Tag: Lord Jagannath

Lord Jagannath

  • Nilamadhaba Temple: স্বপ্নাদেশ পেয়ে ভগবানকে খুঁজতে যান রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন! জানুন ওড়িশার নীলমাধব মন্দিরের মাহাত্ম্য

    Nilamadhaba Temple: স্বপ্নাদেশ পেয়ে ভগবানকে খুঁজতে যান রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন! জানুন ওড়িশার নীলমাধব মন্দিরের মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ওড়িশার কন্টিলোতে অবস্থিত নীলমাধব মন্দির (Nilamadhaba Temple) পরিদর্শন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বৈষ্ণব ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই মন্দির ওড়িশা তথা ভারতবর্ষের হিন্দু সমাজের কাছে এক উল্লেখযোগ্য তীর্থস্থান। সারা বছর ধরেই প্রচুর ভক্ত নিজেদের মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য এই মন্দিরে আসেন। নীলমাধব মন্দিরেই প্রতিফলিত হয় হিন্দু জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য। প্রাচীন জনজাতি সমাজের রীতিনীতিও বোঝা যায় এই মন্দিরে পৌঁছালে। এই মন্দির যেন কথা বলে। হাজার হাজার বছর ধরে সমুদ্র, নদী, অরণ্য কীভাবে আমাদের মানব সমাজকে প্রতিমুহূর্তে লালন পালন করে আসছে, সেই কথাই ধ্বনিত হয় এই মন্দিরে। ওড়িশা রাজ্যের প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী তথা সে রাজ্যের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস হল, ভগবান জগন্নাথ এই প্রাচীনতম বৈষ্ণব উপাসনা তীর্থে সর্বদাই বাস করেন। তিনি এখানে থেকেই ভক্তদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেন। ভগবান নীলমাধব হলেন ভগবান বিষ্ণুরই অন্যতম রূপ। পুরীতেই ইনি ভগবান জগন্নাথ হিসেবে পূজিত হচ্ছেন। ভক্তদের বিশ্বাস ও ওড়িশা রাজ্যের প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী, পুরীতে জগন্নাথদেবের পুজোর আগে থেকেই ভগবান বিষ্ণুর রূপ হিসেবে নীলমাধবের পুজো করা হত। গবেষকরা জানাচ্ছেন, নীলমাধব শব্দটি এসেছে নীলা মাধব থেকে। বিষ্ণুসহস্র নামে উল্লেখ রয়েছে ভগবান বিষ্ণুর ২৪টি প্রধান নামের কথা। এই নামগুলির মধ্যে অন্যতম হল নীলমাধব। ঐতিহাসিক তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়, নীলমাধবের পুজো ওড়িশায় প্রায় হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে হয়ে আসছে। এই প্রতিবেদনে জানব নীলমাধবের পুজো কীভাবে শুরু হল?

    নীলমাধবের পুজো চারটি নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল

    ওড়িশা রাজ্যে (Odisha) নীলমাধবের পুজো (Nilamadhaba Temple) চারটি নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল। এই নদীগুলি হল- মহানদী, ঋষিকুল্য, বৈতরণী এবং প্রাচী। যে স্থানে এই মন্দির অবস্থিত সেই কন্টিলো হল ওড়িশার নয়াগড় জেলায় অবস্থিত একটি জনপদ। এই স্থানের দূরত্ব পুরী থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে। ওড়িশা রাজ্যের লোককথা থেকে জানা যায়, ভগবান বিষ্ণু প্রথমে নীলমাধবের আকারে কাঠের মূর্তি হিসেবে কন্টিলোতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। অর্থাৎ পুরীর মন্দিরের আগে থেকেই কন্টিলোতে চলে আসছে পুজো। প্রসঙ্গত, পুরীর জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। ভক্তদের বিশ্বাস- জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি স্থাপন করেছিলেন তিনি।

    ভগবান বিষ্ণু স্বপ্নে নির্দেশ দেন রাজাকে (Nilamadhaba Temple)

    কন্টিলোর নীলমাধব মন্দির এবং রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের পৌরাণিক কাহিনীও বেশ জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে। প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু ধর্মপ্রাণ রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে একদিন স্বপ্নে দেখা দেন। ভগবান বিষ্ণু এরপর ইন্দ্রদ্যুম্নকে জানান, ওড় দেশের (ওড়িশা) মহানদীর তীরে (Odisha) তিনি নীলমাধব রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। যেখানে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন সেখানে শবর জনগোষ্ঠীর প্রধান তাঁকে একটি বড় গাছের নিচে পুজো করছে। এই স্বপ্ন দেখার পরের দিনই ইন্দ্রদ্যুম্ন, তাঁর বিশ্বস্ত ব্রাহ্মণ পুরোহিত বিদ্যাপতিকে নীলমাধবের মূর্তি খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, ওই মূর্তি নিয়ে আসতে হবে পুরুষোত্তম (পুরী) ক্ষেত্রে। সেখানেই একটি মন্দিরে তা স্থাপন করা হবে।

    বিদ্যাপতির শবর রাজ্যে গমন (Nilamadhaba Temple)

