Tag: Madhya Pradesh

Madhya Pradesh

  • Top Maoist Surrender: মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা! ছত্তিশগড়ে ১১ মাওবাদী সহ আত্মসমর্পণ সেন্ট্রাল কমিটির নেতা রামধের মাজ্জির

    Top Maoist Surrender: মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা! ছত্তিশগড়ে ১১ মাওবাদী সহ আত্মসমর্পণ সেন্ট্রাল কমিটির নেতা রামধের মাজ্জির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র নেতা-কর্মীদের বার বার মূলস্রোতে ফিরে আসার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানিয়েছেন, দেশকে ২০২৬ সালেই মাওবাদী মুক্ত করবেন। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য বড় সাফল্য এনে দিল ছত্তিশগড়ের খৈরাগড়–ছুইখাদান–গণ্ডাই জেলা। আত্মসমর্পণ করল মোট ১২ জন মাওবাদী। এদের মধ্যে রয়েছে অন্যতম কুখ্যাত রামধের মাজ্জি, যার মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। রামধের সেন্ট্রাল কমিটি সদস্য (CCM)। মাও-বিরোধী অভিযানে বিরাট সাফল্য পেয়েছে মধ্যপ্রদেশও। অস্ত্র থেকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরেছেন মোস্ট ওয়ান্টেড ১০ জন মাওবাদী। যৌথভাবে যাদের মাথার দাম ছিল ২.৩৬ কোটি টাকা। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় আত্মসমর্পণ কর্মসূচি।

    ছত্তিশগড়ে আত্মসমর্পণ মাওবাদী নেতাদের

    বকরকাটা থানায় আত্মসমর্পণের এই ঘটনাকে এমএমসি (মহারাষ্ট্র–মধ্যপ্রদেশ–ছত্তিশগড়) জোনে মাওবাদী নেটওয়ার্কের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে তিন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সামনে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকা রামধের মাজ্জি তার সহযোগী ডিভিশনাল কমিটি সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত হয়ে অস্ত্র সমর্পণ করেন। তার সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেছে এসিএম রামসিং দাদা এবংএসিএম সুকেশ পোত্তমও। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ছয়জন মহিলা মাওবাদীও রয়েছেন—লক্ষ্মী, শীলা, যোগিতা, কবিতা এবং সাগর। এছাড়া ডিভিশনাল কমিটি সদস্য ললিতা ও জানকিও আত্মসমর্পণ করেছে। উল্লেখযোগ্যদের তালিকায় আরও রয়েছেন ডিভিসিএম চান্দু উসেন্দি এবং প্রেম।

    মাওবাদী সংগঠনের কাঠামো ভাঙার ইঙ্গিত 

    পুলিশ সূত্রে খবর, এই মাওবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে মহারাষ্ট্র–মধ্যপ্রদেশ–ছত্তিশগড় বিশেষ জোনাল কমিটির এলাকায় সক্রিয় থাকলেও টানা নিরাপত্তা অভিযান ও সরকারি পুনর্বাসন কর্মসূচির চাপে তারা দুর্বল হতে শুরু করে। রামধের মাজ্জির আত্মসমর্পণকে তাই একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে দেখছেন কর্মকর্তারা। তাদের মতে, তার সিদ্ধান্তের পর এমএমসি জোন কার্যত ভেঙে পড়েছে। বছরের পর বছর ঘন জঙ্গল ও দুর্গম এলাকায় ঘাঁটি তৈরি করে থাকা মাওবাদীদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান জোরদার হওয়ার ফলে সাম্প্রতিক সময়ে তাদের অবস্থান দুর্বল হয়েছে। উচ্চপদস্থ মাও নেতাদের এমন বড়মাপের আত্মসমর্পণ মাওবাদী সংগঠনের কাঠামো ভাঙার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

    মধ্যপ্রদেশে আত্মসমর্পণ মাওবাদীদের

    মধ্যপ্রদেশের মান্ডলা জেলাকেও মাওবাদীমুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বলেন, ‘পুনর্বাসন পুনর্জীবন’ প্রকল্পের আওতায় চার মহিলা-সহ মোট ১০ জন মাওবাদী রবিবার বালাঘাটে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে মূল স্রোতে ফিরেছেন। এই সাফল্য সুশাসনের শক্তি, পোক্ত আইনি ব্যবস্থা ও উন্নয়নের উপর বিশ্বাসের সুফল।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “মাওবাদীদের স্বাভাবিক জীবনে গত জানুয়ারি মাস থেকে লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছিল। অবশেষে তাঁরই সুফল মিলেছে। বর্তমানে দিনদোরি এবং মান্ডলা পুরোপুরি মাওবাদীমুক্ত। পাশাপাশি আরও জানান, “সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে হিংসার রাস্তা থেকে যারা ফিরে আসবে, সরকার তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য একাধিক উদ্যোগ নেবে। আর যারা ফিরবে না, তাঁদের জন্য ভয়ংকর কিছু অপেক্ষা করছে।”

