Tag: ma sarada

ma sarada

  • Kalighat Temple: সারদাদেবী কালীঘাটে মা কালীর সাক্ষাৎ দর্শন পেয়েছিলেন! জানেন সেই ঘটনা?

    Kalighat Temple: সারদাদেবী কালীঘাটে মা কালীর সাক্ষাৎ দর্শন পেয়েছিলেন! জানেন সেই ঘটনা?

    হরিহর ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় আসবেন আর কালীঘাট মন্দির (Kalighat Temple) দেখবেন না, এটা যেন অনেকের কাছেই অকল্পনীয়। এই মন্দিরে মা কালীর জগৎজোড়া খ্যাতি। বর্তমান মন্দিরের বয়স প্রায় ২০০ বছরের আশপাশে। কিন্তু, তার আগেও এখানে মায়ের নিত্য পুজো হত। বহু ভক্তের সমাগম হত। মন্দিরের পাশ দিয়ে তখন আদি গঙ্গায় টলটল করত জল। নৌকা পথে বহু ভক্ত এই মন্দিরে আসতেন। আর এখন মাকে দর্শন করতে দেশ-বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে ভিড় করেন।

    কালীঘাটের আদি কথা (Kalighat Temple)

    কথিত আছে, কালীঘাটে (Kalighat Temple) দেবী সতীর পায়ের চারটে আঙুল পড়েছিল। এই মন্দিরে দেবীর পদতলে রয়েছে রুপোর তৈরি মহাদেব। দেবী কালী ডানহাতে অভয় আর বর দেন। তাঁর ডানদিকের দুটি হাতের একটিতে রয়েছে অভয় মুদ্রা। অন্যটি বরমুদ্রা। দেবীর বামহাতে আবার রয়েছে খড়্গ এবং বামদিকের নীচের হাতে ঝোলানো রয়েছে মুণ্ড। এই দেবী হলেন চামুণ্ডা। তাঁর হাতে যে খড়্গ রয়েছে, সেটা হল জ্ঞানখা। তিনি সেই খড়্গ দিয়ে অজ্ঞানতা নাশ করেন। কালীক্ষেত্র দীপিকা অনুযায়ী, ষোড়শ শতকের মধ্যভাগে ভুবনেশ্বর ব্রহ্মচারী নামে এক সাধক দেবী কালীর পুজো করতেন। তিনি তাঁর জামাই আগমাচার্য ভবানীদাস চক্রবর্তীকে কালীঘাটের মন্দির হস্তান্তরিত করেছিলেন। যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যর কাকা রাজা বসন্ত রায় এখানে মন্দির তৈরি করে দিয়েছিলেন। পরে, দেবীর মন্দির জীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ১৮০৯ সালে সাবর্ণ রায়চৌধুরীরা এখানে মন্দির তৈরি করে দেন। এমনটাই দাবি, এই মন্দিরের সেবায়েত হালদার পরিবারের। কালীঘাটে দেবীর মন্দিরের পাশাপাশি এখানে রয়েছে শ্যামরায়ের মন্দির। যা তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন বাওয়ালি রাজবাড়ির সদস্যরা। দেবীর মন্দিরের সামনের নাটমন্দির ১৮৩৫ সালে  তৈরি করেছিলেন আন্দুলের মহারাজ কাশীনাথ রায়। পঞ্জাবের তারা সিং এসে আবার গঠন করেছিলেন কালীঘাটের দেবী কালীর ভৈরব নকুলেশ্বরের মন্দির। এছাড়াও অন্যান্য জমিদার এবং ব্যবসায়ীরাও এই মন্দিরের চারপাশ তৈরিতে সহায়তা করেছিলেন। বিহারের মুঙ্গেরের ব্যবসায়ী গোবর্ধন দাস যেমন বানিয়ে দিয়েছিলেন কালীঘাট মন্দিরের আশপাশের রাস্তা। ১৮৪৩ সালে বৈষ্ণব উদয় নারায়ণ মণ্ডল কালীঘাট মন্দির চত্বরে বর্তমান শ্যামরাই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৫৮ সালে মদন গোপাল কোলে শ্যামরাই মন্দিরের জন্য একটি দোল মঞ্চ স্থাপন করেছিলেন।

    পুকুর থেকে উঠেছিল কালীর মূর্তি!