    রাজার নির্দেশে বিদ্যাপতি ব্রাহ্মণ বেরিয়ে পড়েন। পথে ঘুরতে ঘুরতে তিনি পৌঁছান সেই শবর রাজ্যে। যে রাজ্যের কথা ভগবান বিষ্ণুর দেওয়া স্বপ্ন থেকে জানতে পেরেছিলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। শবর রাজ্যে পৌঁছে সেখানকার জনজাতি গোষ্ঠীর প্রধান বিশ্ববসুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। বিশ্ববসুর কাছে বিদ্যাপতি জনজাতি রাজ্যের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চান। এই সময় বিদ্যাপতি বিশ্ববসুর কন্যা ললিতার প্রেমে পড়েন এবং তাঁকে বিয়ে করেন। পরবর্তীকালে বিদ্যাপতি লক্ষ্য করেন যে বিশ্ববসু প্রায়ই একটি গোপন স্থানে নীলমাধবের পুজো করতে যাচ্ছেন। স্থানটি কোথায় তা দেখা যায় না। কারণ অরণ্যের মধ্যে ঢুকেই অদৃশ্য হয়ে যেতেন বিশ্ববসু।

    বিদ্যাপতির নীলমাধব দর্শন

    এতে বিদ্যাপতির কৌতূহল বাড়তে থাকে। সেই মতো বিদ্যাপতি এ কথা জানান তাঁর স্ত্রী ললিতাকে । ললিতা সেই মতো তাঁর বাবা বিশ্ববসুকে রাজি করান যাতে তিনি বিদ্যাপতিকে নীলমাধবের দর্শনের জন্য নিয়ে যান। কিন্তু বনের গভীরে নিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যাপতির চোখ বেঁধে দেন বিশ্ববসু। বিদ্যাপতি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তি। তিনি হাতে করে সর্ষের বীজ লুকিয়ে রেখেছিলেন। চলার পথে সেই বীজগুলোকে ফেলতে ফেলতে যান। এরপর বিদ্যাপতিকে নীলমাধবের দর্শন করান বিশ্ববসু। পরবর্তীকালে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের কাছে ফিরে গিয়ে বিদ্যাপতি জানান যে, নীলমাধবকে তিনি জনজাতি রাজ্যে খুঁজে পেয়েছেন। পরবর্তীকালে নিজের দলবল নিয়ে বনের মধ্যে বেড়ে ওঠা সরিষা গাছের পথ অনুসরণ করেন রাজা। কিন্তু সে সময় নীলমাধবের দর্শন তিনি পাননি।

    ভগবান বিষ্ণু আবির্ভূত হন রাজার সামনে

    এরপরে ব্যর্থতায় হতাশ হয়ে পড়েন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। শুরু করেন কঠোর তপস্যা। অন্ন-জল কোনও কিছু গ্রহণ করেননি। সারাক্ষণ ভগবান বিষ্ণুর দেখা পাওয়ার জন্য তিনি ব্যাকুল হয়ে ধ্যান করতে লাগলেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান বিষ্ণু এরপর হতাশ করেননি তাঁর এই পরম ভক্তকে। প্রকট হন রাজার সামনে। তাঁকে জানান যে, পুরীর সমুদ্র সৈকতে তিনি কাঠের রূপে (দারু ব্রহ্মা) আবির্ভূত হবেন। একইসঙ্গে ভগবান বিষ্ণু রাজাকে পুরীতে বিশাল মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দেন। তিনি জানান, ওই মন্দিরেই তিনি জগন্নাথদেব হিসেবে পূজিত হবেন। এর পরবর্তীকালে রাজা দারু ব্রহ্মা বা ঐশ্বরিক কাঠকে খুঁজে পান। পরবর্তীকালে সেগুলোকে তিনি প্রাসাদে নিয়ে আসেন। এরপরে ভগবান বিশ্বকর্মা এক ছুতোরের রূপ ধারণ করে মূর্তি খোদাই এর কাজ শুরু করেন। বিশ্বকর্মা রূপী ওই ছুতোরের শর্ত একটিই ছিল, বন্ধ দরজার পিছনে এই কাজ হবে এবং সম্পূর্ণ গোপনীয়তার সঙ্গে। যদি কাজ করার সময় তাঁকে কেউ বিরক্ত করে তাহলে কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবেই মূর্তি তৈরির কাজ চলতে থাকল। সাতদিন পরে রাজা ও রানি মূর্তি দেখতে অস্থির হয়ে পড়েন এবং ওই ছুতোর যেখানে কাজ করছিলেন সেই দরজা খুলে দেন। সে সময় দেখা যায় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার তিনটি মূর্তি তৈরি করা হয়েছে বটে তবে তা অসম্পূর্ণ। আজও পুরীতে পূজিত হয় এই তিন মূর্তি। তবে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন জনজাতিদের প্রতি তাঁর কর্তব্য তখনও ভোলেননি। ললিতা যে গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তাঁদেরকে দৈত্যপতি বলা হত। সেই ললিতার গোত্রকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে বিশেষ সেবায়েত হিসেবে মর্যাদা দেন রাজা। এইভাবেই শবর জনগোষ্ঠী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে পুরীতে। আজও পর্যন্ত ললিতার সেই বংশধর এবং দৈত্যপতিরা সেবা করে চলেছেন জগন্নাথদেবের।

  • Puri Jagannath Temple: জগন্নাথদেবের রত্নভান্ডারের ভিতরে নাগ দেবতা! দরজা খুলে কী দেখা গেল?