    মাওবাদীদের থেকে উদ্ধার বিপুল অস্ত্র

    জানা যাচ্ছে, যে ১০ জন মাওবাদী এদিন আত্মসমর্পণ করেন তারা মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশ-ছত্তিশগড় জোনের শীর্ষ মাও-কমান্ডার। এদের যৌথ মাথার দাম ছিল ২ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছে মোস্ট ওয়ান্টেড কবীর ওরফে সোম। ওই ডিভিশনের সাব-জোনাল কমিটির সেক্রেটারি কবিরের মাথার দাম ছিল ৬২ লক্ষ টাকা। এছাড়াও আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছেন মাও নেতা রাকেশ ওরফে মণীশ। এই নেতারও মাথার দাম ছিল ৬২ লক্ষ। আত্মসমর্পণের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্রও পুলিশের কাছে জমা দেন মাওবাদীরা। যে তালিকায় ছিল, একটি একে-৪৭, দুটি ইনসাস রাইফেল, দুটি সিঙ্গেল শট রাইফেল, একটি সেলফ লোডিং রাইফেল, ৭টি ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার সেলস, ৫টি ডিটোনেটর, ৪টি ওয়াকিটকি ও ১০০-র বেশি কার্তুজ।

  • Madhya Pradesh: গণবিবাহের আসরে বিয়ে করলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে! কেন জানেন?

    Madhya Pradesh: গণবিবাহের আসরে বিয়ে করলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র। আর পাঁচটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর (Madhya Pradesh) ছেলে কিংবা মেয়ের বিয়েতে যেমন জাঁক হয়, তাঁর বিয়েতে তেমন দেখা গেল কই! শুধু তাই নয়, তাঁর বিয়ে হল গণবিবাহের আসরে। আজ্ঞে, হ্যাঁ। শুনতে অবাক লাগলেও, এমনভাবেই ছেলের (Abhimanyu Yadav) বিয়ে দিয়ে নজির গড়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির মোহন যাদব। তাঁরই ছোট ছেলের বিয়ে হয় ৩০ নভেম্বর, রবিবার। আরও ২১ জোড়া যুগলের সঙ্গে নববধূর সঙ্গে এদিন সাত পাকে বাঁধা পড়েন মন্ত্রীপুত্রও।

    গণবিবাহ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পুত্রও (Madhya Pradesh)

    মোহন যাদবের ছোট ছেলে অভিমন্যু উজ্জ্বয়িনীতে আয়োজিত গণবিবাহ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে ইশিতা যাদবের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বর-কনেদের সকলেই জমকালো পোশাকে সেজেছিলেন। বিবাহস্থলে এসেছিলেন ঘোড়া এবং সুসজ্জিত রথে চড়ে। গণবিবাহের আসরে ছেলের বিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সব সময় জোর দেন বিয়ে সরলভাবে হওয়া উচিত। তাই সবাই একসঙ্গে বিয়ে করছে।”

    সমাজে বার্তা

    বিয়ের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও। তিনি বলেন, “গণবিবাহের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজে একটি অত্যন্ত বড় বার্তা দেওয়া হয়েছে।” নিজের বিবাহ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অভিমন্যু বলেন, “এটি একটি রাজকীয় বিবাহ – অনেক বর আমার সঙ্গে এখানে উপস্থিত আছেন।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যোগগুরু রামদেব এবং বাগেশ্বর ধামের প্রধান পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীও (Madhya Pradesh)।

    জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ২৫ হাজার অতিথি। এঁদের সিংহভাগই বর এবং কনের পরিবারের। শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাসভবন গীতা কলোনিতে পুজোর্চনা করেন। শনিবার তাঁর পরিবারের সদস্যরা পালন করেন বিয়ের সমস্ত রীতিনীতি। প্রসঙ্গত, গত বছরও বড় ছেলে বৈভবেরও বিয়ের অনুষ্ঠান খুবই সাদামাঠাভাবে করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল (Abhimanyu Yadav) রাজস্থানে। তবে সেটি ছিল নিতান্তই সাদামাঠা একটি অনুষ্ঠান। আর এবার গণবিবাহের আসরে ছোট ছেলের বিয়ে দিয়ে দেশবাসীকে চমকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী। সমাজকেও বার্তা দিয়েছেন অপ্রয়োজনীয় খরচ-খরচা থেকে শত হাত দূরে থাকতে।

