Tag: Madhya Pradesh

Madhya Pradesh

  • Bandhavgarh Elephant Deaths: বিষপ্রয়োগের তত্ত্ব খারিজ! বাজরার ছত্রাক থেকেই ১০ হাতির মৃত্যু বান্ধবগড়ে

    Bandhavgarh Elephant Deaths: বিষপ্রয়োগের তত্ত্ব খারিজ! বাজরার ছত্রাক থেকেই ১০ হাতির মৃত্যু বান্ধবগড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিষ প্রয়োগ নয়, বাজরার ছত্রাকের বিষক্রিয়ায় সম্প্রতি প্রাণ গিয়েছে বান্ধবগড়ের ১০টি হাতির (Bandhavgarh Elephant Deaths)। এমনই উঠে এসেছে বরেলির ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্টে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃত হাতিগুলিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিষ খাওয়ানো হয়নি। ছত্রাক সংক্রামিত কোদো বাজরা খেয়েই ওই হাতিগুলির মৃত্যু হয়েছে। ময়ানাতদন্তে হাতিগুলির পেটে মাত্রাতিরিক্ত বাজরা মিলেছে।

    বাজরায় জন্ম নেওয়া ছত্রাক থেকেই বিষক্রিয়া

    সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় (Bandhavgarh Elephant Deaths) জাতীয় উদ্যানে একের পর এক হাতির মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে ১০টি হাতির মৃত্যু হয়। হাতি মৃত্যুর কারণ প্রসঙ্গে অনেকে বলছিলেন, বিষ খাইয়ে মারা হয়েছে ওই হাতিদের। সাসপেন্ড করা হয়েছিল বন দফতরের দুই আধিকারিককেও। সেই আবহেই এ বার টক্সিকোলজি রিপোর্ট জানিয়ে দিল, ‘ইচ্ছাকৃত’ বিষপ্রয়োগে নয়, বরং কোদো বাজরায় জন্ম নেওয়া ছত্রাক থেকেই বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে হাতিগুলির। বরেলির ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিষাক্ত সাইক্লোপিয়াজোনিক অ্যাসিড, যা কোদো বাজরার বীজে থাকা অন্যতম প্রধান মাইক্রোটক্সিনগুলির মধ্যে একটি, তা মৃত হাতিদের পেটে মেলে। সেই থেকেই বিষক্রিয়া ছড়ায়।

    আরও পড়ুন: ফের নিম্নচাপ সাগরে! মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা, এখনই কমছে না তাপমাত্রা

    হাতি মৃত্যু নিয়ে তদন্ত

    ইতিমধ্যেই এই ঘটনার (Bandhavgarh Elephant Deaths) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের বনমন্ত্রী রামনিবাস রাওয়াত। দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে ১০টি হাতির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করে মধ্যপ্রদেশ সরকার। সেই মতো দিল্লি থেকে বিশেষজ্ঞ দল বান্ধবগড়ে পৌঁছয়। ১৪ জন পশুচিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় ময়নাতদন্ত। প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে হাতিগুলির। মৃত হাতিগুলির সকলেরই পেটে প্রচুর পরিমাণে বাজরা পাওয়া গিয়েছিল। গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে বান্ধবগড় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের কোর খিটৌলি এলাকায় জঙ্গলে চারটি হাতির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন বন দফতরের কর্মীরা। আশপাশের জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে আরও পাঁচটি হাতিকে অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাদেরও মৃত্যু হয়। শুক্রবার মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় আরও একটি হাতিকে। বন দফতর সূত্রে খবর, দলে মোট ১৩টি হাতি ছিল। তার মধ্যে তিনটি হাতি চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই তিনটি হাতি আপাতত সুস্থ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Railway: ফের নাশকতা? দিল্লি-হাওড়া রেল লাইনে উদ্ধার গ্যাস সিলিন্ডার, মধ্যপ্রদেশে উদ্ধার ডিটোনেটর!   

    Indian Railway: ফের নাশকতা? দিল্লি-হাওড়া রেল লাইনে উদ্ধার গ্যাস সিলিন্ডার, মধ্যপ্রদেশে উদ্ধার ডিটোনেটর!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কানপুরে দিল্লি-হাওড়া রেল লাইনে (Indian Railway) উদ্ধার হয়েছে ফের গ্যাস সিলিন্ডার। অল্পের জন্য বড় রকমের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে তৃতীয়বার গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার হল। আবার কাশ্মীর থেকে কর্ণাটকে যাচ্ছিল আর্মি স্পেশাল ট্রেন। ট্রেনে ছিলেন সেনা জওয়ানরা। মধ্যপ্রদেশের নেপানগরের কাছে রেললাইনে বিস্ফোরণ হয়। শব্দ শুনে চালক ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেন। তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় ডিটোনেটর। দুটি ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    রেল লাইনে আড়াআড়িভাবে রাখা ছিল গ্যাস সিলিন্ডার (Indian Railway)