    Puri Jagannath Temple: জগন্নাথদেবের রত্নভান্ডারের ভিতরে নাগ দেবতা! দরজা খুলে কী দেখা গেল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভক্তদের বিশ্বাস জগন্নাথদেবের (Puri Jagannath Temple) দুর্মূল্য রত্নরাজি আগলে রেখেছেন নাগ দেবতা। তা স্পর্শ করা সহজ সাধ্য নয়। ৪৬ বছর পর রবিবার, সেই রত্নভান্ডার (Ratna Bhandar) খোলা হয়েছিল। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারকে ঘিরে মানুষের কৌতূহল দীর্ঘদিনের। ভান্ডারে বৈদুর্যমণি, নীলকণ্ঠমণি-সহ অসংখ্য মূল্যবান রত্ন রয়েছে বলে দাবি পাণ্ডাদের। উল্টো রথের আগের দিন মাহেন্দ্রক্ষণে সেই রত্নভান্ডারে প্রবেশ করে ওড়িশা সরকারের তৈরি ১১ জন প্রতিনিধির একটি দল। রত্নভান্ডারের অন্ধকার কক্ষে কী রয়েছে তার ধারণা দিল সেই দল।

    কী জানা গেল (Puri Jagannath Temple)

    রাজ্য সরকারের তৈরি ওই প্রতিনিধি দলের সভাপতি ওড়িশা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ  জানান, ‘‘রত্নভান্ডারে যে দলটি প্রবেশ করেছিল, তাতে সাত থেকে আট জন মন্দির কমিটির সদস্যও ছিলেন। বহুদা যাত্রা শুরু হয়েছে বলে তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন। সে কারণে আমরা ভালো করে খতিয়ে দেখার এবং সব রত্ন সরানোর সময় পাইনি। বিগ্রহের অলঙ্কার, রত্ন সরানোর জন্য অন্য একটি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এত বছর পর যখন জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডার খোলা হল সেই সময় কোনও সাপ ওখানে ছিল না। এমনকী কোনও পোকামাকড় বা অন্য কোনও সরীসৃপও পাওয়া যায়নি ওখানে।’’ 

    কী আছে রত্ন রত্নভান্ডারে (Ratna Bhandar) 

    মন্দির ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়, রত্নভান্ডারের দুটি ভাগ, বাহির ভান্ডার ও ভিতর ভান্ডার। জগন্নাথদেবের (Puri Jagannath Temple) যা কিছু আভূষণ থাকে বাহির ভান্ডারে। আর ভিতর ভান্ডারে থাকে মূল্যবান সামগ্রী, অলঙ্কার। বছরে ১৫ দিন বাহির ভান্ডার খোলা হয়, বন্ধ থাকে ৩৫০ দিন। বহু বছর খোলা হয়নি ভিতর ভান্ডার। শোনা যায়, রত্নভান্ডারে রয়েছে অসংখ্য কাঠের সিন্দুক। সেগুলির উচ্চতা ৩ ফুট, লম্বায় ৯ ফুট। ১৯৭৮ সালের অডিট অনুযায়ী, রত্নভান্ডারে রয়েছে ১ হাজার ৩৩৩ রকমের অলঙ্কার। যার মধ্যে ৪৫৪ ধরনের খাঁটি সোনার অলঙ্কার রয়েছে। কিছু কিছু অলঙ্কারের ওজন এক কেজির বেশি। মোট সোনার অলঙ্কারের ওজন ১২ হাজার ৮৮৩ ভরি। আছে ২৯৩ রকমের রুপোর গয়না, যেগুলির ওজন ২২ হাজার ১৫৩ ভরি। 

    আরও পড়ুন: চন্দ্রযান ৩ বর্ষ পূর্তি! নতুন এক ইতিহাস রচনা ভারতের

    অলঙ্কার রয়েছে মন্দির চত্বরেই (Puri Jagannath Temple)

    শ্রী জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) প্রশাসন (এসজেটিএ)-এর প্রধান অরবনিন্দা পাঢ়ি জানিয়েছেন, বাইরের রত্নকক্ষের (Ratna Bhandar) চাবি রাখা ছিল পুরীর রাজা গজপতি মহারাজের কাছে। তিনি বলেন, ‘‘তাঁর থেকে চাবি নিয়েই বাইরের রত্নকক্ষে প্রবেশ করেছি আমরা।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, সেখানে থাকা অলঙ্কার মন্দির চত্বরেই ‘অস্থায়ী স্ট্রং রুম’-এ রাখা হয়েছে। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে তা সিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে ভিতরের কক্ষে প্রবেশের জন্য ভাঙা হয় তালা। ওড়িশার বিজেপি সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘প্রভু জগন্নাথের ইচ্ছায় ওড়িয়া অস্মিতার পরিচয় নিয়ে এগিয়ে চলেছেন ওড়িশাবাসী। এর আগে মানুষের ইচ্ছায় জগন্নাথ মন্দিরের চারটি দরজা খোলা হয়েছিল। ৪৬ বছর পর রত্নভান্ডারের দরজা খোলা হল। মানুষ যা চায়, তাই করতে বদ্ধ পরিকর সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rath Yatra 2024: পুরীতে রথের দড়ি যেত বাংলার এই গ্রাম থেকেই! বারাসতে সম্প্রীতির ছবি