  • Australian Women’s Team: অস্ট্রেলিয়ার দুই মহিলা ক্রিকেটারকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার ১

    Australian Women’s Team: অস্ট্রেলিয়ার দুই মহিলা ক্রিকেটারকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার ১

    মাধ্যম ডেস্ক নিউজ: অস্ট্রেলিয়ার দুই মহিলা ক্রিকেটারের (Australian Women’s Team) পিছু ধাওয়া করে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার এক। ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে (Madhya Pradesh)। যদিও ঘটনার একদিন আগে বুধবার ইন্দোরে হলোকার স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার মহিলা দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছিল। ভারত যেখানে মহিলা বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে, সেখানে এই রকম অপ্রীতিকর ঘটনা অত্যন্ত সংবেদনশীল। তবে মোহন যাদবের সরকার অত্যন্ত তৎপর হয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

    ক্যাফেতে হেঁটে যাওয়ার সময় ঘটে (Australian women’s team)

    এক বিবৃতিতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) জানিয়েছেন, “ইন্দোরের (Madhya Pradesh) একটি ক্যাফেতে হেঁটে যাওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ান মহিলা দলের (Australian Women’s Team)  দুই সদস্যকে একজন মোটরসাইকেল আরোহী অশ্লীল ইঙ্গিত করে। তাঁদের সংবেদনশীল জায়গায় স্পর্শ করে অভিযুক্ত। দলের নিরাপত্তারক্ষীরা বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছেন অফিসাররা।”

    বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সইকিয়া এই ঘটনাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেছেন। তিনি বলেন, “ভারত তার আতিথেয়তা এবং যত্নের জন্য পরিচিত। এই ধরনের ঘটনার প্রতি আমাদের কোনও রকম সংবেদনশীলতা নেই। অপরাধীকে গ্রেফতারের জন্য রাজ্য পুলিশ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা তাদের প্রশংসা করি। নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য প্রয়োজন হলে আমরা আমাদের সুরক্ষার প্রোটোকলকে আরও সক্রিয় থাকার বার্তা দেব।”

    অভিযুক্তের নাম আকিল খান

    ইন্দোরের (Madhya Pradesh) অতিরিক্ত ডিসিপি ক্রাইম ব্রাঞ্চ রাজেশ দন্ডোটিয়া বলেন, “অস্ট্রেলিয়া মহিলা দলের (Australian Women’s Team) নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। দুই খেলোয়াড় তাঁদের হোটেলে ফেরার সময় খাজরানা রোড এলাকায় অশালীন আচরণের সম্মুখীন হয়েছেন। এরপর ওইদিন রাতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম আকিল খান। সাদা শার্ট, কালোটুপি এবং হেলমেট ছাড়াই কালো মোটর সাইকেলে ঘুরছিল এলাকায়। তার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা রয়েছে। তদন্ত করে আমরা রেকর্ড খতিয়ে দেখছি।”

    তবে সহকারী পুলিশ কমিশনার হিমানী মিশ্র পরে দুই খেলোয়াড়ের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করেন। এরপর, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৭৪ এবং ৭৮ ধারায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়।

  • Madhya Pradesh: ভারতমাতা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

    Madhya Pradesh: ভারতমাতা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতমাতা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা আসাদ খান জিলানি (Asad Khan Jilani)। তিনি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বিদিশা জেলার সিরোঁজের নেতা।

    কংগ্রেস নেতার আপত্তিকর মন্তব্য (Madhya Pradesh)

    আরএসএসের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে একটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করে কেন্দ্র। সেই মুদ্রায় ভারতমাতার প্রতীকী ছবি রয়েছে। ফেসবুকে স্মারকের সেই ছবি দিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন মধ্যপ্রদেশের ওই কংগ্রেস নেতা। ওই পোস্টে জিলানি লিখেছেন, “এই ডাইনিকে পিশাচরা পূজা করুক। যার হাতে তিরঙ্গা নেই, সে আমাদের ভারতমাতা নয়।” মন্তব্যটি দ্রুত ভাইরাল হয়। দেশজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা। অভিযোগ, তিনি জাতীয় প্রতীকের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-সহ একাধিক সংগঠন সিরোঁজ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তারা দেশদ্রোহ-সহ সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানায়। তাদের অভিযোগ, জিলানি আগেও অনলাইনে উত্তেজনামূলক মন্তব্য করেছেন। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় স্থানীয় প্রশাসন। গ্রেফতার করে জিলানিকে। শুরু হয়েছে তদন্ত। কংগ্রেস এখনও এই ঘটনায় আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি দেয়নি।

