Tag: Madhyam

Madhyam

  • Uttar Dinajpur: রাজ্যে ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতা, ডাইনি অপবাদে ঘর পোড়াল দুষ্কৃতীরা

    Uttar Dinajpur: রাজ্যে ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতা, ডাইনি অপবাদে ঘর পোড়াল দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতার চিত্র ধরা পড়ল। ডাইনি অপবাদ দিয়ে এক আদিবাসী দম্পতির ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত পানিশালা এলাকার ধোঁয়াবিশুয়া গ্রামে। উল্লেখ্য, আগেও দুই মহিলকে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল মালদা জেলায়। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Uttar Dinajpur)?

    স্থানীয় (Uttar Dinajpur) সূত্রে জানা গিয়েছে, আদিবাসী ওই দম্পতির নাম সোম মার্ডি ও সাংজু মুর্মু। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদেরকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে কিছু দুষ্কৃতী প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রামের মাতব্বরদের জানালে এক দফা সালিশি সভাও হয়। সেখানে কোনও মীমাংসা না হুওয়ায় হুমকি অব্যাহত ছিল। এরপরেই গত ৬ জানুয়ারি রাতে তাঁদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা৷

    কোনও মতে প্রাণে রক্ষা দম্পতির

    তাঁদের বাড়িতে (Uttar Dinajpur) আগুন ধরিয়ে দিলে চিৎকারে ছুটে আসে পাড়া-প্রতিবেশীরা। কোনও মতে প্রাণে রক্ষা পান ওই দম্পতি। কিন্তু আগুনে বসতভিটে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার সঙ্গে নগদ ২০ হাজার টাকাও পুড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে এই তীব্র শীতে বাড়িঘর খুইয়ে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছে আদিবাসী পরিবারটি।

    থানায় অভিযোগ দায়ের

    কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা স্পষ্ট জানা না গেলেও আক্রান্ত দম্পতি বেশ কয়েকজনের নামে রায়গঞ্জ (Uttar Dinajpur) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদের নাম মংলু মার্ডি, বুধু মার্ডি, সুপ্রণ মার্ডি, জেঠা মার্ডি৷ রাতের অন্ধকারে ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার জন্যই এই ঘটনা পরিকল্পনা করে ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ আক্রান্ত দম্পতির। যদিও ঘটনার পরেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা।

    আদিবাসী দম্পতির বক্তব্য

    উত্তর দিনাজপুরের পেশায় কৃষক সোম মার্ডি বলেন, “মাস দুয়েক হল ডাইনি অপবাদ দিয়ে ঘরছাড়া করার চেষ্টা চালাচ্ছে আমাদের কয়েকজন আত্মীয়। একাধিকবার আমাকে প্রাণে মারার হুমকিও এসেছে। এবারে বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে ওরা। কীভাবে পরিবার নিয়ে বসবাস করব, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে।” আবার সোম মার্ডির স্ত্রী সাংজু মুর্মু বলেন, “রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা এসে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। সোনা-গয়না, নগদ টাকা, জরুরি কাগজপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কীভাবে আমরা এলাকায় বাস করব, তা চিন্তা করেই কুলকিনারা পাচ্ছি না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ সরকারি অবহেলায় আজ ভুতুড়ে বাড়ি! কোয়ার্টার তৃণমূলের দখলে

    South 24 Parganas: ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ সরকারি অবহেলায় আজ ভুতুড়ে বাড়ি! কোয়ার্টার তৃণমূলের দখলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় ১০ শয্যার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধনী ফলক পড়ে রয়েছে মাঠে। ভাঙা জানালা, ভেতরে নেই কোনও সরঞ্জাম, দেওয়াল জুড়ে আগাছা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিণত হয়েছে ভুতুড়ে বাড়িতে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সরকারি কোয়ার্টারগুলি পরিণত হয়েছে গোয়ালঘর ও মুরগির খামারে। এমনই বেহাল অবস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার মোহনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।

    দীর্ঘদিন বেহাল স্বাস্থ্য কেন্দ্র (South 24 Parganas)