    Rath Yatra 2024: পুরীতে রথের দড়ি যেত বাংলার এই গ্রাম থেকেই! বারাসতে সম্প্রীতির ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর রথযাত্রার দড়ি যেত একসময় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের কুলিনগ্রাম থেকে। রবিবার এই গ্রামের ৫০০ বছরের পুরনো রথযাত্রায় (Rath Yatra 2024) সামিল হয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। পূর্ব বর্ধমানের এই রথ আজও টেনে নিয়ে যাচ্ছে সেই ইতিহাসকেই। অন্যদিকে রবিবার রথযাত্রার দিন বারাসতে (Barasat) ধরা পরল এক অনন্য ছবি। হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই টান দিলেন রথের দড়িতে। এমন নানা ঘটনা-ঐতিহ্য-ইতিহাস নিয়েই মহা সমারোহে বাংলাতে পালিত হল রথযাত্রা। পা মেলালেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত।

    কুলিনগ্রামের রথযাত্রা (Rath Yatra 2024) 

    জানা যায়, ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ কাব্যের রচয়িতা মালাধর বসুর ছেলে লক্ষ্মীকান্ত বসুকে পুরীর জগন্নাথ দেবের রথ টানার জন্য বর্ধমানের কুলিনগ্রাম থেকে রথের দড়ি আনার নির্দেশ পান। লক্ষীকান্ত বসু রথ টানা দড়ি নিয়ে পুরীতে গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই শুরু হয় জামালপুরের ঐতিহ্যমন্ডিত এই রথযাত্রা। মাঝখানে কখনও বন্ধ হয়নি। ৮ দিনের পরিবর্তে ৯ দিনের রথ হয় এখানে। এলাকার মানুষরা জানিয়েছেন, একটা সময় ছিল যখন নিয়মিত ভাবে পুরীতে কুলিনগ্রাম থেকেই রথের (Rath Yatra 2024) দড়ি যেত, তবে ধীরে ধীরে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এলাকায় বসু পরিবারের সদস্যরা কাজের সূত্রে এখন আর গ্রামে থাকেন না। তাঁরা নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছেন। তবে গ্রামে রথযাত্রা হয় ধুমধাম করেই।

    কী বলছেন উদ্যোক্তারা?

    কাঠের তৈরি রথের উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট। দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ১৬ ফুট। ৬টি লোহার চাকা রয়েছে রয়েছে রথে। তিন তলা এই রথে রথের ওপরের তলায় থাকেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা। গ্রামের মাঝেই গড়ে উঠেছে জগন্নাথ মন্দির। সেখান থেকে বিশেষ পুজো করা হয়।  উদ্যোক্তাদের মধ্যে থেকে দেবব্রত সিংহ বলেন, “চৈতন্যদেব যখন এসেছিলেন তখন থেকে এই রথ। সেই থেকে রথ চলে আসছে। ৫০০ বছরের বেশি সময় হয়ে গেল। পট্টডোর এক সময় পুরীতে যেত। তা বিলুপ্ত হয়। তবে আমরা আবার সেই প্রথা ফেরাতে চাইছি।”

    বারাসাতে (Barasat) হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির নজির

    রথের (Rath Yatra 2024) রশি গড়ে দিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির। এমনই চিত্র দেখা গেল বারাসতে। হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে টান দিলেন রথের রশিতে। ধর্ম যার যার উৎসব তো সবার, এই কথা আক্ষরিক অর্থে সত্যি হল বারাসতে। পশ্চিমবঙ্গের দূর্গা পুজোর সময় দুই সম্প্রদায়ের মানুষ মিলে অনেক জায়গাতেই উৎসবে মেতে ওঠেন। খবরের শিরোনামেও আসে সেই ঘটনাগুলি। এবার রথযাত্রাতেও সেই ছবি ধরা পরল। ঘুচে গেল দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভেদাভেদ। জগন্নাথ দেব হয়ে উঠলেন সবার প্রভু।

    রথটি বানিয়েছেন এক মুসলিম

    জানা গিয়েছে, বারাসতের এই রথটি যিনি তৈরি করেছেন তিনিও আদতে একজন মুসলমান। বারাসতের কাজীপাড়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তাই আজ রাজ্য জুড়ে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রবিবার রথযাত্রার সামিল হন দেশ-বিদেশের কোটি কোটি মানুষ। ভারতের মধ্যে সবথেকে বড় রথযাত্রা হয় পুরীতে। ঘণ্টা-কাঁসর, জয় জগন্নাথ ধ্বনিতে শ্রী ক্ষেত্র ছিল একেবারে মুখরিত (Rath Yatra 2024)। এর পাশাপাশি রথ নিয়ে বের হয়েছিল ইসকনও। মাহেশের রথেও পা মেলান অসংখ্য ভক্ত।  কিন্তু এরই মধ্যে ব্যতিক্রমী হয়ে উঠল বারাসতের কাজীপাড়ার রথযাত্রা। উদ্যোক্তাদের কথায়, এই উৎসবে কোনও রাজনৈতিক রঙ নেই। বারাসত পুরসভার ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সকলের উপস্থিতি থাকে এইদিন।গত ৬ বছর ধরে এইভাবেই হয়ে আসছে সম্প্রীতির মেলবন্ধন রথযাত্রা উৎসবের মধ্য দিয়ে।

    শাসনেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছবি

    তবে শুধু বারাসতের কাজীপাড়াতে নয়, উত্তর ২৪ পরগনার শাসনেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। রাজনৈতিক হানাহানির খবরে প্রায় শিরোনামে আসে শাসন কিন্তু সেসবকে ছাপিয়ে রবিবার খবরের শিরোনামে এল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রথযাত্রা। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে শাসনের সর্দারহাটিতেও দেখা গেল বারাসতের কাজীপাড়ার মতো ছবি। হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই রথের রশিতে টান দিয়ে সামিল হলেন উৎসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বারের পিছনে লুকিয়ে কোন ইতিহাস?

    Puri Jagannath Temple: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চারটি প্রবেশদ্বারের পিছনে লুকিয়ে কোন ইতিহাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার ধামের অন্যতম হল পুরীর জগন্নাথ ধাম। পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) নিয়ে রয়েছে নানান ইতিহাস। এই মন্দিরে প্রবেশের চারটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। কথিত আছে চারটি গেট চারটি প্রাণীর প্রতিনিধিত্ব করে এবং এই গেটের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কিছু বিশেষ তাৎপর্য। জগন্নাথ ধাম প্রবেশের এই চার দুয়ার হল- ‘সিংহ দুয়ার’,’অশ্ব দুয়ার’,’ব্যাঘ্র দুয়ার’ ও ‘হস্তি দুয়ার’। 

    আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক এই চার দুয়ারের তাৎপর্য – (Significance Of Entrance Gates) 

    ১) পূর্ব দুয়ার বা সিংহ দুয়ার-  এই গেটটি শ্রী জগন্নাথ মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশের প্রধান দরজা। পৃথিবীতে গুণ প্রচারের জন্য সিংহকে ভগবানের একটি বিশেষ অবতার বলে মনে হয়। আর সূর্য পূর্ব দিক থেকে উদিত হওয়ার কারণে মন্দিরের পূর্ব দিকের গেটটিই সিংহ দুয়ার নামে পরিচিত। এই সিংহ দুয়ার প্রধানত ভক্তি বা মোক্ষ লাভের দুয়ার হিসাবে পরিচিত।  
    ২) পশ্চিম দুয়ার বা ব্যাঘ্র দুয়ার-  বাঘ হল ইচ্ছার প্রতীক। জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের পশ্চিম গেটে বাঘের মূর্তি রয়েছে। এই গেট দিয়ে সাধারনত সাধু ও বিশেষ ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করেন। 
    ৩) উত্তর দুয়ার বা হস্তি দুয়ার- হাতিটিকে সম্পদের দেবী মহা লক্ষ্মীর বাহন হিসাবে গণ্য করা হয়। তাই সম্পদের প্রতীক হিসাবে, মন্দিরের উত্তর গেটে হাতির প্রতীক ছিল। কথিত আছে, এই দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলে ধনসম্পদে ভরে ওঠে ভক্তের ঘর। জানা গিয়েছে  হস্তি দুয়ারের প্রতি পাশে একটি করে হাতির বিশাল মূর্তি ছিল, যা মুঘল আক্রমণের সময় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে, এই হস্তি দুয়ার মেরামত করে প্লাস্টার করা হয়েছিল। এই দরজা দিয়ে মূলত ঋষি ও বিশেষ ভক্তরা প্রবেশ ও প্রস্থান করেন। 
    ৪) দক্ষিণ দুয়ার বা অশ্ব দুয়ার- জগন্নাথ ধামে দক্ষিণের প্রবেশ দ্বার বিজয়ের রাস্তা হিসাবে পরিচিত। এই প্রবেশদ্বারের বাইরে দুটি ছুটন্ত ঘোড়ার মূর্তি রয়েছে। প্রাচীনকালে সম্রাটরা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য প্রভুর আশীর্বাদ নিতে এই দরজা দিয়ে মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশ করতেন। কথিত আছে, এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করলে কামের অনুভূতি কেটে যায়। এখানে একাধিক দেবতার প্রতীক রয়েছে। লোকনাথ, ঈশানেশ্বর, পরশুনাথ, ধবলেশ্বর, লক্ষ্মী নৃসিংহ ও তপস্বী হনুমানের প্রতীক রয়েছে এই দরজায়।

    আরও পড়ুন: ওষুধ-টাকা নিঃশেষিত! আবহাওয়া খারাপ, সোমে হচ্ছে না সিকিমে আটক পর্যটকদের উদ্ধারকার্য