    জিলানির মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জনরোষ

    জিলানির “ভারতমাতা” সংক্রান্ত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জনরোষ ছড়িয়ে পড়ে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। রাস্তায় রাস্তায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা জিলানির কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। তাঁর ছবির ওপর পা দিয়ে স্লোগান দেন, “জয় শ্রী রাম”, “দেশদ্রোহীদের কঠোর শাস্তি চাই” (Madhya Pradesh)। এক্স হ্যান্ডেলে এক ইউজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ট্যাগ করে জিলানির তথাকথিত “বিরোধী-হিন্দু” পোস্টগুলির ইতিহাস তুলে ধরেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অবিলম্বে তাঁর গ্রেফতারির দাবিও জানানো হয়।

    সিরোঁজ পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ ধারায় জিলানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই ধারা ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার সঙ্গে সম্পর্কিত। বৃহস্পতিবার রাতে জিলানিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ (Asad Khan Jilani)। পরে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই নেতাকে সিরোঁজের রাস্তায় হাঁটানো হয়। জিলানিকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে কানে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। জিলানিকে বাধ্য করা হয় “ভারতমাতা কি জয়” স্লোগান দিতেও (Madhya Pradesh)।

  • Cough Syrup Row: কফ সিরাপ শিশুমৃত্যুকাণ্ডে মধ্যপ্রদেশে গ্রেফতার ডাক্তার

    Cough Syrup Row: কফ সিরাপ শিশুমৃত্যুকাণ্ডে মধ্যপ্রদেশে গ্রেফতার ডাক্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কফ সিরাপ (Cough Syrup Row) খেয়ে ১০ শিশুর মৃত্যুকাণ্ডে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) গ্রেফতার ডাক্তার। যে সব শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের অধিকাংশই ওই চিকিৎসকের লিখে দেওয়া ওষুধ খেয়েছিল। বিষাক্ত ওই ওষুধের নাম তিনিই লিখেছিলেন প্রেসক্রিপশনে।

    গ্রেফতার চিকিৎসক (Cough Syrup Row)

    মধ্যপ্রদেশের ওই চিকিৎসক প্রবীণ সোনির বিরুদ্ধে আগেই দায়ের হয়েছিল অভিযোগ। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এফআইআরে নাম রয়েছে স্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষেরও। এই সংস্থাই বিতর্কিত কোল্ডরিফ নামক কাশির সিরাপের প্রস্তুতকারক। একের পর এক শিশুমৃত্যুর পর মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ার পরাসিয়া কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারের ব্লক মেডিক্যাল অফিসার অঙ্কিত সহলাম চিকিৎসক সোনি এবং কফ সিরাপ প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।

    কোল্ডরিফ সিরাপে বিষাক্ত রাসায়নিক

    এদিকে, বিতর্কিত কোল্ডরিফ সিরাপটিকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল গবেষণাগারে। শুক্রবার মিলেছে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট। দেখা গিয়েছে, ওই সিরাপে রয়েছে ৪৮.৬ শতাংশ ডাই-ইথাইল গ্লাইকল। এটি একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, যা কিডনি বিকল করে দিতে পারে। ঘটতে পারে মৃত্যুও। মধ্যপ্রদেশের ১০ শিশুর ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার এ বিষয়ে বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। শনিবারই মধ্যপ্রদেশে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে কোল্ডরিফ। তবে এই বিতর্ক কেবল একটি রাজ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। তার আগে পদক্ষেপ করেছে রাজস্থান সরকারও। কেসন ফার্মা নামের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার সরবরাহ করা কাশির সিরাপ-সহ ১৯টি ওষুধ বিক্রি আপাতত স্থগিত রেখেছে, সে রাজ্যের সরকার। রাজস্থানে নিম্নমানের সিরাপ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই সিরাপ। অনেকেই এখনও অসুস্থ। ড্রাগ কন্ট্রোলার রাজারাম শর্মাকে সাসপেন্ড করেছে রাজস্থান সরকার। কোল্ডরিফ নিষিদ্ধ করেছে কেরল সরকারও। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানান, যে ব্যাচের সিরাপ খেয়ে অন্য দুই রাজ্যে ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তা কেরলে এখনও বিক্রি করা হয়নি। তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিরাপ (Cough Syrup Row) নিষিদ্ধ করা হল।

    অন্যদিকে, এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব ভিডিও কনফারেন্স করেন সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য সচিব এবং ড্রাগ কন্ট্রোলারের সঙ্গে। এই বৈঠকে তিনি কফ সিরাপের যথাযথ ব্যবহারের (Madhya Pradesh) ওপর জোর দেন। কফ সিরাপের মান যাতে ঠিক থাকে, নিশ্চিত করতে (Cough Syrup Row) বলেন তা-ও।

