Tag: London

London

  • Wagh Nakh: কড়া নিরাপত্তায় লন্ডন থেকে ভারতে ফিরল ছত্রপতি শিবাজির বাঘ নখ

    Wagh Nakh: কড়া নিরাপত্তায় লন্ডন থেকে ভারতে ফিরল ছত্রপতি শিবাজির বাঘ নখ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ফিরেছে ছত্রপতি শিবাজির (Chhatrapati Shivaji) ব্যবহৃত বাঘ নখ (Wagh Nakh)। মুঘল সেনাপতি আফজল খাঁকে এই গুপ্ত অস্ত্র দিয়েই হত্যা করেছিলেন শিবাজি। লন্ডন থেকে এ দেশে বাঘ নখ এলেও, তা চিরকালের জন্য আসছে না। এসেছে মাত্র তিন বছরের জন্য। তিন বছর পরেই বাঘ নখ ফিরে যাবে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট সংগ্রহশালায়।

    কী বলছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী? (Wagh Nakh)

    মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতিমন্ত্রী সুধীর মুঙ্গান্তিওয়ার বলেন, “সেই বাঘ নখ ভারতে চলে এসেছে। তিন বছরের জন্য এ দেশে থাকবে। শিবাজির ব্যবহৃত এই নখ রাখা হবে সাতারায় শিবাজি সংগ্রহশালায়।” মন্ত্রী বলেন, “এ বছর আমরা ছত্রপতি শিবাজির রাজ্যাভিষেকের সাড়ে তিনশো বছর পূর্তি পালন করছি। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। যে বাঘ নখ দিয়ে শিবাজি মহারাজ মুঘল সেনাপতিকে হত্যা করেছিলেন, সেই বাঘ নখটি আমরা সর্বসাধারণকে দেখার সুযোগ করে দিতে চাই। তাই এটিকে সংগ্রহশালায় রাখা হবে।”

    বাঘ নখ ফেরাতে স্বাক্ষরিত মউ

    মন্ত্রী জানান, প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এই বাঘ নখ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু সমঝোতা স্মারকের কিছু বাধ্যবাধকতার জন্যই তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাঘ নখটি রাখা হচ্ছে শিবাজি সংগ্রহশালায়ই। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে মউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট সংগ্রহশালা কর্তৃপক্ষের। সেই চুক্তি অনুযায়ী, তিন বছরের জন্য শিবাজির বাঘ নখ নিয়ে আসা হচ্ছে ভারতে।

    আরও পড়ুন: ‘সংরক্ষণ বিল পেশে ব্যর্থ হলে কর্নাটক ফুঁসবে’, কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি পদ্মের

    জানা গিয়েছে, কড়া বুলেটপ্রুফ নিরাপত্তায় শিবাজির ব্যবহৃত ওই অস্ত্র (Wagh Nakh) ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান, লন্ডন মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ প্রথমে বাঘ নখটি এক বছরের জন্য ভারতে রাখার অনুমতি দিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্র সরকার অনেক বুঝিয়ে তাঁদের রাজি করিয়েছেন সেটি এ দেশে তিন বছর রাখার জন্য। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, অনেক চেষ্টার পর শেষমেশ বাঘ নখ মহারাষ্ট্রে নিয়ে আসা হয়েছে (Chhatrapati Shivaji)। এর যাবতীয় ক্রেডিট প্রাপ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সরকারের (Wagh Nakh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wimbledon 2024: উইম্বলডন প্রতিযোগিতায় লাইন আম্পায়ার শ্রীরামপুরের দুই যুবক

    Wimbledon 2024: উইম্বলডন প্রতিযোগিতায় লাইন আম্পায়ার শ্রীরামপুরের দুই যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেনিস প্রেমীদের পছন্দের প্রতিযোগিতা হল উইম্বলডন (Wimbledon 2024)। এবার এই উইম্বলডন খেলার লাইন আম্পায়ারিং করানোর জন্য লন্ডন পাড়ি দিতে চলেছেন হুগলির শ্রীরামপুরের দুই যুবক। আগামী ২০ জুন লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তাঁরা। খেলায় লাইন আম্পায়ার হিসাবে খেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন সৈকত রায় এবং সোমনাথ মান্না।