    জানা যায়, প্রায় পাঁচ বিঘা জমির উপর অবস্থিত মোহনপুর (South 24 Parganas) প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এলাকার মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য ২০১১ সালে ১০ শয্যাবিশিষ্ট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি হয়। এলাকার বাসিন্দা ভীম হালদার বলেন, “নামেই উদ্বোধন হয়েছিল স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির। কিন্তু কখনও পরিষেবা চালু হয়নি। মোহনপুর এলাকাসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য কোনও হাসপাতাল নেই। ইমারজেন্সি রোগীদের নিয়ে যেতে হয় ২০ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে। এনিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে বেশি শয্যাবিশিষ্ট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করার জন্য প্রশাসনের কাছে একাধিকবার দরবার করা হলেও দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায় রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।

    ফার্মাসিস্ট দিয়ে চলে চিকিৎসা

    বর্তমানে শুধুমাত্র আউটডোর পরিষেবা পাওয়া যায় মোহনপুর (South 24 Parganas) সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে। তাও সপ্তাহে মাত্র দুদিন চিকিৎসক আসেন, আর বাকি দিনগুলো ফার্মাসিস্ট দিয়ে চলে চিকিৎসা পরিষেবা। তাতেও অনিয়মিত পরিষেবা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন এলাকার বাসিন্দারা। এবিষয়ে মোহনপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট দেবাশীষ রাউত বলেন, “মগরাহাট দু নম্বর ব্লকে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে, তাই সপ্তাহে দুদিন চিকিৎসক আসেন। এমনকী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল অবস্থার কথাও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আজও একই অবস্থাতে রয়েছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (South 24 Parganas) বেহাল অবস্থা নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রচ্ছন্ন ভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা চালু করতে হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টারগুলি তৃণমূলের লোকজন দখল করে রয়েছে।

    জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বক্তব্য

    ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার (South 24 Parganas) মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার জয়ন্ত সুকুল বলেন, “মোহনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রতে খুব শীঘ্রই পরিষেবা চালু করা হবে। তবে মগরাহাট দু’নম্বর ব্লকে চিকিৎসকের ঘাটতি থাকায় সপ্তাহে দুদিন আউটডোর পরিষেবাতে চিকিৎসক যান।” অবশ্য স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান জুলফিকার আলি মণ্ডল জানান, “এলাকার বেশ কিছু মানুষ সরকারি কোয়ার্টার দখল করে রয়েছে, আমরা চেষ্টা করছি সবকিছু ঠিক করার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: মন্দির উদ্বোধনে তিরুপতি থেকে অযোধ্যায় পৌঁছাবে ১ লক্ষ লাড্ডু প্রসাদ

    Ayodhya Ram Temple: মন্দির উদ্বোধনে তিরুপতি থেকে অযোধ্যায় পৌঁছাবে ১ লক্ষ লাড্ডু প্রসাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দির উদ্বোধনে ভক্তদের জন্য অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Temple) বিশেষ প্রসাদ পাঠাবে তিরুপতি মন্দির ট্রাস্ট। প্রভু শ্রীরামের মন্দিরে রামলালার মূর্তিতে যখন প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রস্তুতিপর্ব চূড়ান্ত ব্যস্ততার মুখে, ঠিক সেই সময় দক্ষিণ ভারতের তিরুপতি মন্দিরধামও রামভক্তদের জন্য প্রসাদ পাঠানোর বার্তা দিল। দক্ষিণের এই মন্দির ট্রাস্ট জানিয়েছে, উদ্বোধনের দিনে আগত ভক্তদের জন্য লাড্ডু প্রসাদ পাঠানো হবে।

    ১ লক্ষ লাড্ডু পাঠানো হবে (Ayodhya Ram Temple)

    আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় শ্রীরামের মন্দির (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধন হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থেকে এই অনুষ্ঠান কাজ সম্পন্ন করবেন। আসবেন সারা দেশের ৭ হাজার বিশিষ্ট অতিথি। তাই রামনগরীতে সাজো সাজো রব। শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতির ব্যস্ততাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। এই অনুষ্ঠানে প্রসাদ থাকবে লাড্ডু, যা তিরুপতি থেকে পাঠানো হবে অযোধ্যার রামভক্তদের কাছে। এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিরুমালা তিরুপতি দেবাস্থানামস।

