Tag: Madhyam

Madhyam

  • Kajal Sheikh: লোকসভা ভোটের সময় কীভাবে ভোট করাবে তৃণমূল? কেষ্টকেই কি অনুসরণ কাজল শেখের?

    Kajal Sheikh: লোকসভা ভোটের সময় কীভাবে ভোট করাবে তৃণমূল? কেষ্টকেই কি অনুসরণ কাজল শেখের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট করানোর কৌশলে কাজল শেখ (Kajal Sheikh) কি অনুব্রতকেই অনুসরণ করবেন? ব্যক্তি বদলে গেলেও তৃণমূলের কৌশলের কোনও বদল হচ্ছে না। গরু পাচারকাণ্ডে তিহাড় জেলে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ভোটের মুখে তাঁর মুখেই শোনা যেতো ‘উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে, চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে।’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বীরভূমে ভোট হবে এই নিয়ে জেলার রাজনীতির আঙ্গিনায় শোরগোল পড়ছে। তবে কেষ্ট বিহনে দলের দায়িত্ব কাজল শেখের হাতেই যে থাকবে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই নির্বাচন কমিশন দিনক্ষণ ঘোষণা না করলেও কীভাবে ভোট হবে তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন কাজল। আজ কঙ্কালিতলায় তৃণমূল কর্মীদের নিদান দিলেন ঠিক কী কী করতে হবে।

    কী বললেন কাজল (Kajal Sheikh)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের আসন ভোট প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা কাজল শেখ (Kajal Sheikh) বলেন, “ভোটের সময় আমাদের টার্গেট কী হবে আপনারা শুনুন। কীভবে ভোট করতে হবে আগের দিন আমরা জানিয়ে দেবো। এই বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলানায় ১০ হাজার করে লিড বেশি লাগবে। সকলে প্রস্তুত থাকুন। সকলকে এক ছাতার তলায় এসে থাকতে হবে।” ফলে এই মন্তব্যে রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন ২০২১ সালের বিধান সভার নির্বাচনের পর রাজ্যে যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল সেই পরিবেশ তৈরি হবে না তো! অবশ্য বিজেপি মনে করছে তৃণমূল অঞ্চলে অঞ্চলে সন্ত্রাস না চালালে ১০ হাজার করে লিড দেওয়া সম্ভব নয় তৃণমূলের পক্ষে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বীরভূমে নির্বাচনকে ঘিরে শাসক দলের দৃষ্টিভঙ্গির যে অবস্থান বদল হচ্ছে না তা বিজেপি বুঝতেই পেরেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে এক নেতা বলেন, “আগের দিন আর পরের দিন সম্পর্কে স্পষ্ট করে বুঝুন। ওঁর (Kajal Sheikh) ক্ষমতা মমতা বুঝে গিয়েছেন। তাই দলের কোর কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। মানুষ ওঁদের যোগ্য জবাব দেবে। জেলায় বিজেপি বিরাট মার্জিনে জয়ী হবে। ভোটাররা যদি বুথে যেতে না পারে, তার জন্য কী করতে হবে বিজেপি খুব ভালো করেই জানে। ওঁদের সন্ত্রাসকে মোকাবেলা করবে সাধারণ মানুষ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidbad: স্কুলের মিড-ডে মিলে নয়ছয়! প্রতিবাদ করায় পড়ুয়াদের পুলিশ দিয়ে মারধর, অভিযুক্ত ওসি

    Murshidbad: স্কুলের মিড-ডে মিলে নয়ছয়! প্রতিবাদ করায় পড়ুয়াদের পুলিশ দিয়ে মারধর, অভিযুক্ত ওসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের মিড-ডে মিলে নয়ছয়, ছাত্রদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চনা নিয়ে মঙ্গলবার স্কুলে আন্দোলন শুরু করেছিল পড়ুয়ারা। প্রতিবাদ জানিয়ে স্কুল তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। আর সেই ঘটনায় পড়ুয়াদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) জলঙ্গি থানার ওসি কৌশিক পালের বিরুদ্ধে। ছাত্রদের দাবি “স্কুলে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করছিলাম। সেই সময় স্কুলে পুলিশ ডেকে আমাদের উপর অত্যাচার চালানো হয়।” এই ঘটনায় স্কুলে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    ছাত্রদের অভিযোগ (Murshidbad)

