Tag: lok sabha

lok sabha

  • Lok Sabha Elections 2024: দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট, ইলেকশন ইন-চার্জ ঘোষণা নাড্ডার, বাংলার দায়িত্বে কে?

    Lok Sabha Elections 2024: দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট, ইলেকশন ইন-চার্জ ঘোষণা নাড্ডার, বাংলার দায়িত্বে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ-এপ্রিলে হওয়ার কথা লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। বিরোধী শিবিরে ছন্নছাড়া দশা। ঘেঁটে ঘ ‘ইন্ডি’ জোট। উল্টো দিকে আস্তিন গুটিয়ে নির্বাচনী ময়দানে নেমে পড়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। সংগঠনকে শক্তিশালী করে আরও বেশি আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য কেন্দ্রে ফিরতে চাইছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার।

    ইলেকশন ইন-চার্জ

    এমতাবস্থায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ইলেকশন ইন-চার্জদের নাম ঘোষণা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দলের ইলেকশন মেশিনারিকে সচল রাখতে এবং সমন্বিত পদ্ধতি নিশ্চিত করতেই দেশজুড়ে ইনচার্জদের নাম ঘোষণা করল পদ্মশিবির। বিভিন্ন রাজ্যে প্রচারের অভিমুখ ঠিক করবেন এই ইনচার্জরা। অভিজ্ঞতা, রাজ্যের সংগঠন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান এবং কৌশলগত ক্ষমতার নিরিখে বেছে নেওয়া হয়েছে ইনচার্জদের। বাংলার তিন ইনচার্জ হলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য, বিহার বিজেপির দক্ষ নেতা মঙ্গল পাণ্ডে এবং রাঁচির মেয়র আশা লাকড়া। গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলার দায়িত্বে ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সেবার মোট ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে পদ্ম ফোটান বিজয়বর্গীয়। এবার বাংলায় ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ২০১৩-২০১৭ সাল পর্যন্ত বিহার বিজেপির সভাপতি ছিলেন মঙ্গল পাণ্ডে। নীতীশের মন্ত্রিসভায় ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ঝাড়খণ্ডে আদিবাসীদের পরিচিত মুখ আশা লাকড়া। রাজনৈতিক মহলের মতে, জঙ্গলমহলের মতো আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় পদ্ম ফোটাতে আশাকে ইনচার্জ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে বাংলায় বিজেপির পর্যবেক্ষক নিযুক্ত হয়েছিলেন এই তিনজন। 

    ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ

    যাঁদের (Lok Sabha Elections 2024) ইনচার্জ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের দক্ষতার ওপর ভরসা করেছেন নাড্ডা। তাঁদের সাংগঠনিক দক্ষতা এবং ইলেকশন ম্যানেজমেন্টও প্রমাণিত হয়েছে অতীতে বহুবার। আসন্ন নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে যে সমন্বয়ের প্রয়োজন, তার ওপর জোর দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। ইলেকশন ইনচার্জরা দক্ষ রাজনীতিক। তৃণমূল স্তর থেকে উঠে আসা নেতা। বিভিন্ন রাজ্যে তাঁরা দলীয় সংগঠন মজবুত করতে দক্ষ। তৃণমূল স্তরে ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতেও এঁরা দক্ষ।

    আরও পড়ুুন: ভিড়ের নিরিখে ভ্যাটিকান সিটি এবং মক্কাকেও ছাপিয়ে যাবে অযোধ্যা!

    মাসখানেক আগেই দলের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির দলীয় দফতরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন অন্তত ৪০০ আসনে জিতে ফিরতে হবে কেন্দ্রে। প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই উঠেপড়ে লেগেছেন গেরুয়া পার্টির সেনানীরা। বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধীদের মুখের (Lok Sabha Elections 2024) মতো জবাব দিতে যখন প্রস্তুত হচ্ছে দল, সেই সময়ই নাম ঘোষণা করে দেওয়া হল ইনচার্জদের। আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে যা যা করা প্রয়োজন, তা-ই করে চলেছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা।