    কী জানিয়েছে তিরুপতি মন্দিরের ট্রাস্ট

    তিরুপতি মন্দির ট্রাস্টের কার্যকরী অধিকর্তা এভি রেড্ডি বলেছেন, “ভাগবান বেঙ্কটেশ্বর এবং ভগবান রাম-উভয়ই মহা বিষ্ণুর অবতার। মন্দির উদ্বোধনের অপেক্ষায় সমস্ত দেশ। ভক্তদের জন্য আমরা মন্দিরের তরফ থেকে লাড্ডু বিতরণ করব। সমস্ত রামভক্ত এবং বিশিষ্ট অতিথিদের জন্য সৌজন্যের নিদর্শন হবে এই প্রসাদ।” সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ তিরুপতি মন্দিরে ১৭০ গ্রাম ওজনের লাড্ডু প্রসাদ হিসাবে ভক্তদের বিতরণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু অযোধ্যায় (Ayodhya Ram Temple) যেহেতু এক লক্ষ লাড্ডু পাঠানো হবে, তাই প্রতি প্রসাদ লাড্ডুর ওজন হবে ২৫ গ্রাম।

    উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্টরা

    দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন মন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধনে। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, রাজনৈতিক দলের নেতা, বলি তারকা, খেলোয়াড় এবং বিদেশের কূটনীতিকরাও থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের সাধুসন্ত, সন্ন্যাসীরা উপস্থিত থাকবেন। মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই দিন সাধারণ ভক্তদের মন্দির চত্বরে প্রবেশের অনুমতি থাকবে না। কেবলমাত্র বিশিষ্টরাই যোগদান করবেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Lalla: মূর্তি নির্মাণে নেওয়া হয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শ! জানালেন মন্দির ট্রাস্টের সম্পাদক  

    Ram Lalla: মূর্তি নির্মাণে নেওয়া হয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শ! জানালেন মন্দির ট্রাস্টের সম্পাদক  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন করা হবে। গর্ভগৃহে প্রভু শ্রী রামলালার (Ram Lalla) বিগ্রহ বসানো হবে। প্রভু রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই সঙ্গে বৈদিকমন্ত্রে হবে রামলালার অভিষেক। রাম মন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই মন্দিরের মূর্তি প্রসঙ্গে বলেছেন, “মূর্তি মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শে তৈরি করা হয়েছে।”

    মূর্তি সম্পর্কে কী বলা হয়েছে (Ram Lalla)?

    অযোধ্যার রাম মন্দিরে মূর্তি (Ram Lalla) স্থাপনার জন্য কর্ণাটকের বিখ্যাত শিল্পী ভাস্কার অরুণ যোগীরাজের খোদাই করা মূর্তিকে নির্বাচন করা হয়েছে। মূর্তি সম্পর্কে চম্পত রাই বলেন, “মূর্তির পা থেকে মাথা পর্যন্ত দৈর্ঘ্য হল ৫১ ইঞ্চি। ওজন ১.৫ টন। প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লাপক্ষের রাম নবমীর দিনে ঠিক দুপর ১২ টার সময় মন্দিরের এই মূর্তির কাপালে এসে পড়বে সূর্যের আলো। জল, দুধ এই মূর্তির তেমন কোনও ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। মূর্তির উচ্চতা এবং গর্ভগৃহের কেমন মাপ হবে সেই বিষয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।”

    মূর্তি দখতে কেমন হয়েছে?

    ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক রাই আরও জানান, “গাঢ় বর্ণের পাথর দিয়ে এই রামলালার (Ram Lalla) মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে। ভগবান বিষ্ণুর দেবত্ব এবং রাজপুত্রের তেজ রয়েছে। মূর্তির মুখ দেখতে ৫ বছরের শিশুর মতো নিষ্পাপ। মূর্তির মধ্যে শিশুসুলভ সারল্য, স্নিগ্ধতা, হাসি এবং শরীরের গঠন দেখে নির্বাচন করা হয়েছে। মূর্তির পাথর হল গ্রানাইট। সূর্য, জল, আলো, বাতাসে ক্ষয় হবে না। আর্দ্রতা শোষণ করে নেবে পাথর। তবে মূর্তি তৈরিতে কোনও কংক্রিট ব্যবহার করা হয়নি।