    উল্লেখ্য, দ্বাদশ শতকের এই মন্দিরে একসময় চারটি প্রবেশদ্বারই খোলা থাকত। তবে নিয়ম বদলায় কোভিড অতিমারি শুরু হলে। কারন তৎকালীন সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিমারির সময় থেকেই মন্দিরের তিনটি দরজা বন্ধ করে দেয়। খোলা ছিল একটি মাত্র দরজা। সেই একটি মাত্র দুয়ার দিয়েই ভক্তরা মন্দিরে (Puri Jagannath Temple) প্রবেশ করতে পারতেন। কিন্তু কভিড পরবর্তী সময়ে সব কিছু স্বাভাবিক হলেও এতদিন পর্যন্ত সেই নিয়মই বহাল ছিল। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছিলেন ভক্তরা। তবে সম্প্রতি নতুন সরকার আশায় মন্দিরের চারটি দরজা খুলে দেওয়ার পাশাপাশি মন্দিরের সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে ৫০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Puri: নতুন বছরের ভিড় সামলাতে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা খুলল রাত ১টায়

    Puri: নতুন বছরের ভিড় সামলাতে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা খুলল রাত ১টায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বছর পুরীর (Puri) জগন্নাথ মন্দির ভক্তদের ভিড়ে ঠাসা থাকে। প্রভুকে দর্শন করতে প্রত্যেকদিন হাজার হাজার পুণ্যার্থী আসেন মন্দিরে। এত বেশি ভিড় হয় যে ভক্তদের গর্ভগৃহে পৌঁছানো মাঝে মধ্যে অসম্ভব হয়ে পড়ে। এবার সেই সমস্যারই সুরাহা হতে চলেছে। ঝঞ্ঝাট এড়িয়ে অনায়াসেই জগন্নাথদেবের দর্শন মিলবে পুরীতে। চালু হচ্ছে হেরিটেজ করিডর। অন্যদিকে ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা ৩১ ডিসেম্বরই খুলে গেল রাত ১ টায় এবং খোলা থাকবে ১ জানুয়ারি রাত ১১ টা পর্যন্ত।

    নয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা

    ভিড় সামাল দিতে নবীন পট্টনায়েকের সরকার নয়া উদ্যোগ নিয়েছে। এবার থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবেন স্পেশাল সিকিউরিটি ব্যাটালিয়নের ১,১৯০ জন কর্মী। নবীন পট্টনায়ক সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, বিশ্ব বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দিরের জন্য এবার থেকে স্পেশাল ব্যাটালিয়ন ফোর্সের নিরাপত্তারক্ষীদের মোতায়েন করা হবে। দর্শনার্থীরা আরও সহজে জগন্নাথধামে প্রবেশ করতে পারবেন। আরও মজবুত হবে নিরাপত্তা। ভিড় সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। ওড়িশা সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, পুরীর মন্দিরে হেরিটেজ করিডর নির্মাণ হওয়ার পর দর্শনার্থীদের সংখ্যা আরও বাড়বে। ৯৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জগন্নাথ মন্দিরের চতুর্দিকে মেঘনাদ পচেরি ঘিরে একটি পাঁচিল নির্মাণ করা হচ্ছে। ৭৫ মিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে এই করিডর। যানবাহন চলাচলের ওপরেও নিয়ন্ত্রণ লাগানো হচ্ছে। হাফপ্যান্ট পরে মন্দিরে প্রবেশ আগেই বন্ধ হয়েছে। এর পাশাপাশি বাতানুকূল সেডও তৈরি হচ্ছে যেখানে আরামদায়কভাবে লাইনে দাঁড়াতে পারবেন পুণার্থীরা (Puri)।

    হেরিটেজ করিডরের উদ্বোধন ১৭ জানুয়ারি

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে কেবলমাত্র সিংহদুয়ার দিয়ে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করেন ভক্তরা। ভিড় বেশি হওয়াতে ভক্তদের খুবই কষ্ট হয়। গর্ভগৃহের কাছে পৌঁছনো তো দূর, ভিতরে মিনিট খানেকও সময় পান না দর্শনের জন্য। জানা গিয়েছে প্রায় দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ শ্রীমন্দিরের বাকি তিন দিকের গেট। এই নিয়েও পুণার্থীরা (Puri) অনুযোগ জানাতেন এতদিন। তবে হেরিটেজ করিডর উদ্বোধন হলে ভিড় ঠেলে জগন্নাথদেবের দর্শন অনেকটাই সহজ হবে। ১৭ জানুয়ারি এই করিডরের উদ্বোধন হওয়ার কথা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Temple: পুরীতে পুণ্যার্থীদের জন্য এসি করিডর, লাইনে দাঁড়ানো ভক্তদের পুড়তে হবে না কাঠফাটা রোদে

    Jagannath Temple: পুরীতে পুণ্যার্থীদের জন্য এসি করিডর, লাইনে দাঁড়ানো ভক্তদের পুড়তে হবে না কাঠফাটা রোদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাতানুকূল লাইনে দাঁড়িয়েই প্রবেশ করা যাবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Jagannath Temple)। ভক্তরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে তীর্থযাত্রা সম্পন্ন করতে পারেন তাই মন্দির কর্তৃপক্ষের এই বিশেষ সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল যে কোনওভাবেই হাফপ্যান্ট অথবা ছেঁড়াফাটা জিন্স পরে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না।

