Tag: Madhyam

Madhyam

  • Sandeshkhali: “হাজার টাকা দেবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে, রাত কাটাতে হবে  তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে”, আক্রমণ সুকান্তর

    Sandeshkhali: “হাজার টাকা দেবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে, রাত কাটাতে হবে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে”, আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আক্রমণ শানালেন। রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ কিছুই করবে না, কেননা তারা শাহজাহানের পয়সায় লালিত-পালিত হয়। নারী নির্যাতনে আমরা মধ্যযুগীয় বর্বরতা (Sandeshkhali) দেখতে পাচ্ছি এই রাজ্যে।” এছাড়াও তিনি প্রশ্ন তোলেন, “অন্যের স্ত্রীকে কীভাবে পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া যায় তৃণমূলের নেতাদের মনোরঞ্জন করার জন্য?”

    সন্দেশখালিতে নারীরা অসুরক্ষিত (Sandeshkhali)!

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বোঝাই যাচ্ছে মহিলাদের কী চোখে দেখে তৃণমূল। হাজার টাকা দাও, তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে রাত কাটাও। এই অফার চলছে। হাজার টাকা দেবে লক্ষ্মীর ভান্ডারে, রাত কাটাতে হবে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে। কোনও ব্যক্তির স্ত্রীকে রাতে ডেকে নিয়ে সারা রাত রেখে পরের দিন সকালে পৌঁছে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশ কত ভাগ পায়, আমার জানা নেই। পুলিশ সেটাই করছে, মানুষ যাতে মুখ খুলতে না পারে, তাদের বক্তব্য না রাখতে পারে। যেভাবে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, তাতে বাঙালি চুপ করে বসে থাকতে পারে না। আর আজ চুপ থাকলে, আগামী দিনে আপনার-আমার বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে এমনটাই করবে তৃণমূল কংগ্রেস।”

    নিখোঁজ বিজেপি নেতা

    শেখ শাহজাহানের নিখোঁজ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “শাহজাহান কোথায় আছে পুলিশ জানে, শাহজাহানই (Sandeshkhali) পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে কাজ করাচ্ছে। শিবু হাজরা ও তাঁকে খুঁজে পাবে না। যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলবেন তখন পুলিশ গ্রেফতার করবে। আদালতের উচিত নির্দেশ দেওয়া যে শাহজাহানের কান ধরে টেনে নিয়ে আসা হয়। তারপর শুরু হবে খেলা।” আবার সন্দেশখালিতে বিজেপি কনভেনার বিকাশ সিংহকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিকাশ সিং আমাদের ওখানে বহু পুরনো নেতা। তাঁর স্ত্রী খুব চিন্তিত। আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম তাঁকে নৌকায় করে কোথাও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উনাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিজ্ঞেস করায় এসপি বলেন, আমরা বলতে বাধ্য নই। সম্পূর্ণভাবে অনৈতিক কাজ করছে পুলিশ।”

    “মুখ্যমন্ত্রী ঘুমচ্ছেন” (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা এমন একটা বাক্স খুলে দিয়েছে যেখানে তৃণমূলের প্রাণ ভোমরা লুকিয়ে আছে। তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন জায়গায় কীভাবে অত্যাচার করেছে তা সবার সামনে চলে এসেছে। তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পাচ্ছে। তারা চাইছে না, এটা সবার সামনে আসুক। কীভাবে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও মহিলাদের উপর এই ধরনের অত্যাচার হল? এই বাংলার জন্য আমরা গর্ববোধ করি? মহিলাদের নিয়ে একটা কথা বলারও অধিকার নেই এই অভদ্র তৃণমূলের। মুখ্যমন্ত্রী ঘুমচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তা তাঁর বাড়ির মহিলাদের নিয়েই, আর কাউকে নিয়ে নয়।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • GPS Based Toll: যানজট কমাতে চালু হচ্ছে জিপিএস নির্ভর টোল ব্যবস্থা, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    GPS Based Toll: যানজট কমাতে চালু হচ্ছে জিপিএস নির্ভর টোল ব্যবস্থা, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সারা দেশে জিপিএস (GPS Based Toll) নির্ভর টোল ব্যবস্থা কার্যকর হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়করি একথা জানিয়েছেন। দেশের হাইওয়ের টোলপ্লাজগুলিতে বর্তমানে যে ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে পরিবর্তন এনে এবার থেকে জিপিএস নির্ভর টোল আদায়ের পদ্ধতি চালু করা হবে। দেশের সড়ক এবং পরিবহণ দফতরের পক্ষে জানানো হয়েছে, এই ব্যবস্থায় অপেক্ষাকৃত কম যানজট হবে। তাছাড়া নিরাপত্তা এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে কোনও রকম অনুসন্ধান করতে এটি ব্যাপক কার্যকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বছরের আগামী এপ্রিল মাস থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকর করার ইঙ্গিত মিলেছে।

    কী বলেন নিতিন গড়করি (GPS Based Toll)?

    কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়করি জানিয়েছেন, “ফাস্ট ট্যাগের সঙ্গেই জিপিএস (GPS Based Toll) নির্ভর এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে তা প্রথম চালু হবে। হাইওয়েতে ট্রাফিক জ্যাম কমাতেই এই নতুন পদ্ধতির কথা ভাবা হচ্ছে। এই ব্যবস্থার ফলে টোল আদায়ও আরও বাড়বে।” এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও আশা প্রকাশ করে বলেন, “ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়ার বর্তমান রাজস্বের পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা। আগামী ২ থেকে ৩ বছরে এই এই রাজস্বের পরিমাণ দাঁড়াবে ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকা।”

    নতুন টোল আদায় ব্যবস্থা

    এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, “সরকার নতুন প্রযুক্তির বিষয়ে অত্যন্ত আগ্রহী। জিপিএস (GPS Based Toll) নির্ভর টোল ব্যবস্থা গোটা দেশে চালু করতে চায় সরকার। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই প্রকল্প আসবে।” যদিও গত দশ বছরে হাইওয়ের টোল প্লাজার ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এসছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১৮ সালে হাইওয়ের টোল প্লাজাতে গড়ি দাঁড়ানোর সময় ছিল ৮ মিনিট। ফাস্ট ট্যাগ পদ্ধতির ফলে টোলপ্লাজায় এখন গাড়ি দাঁড়ানোর সময় কমে হয়েছে মাত্র ৪৭ সেকেন্ড। জিপিএস নির্ভর পদ্ধতি চালু হলে আগামী দিনে আরও সময় কম হবে বলে জানা গিয়েছে।

    কেমন হবে ব্যবস্থা

    জিপিএস নির্ভর ইলেকট্রনিক টোল (GPS Based Toll) গ্রহণ ব্যবস্থায় হাইওয়েতে থাকা ক্যামেরার মাধ্যমে একটি স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট গণনার সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। এর মাধ্যমে যানবাহনের কতটা দূরত্বের পথ অতিক্রম করছে সেই বিষয়ের উপর নির্ভর করে টোল ধার্য করা হব। এই পদ্ধতিতে গাড়ি চালানোর সময় গতিবিধি নিরীক্ষণ করে, সঠিকভাবে টোল করা অংশগুলিতে চালকদের প্রবেশ এবং প্রস্থানগুলিকে খুব সহজেই চিহ্নিত করা থাকবে। একই সঙ্গে গাড়ির যাত্রাপথের দূরত্বকে বিশ্লেষণ করবে। গাড়ির চালক যে টোল প্লাজাগুলি অতিক্রম করেছেন তাও সুনিশ্চিত করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কালীঘাটে রেড করলেই শাহজাহানকে পাওয়া যাবে”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “কালীঘাটে রেড করলেই শাহজাহানকে পাওয়া যাবে”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আমতলায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী কার্যালয় থেকে কিছুটা দূরে, দলের মন্ডল সভাপতিদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন ও কর্মীসভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ অন্যান্যরা। মূলত এদিনের এই জনসভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), মমতার ভাইপোকে ‘চোর’ বলে আখ্যায়িত করেন। আবার একই ভাবে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে শাহজাহান সম্পর্কে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাহজাহান একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া করছে তাই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছেনা”।

    সন্দেশখালি নিয়ে কী বলেন (Suvendu Adhikari)?

    সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “পুলিশকে আর গ্রেফতার করতে হবে না। সন্দেশখালির মা-বোনেরা জেগে গিয়েছেন। এবারে তাঁরাই ধরবে তৃণমূলের দুষ্কৃতী শিবুকে। শাহজাহান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই রয়েছে। কালীঘাটে রেড করুক তাঁকে পাওয়া যাবে। প্রতিদিন রাতের ডিনার এবং মধ্যাহ্ন ভোজন করছেন একসঙ্গে। ২০১১ আগে নন্দীগ্রাম ছিল এবার তৃণমূলের আমলে সন্দেশখালি হল।” অন্যদিকে তৃণমূল নেতা দেবাশীষ হাজরাকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস এইসব নাটক করছে, এছাড়া অন্য কোনও কিছুই নয়।” অপর দিকে এদিনের সভাস্থল থেকে তিনি আরও বলেন, “শীঘ্রই সিএএ লাগু হবে বাংলায়।”

    দেব প্রসঙ্গে কী বলেন?

    ঘাটালের প্রার্থী হওয়া নিয়ে দেব ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক প্রসঙ্গের বিষয় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আমতলার সভায় বলেন, “কোনও লাভ হবে না, ঘাটালে বিজেপি ২ লাখ ভোটে জয়লাভ করবে। কেউ পাগল নয় যে দেশটাকে আফগানিস্তান-ইউক্রেন করতে চাইবে। মোদি জিকে সকলে ভোট দেবে।” পাশাপাশি বিশিষ্ট অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং আগামী লোকসভায় একসঙ্গে তাঁরা দুজনে প্রচার কর্মসূচি করবেন এমনটাও জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: পরীক্ষায় নকল করতে না পারায় মাধ্যমিক কেন্দ্রে চলল ব্যাপক ভাঙচুর, জ্বলল আগুন!