    তাবড় তাবড় টেনিস প্লেয়াররা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন (Wimbledon 2024)

    উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপে (Wimbledon 2024) সারা বিশ্বের তাবড় তাবড় টেনিস প্লেয়াররা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাফায়েল নাদাল, পিট সাম্প্রাস, ইভান ল্যান্ডল, বরিস বেকার, রজার ফেডেরার, নোভাক জকোভিচ, ভেনাস উইলিয়ামস, সেরেনা উইলিয়াম প্রমুখ খেলোয়াড়রা খেলেছেন। প্রত্যেকের লক্ষ্য থাকে উইম্বলডনের গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতার। এবার এই খেলা পরিচালনার গুরুদায়িত্ব পালন করবেন বঙ্গের দুই সন্তান। শ্রীরামপুরে এখন উৎসবের আবহ।

    ২০১০ থেকে তার যাত্রা শুরু সৈকতের

    দীর্ঘ দশবছরের বেশি সময় ধরে এই খেলার প্রতিযোগিতায় আম্পায়ারিং (Wimbledon 2024) করে আসছেন সৈকত রায়। শ্রীরামপুরে মাসির বাড়ি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা তিনি। প্রথম জীবনে মূলত হাত খরচ চালানোর জন্য লন টেনিসের লাইনে আম্পায়ারিং করা শুরু করেছিলেন। ১৯৯৮ সালে কলকাতায় একটি প্রতিযোগিতার কাজে এসেছিলেন উইম্বলডনের মূল রেফারি জেরি আমস্ট্রং। সেখানে জেরির সঙ্গে আলাপ হয় সৈকতের। সেই সময় জেরি তাঁকে অনুপ্রেরণা দেন, এরপর থেকে এই লাইন আম্পায়ারিংকেই পেশা হিসাবে যেন গ্রহণ করেন তিনি। তার ঠিক ১০ বছর পর লন্ডনে যাওয়ার ডাক আসে। ২০১০ থেকে তাঁর যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে তাঁকে আর পিছনের দিকে তাকাতে হয়নি। একাধিক বার বড় বড় প্রতিযোগিতায় পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। পরিবারে খুশির আবহ।

    আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে এক লাফে ৪৯ ধাপ এগিয়ে গেল খড়্গপুর আইআইটি

    ১ জুলাই খেলা শুরু লন্ডনে

    অপর দিকে ২০১১ সাল থেকে উইম্বলডন (Wimbledon 2024) খেলায় লাইন আম্পায়ার হিসাবে কাজ করে আসছেন শ্রীরামপুরের নাগরার আরেকম বাসিন্দা সোমনাথ মান্না। তিনিও এই বছর ২০ জুন তারিখে যাত্রা করবেন। সৈকত এবং সোমনাথ উভয়ের জন্য গর্বিত গোটা শ্রীরামপুরবাসী। এই বছর উইম্বলডন খেলা শুরু হতে চলেছে ১ জুলাই। গোটা বিশ্বের তারকা লন টেনিস প্লেয়ারদের খেলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন এই দুই বঙ্গ সন্তান। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই প্রতিযোগিতার দিকে নজর থাকবে সারা বিশ্ব টেনিস প্রেমীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Student: লন্ডনে ট্রাকের ধাক্কায় ভারতীয় পিএইচডি ছাত্রীর মৃত্যু! 

    Indian Student: লন্ডনে ট্রাকের ধাক্কায় ভারতীয় পিএইচডি ছাত্রীর মৃত্যু! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিদেশের মাটিতে ভারতীয় পড়ুয়ার (Indian Student) মৃত্যু। লন্ডনে সাইকেলে করে নিজের ঘরে ফেরার সময় ট্রাকের ধাক্কায় ছাত্রীটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত ছাত্রীর নাম চেস্থা কোছার। বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর। চেস্থা আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, অশোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করেছিলেন। ঘটনার কথা আজ প্রকাশিত হলেও গত সপ্তাহেই এই মৃত্যু ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছে।