    গত ৩০০ বছরের মধ্যে বিরল মন্দির

    আপাতত গর্ভগৃহে কেবলমাত্র রামের মূর্তি (Ram Lalla) বসানো হবে। মন্দির সম্পূর্ণ নির্মাণ হলে প্রথম তলে লক্ষ্মণ, সীতা, হনুমানের মূর্তি স্থাপন করা হবে। মন্দির চত্বরে থাকবে মহর্ষি বাল্মীকি, মহর্ষি বশিষ্ঠ, মহর্ষি বিশ্বামিত্র, মহর্ষি অগস্ত্য, নিষাদ রাজ, মাতা শবরী, দেবী অহল্যার মন্দির। ইতিমধ্যে মন্দির চত্বরের কুবের টিলায় জটায়ুর মূর্তি স্থাপনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ৩০০ বছরের মধ্যে এটি বিরল মন্দির হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Sheikh Hasina: “আমরা ভাগ্যবান যে ভারতের মতো বন্ধুরাষ্ট্র পেয়েছি”, ভোটের দিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হাসিনার

    PM Sheikh Hasina: “আমরা ভাগ্যবান যে ভারতের মতো বন্ধুরাষ্ট্র পেয়েছি”, ভোটের দিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার বাংলাদেশের জাতীয় সাধারণ নির্বাচন। সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪ টে পর্যন্ত ভোট গ্রহণ। ভোটের আগের দিন দেশের নানা জায়গায় অশান্তির খবর আসলেও ভোটের দিন সকাল থেকেই অশান্তির তেমন কোনও খবর এখনও পর্যন্ত আসেনি। নির্বাচনের দিনেই আওয়ামী লিগের নেত্রী তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina) ভারতের ব্যাপক প্রশংসা করলেন। তিনি বললেন, “আমরা খুব ভাগ্যবান যে ভারতের মতো নির্ভরযোগ্য একটি বন্ধুরাষ্ট্র পেয়েছি।”

    কী বললেন হাসিনা (PM Sheikh Hasina)?

    নির্বাচনের দিন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা (PM Sheikh Hasina) বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের সমর্থন করেছিল। ১৯৭৫ সালেই আমার পরিবারকে হারিয়েছিলাম। সেই সময় ভারত একমাত্র আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। ভারতের নাগরিকদের আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানাই।” ভোট প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে বদ্ধপরিকর। দেশের নাগরিককে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জনগণের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে, নৌকা অবশ্যই জয়ী হবে।”

    গতকাল ১৬ ঘণ্টায় ১৪ টি জায়গায় অশান্তি হয়

    বাংলাদেশের মোট ভোটার হল ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৫৭ জন। মোট আসন ২৯৯। নওগাঁ আসনের প্রার্থীর আকস্মিক মৃত্যু হলে ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিল হয়। শনিবার গতকাল ১৬ ঘণ্টায় ১৪ টি জায়গায় অশান্তি হওয়ার খবর মিলেছে। দেশের চত্তগাঁও, গাজীপুরের দুটি স্কুলে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। অশান্তির কারণে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশ অফিসারের। হাসিনা (PM Sheikh Hasina) অবশ্য নির্বাচন নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী।

    সকাল থেকেই ফাঁকা ভোটকেন্দ্র

    রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ঢাকা সহ জেলাগুলিতে ভোটেকেন্দ্রে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি নেই বললেই চলে। অনেকের মতে বিএনপির ডাকা বন্ধের কারণে বিচ্ছিন্নভাবে চট্টগ্রাম, বরিশাল সহ নানান জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আমাদের কাজ হল শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন করা। ভোটারের উপস্থিতি আমাদের দেখার কাজ নয়।” নির্বাচন কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এবারের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়তে পারে।

    আজ সকালে ঢাকার সিটি কলেজে ভোট প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা (PM Sheikh Hasina)। তাঁর সঙ্গে ভোট দিতে যান বিশিষ্ট অভিনেতা ফিরদৌস। সেই সঙ্গে ছিলেন শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ, বোন শেখ রেহানা এবং তাঁর ছেলে রাদওয়ান মুজিব। আজ মাগুরা কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লিগের প্রার্থী ক্রিকেটার শাকিব আল হাসান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: সাহয্যের হাত বাড়ালেন সুকান্ত মজুমদার, কলকাতায় চিকিৎসা পেলেন বৃদ্ধা

