন্য একাধিক কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। তার জেরেই ফি দিন বাজেয়াপ্ত হচ্ছে ১০০ কোটি করে টাকা।

    মাদক ও খয়রাতি

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার মাদক ও খয়রাতি বেড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। কমিশন এ পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করেছে ২,০৬৮.৮ কোটি টাকার মাদক। উদ্ধার হওয়া খয়রাতি দ্রব্যের মূল্য ১,১৪২.৪৯ কোটি টাকা। ৪৮৯.৩ কোটি টাকার মদও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে (Lok Sabha Elections 2024)।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্রে’ করা হয়েছে কোন কোন সঙ্কল্প, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির নববর্ষ। ১৪ এপ্রিল জন্মেছিলেন সংবিধান প্রণেতা তথা দেশের প্রথম আইনমন্ত্রী বি আর অম্বেডকর। এহেন শুভ দিনেই লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) ইস্তাহার প্রকাশ করল বিজেপি। যার পোশাকি নাম ‘সঙ্কল্পপত্র’। ‘ন্যায়পত্র’ নাম দিয়ে ইস্তাহার প্রকাশ করেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেসও। তবে সেখানে গালভরা প্রতিশ্রুতি থাকলেও, কীভাবে তা পূরণ হবে, তার কোনও নির্দিষ্ট দিশা নেই। আর ‘সঙ্কল্পপত্রে’ যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলি কীভাবে বাস্তবায়িত করা হবে, সেই মার্গও দর্শানো হয়েছে। বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা ইস্তাহার কমিটির হোতা রাজনাথ সিংহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

    সঙ্কল্পপত্র (Lok Sabha Elections 2024)

    ‘সঙ্কল্পপত্রে’র প্রথমেই সুনিশ্চিত করা হয়েছে দেশবাসীর খাদ্য নিরাপত্তা। ১১ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, “২০২০ সাল থেকে আমরা ৮০ কোটিরও বেশি নাগরিককে নিখরচায় রেশন সামগ্রী বিলি করছি। পিএম গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় আগামী পাঁচ বছরও মুফতে মিলবে রেশন সামগ্রী।” ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে দরিদ্রদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নিখরচায় চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হবে (Lok Sabha Elections 2024)। এই প্রকল্পে এবার প্রবীণ নাগরিক ও ট্রান্সজেন্ডারদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। পিএম আবাস যোজনায় বাড়ি দেওয়া হবে প্রতিটি গরিব পরিবারকে। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবেন নলবাহিত পানীয় জল। প্রকল্পের নাম ‘হর ঘর নল সে জল’।

    লাখপতি দিদি

    ১৫ নম্বর পৃষ্ঠায় তিন কোটি গ্রামীণ মহিলাকে ‘লাখপতি দিদি’ বানানোর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ৫৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে নিখরচায় ইন্ড্রাস্ট্রি-ফোকাসড কোর্স করানো হবে। স্বল্প আয়ের পরিবারের লোকজন এতে উপকৃত হবেন। ১৩ পৃষ্ঠায় নয়া-মধ্যবিত্তদের রোজগার বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের স্ট্যান্ডার্ড অফ লিভিং যাতে উন্নত হয় সেই সাহায্য করা হবে। গত দশ বছরে সৃষ্টি হয়েছে এই নয়া মধ্যবিত্ত শ্রেণির।

    আরও পড়ুুন: জট কাটল জয়শঙ্করের ফোনে, আটক ভারতীয় জাহাজিদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি ইরানের

    রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্র

    রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রকে স্বচ্ছ ও সিটিজেন-ফ্রেন্ডলি করতে রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি অ্যাক্ট ২০১৬-কে (Lok Sabha Elections 2024) আরও পোক্ত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, টু-টায়ার ও থ্রি-টায়ার শহরগুলিতে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম প্রসারে সাহায্য করা হবে। খোলা হবে নতুন আইআইটি, এইমস এবং আইআইএমএস। মধ্যবত্তি শ্রেণির মানুষের জীবন যাতে অনায়াস হয়, তাই ব্যবহার করা হবে প্রযুক্তির। জনওষুধি কেন্দ্রের মাধ্যমে যে ভর্তুকিযুক্ত ওষুধ সহবরাহ করা হচ্ছিল, তা চলবে। গড়া হবে নয়া মেডিক্যাল কলেজও। মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ যাতে আরও বেশি করে উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা পান, সেই জন্যই এহেন উদ্যোগ পদ্ম-পার্টির।