    গতকালই আবার আমেরিকার পেনসিলভ্যানিয়ায় একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ২১ বছরের এক ভারতীয় তরুণীর। নিহত তরুণীর নাম হল আর্শিয়া জোশি। এই বিষয়ে নিউ ইয়র্কের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তরুণীর দেহ যত দ্রুত সম্ভব ভারতে ফেরানো হবে। সূত্রে জানা গিয়েছে ওই তরুণী নিজে দিল্লির বাসিন্দা ছিলেন। ঘটনায় পরিবারে ব্যাপক শোকের ছায়া। 

    নীতি আয়োগ দফতরের কর্মী ছিলেন চেস্থা (Indian Student)

    গবেষক ছাত্রী (Indian Student) চেস্থা কেন্দ্র সরকারের নীতি আয়োগ দফতরের কর্মী ছিলেন। ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত এই দফতরে কাজ করেছেন। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে বিহেভিয়ারল সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করছিলেন তিনি। এই কাজের সূত্রেই লন্ডনে থাকছিলেন। তাঁর বাবা ছিলেন অবসর প্রাাপ্ত লেফটন্যান্ট জেনারেল ডক্টর এস পি কোছার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার মহানির্দেশক ছিলেন লেফটেন্যান্ট কোছার। তিনি অবশ্য প্রথমে সামাজিক মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যুর খবর পান।

    ১৯ মার্চ ঘটেছিল দুর্ঘটনা

    কোছারের একটি পোস্ট থেকে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সাইকেল করে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে। লেফটেন্যান্ট কোছার এখন লন্ডনে রয়েছেন। মেয়ের (Indian Student) মৃতদেহ ফিরে পাওয়ার প্রশাসনিক কাজ শেষ হলে ভারতে ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে। অপরদিকে লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে ফেরিংডন ও ক্লার্কেনওয়েলের মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। ঘটনায় গুরুতর আঘাত পান চেস্থা। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই তাঁর মৃত্যু ঘটে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়নি।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Transport: ১৯৫৭ সালে ২০ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডন থেকে কলকাতায় এসেছিল ‘অ্যালবার্ট’?

    Transport: ১৯৫৭ সালে ২০ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডন থেকে কলকাতায় এসেছিল ‘অ্যালবার্ট’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচ্ছা, যদি প্রশ্ন করা হয়, কলকাতা থেকে লন্ডন আপনি কিসে যাবেন? সরল মনে উত্তর দেবেন, বিমানে। কিন্তু যদি বলা হয় কলকাতা থেকে বাসে করে লন্ডন যেতে? এটি কৌতূক বলে মনে হতেই পারে। কিন্তু না, এমনটাই নাকি সম্ভব ছিল অতীতে। ছিল এমন এক বাস, যে বাস কলকাতা থেকে লন্ডন পর্যন্ত যাতায়াত করত, যার যাত্রী সংখ্যাও কম ছিল না।

    কারা এই বাস পরিচালনা করত?

    ইতিহাসবিদদের কাছ থেকে পাওয়া নথি থেকে জানা যায়, এই বাসটি পরিচালনা করত ‘অ্যালবার্ট ট্যুর সার্ভিস’ নামক এক সংস্থা। সময়টা ১৯৫০ এর দশকে। বাসটির নামও ছিল ‘আলবার্ট’। এই বাসটি তৎকালীন সময়ে লন্ডন থেকেই শুরু করা হয়েছিল। সেই সময় এটিই ছিল বিশ্বের  দীর্ঘতম রুটের বাস।

    কবে থেকে এই বাস যাত্রা শুরু করে? কীভাবে শুরু হয় এর যাত্রা?

    জানা যায়, ১৯৫৭ সালের ১৫ এপ্রিল লন্ডন থেকে কলকাতার উদ্দেশে এই বাসটি তার প্রথম যাত্রা শুরু করে। তখন এর যাত্রী সংখ্যা ছিল ২০ জন। প্রায় ৪৫ দিনের মতো সময় লেগেছিল বাসটির কলকাতা পৌঁছাতে। ৮০০০ এর বেশি কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছাত বাসটি। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, এটি ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে বেলজিয়াম, পশ্চিম জার্মানি, অস্ট্রিয়া, যুগোস্লাভিয়া, বুলগেরিয়া, তুরস্ক, ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান হয়ে ভারতে এসে পৌঁছাত।

    কত খরচ হত এই বাসযাত্রায়? কেমন সার্ভিস দেওয়া হত এই বাসে?