    এই মন্দিরের পূর্বদিকে একটি পুকুর আছে। এই পুকুর কুণ্ডপুকুর নামে পরিচিত। জনশ্রুতি আছে, সেই পুকুর থেকেই উঠে এসেছিল কালীঘাটের দেবী কালীর মূর্তি। রানি রাসমণিও নিত্যদিন কালীঘাটের এই মন্দিরে যাতায়াত করতেন। এখানে দেবীর মুখমণ্ডল একটি কষ্টিপাথরের শিলাখণ্ড। পাইকপাড়ার রাজা ইন্দ্র চন্দ্রসিং বাহাদুর দেবীর প্রতিদিনের ভোগের খরচ বহন করতেন। নেপালের জং বাহাদুর দেবীকে রুপোর ছাতা দিয়েছিলেন। প্রথমে দেবীর ছিল রুপোর হাত। পরে, বানানো হয় সোনার হাত। সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের রাজা সন্তোষ রায়ের থেকে প্রতিদিন কালীঘাট মন্দিরে ভোগের জিনিসপত্র আসত।  বর্তমানে পালাদার বা দেবীর সেবার ভার যাঁর ওপর পড়ে, তিনিই ভোগের খরচা বহন করেন। কোনও প্রাচীন তন্ত্রেও কালীঘাটের উল্লেখ নেই। কেবল মহানীল তন্ত্রে “কালীঘাটে গুহ্যকালী” বলে উল্লেখ রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদ বাবু গৌরদাস বসাক বলেছেন, পঞ্চদশ শতাব্দীতে কালীঘাটের কোনও উল্লেখ দেখা যায় না। কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ১৫৪৪ সালে যে চণ্ডীকাব্যে গঙ্গাতীরের বর্ণনা করেছেন, সেখানে কালীঘাটের বর্ণনা দেখতে পাওয়া যায়।

    কালীঘাটে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও আলীবর্দী

    ইতিহাসের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, নবদ্বীপপতি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় নবাব সরকারের কাছে ১২ লক্ষ টাকা খাজানার দায়ে ঋণী হওয়ায় মুর্শিদাবাদে কারারুদ্ধ হন। নবাব আলীবর্দী খাঁ রাজার গুণগরিমা জানতেন। তাই, অন্যদের মতো তাঁকে কারাগারে না রেখে নিজের সভায় রাখতেন। একবার কৃষ্ণচন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে নবাব আলিবর্দী নৌকা বিহারে যান। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নবাব বাহাদুরকে নিজের জমিদার দেখানোর জন্য কলকাতা (Kolkata) পর্যন্ত নিয়ে যান। সেখানে আদিগঙ্গায় নৌকা রেখে তাঁরা জঙ্গলে কিছুটা পথ হেঁটে একটি ছোট্ট কুটিরে এই কালী মূর্তি ও তাঁর উপাসককে দেখতে পান। রাজা সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে ব্রাহ্মণের সঙ্গে কথাবার্তায় জানতে পারেন, এটা সতী দেবীর অংশপীঠ। এই কালীর নামানুসারে স্থানের নাম কালীঘাট (Kalighat Temple)। ব্রাহ্মণ নিতান্ত নির্লোভী, কিছুমাত্র কাহারও সাহায্য প্রার্থী নন। কিন্তু, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র নবাবকে অনুরোধ করে কালীর জন্য কিছু দেবোত্তর মঞ্জুর করতে বলেন। নবাব ব্রাহ্মণের নির্ভীকতা ও একাকী এই জঙ্গলে নিষ্ঠার সঙ্গে সাধনা করতে দেখে আশ্চর্য হন। তিনি রাজার অনুরোধ মাত্র উক্ত প্রদেশ কালীর দেব সেবার জন্য প্রদান করিলেন। আর রাজাকেও তাঁর সমস্ত ঋণ থেকে মুক্ত করে দেন। তবে, অনেকে এই তথ্য মানতে চান না। অনেকে আবার বলেন, মহারাজা বসন্ত রায় নিজের গুরু ভুবনেশ্বর ব্রহ্মচারীকে ১৬ শতাব্দীতে কালীঘাটের ছয় শত বিঘা ভূমি দেবোত্তর দান করিয়াছিলেন, ইহাই যুক্তিসঙ্গত। কারণ, উক্ত প্রদেশ সে সময় যশোহর-পতিদিগেরই দখলে ছিল। সাবর্ণ চৌধুরী কেশব রায়ের পুত্র সন্তোষ রায় কালীর বর্তমান মন্দির তৈরি করেছিলেন।

