Tag: Madhya Pradesh

Madhya Pradesh

  • Assembly Election Result: পদ্মময় গোবলয়ের তিন রাজ্য, কেবল দক্ষিণেই মুখরক্ষা কংগ্রেসের

    Assembly Election Result: পদ্মময় গোবলয়ের তিন রাজ্য, কেবল দক্ষিণেই মুখরক্ষা কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি ম্যাজিকে আরও একবার বেআব্রু হয়ে গেল কংগ্রেসের হাঁড়ির হাল। সবে মাত্র গান্ধী পরিবারের প্রত্যক্ষ ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে নয়া সভাপতি পেয়েছে দল। দলীয় নেতা-কর্মীদের ভোটে মল্লিকার্জুন খাড়গে হয়েছেন সভাপতি। তার পরেও যে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির স্বাস্থ্যের বিশেষ উন্নতি হয়নি, রবিবাসরীয় সন্ধেয় ফের একবার প্রমাণ মিলল তার।

    চার রাজ্যের ফল

    এদিন গণনা হয়েছে চার রাজ্যের ফল। তাতে দেখা গিয়েছে তিনটি রাজ্যের রশি যাচ্ছে বিজেপির (Assembly Election Result) হাতে। মাত্র একটির রাশ যাচ্ছে ‘হাতে’। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেসের এই হালে কর্মী-সমর্থকরা হতাশ হবেন, তা বলাই বাহুল্য। কংগ্রেসের এহেন ফলের পর বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের ‘ইন্ডি’ জোট আদৌ টিকবে কিনা, সে প্রশ্নও উঠে গেল।

    পাশা উল্টেছে রাজস্থানেও

    গোবলয়ের তিন রাজ্যের রাশই গিয়েছে পদ্ম শিবিরের হাতে। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৩০। ম্যাজিক ফিগার ১১৬। এর মধ্যে বিজেপি এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে ১৬৭টি আসনে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ৬২টি। আর অন্যদের ক্ষেত্রে একটি। পাশা উল্টেছে রাজস্থানেও। সেখানেও কংগ্রেসের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছে বিজেপি। ২০০ আসনের এই রাজ্যে নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯টিতে। কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন হয়নি একটি আসনে। এখানে আপাতত সরকার গড়তে প্রয়োজন ১০০টি আসন। এর মধ্যে বিজেপি (Assembly Election Result) এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে ১১৫টি আসনে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৬৯। বিএসপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ২।

    রাজ্যের নাম মোট আসন নিরঙ্কুশ সংখ্যা বিজেপি এগিয়ে/জয়ী

    কংগ্রেস

    এগিয়ে/ জয়ী

    বিআরএস

    এগিয়ে/ জয়ী

    অন্যান্য
    রাজস্থান ২০০ ১০১ ১১৫ ৬৯  
    মধ্য প্রদেশ ২৩০ ১১৬ ১৬৭ ৬২
    ছত্তিসগড় ৯০ ৪৬ ৫৪ ৩৬
    তেলঙ্গানা ১১৯ ৬০ ৬৪ ৩৯

     

    ৯০ আসনের ছত্তিশগড়েও ধরাশায়ী কংগ্রেস। সরকার গড়তে এখানে প্রয়োজন ৪৬টি আসন। অথচ বিজেপি এগিয়ে কিংবা জিতে গিয়েছে ৫৪টি আসনে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি ৩৬। অন্য কেউই দাঁত ফোটাতে পারেনি এ রাজ্যে।

    কংগ্রেসের মুখরক্ষা কেবল তেলঙ্গনায়। এ রাজ্যে বিধানসভার আসন সংখ্যা ১১৯। ম্যাজিক ফিগার ৬০। এর মধ্যে ৬৪টি কেন্দ্রে কংগ্রেস এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে। শাসক দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি ৩৯। বিজেপি এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে ৮টি আসনে। এআইএমআইএম এগিয়ে বা জয়ী হয়েছে ৭টি কেন্দ্রে। অন্যরা একটিতে। দলের এহেন ফলে গেরুয়া শিবিরে (Assembly Election Result) যেখানে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের ছবি, সেখানে মুখ ব্যাজার করে রয়েছে সোনিয়ার দল।

    কে যেন বলেছিলেন, “মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়!”