    তৎকালীন সময়ে এই বাসযাত্রায় খরচ হত প্রায় ১৪৫ পাউন্ড। যা ভারতীয় মুদ্রায় তখন ছিল ১৩ হাজার থাকার কাছাকাছি। এর সাথে যাত্রীদের জন্য খাওয়া, থাকা এবং যথেষ্ট আরামদায়ক পরিবেশ ছিল বাসের ভিতরে। যেহেতু এতদূরের পথ ও এত দেশ পেরোতে হত, তাই বাসের ভিতরের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে এর মধ্যে দেওয়া হয়েছিল ফ্যান ও হিটার। বাসের ফ্লোর ছিল পুরু কার্পেটে মোড়ানো এবং জানালা রঙিন পর্দায় মোড়া। 

    বাসটি কতদিন চলেছে এবং কীভাবে বন্ধ হয়ে যায় এর যাত্রা?

    নানান প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এই বাসটি যাত্রা করত। টানা কয়েক বছর চলার পর বাসটি নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সাময়িক ভাবে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ১৯৬৮ সালে ব্রিটিশ পর্যটক অ্যান্ডি স্টুয়ার্ট বাসটি কিনে নেন এবং নিজের মতো সাজিয়ে আবার এর যাত্রা শুরু করেন। জানা যায়, ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত এই বাসটি চালু ছিল। ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী নানান সমস্যার কারণে এই বাসটিকে বন্ধ করতে বাধ্য হয় সংস্থা।

    তবে এর সত্যতা নিয়ে একটু দ্বন্দ্বও আছে। কেউ কেউ মনে করেন, এটি নিছক গল্প মাত্র। আবার কোনও কোনও ইতিহাসবিদদের মতে, এটি সত্য। বাস্তবে সেরকম কোনও প্রমাণ অবশ্য মেলেনি। কিন্তু বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন এবং পুরনো নথি থেকে নাকি জানা গিয়েছে, এই বাস সত্যিই চলত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nirav Modi: ফেরত দিতে হবে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ৬৬ কোটি টাকা, নীরব মোদিকে নির্দেশ লন্ডন হাইকোর্টের

    Nirav Modi: ফেরত দিতে হবে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ৬৬ কোটি টাকা, নীরব মোদিকে নির্দেশ লন্ডন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমস্যা বাড়ল ‘পলাতক’ ভারতীয় ব্যবসায়ী নীরব মোদির। ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি মামলায় তাঁকে  ফেরত দিতে হবে ৮০ লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৬ কোটি টাকা। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিল লন্ডন হাইকোর্ট। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে থাকা ওই ব্যবসায়ীর সম্পত্তি নিলাম করে সেই অর্থ ফেরত দিতে হবে, বলে জানিয়েছে আদালত। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক পিএনবির কাছ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করেই দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি (Nirav Modi)। এখন লন্ডনের (London High Court) একটি জেলে রয়েছেন তিনি।

    আদালতের নির্দেশ 

    দুবাইয়ে অবস্থিত নীরব মোদির (Nirav Modi) একটি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে লন্ডন হাইকোর্টের (London High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। আবেদনে জানানো হয়, ‘ফায়ারস্টার ডায়মন্ড এফজেডই’ নামে সংস্থার কাছ থেকে মোট ৮০ লক্ষ ডলার পায় তারা। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে ‘সামারি জাজমেন্ট’ দেয় আদালত। বিচারপতি নির্দেশ দেন, নীরব মোদিকে ওই টাকা ফেরত দিতেই হবে। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে থাকা তাঁর সম্পত্তি নিলাম করে অর্থ উদ্ধারের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, হিরে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই মামলা আর এগোনোর প্রয়োজন নেই। অতি সত্ত্বর তাঁর সংস্থার কাছ থেকে আসলের ৪০ লক্ষ ডলার এবং সুদের ৪০ লক্ষ ডলার মিলিয়ে মোট ৮০ লক্ষ ডলার নিতে হবে।

    আরও পড়ুন: হাতির পিঠে জঙ্গল পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী, কাজিরাঙায় জিপ সাফারিও করলেন মোদি

