Tag: lung infection

lung infection

  • Pneumonia: প্রত্যেক নিঃশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ! নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট মারাত্মক বাড়ছে কেন?

    Pneumonia: প্রত্যেক নিঃশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ! নিউমোনিয়ার মতো রোগের দাপট মারাত্মক বাড়ছে কেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে দূষণ। বিশেষত বায়ুদূষণ বাড়াচ্ছে একাধিক বিপদ। আর সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ফুসফুসের! চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বায়ুদূষণের জেরে ফুসফুসের অসুখের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। যার জেরে নিউমোনিয়ার (Pneumonia) মতো রোগের দাপট মারাত্মক বেড়েছে। ১২ নভেম্বর ছিল বিশ্ব নিউমোনিয়া সচেতনতা দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, যেভাবে পৃথিবী জুড়ে এই রোগের দাপট বাড়ছে, তাতে সচেতনতা না বাড়ালে মোকাবিলা করা কঠিন। আরও কঠিন হয়ে উঠবে সুস্থ জীবনযাপন। তাই প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। এই বছরে তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক নিঃশ্বাস কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বোঝা জরুরি। বাতাসে যেভাবে দূষিত উপাদান বাড়ছে, তাতে পরিশুদ্ধ বাতাস কতখানি পাচ্ছে, মানুষকে সেদিকে নজর দিতে হবে। এ বছরের থিম ‘Every Breath Counts’।

    কাদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে নিউমোনিয়া? (Pneumonia) 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু এবং বয়স্কদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এই রোগ।‌ নিউমোনিয়ার দাপটে বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর ৮০ লাখ শিশুর জীবন-সঙ্কট তৈরি হয়। প্রবীণ নাগরিকদেরও জীবনের ঝুঁকি বাড়ায় এই রোগ। গত কয়েক বছরে সত্তরোর্ধ্ব অধিকাংশ মানুষের মৃত্যুর কারণের তালিকায় প্রথম দিকেই থাকছে নিউমোনিয়া। তাই প্রথম থেকেই এই রোগ নিয়ে সচেতনতা না থাকলে বিপদ বাড়বে। কিন্তু কীভাবে নিউমোনিয়ার মোকাবিলা সম্ভব?

    টিকাকরণ জরুরি

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফুসফুসের সুস্থতার (Lung infection) দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। তাই টিকাকরণ নিয়ে সচেতনতা জরুরি। শিশুদের পাশপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের নিউমোনিয়ার টিকা নিতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, বিশ্বের একাধিক দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ নিয়ে বিশেষ সচেতনতা নেই। ফলে, এই রোগের দাপট আরও বাড়ছে।

    ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে হবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধূমপান অত‌্যন্ত ক্ষতিকারক। এই অভ্যাস ছাড়তেই হবে। যে ধূমপান করছে, তার পাশপাশি তার আশপাশের মানুষের জন্যও এই অভ্যাস ক্ষতিকারক।ফুসফুসের উপরে এটা মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ফুসফুসের একাধিক সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। নিউমোনিয়ার (Pneumonia) দাপট বাড়াতে পারে এই অভ্যাস। তাই ধূমপানের অভ্যাস ছাড়া দরকার।

    নিয়মিত হাত পরিষ্কার

    সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত পরিষ্কার করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস থাকলে শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। ফলে, নিউমোনিয়ার মতো জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে।

    ঘরের ভিতরের বাতাস পরিশুদ্ধ থাকা জরুরি (Pneumonia) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঘরের ভিতরের বাতাস কতখানি পরিশুদ্ধ সেদিকেও‌ নজরদারি জরুরি। প্রয়োজনে আরও ইন্ডোর গাছ ঘরে রাখার দিকেও নজর দেওয়া দরকার। বহু গাছ বাতাসের দূষিত উপাদান সহজেই টেনে নেয়। তাই সেদিকে নজর দিলে নিউমোনিয়ার মতো রোগের মোকাবিলা সহজ হয়‌।

    রোগ নিয়ে সচেতনতা

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, লাগাতার সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ থাকলে একেবারেই এড়িয়ে চলা যাবে না। প্রথম থেকেই রোগ নিয়ে সতর্ক থাকলে বড় বিপদ এড়ানো‌ সহজ হয়। নিউমোনিয়ার (Pneumonia) ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Firecrackers: হৃদরোগ থেকে ফুসফুসের সংক্রমণ, শব্দবাজি ডেকে আনে কোন পাঁচ বিপদ?