    তরুণদের ক্ষমতায়ণ

    দেশের তরুণদের ক্ষমতায়নের দিশা দেখানো হয়েছে ১৮ নম্বর পৃষ্ঠায়। ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া সিড ফান্ড স্কিম’ ও ‘স্টার্টআপ ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমে’ ফান্ডিং বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। মুদ্রা লোন লিমিটের (তরুণ ক্যাটেগরি) পরিমাণ ১০ লাখ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। জাতীয় শিক্ষা নীতির ওপরও জোর দিয়েছে বিজেপি। সঙ্কল্পপত্রের ৬০ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শিশুদের উন্নত শিক্ষা দিতে ‘পিএম শ্রী স্কুল’, ‘একলব্য স্কুল’ এবং এই ধরনের অন্যান্য স্কুলগুলিকে বিশ্বমানের গড়ে তোলা হবে। অটোমেটিক পার্মানেন্ট অ্যাকাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রির মাধ্যমে ‘এক দেশ, এক স্টুডেন্ট আইডি’র ব্যবস্থা করা হবে। ৫৭ পৃষ্ঠায় আরও বেশি করে এইমস এবং মেডিক্যাল কলেজ তৈরি এবং সেগুলিতে পড়ুয়াদের জন্য আসন সংখ্যাও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

    কিষান নিধি

    ‘কিষান নিধি যোজনা’য় কৃষকদের বার্ষিক ৬ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ধানের মতো প্রধান শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোরও। ভারতকে বিশ্বের নিউট্রিহাবে পরিণত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। মিলেট চাষেও উৎসাহ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল বীজ সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ৩১ নম্বর পৃষ্ঠায় ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাড়াতে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। খাদির পুনরুজ্জীবনের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। ভারতকে ‘গ্লোবাল টয় হাবে’ পরিণত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

    গ্লোবাল লিডার

    ভারতকে ‘গ্লোবাল লিডার’ বানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ৩৫ নম্বর পৃষ্ঠায় (Lok Sabha Elections 2024)। বলা হয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত যাতে স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে, তার চেষ্টাও করা হবে। সন্ত্রাসবাদ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিরুদ্ধ জারি থাকবে লড়াই। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। বিশ্বে যোগ এবং আয়ুর্বেদ চিকিৎসা প্রমোট করা হবে। ৪০ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ভারতকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় তিন নম্বরে নিয়ে যাওয়া হবে। ভারতের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। অযোধ্যার উন্নয়ন, ভারতীয় ম্যানুস্ক্রিপ্টের ডিজিটাইজেশন এবং ভারতীয় সংস্কৃতি কোষের উন্নয়নে গেরুয়া পার্টির দায়বদ্ধতার কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারের ৩৮ নম্বর পাতায়। এ প্রসঙ্গে ২০১৬-র ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ এবং উনিশের ‘এয়ার স্ট্রাইকে’র কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ইমপ্লিমেন্টেশনও নিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সিএএ লাগু করতে গিয়ে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা পূরণ করা হবে। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে দেশে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ লাগুর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারের ৫৪ পৃষ্ঠায়।

    বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে ডিজাইন, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং কবচ ট্রেন প্রোটেকশন সিস্টেম প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ৬জি প্রযুক্তির বিকাশ, দুলাখ গ্রাম পঞ্চায়েতকে ভারত নেটের আওতায় নিয়ে আসা, হাইস্পিড ইন্টারনেট অ্যাকসেসের সুবিধা দানের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ চালু করতে যে কমিটি গড়া হয়েছিল, তার সুপারিশ বাস্তবায়িত করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: “কংগ্রেস দুর্নীতির আখড়া, ওদের অবস্থা বিগবসের মতো”, তোপ রাজনাথের

    Lok Sabha Elections 2024: “কংগ্রেস দুর্নীতির আখড়া, ওদের অবস্থা বিগবসের মতো”, তোপ রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী (Lok Sabha Elections 2024) প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের। কংগ্রেস যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দুর্নীতি বেড়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। কংগ্রেস পার্টিকে তিনি রিয়েলিটি শো ‘বিগবসে’র সঙ্গেও তুলনা করেছেন।