    নীরব মোদির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

    ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, অর্থনৈতিক অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া চললে সেক্ষেত্রে এক দেশ অপর দেশের সঙ্গে তদন্ত সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদান করবে। সূত্রের খবর, জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ভারতের একটি তদন্তকারী দল ঋণখেলাপি ‘পলাতক’ ব্যবসায়ীদের নাগাল পেতে ব্রিটেনে পাড়ি দিচ্ছে। ইডি, সিবিআই এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি হওয়া দলটির নেতৃত্ব দেবেন বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক। পাশাপাশি, ওই দল ব্রিটিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সেদেশে থাকা ওই ব্যবসায়ীদের নামে-বেনামে সম্পত্তিগুলিকেও বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানাবে। যদিও কেন্দ্রের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে ইডির একটি অভিযোগ অনুযায়ী, পিএনবির সঙ্গে সব মিলিয়ে ৭০২৯.০৭ কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন নীরব (Nirav Modi)। সব মিলিয়ে মোদির ১৩৯৬.০৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে তারা। এই সম্পত্তি কাদের হাতে যাবে, তার শুনানিও চলছে বিশেষ আদালতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 14 Hours Fasting: ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে খাবার খান! গবেষণা বলছে এর গুণ অনেক

    14 Hours Fasting: ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে খাবার খান! গবেষণা বলছে এর গুণ অনেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত রাতের খাবারের পর থেকে পরের দিন প্রাতঃরাশ বা মধ্যাহ্নভোজন শুরু করার মধ্যে পুষ্টিবিদদের পরামর্শে নির্দিষ্ট সময়ের (14 Hours Fasting) ব্যবধান রাখতে হবে। সেই বযবধান ১৪ ঘণ্টা হলে সবচেয়ে ভাল। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা এই নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন ১০ ঘণ্টার মধ্যে মানুষ যদি নিজেদের খাদ্য গ্রহণ করে তা শরীরকে সতেজ রাখবে। গবেষণা বলছে কী খাওয়া উচিত আর কতটা খাওয়া উচিত তার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কখন খাওয়া উচিত। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত বিরতি দিয়ে খাবার খান। কখনওই খাবার সময় পরিবর্তন করবেন না। ঘুম থেকে ওঠার পর ১০ ঘণ্টার মধ্যে যা খাওয়ার খেয়ে নিন তাহলে যা খেলেন তা হজমের জন্য পুরো সময় পাওয়া যাবে।

    ঘুম ভাল হয়, মেজাজ ঠিক থাকে

    শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে৷ ফ্রি র‍্যাডিক্যাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কারণে আমাদের শরীর প্রভূত ক্ষতি হয়৷ সবসময় কেমন যেন একটা ক্লান্তির ঘোর লেগে থাকে শরীরে, এমনকি মনেও৷ আসলে, স্ট্রেস আপনার শরীরের কোষের ক্ষতি করে৷ দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ে বলে জানা যায়, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে। ঘুম ভাল হয়। মানুষের মেজাজ ঠিক থাকে।

    আরও পড়ুুন: “ধনী দেশগুলির উচিত কার্বন নির্গমন পুরোপুরি কমানো”, দুবাইতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে, মেদ ঝরে দ্রুত

    ১৪ ঘণ্টার উপবাস আমাদের শরীরের মেদ ঝরাতেও অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া, শরীরে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখতেও নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাদ্যগ্রহণ জরুরি। এই নিয়ম মানলে মানসিক শক্তিও বাড়ে। মন স্থির হয়, মনোযোগ বাড়ে, স্মৃতি শক্তি  বাড়ে ৷ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই নিয়ম মানলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে রক্ষা করে এবং মেরামত করে, নতুন স্নায়ু কোষের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে, যা সময়ের সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ক্যালোরিও কম যায় শরীরে। এই ডায়েটের ফলে মেদ ঝরে দ্রুত। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistan Protest: খালিস্তানপন্থীদের হুমকির মুখেও জাতীয় পতাকা তুলে ধরলেন ভারতীয় ছাত্র!  

