Tag: Madhyam

Madhyam

  • Medinipur: শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত

    Medinipur: শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল মেদিনীপুর আদালত। উল্লেখ্য ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এই ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। এই হামলায় মোট মৃত্যু হয়েছিল মোট ২৩ জন সেনাকর্মীর। জামিনে থাকা ৯ জন সহ মোট ২২ জনকে আজ মঙ্গলবার মেদিনীপুর (Medinipur) আদালতে তোলা হয়েছিল। একজন অসুস্থ থাকায় তাঁকে আদলাতের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্সে শুয়ে রাখা হয়েছিল।

    সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য (Medinipur)

    মেদিনীপুরের (Medinipur) শিলাদার এই মাওবাদী হামলার ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত মাওবাদী নেতা ছিলেন সুদীপ চোংদার। বর্তমানে তার অবশ্য মৃত্যু হয়েছে। আদালতের রায় প্রসঙ্গে আইনজীবী দেবাশিষ মাইতি বলেন, “ওই ঘটনায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছিল। তার মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন। ৯ জন জামিনে মুক্ত ছিলেন। আজ মঙ্গলবার মোট ২৩ জনকেই আদলাতে তোলা হয়। বিচারক সালিম শাহি সকলকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং জামিনে থাকা ৯ জনকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। বিচারক বুধবার দোষীদের বক্তব্য শুনবেন, এরপর সাজা ঘোষণা করবেন।”

    অপরাধীদের নাম

    সূত্রে জানা গিয়েছে এই মামলা প্রথমে ঝাড়গ্রামে শুরু হয়েছিল। এরপর মামলা মেদিনীপুর (Medinipur) আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মামলায় দোষীদের নাম হল, লোচন সিংহ সর্দার, চুনারাম বাস্কে, রমসাই হাঁসদা, আশিস মাহাত, ধৃতিরঞ্জন মাহাত, অর্ণব দাম, বিষ্ণু সারেন, বুদ্ধেশ্বর মাহাত এবং প্রশান্ত পাত্র। এরা প্রত্যকে জামিনে মুক্ত ছিল। অপরে জেলা হেফাজতে ছিল শ্যামচরণ হাঁসদা, রাজেশ হাঁসদা, শুকলাল সরেন, রাজেশ মুন্ডা, মানস মাহাত, কানাই হাঁসদা, কল্পনা মাইতি, সনাতন সরেন, মনসারাম হেমব্রম, ঠাকুরমনি হেমব্রম, ইন্দ্রজিৎ কর্মকার, কাজল মাহাত, রঞ্জন মুন্ডা এবং মঙ্গল সরেন।

    প্রথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা হয়েছিল

    ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে শিলদা (Medinipur) প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে থাকা ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এই হামলায় ২৪ জন ইএফআর সেনার মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ক্যাম্প তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য এই ক্যাম্পের কাছেই ছিল পুলিশের স্ট্রোক ক্যাম্প। হামলায় জওয়ানদের গুলি করে খুন করা হয়। এরপর ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় । সেই সঙ্গে চালানো হয় অস্ত্র ভাণ্ডারের লুটপাট।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’, দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ মমতার

    Mamata Banerjee: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’, দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’ কার্যত লোকসভার ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইভাবেই আসানসোলে বিধানসভা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। জেলা তৃণমূলের কর্মীদের উপর এবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। উল্লেখ্য গত ২০২১ সালের বিধানসভায় তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। অপর দিকে তাঁকে পরাজিত করেছিলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে তৃণমূলের মধ্যেই অস্বস্থির ছায়া।

    কী বললেন মমতা (Mamata Banerjee)?

    গতকাল সোমবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল দুর্গাপুর সার্কিট হাউসে। বিধানসভা কেন্দ্রিক দলকে জয়ী করার লক্ষ্য মাত্রা ঠিক করা হচ্ছিল। এরপর আসানসোল দক্ষিণের কথা উঠলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতবারের বিধানসভায় এই কেন্দ্রের হারকে নিয়ে তিনি বলেন, “আমার কাছে সব খবর রয়েছে। জেলার তৃণমূলের নেতারা বিশ্বাস ঘাতকতা করলে কাউকেই ছেড়ে কথা বলা হবেনা।” সেই সঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে নির্বাচনের সময় পিছনের সারিতে থাকার কথা বলেছেন তিনি। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এসেছে আমার কানে। দলের কর্মীদের বাদ দিয়ে বিরোধী দলের কর্মীদের কলকারখানা, সরকারি-বেসরকারি জায়গায় কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এমন কাজ করেছেন তাঁরা ঠিক কাজ করেননি।”

    দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন সায়নী

    আসানসোলে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজয়ের পর সায়নী সেই সময় বলেছিলেন, “কিছু ভাল খেলা হয়েছে। কিছু খারাপ খেলাও হোয়েছে। তুমিও জানো আমিও জানি, কে ঠিক করে খেলেছে আবার কে ভুল খেলেছে। কে দলের হয়ে খেলেছে আবার কে দলের বিরুদ্ধে খেলেছে। সব থেকে বেশি কর্মীরাই জানেন।” তাই মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল স্পষ্ট বলে মনে করছে বিজেপি। মমতার স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, “প্রত্যেকে বিধানসভার যে সব আসনে তৃণমূলের বিধায়কেরা রয়েছেন, সেই সব আসনে লোকসভা ভোটে তাঁদেরকে দায়িত্ব নিয়ে জয়ী করতে হবে দলের প্রার্থীদের। বাকি আসনের দায়িত্ব থাকবে জেলা নেতৃত্বের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে পা গলিয়েছেন মমতা”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে পা গলিয়েছেন মমতা”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ব্যরাকপুরে আইনজীবী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে গণেশ পুজো উপলক্ষে যান। তিনি বলেন, “মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি, কোনও রাজনৈতিকই কারণ নেই। তবে আমরা সংগ্রামী যৌথমঞ্চের পক্ষে থেকে একসঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্থ পিসি-ভাইপোর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।”

    ঠিক কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    ব্যরাকপুরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই দিন সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে এসেছি কৌস্তভের বাড়িতে। তবে পিসি-ভাইপো যেখানে, কৌস্তভ নেই সেখানে। এখন কংগ্রেস, মমতা-অভিষেকের কাছে আত্ম সমর্পণ করেছে। তাই সেখানে কৌস্তভ নেই। বাকিটা তাঁকেই ঠিক করতে হবে। আগামী সময়ে বলবে কী হবে। চোরেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখের মধ্যে অন্যতম মুখ হলেন কৌস্তভ। বাংলাকে বাঁচাতে হলে একমাত্র বিকল্প হল বিজেপি। সিপিএম-কংগ্রেস, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেছে। দেশে মোদির বিকল্প কিছুই নেই। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজে কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন। তিনিও বুঝতে পেড়েছেন বিকল্প একমাত্র বিজেপি। কৌস্তভকেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজনৈতিক সৌজন্য এই রাজ্যে সিপিএম আগেই শেষ করে দিয়েছে, কিন্তু যে টুকু বাকি ছিল তৃণমূল এসে শেষ করে দিয়েছে। কৌস্তভ একজন রাষ্ট্রবাদী সৎ ছেলে এবং দেশপ্রেমী হিসাব পরিচিত।”

    আর কী বললেন?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “দুর্নীতি গ্রস্থ এই সরকার সকলের ফোন ট্যাপ করে। হোয়াটসঅ্যাপ কল করতে হয় সকলকে। কথা বলা যায় না ইচ্ছে থকালেও। ‘চোর মমতা’র শাসনে রাজনৈতিক সৌজন্য বলে কিছু নেই। অন্য রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটে না, কেবলমাত্র এই রাজ্যেই হয়ে থাকে। সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পা গলিয়েছেন। সিপিএম যা শুরু করেছিল মুখ্যমন্ত্রী সেই বৃত্ত পূর্ণ করেছেন। এই কালচারের বদল ঘটা দরকার। সরকারের দুর্নীতিগ্রস্থ পরিবার তন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলের সঙ্গে আমরা আছি। লক্ষ্য যেহেতু এক, তাই শুধু পুজোতে নয়, রাজনৈতিক মঞ্চেও একসঙ্গে কাজ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সন্দেশখালিকাণ্ডে বহরমপুরেও নির্বিচারে লাঠিচার্জ পুলিশের, কাঁদানে গ্যাস, রণক্ষেত্র এলাকা

    Murshidabad: সন্দেশখালিকাণ্ডে বহরমপুরেও নির্বিচারে লাঠিচার্জ পুলিশের, কাঁদানে গ্যাস, রণক্ষেত্র এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির পর এবার মুর্শিদাবাদেও (Murshidabad) বাম কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে। উল্লেখ্য, আজ বহরমপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলন ছিল। রাজ্য জুড়ে নারী নির্যাতন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই আন্দলেনের ডাক দিয়েছিল বামেরা। এরপর বামকর্মীরা পুলিশের উপর ইট ছুড়লে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকদের উপর ব্যাপক লাঠচার্জ করে বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত ওঠে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, তিনি পোস্ট অফিসে কাজ করতে গিয়েছিলেন। পুলিশের মারে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    দাবি কী ছিল (Murshidabad)?

