Tag: Madhya Pradesh

Madhya Pradesh

  • Islamists Attack: এবার ক্রীড়াপ্রেমীদের মিছিলে হামলা মুসলমানদের, গাড়ি-দোকানদানিতে আগুন

    Islamists Attack: এবার ক্রীড়াপ্রেমীদের মিছিলে হামলা মুসলমানদের, গাড়ি-দোকানদানিতে আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম নবমীর মিছিলে হয়েছিল হামলা। এবার হামলা হল ভারতের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy) জয় উপলক্ষে আয়োজিত বিজয় মিছিলেও। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছর, তৃণমূল শাসিত বাংলায়। আর এবারের ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে। ফেরা যাক খবরে।

    মিছিল লক্ষ্য করে পাথর (Islamists Attack)

    আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ জয়ী হয় ভারত। সেই উপলক্ষে সোমবার মহোওয় একটি মিছিল করেন স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা। মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ক্রিকেট লাভার্সরাও। অভিযোগ, মিছিল যখন জামা মসজিদ এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল, তখন আচমকাই মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় (Islamists Attack)। এলোপাথাড়ি পাথর ছোড়ায় অল্পবিস্তর জখম হন কয়েকজন। এর পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে মিছিলে থাকা ক্রীড়াপ্রেমীরা। দুপক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে বাইক ফেলেই পালিয়ে যান মিছিলে থাকা লোকজন।

    ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

    তার পরেই হামলাকারীরা একতরফা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাতে থাকে। মিছিলে হামলাকারীরা কয়েকটি যানবাহন এবং হিন্দুদের দোকানেও আগুন লাগিয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মসজিদের কাছে থাকা লোকজনের হঠাৎ হামলায় হকচকিয়ে যান মিছিলে থাকা লোকজন। পরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তাঁরা। কিন্তু বস্তুত মুসলমানদের আক্রমণের সামনে সেই প্রতিরোধ ভেসে যায় খড়কুটোর মতো। প্রাণ বাঁচাতে দৌড় লাগান ক্রীড়াপ্রেমীরা। রে রে করে তাঁদের পেছনে ছুটে যায় হামলাকারীরা। পরে তারা অন্তত দুটি গাড়ি এবং দুটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়। গাড়ি এবং দোকানগুলি হিন্দুদের।

    স্থানীয়দের বক্তব্য

    ক্রীড়াপ্রেমীদের মিছিলে হামলার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহোওর এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, “র‍্যালিটি (Islamists Attack) শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। মিছিল যখন জামা মসজিদের কাছে পৌঁছায়, তখন একদল ইসলামপন্থী পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। ফলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মানুষ তাঁদের জীবন বাঁচানোর জন্য ছুটতে শুরু করেন। দুষ্কৃতীরা গাড়ি ও দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়।”

    বিশাল পুলিশ বাহিনী

    খবর পেয়ে দ্রুত ইন্দোর গ্রামীণ ও ইন্দোর শহর থেকে নিয়ে গিয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে দেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সঙ্গে সঙ্গেই দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ কর্মীদের সেখানে পাঠানো হয়। মহোও একটি সেনানিবাস শহর। সেখানে সেনা ইউনিটগুলিও সতর্ক ছিল। যদিও অল্পক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই আর অতিরিক্ত সামরিক বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন হয়নি। প্রসঙ্গত, ইন্দোর জেলা সদর থেকে মাত্র পঁচিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মহোও শহর। সোমবার সকালে এখানেই ঘটে হিংসার ঘটনা। দুবাইয়ে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের জয় উপলক্ষে একদল তরুণ ক্রিকেটপ্রেমী বিজয় সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। সেই উপলক্ষে প্রথমে হয় মিছিল। সেই মিছিলেই হামলা চালায় মসজিদ এলাকার লোকজন।

    কী বলছেন এসপি

    এ প্রসঙ্গে ইন্দোর গ্রামীণ সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (SP) হিতিকা বাসল বলেন, “দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা (Islamists Attack) সৃষ্টি হয়। যার ফলে পাথর নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। র‍্যালির সময় আতশবাজি সংক্রান্ত একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এই হিংসার ঘটনা শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনজন জখম হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা জনগণকে অনুরোধ করছি যেন কোনও ভুয়ো খবরে বিশ্বাস না করেন তাঁরা। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা এলাকায় টহল দিচ্ছি। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে (Champions Trophy)। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    ইন্দোর জেলার কালেক্টর আশিস সিং বলেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।” মানুষকে শান্ত থাকার ও গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। আশিস বলেন, “এলাকায় শান্তি ফিরে এসেছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। আমি নাগরিকদের ধৈর্য ধরতে ও ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাই। যারা এই হিংসার সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত শুরু হয়েছে।”

    পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি, গ্রামাঞ্চল) নিমিশ আগরওয়াল বলেন, “ঘটনার সঠিক ক্রম এবং দোষীদের (Islamists Attack) চিহ্নিত করার জন্য প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে।” তিনি বলেন, “টিম ইন্ডিয়ার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের উদযাপনের সময় সংঘর্ষ বাঁধে। এখন পরিস্থিতি স্থিতিশীল। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি আইন নিজেদের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য। আমাদের তদন্ত নিশ্চিত করবে যে হিংসার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী অন্তত চারজন জখম হয়েছেন। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে আরও বিস্তারিত তথ্য (Champions Trophy) প্রকাশ পাবে।”

  • Madhya Pradesh: শিবলিঙ্গ-সহ গোটা হিন্দু গ্রামের উপর দাবি জানাল ওয়াকফ বোর্ড! মধ্যপ্রদেশে জনরোষ

    Madhya Pradesh: শিবলিঙ্গ-সহ গোটা হিন্দু গ্রামের উপর দাবি জানাল ওয়াকফ বোর্ড! মধ্যপ্রদেশে জনরোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) রাইসেন জেলার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ মাখনি গ্রামে ওয়াকফ বোর্ড এক চমকপ্রদ দাবি তুলেছে। তারা দাবি করছে গ্রামের বাসস্থান, কৃষিজমি এবং এমনকি একটি শিবলিঙ্গের ওপরও তাদের অধিকার রয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডের এই দাবি গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সূত্রের খবর, ওয়াকফ বোর্ড সম্প্রতি গ্রামবাসীদের একটি নোটিশ দিয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে জমি তাদের অধীনে রয়েছে এবং তা তাদের মুক্ত করতে হবে।

    ওয়াকফ বোর্ডের কাছে কোনও প্রমাণ নেই (Waqf Board)

    ওয়াকফ বোর্ড দাবি করছে যে, মাখনি গ্রামে অবস্থিত ওই ৩ একর জমি একটি কবরস্থানের অংশ। তবে তাদের দাবি সমর্থনে কোনও শক্তিশালী প্রমাণ দেখানো হয়নি। প্রমাণের অভাব সত্ত্বেও, নোটিশে গ্রামবাসীদের বাড়ি, চাষের জমি, প্ল্যাটফর্ম এবং এমনকি শিবলিঙ্গেরও উল্লেখ করা হয়েছে। বোর্ড দাবি করেছে যে, গ্রামবাসীদের ওই জমি ছাড়তে হবে। যা গ্রামবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ ও রোষের সৃষ্টি করেছে। গ্রামবাসীদের সম্পত্তির পাশাপাশি, বোর্ড একইভাবে রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন জমির ওপরও দাবি জানিয়েছে। বোর্ডের দাবি অনুযায়ী, গ্রামটি একসময় কাদির খান নামে এক ব্যক্তির মালিকানায় ছিল। যিনি ওই জমিটি ওয়াকফে দান করেছিলেন। তবে স্থানীয়রা এই দাবি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে এবং তারা জানাচ্ছে যে, কখনও এমন কোনও ব্যক্তি ওই গ্রামে বাস করেননি।

    ওয়াকফ বোর্ডের নানা জমি নিয়ে বিতর্ক (Waqf Board)

    মাখনি গ্রামে (Madhya Pradesh) বহু পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বসবাস করছে। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা তাদের জমি ছাড়বে না। ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। বিশেষত, শিবলিঙ্গের ওপর এই দাবি গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। তারা বোর্ডের কার্যকলাপকে অধিকতর হস্তক্ষেপ এবং বেআইনি দখল বলে অভিযোগ করছে। রাইসেনের এই বিতর্ক এমন সময় সামনে এসেছে, যখন ভারত সরকার ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে কাজ করছে, যা ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা এবং সম্পত্তি দাবির বিষয়গুলো সমাধান করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত। এই বিলটি ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সালে রাজ্যসভায় উত্থাপন করা হয়। দেশজুড়ে ওয়াকফ বোর্ডের অস্বাভাবিক প্রভাব ও সম্পত্তি দাবি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে বোর্ড গত কয়েক বছরে মন্দির, হিন্দুদের মালিকানাধীন জমি এবং সরকারি জমির ওপর দাবি তুলেছে।

  • PM Modi: নিজে হাতে খাওয়ালেন সিংহ শাবকদের, বিশ্বের সর্ববৃহৎ পশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্বোধন মোদির

    PM Modi: নিজে হাতে খাওয়ালেন সিংহ শাবকদের, বিশ্বের সর্ববৃহৎ পশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটে গড়ে ওঠা বিশ্বের সর্ববৃহৎ পশু উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের জামনগরে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের ‘বনতারা’ উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জিও প্ল্যাটফর্মের ডিরেক্টর অন বোর্ড অনন্ত আম্বানিকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুরো বনতারা ঘুরে দেখেন। শীল মাছ থেকে গোল্ডেন টাইগার, স্নো লেপার্ড এবং সার্কাস থেকে উদ্ধার করা চারটি স্নো টাইগারের সঙ্গে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি শিম্পাঞ্জি, ওরাং ওটানের সঙ্গে সময় কাটান মোদি। এদিন প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে একটি এশিয়াটিক সিংহ শাবক, একটি শ্বেতসিংহ শাবক, একটি ক্লাউডেড লেপার্ড শাবক এবং একটি কারাকাল শাবককে নিজে হাতে খাওয়ান। এক পর একটি জিরাফ ও একটি একশৃঙ্গ গন্ডারের শাবককেও খাওয়ান।