    Khalistan Protest: খালিস্তানপন্থীদের হুমকির মুখেও জাতীয় পতাকা তুলে ধরলেন ভারতীয় ছাত্র!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থীদের হুমকির (Khalistan Protest) মুখেও প্রতিরোধ গড়ে তুললেন এক ভারতীয় ছাত্র। ‘লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে’র এই পড়ুয়ার নাম সত্যম সুরানা। ব্রিটেনের রাজধানী শহর লন্ডনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল খালিস্তানপন্থীরা। সেই বিক্ষোভের মাঝে গিয়েই ভারতের জাতীয় পতাকা তুলে ধরলেন সত্যম। ভারতের নামে জয়ধ্বনিও দিলেন। সমাজমাধ্যমে এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ধন্য ধন্য করছেন নেটিজেনরা।

    খালিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভ

    কানাডার কলম্বিয়া প্রদেশে প্রকাশ্যে খুন হন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার জেরে লন্ডনের ইন্ডিয়া হাউসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায় খালিস্তানপন্থীরা। দাবি তোলে স্বাধীন ও সার্বভৌম খালিস্তানের। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় ভারতের জাতীয় পতাকা মাটিতে ফেলে দেয় খালিস্তানপন্থীরা।

    উঁচিয়ে ধরেন তিরঙ্গা

    সেই সময় ভিড় ঠেলে এগিয়ে যান সত্যম। মাটি থেকে তুলে নেন জাতীয় পতাকা। উঁচিয়ে ধরেন তিরঙ্গা। এক্স হ্যান্ডেলে সেই ভিডিও পোস্ট করেন (Khalistan Protest) লন্ডনের স্কুল অফ ইকনমিক্সে সত্যমের সিনিয়র করণ কটেরিয়া লিখেছেন, “লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে আমার জুনিয়র সত্যম লন্ডনের ভারতীয় হাই কমিশনের সামনে গর্বিতভাবে ভারতের তেরঙ্গা পতাকা তুলে ধরেছে। অহিংসার পথেই চরমপন্থী শক্তির মোকাবিলা করেছে।”

    আরও পড়ুুন: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা

    সুরানা বলেন, “ভারতীয়দের ওপর অত্যাচার হচ্ছে দেখে খুব খারাপ লাগল। ভারত এখন সুপার পাওয়ার হওয়ার পথে। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতি। এই যে প্রতিবাদ করা হচ্ছে, তা আসলে ভারতকে উন্নয়ন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।” তিনি বলেন, “আমি আমার দেশের মর্যাদা রক্ষা করেছি। কিন্তু এমন অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে যেখানে ভারতীয়রা বাইরে যায় এবং ভারত-বিরোধী হয়ে যায়। তারা ভারত সম্পর্কে বাজে কথা বলে। না জেনেই এসব বলে। তারা এটা করে কারণ তারা দেখাতে চায় যারা ভারতকে ঘৃণা করে, তাদের মধ্যে তারাও একজন।” এই জাতীয় (Khalistan Protest) লোকজনের ওপর নজর রাখতে ভারতীয়দের অনুরোধ করেছেন ‘লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে’র ওই পড়ুয়া। তিনি বলেন, “এই জাতীয় লোকজনের ওপর আমাদের নজর রাখতে হবে। তাদের উত্তর দিতে হবে বুদ্ধিদীপ্তভাবে, শারীরিকভাবে নয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Protests: লন্ডনেও ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ খালিস্তানপন্থীদের, কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস সুনকের

    Khalistani Protests: লন্ডনেও ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ খালিস্তানপন্থীদের, কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস সুনকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনের রেশ গড়াল ‘ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্স’-এর আর এক সদস্য রাষ্ট্রে। সোমবার লন্ডনের ইন্ডিয়া হাউসের সামনে জড়ো হয় কয়েকশো খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী। সেখানে নিজ্জর খুনের প্রতিবাদ জানানোর (Khalistani Protests) পাশাপাশি স্বাধীন ও সার্বভৌম খালিস্তানের দাবি তোলে তারা। লন্ডন পুলিশের তৎপরতার কারণেই বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় হাই কমিশনে হামলা চালাতে পারেনি। তবে, এই ঘটনার জেরে ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত সমাজে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