    কালীঘাট মন্দিরে মা সারদা

    জানা যায়, শ্রীমা সারদাদেবীও কালীঘাটে (Kalighat Temple) মা কালীকে দর্শন করতে এসেছিলেন। সে সময় তাঁরও অদ্ভুত দর্শন হয়েছিল। মন্দিরে সিঁদুর-আলতা দিয়ে পুজো দেওয়ার পর মন্দির থেকে বেরিয়ে যখন এয়ো স্ত্রীদের মাথায় তিনি সিঁদুর দিয়ে দিচ্ছেন, পাশে দাঁড়ানো এক অপরিচিত কালো মেয়ের কপালেও তিনি সিঁদুরের ফোঁটা এঁকে দিলেন। মেয়েটির কপালে হাত দিতেই সে ব্যথায় কুঁকড়ে গেল। সারদা মা বলে উঠলেন, কী মা ব্যথা পেলে? এই বলে মেয়েটির মুখের দিকে ভালো করে তাকাতেই দেখলেন মেয়েটির কপালের ত্রিনয়নে কিছুটা সিঁদুর পড়েছে। কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান হারালেন শ্রীমা। পরে মেয়েটিকে খোঁজ করেও আর পাওয়া গেল না। পরে, শ্রীমা নিজের ঘনিষ্ঠজনের কাছে সে কথা বলেছিলেন।

    মন্দিরে সোনার চূড়া

    দুশো বছরের প্রাচীন মন্দির। ধীরে ধীরে নতুন রূপে সেজে উঠছে সেই প্রাচীন মন্দির (Kalighat Temple)। রিলায়েন্স গোষ্ঠী এই মন্দির সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছে। মন্দিরের অন্দরসজ্জার জন্য সব মিলিয়ে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় করছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। এবার সেই কালীঘাট মন্দির একেবারে নতুন সাজে সাজানো হচ্ছে। ২৪ ক্যারেট গোল্ড দিয়ে তৈরি তিনটি সোনার চূড়া তৈরি করা হয়েছে। একেবারে নিখাদ সোনার চূড়া। সেই সোনার চূড়া একেবারে ঝলমল করছে মন্দিরের মাথায়। বর্তমানে এই মন্দিরটি ৬টি ভাগে বিভক্ত-ষষ্ঠী তলা, নাট মন্দির, জোড় বাংলা, হারকাঠ তলা, রাধা কৃষ্ণ মন্দির এবং কুন্ড পুকুর। বর্তমানে যে মূর্তিটিকে পুজো করা হয় সেটি কষ্টি পাথরের তৈরি, যা সোনা ও রূপ দিয়ে কাজ করা। বর্তমান জিভটি প্রায় ২ কিলো ১৯১ গ্রাম রুপোর উপর ৫৫৮ গ্রাম সোনা দিয়ে মোড়া। মাকে দর্শন করতে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তের লাইন পড়়ে এই মন্দিরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahesh Rath Yatra: ঘড়া ঘড়া জল-দুধে স্নান করেও অবিকল মাহেশের জগন্নাথদেবের দারুমূর্তি

    Mahesh Rath Yatra: ঘড়া ঘড়া জল-দুধে স্নান করেও অবিকল মাহেশের জগন্নাথদেবের দারুমূর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় হুগলির মাহেশে (Mahesh Rath Yatra)। শ্রীরামপুরের কাছে এই রথ দেখতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্তের ঢল নামে। মাহেশের রথেরও আছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। পুরীতে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার জন্য তিনটি আলাদা রথ থাকে। মাহেশে ত্রিমূর্তি থাকেন একটিই রথে। সেই রথের উচ্চতা ৫০ ফুট। পুরীর রথের থেকেও এই রথ উচ্চতায় বেশি। মনে করা হয়, জগন্নাথের এত উচ্চ রথ আর দ্বিতীয়টি নেই। উচ্চতা অনুযায়ী রথের ওজনও বেশি, এই রথ ১২৫ টনের। এবারও মাহেশের রথ দেখতে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে।

    শ্রীচৈতন্য নামকরণ করেছিলেন ‘নব নীলাচল’ (Mahesh Rath Yatra)