    বনতারায় দেড় লক্ষের বেশি প্রাণী রয়েছে (PM Modi)

    গুজরাটের জামনগরে রিফাইনারি কমপ্লেক্সের রিলায়েন্স গ্রিন বেল্টে ৩,০০০ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত এই বনতারা বর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ পশু উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। প্রায় দেড় লক্ষের বেশি উদ্ধার হওয়া, বিপন্ন বন্যপ্রাণীর বাস এই বনতারা-য়। ২ হাজারের বেশি প্রজাতির প্রাণী রয়েছে এখানে। বন্যপ্রাণীদের যত্নে প্রতিনিয়ত অগ্রগতি অর্জন করে চলেছে, হাতির জন্য একটি খোলা অভয়ারণ্য থেকে শুরু করে পাঁচটি চিতা শাবকের জন্মও হয়েছে এখানে। ভারত এবং বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে উদ্ধার করা আহত এবং বিপন্ন পশু-পাখিদের চিকিৎসা, যত্ন এবং পুনর্বাসনের দায়িত্ব পালন করা হয় বনতারায়। এই কেন্দ্রে একটি উন্নতমানের পশু হাসপাতাল রয়েছে। এই কেন্দ্রে এমন প্রাণী রয়েছে, যা বিশ্বে খুবই বিরল। যেমন দুমুখো সাপ, দুমুখো কচ্ছপ, টেপির, শিল মাছ, বিশাল ভোঁদড় এবং বঙ্গো হরিণ।

    বিদেশ থেকে আসছে আরও চিতা, রাখা হবে মধ্যপ্রদেশের গান্ধীসাগর অভয়ারণ্যে ও গুজরাটের বান্নি তৃণভূমিতে

    মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানের পর এ বার ভারতে নতুন দু’টি ঘর পেতে চলেছে আফ্রিকা থেকে আমদানি করা চিতা (Cheetah)। মধ্যপ্রদেশের গান্ধীসাগর অভয়ারণ্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) রাজ্য গুজরাটের বান্নি তৃণভূমিতেও রাখা হবে তাদের। সোমবারই প্রধানমন্ত্রী হাজির ছিলেন গুজরাটের শাসনগিরে জাতীয় বন্যপ্রাণ পর্ষদ (এনবিডব্লিউএল)-এর বৈঠকে। সেখানেই হয় এই সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত, এশীয় সিংহের এক মাত্র প্রাকৃতিক আবাসস্থল গির জাতীয় উদ্যান লাগোয়া শাসনগিরে। এনবিডব্লিউএলের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) নিজেই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। তবে আফ্রিকা থেকে কতগুলি চিতা এনে ওই দুই সংরক্ষিত এলাকায় ছাড়া হবে, সে বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। ওই বৈঠকে গুজরাটে সিংহ সংরক্ষণের জন্য ৩০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

  • Saif Ali Khan: ১৫ হাজার কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা! চ্যালেঞ্জের মুখে সইফ

    Saif Ali Khan: ১৫ হাজার কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা! চ্যালেঞ্জের মুখে সইফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনেতা সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) ১৫ হাজার কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা! মূলত, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল এবং রাইসেনে অবস্থিত পতৌদি পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি আইন, ১৯৬৮-এর অধীনে বাজেয়াপ্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট তাদের ওপর জারি করা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর এই আশঙ্কা আরও বাড়ছে।

    হাইকোর্টের কী বক্তব্য? (Saif Ali Khan)

    ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর যাঁরা পাকিস্তানে পাড়ি দিয়েছিলেন, তাঁদের রেখে যাওয়া সম্পত্তি (Ancestral Property) ভারত সরকার “শত্রু সম্পত্তি” হিসেবে ঘোষণা করে। ভোপালে সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) পৈতৃক সম্পত্তির একটি অংশ এই আইন অনুযায়ী শত্রু সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সাইফের ঠাকুমা সাজিদা সুলতানের বড় বোন আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ২০১৫ সালে সইফ আলি খানের সম্পত্তি নিয়ে শুরু হওয়া মামলায় সম্প্রতি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০১৯ সালে আদালত সইফের ঠাকুমা সাজিদা সুলতানকে সম্পত্তির আইনি উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও আবিদা সুলতানের পাকিস্তানে চলে যাওয়ার কারণে তাঁর অংশের জমি শত্রু সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ফলে, তাঁর অংশের সম্পত্তি এই আইনের আওতায় পড়ে। গত বছরের ডিসেম্বরে বিচারপতি বিবেক আগরওয়ালের বেঞ্চ সইফের আবেদন খারিজ করে দেয় এবং তাঁকে আপিল করার জন্য ৩০ দিনের সময় দেয়। তবে এখনও পর্যন্ত সইফ বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    সইফের পৈতৃক সম্পত্তি

    ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, নূর-উস-সাবাহ প্যালেস, দার-উস-সালাম, হাবিবি কা বাংলো, আহমেদাবাদ প্যালেস এবং কোহেফিজা এলাকা। সইফ (Saif Ali Khan) তাঁর শৈশব কাটিয়েছেন ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউসে। এসব সম্পত্তির মধ্যে কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের রায় সইফের পক্ষে যায়নি। তাঁর পরিবার এখনও ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করার সুযোগ পেতে পারে। তবে, বিষয়টি দ্রুত না মেটালে কেন্দ্রীয় সরকার এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের পরিবার থেকে আসা সইফ আলি খান একদিকে যেমন বলিউডে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন, তেমনই তাঁর রাজকীয় ঐতিহ্য ও পৈতৃক সম্পত্তি সবসময় আলোচনায় থেকেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhopal Gas Tragedy: অবশেষে মুক্তি! গ্যাস দুর্ঘটনার ৪০ বছর পর বিষাক্ত বর্জ্য সরল ভোপাল থেকে

    Bhopal Gas Tragedy: অবশেষে মুক্তি! গ্যাস দুর্ঘটনার ৪০ বছর পর বিষাক্ত বর্জ্য সরল ভোপাল থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যাস দুর্ঘটনার ৪০ বছর পর ভোপাল (Bhopal Gas Tragedy) থেকে পুরোপুরি সরল বিষাক্ত বর্জ্য। বুধবার রাতে মোট ৩৩৭ টন রাসায়নিক বর্জ্য ভোপাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভোপাল থেকে প্রায় ২৫০ কিমি দূরে ইন্দোরের কাছে পিথমপুরে একটি জায়গায় সেই বর্জ্যকে নষ্ট করে ফেলার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। ১২টি ‘লিক প্রুফ’ এবং আগুন ধরবে না এমন কন্টেনারে এই বর্জ্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কন্টেনারে কমপক্ষে ৩০ টন বর্জ্য রয়েছে।

    কীভাবে সরানো হল বর্জ্য

    ভোপাল গ্য়াস দুর্ঘটনা (Bhopal Gas Tragedy) ঘটেছিল ইউনিয়ন কার্বাইডের কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক করে। এরপরে কারখানা বন্ধ হয়ে গেলেও, সেখানে রয়ে গিয়েছিল ৩৩৭ মেট্রিক টন বিষাক্ত বর্জ্য। চার দশক পর ভোপাল থেকে সেই বর্জ্য সরানো হল। ওই বিষাক্ত বর্জ্য ২৫০ কিলোমিটার পথ গ্রিন করিডর করে নিয়ে যাওয়া হয় পিথমপুরে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা এলাকা। বিষাক্ত বর্জ্যের কন্টেনারের সঙ্গে সঙ্গে ছুটছিল পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকলের গাড়ি। যাতে কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়া না হয়, তার জন্য বিশালাকার এইচডিপিই ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়া হয় বর্জ্য। বিষাক্ত বর্জ্য সরানোর আগে ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানার ২০০ মিটার চত্বরও সম্পূর্ণ সিল করে দেওয়া হয়। ১০০ শ্রমিক এই বর্জ্য সরানোর কাজ করেছেন। তাঁদের সকলের ৩০ মিনিট করেই শিফট করতে হয়েছে সুরক্ষার জন্য। কারণ ওই কেমিক্যালের কাছে ৩০ মিনিটের বেশি থাকা অত্যন্ত বিপজ্জনক। 

    নিরাপদেই পোড়ানো হবে বর্জ্য

    ভোপালের (Bhopal Gas Tragedy) ওই কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশের পিথমপুরে। মধ্যপ্রদেশের বর্জ্য নিষ্কাশন কেন্দ্রটি একমাত্র অত্যাধুনিক প্ল্যান্ট। মাটি থেকে ২৫ ফুট উপরে নির্মিত একটি বিশেষ কাঠের প্লাটফর্মে বর্জ্য পোড়ানো হবে কঠোর বৈজ্ঞানিক প্রোটোকল মেনে। প্রতি ঘণ্টায় যদি ৯০ কেজি বর্জ্য পোড়ানো হয়, তবে সময় লাগবে ১৫৩ দিন। সর্বোচ্চ হারে যদি ঘণ্টায় ২৭০ কেজি বর্জ্য পোড়ানো, সেক্ষেত্রে ইউনিয়ন কার্বাইডের সেই বর্জ্য ৫১ দিনে পোড়ানো সম্ভব। পোড়ানোর সময় নির্গত ধোঁয়া নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদিও প্রশাসন বলছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নিরাপদভাবেই তা পোড়ানো হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kumbh Mela 2028: শিপ্রা নদীর পথঘাট নির্মাণে ৭৭১ কোটি টাকার অনুমোদন, কুম্ভ মেলা ২০২৮-এর প্রস্তুতি মধ্যপ্রদেশে