    হিন্দু ধর্মের পবিত্র তীর্থস্থান পুরী

    হিন্দুধর্মের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান হল পুরী। ভগবান জগন্নাথদেবকে দর্শন করতে দেশ-বিদেশের বহু ভক্তই হাজির হন মন্দিরে। তাই ভক্তদের ভাবাবেগে আঘাত লাগুক তা কখনোই চায়না মন্দির কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের মন্দির (Jagannath Temple) দর্শনে যতটা সম্ভব কষ্ট লাঘব করারও চেষ্টা করা হয়। এবার থেকে আর কাঠফাটা রোদে দাঁড়িয়ে থেকে মন্দিরে প্রবেশের লাইনে দাঁড়াতে হবেনা ভক্তদের। ভিজতেও হবে না বৃষ্টিতে। এসির হাওয়ায় ভক্তরা লাইনে দাঁড়ালে বয়স্ক ভক্তদের বিশেষ সুবিধা হবে। আবার গরমে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কাও কমবে। জানা গিয়েছে, সাধারণত সিংহদ্বার দিয়েই জগন্নাথ ধামে প্রবেশ করেন ভক্তরা।

    ৮৫ মিটারের এসি করিডর

    গ্রান্ড রোডের ওপর মরিচকোট স্কোয়ার থেকে ওই সিংহদ্বার পর্যন্তই এই এসি করিডর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) কর্তৃপক্ষ। মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর বাতানুকুল এই করিডর হতে চলেছে ৮৫ মিটারের।  এ বিষয়ে পুরীর অতিরিক্ত জেলাশাসক ভবাতারানা শাহ বলেন, “রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে পুণ্যার্থীদের দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করতে হয়। তাঁদের জন্যই একটি করিডর নির্মাণ করা হবে। মরিচকোচ স্কোয়্যার থেকে জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) পর্যন্ত বাতানুকূল করিডর নির্মাণ করা হবে। এই বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। শীঘ্রই এটি নির্মিত হবে।” পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ বরাবরই অবশ্য ভক্তদের কথা মাথায় রাখে। এর আগে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বয়স্ক মানুষদের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থাও করেছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। লাইনের ভক্তদের জন্য জলের বোতলের ব্যবস্থাও করে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lord Jagannath: মঙ্গলবার রথযাত্রা! জেনে নিন জগন্নাথদেবের পুজোবিধি

    Lord Jagannath: মঙ্গলবার রথযাত্রা! জেনে নিন জগন্নাথদেবের পুজোবিধি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহের জন্য মাসির বাড়ি বেড়াতে যাবেন প্রভু জগন্নাথ। সঙ্গী হবেন বলরাম ও সুভদ্রা। রথযাত্রার তিথি হিন্দু ধর্মে এক পুণ্য ও পবিত্র উৎসব। ভক্তরা এদিন ভক্তি সহকারে প্রভু জগন্নাথের উপাসনা করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, রথের দড়ি টানলে সংসারের সকল অমঙ্গল দূর হয়। সারা দেশের সঙ্গে বিদেশেও সাদরে এবং ভক্তিপূর্ণভাবে পালিত হয় রথযাত্রা।

    প্রায় সাতশো বছর আগে পুরীতে শুরু হয় রথযাত্রা

    আনুমানিক সাতশো বছরের পুরনো পুরীর রথযাত্রা (Puri Rath yatra) উৎসব। এই বিশেষ উৎসব ঘোষাযাত্রা বলেও পরিচিত। রথযাত্রার দিন এই তিন দেবতাকে গুণ্ডিচা মন্দিরে (Gundicha Temple) জগন্নাথদেবের (Lord Jagannath) মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে রথযাত্রা পালিত হয়। মোট ১১ দিন ধরে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামকে উৎসর্গ করে আরাধনা করা হয়। রথযাত্রা ঘিরে রয়েছে একাধিক আচার-অনুষ্ঠান। রয়েছে একাধিক পুজোবিধি।

    রথযাত্রার নির্ঘণ্ট আমরা দেখে নেব একনজরে

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে

    তৃতীয়া তিথি আরম্ভ

    বাংলার–৫ আষাঢ়, মঙ্গলবার।

    ইং–২০ জুন, মঙ্গলবার।

    সময়–দিবা ১ টা ৯ মিনিট।

    গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা মতে

    তৃতীয়া তিথি আরম্ভ

    বাংলার–৪ আষাঢ়, মঙ্গলবার।

    ইং–২০ জুন, মঙ্গলবার।

    সময়–ঘ ১১ টা ২৫ মিনিট ১৪ সেকেন্ড।

    তৃতীয়া তিথি শেষ

    বাংলার–৬ আষাঢ়, বুধবার।

    ইং–২১ জুন, বুধবার।

    সময়–দিবা ৩ টে ১০ মিনিট।

    রথযাত্রা উৎসবের বিভিন্ন পবিত্র অনুষ্ঠান 

    আনসারী-স্নানযাত্রার পর অর্থাৎ পূর্ণিমার পরে কাঠের মূর্তিগুলি শোভাযাত্রার (রথযাত্রা) তারিখ অবধি গর্ভগৃহের একটি ঘরে রাখা হয়।

    চেরা পাহারা-মন্দিরের সিংহদ্বারের উত্তর দিকে পাশাপাশি রেখে দেওয়া হয়। এদিন ওড়িশার রাজা সোনার হাতলের ঝাড়ু দিয়ে রথটি পরিষ্কার করেন, পথও পরিষ্কার করেন এবং চন্দন ছিটিয়ে দেন।