    Sukanta Majumdar: সাহয্যের হাত বাড়ালেন সুকান্ত মজুমদার, কলকাতায় চিকিৎসা পেলেন বৃদ্ধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) প্রচেষ্টায় বিনামূল্যের চিকিৎসা পেলো এক বৃদ্ধা। জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূষিলা এলাকার গুজুরি পাহান নামে এক বৃদ্ধা রাস্তায় পড়ে গিয়ে তাঁর পা ভেঙে যায়। তাঁকে বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে রেফার করে দেওয়া হয়। এরপর তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিছানায় শয্যাশায় অবস্থায় রয়েছেন। পরিবারের লোকেদের বাইরে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার সামর্থ্য না থাকায় তাঁরা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কাছে দ্বারস্থ হন। সুকান্ত মজুমদার তাঁর নিজের তহবিল থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবস্থা করে কলকাতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। এই সাহয্যে খুশি পরিবারের সদস্যরা।

    চিকিৎসা পেয়ে বৃদ্ধার বক্তব্য (Sukanta Majumdar)

    সাহায্য পেয়ে এবিষয়ে বৃদ্ধা গুজরি পাহান বলেন, “টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে পারিনি। দেড় মাস ধরে বিছানাগত। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আমাকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছেন। এবার হয়তো আমার চিকিৎসা সম্ভব হবে। আমি আমার নিজের পায়ে হাঁটাচলা করতে চাই।”

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে এক এলাকবাসী জানান, বৃদ্ধা বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানায় ছিলেন। তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছিলেন না পরিবারের লোকেরা। তাঁরা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কাছে চিকিৎসার আবেদন করেছিলেন। এদিন সাংসদের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হল। আমরা এই বিষয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে কুর্নিস জানাই। তিনি সবসময় মানুষের পাশে আছেন।

    কী বললেন সুকান্ত

    এবিষয়ে বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “ওই মহিলার দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে আমি তাঁর চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা করেছি। তাঁকে বালুরঘাট থেকে অ্যাম্বুল্যান্স করে নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগামী দিনেও তাঁর পাশে সর্বদা রয়েছি।”

    এবিষয়ে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শুভ চক্রবর্তী বলেন, “গতকাল রাতে অসহায় ওই বৃদ্ধাকে আমরা অ্যাম্বুল্যান্স করে কলকাতায় পাঠিয়েছি। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন সাংসদ নিজে। হাত বাড়িয়ে পাশে দাঁড়ালেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shankar Auddy: তৃণমূল নেতা শঙ্করের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা, নথি উদ্ধার করল ইডি

    Shankar Auddy: তৃণমূল নেতা শঙ্করের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা, নথি উদ্ধার করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শক্রবার টানা ১৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডির হাতে গ্রেফতার বালু ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য (Shankar Auddy)। রাতেই নিয়ে আসা হয়েছে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। উল্লেখ্য বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে বের করার সময়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তদন্তকারী অফিসারদের উপর ব্যাপক চড়াও হয়। 

    আবার, একই ভাবে গতকাল শুক্রবার সন্দেশখালিতে ইডি, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তদন্ত করতে গেলে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে অফিসারদের মাথা ফাটানোর ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় রাজ্যজুড়ে। প্রশাসনের জঙ্গলরাজ বলে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্য রাজনীতি এখন ব্যাপক সরগরম।

    ইডির দাবি (Shankar Auddy)

    তৃণমূল নেতা শঙ্করকে (Shankar Auddy) উদ্দেশ্য করে গতকাল সকাল ৭ টা থেকে বনগাঁর শিমুলতলায় শ্বশুর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর তাঁর বাড়িতে চলে অভিযান। মোট সাতজন তদন্তকারী অফিসার গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া চালান। এরপর ফের আরেকবার তাঁর শ্বশুরের বাড়ি যান অফিসারেরা। সেখানে চলে রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত তাল্লাশি। ইডি দাবি করে, সেই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সাড়ে আট লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত সন্দেহ জনক নথি। এরপর আবার তাঁকে নিজের বাড়িতে এনে রাত সাড়ে ১২ টায় গ্রেফতার করে ইডি। আজ তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    গ্রেফতারের পর বিক্ষোভ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা শঙ্করকে (Shankar Auddy) রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করে বাড়ি থেকে বের হলে তাঁর অনুগামী এবং দুষ্কৃতীরা তদন্তকারী অফিসারদের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। একেবারে মহিলারা সামনে গিয়ে, তাঁকে নিয়ে যেতে বাধা প্রদান করতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে ইডিকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। চলে লাগাতার গালিবর্ষণ, পালাটা নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    পরিবারের বক্তব্য