    Kumbh Mela 2028: শিপ্রা নদীর পথঘাট নির্মাণে ৭৭১ কোটি টাকার অনুমোদন, কুম্ভ মেলা ২০২৮-এর প্রস্তুতি মধ্যপ্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল ২০২৮ সালের সিংহস্থ কুম্ভ মেলার প্রস্তুতি। এই মেলা উপলক্ষে উজ্জয়িনীতে শিপ্রা নদীর তীরে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ৭৭১ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। এই প্রকল্পের মধ্যে ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি পথ এবং একাধিক নতুন ঘাটের নির্মাণ করা হবে। কুম্ভ মেলার সময় বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই ২৯ কিলোমিটার পথটি শনি মন্দির থেকে নাগদা বাইপাস পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, যা শিপ্রা নদীর ডান তীরে নির্মিত হবে। রাজ্য নগর উন্নয়ন মন্ত্রী কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। 

    মধ্যপ্রদেশ সরকারের নয়া ভাবনা

    সিংহস্থ কুম্ভ মেলা প্রতি ১২ বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয়। উজ্জয়িনীতে শেষ কুম্ভ মেলা ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীটি ২০২৮ সালে অনুষ্ঠিত হবে। মেলাটি হিন্দিতে সিংহস্থ মেলা নামেও পরিচিত, কারণ এটি বৃহস্পতি গ্রহের সিংহ রাশিতে প্রবেশের উদযাপন হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। ২০২৮ সালে এই মেলায় প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি দর্শনার্থী উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত হিসেবে পরিগণিত হবে। এই বিশাল জনস্রোতকে সামাল দেওয়ার জন্য নতুন ঘাট নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যেখানে ১৩টি আখড়ার সাধুদের জন্য বিশেষ সুবিধা থাকবে। এই ঘাটগুলো শুধুমাত্র স্নান করার জন্য নয়, বরং বিভিন্ন আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ডের জন্যও ব্যবহৃত হবে।

    পথ-ঘাট নির্মাণ

    শিপ্রা নদীর তীরবর্তী পথ ও ঘাট ছাড়াও, রাজ্য সরকার উজ্জয়িনী শহরের অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের দিকেও মনোযোগ দিয়েছে। সম্প্রতি, ইন্দোর এবং উজ্জয়িনীর মধ্যে একটি চার লেনের হাইওয়ে নির্মাণের জন্য ২,৩১২ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১,৩৭০ কোটি টাকার ইন্দোর-উজ্জয়িনী গ্রিনফিল্ড রোড এবং ২৩৯ কোটি টাকার ইন্দোর-দেপালপুর রোড। 

    আরও পড়ুন: দিল্লিতেই হবে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের স্মৃতিসৌধ, জানাল মোদি সরকার

    মেট্রো রটের পরিকল্পনা

    এই উন্নয়ন শুধুমাত্র সড়ক অবকাঠামোতেই সীমাবদ্ধ নয়; সাধু এবং দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে নতুন আশ্রম এবং ধর্মশালা নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে। এসব আশ্রম ও ধর্মশালা মেলা চলাকালীন যাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা ও আধ্যাত্মিক চর্চার জন্য ব্যবহার করা হবে। উজ্জয়িনী এবং ইন্দোরের মধ্যে মেট্রো রুটের পরিকল্পনাও চলছে, যা কুম্ভ মেলার সময় দর্শনার্থীদের যাতায়াতকে আরও সহজ ও দ্রুততর করবে। সিংহস্থ কুম্ভ মেলা শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি মধ্যপ্রদেশের জন্য একটি সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • The Sabarmati Report: মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে কর মুক্ত ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’, একই পথে গোয়াও

    The Sabarmati Report: মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে কর মুক্ত ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’, একই পথে গোয়াও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসার পরই উত্তরপ্রদেশ করমুক্ত হল ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’। এর আগে ছবিটি মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানার সরকার করমুক্ত করেছে। ছবি দেখার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবির (The Sabarmati Report) প্রশংসা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘এই ছবির মাধ্যমেই সত্যি উন্মোচিত হয়েছে। খুব ভালো।’’

    উত্তরপ্রদেশে করমুক্ত ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ (The Sabarmati Report)

    বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে এই ছবিটির স্পেশাল স্ক্রিনিং হয়। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছবির (The Sabarmati Report) অন্যতম অভিনেতা বিক্রান্ত মাসে- সহ অন্যান্য কলাকুশলী। সেই অনুষ্ঠানেই সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীদের সঙ্গে দেখা করে ছবিটি করমুক্ত করার কথা ঘোষণা করেন যোগী আদিত্যনাথ। ২০০২ সালের গোধরা কাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ সিনেমা। ছবির প্রশংসা করে রবিবার মোদি এক্স হ্যান্ডলে লিখেছিলেন, ‘‘ভুয়ো তথ্য কিংবা অপপ্রচারের আয়ু বেশি দিন হয় না। সত্যিটা সবসময় সামনে বেরিয়ে আসে।’’ এই প্রথম নয় যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোনও ছবির প্রশংসা করলেন। এর আগে ২০২২ সালে তিনি বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’-এর প্রশংসা করেছিলেন এবং ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-এর কথাও উল্লেখ করেছিলেন।

    বিক্রান্ত মাসে কী বললেন?

