Tag: Made In India

Made In India

  • Made In India: পিছিয়ে পড়ছে চিন, বিশ্ববাজারে বিপুল পরিমাণ খেলনা রফতানি করছে ভারত

    Made In India: পিছিয়ে পড়ছে চিন, বিশ্ববাজারে বিপুল পরিমাণ খেলনা রফতানি করছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, “কারও সর্বনাশ, তো কারও পৌষ মাস।” বহুল প্রচলিত এই প্রবাদ বাক্যটি কিঞ্চিৎ সংধোধন করে বলাই যায়, “চিনের সর্বনাশ, ভারতের পৌষ মাস।” ভনিতা ছেড়ে ফেরা যাক কাজের কথায়। এতদিন বিশ্ববাজারে (Made In India) একচেটিয়া রাজ করছিল চিনে খেলনা। সেই বাজারে গুঁড়ি মেরে থাবা বসাচ্ছিল ভারত।

    বিশ্ব বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারত (Made In India)

    বর্তমানে চিনকে টপকে বিশ্ব বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারতে তৈরি খেলনা। ১৫ অর্থবর্ষ থেকে ২৩ অর্থবর্ষ – এই সময়সীমার মধ্যে বিশ্বে ভারতের খেলনা রফতানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৯ শতাংশ। আমদানি কমে গিয়েছে ৫২ শতাংশ। ভারতে খেলনা বিক্রি করতে গেলে ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্সের অনুমোদন প্রয়োজন। তাছাড়া বেসিক কাস্টমস ডিউটি বাড়ানো হয়েছে ৭০ শতাংশ। তার জেরেই পিছিয়ে পড়ছে চিন, চুটিয়ে ব্যবসা করছে ভারতীয় খেলনা কোম্পানিগুলি। মুনাফা ভালো হওয়ায় ভারতে দিন দিন বাড়ছে খেলনা কারখানাও।

    কমেছে চিন নির্ভরতা 

    খেলনাশিল্প সূত্রে খবর, স্পিন মাস্টা, হাসব্রো, ম্যাট্টেলের গ্লোবাল ব্যান্ড খেলনা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি সোর্সিংয়ের জন্য নির্ভর করত ইটালিয়ান মেজর ড্রিম প্লাস্ট, মাইক্রোপ্লাস্ট এবং ইনকাসের। এতদিন এরা চায়না খেলনার ওপর নির্ভর করত। বর্তমানে চিন-প্রীতি ছেড়ে ভারতীয় খেলনার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে তারা। চিনে খেলনার ওপর এতদিন নির্ভর করত ভারতও (Made In India)। বর্তমানে চিন নির্ভরতা কমেছে ৮০ শতাংশ। চেন্নাই ভিত্তিক ফানস্কুলের মুখ্য কার্য নির্বাহী আধিকারিক আর জেসওয়ান্ত বলেন, “বিআইএস চিনা ক্ষমতার অনুমোদন দেবে বলে আমি মনে করি না। চিন থেকে খেলনা আমদানি কমেছে। দেশীয় খেলনার উৎপাদন বাড়ায় কমেছে আমদানি।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    ১০ বছর আগেও ভারত থেকে সোর্সিং হত দৈবাৎ। আর এখন অনেক কোম্পানিই ভারতে সেটআপ তৈরি করেছে।” কেবল খেলনা নয়, ফানস্কুল এমআরএফ নামের টায়ারও উৎপাদন করে। এই কোম্পানিই এখন ভারতে তৈরি খেলনা পাঠাচ্ছে হাসব্রো, স্পিন মাস্টার, ফ্লেয়ার, আর্লি লার্নিং সেন্টার এবং ড্রুমন্ড পার্ক গেমসকে। দিল্লি ভিত্তিক আমদানি-রফতানিকারী সংস্থা আরপি অ্যাসোসিয়েটসের মালিক পবন গুপ্তা বলেন, “ভারতে খেলনা উৎপাদন বাড়ছে। অনেকে ভারতে তাঁদের সেটআপ তৈরি করেছেন। বহু ক্রেতা যারা এতদিন চিন থেকে সোর্সিং করত, তারা এখন চিনের থেকে মুখ ফিরিয়ে অন্য দেশের দিকে তাকাচ্ছে। এদের মধ্যে ভারতও রয়েছে।” তিনি বলেন, “এই তালিকায় মাইক্রোপ্লাস্ট, ড্রিম প্লাস্ট এবং ইনকাসের মতো অনেক বড় বড় কোম্পানিও রয়েছে (Made In India)

