Tag: Madhya Pradesh

Madhya Pradesh

  • Madhya Pradesh: বিবাহ বিভ্রাট! এক মণ্ডপে বিয়ে হচ্ছিল দুই বোনের, হঠাৎ লোডশেডিং, তারপর যা ঘটল…

    Madhya Pradesh: বিবাহ বিভ্রাট! এক মণ্ডপে বিয়ে হচ্ছিল দুই বোনের, হঠাৎ লোডশেডিং, তারপর যা ঘটল…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই ছাদনাতলায় একসঙ্গে বিয়ে দুই বোনের। বিয়ে চলাকালীন হঠাৎ লোডশেডিং। পুরোহিত অবশ্য মন্ত্র থামাননি। চলতে থাকে বিয়েও। আর তাতেই বিপত্তি। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চারদিক অন্ধকার। ভুল করে একে অপরের বরকে বিয়ে করলেন দুই বোন। ভিন্ন পরিবারের দুই পাত্র বিষয়টি বুঝতেও পারেননি। ঘোমটায় মুখ ঢাকা থাকায় দীর্ঘ ক্ষণ বিষয়টি বুঝতে পারেনি দুই পরিবারের সদস্যরাই। পরে জানাজানি হতেই গোল বাধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নীতে।

    উজ্জয়নীর রমেশলালের দুই মেয়ে নিকিতা ও করিশ্মার বিয়ে হচ্ছিল। ভোপালের ডাংওয়ারা এলাকার ভোলা ও গণেশ নামে দুই যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল দুই বোনের। বিয়ে চলাকালীন হঠাৎই বিয়ে বাড়ির বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়। একই পোষাক থাকায় অন্ধকারে গুলিয়ে ফেলেন দুই পাত্র। মাল্যদান থেকে সাত পাকে ঘোরা… সব শেষ হওয়ার পর টনক নড়ে দু’পক্ষের। কনেরা ঘোমটা তোলার পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়। কিছু ক্ষণ বাক্‌বিতণ্ডা চলার পর অবশেষে বিষয়টির মীমাংসা হয়। পর দিন সকালে আবার নিজের নিজের ঠিক করা পাত্রীর সঙ্গেই বিয়ে করেন ভোলা ও গণেশ। অতএব একই মণ্ডপে দু-দু বার বিয়ে করলেন দুই বোন।

  • Bhojshala Hindu Temple: ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ? 

    Bhojshala Hindu Temple: ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভোজশালা (Bhojshala) স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গনে মুসলমানদের নমাজ পড়া স্থগিত চেয়ে আবেদন গ্রহণ করল মধ্যপ্রদেশ (Madhya pradesh) হাইকোর্ট। মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায় রয়েছে ওই স্মৃতিস্তম্ভ। সম্প্রতি আদালত মধ্যপ্রদেশ সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতের পুরাতত্ত্ব সংরক্ষণ বিভাগকেও (Archeological survey of India) সমন পাঠিয়েছে। মামলাটি করেছিল হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিস (Hindu front for justice)।

    ভোজশালা কমপ্লেক্সে দেবী সরস্বতীর (saraswati) মন্দির ছিল বলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি। তাই হিন্দু সংগঠনটি ওই কমপ্লেক্সে সরস্বতীর মূর্তি স্থাপনের পাশাপাশি কমপ্লেক্সের শিলালিপির রঙিন ছবি তৈরির অনুরোধ জানায়। স্মৃতিস্তম্ভে থাকা পুরাকীর্তি এবং ভাস্কর্যগুলির রেডিওকার্বন ডেটিং (Radio Carbon dating) করার অনুরোধও জানানো হয়েছিল।  

    আরও পড়ুন : অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী বিবাদের নিষ্পত্তি একসঙ্গে করা উচিত ছিল, মত উমা ভারতীর

    দেশে শিক্ষা প্রসারে উদ্যোগী রাজা ভোজ জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দেবী সরস্বতীর মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। পারমার বংশের এই রাজা শিক্ষা প্রসারে একটি কলেজও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই কলেজটি ভোজশালা নামে পরিচিত। দূরদুরান্ত থেকে ছাত্ররা পড়তে আসত ভোজশালায়। সঙ্গীত, সংস্কৃত, জ্যোতির্বিদ্যা, যোগব্যায়াম, আয়ুর্বেদ ও দর্শনের পাঠ নিতে আসতেন পড়ুয়ারা। হাজার হাজার পড়ুয়া ও বুদ্ধিজীবীদের থাকার ব্যবস্থাও ছিল ভোজশালায়। সরস্বতীর মন্দির গড়ে উঠেছিল ধর জেলায়, ভোজশালা কমপ্লেক্সে। এই ধর জেলাই এক সময় রাজা ভোজের রাজধানী ছিল।

    হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, বর্তমান কামাল মাওলানা মসজিদ, যেটি মন্দির ধ্বংস করার পর নির্মাণ করেছিলেন মুসলিমরা, তাতে ভোজশালার প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে। মসজিদে ব্যবহৃত খোদাই করা স্তম্ভগুলি ভোজশালায় ব্যবহৃত হয়। মসজিদের দেওয়ালে খোদাই করা পাথরের স্ল্যাবগুলিতেও এখনও মূল্যবাহ কারুকার্য রয়েছে। শিলালিপিগুলিতে সংস্কৃত ব্যাকরণের জ্ঞানও উৎকীর্ণ রয়েছে। কিছু শিলালিপিতে রাজা ভোজের পরবর্তীকালের শাসকদের প্রশস্তি খোদাই করা রয়েছে। রাজা ভোজ প্রতিষ্ঠিত মন্দিরের সরস্বতীর মূর্তিটি বর্তমানে রয়েছে লন্ডনের মিউজিয়ামে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, ১৩০৫, ১৪০১ ও ১৫১৪ সালে মুসলমান শাসকরা ভোজশালার মন্দির ও শিক্ষাকেন্দ্র ধ্বংস করে। ১৩০৫ সালে প্রথম ধ্বংসলীলা চালায় অত্যাচারী মুসলিম শাসক আলাউদ্দিন খিলজি। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় ভোজশালায় ১২০০ হিন্দু ছাত্র ও শিক্ষককে হত্যা করা হয়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় মন্দির কমপ্লেক্স। পরবর্তীকালে হামলা হয়েছে আরও দুবার। তারও পরে নির্মাণ হয় কামাল মওলানা মাকবারা। এর ভিত্তিতেই ভোজশালাকে দরগাহ বলে দাবি করা হচ্ছে।

    ১৯৫২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ভোজশালা তুলে দেয় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের হাতে। বর্তমানে কেবল বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পুজোর দিন ভোজশালায় প্রবেশ ও পুজো করতে পারেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা। ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে হিন্দুদের জন্য ভোজশালা খুলে দেওয়া হয়। তবে উপাসনার জন্য সম্পূর্ণ প্রাঙ্গণ পুনরুদ্ধারের জন্য পিটিশন দাখিল করা হয়।

     

  • Mirchi Baba Rape Case: ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করা ‘মির্চি বাবা’

    Mirchi Baba Rape Case: ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করা ‘মির্চি বাবা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে ভোপালের নিরঞ্জনী আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর (Mahamandaleshwar of the Panchayati Niranjani Akhara) তথা স্বামী বৈরাগ্যানন্দ গিরি (Swami Vairagyanand Giri) ওরফে  মির্চিবাবা (Godman Mirchi Baba)। এবার এই স্বঘোষিত গডম্যানকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের। জানা গিয়েছে, সন্তান লাভের আশায় মির্চি বাবার শরণাপন্ন হয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই বাবাজি মহিলাকে ধর্ষণ (rape) করে। মহিলাটি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর গোয়ালিয়রের একটি হোটেল থেকে মির্চি বাবাকে গ্রেফতার করেছে ভোপাল ও গোয়ালিয়র পুলিশের যৌথ বাহিনী।

    আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগ সোনিয়া গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধে! দাবি ওড়াল কংগ্রেস

    প্রসঙ্গত, মির্চি বাবাকে এর আগে ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় ও ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের (Congress) হয়ে প্রচার করতেও দেখা গিয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের (Digvijay Singh) জয়ের জন্য এক কুইন্টাল লঙ্কা দিয়ে হোমযজ্ঞ করে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন স্বামী বৈরাগ্যানন্দ। সাধারণ মানুষ ও ভক্তদের কাছে তিনি মির্চি বাবা হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরপরেই এমন খবর উঠে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    আরও পড়ুন: বিশ্বাস ভেঙেছে কাছের লোক, পাকিস্তানে গণধর্ষণের শিকার মাকিন ভ্লগার

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের চারবছর হয়ে গেলেও মা হতে পারছিলেন না মহিলা। সন্তান লাভের আশায় শেষমেশ স্বঘোষিত গডম্যান ‘মির্চি বাবা’র (Mirchi Baba) শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, ১৭ জুলাই মহিলা যখন মির্চি বাবার বাড়িতে যান তখন তাঁর খাবারে মাদকজাতীয় কিছু মিশিয়ে দেয় অভিযুক্ত। মহিলা পুলিশকে জানান, খাওয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সন্তান লাভ তো দূর, উল্টে মির্চি বাবার হাতেই ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন তিনি।

    এরপরেই স্বামী বৈরাগ্যানন্দ ওরফে মির্চি বাবার বিরুদ্ধে সোমবার রাতে রাইসেনের বাসিন্দা ২৮ বছরের ওই তরুণী ভোপাল মহিলা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। মির্চি বাবার বিরুদ্ধে ৩৭৬,৩৪২, ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করে ভোপাল পুলিশ। অভিযোগ দায়েরের কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে মঙ্গলবার মধ্য রাতে গোয়ালিয়রের একটি হোটেলের বাইরে থেকে গ্রেফতার করে এবং মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে।

    এই ভণ্ড বাবাজি শুধুমাত্র মহিলাকে ধর্ষণই করেনি, মহিলা তাকে বাধা দিলে তাঁকে হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। ফলে তার এই ঘৃণ্য অপরাধের জন্য আদালত মির্চি বাবার কী শাস্তি দেয়, সেটিই এখন দেখার।

LinkedIn
Share