    স্কুলের (Murshidbad) পড়ুয়াদের দাবি, “আমরা শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখেই অবরোধ চালাচ্ছিলাম। সেই সময় প্রধান শিক্ষক পুলিশ ডেকে বেধড়ক মারধর করায়। ঘটনায় নেতৃত্ব দেন ওসি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বহুদিন ধরে টাকা-পয়সা নিয়ে দুর্নীতি করছিলেন। ছাত্রছাত্রীদের মিড-ডে মিলের খাবার না দিয়ে বঞ্চনা করা হচ্ছিল। অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছিল। আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন করলে আমাদের উপর পুলিশ দিয়ে আক্রমণ করা হয়। আমাদের অনেককে ব্যাপক মারধর করা হয়। আমরা যাতে বাইরে এই মারধরের কথা না জানাই, তাই আমাদের দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কোনও মারধর করা হয়নি বলে বক্তব্যকে ভিডিও করে নেওয়া হয়।” এরপর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আহত ছাত্রদেরকে চিকিৎসার জন্য গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

    অভিভাবকের বক্তব্য

    স্কুল পড়ুয়াদের এক অভিভাবক বলেন, “গতকাল আমাদের ছাত্ররা স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে স্কুলের প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। এরপর সন্ধ্যায় তিন গাড়ি পুলিশ আসে। ছাত্রদের ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে মারধর করা হয়। ছাত্রদের উপর এই পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক একজন দুর্নীতিগ্রস্থ লোক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত না করে উল্টে ছাত্রদের ভয় দেখায়। এটা রক্ষকের ভক্ষক সুলভ আচরণ। দুর্নীতির কথা যাতে বাইরে না যায়, তাই ছাত্রদের উপর অত্যাচার করে আন্দোলনকে দমন করতে চাইছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murder Case: ভবানীপুরের ব্যবসায়ী খুন নিমতায়, জলের ট্যাঙ্কের নীচে দেহ লুকিয়ে গাঁথা হচ্ছিল ইট!

    Murder Case: ভবানীপুরের ব্যবসায়ী খুন নিমতায়, জলের ট্যাঙ্কের নীচে দেহ লুকিয়ে গাঁথা হচ্ছিল ইট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার নিমতায় জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার ভবানীপুরের বাসিন্দা এক ওষুধ ব্যবসায়ীর দেহ। তাঁকে খুন (Murder Case) করে জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে রেখে ইট গাঁথা হচ্ছিল। আর এই দৃশ্য দেখে ফেলেন এলাকার এক ব্যক্তি। এরপর নিমতা থানায় খবর দিলে পুলিশ তদন্তে নামে। হাজার চেষ্টা করেও ধামাচাপা দেওয়া গেল না। প্রতিবেশীদের তৎপরতায় উঠে এল খুনের ঘটনার চিত্র। পুলিশ তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে দেহ উদ্ধার করেছে এবং ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে অনির্বাণ গুপ্তা, সুমন দাস নামে দু’জন। এলাকায় তীব্র শোরগোল পড়েছে।