    আরও পড়ুুন: ‘‘জনতা জনার্দনের সামনে মাথানত করি’’, তিন রাজ্যে জয়ের পর ট্যুইট বার্তা মোদির

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assembly Election 2023: ছত্তিসগড় শান্ত! মধ্যপ্রদেশে ভোটে চলল গুলি, জখম বিজেপি প্রার্থী

    Assembly Election 2023: ছত্তিসগড় শান্ত! মধ্যপ্রদেশে ভোটে চলল গুলি, জখম বিজেপি প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যভারতের প্রধান রাজ্য মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে বিধানসভা নির্বচনে ভোট পড়ল যথাক্রমে ৭১ শতাংশ ও ৬৮ শতাংশ। এদিন দ্বিতীয় দফায় ছত্তিসগড়ে ৭০ আসনে ভোট নেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে ২৩০ টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়। ডিসেম্বরের ৩ তারিখে ভোট গণনা পর্ব শুরু হবে। এদিন ভোট গ্রহণের সময় মধ্যপ্রদেশে বিক্ষিপ্ত অশান্তি চোখে পড়ে। ছত্তিসগড়ে ভোট ছিল মোটের উপর শান্তিপূর্ণ।

    ছত্তিসগড়ে নির্বাচন

    ছত্তিসগড় বিধানসভায় মোট ৯০টি আসন। তার মধ্যে মাওবাদী-উপদ্রুত ২০টি আসনে গত ৭ নভেম্বর প্রথম দফা ভোট নেওয়া হয়ে গিয়েছে। বাকি ৭০টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হল শুক্রবার। ভোট হল রায়পুর, বিলাসপুর, ভিলাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে। দ্বিতীয় দফায় নির্ধারিত হবে ৯৫৮ জন প্রার্থীর ভাগ্য। 

    মধ্যপ্রদেশে ভোট গ্রহণ

    মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন (Madhya Pradesh Assembly Elections 2023) চলাকালীন প্রকাশ্যে গুলি চালাল (open fire) অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার মেহগাও বিধানসভা (Mehgaon Assembly constituency) এলাকার এই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী (BJP candidate) জখম হন। ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার ভোট একদফায় হয় শুক্রবার। সকাল সাতটা থেকে ভোট চলে বিকেল ৬টা পর্যন্ত। তবে বালাঘাট জেলার বাইহার, লানজি ও পারসওয়ারা বিধানসভা আসনে এবং মান্ডলা ও ডিন্ডোরি জেলার বেশ কয়েকটি বুথে ভোট গ্রহণ চলে ৩টে পর্যন্ত। ওই এলাকাগুলি নকশাল অধ্যুষিত হওয়ায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    মধ্যপ্রদেশে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (বুধনি), দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের পাশাপাশি রয়েছেন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— নরেন্দ্র সিং তোমর (মোরেনা), প্রহ্লাদ পটেল (নরসিংহপুর) এবং ফগ্গন সিং কুলস্তে। কংগ্রেসের ‘মুখ্যমন্ত্রী মুখ’ কমল নাথ ছিন্দওয়াড়ায় প্রার্থী হয়েছেন। রাজ্যের ৪২ হাজার ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য আনুমানিক ৭০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের ২ লক্ষ কর্মীও মোতায়েন করা হয়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhya Pradesh Elections 2023: “মধ্যপ্রদেশে হার স্বীকার করে নিয়েছে কংগ্রেস”, বললেন মোদি

    Madhya Pradesh Elections 2023: “মধ্যপ্রদেশে হার স্বীকার করে নিয়েছে কংগ্রেস”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মধ্যপ্রদেশে হার স্বীকার করে নিয়েছে কংগ্রেস।” মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh Elections 2023) বেতুলের এক জনসভায় এই ভাষায়ই কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    ‘পরাজয় মেনে নিয়েছে কংগ্রেস’

    তিনি বলেন, “১৭ নভেম্বর এগিয়ে আসছে। কংগ্রেসের দাবিগুলি স্পষ্ট হচ্ছে। আজ, আমরা গোটা মধ্যপ্রদেশ থেকে রিপোর্ট পেয়েছি যে, কংগ্রেস তাদের পরাজয় মেনে নিয়েছে। তারা এখন ভাগ্যের ওপর নির্ভর করছে। কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা আবার বাড়িতে বসে রয়েছেন। তাঁরা ভাবতে পারছেন না যে তাঁদের বাইরে বের হতে হবে। কংগ্রেস নেতারা জানেন না, তাঁরা মানুষের কাজে গিয়ে ঠিক কী বলবেন।” তিনি বলেন, “মোদির গ্যারান্টির কাছে কংগ্রেস তাদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতির ঝুড়ি নিয়ে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন না।”