    স্কটল্যান্ডে ভারতীয় হাই কমিশনারের ওপর হামলা

    এর আগে, শনিবার ব্রিটেনে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দুরাইস্বামীকে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় আলবার্ট ড্রাইভের গুরুদ্বারে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা। এবার বিক্ষোভ দেখানো হল ইন্ডিয়া হাউসের সামনে। এই বিক্ষোভের নেপথ্যে ভারতে নিষিদ্ধ কট্টরপন্থী সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র সমর্থকরা (Khalistani Protests) জড়িত বলে অনুমান। 

    ভারতীয় হাই কমিশনের বিবৃতি

    এদিকে, লন্ডনের ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কট্টরপন্থীরা ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত আলোচনায় বাধা দেয়। তাঁদের মধ্যে একজন জোর করে হাই কমিশনার ও কনসাল জেনারেল বিক্রম দোরাইস্বামীর গাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করে। গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানকার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান তিনি। ওই গুরুদ্বারে শিখ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে আলোচনা করার কথা ছিল।

    ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে বলা হয়েছে, “যেভাবে দোরাইস্বামীর গাড়ির দরজা ধরে টানাটানি করা হয়েছে, তাতে বড় বিপদের আশঙ্কা ছিল। দরজা খুলে গেলে অবশ্যই তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হত। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। বিষয়টি ব্রিটিশ পুলিশের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।” ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে বিষয়টি ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসকে।

    আরও পড়ুুন: ‘৪০ জন কূটনীতিককে সরাও, নাহলে…’, সংঘাতের আবহে কানাডাকে বলল ভারত

    এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই বলেই জানিয়েছেন গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্তদের (Khalistani Protests) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে ব্রিটেনের ঋষি সুনকের সরকার। তার পরেই গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন স্কটল্যান্ড পুলিশের তদন্তকারীরা। গুরুদ্বারের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকেও অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে চাইছেন তাঁরা। স্কটল্যান্ড পুলিশের মুখপাত্র জানান, “২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা নাগাদ গ্লাসগোর অ্যালবার্ট ড্রাইভ থেকে অশান্তির খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বাহিনী পাঠানো হয়। হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে ঘটনার গুরুত্ব বুঝে নিয়ে সব দিক খোলা রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করছি, আমরা দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছব।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • San Francisco: সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় দূতাবাসে আগুন ধরানোর চেষ্টা খলিস্তানিদের 

    San Francisco: সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় দূতাবাসে আগুন ধরানোর চেষ্টা খলিস্তানিদের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হামলা খলিস্তানিদের। আবারও নিশানায় আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোতে (San Francisco) ভারতীয় দূতাবাস। এবার সেখানে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। পাঁচ মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানো হল। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তা নিভিয়ে ফেলা হয় সানফ্রান্সিসকো অগ্নিনির্বাপনের তরফে। আটকানো গেছে বড়সড় দুর্ঘটনা। এই ধরনের ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট বা মার্কিন বিদেশ দফতর। 

    হতাহতের খবর নেই 

    সান ফ্রান্সিসকোর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে (স্থানীয় সময় ১.৩০ থেকে ২.৩০) ভারতীয় দূতাবাসের সামনে জড়ো হন কয়েক জন দুষ্কৃতী। তাঁরা দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। জ্বলে ওঠে দূতাবাস ভবনের একাংশ। আগুন লাগার খবর পেয়ে সান ফ্রান্সিসকো ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কর্মী এবং ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিভিয়ে ফেলা হয়। অভিযোগ, খলিস্তানপন্থীরা (Khalistanis attacked Indian Consulate) দূতাবাসে আগুন ধরিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপরে উড়ছে রহস্যজনক ড্রোন! তদন্ত শুরু দিল্লি পুলিশের

    ঘটনার তীব্র নিন্দা

    এই ঘটনার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর। দফতরের মুখপাত্র এক ট্যুইট বার্তায় লেখেন, ‘শনিবার সান ফ্রান্সিসকোতে (San Francisco) ভারতীয় কনস্যুলেটে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টার তীব্র নিন্দা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই দেশে কূটনৈতিক ভবন বা বিদেশি কূটনীতিকদের হামলা বা সহিংসতা একটি ফৌজদারি অপরাধ।’ 