    শ্রমিক কৃষক খেতমজুরদের পক্ষ থেকে আজ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জেলাশাসকের (Murshidabad) দপ্তর অভিযান করা হয়। আইন অমান্য ও জেলভরো আন্দোলনে সামিল হন সিপিএমের সমস্ত সহযোগী দলগুলি। বহরমপুরের পঞ্চাননতলা থেকে মিছিল শুরু হয়ে টেক্সটাইল মোড়ে এসে শেষ হয়। প্রথমে বাধা দেয় বহরমপুর পুলিশ প্রশাসন। এরপর পুরো এলাকাকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। মিছিল রুখতেই রীতিমতো শুরু হয় সিপিএম সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। লাঠিচার্জ করে পুলিশ, তাতে অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হয় বলে জানা গিয়েছে। ছোড়া হয়ে টিআর গ্যাস, মিছিল বাঞ্চাল করাই উদ্দেশ্যে ছিল।

    পূর্ব বর্ধমানে বিক্ষোভ

    সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সরকারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ, বিদুৎ বিল, স্মার্টমিটার বাতিল, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি বেসরকারিকরণ বন্ধ করা সহ বিভিন্ন দাবিতে আইন অমান্য কর্মসূচি হল বর্ধমানে। পূর্ব বর্ধমান জেলা সি.আই.টি.ইউর আহ্বানে আইন অমান্যের কর্মসূচীর জন্য জিটি রোডে বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড গড়ে তোলে পুলিশ প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মতো বর্ধমানেও শ্রমিক সংগঠনের আইন অমান্যের মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশ সঙ্গে একপ্রস্ত ধস্তাধস্তি চলে আন্দোলনকারীদের। তারপর বাদামতলার মোড়ে ব্যারিকেডে আটকে পড়ে আন্দোলনকারীরা।সেখানেই পথসভা করা হয় সিটুর পক্ষ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mount Everest: আর যত্রতত্র ত্যাগ নয়, মলের ব্যাগ বহন করতে হবে এভারেস্ট অভিযাত্রীদের

    Mount Everest: আর যত্রতত্র ত্যাগ নয়, মলের ব্যাগ বহন করতে হবে এভারেস্ট অভিযাত্রীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এভারেস্ট (Mount Everest) অভিযাত্রীদের জন্য নতুন নিয়ম আনছে নেপালের স্থানীয় প্রশাসন। পিঠে মলের ব্যাগ বহন করেই শৃঙ্গজয় করতে হবে আরোহীদের। অভিযানে যাওয়ার আগে বেসক্যাম্প থেকেই নিজেদের মল-মূত্রের ব্যাগ সংগ্রহ করে নিতে হবে। যাত্রাপথে নিজেদের মল-মূত্র সহ যাবতীয় বর্জ্য জমা রাখতে হবে ওই ব্যাগেই। পাহাড়ের প্রকৃতিক পরিবেশ যাতে নষ্ট বা দূষণ না হয় সেই জন্যই এই নিয়মের কথা বলা হয়েছে।

    পাসাং লামু গ্রামীণ পুরসভার সিদ্ধান্ত (Mount Everest)

    প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে এভারেস্ট পর্বতে (Mount Everest) আরোহণ করার অভিসন্ধি অনেক আরোহীদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। দুর্গম শৃঙ্গজয়ের লক্ষ্যে ছুটে যান দেশ-বিদেশের নানা আরোহীরা। বহু পর্বত আরোহীদের আনাগোনার কারণে পাহাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট বা দূষিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল। আর তাই এভারেস্ট এবং লোৎসে পর্বত অভিযানের সময় বর্জ্য-পদার্থ ব্যাগেই বহন করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। পরিবেশকে সুস্থ্য রাখতে এই নিয়মের কথা জানিয়েছে পাসাং লামু গ্রামীণ পুরসভা। আবার এসপিসিসি-এর প্রধান কর্মী ছিরিং শেরপা বলেছেন, “একজন পর্বতারোহী প্রতিদিন প্রায় ২৫০ গ্রাম মলমূত্র ত্যাগ করেন। একজন পর্বতারোহী প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চূড়ায় ওঠার চেষ্টা করেন। সেই হিসাবে আমরা দুটি ব্যাগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছি, যার প্রতিটিকে পাঁচ থেকে ছয় বার ব্যবহার করা যাবে।“