  • BSF Drone Commando: মধ্যপ্রদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বিএসএফের ড্রোন কমান্ডোদের প্রথম ব্যাচ, কমিশন নবরাত্রিতেই

    BSF Drone Commando: মধ্যপ্রদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বিএসএফের ড্রোন কমান্ডোদের প্রথম ব্যাচ, কমিশন নবরাত্রিতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রি, দুর্গাপুজো, দিওয়ালি, কালীপুজো উৎসবের মরসুমেও সতর্ক ভারতীয় সেনা। আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)-এর নতুন ড্রোন ওয়ারফেয়ার স্কুল (newly established Drone Warfare School) থেকে প্রথম ব্যাচের ৪৭ জন জওয়ান ড্রোন কমান্ডো হিসেবে প্রশিক্ষণ শেষ করে পাস আউট করবেন। মধ্যপ্রদেশের টেকানপুরে (Tekanpur, Madyapradesh) এখন তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (Border Security Force) ৪৭ জন কমান্ডো অফিসারের প্রশিক্ষণ চলছে সেখানে। এই প্রশিক্ষণ অবশ্য ভিন্ন ধরনের। কমান্ডোর ক্ষিপ্রতায় ড্রোন পরিচালনার কৌশল শেখানো হচ্ছে তাঁদের (Drone Commandos)।

    ড্রোন নিয়েই লড়বেন কমান্ডোরা

    বিএসএফের ওই অ্যাকাডেমির অতিরিক্ত ডিজি শামশের সিং জানিয়েছেন, শত্রুর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জওয়ান, অফিসারেরা রাইফেল, লাইট মেশিনগান ব্যবহার করে থাকেন। এবার থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ৪৭ কমান্ডো অফসার লড়াই করবেন ড্রোন নিয়ে। তাঁদের কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেওয়া আছে। লড়াইয়ের সময় ড্রোনকে তারা শত্রুর বিরুদ্ধে কমান্ডোর ক্ষিপ্রতায় ব্যবহার করবেন। তারই প্রশিক্ষণ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিএসএফ সূত্রে বলা হচ্ছে, ড্রোন কমান্ডার নিয়ে ভাবনাচিন্তার শুরু অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পর। ওই লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা হল, যুদ্ধের কৌশলে আমূল পরিবর্তন আনা দরকার। তাই বিমান বাহিনীর মতো সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেও ড্রোন লড়াইয়ের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ট্রেনিং সেন্টারে যে ৪৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে দুর্গাপুজো বা নবরাত্রির মধ্যে সীমান্তে তাঁদের মোতায়েন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) নবরাত্রির (Navaratri) একদিন সীমান্তে সেনা, সীমান্ত রক্ষীদের শিবিরে কাটান। বিএসএফের যে কোনও সীমান্ত পোস্টে তিনি ড্রোন কমান্ডোদের সঙ্গে মিলিত হতে পারেন।

    ড্রোন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক

    ইতিমধ্যেই জওয়ান এবং আধিকারিকদের জন্য ড্রোন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে বিএসএফ ৷ তার ফলে এখন থেকে বাহিনীর ২ লাখ ৭০ হাজার সদস্যকেই ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে হবে ৷ পাশাপাশি শত্রুদের দিক থেকে আসা ড্রোন কীভাবে প্রতিহত করতে হবে সেটাও শিখতে হবে তাঁদের ৷ অপারেশন সিঁদুরের পর বাহিনীর কর্তাদের মনে হয়েছে আধুনিক পৃথিবীতে সামরিক সংঘাতের গতি-প্রকৃতি যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে বিএসএফের জওয়ান থেকে শুরু করে সকলেরই ড্রোন সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকা আবশ্যক ৷ আর তাই মধ্যপ্রদেশে বাহিনীর যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেখানে ড্রোন সংক্রান্ত কৌশল শেখাতে একটি বিশেষ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে একমাত্র বিএসএফেরই নিজস্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে ৷

