Tag: Madhya Pradesh

Madhya Pradesh

  • Assembly Elections: ছত্তিসগড়ে বিক্ষিপ্ত মাও হামলা, মিজোরামে নির্বাচন নির্বিঘ্নেই

    Assembly Elections: ছত্তিসগড়ে বিক্ষিপ্ত মাও হামলা, মিজোরামে নির্বাচন নির্বিঘ্নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections)। মঙ্গলবার ভোট হয়েছে মিজোরাম এবং ছত্তিসগড়ে। ছত্তিশগড়ে নির্বাচন হবে দু’ দফায়। এদিন হল প্রথম দফার নির্বাচন। ছত্তিশগড়ের ২০টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে এদিন। এসবই মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭০.৯ শতাংশ। গত বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে ভোট পড়েছিল ৭৭ শতাংশ। এবার কিছুটা কম। আর উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মিজোরামে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৫.৭ শতাংশ। গতবার পড়েছিল ৮১.৫ শতাংশ।

    অশান্তি পাকায় মাওবাদীরা

    প্রতিবারের মতো এবারও ছত্তিসগড়ে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা। তারা যে নির্বাচনে অশান্তি পাকাবে, তার আঁচ মিলেছিল আগেই। শনিবার নির্বাচনী প্রচার সেরে ফেরার পথে নৃশংসভাবে খুন করা হয় এক বিজেপি নেতাকে। সোমবার আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয় কাঙ্কেরে। তার জেরে জখম হন দুই ভোটকর্মী সহ মোট তিনজন। নির্বাচনের দিনও যথারীতি অশান্তি পাকায় মাওবাদীরা। এদিনও কাঙ্কেরে বিএসএফের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ডিআরজির। মাও উপদ্রুত এলাকায় ভোটের ডিউটি করার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। গুলির লড়াই চলে মিনিট দশেক। পিছু হটে মাওবাদীরা। সংঘর্ষে তাদের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে বলে অনুমান বিএসএফের।

    নকশালদের সঙ্গে গুলি বিনিময়

    সুকমায় (Assembly Elections) নকশালদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। গুলির ঘায়ে কয়েকজন জওয়ান জখম হয়েছে বলে খবর। এদিন সুকমায় বিস্ফোরণে জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। কোন্টা এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে নকশালরা। পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরাও। গুলির লড়াই চলায় মিনিট দশেকের জন্য বন্ধ ছিল ভোটগ্রহণ। এদিন ছত্তিশগড়ে যাঁদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির কেদার কাশ্যপ, মহেশ গাগদা, বিক্রম উসেন্ডি এবং লতা উসেন্ডি।

    এদিনই নির্বাচন হয়েছে ৪০ আসন বিশিষ্ট মিজোরাম বিধানসভায়ও। সকালে আইজল উত্তর-২ কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। ইভিএমে ত্রুটির কারণে তখন ভোট দিতে পারেননি তিনি। তখনই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কাজ সেরে ফের যাবেন ভোট দিতে। এদিন বেলা ১টা নাগাদ ভোট দেন তিনি।  

    আরও পড়ুুন: মমতার বিদেশ সফরের খরচ জানতে আরটিআই, জবাব না পেয়ে আদালতের পথে শুভেন্দু!

    দ্বিতীয় দফায় বিধানসভা নির্বাচন হবে ১৭ নভেম্বর। এদিন ভোট হবে ছত্তিশগড়ের বাকি ৭০টি আসনে। রাজস্থান বিধানসভার নির্বাচন হবে ২৫ নভেম্বর, এক দফায়। তেলঙ্গনা বিধানসভার ভোট হবে চলতি মাসেরই ৩০ তারিখে। এদিকে, এদিনই মধ্যপ্রদেশে রোড শো করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (Assembly Elections)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • BJP: ফের  তিন রাজ্যে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, কোন আসনে কোন হেভিওয়েট?

    BJP: ফের  তিন রাজ্যে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, কোন আসনে কোন হেভিওয়েট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যে কাঠি পড়ল বিধানসভা নির্বানের ঢাকে। সোমবারই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গনা, মিজোরাম ও ছত্তিশগড়ে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এদিনই সন্ধ্যায় তিন রাজ্যের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)।

    রাজস্থানে কে কে লড়ছেন?

    রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় এদিন ১৭৯ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এবার ছ’ জন সাংসদকে এখানে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এর মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরও। জয়পুরে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। দিয়া কুমারী লড়ছেন বিদ্যানগর কেন্দ্র থেকে। তিজারা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন বাবা বালক নাথ। সাপোত্রা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন হংরাজ মীনা। সওয়াই মাধোপুর থেকে লড়ছেন কিরোদি লাল মিনা।    

    মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে কারা?

    মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় (BJP) আসন রয়েছে ২৩০টি। সবকটি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান প্রার্থী হচ্ছেন বুধনি কেন্দ্র থেকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র লড়বেন দাতিয়া কেন্দ্র থেকে। টিকিট পেয়েছেন গোবিন্দ সিং রাজপুত, গোপাল ভার্গব, রাজেন্দ্র শুক্লা এবং ওমপ্রকাশ সাকলেচাও। ছত্তিশগড় বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০। এদিন ৬৪ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন সাংসদও। রাজনন্দগাঁও কেন্দ্র থেকে লড়বেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং (BJP)।

    আরও পড়ুুন: “মস্তানি নয়, দিনকাল খুব খারাপ”! ‘ছাত্র’দের সতর্কবার্তা বিচারপতির

    এদিন যে পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলি হল রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়,  তেলঙ্গনা এবং মিজোরাম। মধ্যপ্রদেশে নির্বাচন হবে ১৭ নভেম্বর। রাজস্থানে নির্বাচন হবে ২৩ নভেম্বর। ৩০ নভেম্বর নির্বাচন হবে তেলঙ্গনায়। ৭ নভেম্বর নির্বাচন হবে মিজোরামে। এই চার রাজ্যে এক দফায় নির্বাচন হলেও, ছত্তিশগড়ে হবে দু’ দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৭ নভেম্বর, পরের দফায় হবে ১৭ নভেম্বর। ভোটমুখী এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে ছত্তীশগড় ও রাজস্থানে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। এখানে বিজেপির সঙ্গে সরাসরি লড়াই হবে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির। গত বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশের রাশ যায় কংগ্রেসের হাতে। পরে দুই বিধায়ক বিজেপিকে (BJP) সমর্থন করায় রাজ্যের কুর্সিতে বসে বিজেপি। তেলঙ্গনায় ক্ষমতায় রয়েছে ভারত রাষ্ট্র সমিতি। এ রাজ্যে হতে পারে ত্রিমুখী লড়াই। আর পাহাড়ি রাজ্য মিজোরামে লড়াই হবে মূলত কংগ্রেস বনাম মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “বিজেপি একটি ‘বিমারু’ রাজ্যকে উন্নত রাজ্যে নিয়ে এসেছে”, মধ্যপ্রদেশে দাবি শাহের  

    Amit Shah: “বিজেপি একটি ‘বিমারু’ রাজ্যকে উন্নত রাজ্যে নিয়ে এসেছে”, মধ্যপ্রদেশে দাবি শাহের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি একটি অসুস্থ রাজ্যকে দেশের উন্নত রাজ্যের সমকক্ষে নিয়ে এসেছে।” মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে গোয়ালিয়রে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখানেই একথা বললেন তিনি। বিজেপি সরকারের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করে শাহ বলেন, “মধ্যপ্রদেশের বিমারু তকমা সরাতে সফল হয়েছে বিজেপি সরকার।”

    রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার

    এদিন গোয়ালিয়রে দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন শাহ। বৈঠক শেষে তুলে ধরেন রিপোর্ট কার্ড। তিনি বলেন, “২০ বছর আগে বিজেপি সরকার অসুস্থ রাজ্য হিসেবে মধ্যপ্রদেশকে নিয়েছিল এবং কুড়ি বছরের মধ্যে দেশের উন্নত রাজ্যগুলির সমকক্ষে নিয়ে এসেছে। আগামিদিনে প্রধানমন্ত্রী মোদিজির নেতৃত্বে কীভাবে এই রাজ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, তারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আশিস বসু এক সময় উন্নয়নের নিরিখে বিহার, সংযুক্ত মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশকে ‘বিমারু’ রাজ্য বলে উল্লেখ করেছিলেন।