    দল যে নির্মল ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, দলীয় কর্মীদের তা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন নাড্ডা। জন-কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশও পদ্ম-কর্মীদের দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। জাতি গঠনেও দলীয় কর্মীদের কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইলেকশন ইনচার্জদের জনগণের সঙ্গে সংযোগ বাড়ানো, তাঁদের সমস্যার কথা শোনা এবং পার্টির দৃষ্টিভঙ্গী তাঁদের কাছে তুলে ধরার নিদানও দেওয়া হয়েছে ইলেকশন ইনচার্জদের (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Nitish Kumar: মোদির হাত ধরেই ফিরবেন? নীতীশের এনডিএ-যোগ নিয়ে জল্পনা তীব্র

    Nitish Kumar: মোদির হাত ধরেই ফিরবেন? নীতীশের এনডিএ-যোগ নিয়ে জল্পনা তীব্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের এনডিএতেই যোগ দিচ্ছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। রাজনৈতিক মহলে এমনই গুঞ্জন।  সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে নাকি আসনরফাও হয়ে গিয়েছে বিজেপি এবং নীতীশের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)-এর। যোগদান এখন সময়ের অপেক্ষা। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)-র সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যেতে পারে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিহারের বেতিয়ায় প্রচার র‌্যালি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা যেতে পারে নীতীশ কুমারকে। সেখান থেকেই হয়তো ফের শিবির বদলের ঘোষণা করতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

    ইন্ডি জোট ছাড়ছেন নীতিশ

    তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলা এবং পাঞ্জাবে একাই লড়বে তাঁদের দল। এমতাবস্থায় ইন্ডি জোট ছাড়ার পথে নীতীশও (Nitish Kumar)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে পাটনায় নিজের দলের সকল বিধায়ককে ডেকে পাঠিয়েছেন নীতীশ (JDU-NDA  Alliance)। সেখানে বসেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। নীতীশ এনডিএতে যোগ দিলে দু’টি সম্ভাবনা খোলা থাকবে। এক, বিধানসভা ভেঙে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই বিহারে আবারও বিধানসভা নির্বাচন করানো। নয়তো, নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখে দেওয়া। বিহারে বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৪৩। ম্যাজিক ফিগার ১২২। আরজেডির রয়েছে ৭৯টি আসন। জেডিইউয়ের হাতে রয়েছে ৪৫টি আসন। বিজেপির রয়েছে ৮২টি আসন। বিজেপির হাত ধরলে অনায়াসেই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যেতে পারে নীতীশের দল।

    আরও পড়ুন: ইউপিআই কী? ‘চায়ে পে চর্চা’য় মাক্রঁকে বোঝালেন মোদি

    ফের এনডিএ-তে যোগ

    ২০১৩ সাল থেকে এই নিয়ে পাঁচ বার শিবির বদলালেন ৭২ বছরের নীতীশ (Nitish Kumar)। শেষ বার, ২০২২ সালে এনডিএ ছেড়ে মহাজোটে যোগ দেন তিনি। লালুর দল আরজেডির সঙ্গে সরকার গড়েন। তার দু’বছর আগেই মহাজোট ছেড়ে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এ বার ফের মহাজোট ছেড়ে এনডিএ-তে। বিজেপি সূত্রে খবর, বিহারের বিজেপির রাজ্য সভাপতি সম্রাট চৌধুরীকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। সুশীল মোদি ও সম্রাট চৌধুরী বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তারপরই হয়তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বিহার থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করবেন মোদি, কবে সভা জানেন?

    PM Modi: বিহার থেকে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করবেন মোদি, কবে সভা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন। ছন্নছাড়া দশা বিরোধীদের। তবে আস্তিন গুটিয়ে ইতিমধ্যেই লড়াইয়ের ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। এটা অবশ্য আন-অফিশিয়ালি। অফিশিয়ালি পদ্ম-শিবিরের প্রচার শুরু হবে ১৩ জানুয়ারি, বিহার থেকে। নীতীশ কুমারের রাজ্যের চম্পারণ থেকেই প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    টার্গেট ৪০

    গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, এদিন বেত্তাই শহরের রামান ময়দানে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই সভার আগে প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসও করতে পারেন তিনি। এই প্রকল্পগুলির সবই বিহার কেন্দ্রিক। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ৪০০-র বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চাইছে বিজেপি। এজন্য বিভিন্ন রাজ্য নেতৃত্বকে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাংলার ক্ষেত্রে এই লক্ষ্যমাত্রা ৩৫। আর নীতীশের রাজ্যে ৪০ আসনেই জিততে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই কারণেই জানুয়ারি মাসজুড়ে বিহারে সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

    বিহারে সভা করবেন কারা

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) তো রয়েইছেন। জানুয়ারির ১৫ তারিখ থেকে বিহারে প্রচারে ঝড় তুলবেন পদ্ম-সেনানীরা। বিহারের তিন জনসভায় সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলি হল বেগুসরাই, বেত্তাই এবং অওরঙ্গাবাদ। জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নীতীশের রাজ্যে সভা করবেন তিনটি। এগুলি হল সীতামারি, মাধেপুরা এবং নালন্দা। আর বিহারের সীমাঞ্চল এবং ইস্টার্ন রিজিয়নে একাধিক সভা করবেন জেপি নাড্ডা। এক সময় বিজেপির সঙ্গ ধরেছিল নীতীশের দল জনতা দল ইউনাইটেড। পরে নীতীশ বেরিয়ে আসেন গেরুয়া ছত্রছায়া থেকে। মহাগটবন্ধন করে টিকিয়ে রেখেছেন সরকার।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তান নয়, রত্নগর্ভা লাক্ষাদ্বীপ এল ভারতেই, লৌহমানবের কীর্তিতে অবাক বিশ্ব

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে মাত দিতে জোট বেঁধেছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডি’। এই জোটে শামিল হয়েছে নীতীশের দলও। বিহারে লোকসভার আসন রয়েছে ৪০টি। গত লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ-র দখলে ছিল ৩৯টি আসন। একটিতে জিতেছিল কংগ্রেস। এবার এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে ইন্ডি জোটে শামিল হয়েছে নীতীশের দল। তাই নীতীশকে শিক্ষা দিতে রাজ্যের ৪০টি আসনেই পদ্ম ফোটাতে চাইছেন বিজেপির (PM Modi) ভোট ম্যানেজাররা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Lok Sabha Poll 2024: বাংলার ৬০ শতাংশ মানুষ মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন, ইঙ্গিত সমীক্ষায়

    Lok Sabha Poll 2024: বাংলার ৬০ শতাংশ মানুষ মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন, ইঙ্গিত সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ একটা। দুই মুখ। একদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্য দিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কার রেটিং কত? প্রধানমন্ত্রী পদে কাকে চাইছে বাংলা? কী বলছেন বাংলার (Lok Sabha Poll 2024) ভোটাররা? সম্প্রতি জনমত সমীক্ষা চালিয়েছিল সি ভোটার। সেখানেই জানা গিয়েছে, রাহুলের চেয়ে যোজন খানেক এগিয়ে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। বাংলার ৬০ শতাংশ ভোটারও তাঁকেই দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী পদে। কিছুদিন আগেই ফল বেরিয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের। এর মধ্যেই তিনটিতে উড়েছে গেরুয়া নিশান। কংগ্রেসের মুখ রক্ষা হয়েছে কেবল তেলঙ্গানায়। বিজেপির দাবি, তিন রাজ্যে জয় এসেছে মোদি ম্যাজিকেই।

    অগোছালো বিরোধীরা

    বিজেপির জয়ের গ্রাফ যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন ঘরই গুছিয়ে উঠতে পারেনি বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে গঠিত ইন্ডি জোট। জোট গঠনের পর থেকে চার-চারটি বৈঠক হয়েছে বটে, তবে এখনও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীই ঠিক হয়নি। এনিয়েও জোটের অন্দরে শুরু হয়েছে অশান্তি। জোট শরিক তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে চাইলেও, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার আবার তাতে আপত্তি জানিয়েছেন।

    এগিয়ে মোদি

    ইন্ডি জোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী এখনও ঠিক না (Lok Sabha Poll 2024) হলেও, সি-ভোটারের সমীক্ষকরা তুল্যমূল্য বিচার করছেন মোদি বনাম রাহুলের রেটিং। তাতে দেখা যাচ্ছে, মোদিকেই ফের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইছেন ৫৯ শতাংশ মানুষ। সে ক্ষেত্রে রাহুলকে ওই পদে দেখতে চাইছেন ৩২ শতাংশ মানুষ। এই দুজনের মধ্যে কাউকেই পছন্দ করেন না ৪ শতাংশ ভোটার। মতামত দেননি ৫ শতাংশ মানুষ।