    উত্তরপ্রদেশের কানপুরের কাছে প্রেমপুরে দিল্লি-হাওড়া রেল লাইনে আড়াআড়িভাবে রাখা ছিল গ্যাসের সিলিন্ডার। এক্সপ্রেস ট্রেন (Indian Railway) যাওয়ার জন্য ফ্রেট ট্রেনকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু লোকো পাইলটের নজরে আসতেই বড় বিপত্তি থেকে রক্ষা মিলেছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্টেশন মাস্টার এবং কন্ট্রোল রুমে খবর দিয়েছেন। সামান্যর জন্য বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে ছুটে যায় জিআরপি। সাময়িকভাবে রেল চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টম্বর কালিন্দি এক্সপ্রেসে একই ঘটনা ঘটেছিল। আবার শনিবার গুজরাটের সুরাটে কিম রেল স্টেশনের কাছে রেল লাইন থেকে ফিসপ্লেট ও কি খুলে নেওয়া হয় সচেতনভাবে। কিন্তু আধিকারিকদের তৎপরতায় বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছিল।

    সাগফাটা স্টেশনে ডিটোনেটর উদ্ধার

    মধ্যপ্রদেশের নেপানগরের কাছে সাগফাটা স্টেশনে (Indian Railway) ডিটোনেটর উদ্ধার হলে এনআইএ এবং সন্ত্রাস দমন শাখা এসটিএফ উপস্থিত হয়। তদন্ত করে দেখা গিয়েছে আরডিএক্স ছিল না। তবে ফগ ডিটোনেটর ছিল। রেল লাইন থেকে মোট ১০টি ডিটোনেটর উদ্ধার হয়। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া এই বিস্ফোরক দুষ্কৃতীরা রেখেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ডেপুটি পুলিশ সুপার, নেপানগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক এবং রেলের শীর্ষকর্তারা। তবে কোথা থেকে এই বিস্ফোরক এল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ কলকাতায় হবে সেমি-কন্ডাক্টর প্ল্যান্ট, বাইডেনের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা মোদির

    ১৫ বার ট্রেন লাইনচ্যুত

    গত অগাস্ট মাস থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১৮ বার ট্রেন (Indian Railway) লাইনচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের প্রচেষ্টা করা হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, এই ১৮ বারের মধ্যে শুধু অগাস্টে ১৫ বার ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিন বার চেষ্টা করা হয়েছে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই। সম্প্রতি ভারতীয় রেলের উপর বড়সড় ষড়যন্ত্রের ছক কষা হচ্ছে। সামজিক মাধ্যমে দেশের নানা প্রান্তে একাধিক রেললাইনে পাথর, লোহা, গাছ, গ্যাসের সিলিন্ডার রেখে নাশকতামূলক ষড়যন্ত্রের কথা প্রাকশিত হয়েছে। শনিবার একটি উড়ো চিঠিতে উত্তর-পূর্ব রেল পরিকাঠামোকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। যদিও রেল প্রশাসন নাশকতামূলক ষড়যন্ত্র নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। স্টেশনগুলিতে করা হয়েছে অতিরিক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশে ইদ-ই-মিলাদের মিছিল থেকে ছড়াল হিংসা, উড়ল প্যালেস্তাইনের পতাকা

    Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশে ইদ-ই-মিলাদের মিছিল থেকে ছড়াল হিংসা, উড়ল প্যালেস্তাইনের পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) ইসলামপন্থীদের মিছিলকে কেন্দ্র করে হিংসা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ায়। হামলা হয় বেশ কতগুলি হিন্দু মন্দিরে ও বাড়িতে। পুলিশ এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামপন্থীরা শেওপুর, বালাঘাট, মন্দসৌর, মান্ডলা এবং রাতলাম জেলায় মিছিল করেছে এবং প্রতিটি স্থানেই সাম্প্রদায়িক (Eid e Milad) অস্থিরতা বা উস্কানির মতো ঘটনা ঘটেছে।

    হিন্দু বাড়িগুলিতে তারা আতশবাজি ছোড়া হয় (Madhya Pradesh) 