    প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ছবির প্রযোজক একতা কাপুর। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনি আমাদের সাহস জুগিয়েছেন। আমরা যে-সঠিক পথেই যাচ্ছি, আপনার প্রশংসাই তার প্রমাণ।’ ছবিটি (The Sabarmati Report) নিয়ে যে বিতর্ক হবে, তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। তবে তার জন্য মুখ্য অভিনেতাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হবে, সেটা কেউ ভাবতে পারেননি। অভিনেতা বিক্রান্ত মাসে এএনআইকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, ‘‘আদিত্যনাথজিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ম এবং আমি সবাইকে এই ছবিটি দেখার জন্য অনুরোধ করছি।’’

    সিনেমা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী

    অন্যদিকে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী অরুণ সাও-এর সঙ্গে ২১ নভেম্বর রায়পুরে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ সিনেমাটি দেখেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই। মন্ত্রী পরিষদের সহকর্মী, বিজেপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পরিবারের সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আর ছবির প্রযোজক ও শিল্পী নিয়ে ছবিটি (The Sabarmati Report) দেখেছেন তাঁরা। এই ছবিতে খোলামেলা সত্য দেখানোর সাহসী প্রচেষ্টা অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং চিত্তাকর্ষক। এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই ছবিটির প্রশংসা করে বলেছেন, “এটি একটি ভালো সিনেমা। আমরা সকলেই দেখলাম। গোধরা ঘটনার সত্যতা দেশ ও গোটা বিশ্ববাসী জানবে।”

    কর মুক্ত করার ভাবনা গোয়া সরকারের

    এমনিতেই দেশের একাধিক রাজ্য এই সিনেমাটি কর মুক্ত ঘোষণা করে দিয়েছে। অনেকে আবার সেই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে, দেশজুড়ে এই সিনেমাটিকে (The Sabarmati Report)  নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা কাজ করছে। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তও ছবিটির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এটিকে গোয়ায় করমুক্ত করার কথা চিন্তাভাবনা করেছেন। তিনি বলেন, “এই সিনেমাটি দেখার পর, আমি এটিকে গোয়ায় করমুক্ত করার কথা ভাবছি। আমরা কয়েক দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব।” ফলে, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়ের পর এবার গোয়া সরকারও সেই পথে হাঁটছে। সিনেমাটির সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রমোদ সাওয়ান্ত আরও বলেন, “আজ, আমি আমার দলের রাজ্য সভাপতি এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে সবরমতি রিপোর্ট দেখেছি। সেই সময় এই ঘটনায় গোটা গুজরাট উত্তাল হয়ে উঠেছিল। দেশবাসীর কাছে সমস্ত বিযয়টি জানার খুব প্রয়োজন ছিল। খুব কম ফিল্মমেকারই বাস্তব ঘটনার ওপর ফোকাস করেন। এই ছবিটি একটি সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। আমি প্রযোজক এবং অভিনেতাদের তাদের প্রশংসনীয় কাজের জন্য অভিনন্দন জানাই।”

    সিনেমা দেখলেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব

    দেশের একাধিক রাজ্যে প্রশংসিত হয়েছে ‘দ্য সবরমতী রিপোর্ট’ সিনেমা। বৃহস্পতিবার বাংলার বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এই সিনেমাটি (The Sabarmati Report) দেখেন। প্রত্যেকে সিনেমাটি প্রশংসা করেছেন। সেদিনের প্রকৃত ঘটনা দেশবাসী জানতে পারবেন বলে বঙ্গ বিজেপির নেতারা মনে করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ayushman Cards:  আয়ুষ্মান কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন ৫ লাখেরও বেশি সত্তরোর্ধ্ব নাগরিক

    Ayushman Cards: আয়ুষ্মান কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন ৫ লাখেরও বেশি সত্তরোর্ধ্ব নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মানুষ যাতে বিনা পয়সায় চিকিৎসার সুযোগ পেতে পারেন, সেই জন্য আয়ুষ্মান ভারত যোজনা প্রকল্প (Ayushman Cards) চালু করে মোদি সরকার। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে সত্তরোর্ধ্ব ব্যক্তিদের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় আনার কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অর্থনৈতিক অবস্থা যাই হোক না কেন, দেশের যে সমস্ত নাগরিক ৭০ বছরের বেশি বয়স্ক, তাঁরা সকলেই এই প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে ৫ লাখ টাকার চিকিৎসার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই সত্তরোর্ধ্ব ৫ লাখেরও বেশি প্রবীণ নাগরিক আয়ুষ্মান কার্ডের জন্য নিবন্ধন করেছেন।