    ড্রোন প্রশিক্ষণের নানা পদ্ধতি

    নতুন ড্রোন যুদ্ধবিদ্যা স্কুলে জওয়ানদের ড্রোন ওড়ানো, নজরদারি, আক্রমণ এবং শত্রুপক্ষের ড্রোন প্রতিরোধের কৌশল শেখানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে সিনিয়র অফিসারদের জন্যও ড্রোন যুদ্ধকৌশল সংক্রান্ত একটি বিশেষ কোর্স চালু করা হবে। শামশের সিং বলেন, “অপারেশন সিন্দুর এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের শিখিয়েছে যুদ্ধ শুধু ট্যাঙ্ক আর রাইফেলের নয়, এখন এটি আকাশপথেও হচ্ছে। আমাদের জওয়ানরা যেমন মাত্র ১৫ সেকেন্ডে একটি ইনসাস রাইফেল খুলে আবার জোড়ার দক্ষতা রাখে, তেমনি আমরা চাই ড্রোনকেও তারা যেন তাদের ব্যক্তিগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।” এই স্কুলে দুটি মূল প্রোগ্রাম চালু হয়েছে— ‘ড্রোন কমান্ডো’ (জওয়ানদের জন্য) এবং ‘ড্রোন ওয়ারিয়র’ (অফিসারদের জন্য)। স্কুলটি তিনটি শাখায় বিভক্ত— ফ্লাইং অ্যান্ড পাইলটিং, ট্যাকটিক্স (প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ কৌশল) এবং গবেষণা ও উন্নয়ন। প্রশিক্ষণের বিষয়ে স্কুলের ট্রেনিং প্রধান ব্রিগেডিয়ার রুপিন্দর সিং জানান, কোর্সে ফ্লাইং, কারিগরি এবং কৌশলগত বিভিন্ন মডিউল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিএসএফ অ্যাকাডেমির আইজি উমেদ সিং জানান, সব প্রশিক্ষণ কোর্সেই এখন থেকে ড্রোন সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

  • Neha: অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস, নেহা আসলে বাংলাদেশি আবদুল!

    Neha: অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতি চক্রের পর্দা ফাঁস, নেহা আসলে বাংলাদেশি আবদুল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পরিচয় জালিয়াতির সংগঠিত চক্রের পর্দা ফাঁস করল মধ্যপ্রদেশের ভোপাল পুলিশ। তারা গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশি (Bangladeshi) নাগরিক আবদুল কালামকে। গত আট বছর ধরে সে নেহা (Neha) নামে রূপান্তরকামী নারী সেজে ভোপাল শহরে বসবাস করছিল। বছর দশেক বয়সে ভারতে অনুপ্রবেশ করে কালাম। দু’দশক মুম্বইয়ে কাটানোর পর চলে আসে ভোপালের বুধওয়ারা এলাকায়। অভিযোগ, সেখানে রূপান্তরকারী পরিচয় নিয়ে স্থানীয় রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠে সে। দালাদদের ধরে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে আধার কার্ড, রেশন কার্ড মায় পাসপোর্ট পর্যন্ত জোগাড় করে ফেলেছিল সে।

    আবদুলই নেহা (Neha)

    তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, আবদুল কেবল ভুয়ো পরিচয়পত্রই ব্যবহার করেনি, জাল পাসপোর্ট বানিয়ে সে বিদেশও ঘুরে এসেছে। বুধওয়ারা এলাকায় সে একাধিকবার বাসা বদল করেছে। স্থানীয়রা তাকে নেহা নামেই চেনেন। সে রূপান্তরকামী কিনা, তা জানতে চলছে শারীরিক পরীক্ষা। পুলিশ এও জেনেছে, আবদুল মহারাষ্ট্রেও রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এ থেকে স্পষ্ট, তার এই ছদ্মবেশ বড় কোনও চক্রের অংশ হতে পারে। রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের আর কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা অথবা সব জেনেও কেউ তাকে সাহায্য করেছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

    জাল পরিচয়পত্র

    জানা গিয়েছে, আবদুলকে (Neha) ভুয়ো পরিচয়পত্র জোগাড় করতে সাহায্য করেছে স্থানীয় দুই যুবক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র, এর নেপথ্যে রয়েছে অনুপ্রবেশ ও জাল নথিপত্র তৈরির বিস্তৃত চক্র। আবদুলের মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া কল রেকর্ড এবং চ্যাটগুলিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শালিনী দীক্ষিত বলেন, “সে গত ৮-১০ বছর ধরে ভোপালে বসবাস করছে। তার আগে সে ছিল মহারাষ্ট্রে। আমরা একটি সূত্র থেকে তথ্য পেয়ে তার পরিচয় যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করি। এই সময়ের মধ্যে সে বাংলাদেশেও গিয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি।”

    জানা গিয়েছে, প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে তার আগে এই পুরো (Bangladeshi) চক্রের বিস্তার এবং আবদুলের পুরানো কার্যকলাপ, বাংলাদেশে যাতায়াত এবং যোগাযোগ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে (Neha)।

  • Hanuman Chalisa: ব্রিটেনের পার্লামেন্টে হনুমান চালিশা পাঠ, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর সঙ্গে গলা মেলালেন সাংসদরাও