    ইদ-ই-মিলাদ মিছিল মধ্যপ্রদেশের শেওপুরের সীতারাম মন্দিরের সামনে দিয়ে যখন যাচ্ছিল তখনই ইসলামপন্থীরা উস্কানিমূলক স্লোগান দিতে শুরু করে। এর পাশাপাশি হিন্দু বাড়িগুলিতে তারা আতশবাজি ছুড়তে থাকে। মান্ডলায় ইসলামপন্থীরা (Madhya Pradesh) প্যালেস্তাইনের পতাকাও ওড়াতে থাকে বলে অভিযোগ। মান্ডলার পুলিশ সুপার রজত সাকলেচা জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ফারদিন নামে এক যুবককে প্যালেস্তাইনের পতাকা ওড়ানোর জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। একই অভিযোগে অপর এক অভিযুক্ত যুবককে (Eid e Milad) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মন্দসৌরে ইসলামপন্থীদের মিছিল যখন প্রভু বালাজি মন্দিরের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল তখনই তারা উস্কানিমূলক স্লোগান দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি তারা মন্দিরে পাথরও ছুড়তে থাকে। পাথরের আঘাতে মন্দিরের একজন পুরোহিত গুরুতর আহত হন।

    বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে (Madhya Pradesh)

    এই সমস্ত ঘটনাগুলির বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। মধ্যপ্রদেশের রাতলাম ও বালাঘাট থেকেও ইসলামপন্থীরা প্যালেস্তাইনের পতাকা উড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সাকিব নামে এক ব্যক্তিকে এই ঘটনার জন্য গ্রেফতার করেছে বালাঘাট থানার পুলিশ। রাজগড়ের পুলিশ সুপার আদিত্য মিশ্র জানান, ইদ-ই-মিলাদ মিছিল থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Board: ‘‘গোটা ভারতকেই ওয়াকফ সম্পত্তি করে ফেলুন’’, আইনজীবীকে কটাক্ষ বিচারপতির

    Waqf Board: ‘‘গোটা ভারতকেই ওয়াকফ সম্পত্তি করে ফেলুন’’, আইনজীবীকে কটাক্ষ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় বৃহস্পতিবারই পেশ করা হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল। কিন্তু এরই মধ্যে ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) বিরুদ্ধে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার একটি আবেদনের শুনানি চলাকালীন মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের (Madhya Pradesh High Court) বিচারপতির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। ওই ভিডিওতে বিচারপতি এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীকে কটাক্ষ করে বলছেন, ”পুরে ভারত কো ওয়াকফ সম্পত্তি বানা দো” অর্থাৎ ”গোটা ভারতকেই ওয়াকফ সম্পত্তি করে ফেলুন।” একইসঙ্গে ওই আইনজীবীকে বিচারপতি এদিন প্রশ্ন করেছিলেন যে, কীভাবে একটি বিজ্ঞপ্তি সরকারের সংরক্ষিত সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে বৈধতা দিতে পারে? এছাড়াও ভাইরাল ওই ভিডিওতে বিরক্ত বিচারককে বলতে শোনা যায়, ”তাজ মহলকেও ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করুন, আপনাকে কে বাধা দিচ্ছে!” 

    আগে কী ঘটেছিল? 

    উল্লেখ্য, ১১ বছর আগে ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board) ২০১৩ সালের জুলাই মাসে মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরে শাহ সুজা এবং নাদির শাহের সমাধির মালিকানা দাবি করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সে সময় ওয়াকফ বোর্ডের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সেই মামলারই শুনানির সময়, বিচারপতি আইনজীবীকে প্রশ্ন করেছিলেন, কিসের ভিত্তিতে সরকারের প্রাচীন সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে দাবি করা হচ্ছে? যার জবাবে আইনজীবী বলেন, ”এটি একটি বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে দাবি করা হয়েছে।”   

    আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে কেন্দ্রকে সমর্থন এনডিএ জোট সঙ্গীদের, কী বলল তারা?

    ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য 

    আইনজীবীর এই উত্তর শুনেই বিচারপতি ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা বলেন, ”আমার শুধু একটা প্রশ্ন আছে… আগামিকাল যদি আগরওয়ালজির (যে কোনও একজন ব্যক্তি) সম্পত্তির ওপর বিজ্ঞপ্তি বের হয়, তাহলে সেটাও কি ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা করা হবে? তাহলে তো এবার ওয়াকফ বোর্ড (Waqf Board) যে কোনও সরকারি অফিসকে তার সম্পত্তি হিসাবে ঘোষণা করতে পারে!..”  