    প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি কংগ্রেস

    মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার (Madhya Pradesh Elections 2023) আসন সংখ্যা ২৩০। নির্বাচন হবে নভেম্বরের ১৭ তারিখে, একদিনেই। ডিসেম্বরের তিন তারিখে বের হবে ফল। এদিনই ফল বের হবে রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলঙ্গনা ও মিজোরামেরও। কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দশকের পর দশক ধরে কংগ্রেস উপজাতি সম্প্রদায়ের ভোট পেয়ে এসেছে। কিন্তু রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, হাসপাতাল, স্কুলের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে তাঁদের। কংগ্রেস যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার একটাও পূরণ করেনি।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এর আগে সরকার গড়লেও, কংগ্রেস তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। কিন্তু বিজেপি পেরেছে। আজ পর্যন্ত যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা পূরণ করেছে।” তিনি বলেন, “আমাদের হৃদয়ে উপজাতিদের জন্য জায়গা রয়েছে। তাই যখনই সুযোগ এসেছে, বিজেপি আপনাদের গর্বকে শ্রদ্ধা করেছে, আপনাদের আবেগকে বুঝতে পেরেছে। তাই দ্রৌপদী মুর্মু, দরিদ্র উপজাতি পরিবারে বেড়ে ওঠে একটি মেয়ে বর্তমানে দেশের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন (Madhya Pradesh Elections 2023)। এদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন। তাঁকেও শ্রদ্ধাও জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ত্রিশঙ্কু বিধানসভা নয়, তেলঙ্গানায় একাই সরকার গড়বে বিজেপি, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “কংগ্রেস যদি পাপ করতে চায় তো করুক”, মধ্যপ্রদেশে হাত শিবিরকে নিশানা মোদির  

    PM Modi: “কংগ্রেস যদি পাপ করতে চায় তো করুক”, মধ্যপ্রদেশে হাত শিবিরকে নিশানা মোদির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস বিনামূল্যে রেশন দেওয়া নিয়ে যদি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পাপ করতে চায় তো করুক। আমি মানুষের ভালর জন্য কাজ করে যাব।” বুধবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বুধবার মধ্যপ্রদেশের দামোহে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই নিখরচায় রেশন বিলির সিদ্ধান্তে কংগ্রেসের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    “দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই”

    শনিবার ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বিজেপি সরকার দেশের ৮০ কোটিরও বেশি দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রকল্প আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে দেবে। মানুষের ভালবাসা এবং আশীর্বাদ সব সময় আমাকে পবিত্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার শক্তি দেয়।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের অপমান সত্ত্বেও আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব। মানুষ কংগ্রেসকে রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। কিন্তু তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীদের দেখা গেল বেটিংয়ে যুক্ত রয়েছেন, কালো টাকা করছেন।”

    দুর্নীতির মেশিনারির টায়ার পাংচার

    তিনি (PM Modi) বলেন, “২০১৪ সালে যখন আমরা সরকার গড়ি, তখন আমি কংগ্রেসের সব দুর্নীতির মেশিনারির টায়ার পাংচার করে দিয়েছিলাম। কংগ্রেসের দুর্নীতির চাকা যাতে আর না গড়ায়, তাই আমরা আধার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল নম্বরের ত্রিশক্তি তৈরি করেছিলাম।” দেশের অর্থনীতি যে অচিরেই আরও উন্নত হবে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “২০১৪ সালের পর দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার দশম থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। ২০০ বছর ধরে ভারতে রাজত্ব করা ব্রিটেনের আর্থিক বৃদ্ধিকেও পিছনে ফেলেছে ভারত। ভারতের এই আর্থিক বৃদ্ধি দেখে অবাক হয়েছে বিশ্বের অন্য দেশগুলি। ভবিষ্যতে দেশকে প্রথম তিন বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব।”

    আরও পড়ুুন: গাজার সুড়ঙ্গে মিলল বিদেশি অস্ত্র, আত্মঘাতী বিস্ফোরক বেল্ট, ছবি দিয়ে জানাল ইজরায়েল

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস আমায় যত পারে গালি দিক, আমি কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব। কংগ্রেস গরিবের টাকা লুট করছে। আপনারা কি জানেন, গরিবের টাকা লুটের জন্য কংগ্রেস একটা বিশেষ মেশিন তৈরি করেছে? এই মেশিনের সাহায্যে সরকার ১০০ টাকা পাঠালে ৮৫ টাকা যায় কংগ্রেসের কোষাগারে, জনগণের কাছে পৌঁছায় মাত্র ১৫ টাকা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “অচিরেই ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ”, মধ্যপ্রদেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী  