    একমাত্র পাঞ্জাবেই মোদির চেয়ে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন রাহুল। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইছেন ৩৬ শতাংশ মানুষ। তবে বাকি রাজ্যগুলিতে রাহুলকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোল দিয়েছেন মোদি। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাও। এখানকার ৬০ শতাংশ মানুষই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন মোদিকে। ছত্তিসগড়ের ৬৭ শতাংশ, কর্নাটকের ৬৫ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৬৬ শতাংশ, রাজস্থানে ৬৫ শতাংশ, তেলঙ্গানায় ৫০ শতাংশ, বিহারে ৬৬ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৫৫ শতাংশ এবং উত্তরপ্রদেশের ৬০ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাইছেন মোদিকেই।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রে ফের মোদিই, বলছে বছর শেষের সমীক্ষা, কত আসন পাবে বিজেপি?

    মোদি এবং রাহুলের মধ্যে কাউকেই পছন্দ নয় ছত্তিসগড়ে ১, কর্নাটকে ২, মধ্যপ্রদেশে ৩, রাজস্থানে ২, তেলঙ্গানায় ২, বিহারে ৬, মহারাষ্ট্রে ৬, পঞ্জাবে ১৪, উত্তরপ্রদেশে ৮ এবং পশ্চিমবঙ্গের ২ শতাংশ ভোটারের। মোদি-রাহুল দ্বৈরথের পর তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান ১৩ শতাংশ মানুষ। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান ১০ শতাংশ মানুষ। আর ৯ শতাংশ মানুষ চাইছেন (Lok Sabha Poll 2024) প্রধানমন্ত্রী হোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • PM Modi: “আব কি বার ৫০ শতাংশ ভোট পার”, প্রচারের সুর বাঁধলেন মোদি

    PM Modi: “আব কি বার ৫০ শতাংশ ভোট পার”, প্রচারের সুর বাঁধলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আব কি বার ৫০ শতাংশ ভোট পার।” আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের জন্য এই সুরই বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি স্লোগান বেঁধে দিয়েছিলেন, “আপ কি বার, মোদি সরকার।” এবার তৈরি করলেন নয়া স্লোগান। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে তৃতীয়বার মোদির নেতৃত্বে নির্বাচনী ময়দানে হাজির হচ্ছে গেরুয়া শিবির।

     ‘৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে’

    নতুন বছরের মধ্য-এপ্রিলে হতে পারে লোকসভা নির্বাচন। সেজন্য ইতিমধ্যেই আস্তিন গোটাতে শুরু করেছে বিজেপি। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বসেছে দলীয় কর্মকর্তাদের বৈঠক। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে যত ভোট পড়বে, তার অন্তত ৫০ শতাংশ বিজেপির পাওয়া প্রয়োজন।” উল্লেখ্য যে, গত লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝুলিতে পড়েছিল ৩৭.৩৬ শতাংশ ভোট। বিজেপি একাই পেয়েছিল ৩০৩টি আসন।

    বাতলে দিলেন জয়ের কৌশলও

    পদ্ম-শিবির সূত্রে খবর, ঘণ্টা চারেক ধরে চলা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) একাই বক্তব্য রাখেন প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে। তিনি বলেন, “বিজেপি যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পায়, তাহলে জয় আরও নিশ্চিত হবে।” কীভাবে এত ভোট পাওয়া যাবে, তাও বাতলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমজনতার কাছে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি নিয়ে প্রচার করতে হবে। যে চারটি বিষয়ে জোর দিতে হবে, সেগুলি হল, মহিলাদের জন্য মোদি সরকার কী কী করেছে, কৃষকদের আর্থিক উন্নয়নে সরকার কী কী প্রকল্প রূপায়ন করেছে, যুব সমাজের কর্মসংস্থানে সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে এবং দারিদ্র দূরীকরণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ।”

    আরও পড়ুুন: এবার আমেরিকার মন্দিরের গায়েও খালিস্তানপন্থী স্লোগান, নেপথ্যে পান্নুনের সংগঠন!