    কী বললেন রাজনাথ? (Lok Sabha Elections 2024)

    শনিবার ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াড়া ও কাঙ্কের জেলায় আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের পর এ রাজ্যে কংগ্রেসকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তারা ডাইনোসোরের মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।” এদিনের জনসভায় রাজনাথ আরও একবার ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র পক্ষে সওয়াল করেন। এতে যে সময় ও অর্থ দুই সাশ্রয় হয়, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। রাজনাথ বলেন, “কংগ্রেস যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দুর্নীতি বেড়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে দলটি (কংগ্রেস) যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।”

    ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’

    ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ছত্তিশগড়ের ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। সেই সময় উঠেছিল গোবর কেলেঙ্কারির অভিযোগ। এদিনের জনসভায় সেই প্রসঙ্গও টানেন রাজনাথ। তবে টানা দশ বছর ক্ষমতায় থাকলেও, নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ ওঠেনি, তাও মনে করিয়ে দেন রাজনাথ (Lok Sabha Elections 2024)। বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কেউ একটাও দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারবেন না।” মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেওকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যের নয়া বিজেপি সরকার দ্রুত ছত্তিশগড়ের উন্নয়ন করবে।” কংগ্রেসকে মরচে পড়া লোহার সঙ্গেও তুলনা করেন রাজনাথ। তার পরেই তিনি বলেন, “কংগ্রেস বিগবস (রিয়েলিটি শো) হাউসের মতো। এর নেতারা সর্বদা একে অন্যের জামা ছিঁড়ে ফেলতে ব্যস্ত।”

    আরও পড়ুুন: প্রচারে গিয়ে পাথরের ঘায়ে জখম অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী, আরোগ্য কামনা প্রধানমন্ত্রীর

    কংগ্রেসের অবস্থা ক্রমেই শোচনীয় হচ্ছে বলেও দাবি রাজনাথের। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যেই কংগ্রেস দলটা লাটে উঠে যাবে। পরে যখন প্রসঙ্গক্রমে কংগ্রেসের কথা উঠবে, তখন বাচ্চারা জিজ্ঞাসা করবে কংগ্রেস কে।” এর পরেই তিনি বলেন, “ডাইনোসোরের মতো কংগ্রেসও বিলুপ্ত হয়ে যাবে অচিরেই। সেই কারণেই কংগ্রেস ছেড়ে নেতারা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে (Lok Sabha Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: প্রচারে গিয়ে পাথরের ঘায়ে জখম অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী, আরোগ্য কামনা প্রধানমন্ত্রীর  

    Lok Sabha Elections 2024: প্রচারে গিয়ে পাথরের ঘায়ে জখম অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী, আরোগ্য কামনা প্রধানমন্ত্রীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাথরের ঘায়ে জখম অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি (Lok Sabha Elections 2024)। তাঁর কপাল ফেটে গিয়েছে। কপালে দু’টি সেলাইও করতে হয়েছে। রেড্ডির দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

    কপালে সেলাই (Lok Sabha Elections 2024)

    শনিবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন রেড্ডি। লোকসভার পাশাপাশি এ রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচনও। এদিন বিজয়ওয়াড়ায় প্রচারে গিয়ে রেড্ডি হাত নাড়ছিলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে। সেই সময় জনতার ভিড় থেকে আচমকাই একটি (Lok Sabha Elections 2024) পাথরের টুকরো এসে লাগে মুখ্যমন্ত্রীর কপালে। স্থানীয় চিকিৎসক তাঁর কাটা জায়গা সেলাই করে দেন। এরপর ফের প্রচারে বের হন ওয়াইএসআর কংগ্রেস সুপ্রিমো।

    কাঠগডায় টিডিপি

    ওয়াইএসআর কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের দাবি, স্কুল বিল্ডিং থেকেই হামলা চালানো হয়েছিল। টিডিপি ভয় পেয়ে এমন ঘৃণ্য হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু। তিনি বলেন, “জগন্মোহন রেড্ডির ওপরে এই হামলার তীব্র নিন্দা করি। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করছি।” ঘটনার নিন্দা করেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ওপর পাথর ছোড়ার তীব্র নিন্দা করি। রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্য কখনওই হিংসার রূপ নেওয়া উচিত নয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমাদের পারস্পরিক সম্মান ও সৌজন্য তুলে ধরা উচিত। ওঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।”