    PM Modi: “অচিরেই ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ”, মধ্যপ্রদেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে হারাতে জোট বেঁধেছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। তবে তাতে যে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তাঁর (PM Modi) বিজয়রথ থমকে যাবে, অতিবড় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞও তা বলছেন না। বস্তুত, তিনি নিজেও জানেন চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। এবং প্রধানমন্ত্রী সেই তিনিই।

    ভারতের অর্থনীতির উত্থান 

    ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ফের একবার প্রকাশ পেল লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের ব্যাপারে তাঁর আত্মবিশ্বাস। ১৭ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচন। বুধবার দামোহ শহরে বিজেপি আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি (PM Modi) বলেন, “২০১৪ সালের পর দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার দশম থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। ২০০ বছর ধরে ভারতে রাজত্ব করা ব্রিটেনের আর্থিক বৃদ্ধিকেও পিছনে ফেলেছে ভারত। ভারতের এই আর্থিক বৃদ্ধি দেখে অবাক হয়েছে বিশ্বের অন্য দেশগুলি। ভবিষ্যতে দেশকে প্রথম তিন বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব।”

    কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    এদিন আরও একবার কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ছত্তিশগড় ও রাজস্থানে এতদিন কংগ্রেসের সরকার ছিল। কিন্তু সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীরা ক্ষমতা ও কালো টাকার রাজনীতি করেছেন। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মধ্যপ্রদেশে ৮৫ শতাংশ কমিশনের রাজত্ব কায়েম হবে।” প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের রাজীব গান্ধী একবার বলেছিলেন, কেন্দ্র এক টাকা দিলে উপভোক্তাদের কাছে পৌছায় ১৫ পয়সা, বাকি ৮৫ পয়সা নিয়ে নেয় দুর্নীতিগ্রস্তরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, ঘুরিয়ে রাজীবের সেই কথাটিই স্মরণ করিয়ে দিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি বলেন, “২০১৪ সালে যখন আমরা সরকার গড়ি, তখন আমি কংগ্রেসের সব দুর্নীতির মেশিনারির টায়ার পাংচার করে দিয়েছিলাম। কংগ্রেসের দুর্নীতির চাকা যাতে আর না গড়ায়, তাই আমরা আধার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল নম্বরের ত্রিশক্তি তৈরি করেছিলাম।” তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রিমোট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন। তিনি কিছু করতে পারেন না। যখন রিমোট কাজ করে, তখন তিনি সনাতন ধর্মকে অপমান করেন। গতকাল, যখন রিমোট কাজ করেনি, তখন তিনি পাণ্ডবদের কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, বিজেপিতে পঞ্চপাণ্ডব রয়েছে। পাণ্ডবদের পথে চলতে পেরে আমরা গর্বিত।”

    আরও পড়ুুন: জন্মনিয়ন্ত্রণ-নারীশিক্ষা নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন নীতীশ কুমার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Assembly Elections: ছত্তিসগড়ে বিক্ষিপ্ত মাও হামলা, মিজোরামে নির্বাচন নির্বিঘ্নেই

    Assembly Elections: ছত্তিসগড়ে বিক্ষিপ্ত মাও হামলা, মিজোরামে নির্বাচন নির্বিঘ্নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections)। মঙ্গলবার ভোট হয়েছে মিজোরাম এবং ছত্তিসগড়ে। ছত্তিশগড়ে নির্বাচন হবে দু’ দফায়। এদিন হল প্রথম দফার নির্বাচন। ছত্তিশগড়ের ২০টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে এদিন। এসবই মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭০.৯ শতাংশ। গত বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে ভোট পড়েছিল ৭৭ শতাংশ। এবার কিছুটা কম। আর উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মিজোরামে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৫.৭ শতাংশ। গতবার পড়েছিল ৮১.৫ শতাংশ।