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতপাতের রাজনীতি নয়, দারিদ্রকে সব চেয়ে পিছিয়ে পড়া জাতি হিসেবে প্রচার করতে হবে। বিরোধীদের নেতিবাচক প্রচারের ফাঁদে পা দিয়ে উন্নয়নের প্রচারের অভিমুখ থেকে সরলে চলবে না।” প্রচারের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেও বিজেপির কর্মকর্তাদের বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রতি মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর দিতে হবে। যুব সম্প্রদায়কে আকর্ষণ করতে ইনস্টাগ্রামে রিল ব্যবহার করতে হবে।” দু’ দিনের এই বৈঠকের শেষ দিন শনিবার। এদিন বক্তব্য রাখার কথা (PM Modi) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Security Breach: লোকসভাকাণ্ডে ধৃতদের মনের হদিশ পেতে হচ্ছে সাইকো-অ্যানালিসিস টেস্ট!

    Lok Sabha Security Breach: লোকসভাকাণ্ডে ধৃতদের মনের হদিশ পেতে হচ্ছে সাইকো-অ্যানালিসিস টেস্ট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লোকসভাকাণ্ডে (Lok Sabha Security Breach) ধৃতদের মানসিক পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হল। সেজন্য ইতিমধ্যেই ধৃতদের মধ্যে একজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে। মানসিক পরীক্ষা করা হবে বাকিদেরও। লোকসভাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি, নীলম আজাদ এবং অমল শিন্ডে রয়েছে দিল্লি পুলিশের হেফাজতে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ললিত ঝা ও মহেশ কুনওয়াতকে।

    মন পরীক্ষার ব্যবস্থা

    লোকসভায় হানা দেওয়ার সময় তাদের মানসিক অবস্থা কী ছিল, তা জানতেই মন পরীক্ষার ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে ধৃতদের বেশ কিছু প্রশ্ন করা হবে। সেই প্রশ্নগুলির উত্তর তারা কী দিচ্ছে, তা থেকেই জানা যাবে তাদের মনের হদিশ। ঠিক কী ধরনের ভাবনাচিন্তা মাথায় নিয়ে তারা লোকসভায় হামলা করেছিল, তা জানা যাবে। মনের হদিশ জানতে (Lok Sabha Security Breach) শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডে ধৃত আফতাবের এই পরীক্ষা করিয়েছিল দিল্লি পুলিশ।

    মনের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা

    এর পর এবার লোকসভাকাণ্ডে ধৃতদের মনের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছেন দিল্লি পুলিশের তদন্তকারীরা। লোকসভাকাণ্ডের পর ধৃতেরা জানিয়েছিল, মণিপুর হিংসা, বেকারত্ব, কৃষক সমস্যা প্রভৃতি বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সমাধানের রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করছিল তারা। তাদের এই দাবি কতটা সত্য, তা জানতেই ধৃতদের মন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত তদন্তকারীদের। ১৩ ডিসেম্বর অধিবেশন চলাকালীন রংবোমা নিয়ে লোকসভায় ঢুকে পড়ে সাগর ও মনোরঞ্জন। দর্শক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে নীচে পড়ে এক বেঞ্চ থেকে অন্য বেঞ্চে লাফিয়ে বেড়ায় তারা। জুতোয় লুকিয়ে রাখা রং বোমা ফাটায় তারা। ছড়িয়ে দেয় হলুদ ধোঁয়া।

    আরও পড়ুুন: ‘‘চাকরি দেবে না তো পরীক্ষা কেন নিয়েছিল?” মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

    দুই সাংসদ ধরে ফেলেন হানাদারদের। তুলে দেওয়া হয় মার্শালদের হাতে। ওই একই সময় সংসদের বাইরে থেকে গ্রেফতার করা হয় নীলম ও অমলকে। পরে গ্রেফতার করা হয় ললিত ও মহেশকে। এই ছ’ জনেরই মন জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সেই কারণেই এদের মধ্যে একজনকে পাঠানো (Lok Sabha Security Breach) হয়েছে ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Criminal Law Bills: লোকসভায় পাশ ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত তিন বিল, কী আছে জানেন?  