    Hanuman Chalisa: ব্রিটেনের পার্লামেন্টে হনুমান চালিশা পাঠ, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর সঙ্গে গলা মেলালেন সাংসদরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের মাটিতে সমবেত কণ্ঠে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠ করে ‘ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে’ নাম তুলেছিলেন মেহেন্দুপুর বালাজির মহন্ত নরেশপুরী মহারাজ। সেটা বছরদুয়েক আগের কথা। তবে সেটা ছিল ফ্রান্স। পরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে (UK Parliament) ‘ভারত গৌরব’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নরেশপুরী মহারাজ। সেখানেও তিনি গেয়েছিলেন হনুমান চালিশা। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছিলেন অনেকেই।

    ব্রিটেনের পার্লামেন্টে গীত হল হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa)

    এবার আরও একবার ব্রিটেনের পার্লামেন্টেই সমবেত কণ্ঠে গীত হল হনুমান চালিশা। এবার অবশ্য পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী। ইউরোপীয় দেশ সফরের সময় পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে পাঠ করা হল ভগবান হনুমানের স্তবগাথা। বাগেশ্বর ধামের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ‘বাগেশ্বর ধামবাবা নামে পরিচিত পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর উপস্থিতিতে ভক্তি সহকারে শ্লোক পাঠ করতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু লোক, সাংসদ এবং পার্লামেন্ট আধিকারিকদের।’ ভিডিওটি শেয়ার করার সময় বাগেশ্বর ধামের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়েছে, ‘লন্ডনের পার্লামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শ্রদ্ধেয় সরকারের পক্ষ থেকে শ্রী হনুমান চালিশা পাঠ…পার্লামেন্টে উপস্থিত সকল অতিথি ভক্তি সহকারে পাঠ করেছেন…”

    পাক হাইকমিশনের বাইরেও পাঠ হনুমান চালিশা

    চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে। তার প্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় পক্ষকাল পরে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস (Hanuman Chalisa) করতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত। তবে পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর প্রবাসী ভারতীয়রা পাক হাইকমিশনের বাইরে জড়ো হয়ে সমবেত কণ্ঠে পাঠ করেছিলেন হনুমান চালিশা। এবার ব্রিটিশ সাংসদদের হনুমান চালিশা পাঠ করিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছেন ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ। তবে তাঁর পোশাক এবং অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ও খবর হয়েছিলেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুরের এই তরুণ ঋষি স্টাইলিশ স্নানগ্লাস ও দামি জ্যাকেট পরা বিমানে চড়ে এমনকি ক্রুজ উপভোগ করার ছবি প্রকাশের পর অনলাইনে ব্যাপকভাবে ট্রোলড হয়েছিলেন।

    প্রসঙ্গত, ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী বাগেশ্বর ধাম সরকার নামেও পরিচিত (UK Parliament)। তাঁর পূর্বাশ্রমের নাম ছিল ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ গর্গ। বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় বক্তৃতা দিয়ে বেড়ান তিনি (Hanuman Chalisa)।

  • Madhya Pradesh: প্রেমের টোপে ধর্মান্তকরণ! লাভ জেহাদের সাজা এবার মৃত্যুদণ্ড, আইন আনছে মধ্যপ্রদেশ

    Madhya Pradesh: প্রেমের টোপে ধর্মান্তকরণ! লাভ জেহাদের সাজা এবার মৃত্যুদণ্ড, আইন আনছে মধ্যপ্রদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু জেল বা জরিমানা নয়, জোর করে ধর্মান্তকরণ বা লাভ জেহাদের শাস্তির বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিল মধ্যপ্রদেশের বিজেপি (Madhya Pradesh) সরকার। এই অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজা হতে চলেছে মৃত্যুদণ্ড! আগামী দিনে কড়া আইন এনে এটাকে নিশ্চিত করা হবে। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এমনটাই ঘোষণা করলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব (Mohan Yadav)।

    কী বললেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী?

    মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, ‘‘আমাদের নিষ্পাপ মেয়েদের প্রলোভন বা ভালোবাসার টোপ দিয়ে ধর্মান্তকরণের মতো অত্য়াচার চালালে বিজেপি সরকার তা মেনে নেবে না। অত্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য অত্যন্ত কঠোর আইমন রয়েছে। যারা জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করবে তাদের আমরা ছাড় দেব না। এই ধরনের লোকদের বাঁচতে দেওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধানের জন্য কাজ করছি।’’

    ধর্মান্তকরণ রুখতে অর্ডিন্যান্স পাশ করিয়েছিলেন শিবরাজ

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগেই মধ্যপ্রদেশে ধর্মান্তকরণ রুখতে একটি অর্ডিন্যান্স পাশ করিয়েছিল বিজেপি সরকার। তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান (Madhya Pradesh)। সেই অর্ডিন্যান্সে বলা হয়, কেউ জোর করে ধর্মান্তকরণ করেছে এটা প্রমাণ হলে, তার ১০ বছর পর্যন্ত জেলের সাজা হতে পারে। বিজেপি সরকার পুনরায় নির্বাচিত হয়ে এলে সেই অর্ডিন্যান্সটিকেই বিল আকারে পেশ করা হয়। পরে তা আইনে পরিণত করা হয়।

    বর্তমান আইনে কী রয়েছে?

    বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যে লাগু হয়েছে ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী আইন। লাভ জেহাদের (Madhya Pradesh) ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশে যে আইনে রয়েছে, সেখানে অবৈধ ধর্মান্তকরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং মোটা অঙ্কের জরিমানার বিধান রয়েছে। প্রতারণা, বিয়ের লোভ, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, হুমকি, বলপ্রয়োগ, প্রভাব খাটানোর মাধ্যমে ধর্মান্তকরণ করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এই আইনে। আইন অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির এধরনের বিবাহকে প্রথমেই বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে। ধর্ম গোপন করে বিবাহের ক্ষেত্রে, লঙ্ঘনকারীদের ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং ৫০,০০০ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। আইন অনুসারে ধর্মান্তরিত ব্যক্তির বাবা-মা, আইনি অভিভাবক বা ভাই বোনদের অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এবার এই আইনেই সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড আসতে চলেছে। এমনটাই আশ্বাস মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর (Mohan Yadav)।

  • Mhow Violence Case: “তোমাদের শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের ছিল”! মহো হিংসায় দায়ের এফআইআর

    Mhow Violence Case: “তোমাদের শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা আমাদের ছিল”! মহো হিংসায় দায়ের এফআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রীড়াপ্রেমীদের ওপর হিংসার ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। যাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে (Mhow Violence Case), তাদের মধ্যে রয়েছে তায়্যুব, বাবলু, গোলু, আহমেদ দরবারি, পাপ্পু, আজহার নূর, জামশাদ রেইন, আবদুল রশিদ কুরেশি ওরফে মালাও। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এই ধারাগুলি বেআইনি জমায়েত, দাঙ্গা, আঘাত করা এবং অপরাধমূলক ভয় দেখানোর মতো বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। এফআইআরে নাম রয়েছে আনিস, শেরু, লাল্লু, সৈয়দ নাজিম, ইমরান, আফজল, সোহেল, রফিক এবং আর একজন ইমরান সহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের (MP)।

    জয়ের আনন্দ উদযাপন করতে মিছিল (Mhow Violence Case)

    গত ৯ মার্চ, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ী হয় টিম ইন্ডিয়া। এর পরেই মধ্যপ্রদেশের মহোয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জয়ের আনন্দ উদযাপন করতে মিছিল বের করেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। মিছিল এলাকার একটি মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হিংসার ঘটনা ঘটে। মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যান মিছিলে থাকা ক্রীড়াপ্রেমীরা (Mhow Violence Case)। তাঁদেরই কয়েকজনের পড়ে থাকা বাইকে এবং বাসেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। হিন্দুদের কয়েকটি দোকানেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার জেরে দায়ের হয়েছে এফআইআর। অভিযোগকারীর মতে, মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য মিছিলে থাকা লোকজনের উদ্দেশে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করছিল।

    ‘আজ আমরা তোমাদের একটা শিক্ষা দেব’

    তারা বারবার চিৎকার করে বলছিল, “আমরা এ জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম। তোমরা চিৎকার করবে, আনন্দ করবে, আর আজ আমরা তোমাদের একটা শিক্ষা দেব।” মিছিলে থাকা লোকজন এর প্রতিবাদ করলে, মসজিদের সামনে জড়ো হওয়া লোকজন আগে থেকেই জোগাড় করে রাখা ইট-পাথর ছুড়তে থাকে মিছিল লক্ষ্য করে। ইটের ঘায়ে জখম হন মিছিলে থাকা বেশ কয়েকজন ক্রীড়াপ্রেমী। অভিযোগকারী স্বয়ং কাঁধে চোট পেয়েছেন। অভিযোগকারী বলেন, মসজিদের সামনে জড়ো হওয়া লোকগুলো বলছিল আজ তোমরা বেঁচে গেলে। কিন্তু এর পর আমাদের সামনে আর কখনও কোনও শোভাযাত্রা করলে তোমাদের একেবারে শেষ করে দেব।” ইন্দোরের (MP) পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার দ্বিবেদী বলেন, “গত রাতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ১৭ জনের নাম রয়েছে। আমরা ১২ জনকে হেফাজতে নিয়েছি (Mhow Violence Case)।”

LinkedIn
Share