    কীভাবে করা হল খুন (Murder Case)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ মার্চ ভবানীপুরের বাসিন্দা ভব্য লাখানিয়া তাঁর সহযোগী ব্যবসায়ী নিমতার বাসিন্দা অনির্বাণ গুপ্তার সঙ্গে দেখা করতে নিমতারই প্রমোদ মিত্র লেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাবার্তা চলার সময় বিবাদ হয়। এরপর আচমকাই অনির্বাণ, ভব্য লাখানিয়ার ওপর হামলা চালায়। একটি উইকেট দিয়ে মাথায় বাড়ি মারে ভব্যের। সেই ঘটনাতেই মৃত্যু (Murder Case) হয় ভব্য লাখানিয়া নামে ওই ব্যবসায়ীর। এরপরে তাঁর দেহ লোপাট করতে মৃতদেহকে বস্তায় বন্দি করে বাড়ির জলের ট্যাঙ্কের নীচে দেহ লুকিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেই সেখানে দেওয়াল তুলে প্লাস্টার করা হচ্ছিল বলে জানা যায়।

    জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার দেহ

    এদিকে ভব্য লাখানিয়া বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবারের তরফ থেকে ভবানীপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। অপরে নিমতা থানার পুলিশ তদন্ত নেমে পুলিশ অনির্বাণ গুপ্তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপর জেরায় সে স্বীকার করে নেয় খুন (Murder Case) করেছে। তার কাছে নিমতার প্রমোদ মিত্র লেনের ঠিকানা পায় পুলিশ। সেখানে হানা দিয়ে জলের ট্যাঙ্ক নীচে থেকে ভব্য লাখানিয়ার দেহ উদ্ধার করে। পাশাপাশি খুনে ব্যবহৃত উইকেট উদ্ধার করা হয়। এর সাথেই বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের কাছ থেকে রক্ত মাখা জামা সহ বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ। সেগুলো সব ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ভব্য লাখানিয়ার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: অভিযোগ জানাতে লম্বা লাইন, জমি কি আদৌ ফেরত পাবেন সন্দেশখালির সর্বহারারা?

    Sandeshkhali: অভিযোগ জানাতে লম্বা লাইন, জমি কি আদৌ ফেরত পাবেন সন্দেশখালির সর্বহারারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি ফিরে পেতে বিএলআরও অফিসে শত শত মানুষ অভিযোগ নিয়ে লাইনে। আন্দোলনের চাপে সময় বদলাচ্ছে সন্দেশখালির (Sandeshkhali)। আগে এলাকার মানুষের কোনও অভিযোগ প্রশাসনের কর্তারা শুনতেন না। এমনকী বিএলআরও অফিসের আধিকারিকের কাছে জমি নিয়ে অভিযোগ জানালে সেসব গ্রাহ্যই করা হত না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল। এবার বিএলআরও অফিসে অভিযোগ জানাতে লম্বা লাইন পড়তে শুরু করেছে। ফলে এখন মানুষের অভিযোগ-সমস্যা জানানোর অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। সন্দেশখালির ত্রিমণি বাজার সংলগ্ন এলাকায় ভূমি রাজস্ব দফতরে জমিহারা মানুষ জমি ফেরত পেতে অভিযোগপত্র জমা করছেন। ফলে রাজস্ব দফতরের অফিসের পাশে থাকা ফটোকপির দোকানে ব্যাপক ভিড়।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য (Sandeshkhali)

    এলাকার জমিহারা এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, “প্রত্যেক বছর যতবার দুয়ারে সরকার করা হয়েছে, তাতে হাঁটু পরিমাণ ধূলো জমে গিয়েছে কিন্তু একটাও ফাইল খুলে কাজ করেনি সরকারের আধিকারিকেরা। কোনও পাট্টা দেওয়া হয়নি। এমনকী টাকা দিয়েও কোনও কাজ করা যায়নি।” এলাকার আরও এক ভুক্তভোগী বলেন, “বিএলআরও নিজেই ঠিক করে কাজ করে না। ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোনও খাজনার রশিদ দেওয়া হয়নি আমাদের। আমি নিজে ২ বিঘা জমি বিক্রি করেছি। কিন্তু আমার রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে ৪ বিঘা জমি বাদ দেওয়া হয়েছে। আসলে সরষের মধ্যেই ভূত রয়েছে।”

    জমি ফিরে পাওয়ার আশা!