    Criminal Law Bills: লোকসভায় পাশ ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত তিন বিল, কী আছে জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় পাশ হয়ে গেল ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত (Criminal Law Bills) তিনটি বিল। কেন্দ্রের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল বিলগুলির বিষয়ে। তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বিজেপি বিরোধী দলগুলির সাংসদরা। পরিমার্জন করে এই বিলগুলিই পেশ হয়েছিল লোকসভায়। বুধবার সংসদে পাশও হয়ে গেল বিল তিনটি।

    ফৌজদারি আইন সংক্রান্ত ৩ বিল

    এদিন যে তিনটি বিল পাশ হল, সেগুলি হল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা। আইপিসির পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা। কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওরের পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা। ইন্ডিয়ান এভিডেন্ট অ্যাক্টের পরিবর্তে এসেছে ভারতীয় সাক্ষ্য সংহিতা। বিল পেশের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “নয়া ফৌজদারি আইনের প্রতিটি দাঁড়ি, কমা খতিয়ে দেখেছি।” তিনি জানান, মোদি সরকারের তরফে এই বিল সংক্রান্ত ১৫৮টি বৈঠক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই বিলের ক্ষেত্রে ভারতীয়তা, ভারতীয় সংবিধান ও জনগণের কল্যাণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।”

    যৌন নিপীড়নের জন্য সাজা

    নয়া বিলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৭৩ (অনুমতি ছাড়াই আদালতে কার্যক্রম প্রকাশ), ৮৬ (নিষ্ঠুরতা) ধারার পরিবর্তন করা হয়েছে। ধারা ৭৩-এ অনুমতি ছাড়া ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের জন্য দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নতুন বিলগুলিতে পুরানো ফৌজদারি আইনে ‘মানসিক অসুস্থতা’র মতো শব্দও বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ‘অস্থির মন’।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা (Criminal Law Bills) ও জঙ্গি দমনে কঠোর পদক্ষেপের উদ্দেশ্যে এই তিনটি বিল আনা হয়েছে। ব্রিটিশ জমানায় রাজদ্রোহ আইন শুধু নাম বদলে স্বাধীন ভারতে দেশদ্রোহ আইন হিসেবে কার্যকর হয়েছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই দাসত্বের সব চিহ্ন মুছে দিতে চলেছেন।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতা-উত্তরকালে নরেন্দ্র মোদির সরকারই এক মাত্র নির্বাচনের আগে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চলেছে।” তিনি জানান, সিআরপিসিতে ৪৮৪টি ধারা ছিল। বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫৩১টি। ১৭৭টি ধারায় পরিবর্তন করা হয়েছে। যোগ করা হয়েছে ৯টি নয়া অনুচ্ছেদ। যোগ হয়েছে ৩৯টি উপধারাও। নয়া ধারা নিয়ে আসা হয়েছে ৪৪টি।

    আরও পড়ুুন: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    শাহ বলেন, “গণপিটুনি একটি জঘন্য অপরাধ। এই আইনে আমরা এই অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান দিয়েছি। সাইবার অপরাধের জন্যও অনেক বিধান রাখা হয়েছে।” তিনি বলেন, “নয়া তিনটি বিলে পুলিশ ও নাগরিকের অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রাখা হয়েছে। এর ফলে শাস্তি দেওয়ার সংখ্যা বাড়বে। ন্যায়বিচার, সমতা ও নিরপেক্ষতার ধারণাকে বিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ফরেনসিক বিজ্ঞানও (Criminal Law Bills)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha: অভব্য-অসংসদীয় আচরণের বিরুদ্ধ কড়া মোদি সরকার, ২ দিনে সাসপেন্ড ১১৬ সাংসদ