    এরপর মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট বুরহানপরের ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভগুলির উপর ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) সমস্ত দাবিকে বাতিল করেছে এবং ১৯০৪ সালে তৈরি প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভগুলিকে আইনের অধীনে সুরক্ষিত সম্পত্তি হিসাবে ঘোষণা করেছে৷ এছাড়াও আদালতের (Madhya Pradesh High Court) তরফে জানানো হয়েছে, ১৯৮৯ সালে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি, আইনি অনুমতি ছাড়াই কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে বৈধতা দিতে পারবে না৷ 
       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Illegal Madrasa: মধ্যপ্রদেশের বেআইনি মাদ্রাসায় ছাত্রীদের বাধ্য হয়ে শুতে হচ্ছে খোলা বারান্দায়

    Illegal Madrasa: মধ্যপ্রদেশের বেআইনি মাদ্রাসায় ছাত্রীদের বাধ্য হয়ে শুতে হচ্ছে খোলা বারান্দায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মধ্যপ্রদেশ স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস’-এর পরিদর্শনে সে রাজ্যের একটি বেআইনি মাদ্রাসায় (Illegal Madrasa) বেহাল অবস্থা দেখা গেল। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) রতলাম জেলায় অবস্থিত এই মাদ্রাসা এখনও নির্মীয়মাণ এবং সেখানকারই খোলা মাদ্রাসার মেঝেতে থাকছে ছাত্রীরা। রাতে সেখানেই শুতে হচ্ছে তাদের। জানা গিয়েছে, ওই মাদ্রাসার নাম দারুল উলুম আয়েশা সিদ্দীকি লিলবানাত। এই মাদ্রাসার বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও অপর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার। ছাত্রীদের মৌলিক অধিকারও হুমকির মুখে পড়েছে এই মাদ্রাসায়।

    ৩০-৩৫ জন মেয়ে থাকছে একই ঘরে

    প্রসঙ্গত এই মাদ্রাসাতে (Illegal Madrasa) হঠাৎই সারপ্রাইজ ভিজিট করে ‘মধ্যপ্রদেশ স্টেট কমিশন ফর প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস’-এর আধিকারিকরা এবং সেখানেই তাঁরা দেখতে পান যে মাদ্রাসার সুযোগ-সুবিধা একেবারেই অপর্যাপ্ত। এই পরিদর্শনেই নজরে আসে ৩০ থেকে ৩৫ জন মেয়ে যাদের বয়স ৫-১৫ বছরের মধ্যে, তাদের প্রত্যেককে একটি মাত্র ঘরে রাখা হয়েছে। এই ঘরে না আছে পর্যাপ্ত বিছানা, না আছে কোনও ব্যবস্থা, না আছে অন্য কোনও সুযোগ সুবিধা। অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে যে মেয়েদের একেবারে ঠান্ডা মেঝেতেও শুতে হচ্ছে। এদেরই মধ্যে দেখা যায় একজন মেয়েকে, যে কিনা জ্বরে আক্রান্ত, তাকে ওই ঠান্ডা মেঝেতে শুতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে যে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (Illegal Madrasa) এমন অবস্থা কেন?

    মাদ্রাসার সঙ্গে সংযোগ রয়েছে জামিয়া ইসলামিয়া ইস্তাতুল উলুম আক্কালকুয়া, নামের একটি সংগঠনের

    ‘মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চিল্ড্রেন রাইটসে’র একজন সদস্য নিবেদিতা শর্মা এ বিষয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এই পরিস্থিতি দেখে তিনি আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন। তিনি এর জবাবদিহি চান মাদ্রাসা প্রশাসনের কাছে। তাঁদেরকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন যে তাঁরা কেন মেয়েদেরকে এই অবস্থায় ছেড়ে দিলেন। তবে নিবেদিতা শর্মার এই প্রশ্নের জবাবে কোনওরকম সদুত্তর দিতে পারেনি মাদ্রাসার প্রশাসন। তারা আরও বলতে পারেনি যে কেন এই অবস্থা বা কেন এমন অপর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা! জানা গিয়েছে, এই মাদ্রাসাটিতে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল একশোরও বেশি মুসলিম মেয়েদের বসতি হয়ে উঠেছে। আরও তথ্য সামনে এসেছে এই মাদ্রাসাতে কোনও রকমের স্বীকৃতি দেয়নি মধ্যপ্রদেশ সরকার। এই মাদ্রাসার সঙ্গে সংযোগ রয়েছে জামিয়া ইসলামিয়া ইস্তাতুল উলুম আক্কালকুয়া, নামের একটি সংগঠনের যা মহারাষ্ট্রে অবস্থিত।

    বিদেশি ফান্ডিং-এর অভিযোগ সামনে এসেছে (Illegal Madrasa) 

    এর পাশাপাশি ওই মাদ্রাসার আর্থিক লেনদেনও স্পষ্ট নয় বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন তথ্য যা উঠে আসছে তাতে জানা গিয়েছে, এই মাদ্রাসা বিদেশি ফান্ডিং-এ চলে, যা মাদ্রাসার প্রশাসন লুকোতে চাইছে। জানা গিয়েছে, এই মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থায় দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। চাইল্ড রাইটস কমিশনের সদস্যা ডঃ শর্মা আরও লক্ষ্য করেন যে এই মাদ্রাসায় আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা কোনভাবেই পাচ্ছেনা পড়ুয়ারা। এখানে কঠোরভাবে মেনে চলা হচ্ছে শরিয়া আইনকে, ঠিক যেমনটা তালিবান অধ্যুষিত আফগানিস্তানে মেনে চলা হয়।