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Tata-Airbus C-295: এবার দেশে তৈরি হবে সামরিক পণ্যবাহী বিমান, চুক্তি স্বাক্ষর টাটা-বোয়িংয়ের

    Tata-Airbus C-295: এবার দেশে তৈরি হবে সামরিক পণ্যবাহী বিমান, চুক্তি স্বাক্ষর টাটা-বোয়িংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দেশেই তৈরি হবে C-295 এয়ারক্রাফট, ভারতীয় সেনার জন্য বিমান বানাবে টাটা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার রাজ্য গুজরাটের ভদোদরায় রবিবার এই কারখানাটির শুভ সূচনা করবেন। বারংবারই প্রধানমন্ত্রী মেড ইন ইন্ডিয়ার (Made In India) দিকে জোর দিয়েছেন।

    দেশীয় পদ্ধতিতে দেশের ভিতরেই এই বিমানগুলি নির্মাণ করলে বাইরে থেকে এই বিমানগুলির আমদানি করতে হবে না ফলে সেনা বাজেটে কিছুটা হলেও চাপ কমবে। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কারখানা নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।এছাড়াও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, হালকা এবং মাঝারি মাপের C-295 বিমানটি যে কোনও মিশনে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেকোনও আবহাওয়ায় সমানভাবেই কার্যকর এয়ারবাসের এই বিমান। মরুভূমির চরম-গরম বা বরফঢাকা পাহাড়ি এলাকায় অপারেশনের ক্ষেত্রে জুড়ি মেলা ভার এই বিমানের। অত্যাধিক গরমের মধ্যে যে কোনও উচ্চতায় এই বিমান বিপুল পরিমাণ ওজন বয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সক্ষম। পাশাপাশি এই বিমানের জ্বালানির খরচ অন্যান্য বিমানের থেকে কমপক্ষে ৪ শতাংশ কম।

    ডিফেন্স সেক্রেটারি, অজয় কুমার বলেন, “প্রথমবারের মতো C-295 বিমানগুলি ইউরোপের বাইরে তৈরি করা হবে।” গত বছরের সেপ্টেম্বরে, ভারত Airbus Defence and Space -এর সঙ্গে মিলে প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছে, চুক্তিতে বলা আছে, মোট ৫৬ টি C-295 ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফ্ট কেনার জন্য এবং ভারতীয় বায়ু সেনার পুরনো Avro-748 প্লেনগুলিকে প্রতিস্থাপন করার জন্য, একটি বেসরকারি কোম্পানির প্রকল্পের অধীনে ভারতে মিলিটারি বিমান তৈরি করা হবে, এবং ভারতে এমনটি এই প্রথমবার হবে।

    এই চুক্তির অধীনে, এয়ারবাসগুলি চার বছরের মধ্যে স্পেনের সেভিলে তার ফাইনাল অ্যাসেম্বলি লাইন থেকে ‘ফ্লাই-অ্যাওয়ে’ অবস্থায় প্রথম 16টি বিমান সরবরাহ করবে এবং পরবর্তীতে আরও 40টি বিমান ভারতে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম (TASL) দ্বারা তৈরি করা হবে।উদ্দেশ্যটি সফল করার লক্ষ্যে দুটি কোম্পানির মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্টনারশিপ তৈরি করা হয়েছে।ইতিমধ্যেই রেগুলেটরটির অনুমোদন দিয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ অ্যারোনটিক্যাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স (DGAQA)।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ওই কারখানায় প্রথম ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ বিমান তৈরি হবে।এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে ভারতের বেসরকারি ক্ষেত্র উচ্চ প্রযুক্তির ও তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বিমান তৈরির ক্ষেত্রে প্রবেশ করবে। এর ফলে এই ধরনের বিমান আমদানি কমবে, বরং তা রফতানি করা হবে।২০২৬ থেকে ২০৩১ পর্যন্ত এই বিমান বিদেশে রফতানি করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share