    Lok Sabha: অভব্য-অসংসদীয় আচরণের বিরুদ্ধ কড়া মোদি সরকার, ২ দিনে সাসপেন্ড ১১৬ সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারও লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল ৪৯ জন সাংসদকে (Lok Sabha)। গত ২ দিনে লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট সাসপেন্ড সংখ্যা দাঁড়াল ১১৬। ইস্যুহীন বিরোধীরা সংসদের কাজ ভেস্তে দিতে যে ধরনের অভব্য আচরণ শুরু করেছে তা যে কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না, ১০০-এর ওপর সাংসদকে সাসপেন্ড করে সেই বার্তাই পৌঁছে দিল মোদি সরকার। সম্প্রতি ৩ রাজ্যে বিজেপির কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে বিরোধীরা। তাই হতাশার জায়গা থেকেই বিরোধীরা এধরনের আচরণ করছে, এমন কথাই উঠে এল সংসদ বিষয়ক (Lok Sabha) মন্ত্রীর ভাষণে।

    প্রহ্লাদ জোশির বিবৃতি

    এদিন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেন, ‘‘এটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে প্ল্যাকার্ড হাতে সংসদে বিক্ষোভ দেখানো যাবেনা, তা সত্ত্বেও বিরোধীরা সেই কাজ করল।’’

    সংসদের ঐতিহ্য ও গরিমা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাই এমন সিদ্ধান্ত

    বিরোধী সাংসদের সাসপেন্ডের প্রস্তাব এদিন পেশ করেন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল। ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে সেই প্রস্তাব পাশ (Lok Sabha) হয়। ফারুক আবদুল্লা, মণীশ তেওয়ারি, ডিম্পল যাদব, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কার্তী চিদম্বরম সমেত ৪৯ জনকে এদিন সাসপেন্ড করা হয়। সংসদের ঐতিহ্য, গরিমা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে কারণেই বাধ্য হয়ে মোদি সরকারকে এই পদক্ষেপ (Lok Sabha) গ্রহণ করতে হল বলে মনে করছে কোনও কোনও মহল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: লোকসভাকাণ্ডে সাংসদদের চিঠি দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা, কী লিখলেন?

    Parliament Security Breach: লোকসভাকাণ্ডে সাংসদদের চিঠি দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা, কী লিখলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) জেরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি না করার আবেদনও জানিয়েছেন বিরোধীদের কাছে। এবার ওই ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সাংসদদের চিঠি দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। ঘটনার তদন্তে গঠিত হয়েছে সংসদীয় তদন্ত কমিটি। সংসদ চত্বরের সুরক্ষার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করতে এবং বুধবারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে, উচ্চ পর্যায়ের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন স্পিকার ওম বিড়লা।

    সাংসদদের চিঠি স্পিকারের

    বিষয়টি জানিয়ে সাংসদদের চিঠি দিয়েছেন তিনি। উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি দ্রুত রিপোর্ট দেবে এবং সেই রিপোর্ট সাংসদদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন স্পিকার। সংসদ চত্বরের (Parliament Security Breach) নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্ব সাংসদদের ওপরও বর্তায় বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর মতোই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি না করার পরামর্শও দিয়েছেন ওম বিড়লা। চলছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশন চলাকালীন সংসদের নিয়ন্ত্রণ থাকে স্পিকারের হাতে।

    কী লিখলেন স্পিকার?

    তাই সম্প্রতি বিভিন্ন দলের যে ১৪ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, লোকসভাকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন স্পিকার। সাংসদদের পাঠানো চিঠিতে ওম বিড়লা লিখেছেন, “১৩ ডিসেম্বর সংসদে যা ঘটেছে, তার সঙ্গে সাংসদদের সাসপেন্ড করার ঘটনাটি জুড়ে দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক।” তিনি জানিয়েছেন, অধিবেশন কক্ষে সাংসদদের অশালীন আচরণের প্রশংসা দেশবাসী করে না। সংসদের শৃঙ্খলা ও সম্মান রক্ষার্থেই সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে জানিয়ে স্পিকারের বার্তা, “আশা করি, ভবিষ্যতে সংসদের গরিমা ও মর্যাদাকে গুরুত্ব দেবেন সাংসদরা।”

    আরও পড়ুুন: “সংসদের ঘটনার গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    স্পিকার লিখেছেন, অতীতেও সংসদে দর্শকদের গ্যালারিতে পিস্তল নিয়ে ঢোকা, স্লোগান দেওয়া, লিফলেট ছড়ানো মায় সাংসদদের পিপার স্প্রে নিয়ে ঢোকার নজিরও রয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংসদ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সামগ্রিকভাবে সাংসদদের সহযোগিতা ও সমর্থনের আহ্বানও জানিয়েছেন স্পিকার।