    রথযাত্রা-মূল উৎসব। রথযাত্রা শুরু হয় এদিন। গুণ্ডিচাতে মাসির বাড়িতে যাওয়ার প্রথা জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার।

    হেরা পঞ্চমী-প্রথম পাঁচ দিন গুণ্ডিচা মন্দিরে থাকেন তিন ভাই-বোন। পঞ্চম দিন ভগবান জগন্নাথের স্ত্রী দেবী লক্ষ্মীর এক অনুষ্ঠান ও পুজো করা হয়।

    সন্ধ্যা দর্শন-এই দিনে জগন্নাথ দর্শন করা ১০ বছর ধরে শ্রী হরির পুজো করার সমান পুণ্য লাভ হয়। 

    বহুদা যাত্রা-অর্থাৎ উল্টো রথযাত্রা। ভগবান জগন্নাথ, বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রার ঘরে প্রত্যাবর্তন। 

    সুনা বেসা-রথযাত্রা শেষে যখন নিজের বাড়িতে জগন্নাথ ফিরে আসেন, তখন নিয়ম মেনে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামকে ফের নতুন পোশাক পরানো হয়। সুন্দর সাজে সজ্জিত করা হয়।

    আধার পানা-আষাঢ়ের শুক্ল দ্বাদশীতে দিব্য এই রথে একটি বিশেষ পানীয় নিবেদন করা হয়। একে পানা বলা হয়, যা দুধ, পনির, চিনি এবং শুকনো ফল দিয়ে তৈরি হয়।

    নীলাদ্রি বিজে- জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার অন্যতম আকর্ষণীয় আচার হল নীলাদ্রি বিজে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rath Yatra 2022: করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে  রথযাত্রায় আবারও সেজে উঠেছে পুরী

    Rath Yatra 2022: করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে রথযাত্রায় আবারও সেজে উঠেছে পুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রথযাত্রা (Rath Yatra)। আবার দুবছর পর সেজে উঠেছে পুরী। ভগবান বলভদ্র, দেবী সুভদ্রা ও জগন্নাথের রথযাত্রা (Rath Yatra) শুরু হচ্ছে আজ থেকে। এই উৎসবের জন্যই ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুণ্যার্থীরা পুরীতে (Puri) জমায়েত করতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই প্রত্যেকবারের মত এবারও রথযাত্রা পালন করা হবে। ইতিমধ্যেই ‘পাহান্ডি’ -র বিভিন্ন রীতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে ওড়িশা পুলিশ (odisha Police)।

    যদিও দেশে ফের একবার করোনা বাড়তে শুরু করেছে। তবে তার মধ্যেই দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা। এই আবহে বিভিন্ন করোনা বিধি মেনেই এবার পালন করা হচ্ছে রথযাত্রা। করোনা আবহেই পুরীতে আজ ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: রথযাত্রার আগে জেনে নিন জগন্নাথদেবের পুজো-বিধি ও তার তাৎপর্য

    এই বছর আষাঢ়ের শুক্ল দ্বিতীয়া তিথি ৩০ জুন সকাল ১০টা ৪৯ মিনিটে শুরু হয়ে ১ জুলাই দুপুর ১টা ৯মিনিটে শেষ হবে। জগন্নাথ যাত্রা শুরু হবে আজ। 

    বিখ্যাত স্যান্ড আর্টিস্ট সুদর্শন পাটনায়েক (Sudarsan Pattnaik) রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীর সমুদ্র সৈকতে বালিতেই জগন্নাথের মূর্তি তৈরি করেছেন ও সঙ্গে ১২৫ টি রথ বানিয়েছেন এবং তিনি আজ থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তিনি এবার ১২৫ টি বালি দিয়ে রথ বানিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে তুলেছেন। 

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw] 

    এদিকে রথযাত্রা উপলক্ষে উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নায়ডু (M Venkaiah Naidu) রথযাত্রা উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    [tw]


    [/tw]

    আরও পড়ুন: রথের দিন জগন্নাথদেবকে দেওয়া হয় বিশেষ ছাপ্পান্ন ভোগ, জানেন কি এর মাহাত্ম্য?

    আবার গজপতি মহারাজা দিব্যসিংহ দেব সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, গত দু’বছর মহামারীর কারণে বিধি-নিষেধের মধ্যে থেকে রথযাত্রা উৎসব পালন করা হয়েছিল পুরীতে। দুবছর ধরে বাইরের কারও পুরীতে প্রবেশে ছিল নিষেধাজ্ঞা। তবে এবার তেমন বিধি-নিষেধ নেই, তাই আজ পুন্যার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ের আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও দেশের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw ) গতকাল পুরীর রেলওয়ে স্টেশনের প্রস্তুতি পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন।

    দুবছর পর হলেও এবার জাঁকজমকভাবে রথযাত্রা উৎসব পালন করা হবে যা ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গিয়েছে। ওড়িশা ছাড়াও দেশের একাধিক রাজ্য থেকে পুন্যার্থীদের ভিড় পুরীতে। প্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার রথযাত্রা ঘিরে এবার এক আলাদাই উন্মাদনা দেখা গিয়েছে সমুদ্র নগরী পুরীতে।

LinkedIn
Share