    কোথায় কত আবেদন

    অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের স্বাস্থ্যবিমা প্রদান করার উদ্দেশেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রকল্পের (Ayushman Cards) সম্প্রসারণ করা হয়। সরকার জানিয়েছিল যে ৭০ বছর বা তার বেশি বয়সি সকল প্রবীণ নাগরিক, তাদের আর্থিক অবস্থা নির্বিশেষে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। দেশের প্রায় ৬ কোটি প্রবীণ নাগরিক এবং প্রায় ৪.৫ কোটি পরিবার এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবেন। জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই,আয়ুষ্মান ভায়া বন্ধনা কার্ডের জন্য মোট ৫,১২,৫৯৮ আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে ৪,৬৪,৫৪১ টি আবেদন অনুমোদিত হয়েছে, ৪৭,৯১৬ টি আবেদন এখনও বিচারাধীন এবং ১৪১ টি আবেদন বাতিল হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে, যেখানে ১.৬৬ লাখ আবেদন গৃহীত হয়েছে, দ্বিতীয় স্থানে কেরল (১.২৮ লাখ), তৃতীয় স্থানে উত্তরপ্রদেশ (৬৯,০৪৪) এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে গুজরাট (২৫,৪৯১)।

    আরও পড়ুন: ‘দিল্লি এখন গ্যাস চেম্বার’, আপ সরকারকে আক্রমণ বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালার

    প্রকল্পের সুবিধা

    সরকারি সূত্রে খবর, কেন্দ্র সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে তথ্য, শিক্ষা ও যোগাযোগ (IEC) উপকরণ ভাগাভাগি করেছে। সরকারের আশা, আরও অনেক প্রবীণ নাগরিক এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করবেন।” বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতীয় প্রবীণ জনগণের সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই আবহে ভবিষ্যতে বয়স্কদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বিপুল চাহিদা তৈরি হবে। তাই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প খুবই উপকারী বলে মনে করছে সরকার। যে কোনও যোগ্য আবেদনকারী আয়ুষ্মান ভারত প্রবীণ নাগরিক স্কিমের জন্য www.beneficiary.nha.gov.in ওয়েবসাইট বা আয়ুষ্মান অ্যাপ ব্যবহার করে আবেদন করতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bandhavgarh Elephant Deaths: বিষপ্রয়োগের তত্ত্ব খারিজ! বাজরার ছত্রাক থেকেই ১০ হাতির মৃত্যু বান্ধবগড়ে

    Bandhavgarh Elephant Deaths: বিষপ্রয়োগের তত্ত্ব খারিজ! বাজরার ছত্রাক থেকেই ১০ হাতির মৃত্যু বান্ধবগড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ প্রয়োগ নয়, বাজরার ছত্রাকের বিষক্রিয়ায় সম্প্রতি প্রাণ গিয়েছে বান্ধবগড়ের ১০টি হাতির (Bandhavgarh Elephant Deaths)। এমনই উঠে এসেছে বরেলির ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃত হাতিগুলিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিষ খাওয়ানো হয়নি। ছত্রাক সংক্রামিত কোদো বাজরা খেয়েই ওই হাতিগুলির মৃত্যু হয়েছে। ময়ানাতদন্তে হাতিগুলির পেটে মাত্রাতিরিক্ত বাজরা মিলেছে।

    বাজরায় জন্ম নেওয়া ছত্রাক থেকেই বিষক্রিয়া

    সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় (Bandhavgarh Elephant Deaths) জাতীয় উদ্যানে একের পর এক হাতির মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে ১০টি হাতির মৃত্যু হয়। হাতি মৃত্যুর কারণ প্রসঙ্গে অনেকে বলছিলেন, বিষ খাইয়ে মারা হয়েছে ওই হাতিদের। সাসপেন্ড করা হয়েছিল বন দফতরের দুই আধিকারিককেও। সেই আবহেই এ বার টক্সিকোলজি রিপোর্ট জানিয়ে দিল, ‘ইচ্ছাকৃত’ বিষপ্রয়োগে নয়, বরং কোদো বাজরায় জন্ম নেওয়া ছত্রাক থেকেই বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে হাতিগুলির। বরেলির ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিষাক্ত সাইক্লোপিয়াজোনিক অ্যাসিড, যা কোদো বাজরার বীজে থাকা অন্যতম প্রধান মাইক্রোটক্সিনগুলির মধ্যে একটি, তা মৃত হাতিদের পেটে মেলে। সেই থেকেই বিষক্রিয়া ছড়ায়।

    আরও পড়ুন: ফের নিম্নচাপ সাগরে! মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, এখনই কমছে না তাপমাত্রা