    মানা হচ্ছেনা সংবিধানের ২১ (এ) ধারা

    এর পাশাপাশি ভারতের সংবিধানে থাকা মৌলিক অধিকার, শিক্ষার অধিকার যা ২১ (এ) ধারায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, সেই অধিকারকেও মানা হচ্ছে না বলে মনে করছেন চাইল্ড রাইট কমিশনের সদস্যরা। কারণ সংবিধানের এই ধারা অনুযায়ী ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষাদানের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর কোনওটাই না মেনে মাদ্রাসার প্রশাসন ইসলামিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে জোর করে চাপিয়ে দিতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মধ্যপ্রদেশের ওই জেলার জেলার শিক্ষা আধিকারিক কৃষ্ণচন্দ্র শর্মা এবং মাদ্রাসা প্রশাসনের প্রধান ইনামুর শেখকে এই বিষয়ে মতামত চাওয়ার জন্য ‘দ্য অর্গানাইজার’ পত্রিকা ফোন করলেও তাঁরা ফোন তোলেন নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Madhya Pradesh: ছাত্রদের সংস্কৃত ‘শ্লোক’ পাঠে বাধা! প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

    Madhya Pradesh: ছাত্রদের সংস্কৃত ‘শ্লোক’ পাঠে বাধা! প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংস্কৃত নয়, পড়ুয়াদের বলতে হবে ইংরেজি। এমনটাই চেয়েছিলেন প্রধান শিক্ষিকা। কিন্তু এই আচরণ মোটেও ভালোভাবে নেননি হিন্দুরা। স্কুলের সামনে প্রতিবাদ শুরু করেন তাঁরা। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গুনা জেলার জনপ্রিয় এক কনভেন্ট স্কুলেই এমন কাণ্ড ঘটেছে। ঘটনার পরেই হিন্দুত্ববাদীদের রোষের মুখে পড়েছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (FIR Against Principal)  

    জানা গিয়েছে, গত ১৫ জুলাই মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এই স্কুলের প্রার্থনায় ইংরেজির বদলে সংস্কৃতে শ্লোক পাঠ করছিল এক পড়ুয়া। ঠিক সেই সময় তাঁকে থামিয়ে ইংরেজিতে বলার নির্দেশ দেন কনভেন্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। আসলে অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও স্কুল শুরুর আগে প্রার্থনার জন্য জড়ো হন সকলে। দুজন পড়ুয়ার দায়িত্ব ছিল প্রার্থনা শুরুর আগে বক্তৃতা রাখার। আর সেখানেই এক পড়ুয়া গীতার শ্লোক আওড়াতে শুরু করেন। ইংরেজির বদলে সংস্কৃত শুনেই ওই পড়ুয়াকে থামার নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষিকা। সবার সামনে তাঁর মাইক কেড়ে নিয়ে বলেন, এখানে স্রেফ ইংরেজি বলার নিয়ম রয়েছে। এমনকি ওই পড়ুয়াকে ঠিকমতো ইংরেজি স্পিচ শিখে আসার নির্দেশও দেন। 

    আরও পড়ুন: বক্স অফিসে নয়া রেকর্ড! ২৮ দিনে ১ হাজার ১০০ কোটি ছুঁল প্রভাসের ‘কল্কি’

    প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর (Madhya Pradesh) 

    আর এরপরেই ওই শিক্ষিকার এই আচরণের খবরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয় হিন্দুবাদী সংগঠন এভিবিপির (Akhil Bharatiya Vidyarthi Parishad-ABVP) সদস্যরা। এইভাবে সংস্কৃতে গীতাপাঠ থামিয়ে দেওয়ার কথা জানতে পেরে দীর্ঘক্ষণ গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখান সংগঠনের সদস্যরা। এমনকি জোর করে স্কুলের ভিতরেও ঢুকে পড়েন কেউ কেউ। প্রধান শিক্ষিকাকে সবার সামনে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলেন সংগঠনের সদস্যরা। নিয়মের বদল না হলে, স্কুল বন্ধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। এরপর প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ (FIR Against Principal) দায়ের করেছেন ওই হিন্দুত্ববাদীরা।