    কংগ্রেসকে নিশানা শাহের 

    এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে শাহ (Amit Shah) বলেন, “কংগ্রেসের ৫৩ বছরের শাসনকালে মধ্যপ্রদেশকে বিমারু রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে বিজেপি এ রাজ্যকে উন্নত রাজ্যের স্তরে নিয়ে গিয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকেও এদিন একহাত নেন শাহ। তিনি বলেন, “রাজ্যকে লুঠ করেছে কমলনাথের সরকার।” আসন্ন নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে ফের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি, দাবি শাহের। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি ২৭টি পাবে বলেও দাবি করেন শাহ। এদিনের বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, দলের জেলা সভাপতিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হাজার দেড়েক দলীয় নেতা-কর্মীও।  

    আরও পড়ুুন: লোকসভা নির্বাচনের আগেই এক লক্ষ গ্রামে গিয়ে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ করবে কিষান সংঘ

    বৈঠক শেষে শাহ (Amit Shah) বলেন, “২০০৩ সালে মধ্যপ্রদেশবাসী একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁরা মিস্টার বাঁতাধরকে (প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহ) সরিয়ে আমাদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিলেন।” কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, “গত প্রায় পাঁচ দশক রাজ্য শাসন করেছে কংগ্রেস। রিপোর্ট কার্ড দেখাক তো!” তিনি বলেন, “মধ্যপ্রদেশের জন্ম ১৯৫৬ সালে। মাঝে পাঁচ-ছ বছর বাদ দিলে তখন থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। তার পরেও তাদের শাসনে মধ্যপ্রদেশ ছিল বিমারু।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sant Ravidas Temple: মধ্যপ্রদেশে মোদির বড় চমক, আজ সন্ত রবিদাসের ১০০ কোটির মন্দিরের শিলান্যাস

    Sant Ravidas Temple: মধ্যপ্রদেশে মোদির বড় চমক, আজ সন্ত রবিদাসের ১০০ কোটির মন্দিরের শিলান্যাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী কাল, শনিবার সন্ত রবিদাসের ১০০ কোটি টাকার মন্দিরের (Sant Ravidas Temple) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার বুন্দেলখণ্ড এলাকায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ মানুষ মুচি সম্প্রদায়ের মানুষ। এঁরা হলেন সন্ত রবিদাসের একনিষ্ঠ ভক্ত। অপর দিকে সমানেই মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে তফশিলি সমাজের জন্য সন্ত গুরু রবিদাসের মন্দিরের স্থাপনা করে বড় চমক দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    কবে হবে মন্দিরের শিলান্যাস (Sant Ravidas Temple)?

    সূত্রে জানা গেছে, আগামী কাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায় চতুর্দশ সন্ত সাধক রবিদাসের একটি ভব্য মন্দির নির্মাণের (Sant Ravidas Temple) শিলান্যাস করবেন। এর পাশাপাশি তিনি প্রকাশ্য সভা করবেন বলেও জানা গেছে। এই মন্দির নির্মাণে আনুমানিক খরচ হবে মোটামুটি ১০০ কোটি টাকা। ঠিক সামনেই মধ্যপ্রদেশ নির্বাচন। তাই এই সন্ত মহাপুরুষের মন্দির নির্মাণ করে সন্ত রবিদাসের ভক্তদের বিশেষ উপহার তুলে দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    মন্দির দেখতে কেমন হবে?