    অশান্তি পাকায় মাওবাদীরা

    প্রতিবারের মতো এবারও ছত্তিসগড়ে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। তারা যে নির্বাচনে অশান্তি পাকাবে, তার আঁচ মিলেছিল আগেই। শনিবার নির্বাচনী প্রচার সেরে ফেরার পথে নৃশংসভাবে খুন করা হয় এক বিজেপি নেতাকে। সোমবার আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয় কাঙ্কেরে। তার জেরে জখম হন দুই ভোটকর্মী সহ মোট তিনজন। নির্বাচনের দিনও যথারীতি অশান্তি পাকায় মাওবাদীরা। এদিনও কাঙ্কেরে বিএসএফের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ডিআরজির। মাও উপদ্রুত এলাকায় ভোটের ডিউটি করার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। গুলির লড়াই চলে মিনিট দশেক। পিছু হটে মাওবাদীরা। সংঘর্ষে তাদের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে বলে অনুমান বিএসএফের।

    নকশালদের সঙ্গে গুলি বিনিময়

    সুকমায় (Assembly Elections) নকশালদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। গুলির ঘায়ে কয়েকজন জওয়ান জখম হয়েছে বলে খবর। এদিন সুকমায় বিস্ফোরণে জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। কোন্টা এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে নকশালরা। পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরাও। গুলির লড়াই চলায় মিনিট দশেকের জন্য বন্ধ ছিল ভোটগ্রহণ। এদিন ছত্তিশগড়ে যাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির কেদার কাশ্যপ, মহেশ গাগদা, বিক্রম উসেন্ডি এবং লতা উসেন্ডি।

    এদিনই নির্বাচন হয়েছে ৪০ আসন বিশিষ্ট মিজোরাম বিধানসভায়ও। সকালে আইজল উত্তর-২ কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। ইভিএমে ত্রুটির কারণে তখন ভোট দিতে পারেননি তিনি। তখনই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কাজ সেরে ফের যাবেন ভোট দিতে। এদিন বেলা ১টা নাগাদ ভোট দেন তিনি।  

    আরও পড়ুুন: মমতার বিদেশ সফরের খরচ জানতে আরটিআই, জবাব না পেয়ে আদালতের পথে শুভেন্দু!

    দ্বিতীয় দফায় বিধানসভা নির্বাচন হবে ১৭ নভেম্বর। এদিন ভোট হবে ছত্তিশগড়ের বাকি ৭০টি আসনে। রাজস্থান বিধানসভার নির্বাচন হবে ২৫ নভেম্বর, এক দফায়। তেলঙ্গনা বিধানসভার ভোট হবে চলতি মাসেরই ৩০ তারিখে। এদিকে, এদিনই মধ্যপ্রদেশে রোড শো করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (Assembly Elections)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • BJP: ফের  তিন রাজ্যে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, কোন আসনে কোন হেভিওয়েট?

    BJP: ফের  তিন রাজ্যে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, কোন আসনে কোন হেভিওয়েট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যে কাঠি পড়ল বিধানসভা নির্বানের ঢাকে। সোমবারই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গনা, মিজোরাম ও ছত্তিশগড়ে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এদিনই সন্ধ্যায় তিন রাজ্যের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)।

    রাজস্থানে কে কে লড়ছেন?

    রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় এদিন ১৭৯ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এবার ছ’ জন সাংসদকে এখানে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এর মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরও। জয়পুরে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। দিয়া কুমারী লড়ছেন বিদ্যানগর কেন্দ্র থেকে। তিজারা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন বাবা বালক নাথ। সাপোত্রা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন হংরাজ মীনা। সওয়াই মাধোপুর থেকে লড়ছেন কিরোদি লাল মিনা।    

    মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে কারা?

    মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় (BJP) আসন রয়েছে ২৩০টি। সবকটি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান প্রার্থী হচ্ছেন বুধনি কেন্দ্র থেকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র লড়বেন দাতিয়া কেন্দ্র থেকে। টিকিট পেয়েছেন গোবিন্দ সিং রাজপুত, গোপাল ভার্গব, রাজেন্দ্র শুক্লা এবং ওমপ্রকাশ সাকলেচাও। ছত্তিশগড় বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০। এদিন ৬৪ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন সাংসদও। রাজনন্দগাঁও কেন্দ্র থেকে লড়বেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং (BJP)।