    কী জানালো পুরসভার চিয়ারম্যন

    দিন দিন পাহাড়ের (Mount Everest) পরিবেশ মল-মূত্র এবং নানান বর্জ্য পদার্থের কারণের দুষণের মাত্রা ব্যাপক আকার নিয়েছে। এই বিষয়ে তাই প্রতিরোধ করতে পাসাং লামু গ্রামীণ পুরসভার চেয়ারম্যান মিঙ্গমা শেরপা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “পাহাড়ের গায়ে প্রচুর বর্জ্য পদার্থ পড়ে থাকার অভিযোগ মিলেছে। পর্বতারোহীরা ইতিমধ্যে প্রচুর পরিমাণে অভিযোগ জানিয়েছেন। ফলে পাহাড়ের জনস্বাস্থ্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের কথা মাথায় রেখে আরোহীদের বর্জ্যপদার্থ জমা করার ব্যাগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। এবার থেকে অভিযান শুরুর আগে বেসক্যাম্প থেকেই এই ব্যাগ সংগ্রহ করতে হবে। একই ভাবে অভিযান শেষ করে বেস ক্যাম্পে এসেই সেই ব্যাগ জমা করতে হবে। ব্যাগকে পুরসভা থেকে নিরীক্ষণ করা হবে।”

    কীভাবে পাহাড়ে দূষণ হয়

    পর্বতারোহীরা (Mount Everest)  প্রথমে পাহাড়ের আবহাওয়া এবং উচ্চতা অনুসারে তাপমাত্রার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে কিছু দিন বেসক্যাম্প থাকেন। সেই সময় তাঁবু খাটিয়ে আলাদা করে শৌচক্রিয়া করতে হয়। এই সময় সঙ্গে থাকে ব্যারেল, তাতেই বর্জ্য জমা হয়। কিন্তু পাহাড়ে ওঠার সময় বেস ক্যাম্পে ফিরে শৌচক্রিয়া সম্ভব নয়, ফলে অপেক্ষাকৃত কম বরফে গর্ত করে করতে হয় প্রাকৃতিক কাজ। কিন্তু তাপমাত্রা কারণে সেই বর্জ্য মাটিতে মিশতে পারে না। বরফ এবং গলা জলের সঙ্গে চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। ফলে দূষণ বাড়ে। এই দূষণ থেকে রক্ষা পেতে পুরসভা দিতে চলেছে ব্যাগ।  

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রেশনের চাল-ডাল বাজারে বিক্রি করছেন ডিস্ট্রিবিউটর, ইডি-র দ্বারস্থ গ্রাহকেরা

    Murshidabad: রেশনের চাল-ডাল বাজারে বিক্রি করছেন ডিস্ট্রিবিউটর, ইডি-র দ্বারস্থ গ্রাহকেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোলা বাজারে রেশনের চাল-ডাল বিক্রির অভিযোগ। এবার রেশন ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে ইডির কাছে অভিযোগ করে চিঠি করলেন বঞ্চিত গ্রাহকেরা। অবৈধ ভাবে ওই রেশনের ডিলার কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)।

    উল্লেখ্য, রাজ্যের রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। একই ভাবে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা বাকিবুর রহমান, প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর শঙ্কর আঢ্য। উদ্ধার হয়েছে পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির হিসেব। ইতিমধ্যে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। এরপর থেকে উত্তর ২৪ পরগনা রাজনৈতিক ভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে। এবার এই রেশন দুর্নীতির কথা বলে সরব হয়েছে গ্রাহকেরেই।