    সন্ত রবিদাসের মন্দিরটি (Sant Ravidas Temple) হবে নাগারা স্থাপত্যশৈলীর অনুকরণে, যার বিস্তৃতি প্রায় দশ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এই মন্দিরের মধ্যে একটি বিশেষ প্রদর্শনীশালা থাকবে এবং বিভিন্ন রকম শিক্ষণীয় বিষয় রাখা থাকবে। বিশেষ করে সন্ত রবিদাসের জীবনী বিষয়ক নানান কথাচিত্র সঙ্কলিত থাকবে। এখনে বড় বড় চারটি ভবন থাকবে। যার মধ্যে একটিতে ‘নির্গুণ সম্প্রদায়ের’ দার্শনিক তত্ত্ব কথার সাহিত্যগ্রন্থ রাখা থাকবে। আরেকটিতে থাকবে ‘সঙ্গত হল’ যেখানে সমাবেশ বা সম্মেলন কক্ষ হবে। আর বাকি দুটি থাকবে মন্দিরে আগত ভক্তদের জন্য ‘ভক্ত নিবাস’ এবং বিশেষ জলাধার বা ‘জল কুণ্ড’। উল্লেখ্য, ভক্ত নিবাসে দেশ-বিদেশ থেকে সন্ত রবিদাসকে নিয়ে যাঁরা গবেষণা করতে চান, তাঁদের থাকার ব্যবস্থা থাকবে। প্রত্যেক ভবনেই থাকবে অত্যধুনিক আলো এবং সিসিটিভির ব্যবস্থা।

    উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান কিছু দিন আগে ছাতনা জেলার মাহিরের পুণ্যভূমিতে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ করে সন্ত রবিদাসের একটি মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। মধ্যপ্রদেশে প্রায় ১৬ শতাংশ মানুষ হলেন সন্ত রবিদাসের ভক্ত, যাঁরা প্রত্যেকেই পেশায় মুচি এবং তফশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত। মধ্প্রদেশের মোট ২৩০ আসনের মধ্যে ৩৫ টি আসন হল এসসি সামজের জন্য সংরক্ষিত। তাই এই সামজের মানুষের জন্য বিশেষ উপহার হবে ভব্য মন্দিরটি।

    কে ছিলেন সন্ত রবিদাস?

    সন্ত রবিদাস (Sant Ravidas Temple) ছিলেন ভারতের মধ্যযুগের ভক্তিবাদী আন্দোলনের একজন অন্যতম প্রবক্তা। মূলত মধ্য ভারত, পশ্চিম ভারত এবং উত্তর ভারতে ভক্তিবাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রচারক ছিলেন। মানুষের মধ্যে জাতপাত, বর্ণ বিদ্বেষকে দূরে রেখে ভক্তিবাদের প্রচার, প্রসার ঘটান তিনি। তাঁর সমসাময়িক ভক্তিবাদী সন্ত মহাপুরুষদের মধ্যে ভক্তিবাদে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন দাদুর, নানক, কবীর, মীরা বাঈ, শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু প্রমুখ। জগতের মুক্তির জন্য মুখে মুখে দোহা বা পদের মাধ্যম গানে রচনা করে গিয়েছেন সন্ত রবিদাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • International Tiger Day: আজ ২৯ শে জুলাই আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস, মধ্যেপ্রদেশে সর্বাধিক ৭৮৫ টি বাঘ

    International Tiger Day: আজ ২৯ শে জুলাই আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস, মধ্যেপ্রদেশে সর্বাধিক ৭৮৫ টি বাঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস (International Tiger Day)। এই মুহুর্তে সারা দেশে বাঘের সংখ্যা ৩৬১৭টি। তবে সমস্ত বাঘ যে ক্যামেয়ায় ধরা পড়েছে তাও বলা যায় না। বাঘ হল আমাদের পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রের পিরামিডের সব থেকে উপরের কাঠামোয় থাকা জন্তু। যে জঙ্গলে বাঘ সংখ্যায় থাকবে না, সেই জঙ্গলের বাস্তুতন্ত্র বলেও কিছু থাকবেনা। বাস্তুতন্ত্র ভেঙে পড়বে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে, আর তাই বাঘকে সংরক্ষণ করে বাঘের প্রজাতিকে বাঁচিয়ে রেখে জীবজগতের ভারসাম্য বাজায় রাখা মানব সমাজের একান্ত প্রয়োজনীয় কাজ। সেই জন্য বাঘের সংরক্ষণের জন্য একটি বিশেষ দিন ২৯-জুলাই, আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস হিসাবে পালন করা হয়।

    কলকাতায় আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস পালন (International Tiger Day)