    একই ভাবে এলাকার (Sandeshkhali) আরও এক ব্যক্তি বলেন, “বিরাট দুর্নীতি এবং জবরদখল হয়েছে এলাকায়। ১৪৩ বিঘা জমির মালিক আলমগীর কীভাবে হলেন? শেখ শাহজাহান এবং তাঁর মেয়ে সুমায়ার নামে কীভাবে বিপুল পরিমাণ জমি রেকর্ড হল? ঝুপখালি এবং বেড়মজুর এলাকার অনেক মানুষের জমির রেকর্ড বদলে গিয়েছে। অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হত না। কিন্তু এখন কিছুটা হলেও বদল ঘটছে। ফলে জমি ফিরে পাওয়ার একটা আশা রয়েছে।”

    বিডিও-র বক্তব্য

    ত্রিমণি বাজারে গেলেই দেখা যাচ্ছে বিএলআরও অফিসের পাশে বসে এলাকার মানুষেরা নিজেদের অভিযোগ জানাচ্ছেন। জমি ফিরে পাওয়ার আশা দেখতে পাচ্ছেন এলাকার একাংশের মানুষ। কিন্তু কবে এই প্রক্রিয়ার কাজ শেষ হবে তা এখনও প্রশাসন জানায়নি। অপর দিকে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিডিও বলেছেন, “বিএলআরও অন্যায় করেছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমি সব রিপোর্ট করে দিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: প্রার্থী কি অপছন্দ? উত্তর মালদায় প্রসূনের প্রচারে দেখা গেল না তৃণমূলের বড় নেতাদের

    Malda: প্রার্থী কি অপছন্দ? উত্তর মালদায় প্রসূনের প্রচারে দেখা গেল না তৃণমূলের বড় নেতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের পক্ষ থেকে চরম অসহযোগিতা চোখে পড়ল উত্তর মালদার (Malda) তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে। দেখাই গেল না জেলার বড় নেতাদের। তৃণমূলের লোকসভার প্রার্থী ঘোষণার পর গত সোমবারই মালদায় এসেছেন প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মঙ্গলবার জেলার একাধিক জায়গায় বৈঠক এবং নির্বাচনী প্রচার করলেও দেখে মেলেনি তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের বড় মুখদের। তাহলে দলের অন্দরে কি প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে? উঠেছে প্রশ্ন।

    বহিরাগত প্রার্থী (Malda)?

    প্রার্থী কি অপছন্দ? বিজেপি তৃণমূলের প্রার্থীকে বহিরাগত বলে অভিযোগ করেছে। এবার কি উত্তর মালদার (Malda) তৃণমূল নেতারাও সেটাই মনে করছেন? মঙ্গলবার প্রচারে বেরিয়ে কার্যত জেলার বড় নেতাদের অসহযোগিতার চিত্রই চোখে পড়ল। প্রার্থী নিজেই দেওয়াল লিখনে অংশগ্রহণ করলেন। সেই সঙ্গে কয়েকটি বৈঠক করলেন এদিন। অবশ্য তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব আব্দুর রহিম বক্সি, রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় প্রমুখ নেতাদের এদিন প্রচারে দেখাই গেল না। তাহলে কি তৃণমূলের প্রার্থী পছন্দ নয়? এই রকম অনেক প্রশ্ন উঠছে রাজনীতির একাংশের মধ্যে।

    বিজেপির বক্তব্য

    উত্তর মালদার (Malda)  প্রার্থী প্রসঙ্গে বিজেপির বক্তব্য, “তৃণমূলের কর্মীরা আসলে হতাশ, কারণ এই জেলার দুই কেন্দ্রে বহিরাগতদের প্রার্থী করা হয়েছে।” অপর দিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিমের দাবি, “দলে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও ব্যাপার নেই।  আমাদের উত্তর মালদার প্রার্থী ওল্ড মালদায় থাকবেন এবং এখান থেকেই তিনি প্রচারের কাজ করবেন। সকলেই আমরা তাঁর সঙ্গে আছি।”

    কী বললেন প্রার্থী?

    তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মালদার (Malda) কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়ে গতকাল নির্বাচনের প্রচার করেন। তিনি বলেন, “সবেমাত্র প্রচার শুরু করলাম। আলাপচারিতার মাধ্যমে সকলের সঙ্গে দেখা হবে। টাউনের প্রেসিডেন্টরা সঙ্গে রয়েছেন। সকলেই আমার পাশে রয়েছেন। সকলের সঙ্গে আলাপ করব। যেখানে বিজেপির লোকেরা জয়ী হয়েছেন এবার সেখানে তৃণমূল জয়ী হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সিরাজের গ্রেফতারের দাবিতে ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সিরাজের গ্রেফতারের দাবিতে ফের অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। এবার ফের রাস্তায় নেমে গ্রামের মহিলারা ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন। এলাকার মানুষের বক্তব্য, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার যেমন করা হয়েছে, একই ভাবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সিরাজউদ্দিনকেও গ্রেফতার করতে হবে। সিরাজ এবং তাঁর অনুগামীরা এলাকায় মানুষের চাষের জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও নানা অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে। গতকাল এলাকার বেড়মজুরের ঝুপখালিতে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মহিলারা।

    তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর উত্তপ্ত (Sandeshkhali)

    ১০ মার্চ ব্রিগেডে মমতার জনগর্জন সভা থেকে তৃণমূলের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন হাজি নুরুল ইসলাম। ঠিক পরের দিন সোমবার থেকেই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শুরু হয়েছে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ। বেড়মজুর এলাকার ঝুপখালিতে নিপীড়িত মহিলারা রাস্তায় নেমে টায়ার, গাছের ডালপালা পুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এলাকার মানুষের দাবি, “শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিন এবং আলমগিরকে গ্রেফতার করতে হবে। সিরাজ এবং আলমগির উভয়েই এলাকার মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করেছে। বাড়ির মহিলাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেছে। তাই তাঁদের শাস্তি চাই আমরা।”

    দুই মাস ধরে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)

    শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের পর এলাকার মানুষ তাঁর অনুগামীদের গ্রেফতার করার জন্য ফের একবার বিক্ষোভের পথে। অপর দিকে গতকাল এই তৃণমূল নেতার ডান হাত জিয়াউদ্দিন মোল্লা সহ আরও বেশ কয়েকজনকে সিবিআই নিজেম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে। গত দুই মাস ধরে কার্যত ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে গোটা সন্দেশখালি। এলাকার মহিলাদের অভিযোগ ছিল বেছে বেছে হিন্দু ঘরের মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে রাতভর গণধর্ষণ করত এই শাহজাহানেরা। ইতিমধ্যে এই তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রাজ্য তথা সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় দেখা গিয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) গেলে বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয়। ইতিমধ্যে বারাসতে মোদির সভায় নির্যাতিতা মহিলাদের একটা অংশের মানুষ নিজেদের উপর ঘটা অত্যাচারের কথা বলেন। মূল অভিযুক্ত শাহজাহানের সঙ্গে এখন তার অনুগামীদের গ্রেফতারের দাবিতে ফের একবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: একাধিক রাজ্যে ১ লক্ষ কোটি টাকার ১১২টি জাতীয় সড়কের সূচনা মোদির

    Narendra Modi: একাধিক রাজ্যে ১ লক্ষ কোটি টাকার ১১২টি জাতীয় সড়কের সূচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সোমবার একাধিক রাজ্যে ১ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ১১২টি জাতীয় সড়কের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরাট চমক দিলেন নরেন্দ্র মোদি।

    প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর (Narendra Modi)

