Tag: loksabha

loksabha

  • Lok Sabha Election 2024: ৬ মাস আগেই লোকসভা ভোট! কী বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার?

    Lok Sabha Election 2024: ৬ মাস আগেই লোকসভা ভোট! কী বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক দেশ এক ভোট’ ইস্যুতে সংবিধান মেনে চলার বার্তা দিলেন নির্বাচন কমিশন। বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা ভোট একসঙ্গেই করতে চায় কেন্দ্র সরকার। এ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যে বিশেষ কমিটিও গঠন করেছে সরকার। বুধবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,  ‘‘আইনের মধ্যে থেকে আমরা নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’’

    নির্বাচন কমিশনের অভিমত

    সামনেই মধ্য প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। তার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার ভোপালে পৌঁছন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন,  ‘‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন শেষ করে ফেলাই আমাদের কাজ। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মেনে সংবিধান আমাদের যে অধিকার দিয়েছে, তা অনুযায়ী আমরা নির্বাচন সংগঠন করে থাকি।’’ একইসঙ্গে রাজীব কুমার আরও বলেন, ‘‘এই জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ছয় মাস আগেই নির্বাচন করা যায়। রাজ্য বিধানসভাগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। সংবিধান এবং এই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আওতায় থেকে আমরা নির্বাচন করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘যোগ্য জবাব দেওয়া প্রয়োজন’’! সনাতন ধর্ম বিতর্কে মুখ খুললেন মোদি

    নির্বাচন নিয়ে জল্পনা

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের এই মন্তব্যের পরই আবার আলোচনা শুরু হয় তাহলে কি এগিয়ে আসতে চলেছে লোকসভা ভোট? যদিও এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি রাজীব কুমার। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কমিশন (Chief Election Commissioner)।  ডিসেম্বরে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। গত প্রায় বেশ কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের গলায় নানাভাবে এই এক দেশ এক নির্বাচন প্রক্রিয়ার কথা শোনা গিয়েছে। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে একইসঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন হতে পারে দেশে। এই পদক্ষেপে একদিকে যেমন নির্বাচনের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমবে। আবার, নির্বাচিত সরকারগুলিও কাজ করার জন্য বেশি সময় পাবে। বাড়বে কেন্দ্র-রাজ্য সম্বন্বয়। আর তাই এক দেশ এক ভোটের পক্ষে সওয়াল করছে শাসকদল। প্রসঙ্গত, আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডাকা হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সেই অধিবেশন চলাকালীন এই এক দেশ এক নির্বাচন প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Services Bill: লোকসভায় পাশ দিল্লি পরিষেবা বিল, ওয়াক আউট বিরোধীদের

    Delhi Services Bill: লোকসভায় পাশ দিল্লি পরিষেবা বিল, ওয়াক আউট বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীদের ‘আপত্তি’র মধ্যেই বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাশ হল দিল্লি রাজধানী এলাকা সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৩। সারা দিন ধরে এই বিলের উপর বিতর্কের পর, লোকসভায় ধ্বণিভোটে পাস হয় দিল্লির আমলাতন্ত্র নিয়ে এই বিল (Delhi Services Bill)। সংসদের নিম্নকক্ষে বিলটি পাশ হওয়ার পরই ওয়াক আউট করেন বিরোধী সাংসদরা। এই বিল আইনে পরিণত হলে, দিল্লিতে আমলা নিয়োগ এবং বদলির ক্ষমতা হারাবে দিল্লির নির্বাচিত সরকার। এই ক্ষমতা ন্যাস্ত হবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।

    বিল নিয়ে বিরোধ

    দিল্লির (Delhi Services Bill) আমলাদের নিয়োগ এবং বদলির রাশ কার হাতে থাকবে—এই নিয়ে জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। গত ১১ মে শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মত ভাবে জানিয়েছিল, আমলাদের রদবদল থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের। তবে পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা এবং ভূমি দফতর সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতেই থাকবে বলে জানানো হয়। গত ১৯ মে আদালতের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে অধ্যাদেশ জারি করে মোদি সরকার। অধ্যাদেশে বলা হয়, জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। আমলাদের নিয়োগ এবং বদলির ব্যাপারে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।

    আরও পড়ুন: ‘লোকসভায় ৩৬ আসন জেতার শপথ নিন’, বিজেপি কর্মীদের বললেন শুভেন্দু

    বিলের স্বপক্ষে যুক্তি

    দিল্লি সার্ভিসেস বিল (Delhi Services Bill) নিয়ে আলোচনার মধ্যেই এদিন লোকসভায় সাসপেন্ড করা হয় আম আদমি পার্টির একমাত্র লোকসভা সাংসদ সুশীলকুমার রিঙ্কুকে। তাঁর বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের চেয়ারের দিকে কাগজ ছোড়ার অভিযোগ রয়েছে। পুরো বাদল অধিবেশনের জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছে আপ সাংসদকে। এদিন এই বিলের বিষয়ে আলোচনার সময় অমিত শাহ (Amit Shah) জানান, সুপ্রিম কোর্টের আদেশেই বলা হয়েছে, জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির বিষয়ে যে কোনও বিষয়ে আইন তৈরি করার অধিকার রয়েছে সংসদের। এছাড়া, সংবিধানও কেন্দ্রকে দিল্লির জন্য আইন তৈরির অনুমতি দিয়েছে। এদিন লোকসভায় এই বিল পাশ হওয়ার পর বিলটি রাজ্যসভার বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। রাজ্যসভায় বিরোধী সাংসদদের সংখ্যা বেশি থাকলেও, এই বিলটি সম্ভবত সহজেই পাশ হয়ে যাবে। বিরোধীদের জোট ‘ইন্ডিয়া’ এই বিলের বিরোধিতা করলেও, নবীন পট্টনায়কের বিজু জনতা দল এবং জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি বিলটিকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share