    আলিপুর চিড়িয়াখানায় সারাদিন ধরে চলল বাঘের প্রয়োজনীয়তা, বাঘ সংরক্ষণ (International Tiger Day) বিষয়ে বিশেষ আলোচনা চক্র। অনুষ্ঠিত হয় স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে। এক অন্য ধরনের সচেতনতা শিবির ছিল আজ। দীর্ঘদিন ধরে বাঘ নিয়ে গবেষণা করছেন ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞ নীলাদ্রি চক্রবর্তী, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বক্তব্য, দেশের ও রাজ্যের সরকার বাঘ সংরক্ষণের জন্য প্রতিনিয়তই বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থা করে চলেছে। কিন্তু শুধু সরকার করলেই হবে না, আমাদেরকেও আরও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। আলোচনার বিষয়ে আরও উঠে আসে সুন্দরবনে কীভাবে বাঘকে আরও  বেশি করে সংরক্ষণ করা যাবে। ধীরে ধীরে যে ভাবে জঙ্গল কেটে নগরায়নের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে বাঘের চলাচল এবং বাসস্থান পর্যাপ্ত পরিসরে দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশেন অথরিটির ঘোষণা

    ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশেন অথরিটি (NTCA) আজ ঘোষোণা করেছে যে মধ্যপ্রদেশে বাঘের (International Tiger Day) সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮৫ টি। এছাড়াও এই বছর বিশেষ সমীক্ষায় জানা গেছে যে বাঘের সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে কর্ণাটকে ৫৬৩ টি, উত্তরাখণ্ডে ৫৬০ টি এবং মহারাষ্ট্রে ৪৪৪ টি হয়েছে।

    মধ্যপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাঘ্র দিবসে শুভেচ্চা বার্তা

    মধ্যপ্রদেশে মোট ৬ টি জাতীয় ব্যাঘ্র অভয়ারণ্য (International Tiger Day) রয়েছে। এর মধ্যে কানহা ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যে ১০৫ টি, বান্দবগড় ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যে ১৩৫ টি এবং পেঞ্চ ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যে ৭৭ টি করে বাঘ রয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে বলেন – আমরা গর্বিত যে মধ্যপ্রদেশ এখন বাঘের রাজ্য, বাঘের সুরক্ষার এবং সংরক্ষণের জন্য আমরা উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি, বাঘ এখন আমাদের রাজ্যের গৌরবের বিষয়। সেই সঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবসের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন দেশবাসীর সঙ্গে।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা 

    একই ভাবে কেন্দ্রীয় বন বিভাগ মন্ত্রী ভুপেন্দ্র যাদবও আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র (International Tiger Day) দিবসের কুশল বিনিময় করেছেন দেশবাসীর সঙ্গে। তিনি ট্যুইটারে বলেন যে শেষ গণনা অনুযায়ী ভারতে সবথেকে বেশী বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে। সেখানে মোট বাঘের সংখ্যা ৭৮৫ টি। উপযুক্ত পর্যবেক্ষণ এবং সংরক্ষণের সঠিক প্রতিফলনের চিত্র ধরা পড়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘তৃণমূলের দুর্নীতি ভুলবে না বাংলা’’! মধ্যপ্রদেশের সভায় মন্তব্য মোদির

    Narendra Modi: ‘‘তৃণমূলের দুর্নীতি ভুলবে না বাংলা’’! মধ্যপ্রদেশের সভায় মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নাম করে তৃণমূলের দূর্নীতির কথা জনসমক্ষে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতিদের নিয়ে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচিতে তৃণমূল শাসিত বাংলায় নানা দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ভোটমুখী মধ্য প্রদেশে এদিন সকালে রেলের এক কর্মসূচীতে অংশ নেন নরেন্দ্র মোদি। পাঁচটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর, ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটির প্রধানদের এক জনসভায় অংশ নিয়েছেন তিনি। শুধু মধ্য প্রদেশের বিজেপির বুথ সমিতির প্রধানরা নন, গোটা দেশের বুথ কমিটির প্রধানরাই অংশ নেন এই সভায়।