    হাতি মৃত্যু নিয়ে তদন্ত

    ইতিমধ্যেই এই ঘটনার (Bandhavgarh Elephant Deaths) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের বনমন্ত্রী রামনিবাস রাওয়াত। দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে ১০টি হাতির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করে মধ্যপ্রদেশ সরকার। সেই মতো দিল্লি থেকে বিশেষজ্ঞ দল বান্ধবগড়ে পৌঁছয়। ১৪ জন পশুচিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় ময়নাতদন্ত। প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে হাতিগুলির। মৃত হাতিগুলির সকলেরই পেটে প্রচুর পরিমাণে বাজরা পাওয়া গিয়েছিল। গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে বান্ধবগড় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের কোর খিটৌলি এলাকায় জঙ্গলে চারটি হাতির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বন দফতরের কর্মীরা। আশপাশের জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে আরও পাঁচটি হাতিকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদেরও মৃত্যু হয়। শুক্রবার মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় আরও একটি হাতিকে। বন দফতর সূত্রে খবর, দলে মোট ১৩টি হাতি ছিল। তার মধ্যে তিনটি হাতি চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই তিনটি হাতি আপাতত সুস্থ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Railway: ফের নাশকতা? দিল্লি-হাওড়া রেল লাইনে উদ্ধার গ্যাস সিলিন্ডার, মধ্যপ্রদেশে উদ্ধার ডিটোনেটর!   

    Indian Railway: ফের নাশকতা? দিল্লি-হাওড়া রেল লাইনে উদ্ধার গ্যাস সিলিন্ডার, মধ্যপ্রদেশে উদ্ধার ডিটোনেটর!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কানপুরে দিল্লি-হাওড়া রেল লাইনে (Indian Railway) উদ্ধার হয়েছে ফের গ্যাস সিলিন্ডার। অল্পের জন্য বড় রকমের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে তৃতীয়বার গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার হল। আবার কাশ্মীর থেকে কর্ণাটকে যাচ্ছিল আর্মি স্পেশাল ট্রেন। ট্রেনে ছিলেন সেনা জওয়ানরা। মধ্যপ্রদেশের নেপানগরের কাছে রেললাইনে বিস্ফোরণ হয়। শব্দ শুনে চালক ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেন। তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় ডিটোনেটর। দুটি ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    রেল লাইনে আড়াআড়িভাবে রাখা ছিল গ্যাস সিলিন্ডার (Indian Railway)

    উত্তরপ্রদেশের কানপুরের কাছে প্রেমপুরে দিল্লি-হাওড়া রেল লাইনে আড়াআড়িভাবে রাখা ছিল গ্যাসের সিলিন্ডার। এক্সপ্রেস ট্রেন (Indian Railway) যাওয়ার জন্য ফ্রেট ট্রেনকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু লোকো পাইলটের নজরে আসতেই বড় বিপত্তি থেকে রক্ষা মিলেছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্টেশন মাস্টার এবং কন্ট্রোল রুমে খবর দিয়েছেন। সামান্যর জন্য বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে ছুটে যায় জিআরপি। সাময়িকভাবে রেল চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টম্বর কালিন্দি এক্সপ্রেসে একই ঘটনা ঘটেছিল। আবার শনিবার গুজরাটের সুরাটে কিম রেল স্টেশনের কাছে রেল লাইন থেকে ফিসপ্লেট ও কি খুলে নেওয়া হয় সচেতনভাবে। কিন্তু আধিকারিকদের তৎপরতায় বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছিল।

    সাগফাটা স্টেশনে ডিটোনেটর উদ্ধার

    মধ্যপ্রদেশের নেপানগরের কাছে সাগফাটা স্টেশনে (Indian Railway) ডিটোনেটর উদ্ধার হলে এনআইএ এবং সন্ত্রাস দমন শাখা এসটিএফ উপস্থিত হয়। তদন্ত করে দেখা গিয়েছে আরডিএক্স ছিল না। তবে ফগ ডিটোনেটর ছিল। রেল লাইন থেকে মোট ১০টি ডিটোনেটর উদ্ধার হয়। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া এই বিস্ফোরক দুষ্কৃতীরা রেখেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ডেপুটি পুলিশ সুপার, নেপানগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং রেলের শীর্ষকর্তারা। তবে কোথা থেকে এই বিস্ফোরক এল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ কলকাতায় হবে সেমি-কন্ডাক্টর প্ল্যান্ট, বাইডেনের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা মোদির

    ১৫ বার ট্রেন লাইনচ্যুত

    গত অগাস্ট মাস থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৮ বার ট্রেন (Indian Railway) লাইনচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের প্রচেষ্টা করা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, এই ১৮ বারের মধ্যে শুধু অগাস্টে ১৫ বার ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিন বার চেষ্টা করা হয়েছে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই। সম্প্রতি ভারতীয় রেলের উপর বড়সড় ষড়যন্ত্রের ছক কষা হচ্ছে। সামজিক মাধ্যমে দেশের নানা প্রান্তে একাধিক রেললাইনে পাথর, লোহা, গাছ, গ্যাসের সিলিন্ডার রেখে নাশকতামূলক ষড়যন্ত্রের কথা প্রাকশিত হয়েছে। শনিবার একটি উড়ো চিঠিতে উত্তর-পূর্ব রেল পরিকাঠামোকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। যদিও রেল প্রশাসন নাশকতামূলক ষড়যন্ত্র নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। স্টেশনগুলিতে করা হয়েছে অতিরিক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share