    তৃণমূলের নেতা শঙ্করের (Shankar Auddy) স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলার সভাপতি ছিলেন। দলের কাজে আমরা যেতাম। তিনিও আসতেন, তাই বলে গ্রেফতার করতে হবে? তদন্তকারী অফিসারেরা ব্যবসার কাগজপত্র দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এরপর একটা কাগজ দেখিয়ে বলে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠি এটা আর তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করেছে ওঁকে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dawood Ibrahim: নিলাম হল দাউদের সম্পত্তি, কিনলেন শিবসেনা নেতা, তৈরি হবে সনাতনী স্কুল

    Dawood Ibrahim: নিলাম হল দাউদের সম্পত্তি, কিনলেন শিবসেনা নেতা, তৈরি হবে সনাতনী স্কুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন হিসাবে মুম্বইয়ে রাজ করতেন, তিনি বলিউডে ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী। অন্যদিকে, ভারতের কাছে তিনি একজন জঙ্গি, অপরাধী এবং পলাতক। বর্তমানে তিনি ঠিক কোথায় রয়েছেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অনুমান করা হয় পাকিস্তানের করাচিতে রয়েছেন। গতকাল শুক্রবার কুখ্যাত দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) পৈতৃক সম্পত্তি নিলামে উঠেছিল। নিলামের সম্পত্তি ২ কোটি টাকায় কিনেছেন প্রাক্তন শিবসেনা নেতা।

    ২ কোটি টাকায় বিক্রি হল জমি (Dawood Ibrahim)

    এদিন দাউদের (Dawood Ibrahim) মোট ৪টি সম্পত্তির নিলাম করা হয়। তার মধ্যে জমির সর্বনিম্ন মূল্য ধরা হয়েছিল ১৫ হাজার ৪৪০ টাকা। কিন্তু নিলামে সম্পত্তির মূল্য অতিক্রম করে গিয়েছে কোটি টাকায়। জানা গিয়েছে, ২ কোটি টাকায় দাউদের সম্পত্তি বিক্রি করল স্মাগলার্স অ্যান্ড ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানিপুলেটর্স অথরিটি (এসএএফইএমএ) এবং কিনেছেন শিবসেনার প্রাক্তন নেতা। পাশাপাশি এদিন মহারাষ্ট্রের রত্নগিরির মুম্বকে গ্রামে দাউদের পৈতৃক সম্পত্তির আরও একটি জমির নিলাম হয়েছিল। জমির পরিমাণ ছিল ১৭৩০ বর্গমিটার, ওই জমি বিক্রি হয়েছে ৩ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। জমির মূল্য ছিল এক লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা।

    কিনে কী বললেন শিবসেনা কর্মী

    কোটি টাকায় দাউদের (Dawood Ibrahim) জমি কিনে শিবসেনার প্রাক্তন কর্তা বলেন, “ওই জমির সমীক্ষা নম্বর তাঁর ‘পয়া’ সংখ্যার সঙ্গে মিলে গিয়েছে। আর এই জন্য এত দাম দিয়ে কেনা হয়েছে। এই জমিতে একটি সনাতন স্কুল খোলা হবে।” উল্লেখ্য ২০২০ সালে তিনি দাউদের আরও একটি বাংলো কিনেছিলেন। এরপর সেখানে সনাতন ধর্ম পাঠশালা ট্রাস্ট তৈরি করেন, এবার জমি কিনে স্কুল খোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।

    আগেও সম্পত্তি নিলাম হয়েছে

    গত কয়েক বছরে অন্ধকার জগতের ডন দাউদের (Dawood Ibrahim) অনেক সম্পত্তি নিলাম হয়েছে। ২০১৭, ২০২০ সালেও নিলামে উঠেছিল সম্পত্তি। দুইবারে মোট ১৭টি সম্পত্তির নিলাম হয়েছে। তার মধ্যে দাউদের বাড়ি, হোটেল, গেস্ট হাউস মিলিয়ে মোট ১১ কোটি টাকায় নিলাম উঠেছিল বলে জানা গিয়েছিল। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সম্পত্তি কেনার ক্রেতা পাওয়া যায়নি।