    আরও পড়ুুন: “মস্তানি নয়, দিনকাল খুব খারাপ”! ‘ছাত্র’দের সতর্কবার্তা বিচারপতির

    এদিন যে পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলি হল রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়,  তেলঙ্গনা এবং মিজোরাম। মধ্যপ্রদেশে নির্বাচন হবে ১৭ নভেম্বর। রাজস্থানে নির্বাচন হবে ২৩ নভেম্বর। ৩০ নভেম্বর নির্বাচন হবে তেলঙ্গনায়। ৭ নভেম্বর নির্বাচন হবে মিজোরামে। এই চার রাজ্যে এক দফায় নির্বাচন হলেও, ছত্তিশগড়ে হবে দু’ দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৭ নভেম্বর, পরের দফায় হবে ১৭ নভেম্বর। ভোটমুখী এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে ছত্তীশগড় ও রাজস্থানে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। এখানে বিজেপির সঙ্গে সরাসরি লড়াই হবে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির। গত বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশের রাশ যায় কংগ্রেসের হাতে। পরে দুই বিধায়ক বিজেপিকে (BJP) সমর্থন করায় রাজ্যের কুর্সিতে বসে বিজেপি। তেলঙ্গনায় ক্ষমতায় রয়েছে ভারত রাষ্ট্র সমিতি। এ রাজ্যে হতে পারে ত্রিমুখী লড়াই। আর পাহাড়ি রাজ্য মিজোরামে লড়াই হবে মূলত কংগ্রেস বনাম মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “বিজেপি একটি ‘বিমারু’ রাজ্যকে উন্নত রাজ্যে নিয়ে এসেছে”, মধ্যপ্রদেশে দাবি শাহের  

    Amit Shah: “বিজেপি একটি ‘বিমারু’ রাজ্যকে উন্নত রাজ্যে নিয়ে এসেছে”, মধ্যপ্রদেশে দাবি শাহের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি একটি অসুস্থ রাজ্যকে দেশের উন্নত রাজ্যের সমকক্ষে নিয়ে এসেছে।” মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে গোয়ালিয়রে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানেই একথা বললেন তিনি। বিজেপি সরকারের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করে শাহ বলেন, “মধ্যপ্রদেশের বিমারু তকমা সরাতে সফল হয়েছে বিজেপি সরকার।”

    রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার

    এদিন গোয়ালিয়রে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন শাহ। বৈঠক শেষে তুলে ধরেন রিপোর্ট কার্ড। তিনি বলেন, “২০ বছর আগে বিজেপি সরকার অসুস্থ রাজ্য হিসেবে মধ্যপ্রদেশকে নিয়েছিল এবং কুড়ি বছরের মধ্যে দেশের উন্নত রাজ্যগুলির সমকক্ষে নিয়ে এসেছে। আগামিদিনে প্রধানমন্ত্রী মোদিজির নেতৃত্বে কীভাবে এই রাজ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আশিস বসু এক সময় উন্নয়নের নিরিখে বিহার, সংযুক্ত মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশকে ‘বিমারু’ রাজ্য বলে উল্লেখ করেছিলেন।

    কংগ্রেসকে নিশানা শাহের 

    এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে শাহ (Amit Shah) বলেন, “কংগ্রেসের ৫৩ বছরের শাসনকালে মধ্যপ্রদেশকে বিমারু রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে বিজেপি এ রাজ্যকে উন্নত রাজ্যের স্তরে নিয়ে গিয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকেও এদিন একহাত নেন শাহ। তিনি বলেন, “রাজ্যকে লুঠ করেছে কমলনাথের সরকার।” আসন্ন নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে ফের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, দাবি শাহের। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি ২৭টি পাবে বলেও দাবি করেন শাহ। এদিনের বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, দলের জেলা সভাপতিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হাজার দেড়েক দলীয় নেতা-কর্মীও।  

    আরও পড়ুুন: লোকসভা নির্বাচনের আগেই এক লক্ষ গ্রামে গিয়ে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ করবে কিষান সংঘ

    বৈঠক শেষে শাহ (Amit Shah) বলেন, “২০০৩ সালে মধ্যপ্রদেশবাসী একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁরা মিস্টার বাঁতাধরকে (প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহ) সরিয়ে আমাদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিলেন।” কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, “গত প্রায় পাঁচ দশক রাজ্য শাসন করেছে কংগ্রেস। রিপোর্ট কার্ড দেখাক তো!” তিনি বলেন, “মধ্যপ্রদেশের জন্ম ১৯৫৬ সালে। মাঝে পাঁচ-ছ বছর বাদ দিলে তখন থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। তার পরেও তাদের শাসনে মধ্যপ্রদেশ ছিল বিমারু।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sant Ravidas Temple: মধ্যপ্রদেশে মোদির বড় চমক, আজ সন্ত রবিদাসের ১০০ কোটির মন্দিরের শিলান্যাস

    Sant Ravidas Temple: মধ্যপ্রদেশে মোদির বড় চমক, আজ সন্ত রবিদাসের ১০০ কোটির মন্দিরের শিলান্যাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী কাল, শনিবার সন্ত রবিদাসের ১০০ কোটি টাকার মন্দিরের (Sant Ravidas Temple) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বুন্দেলখণ্ড এলাকায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ মানুষ মুচি সম্প্রদায়ের মানুষ। এঁরা হলেন সন্ত রবিদাসের একনিষ্ঠ ভক্ত। অপর দিকে সমানেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে তফশিলি সমাজের জন্য সন্ত গুরু রবিদাসের মন্দিরের স্থাপনা করে বড় চমক দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কবে হবে মন্দিরের শিলান্যাস (Sant Ravidas Temple)?