    প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে স্লোগান দিতে দিতে রাজ্যসভার এক সাংসদের চেম্বার লক্ষ্য করে চটি ছুড়েছিল এক দর্শক। রাজ্যসভায় স্লোগান দিতে দিতে লিফলেটও ছুড়েছিল এক দর্শক। ১৯৯১ থেকে ৯৪ সালের মধ্যেও একাধিকবার দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দিয়ে (Parliament Security Breach) অধিবেশন কক্ষে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: মরুরাজ্যে ললিতের ডেরায় মিলল আধপোড়া মোবাইল, জুতো, রহস্যের কিনারা শীঘ্রই?

    Parliament Security Breach: মরুরাজ্যে ললিতের ডেরায় মিলল আধপোড়া মোবাইল, জুতো, রহস্যের কিনারা শীঘ্রই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে ললিতের  (Parliament Security Breach) ডেরায় মিলল পোড়া মোবাইলের অংশ। বেশ কিছু আধপোড়া কাপড় এবং জুতোও উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে প্রথমে ভাঙা হয়েছিল মোবাইলগুলি। পরে সেগুলিতে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন।

    রাজস্থানে পালিয়েছিল ললিত

    লোকসভাকাণ্ডে শনিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে ষষ্ঠ অভিযুক্ত মহেশ কুনাওয়াতকে। ঘটনার পর এই মহেশই মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝাকে দিল্লি থেকে মরুরাজ্যে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। মহেশকে গ্রেফতার করার পর স্পষ্ট হয়ে যায় পুরো সিনারিওটা। গত বুধবার, ঘটনার দিন লোকসভার অধিবেশন কক্ষে (Parliament Security Breach) যখন ঢুকে পড়েছিল দুই হানাদার, ঠিক সেই সময়ই সংসদ চত্বরে ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’, ‘ভারত মাতা কি জয় স্লোগান’ দিচ্ছিল আরও দুজন। মোবাইলে পুরো ঘটনাটি রেকর্ড করছিল ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা।

    কী মিলল ললিতের ডেরায়?

    অপারেশনের আগে সে-ই বাকি চারজনের (সংসদের ভেতরে দুজন, বাইরে দুজন) মোবাইল ফোন নিয়ে নিয়েছিল। ঘটনার পরে পরেই দিল্লি ছেড়ে ললিত পালিয়ে যায় রাজস্থানে। সেখানে গিয়েই প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশে মোবাইল ফোনগুলি ভেঙে লাগিয়ে দেয় আগুন। এসব করার আগে ‘ভগৎ সিং ফ্যান ক্লাব’ ফেসবুক পেজের এক বন্ধুর সঙ্গে মোবাইলে ললিত কথা বলেছিল বলেও জেনেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, রাজস্থানে যেখানে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল ললিত, সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে আধপোড়া মোবাইল, কাপড় এবং জুতো।

    আরও পড়ুুন: “সংসদের ঘটনার গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এদিকে, সংসদ সদস্য বিজেপির প্রতাপ সিনহাকে তদন্তের স্বার্থে তলব করতে পারে দিল্লি পুলিশ। এই প্রতাপের ভিজিটর পাশ নিয়েই লোকসভার দর্শক গ্যালারিতে ঢুকে পড়েছিল সাগর শর্মা ও ডি মনোরঞ্জন। শুক্রবার অভিযুক্তদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিল পুলিশ। কীভাবে তারা সংসদ চত্বরে ঢুকল, আর কোথায় কোথায় গিয়েছিল, সবই ধৃতদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    প্রসঙ্গত, লোকসভার অধিবেশন চলাকালীনই দর্শক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে অধিবেশন কক্ষে পড়েছিল সাগর ও মনোরঞ্জন। পরে জুতোয় লুকিয়ে রাখা রং-বোমা ফাটায়। প্রথম হকচকিয়ে গেলেও, পরে তাদের ধরে ফেলেন দুই সাংসদ। মার্শাল ডেকে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ (Parliament Security Breach)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

       

LinkedIn
Share