    Firecrackers: হৃদরোগ থেকে ফুসফুসের সংক্রমণ, শব্দবাজি ডেকে আনে কোন পাঁচ বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আলোর উৎসবে সেজে উঠছে শহর থেকে গ্রাম। কিন্তু বছরের এই সময় শুধু আলো নয়, সঙ্গী হয় বাজি। নানা রকমের বাজি পুড়িয়ে উদযাপন হয় দীপাবলি। আর সেই তালিকায় থাকে শব্দবাজিও (Firecrackers)। শব্দবাজির প্রকোপ নিয়ে প্রত্যেক বছর একাধিক অভিযোগ উঠলেও, প্রশাসনিক তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রশাসনের এই ঢিলেঢালা আচরণের খেসারত দিতে হয় শিশু থেকে বয়স্ক সকলকেই। শব্দবাজির তীব্রতার জেরে গুরুতর স্বাস্থ্যসঙ্কট দেখা দিতে পারে, এমনই আশঙ্কার কথা জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন পাঁচ বিপদের আশঙ্কা বেশি? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রচণ্ড জোরে শব্দবাজি (Firecrackers) ফাটলে শরীরে একাধিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়। ইএনটি চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা থাকে কানের। শব্দবাজির তীব্রতার জেরে শ্রবণশক্তি চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে। হঠাৎ খুব জোর আওয়াজে কানের পর্দায় চাপ পড়ে। লাগাতার সেই চাপ পড়লে শ্রবণশক্তি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা আরও বেশি।
    শব্দবাজির প্রভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ তীব্র আওয়াজে হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। হৃদযন্ত্রের কার্যশক্তি হঠাৎ কমে যায়। আর এর জেরেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। 
    রক্তচাপের ক্ষেত্রেও মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে শব্দবাজি (Firecrackers)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ তীব্র আওয়াজের জেরে রক্তচাপ ওঠা-নামা করে। কারণ, হৃদপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। শরীরের সর্বত্র রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। এর জেরেই রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হতে পারে। 
    মস্তিষ্কেও মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে শব্দবাজি। স্নায়ুর কার্যক্ষমতা কমতে পারে শব্দবাজির জেরে। তাই মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনে এবং স্নায়ুর কার্যকারিতায় সমস্যা হয়। 
    মানসিক অস্থিরতা তৈরি করে শব্দবাজি। শব্দবাজির জেরে একাগ্রতা নষ্ট হয়। ফলে, যে কোনও কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য শব্দ খুবই ক্ষতিকারক।

    শব্দবাজিতে কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক শব্দবাজি। এর ফলে, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তাদের বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। 
    বয়স্কদের জন্যও শব্দবাজি বাড়তি বিপদ তৈরি করে। কারণ, শ্রবণশক্তি হ্রাস সহ একাধিক সমস্যা তৈরি করে শব্দবাজি। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে বাড়তি বিপদ শব্দবাজি (Firecrackers)। কারণ, শব্দবাজির জেরে হৃদরোগ, রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। তাই যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বাড়তি বিপদ তৈরি করে শব্দবাজি। 
    মানুষের পাশপাশি পোষ্যদের জন্যও শব্দবাজি সমস্যা তৈরি করে। পোষ্যদের অস্থির করে তোলে শব্দবাজির দাপট।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সময় কানে ইয়ার প্যাড পরে থাকা জরুরি। বিশেষত বয়স্ক ও শিশুদের কানে ইয়ার প্যাড অবশ্যই পরানো দরকার। পাশপাশি হৃদরোগের গুরুতর সমস্যা থাকলেও ইয়ার প্যাড পরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এতে শব্দের (Firecrackers) তীব্রতা কিছুটা কম অনুভব হবে। 
    তবে, বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ জানাচ্ছেন, একাংশের উদযাপনের জন্য অধিকাংশের ‘কানে তুলো’ গুঁজে থাকতে হয়, তা প্রশাসনের লজ্জা নয় কি?! এত বছরেও কেন শব্দবাজি নিয়ে সচেতনতা তৈরি হল না? কেন পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র শব্দবাজি প্রত্যেক বছর দাপট দেখায়, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share