    আজ গুরুগ্রামে ৮ লেনের দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের হারিয়ানা-অংশের শুভ সূচনা করেন মোদি। প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) দফতর সূত্রে খবর, এর ফলে, ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কে দিল্লি এবং গুরুগ্রামের মধ্যে ট্রাফিক যানজট অনেকটাই সহজ হবে। ২৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে প্রায় ৯০০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এর মধ্যে ১৮.৯ কিমি গুরুগ্রামে পড়েছে। সড়কের বাকি ১০.১ কিমি অংশ দিল্লিতে পড়েছে। ৩০ কিমির মধ্যে ২৩ কিমি এলিভেটেড। এক্সপ্রেসওয়েতে ৪ কিমির একটি সুড়ঙ্গ-পথও রয়েছে।

    একই ভাবে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তের বাসাই রেল ওভারব্রিজ মোট ১০.২ কিমি এবং বাসাই রেল ওভারব্রিজ থেকে খেরাকি দৌলা পর্যন্ত ৮.৭ কিমি দুটি রুট গঠনের কথা জানানো হয়েছে। এখান থেকে এই সংযোগের মাধ্যমে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং গুরুগ্রাম বাইপাসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হবে।

    আরও অন্যান্য বড় প্রকল্প

    সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আরও যে সব বড় প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন তার মধ্যে রয়েছে— দিল্লি নাংলোই-নাজফগড় রোড থেকে সেক্টর ২৪ দ্বারকা পর্যন্ত ৯.৬ কিমি ৬ লেনের কাজ সম্প্রসারিত হয়েছে। একই সঙ্গে ৪৬০০ কোটি টাকা ব্যয় করে উত্তরপ্রদেশের লখনউ রিং রোডের ৩টি প্যাকেজ ও হিমাচল প্রদেশের ২১ নম্বর জাতীয় সড়কে কিরাতপুর থেকে নেরচক সেকশন সহ একাধিক রাজ্যে ২০,৫০০ কোটি টাকার ৪২টি প্রকল্প রয়েছে।

    আরও সড়ক শিলান্যাস

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) দেশে বিভিন্ন জাতীয় সড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন। এই প্রকল্পগুলির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। হারিয়ানার শামিল-আম্বালা হাইওয়ের ৪৯০০ কোটি টাকার প্যাকেজ, পাঞ্জাবের ৩৮০০ টাকার অমৃতসর-ভাটিন্ডা করিডরে দুটি প্যাকেজ এবং বিভিন্ন রাজ্যের আরও ৩৯টি প্রকল্প। সব মিলিয়ে আনুমানিক খরচ ৩২,৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা হয় এদিন। এই প্রকল্প জাতীয় সড়কের নেট ওয়ার্কিং, আর্থিক সামজিক বৃদ্ধি এবং কর্ম সংস্থা, ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা হবে।

    মঙ্গলবারে রেলের শিলান্যাস

    একই ভাবে আগামিকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আমেদাবাদে ৮৫ হাজার কোটি টাকার বেশি মূল্যের রেল প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। একই সঙ্গে পাটনা-লখনউ, নিউ জলপাইগুড়ি-পাটনা, লখনউ-দেরাদুন, রাঁচি-বারাণসী, খাজুরাহো-দিল্লি সহ মোট ১০টি রুটের বন্দে ভারত ট্রেনের শুভ সূচনা করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cheetah: কুনো জাতীয় উদ্যানে পাঁচটি শাবকের জন্ম দিল চিতা ‘গামিনী’, কেমন আছে তারা?