    মোদির মন্তব্য

    এদিন কড়া ভাষায় তৃণমূলের সমালোচনা করলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। রোজ ভ্যালি দুর্নীতি, সারদা দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার চলছে। বাংলার মানুষ কখনও এই দুর্নীতি ভুলতে পারবে না।’’ চলতি মাসেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রোজগার মেলা’ কর্মসূচিতে পশ্চিমবঙ্গ এবং তৃণমূলের নাম না করে, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সম্প্রতি আপনারা একটি রাজ্য থেকে পাওয়া খবরে দেখেছেন কী ভাবে ‘ক্যাশ ফর জব’ (টাকার বিনিময়ে চাকরি)-এর ঘটনা ঘটেছে। রেস্তরাঁয় রেট কার্ডের মতোই সেই রাজ্যে বিভিন্ন স্তরের সরকারি চাকরির বিভিন্ন ‘দর’ রয়েছে।’’এদিন সরাসরি তৃণমূলের নাম করে নিশানা করলেন মোদি।

    বিরোধীদের নিশানা

    সামনে লোকসভা ভোট। ২০২৪ ভোটের আগে দলের কর্মীদের উদ্দেশে মোদি বলেন, “পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশে মূল্যবৃদ্ধির অবস্থা মানুষের সামনে তুলে ধরুন। মানুষকে বোঝান, করোনা মহামারি সত্ত্বেও ভারতের অর্থনীতি বেশ ভাল অবস্থায় আছে। মোবাইল ডেটা, আয়ুষ্মান ভারতের মতো আমাদের বিভিন্ন নীতির ফলে মানুষের অনেক টাকা বেঁচেও যাচ্ছে। বিজেপি যে যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে, সব রাজ্যেই জ্বালানির দাম ১০০ টাকার নীচে রয়েছে। অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কেন জ্বালানির দাম ১০০-র বেশি? মানুষের সামনে এই প্রশ্ন তুলুন।”

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    শুধু তৃণমূল নয়, গত ২৩ মে পটনায় নীতীশ কুমারের ডাকা বিজেপি বিরোধী বৈঠকে হাজির বিভিন্ন দলকে নিশান করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির কথায়, “দিন কয়েক আগে বিরোধী দলের নেতারা ছবি তোলার একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল। সেখানে যারা ছিলেন, তাদের সব মিলিয়ে ২০ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি রয়েছে। বিরোধীরা যারা একজোট হওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের উপর রাগ নয়, দয়া করুন। এর আগে ২০১৯ সালেও আমরা শুনেছিলাম বিরোধী জোটের কথা। এবার একটু বেশি লাফালাফি করছে ওরা। আসলে এছাড়া ওদের কোনও উপায় নেই। ২০২৪ সালে আরও বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মুসলিমদের ক্ষেত্রে তিন তালাক যদি ধর্মীয়ভাবে এতই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে তাহলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে কেন এটা নেই?” মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির (Uniform Civil Code) পক্ষে সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশে দুটি আইন কীভাবে চলতে পারে। সুপ্রিম কোর্টও বলেছে যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা উচিত।”

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি

    প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, যখনই দেশের সব রাজ্যের বিধায়ক এবং ভারতের সংসদের জন্য পরিস্থিতি অনুকূল হবে তখনই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করা উচিত। এই অনুচ্ছেদকে হাতিয়ার করেই বারংবার জনসংঘ থেকে বিজেপি নেতারা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে সওয়াল করে এসেছেন। এদিনের জনসভায় কংগ্রেসকেও নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যারা তিন তালাককে সমর্থন করছে, তারা তুষ্টির ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। এতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলাদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে।” তিন তালাক প্রসঙ্গে তিনি (PM Modi) বলেন, “এতে শুধু মহিলারা নন, পুরো পরিবারই ক্ষতির শিকার হচ্ছে।”

    বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য 

    মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচন হবে চলতি বছরই। তাই এদিন বুথস্তরে সংগঠন আরও শক্তিশালী করার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ঠান্ডা ঘরে বসে থাকার দল বিজেপি নয়। কর্মীদের ময়দানে নেমে পরিশ্রম করতে হবে। মানুষের সেবায় প্রতিটি বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য স্থির করতে হবে।”