    প্রশাসনের অবশ্য বক্তব্য, এই কুখ্যাত গ্যাংস্টারের হাতে প্রাণের ভয়ের কারণে অনেকে কিনতে বার বার পিছিয়ে গিয়েছিলেন। ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে ১৯৯৩ সালের বোমা বিস্ফোরণের মূলচক্রী ছিলেন দাউদ ইব্রাহিম। অনুমান করা হচ্ছে দাউদ এখন পাকিস্তানের করাচিতে থাকেন। যদিও পাকিস্তান সরকার তার অস্তিত্বের কথা অস্বীকার করেছে। সম্প্রতি বিষ খাইয়ে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মমতার পুলিশই জানিয়ে দেয়, ইডি আসছে”, শাহজাহানকাণ্ডে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতার পুলিশই জানিয়ে দেয়, ইডি আসছে”, শাহজাহানকাণ্ডে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আজ শুক্রবার বেলডাঙায় সভা করে রাজ্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন রাজ্যে জঙ্গলরাজ চলছে। আর এই জঙ্গলরাজকে শেষ করতে গেলে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব চ্যানেলের পর্দায় সকাল থেকে একটাই খবর, শেখ শাহজাহান! শেখ শাহজাহান! তিনি কে? তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের আশ্রিত দুষ্কৃতী।” দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাতে তদন্ত না করতে পারে, সেই জন্যই ইডির বিরুদ্ধে তৃণমূলের মাফিয়ারা দৌরাত্ম্য এবং তাণ্ডব চালায় আজ।

    কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি শাহজাহানের আশ্রিত তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকারি ব্যবস্থা, সাংবিধানিক ব্যবস্থার উপর আঘাত করা হয়েছে। রাজ্যে সাংবিধানিক কোনও বডি সুরক্ষিত নেই। রাজ্যে তৃণমূল দুর্নীতির পাহাড় নির্মাণ করে চাকরি চুরি, মাটি চুরি, বালি চুরি, কয়লা চুরি, রেশন চুরি করেছে। জেলে বন্দি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বালুবাবু গরিবের চাল, গম, আটা-রেশন খেয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এই রেশন দুর্নীতির তদন্তে বালুর সঙ্গে শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত পেয়ে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছিল। অবশ্য মমতা পুলিশ আগে থেকে জানিয়ে দিয়েছে যে আসছে ইডি, বাঁচাতে পারবে না দিদি, তাই পালা তাড়াতাড়ি। এরপর দরজায় তালা লাগিয়ে শাহজাহান পালিয়েছেন। এরপর তদন্তকারী অফিসারেরা তালা ভাঙতে গেলে আক্রমণ করে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। ইডির অফিসারদের মাথা ফেটেছে, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনজন আধিকারিক গুরুতর আহত এবং এখনও কয়েকজন নিখোঁজ। ফলে প্রমাণ হয়ে গেছে কেউ সুরক্ষিত নয়। সংবিধানের কোনও পদ এখানে সুরক্ষিত নয়।”

    কে শাহজাহান?

    তৃণমূলের প্রধান দুষ্কৃতী হলেন শাহজাহান (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু তাই বলেছেন, “২০১৯ সালে বিজেপির কর্মী তপন মণ্ডল সহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা। খুন করে সেই সময় বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জমিকে জোর করে দখল করে নিয়েছেন। তাঁর দখল করা জমির পরিমাণ ১৩৯.১৭ বিঘা। এছাড়া তিনটে ট্রাস্টে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। ডক্টর স্বপ্নকুমার রায়চৌধুরির জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন। আগে সিপিএম করতেন, তাঁর গুরু ছিলেন হার্মাদদের নেতা মুসলেম। এরপর তৃণমূলে যোগদান করে মাফিয়া হয়েছেন। এলাকার আম্ফানের ত্রাণ, আবাস যোজনার ঘর, শৌচালয়, একশো দিনের টাকা, মাছের চাষের ভেড়ি সব কিছু খেয়ছেন তিনি।”

    রাজ্যালকে কী আবেদন কিরলেন?