    Cheetah: কুনো জাতীয় উদ্যানে পাঁচটি শাবকের জন্ম দিল চিতা ‘গামিনী’, কেমন আছে তারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) পাঁচটি শাবকের জন্ম দিল স্ত্রী চিতা গামিনী। এই স্ত্রী চিতা গামিনীর বর্তমান বয়স পাঁচ। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার তোয়ালু কালাহারি সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে নিয়ে এসে এই জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হয়েছিল মা চিতাটিকে। সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করে এই চিতা শাবকদের জন্মানোর কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব।

    কী বললেন ভুপেন্দ্র যাদব (Kuno National Park)

    কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভুপেন্দ্র সিং যাদব নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে পোস্ট করে বলেন, “দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা পাঁচ বছরের চিতা গামিনী পাঁচটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। এই নিয়ে ভারতে মোট জন্ম নেওয়া চিতা শাবকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াল ১৩। একই সঙ্গে সকল বনকর্মী, পশু চিকিৎসক এবং রক্ষীদের জানাই অনেক অভিনন্দন।” এই কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) চিতা এবং শাবক চিতার মোট সংখ্যা দাঁড়াল ২৬।

    নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনে আনা হয়েছিল চিতা

    ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিনের দিনেই দক্ষিণ আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে মোট ৮টি চিতা আনা হয়েছিল। এই চিতা কুনোর জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) ছাড়া হয়েছিল। আবার দ্বিতীয় দফায় ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফিকা থেকে আরও ১২টি চিতা এই উদ্যানে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে এখানে চিতার সংখ্যা ২৬, যার মধ্যে ১৩টি শাবক এবং ১৩টি পূর্ণ বয়স্ক চিতা রয়েছে। এর আগে, গত জানুয়ারি মাসে এই কুনো জাতীয় উদ্যানে তিনটি চিতা শাবক জন্ম নিয়েছিল। ২০২৩ সালে স্ত্রী চিতা জ্বালা চারটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। তার মধ্যে অবশ্য তিনটি চিতার মৃত্যু হয়েছিল।

    এই প্রসঙ্গে কুনো জাতীয় উদ্যানে নতুন শাবক জন্ম নেওয়ার প্রসঙ্গে আশা প্রকাশ করে ভারতীয় বন্যপ্রাণী বিশেজ্ঞরা বলেছেন, “নতুন সদ্যোজাত চিতা শাবকের জন্ম ভালো বিষয়। ভারতীয় জলবায়ুতে চিতাগুলি যে খাপ খাইয়ে নিয়েছে এটাই তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • ABVP: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিধানসভা অভিযানকে ঘিরে এবিভিপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ধুন্ধুমার

    ABVP: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিধানসভা অভিযানকে ঘিরে এবিভিপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি (ABVP) আজ সারা দেশব্যাপী মমতা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ প্রদর্শন করল। একই সঙ্গে নির্যাতিতাদের ন্যায় বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা অভিযানকে ঘিরে এবিভিপি-পুলিশের ব্যাপক ধুন্ধুমার বাধে। সেই সঙ্গে করা হয় পুলিশের লাঠি এবং গ্রেফতার। একই ভাবে দেশের বড় বড় শহরগুলির মধ্যে দিল্লির বঙ্গভবন, রাজস্থানের ভিলওয়ারা, গুজরাটের আমেদাবাদ, লখনউ, ইন্দোর, হিমাচলের কৌশাম্বি, একাধিক জায়গার বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে বাংলার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মমতার কুশপুতুল দাহ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

    বিধানসভায় ঘেরাও (ABVP)

    এই রাজ্যের বিধানসভার সামনে দক্ষিণবঙ্গ এবিভিপির তরফ থেকে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়। এই অভিযানের সময় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা-নেত্রীরা যোগদান করে। দলের জাতীয় সম্পাদক শিবাঙ্গী কারওয়াল এবং শালিনী বর্মা নেতৃত্ব দেন। প্রথমে সংগঠনের কর্মীরা সুবোধ মল্লিক স্কয়ারে জমায়েত হয়। এরপর মিছিল করে বিধানসভার দিকে এগোলে পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ এবং গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ ওঠে। এবিভিপির দাবি, মোট ৪১ জন মহিলা কর্মীদের গ্রেফতার করা হয় এবং ব্যাপক মারধর করা হয়। সন্দেশখালির নিপীড়িত মানুষের অধিকার এবং ন্যায় বিচারের দাবি করা হয়। উল্লেখ্য এই সন্দেশখালি মামলায় প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আজ। পালটা সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার দ্রুত শুনানির আর্জি করলে তা খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে আজই মামলা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