    মূল অভিযোগ কী(Murshidabad)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলের সামশেরগঞ্জ এবং ফরাক্কা ব্লকের বেশ কিছু জায়গায় গ্রাহকেরা কলকাতার ইডির স্পেশাল ডিরেক্টরকে লিখিত ভাবে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন। তাঁরা জানান, সমাসেরগঞ্জের গোরুরহাটের সিতারা বেগম এমআর ডিসট্রিবিউটার। মূলত তাঁর কাজ দেখা শোনা করেন দুই ভাইপো ওয়াসিম হোসেন এবং হোসেন মহম্মদ কাইজার। তাঁদের কাছে মোট বরাদ্দ রেশনের ৫০ শতাংশ খাদ্যশস্য, চাল, গম এবং আটা, রঘুনাথগঞ্জের একটি চালকলে বিক্রির করে দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেক মাসে। কেন্দ্র সরকারের পাঠানো যে রেশন সাধারণ মানুষের প্রাপ্য সামগ্রী, সেই রেশন খোলা বাজারে বিক্রি করে কোটি কোটি অবৈধ কালো টাকা আয় করেছে ডিলার। ঘটনায় সরব এলাকাবাসী।

    মোট রেশন সামগ্রীর পরিমাণ

    স্থানীয় (Murshidabad) সূত্রে মোট রেশন সামগ্রী পাচার হওয়ার পরিমাণ জানা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ ফুড কর্পোরেশনের গোডাউন থেকে এমআর ডিস্ট্রিবিউটর প্রতি মাসে ৬০০টি লরিতে ৬০ হাজার কুইন্টাল খাদ্য সামগ্রী তুলে থাকে। প্রতি লরিতে ১০০ কুইন্টাল খাদ্য সামগ্রী থাকে। এর মধ্যে ২০০ লরি খাদ্য সামগ্রী চালকলে বিক্রি করে আয় করা হয়েছে ৬ কোটি টাকা। রেশনের সঙ্গে প্রাথমিক স্কুলের মিড-ডে-মিলের খাদ্যও খোলা বাজারে বিক্রি করার কাজ চলছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিরাট পরিমাণ বেআইনি এবং দুর্নীতির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলতেই এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “বলুন আমি সর্বশক্তিমান, যা চাই তাই করে দিতে পারি” রাজ্যকে কেন বলল হাইকোর্ট?

    Calcutta High Court: “বলুন আমি সর্বশক্তিমান, যা চাই তাই করে দিতে পারি” রাজ্যকে কেন বলল হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম কটাক্ষ করলেন। স্কুলের পড়ুয়াদের একটাই মাত্র খেলার মাঠ ছিল মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের আখরিগঞ্জ হাই স্কুলে। এই মাঠের বিষয় নিয়ে স্কুলের পড়ুয়ার অভিভাবকেরা মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। এই মামলার পাশে দাঁড়িয়েছে স্কুলের কর্তৃপক্ষও। এই মাঠে আরও একটি স্কুল নির্মাণ করতে গেলে খেলার মাঠ রক্ষা প্রসঙ্গে বিচারপতি, রাজ্য সরকারকে বলেন, “বলুন আমি সর্ব শক্তিমান, যা চাইবো তাই করে দিতে পারি।”

    কী বললেন বিচারপতি (Calcutta High Court)?

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “বলুন না আমি সর্ব শক্তিমান, আমি যা চাইবো, তাই করে দিতে পারি।” একই সঙ্গে আরও বলেন, “রাজ্য সরকার যদি আদালতে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানাতে না পারে তাহলে স্কুল নির্মাণের কাজে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে।” আবার রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, “জমিটি সরকারের তাই জমিতে কী করা হবে তা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত।” এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, “অন্যের জায়গায় নতুন নির্মাণ! যা খুশি করুন। স্কুল ভেঙে দিন। মানুষকে আর শিক্ষা দিতে হবে না। স্কুলটি সরকার পরিচালিত হওয়ার পরেও সরকার তাঁর বিরোধিতা করছে। ক্ষমতা দেখানো হচ্ছে।” আবার পালটা রাজ্য বলে যে খেলার মাঠের জমির পরিমাণ ১.৭৮ একর। ওখানে একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল নির্মাণ করতে চাই। উত্তরে বিচারপতি বলেন, “দুই স্কুলের জন্য এক একর জমি খেলার মাঠের জন্য ছেড়ে রাখুন। জেনে আসুন কী করবেন? না হলে ওই নির্মাণে স্থগিতাদেশ দেবো।”