    আরও পড়ুুন: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আইএসআই চর! সিবিআইকেও তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    এই প্রথম নয়, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়েও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার চিন্তাভাবনার কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা যে হবেই, নানা সময় তা জানিয়েছিলেন বিজেপি (PM Modi) নেতারাও। বিবাহ বিচ্ছেদ থেকে শুরু করে সম্পত্তির অধিকার নিয়ে দেশের সব সম্প্রদায়ের জন্য একই আইন চালু করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন তাঁরা। যদিও এই বিধির বিরোধিতা করে চলেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের একটা বড় অংশ। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টেও। তবে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, এ ব্যাপারে সংসদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: মধ্যপ্রদেশে প্রকাশ্যে এল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র বাস্তব গল্প! কী হয়েছে জানেন?

    Love Jihad: মধ্যপ্রদেশে প্রকাশ্যে এল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র বাস্তব গল্প! কী হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে হইচই হচ্ছে দেশজুড়ে। বাংলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এই ছবি প্রদর্শনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দাবি, এই সিনেমা দেখানো হল অবনতি হতে পারে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার। সরকারি এই নিষেধাজ্ঞার জেরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ছবি নির্মাতারা। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র মূল (Love Jihad) গল্প হল, কীভাবে হিন্দু মহিলাদের বিয়ে করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়। দেশ যখন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে উত্তাল, ঠিক সেই সময় এমন ঘটনাই প্রকাশ্যে এল। তবে ঘটনাস্থল কেরল নয়, মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh)।

    মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) এ কী গল্প?

    জানা গিয়েছে, মধ্য প্রদেশের কট্টর ইসলামিক সংগঠন হিজব-উত-তারিরের সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্য হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করেছেন। এঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই দুজনকে ইসলামে দীক্ষিত করা হয়েছে। এই সংগঠনের ডেরায় হানা দিয়েছিল মধ্য প্রদেশ পুলিশ অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড। এই স্কোয়াডেরই সূত্রের খবর, এই জঙ্গি মডিউলের মূল দুই অভিযুক্ত হল ইয়াসির খান এবং মহম্মদ সালিম। ইয়াসির ভূপালের একটি জিমের প্রশিক্ষক। আর সালিম কয়েক বছর আগেও পরিচিত ছিল সৌরভ রাজবৈদ্য নামে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অশোক জৈনের ছেলে। পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন আবদুর রহমানও। হিন্দু থাকার সময় তাঁর নাম ছিল দেবী নারায়ণ পান্ডা। ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন বেণু কুমারও (Love Jihad)। বর্তমানে তাঁর নাম (Madhya Pradesh) মহম্মদ আব্বাস।

    আরও পড়ুুন: ফের একবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার, এবার কোন মামলা?

    সালিমের বাবা-মায়ের অভিযোগ, তাঁর ছেলের সিনিয়র সহপাঠী ডঃ কমল তাঁর মগজ ধোলাই করেন। তার পরেই ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি সালিম হয়েছেন। সালিমের বাবা বলেন, “পাঁচ ছেলেমেয়ের মধ্যে সেই ছিল আমাদের একমাত্র পুত্র সন্তান। ডাঃ কমল সব সময় তার মগজধোলাই করে তাকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছেন। ইসলাম ধর্মগুরু জাকির নায়েকের ভিডিও-ও তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে আকৃষ্ট করেছে।” তিনি বলেন, “আমরা ইসলাম বিরোধী নই। তবে আমাদের ধর্ম এবং সংস্কৃতি নিয়ে আমরা গর্বিত। ২০১০ সাল থেকে আমার ছেলে নবি সম্পর্কে কোনও কিছুই শুনতে রাজি হয়নি। সে আমাকে হেনস্থা করার হুমকিও দিয়েছে।”

    তিনি বলেন, “২০১১ কী ’১২ সালে বারাবাঁকি থেকে আসা এক ইসলাম ধর্মগুরু আমার মেয়ে এবং জামাইকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছেন।” মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বলেন, “মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র পুনরাবৃত্তি হতে দেব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bus Accident: সেতুর রেলিং ভেঙে নদীখাতে বাস! মধ্যপ্রদেশে মৃত ২২, শোকপ্রকাশ মোদির

    Bus Accident: সেতুর রেলিং ভেঙে নদীখাতে বাস! মধ্যপ্রদেশে মৃত ২২, শোকপ্রকাশ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেতুর রেলিং ভেঙে নদীখাতে বাস পড়ে মারা গেলেন অন্তত ২২ জন। আহতের সংখ্যা আরও ২৫। ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের খারগোনে অঞ্চলে। দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিলেন৷ 

    ঠিক কী ঘটেছে?