    সূত্রে জানা গেছে, আগামী কাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায় চতুর্দশ সন্ত সাধক রবিদাসের একটি ভব্য মন্দির নির্মাণের (Sant Ravidas Temple) শিলান্যাস করবেন। এর পাশাপাশি তিনি প্রকাশ্য সভা করবেন বলেও জানা গেছে। এই মন্দির নির্মাণে আনুমানিক খরচ হবে মোটামুটি ১০০ কোটি টাকা। ঠিক সামনেই মধ্যপ্রদেশ নির্বাচন। তাই এই সন্ত মহাপুরুষের মন্দির নির্মাণ করে সন্ত রবিদাসের ভক্তদের বিশেষ উপহার তুলে দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    মন্দির দেখতে কেমন হবে?

    সন্ত রবিদাসের মন্দিরটি (Sant Ravidas Temple) হবে নাগারা স্থাপত্যশৈলীর অনুকরণে, যার বিস্তৃতি প্রায় দশ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এই মন্দিরের মধ্যে একটি বিশেষ প্রদর্শনীশালা থাকবে এবং বিভিন্ন রকম শিক্ষণীয় বিষয় রাখা থাকবে। বিশেষ করে সন্ত রবিদাসের জীবনী বিষয়ক নানান কথাচিত্র সঙ্কলিত থাকবে। এখনে বড় বড় চারটি ভবন থাকবে। যার মধ্যে একটিতে ‘নির্গুণ সম্প্রদায়ের’ দার্শনিক তত্ত্ব কথার সাহিত্যগ্রন্থ রাখা থাকবে। আরেকটিতে থাকবে ‘সঙ্গত হল’ যেখানে সমাবেশ বা সম্মেলন কক্ষ হবে। আর বাকি দুটি থাকবে মন্দিরে আগত ভক্তদের জন্য ‘ভক্ত নিবাস’ এবং বিশেষ জলাধার বা ‘জল কুণ্ড’। উল্লেখ্য, ভক্ত নিবাসে দেশ-বিদেশ থেকে সন্ত রবিদাসকে নিয়ে যাঁরা গবেষণা করতে চান, তাঁদের থাকার ব্যবস্থা থাকবে। প্রত্যেক ভবনেই থাকবে অত্যধুনিক আলো এবং সিসিটিভির ব্যবস্থা।

    উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান কিছু দিন আগে ছাতনা জেলার মাহিরের পুণ্যভূমিতে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ করে সন্ত রবিদাসের একটি মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। মধ্যপ্রদেশে প্রায় ১৬ শতাংশ মানুষ হলেন সন্ত রবিদাসের ভক্ত, যাঁরা প্রত্যেকেই পেশায় মুচি এবং তফশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত। মধ্প্রদেশের মোট ২৩০ আসনের মধ্যে ৩৫ টি আসন হল এসসি সামজের জন্য সংরক্ষিত। তাই এই সামজের মানুষের জন্য বিশেষ উপহার হবে ভব্য মন্দিরটি।

    কে ছিলেন সন্ত রবিদাস?

    সন্ত রবিদাস (Sant Ravidas Temple) ছিলেন ভারতের মধ্যযুগের ভক্তিবাদী আন্দোলনের একজন অন্যতম প্রবক্তা। মূলত মধ্য ভারত, পশ্চিম ভারত এবং উত্তর ভারতে ভক্তিবাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রচারক ছিলেন। মানুষের মধ্যে জাতপাত, বর্ণ বিদ্বেষকে দূরে রেখে ভক্তিবাদের প্রচার, প্রসার ঘটান তিনি। তাঁর সমসাময়িক ভক্তিবাদী সন্ত মহাপুরুষদের মধ্যে ভক্তিবাদে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন দাদুর, নানক, কবীর, মীরা বাঈ, শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু প্রমুখ। জগতের মুক্তির জন্য মুখে মুখে দোহা বা পদের মাধ্যম গানে রচনা করে গিয়েছেন সন্ত রবিদাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • International Tiger Day: আজ ২৯ শে জুলাই আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস, মধ্যেপ্রদেশে সর্বাধিক ৭৮৫ টি বাঘ