    দ্বিতীয় হামলা

     ভারতীয় কনস্যুলেটের ওপর হামলার ঘটনা নতুন নয়, এর আগে লন্ডনে ভারতীয় কনস্যুলেটে ঢুকে জাতীয় পতাকা নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় খালিস্তান পন্থীদের তরফে। এছাড়া কানাডাতেও এই ধরনের সমস্যায় মধ্যে পড়েছে সেখানে অবস্থিত ভারতীয় কনস্যুলেট। উল্লেখ্য, এর কয়েক মাস আগেও সান ফ্রান্সিসকোর (San Francisco) ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালিয়েছিল খলিস্তনিরা। মিছিল করে এসে ভারতীয় দূতাবাসের ওপর চড়াও হয়েছিল তারা। ব্যারিকেড ভেঙে কনস্যুলেট চত্বরে ঢুকে দু’টি খলিস্তানি পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। পরে তা সরিয়ে নেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Avtar Singh Khanda: লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ অবতার সিং খান্দার মৃত্যু

    Avtar Singh Khanda: লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ অবতার সিং খান্দার মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনের হাসপাতালে মারা গেলেন অমৃতপাল সিংয়ের সহযোগী এবং খালিস্তান লিবারেশনের প্রধান অবতার সিং খান্দা (Avtar Singh Khanda)। প্রায় ১৪ দিন আগে বার্মিংহামের স্যান্ডওয়েল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। খান্দার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই তার সমর্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। ব্লাড ক্যানসারে খালিস্তানী নেতার (Khalistani leader) যে মৃত্যু হয়েছে, তা মানতে নারাজ অনুগামীরা। তাদের মতে, হাসপাতালে বিষ প্রয়োগ করে খান্দাকে হত্যা করা হয়েছে। 

    কে এই অবতার সিং খান্দা

    ব্রিটিশ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত বেশ কয়েক বছর আগে ব্লাড ক্যানসারের আক্রান্ত হয়েছিলেন খান্দা (Avtar Singh Khanda)। সেই সময় চিকিৎসা করিয়ে ভালোই ছিলেন। কিন্তু বুধবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভর্তি করা হয়েছিল বার্মিংহাম সিটি হাসপাতালে। লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ খালিস্তান লিবারেশন ফোর্সের প্রধানের মৃত্যু হয় বলে খবর। অবতার সিং রাজনৈতিক আশ্রয়ে ব্রিটেনে বসবাস করত। লন্ডন থেকে শিখ যুবকদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে সামিল করার জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন খান্দা। কীভাবে বোমা তৈরি করতে হয় এবং আইইডি পরিচালনা করতে হয় সে বিষয়ে বিপথগামী শিখ যুবকদের প্রশিক্ষণ দিত মৃত খালিস্তানী নেতা। অবতার সিং খান্দা-র বাবাও খালিস্তান (Khalistani leader) লিবারেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯১ সালে জঙ্গি কার্যকলাপের সময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তার।  এছাড়া অবতারের মায়ের সঙ্গে খালিস্তানি জঙ্গি গুরজন্ত সিং বুধসিংওয়ালারও যোগাযোগ ছিল।

    আরও পড়ুন: মণিপুরে জ্বলছে গ্রাম, জঙ্গলে বাসিন্দারা! তল্লাশি অভিযান শুরু সেনার

    ভারতীয় হাইকমিশনে হামলার নেতা

    অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে পঞ্জাব পুলিশের অভিযানের পর বিগত ১৯ মার্চ লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে ‘হামলা’ চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা (Khalistani leader)। বিচ্ছিনতাবাদী মনোভাবাপন্নদের সেই কর্মসূচির মাথায় ছিল খালিস্তান লিবারেশন ফোর্সের প্রধান অবতার (Avtar Singh Khanda)। অমৃতপালের হ্যান্ডলারও ছিল এই অবতার। সম্প্রতি সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অবতার সিং এবং আরও তিন খালিস্তানি জঙ্গিদের চিহ্নিত করেছিল এনআইএ। ধৃত খালিস্তানী নেতা অমৃতপালের উত্থানের পিছনে মৃত অবতার সিং খান্দার হাত ছিল। ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’-র প্রতিষ্ঠাতা দীপ সিধুর মৃত্যুর পর অমৃতপালের হাতে সংগঠনের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন খান্দা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share