    জানা গিয়েছে, বাসটি মধ্যপ্রদেশের শ্রীখণ্ডি থেকে ইন্দোর যাচ্ছিল। দাসাঙ্গা গ্রামের কাছে খারগোনে বোরাদ নদীর উপর সেতুর রেলিং ভেঙে প্রায় ৫০ ফিট নিচে নদীখাতে পড়ে যায় বাসটি। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ১৫ জন। 

    আরও পড়ুন: “জ্বলেছে ১৭০০ ঘর, হিংসার বলি ৬০”, বললেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী

    আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে আরও ৭ জন মারা যান। কয়েকজন আহতের অবস্থা সঙ্কটজনক। ফলে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বাস চালকের কোনও ভুল না কি বাসটিতে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

    দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার প্রতি ৪ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। গুরুতর আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য আর স্বল্প আহতদের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে।

    শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। নিহতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর৷ আহতদেরও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য করা হবে৷

  • Indore Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশে কুয়ো দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫, মিলতে পারে আরও দেহ?

    Indore Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশে কুয়ো দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫, মিলতে পারে আরও দেহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে (Indore Madhya Pradesh) কুয়ো দুর্ঘটনায় (Well Tragedy) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫। কুয়ো থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৮ জনকে। তাঁদের মধ্যে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে দুজনকে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৬ জন। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি দুজনের। ইন্দোরের কালেক্টর ইলায়ারাজা টি জানান, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর সেনা, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ যৌথভাবে উদ্ধারকাজে নামে। ইন্দোর ডিভিশনের কমিশনার পবন শর্মা বলেন, এখনও অবধি ৩৫টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। ১৮ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ জন চিকিৎসাধীন। তিনি জানান, উদ্ধারকাজে নেমেছেন ১৪০ জনের একটি দল। এর মধ্যে রয়েছেন ৭৫ জন সেনা জওয়ানও।

    ইন্দোরে (Indore Madhya Pradesh) লাশের পর লাশ…

    সেনা সূত্রে খবর, কুয়োয় (Indore Madhya Pradesh) এখনও বেশ কয়েকজন আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এক সেনা আধিকারিক জানান, কুয়োয় নেমে উদ্ধার কাজ খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে। ভিতরের একটি অংশ দিয়ে ক্রমাগত জল বেরিয়ে আসছে। তাছাড়া নীচে পড়ে যাওয়া পুণ্যার্থীরা বিরাট চাঙড়ের তলায় চাপা পড়ে গিয়েছেন।

    চাঙড়ের একাংশ কেটেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একের পর এক মৃতদেহ বের করে আনা হয়। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। আহতদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: ‘সনাতন ধর্মের কোনও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন নেই’,বললেন মোহন ভাগবত

    প্রসঙ্গত, রামনবমী উপলক্ষে বিশেষ পুজো হচ্ছিল বেলেশ্বর মহাদেব ঝুলেলাল (Indore Madhya Pradesh) মন্দিরে। পুজো দেখতে ভিড় করেছিলেন শয়ে শয়ে ভক্ত। পুজো ভাল করে দেখবেন বলে মন্দির চত্বরে থাকা একটি অব্যবহৃত কুয়োর কংক্রিটের স্ল্যাবের ওপরেও উঠে যান দর্শনার্থীরা। আচমকাই ঘটে দুর্ঘটনা। কুয়োর স্ল্যাব ভেঙে ৫০ ফুট নীচে পড়ে যান বহু পুণ্যার্থী।

    সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় উদ্ধার কাজ। তার পরেই আসতে থাকে একের পর এক মৃত্যু সংবাদ। স্বজনহারার কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে মন্দির চত্বরের বাতাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share