    International Tiger Day: আজ ২৯ শে জুলাই আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস, মধ্যেপ্রদেশে সর্বাধিক ৭৮৫ টি বাঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস (International Tiger Day)। এই মুহুর্তে সারা দেশে বাঘের সংখ্যা ৩৬১৭টি। তবে সমস্ত বাঘ যে ক্যামেয়ায় ধরা পড়েছে তাও বলা যায় না। বাঘ হল আমাদের পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রের পিরামিডের সব থেকে উপরের কাঠামোয় থাকা জন্তু। যে জঙ্গলে বাঘ সংখ্যায় থাকবে না, সেই জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্র বলেও কিছু থাকবেনা। বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়বে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে, আর তাই বাঘকে সংরক্ষণ করে বাঘের প্রজাতিকে বাঁচিয়ে রেখে জীবজগতের ভারসাম্য বাজায় রাখা মানব সমাজের একান্ত প্রয়োজনীয় কাজ। সেই জন্য বাঘের সংরক্ষণের জন্য একটি বিশেষ দিন ২৯-জুলাই, আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

    কলকাতায় আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস পালন (International Tiger Day)

    আলিপুর চিড়িয়াখানায় সারাদিন ধরে চলল বাঘের প্রয়োজনীয়তা, বাঘ সংরক্ষণ (International Tiger Day) বিষয়ে বিশেষ আলোচনা চক্র। অনুষ্ঠিত হয় স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে। এক অন্য ধরনের সচেতনতা শিবির ছিল আজ। দীর্ঘদিন ধরে বাঘ নিয়ে গবেষণা করছেন ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞ নীলাদ্রি চক্রবর্তী, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বক্তব্য, দেশের ও রাজ্যের সরকার বাঘ সংরক্ষণের জন্য প্রতিনিয়তই বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থা করে চলেছে। কিন্তু শুধু সরকার করলেই হবে না, আমাদেরকেও আরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। আলোচনার বিষয়ে আরও উঠে আসে সুন্দরবনে কীভাবে বাঘকে আরও  বেশি করে সংরক্ষণ করা যাবে। ধীরে ধীরে যে ভাবে জঙ্গল কেটে নগরায়নের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে বাঘের চলাচল এবং বাসস্থান পর্যাপ্ত পরিসরে দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশেন অথরিটির ঘোষণা

    ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশেন অথরিটি (NTCA) আজ ঘোষোণা করেছে যে মধ্যপ্রদেশে বাঘের (International Tiger Day) সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮৫ টি। এছাড়াও এই বছর বিশেষ সমীক্ষায় জানা গেছে যে বাঘের সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে কর্ণাটকে ৫৬৩ টি, উত্তরাখণ্ডে ৫৬০ টি এবং মহারাষ্ট্রে ৪৪৪ টি হয়েছে।

    মধ্যপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাঘ্র দিবসে শুভেচ্চা বার্তা

    মধ্যপ্রদেশে মোট ৬ টি জাতীয় ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য (International Tiger Day) রয়েছে। এর মধ্যে কানহা ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যে ১০৫ টি, বান্দবগড় ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যে ১৩৫ টি এবং পেঞ্চ ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যে ৭৭ টি করে বাঘ রয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে বলেন – আমরা গর্বিত যে মধ্যপ্রদেশ এখন বাঘের রাজ্য, বাঘের সুরক্ষার এবং সংরক্ষণের জন্য আমরা উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি, বাঘ এখন আমাদের রাজ্যের গৌরবের বিষয়। সেই সঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবসের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দেশবাসীর সঙ্গে।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা 

    একই ভাবে কেন্দ্রীয় বন বিভাগ মন্ত্রী ভুপেন্দ্র যাদবও আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র (International Tiger Day) দিবসের কুশল বিনিময় করেছেন দেশবাসীর সঙ্গে। তিনি ট্যুইটারে বলেন যে শেষ গণনা অনুযায়ী ভারতে সবথেকে বেশী বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে। সেখানে মোট বাঘের সংখ্যা ৭৮৫ টি। উপযুক্ত পর্যবেক্ষণ এবং সংরক্ষণের সঠিক প্রতিফলনের চিত্র ধরা পড়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share