    মাহেশের (Mahesh Rath Yatra) মূল মন্দির থেকে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার বিগ্রহ রথে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে, প্রায় এক কিলোমিটার দূরে মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় রথে চাপিয়ে। কথিত আছে, সাধক ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী ৬২৯ বছর আগে পুরীতে গিয়ে প্রভু জগন্নাথকে ভোগ নিবেদনের জন্য স্বপ্নাদেশ পান। কিন্তু, সেই ভোগ তিনি অর্পণ করতে পারেননি। এরপর স্বপ্নাদেশে পাওয়া নিম কাঠ দিয়ে তিন বিগ্রহ তৈরি করা হয়। সেই থেকেই চলে আসছে পুজো। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, সন্ন্যাস গ্রহণের পর শ্রীচৈতন্য পুরী যাওয়ার পথে মহেশের কাছে পৌঁছান। ধ্রুবানন্দের মন্দিরে যাওয়ার পর, তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। গভীর সমাধিতে লীন হন। শ্রীচৈতন্য মাহেশকে ‘নব নীলাচল’ অর্থাৎ ‘নতুন পুরী’ বলে নামকরণ করেছিলেন। পরে, বৃদ্ধ ধ্রুবানন্দ তাঁকে মন্দিরের দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেন। তাঁর অনুরোধে শ্রীচৈতন্য কমলাকর পিপলাইকে তাঁর বারো গোপালের পঞ্চম মন্দিরের সেবাইত করেন। কিছুদিন পর ধ্রুবানন্দ মারা যান। কমলাকর পিপলাই ছিলেন, যেমনটি আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, শ্রীচৈতন্যের বারোটি গোপালের মধ্যে পঞ্চম। তিনি ছিলেন সুন্দরবনের খলিজুলির জমিদারের ছেলে। তিনি লজিক পড়ার জন্য নবদ্বীপে আসেন। পরে, তিনি মহাপ্রভুর প্রিয় হয়ে ওঠেন। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন। মাহেশ মন্দিরের দায়িত্ব নেওয়ার পরে, তিনি সেখানেই থেকে যান। তিনিই বিখ্যাত রথ উৎসব শুরু করেছিলেন। তাঁর উত্তরাধিকারীরা এখনও মাহেশ এবং কেউ কেউ কলকাতায় মন্দিরের সেবাইত বা ‘অধিকারি’ হিসেবে বসবাস করেন।

    রথ দেখতে এসেছিলেন রামকৃষ্ণ-মা সারদা 

    মাহেশের (Mahesh Rath Yatra) এই জগন্নাথ অর্চনা ৬২৯ বছরের প্রাচীন। মাহেশের সেবাইত পিয়াল অধিকারী বলেন, স্বপ্নাদিষ্ট দারুমূর্তি আজও একই রকম ভাবে আছে, যা মাহেশের বিশেষ মাহাত্ম্য। এত বছর ধরে ঘড়া ঘড়া জল-দুধে স্নান সত্ত্বেও মূর্তি আছে অবিকল। মাহেশের স্নান প্রক্রিয়ারও আছে নিজস্বতা। ভাদ্র মাসে এই এলাকায় দেখা দেয় ষাঁড়াষাঁড়ি বান। সেই জল তুলে রাখা হয় জগন্নাথের স্নানের জন্য। বিশেষ সেই জলের সঙ্গে থাকে দেড় মন দুধ। সকলের সামনেই অনুষ্ঠিত হয় এই পুণ্যস্নানের মুহূর্ত। ভক্তমনের বাঞ্ছা পূর্ণ করতেই জগন্নাথের এই লীলা। মাহেশের রথ দেখতে ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এসেছিলেন। মা সারদাও রথের টানে মাহেশে এসেছিলেন। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মাহেশে রথ দেখতে এসেছিলেন। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস রাধারানি মাহেশ রথযাত্রার বিস্ময়কর বিবরণ নিয়ে লেখা।

    চারতলা এই রথ

    জানা গিয়েছে, শ্যামবাজারের বসু পরিবারের কৃষ্ণরাম বসু এই রথ দান করেছিলেন। চারতলা এই রথেরও আছে নিজস্ব ব্যাখ্যা- চৈতন্যলীলা, রামলীলা, কৃষ্ণলীলা এবং শীর্ষে আরোহণ করেন প্রভু জগন্নাথ। স্নানযাত্রা থেকে রথযাত্রার এই অন্তর্বর্তী সময়ে অন্তরালে থাকেন জগন্নাথ। কথিত আছে, এই সময় জ্বরে ভোগেন তিনি। দূর- দূরান্ত থেকে কবিরাজ এসে পাঁচন তৈরি করে প্রভুর নিরাময়ের ব্যবস্থা করেন। তারপর আসে রথযাত্রার মুহূর্ত। কথিত আছে, রথে উপবিষ্ট জগন্নাথকে দর্শন করলে আর পুনর্জন্মের ভয় থাকে না। স্নানযাত্রা থেকেই সেই মহালগ্নের সূচনা হয়ে যায় শ্রীরামপুরের (Serampore) মাহেশে। জগন্নাথ দেবের মন্দির সংলগ্ন স্নান পীড়ি ময়দানে রথ উপলক্ষে প্রতি বছর ১ মাস ধরে চলে মেলা। প্রতিবছর নতুন সাজে সাজানো হয়। এবারও রথের (Serampore) রশিতে টান দিতে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করছেন মাহেশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share