    দেশ ব্যাপি বিক্ষোভ

    হিমাচলের কৌশাম্বিতে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) পক্ষে থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে এবিভিপির সমর্থকরা। অপর দিকে ইন্দোরে জেলা শাসকের দফতরের বাইরে পশ্চিমবঙ্গে ঘটা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ জানিয়ে প্রতিবাদ করে।  সেই সঙ্গে নিপীড়িত মহিলাদের আর্থিক সাহায্যের দাবি রাখে। আবার উত্তরপ্রদেশের লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের বিরুদ্ধে এবিভিপি সমর্থকরা আন্দোলনে রাস্তায় নামে। আমেদাবাদের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপির কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়। দেশ জুড়ে ব্যাপক গণ আন্দোলনের ডাক দেয় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সন্দেশখালিতে এবার ঘরভাড়া নিয়ে ‘সেবাকেন্দ্র’ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সন্দেশখালিতে এবার ঘরভাড়া নিয়ে ‘সেবাকেন্দ্র’ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে এবার ঘরভাড়া নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অবশ্য বক্তব্য ওটা ‘সেবাকেন্দ্র’। এলাকায় মানুষের বক্তব্য, “আমাদের অভাব, অভিযোগ এবং সমস্যার কথা জানাবো ওই কেন্দ্রে।” তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারে জনজীবন বিপন্ন সন্দেশখালির মানুষের। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ তীব্র হয়েছে। এবার মানুষের এই আন্দোলনের রাশকে ধরে রাখতে এই ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য সন্দেশখালির যে যে মানুষের জমি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে সেই জমিকে ফেরানোর কাজ শুরু করেছে তৃণমূল প্রশাসন। তাই লোকসভা ভোটের আবহে বিরোধী দলনেতা তিন মাস ঘর ভাড়া নিয়ে এলাকায় থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এই এলাকায় এখন বিজেপির সংগঠনকে মজবুত করাই একমাত্র লক্ষ্য।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য (Suvendu Adhikari)

    সন্দেশখালির স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, “শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আমাদের প্রতিবেশী হলে আমরা খুব খুশি হবো। আমাদের আতঙ্ক অনেকটাই কম হবে। আমাদের সকল সুবিধা অসুবিধার কথা তাঁকে জানাতে পারব। তাঁর এই পদক্ষেপ শুনে আমরা অনেকটাই আশ্বস্ত হয়েছি।” জানা গিয়েছে এই এলাকার পুকুরপাড়া এলাকায় থাকবেন শুভেন্দু। আবার সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল বলেন, “সন্দেশখালির মাটিতে বিজেপিকে আরও শক্তিশালী করতে শুভেন্দু অধিকারী এই পরিকল্পনা নিয়েছেন। আমরা তিন মাসের জন্য বাড়িটি নিচ্ছি।”

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    সন্দেশখালিতে ঘরভাড়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওখানে বাদল দাসের বাড়িতে সেবাকেন্দ্র করা হয়েছে। আমরা ভাড়া নিয়েছি। নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকা এবং তাঁদের আইনি সহযোগিতা করার জন্য এই সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে।” অপর দিকে ঘর ভাড়া নিয়ে আদি তৃণমূল নেতা বাদল দাস বলেন, “আমি এক সময় এলাকায় তৃণমূল করতাম। সেই সঙ্গে একটি ভয় কাজ করছে। তবে এখন আমরা ভয়কে জয় করেছি। আমাদের একটাই সুর ছিল, পার্টি যে যাই করি, আন্দোলন সবাইকার। আমি এলাকার মানুষের চাহিদা বুঝে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share