    প্রসঙ্গত, ১৩ মে নির্বাচন হবে অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫টি লোকসভা কেন্দ্রে। এদিনই হবে রাজ্যের ১৭৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনও। রেড্ডির ওপর আঘাতের খবর পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আমি আপনার দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করি। অন্ধ্রপ্রদেশের সিএম ওয়াইএস জগন গুরুর সুস্বাস্থ্যও কামনা করি (Lok Sabha Elections 2024)।”

      আরও পড়ুুন: “বাংলা হচ্ছে জঙ্গিদের সেফ করিডর”, বিস্ফোরক দিলীপ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Elections 2024: বাংলা নববর্ষে ইস্তাহার প্রকাশ করবে বিজেপি! সঙ্কল্পপত্রে কী রয়েছে জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: বাংলা নববর্ষে ইস্তাহার প্রকাশ করবে বিজেপি! সঙ্কল্পপত্রে কী রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হবে ১৯ এপ্রিল। তার আগে ১৪ এপ্রিল ইস্তাহার প্রকাশ করবে বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024)। ঘটনাচক্রে এই দিনটি বাংলা নববর্ষ। এই দিনেই ইস্তাহার প্রকাশ করবে পদ্ম-পার্টি। বিজেপির ইস্তাহারের নাম ‘সঙ্কল্প পত্র’। ইস্তাহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ইস্তাহার কমিটির মাথায় রয়েছেন রাজনাথ। ইতিমধ্যেই এই কমিটির বৈঠক হয়ে গিয়েছে দু’বার। ইস্তাহার তৈরিতে বিজেপি দেড় মিলিয়নেরও বেশি প্রস্তাব পেয়েছে জনগণের কাছ থেকে।

    বিজেপির সঙ্কল্পপত্র

    গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বিজেপির সঙ্কল্পপত্রে (Lok Sabha Elections 2024) আলোকপাত করা হবে মূলত উন্নয়নের ওপর। সমৃদ্ধশালী ভারত, মহিলা, যুব, গরিব এবং কৃষকের জন্য কী কী উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, থাকছে তাও। যেসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করা যাবে, সেগুলির ওপরই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। আলোকপাত করা হবে সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের ওপরও। ইস্তাহারের থিম, ‘মোদির গ্যারান্টি: ডেভেলপড ইন্ডিয়া ২০৪৭’।

    ইস্তাহার কমিটি

    বিজেপির এই ইস্তাহার কমিটিতে রয়েছেন ২৭ জন। কমিটির আহ্বায়ক নির্মলা সীতারামন। সহ-আহ্বায়ক পীযূষ গয়াল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে কমিটিতে জায়গা হয়েছে ধর্মেন্দ্র প্রধান, অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং ভূপেন্দ্র যাদবের। বিজেপি শাসিত (Lok Sabha Elections 2024) চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন। এঁরা হলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। এই কমিটিতে বাংলার কোনও প্রতিনিধি নেই। যেমন ওই চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কমিটিতে জায়গা দেওয়া হলেও, ঠাঁই হয়নি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির তারকা প্রচারক যোগী আদিত্যনাথের। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তারিক মনসুর ও অনিল অ্যান্টনি অবশ্য রয়েছেন ওই সাতাশজনের কমিটিতে।

    আরও পড়ুুন: হিন্দু, শিখদের সম্পত্তি ফেরাবে তালিবান সরকার! স্বাগত জানাল ভারত

    বাংলা নববর্ষের দিন বিজেপি ইস্তাহার প্রকাশ করলেও, কংগ্রেসের ‘ন্যায়পত্র’ (ইস্তাহারের পোশাকি নাম) প্রকাশিত হয়েছে ঢের আগে। এই ইস্তাহারে মূলত ২৫টি বিষয়ে গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, কংগ্রেসের ইস্তাহারে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, তা কীভাবে রূপায়িত হবে, তার কোনও সঠিক দিশা নেই। কংগ্রেসের ইস্তাহারকে ‘মিথ্যার ফুলঝুরি’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share