    যদিও এ প্রসঙ্গে শিক্ষিকা জানিয়েছেন, স্কুলে সপ্তাহের এক এক দিনে এক একটি ভাষায় বক্তৃতা রাখার নিয়ম। কোনওদিন হিন্দি আবার কোনওদিন ইংরেজিতে বক্তব্য রাখতে হয় পড়ুয়াদের। তার জন্য নির্দিষ্টভাবে বেছে নেওয়া হয় কয়েকজনকে। বক্ততৃতায় কোনও ধর্মগ্রন্থের উদ্ধৃতি নেওয়া যাবে না, এমন নিয়মও নেই। বরং প্রার্থনার সময় গীতা, কোরান, কিংবা বাইবেলের অংশও পাঠ করতে পারেন পড়ুয়ারা। শুধু খেয়াল রাখতে হবে কোনদিন কোন ভাষায় প্রার্থনার নিয়ম। ঘটনার দিন ইংরেজির কথা বলার দায়িত্ব ছিল ওই পড়ুয়ার। তার বদলে সংস্কৃত পাঠ শুরু করায় তাঁকে থামিয়ে দেন প্রধান শিক্ষিকা। একইসঙ্গে তিনি জানান, একটুও বকাবকি না করে সেদিন ওই পড়ুয়াকে ইংরেজিতে বক্তৃতা রাখার কথা বলেছিলেন তিনি। তবে পড়ুয়ার প্রস্তুতি না থাকায়, সময় দিয়ে প্রস্তুত হয়ে আসতে বলেন। তবে সেই ঘটনা যে এমন আকার নিতে পারে, তা ধারণা করতে পারেননি প্রধান শিক্ষিকা। 
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhya Pradesh: স্ত্রী ও বাবা-মায়ের মধ্যে আর্থিক সাহায্যের সমান ভাগ, ‘নেক্সট টু কিন’ প্রকল্পে বড় ঘোষণা মধ্যপ্রদেশে

    Madhya Pradesh: স্ত্রী ও বাবা-মায়ের মধ্যে আর্থিক সাহায্যের সমান ভাগ, ‘নেক্সট টু কিন’ প্রকল্পে বড় ঘোষণা মধ্যপ্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী এবং বাবা-মায়ের মধ্যে আর্থিক সাহায্যের সমান ভাগের কথা জানিয়ে ‘নেক্সট টু কিন’ বিতর্কের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) সরকার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাকর্মী অংশুমান সিং-এর মরণোত্তর সম্মান ‘কীর্তি চক্র’ নিয়ে তাঁর বাবা-মা দাবি করেছিলেন, এই সম্মাননা নিয়ে পুত্রবধূ বাড়ি থেকে চলে গিয়েছেন। একই ভাবে ‘নেক্সট অফ কিন’ নীতি বদলের কথাও তুলেছেন তাঁরা। ঠিক এমন অবস্থায় মধ্যপ্রদেশের মোহন যাদবের সরকার ঘোষণা করেছেন, কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও পুলিশকর্মীর মৃত্যু হলে আর্থিক সহায়তা তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বাবা-মাকেও দেওয়া হবে। রাজ্যের পুলিশ বিভাগে এই নির্দেশ কার্যকর হবে।

    ‘নেক্সট অফ কিন’ প্রকল্পে সরকারের ঘোষণা (Madhya Pradesh)

    মধ্যপ্রদেশের বীরগতি প্রাপ্ত জওয়ান অংশুমানের বাবা-মা ‘নেটক্স অফ কিন’ প্রকল্পে বদলের দাবি করেছিলেন। মাত্র কয়েক দিনের মাথায় মধ্যপ্রদেশ সরকার এই নির্দেশিকা জারি করেছে। এই প্রকল্পে বলা হয়েছে, কোনও পুলিশকর্মী যদি কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হয়, তাহলে পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এই আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ ১ কোটি টাকা। এতদিন পর্যন্ত পুলিশ কর্মী বিবাহিতা হলে এই আর্থিক সাহায্যের সম্পূর্ণ টাকা পেতেন কেবলমাত্র তাঁর স্ত্রী। কিন্তু এবার থেকে নতুন ঘোষণায় স্ত্রী এবং বাবা-মায়ের মধ্যে সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। বাবা-মা পাবেন ৫০ লাখ এবং স্ত্রী পাবেন ৫০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে বিশেষ সম্মান পেলে তার উপরও অধিকার থাকবে বাবা-মায়ের।

    আরও পড়ুনঃ নিট প্রশ্ন ফাঁসের ‘মাস্টারমাইন্ড’ শশী সহ আরও দুই ‘সলভার’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে

    নমিনির নিয়মে পুনর্বিবেচনা করুক

    মাত্র কয়েকদিন আগেই ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং-এর (Madhya Pradesh) কীর্তি সম্মান নিয়ে ব্যাপক ভাবে চর্চা হয়েছিল। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সিয়াচিনের এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধার করতে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন তিনি। উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে নিজে নিহত হয়েছিলেন। এরপর এই বছর ৫ জুলাই তাঁর এই কাজের সম্মানে ‘কীর্তি চক্র’ প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই সম্মান গ্রহণ করতে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছিলেন অংশুমানের স্ত্রী স্মৃতি এবং মা মঞ্জু। এরপর এই সম্মান পুরস্কার নিজের বাবার বাড়ি নিয়ে চলে যান স্মৃতি। পাল্টা সরব হন অংশুমানের বাবা-মা। বাবা প্রতাপ সিং বলেছেন, “আমরা চাই সরকার নমিনির নিয়মে পুনর্বিবেচনা করুক। অভিভাবকদের যাতে কষ্ট করতে না হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhya Pradesh: আয়কর দিতে হবে মন্ত্রীদেরই, বড় সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রদেশ সরকারের

    Madhya Pradesh: আয়কর দিতে হবে মন্ত্রীদেরই, বড় সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রদেশ সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয় করেন মন্ত্রীরা। আর আয়কর দেয় সরকার। এতদিন এটাই দস্তুর ছিল মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। তবে ১৯৭২ সালের এই আইন বাতিল করতে চলেছে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যিনি আয় করবেন, ট্যাক্সের বোঝাও বইতে হবে তাঁকেই। মঙ্গলবার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বেতন ও ভাতা বাবদ যে অর্থ মন্ত্রীরা রোজগার করবেন, তার ওপর আয়কর দিতে হবে তাঁদেরই।

    কী বললেন বিজয়বর্গীয়? (Madhya Pradesh)

    আরবান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মন্ত্রী বিজেপির কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, “মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এই পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে এই করগুলি রাজ্য সরকারের দেওয়ার বদলে মন্ত্রীদেরই উচিত তাঁদের বেতন ও ভাতার ওপর আয়কর দেওয়া। রাজ্যকে এই কর দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার নিয়মটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা (Madhya Pradesh)।”

    মধ্যপ্রদেশ মিনিস্টার অ্যাক্ট

    মধ্যপ্রদেশ মিনিস্টার অ্যাক্টের ৯ কে ধারা অনুযায়ী, ‘কোনও মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদীয় সচিবের ওপর তাঁদের প্রদেয় সমস্ত ভাতার জন্য একটি সাজানো গোছানো সুবিধার জন্য কোনও আয়কর ধার্য করা হবে না। ভাড়া দিতে হবে না এই শর্তেই বাসস্থান দেওয়া হয়েছে। এবং এই আইনের অধীনে তাঁরা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাবেন। একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদীয় সচিব কর্তৃক প্রদেয় সর্বোচ্চ হারে কর প্রদান করবে রাজ্য সরকার।’

    আর পড়ুন: ফের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ! এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি

    এই আইনের বিলোপ ঘটলে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ, বলছেন আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, মন্ত্রীদের আয়কর বাবদ যে টাকা সরকারকে দিতে হয়, তা বাঁচলে উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও জনসেবাগুলির জন্য আরও বেশি করে অর্থ বরাদ্দ করা যাবে। মধ্যপ্রদেশ সরকারের এক আধিকারিক বলেন, “মন্ত্রীরা আয়কর প্রদান করে একজন দায়িত্ববান নাগরিকের কর্তব্যের সংস্কৃতি গড়ে তুলবেন। যা সরকারের স্বচ্ছতার সঙ্গে মেলে। এটি রাজ্যের বাজেট থেকে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও হ্রাস করবে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে আরও বেশি করে অর্থ বরাদ্দ করা সম্ভব হবে।” তিনি বলেন, “বর্তমানে রাজ্য আর্থিক বোঝার মধ্যে রয়েছে।”

    ২০১৯ সালে পথ দেখিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। ২০২২ সালের একই পথে হাঁটে হিমাচলপ্রদেশের মন্ত্রিসভাও। এবার এই দুই রাজ্যের পদাঙ্ক অনুসরণ করল পদ্ম-শাসিত মধ্যপ্রদেশও (Madhya Pradesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Madhya Pradesh: ফ্রিজে গোমাংস, মধ্যপ্রদেশে চলল বুলডোজার অ্যাকশন

    Madhya Pradesh: ফ্রিজে গোমাংস, মধ্যপ্রদেশে চলল বুলডোজার অ্যাকশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোমাংস পাচারের অভিযোগে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) ১১ টি বাড়িতে চলল বুলডোজার অ্যাকশন। মধ্যপ্রদেশের সরকারি জমিতে তৈরি ১১ টি বাড়ির ডিপ ফ্রিজে গো-মাংস পাওয়া যায়। মধ্যপ্রদেশে গরু নিধন শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং গো-মাংসের কারবার বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে।

    >

    ১৫০ টি গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ (Madhya Pradesh)