    খেলার মাঠ নিয়ে অভিযোগ কী?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, “স্কুলের তিন হাজার পড়ুয়া খেলা করে। স্কুলের মাঠ একটাই। স্কুলের জমিদান করেছিলেন একজন ব্যক্তি। কিন্তু একই জমিতে আরও একটি স্কুল খুলতে চাইছে এই রাজ্যের সরকার। ফলে স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য কোনও খেলার মাঠ থাকবে না। এই খেলার মাঠ রক্ষার জন্য হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি মামলা হয় এবং এই মামলায় প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। এরপর রাজ্য সরকারকে সমালোচনা করেন প্রধান বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: দুর্গাপুরের হস্টেলে পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু! পরিবারের অভিযোগ ব়্যাগিংয়ের

    Durgapur: দুর্গাপুরের হস্টেলে পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু! পরিবারের অভিযোগ ব়্যাগিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের (Durgapur) হস্টেলে ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। পরিবারের তরফ থেকে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন সহপাঠী, কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং হোস্টেলের সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

    মৃত পড়ুয়ার পরিচয় (Durgapur)

    স্থানীয় (Durgapur) সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম রাজদীপ সরকার, বয়স ১৮। পূর্ব বর্ধমানের আউশ গ্রামের দাড়িয়াপুরের বাসিন্দা। দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার ২৫ নম্বর ওয়র্ডের ফুলঝোড় মোড়ের কাছেই একটি বেসকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিবিএ প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন তিনি। কলেজের হোস্টেলই থেকে পড়াশুনা করতেন রাজদীপ।

    মৃত ছাত্রের পরিবারের বক্তব্য

    মৃত পড়ুয়া রাজদীপের জেঠু চঞ্চল সর্দার বলেন, “রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ কলেজের (Durgapur) হোস্টেলের ছাদ থেকে রাজদীপ পড়ে গিয়েছে বলে কলজে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল। গুরুতর অবস্থায় বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতলে যেতে যেতেই আমরা মৃত্যুর খবর পাই। তবে রাজদীপের চোখে মুখে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ একবার বলছে ছাদ থেকে মৃত্যু আবার বলছে বিছানা থেকে পড়ে মৃত্যু! উভয় ঘটনায় ব্যাপক সন্দেহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে ব়্যাগিং করা হয়েছে।”

    কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    ঘটনায় কলেজ (Durgapur) কর্তৃপক্ষের অধ্যক্ষ রাজদীপ রায় জানিয়েছেন, “ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ মিথ্যা। রাজদীপ এবং সিদ্ধার্থ নামের এক পড়ুয়া গল্প করছিল। সেই সময় বিছানা থেকে পড়ে যায়। মেঝেতে থাকা স্টিলের একটি গ্লাসে আঘাত লাগে তাঁর মুখে। তাই চোখে মুখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।” অপর দিকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি পূর্ব অভিষেক মোদি জানান, “পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত শুরু করেছি। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ashok Chavan: কংগ্রেসে ফের ভাঙন! দল ছাড়লেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আশোক চহ্বাণ

    Ashok Chavan: কংগ্রেসে ফের ভাঙন! দল ছাড়লেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আশোক চহ্বাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ফের কংগ্রেসে ভাঙন। এবার শতাব্দীপ্রাচীন দল ছাড়লেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আশোক চহ্বাণ (Ashok Chavan)। উল্লেখ্য, গতমাসে কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা কংগ্রেস ছেড়ে মহারাষ্ট্রে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবশেনায় যোগদান করেছিলেন। আরও দুর্বল হল কংগ্রেস, দেশের জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল। এবার কি বিজেপিতে যোগদান করবেন? তীব্র জল্পনা।

    স্পিকারকে পদত্যাগপত্র  দিয়ে কী বললেন (Ashok Chavan)

    কংগ্রেস বিধায়ক আশোক চহ্বাণ (Ashok Chavan) সোমবার সকালেই প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়েছেন। মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নারভেকরের সঙ্গে দেখা করে নিজের ইস্তফাপত্র জমা করেন। আশোক হলেন মহারাষ্ট্রের ভোকার কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক। বিধায়ক হিসাবে পদত্যাগের পর কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাটোলেকে চিঠি দিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দলের সদস্যপদ ছাড়ার কথা জানান। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি সারা জীবন ধরে একজন কংগ্রেসের কর্মী ছিলাম এবং সততার সঙ্গে দলের জন্য কাজ করেছি। দল ছেড়েছি আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে।”

    কেন দল ছাড়লেন?

    কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, আশোক (Ashok Chavan) দলের সংগঠনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। দলের সূত্রে আরও খবর মিলেছে, লোকসভার প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে মত পার্থক্য তৈরি হয়েছিল। আর সেই কারণেই দল ছেড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর এই দল ছাড়ার ফলে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস ব্যাপক দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    বিজেপিতে কি যোগদান করবেন

    সূত্রে জানা গিয়েছে, আশোকের (Ashok Chavan) সঙ্গে বিজেপির একপ্রকার প্রাথমিক কথা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, বিজেপির সমর্থনে মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভায় যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শুধু চহ্বাণ নন, আরও ১০ থেকে ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়তে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। একই ভাবে কংগ্রেস ছেড়ে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপিতে যোগদান করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি। চহ্বাণের বিজেপিতে যোগদান সম্পর্কে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস বলেন, “আমি শুধু একটা কথাই বলব, কংগ্রেসের বহু নেতা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Metro: ‘বন্দে ভারতে’র পর এবার শীঘ্রই আসছে ‘বন্দে মেট্রো’, গতি কত জানেন?

    Vande Metro: ‘বন্দে ভারতে’র পর এবার শীঘ্রই আসছে ‘বন্দে মেট্রো’, গতি কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বল্প দূরত্বের দুই শহরের মধ্যে ঘন্টাপ্রতি ১৩০ কিমি গতির ‘বন্দে মেট্রো’ (Vande Metro) ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় রেল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ‘বন্দে মেট্রো’ ট্রেনগুলি সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা দুই গন্তব্যের মধ্যে চলবে। বন্দে ভারত ট্রেনের আদলেই বন্দে মেট্রো ট্রেনগুলিকে তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বন্দে মেট্রো ট্রেন প্রকল্পের কথা রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ২০২৩ সালের বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন।

    রেলের জিএম কী জানালেন (Vande Metro)?

    রেলের বন্দে মেট্রো (Vande Metro) এই প্রজেক্ট সম্পর্কে রেলের কোচ তৈরি কারখানা ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ) জিএম বিজি মালিয়া বলেছেন, “কম দূরত্বের জন্য দ্রুত, দ্রুত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রায় বন্দে মেট্রো ট্রেন চলবে। এই ট্রেন বন্দে ভারতের ডিজাইনেই প্রস্তুত করা হবে। বন্দে মেট্রোগুলিকে মেইনলাইন ইএমইউ-এর জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হবে। এখন এই প্রজেক্টের জন্য ২৫০ থেকে ৩০০ কিমির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। বন্দে মেট্রো ট্রেনগুলির নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে জানুয়ারি ২০২৪ থেকেই।”

    কেমন হবে বন্দে মেট্রো ট্রেন দেখতে?

    রেলের সূত্রে জিএম বিজি মালিয়া বলেন, “বন্দে মেট্রো (Vande Metro) ট্রেনগুলির গঠন দেখতে অনেকটাই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতোই হবে। কিন্তু পার্থক্যও থাকবে, যা হল বন্দে ভারতের চেয়ারকারের মধ্যে দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না কিন্তু এই মেট্রোগুলিতে দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে। এই ট্রেনে ১০০ জন যাত্রী বসার সুযোগ থাকবে এবং ২০০ জন যাত্রী দাঁড়িয়ে যাত্রা করার সুযোগ পাবেন। ট্রেনগুলি স্বয়ংক্রিয় এবং বাতানুকূল থাকবে। মূলত মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলির জায়গায় এই ট্রেনগুলিকে প্রতিস্থাপন করা হবে। যাত্রীরা স্বল্প সময়ে নিরাপদ দূরত্বে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।”

    আর কী কী সুবিধা  থাকবে ট্রেনে?

    এই বন্দে মেট্রো ট্রেনের (Vande Metro) সর্বোচ্চ গতি থাকবে ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। ট্রেনের কামরা পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ট্রেনের বডির ওজন বেশি ভারি করা হবে না। ট্রেনের সিট হবে হালকা গদি যুক্ত। বেশ প্রসস্থ এবং স্লাইডিং যুক্ত দরজা থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা, পিআইএস সিস্টেম এবং এলসিডি। স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকবে ট্রেনের ভিতরে। মোবাইল চার্জ করার প্লাগ থাকবে। ভ্যাকুয়াম ইভাকুয়েশন সিস্টেম সহ মডুলার টয়লেট থাকবে। এছাড়াও থাকবে রুট নির্ধারণের লাইটের ব্যবহার কামরার ভিতরে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share