    ইডির তদন্তে বাধাপ্রদান এবং আক্রমণের ঘটনায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari), মমতার সরকারকে নিশানা করে রাজ্যপালকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। তাই রাজ্যপালের উচিত কেন্দ্র সরকারের কাছে হস্তক্ষেপ করার সুপারিশ করা। রাজ্যের আইনের রক্ষকরা ভক্ষক হলে, সংবিধানকে অমান্য করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজভবনের খোলা সহায়ক কেন্দ্রে অনেক মানুষের অভিযোগ জমা পড়েছে। কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই সমস্যার সমাধান চেয়ে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের কথা বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আবেদন করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মুকুটমণিপুর মেলার সূচনা মমতার আমলে! যুবনেত্রীর পর তৃণমূল মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড়

    Bankura: মুকুটমণিপুর মেলার সূচনা মমতার আমলে! যুবনেত্রীর পর তৃণমূল মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুবনেত্রীর পর এবার তৃণমূল সরকারের মন্ত্রীর মন্তব্যে ফের বিতর্কের সূত্রপাত। গতকাল বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার (Bankura) মুকুটমণিপুর মেলার সূচনার অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যের আদিবাসী দফতরের মন্ত্রী বুলু চিক বরাইক বলেন, “এই সরকারের আমলেই এই মেলা শুরু হয়।” পাল্টা বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “মিথ্যে কথা বলাটা তৃণমূলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অবস্থান করছে।” তৃণমূল মন্ত্রীর বক্তব্যে রাজ্যে এবার মেলা নিয়েও শোরগোল পড়ে গেল।

    কবে থেকে মুকুটমণিপুর মেলা?

    বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বিষ্ণুপুর মেলার মতো ঐতিহ্যবাহী হল মুকুটমণিপুর মেলা। এই মেলার শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। প্রায় ২৫ বছর ধরে ঐতিহ্য মেনেই এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ‘এই মেলার সূচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে।’ আর এই মন্তব্যের কারণেই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।

    মন্ত্রী কী বলেছিলেন?

    রাজ্য সরকারের অর্থানুকূল্যে মুকুটমণিপুরে (Bankura) মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “এই মেলা আগে হত না, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই এই মেলা প্রতি বছর হয়ে চলেছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।” যে মেলা গত ২৫ বছর ধরে চলছে, সেই মেলাকে মাত্র ১২ বছর ধরে চলা একটি সরকারের দ্বারা চালু করা হয়েছে, এই কথা কীভাবে বলা যেতে পারে? এই প্রশ্নে বিরোধীরা কড়া সমালোচনা করেছে রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিক বরাইককে।

    বিজেপির বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাঁকুড়ার (Bankura) বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, “মিথ্যে বলাটা ওঁদের একটি বড় বদ অভ্যাস। ২৪ বছর আগে কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ছিলেন? এই সব অবান্তর কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। শাসক দলের মন্ত্রী ভুলে গেছেন দল আর সরকার এক নয়। সরকারি কাজে দলের নেতানেত্রীর নামে শ্লোগান দেওয়া গণতন্ত্র এবং সংবিধান বিরোধী।”

    ‘কার্জন গেট’ নিয়ে যুবনেত্রীর বেফাঁস মন্তব্য

    যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী গতকাল বর্ধমানের এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, “ছিল কি গেট? এই আলো ধবধবে রাস্তা, সবটাই তৃণমূলের আমলে হয়েছে।” অথচ ইতিহাস বলছে ১৯০৩ সালে জিটি রোডের ধারে বিরাট তোরণ তৈরি করা হয়েছিল। ১৯০৪ সালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জনের নামে ‘কার্জন গেট’ নামকরণ হয়। এরপরে ১৯৪৭ সালের পর দেশ স্বাধীন হলে নাম বদল করে রাখা হয় ‘বিজয় তোরণ’। বিরোধীদের বক্তব্য, ‘তৃণমূলের মধ্যে ইতিহাসবোধ কম”। ফলে মুকুটমণিপুর মেলা (Bankura) নিয়ে মন্ত্রীর মন্তব্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share