    জানা গিয়েছে পুলিশ গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) মন্ডলার ভানিওয়াহি এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশের কাছে খবর ছিল ওই এলাকায় জবাই করার জন্য গরু (Cow Meat Smuggling) নিয়ে আসা হয়েছে। বাড়ির পিছনের উঠোন থেকে বাঁধা অবস্থায় প্রচুর গরু উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর অন্তত ১৫০ টি গরু ওই এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে। এরপর যেই বাড়ির পেছনে গরু বাঁধা ছিল সেই সমস্ত বাড়িতে ঢুকে পড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। দেখা যায় বিশাল আকৃতির ডিপ ফ্রিজ গুলি থেকে মাংস উদ্ধার হয়। মাংসগুলো গরুর কী না নিশ্চিত করার জন্য পশু চিকিৎসকের সাহায্য নেওয়ার পাশাপাশি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মাংসের নমুনা হায়দ্রাবাদে পাঠানো হয়েছে এছাড়াও ওই বাড়িগুলি থেকে পশুর চর্বি, চামড়া ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়েছে।

    গো অপরাধের শীর্ষে ভানিওয়াহি

    এই ঘটনায় একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকি বাড়িওয়ালাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। যে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অপরাধমূলক কাজকর্মের ইতিহাস রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকিদের সম্বন্ধে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে ১৫০টি গরুকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছে। এর পরেই বুলডজার অ্যাাকাশান শুরু হয় প্রশাসনের।

    আরও পড়ুন: পিএম কিষান প্রকল্পে ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করবেন প্রধানমন্ত্রী

    সরকারি জমিতে গজিয়ে ওঠা ওই বাড়িগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সরকারি জমিতে অবৈধ কাজ  বর্দাস্ত করা হবে না জানিয়েছে প্রশাসন। ভানিওয়াহি এলাকায় সম্প্রতি গরু পাচার চরমে পৌঁছয়। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) আইন অনুযায়ী গরুর নিধনের ক্ষেত্রে ৭ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Betul fire incident: ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে বাসে আগুন! পুড়ল একাধিক ইভিএম

    Betul fire incident: ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে বাসে আগুন! পুড়ল একাধিক ইভিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মঙ্গলবার ৭ মে ছিল তৃতীয় দফার নির্বাচন। সারা দেশে নির্বিঘ্নে ভোটদান হলেও ভোট শেষে রাতের অন্ধকারে ঘটল অগ্নিকান্ডের (Betul fire incident) ঘটনা। আগুন লাগার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে যায় দমকল। ধীরে ধীরে আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। জানা গেছে, বাসে মোট ছটি ইভিএম ছিল। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।  

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Betul fire incident)

    ঘটনাটি মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ মধ্যপ্রদেশের গোলা গ্রামের কাছে ঘটেছে। ভোট শেষ হওয়ার পর মধ্যপ্রদেশের বেতুল ভোটকেন্দ্র থেকে ইভিএম (Electronic Voting Machines) নিয়ে বাসে ফিরছিলেন পোলিং অফিসারেরা। ঠিক সেই সময় পথে হঠাৎ বাসে আগুন (Betul fire incident)লেগে যায়। হঠাৎ করে আগুন লেগে যাওয়ায় বাস থেকে চালক-সহ সকলে নেমে যান। দুটি ইভিএম মেশিন অক্ষত অবস্থায় বের করা গেলেও বাকি চারটি ইভিএম আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 
    জানা গেছে, বেতুলের ২৭৫, ২৭৬, ২৭৭, ২৭৮, ২৭৯ এবং ২৮০ নম্বর বুথের ইভিএম–এর ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে (Election commission) জানানো হয়েছে। এরপর পরিস্থিতি বিচার করে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে ওই ছটি বুথে আবারও ভোট হবে কি না। 

    আরও পড়ুন: তৃতীয় দফায় ভোটের হার ৬১.৪৫%, প্রথম সারিতে পশ্চিমবঙ্গ

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় যে ৯৩টি আসনে ভোট হয়েছে (Lok Sabha election 2024), তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪ টির পাশাপাশি গুজরাতের ২৫, কর্নাটকের ১৪, মহারাষ্ট্রের ১১, উত্তরপ্রদেশের ১০, মধ্যপ্রদেশের ৯ টি, ছত্তীসগঢ়ের ৭ টি, বিহারের ৫ টি, অসমের ৪ টি, গোয়ার ২ টি, দাদরা ও নগর হভেলীর ১ টি এবং দমন ও দিউয়ের ১ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেতুল লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃতীয় দফায় মোট ৭২.৬৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। তবে আগ্নিকান্ডের ঘটনায় (Betul fire incident) ইভিএম মেশিন গুলি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় কমিশন আবারও এই কেন্দ্রে পরবর্তীতে ভোটের সিদ্ধান্ত নেবেন কিনা তা সময়ই বলবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share