    Uttar Dinajpur: পরীক্ষায় নকল করতে না পারায় মাধ্যমিক কেন্দ্রে চলল ব্যাপক ভাঙচুর, জ্বলল আগুন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিক পরীক্ষায় নকল করতে না পাড়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালানোর ঘটনা ঘটল স্কুলে। স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নকল করতে বাধা প্রদান করা হয়েছিল ছিল বলে জানা গিয়েছে। আর তাতেই এক শ্রেণির পরীক্ষার্থীরা আগুন জ্বালিয়ে চেয়ার, টেবিল এবং ফ্যান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইটাহারে।

    পড়ুয়াদের শান্ত করতে আসে পুলিশ (Uttar Dinajpur)

    শনিবার উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইটাহার হাইস্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষায় নকল করার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছাড়ায়। এই দিন স্কুলে ভৌত বিজ্ঞানের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার সময় নকল করতে স্কুলের শিক্ষকেরা বাধা দিলে নকল করার সুযোগ পায়নি পড়ুয়ারা। ছাত্রদের একাংশের মধ্যে এই নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা যায়। এরপর স্কুলের একাধিক ক্লাস রুমে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। অবশেষে পড়ুয়াদের শান্ত করতে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করে পরিস্থিতি।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য

    ইটাহার (Uttar Dinajpur) স্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ ধর বলেন, “ওই স্কুলে বানবোল উচ্চ বিদ্যালয়, মারনাই উচ্চ বিদ্যালয়, কাপাসিয়া উচ্চবিদ্যালয়, দিগনা হাই স্কুলের পরীক্ষার্থীরা ছিল। তারা স্কুলের দেওয়াল ঘড়ি, চেয়ার, টেবিল, বৈদ্যুতিক ফ্যান ভাঙচুর করে।” অপর দিকে বানবোল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিপুল মৈত্র বলেন, “আমাদের স্কুলের পরীক্ষার্থী এইসব ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। তদন্ত করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।”

    ঘটনার তদন্ত শুরু

    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পাশপাশি বিডিও এবং প্রশাসনের কাছে ঘটনার বিবরণ দিয়ে ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, মাত্র কয়েক দিন আগেই নতুন ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু আজ পরীক্ষার শেষে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় (Uttar Dinajpur) থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: অজয় নদে জেসিবি মেশিন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বালি পাচার! ক্ষোভ বিজেপির  

    Purba Bardhaman: অজয় নদে জেসিবি মেশিন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বালি পাচার! ক্ষোভ বিজেপির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মঙ্গলকোর্টের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে অজয় নদ। এই নদের দুই পাড় থেকে বালু চুরি করে পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজস্ব না দিয়েই অবাধে বালি চুরি করে নেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোনও রকম সরকারের অনুমতি নেওয়ার বালাই নেই। বিএলআরও এফআইআর করলেও বালিপাচারে নিস্ক্রিয় পুলিশ। একেবারে কার্যত পাইপ লাগিয়ে জেসিবি মেশিন দিয়ে অবাদে বালি চুরির ঘটনা ঘটছে। একই ভাবে সরকারি রাজস্বে প্রচুর ক্ষতির অভিযোগও উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

    বিজেপির অভিযোগ (Purba Bardhaman)

    অবাদে অজয় নদ (Purba Bardhaman) থেকে বালি চুরির ঘটনায় স্থানীয় বিজেপির পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ হল, “শাসক দল, পুলিশ, বিএলআরও একত্রিত বোঝাপড়া করে মাঝে মাঝে তাল্লাশি বা অভিযান করেন বটে, কিন্তু তাঁরা একত্রিত হয়ে সংগঠিত ভাবে এই পাচারকাণ্ডে অংশীদার হচ্ছেন।” ইতিমধ্যে বিজেপির পক্ষ থেকে এসডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এই এলাকার বিজেপি নেতা আলোকতরঙ্গ গোস্বামী জানিয়েছেন, “প্রশাসনকে অভিযোগ করেও কোনও লাভ হচ্ছে না।” অপর দিকে ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক, পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

    ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের বক্তব্য

    এই অবাদ বালি চুরির ঘটনায় স্থানীয় (Purba Bardhaman) ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক রাহুল ঘোষ বলেন, “যখনই অভিযোগ পাচ্ছি সঙ্গে সঙ্গে রেইড করছি। এই প্রক্রিয়া নিয়মিত ভাবে করছি। গত বছর ডিসেম্বর মাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে থানায় একটি এফআইআর করা হয়। কিন্তু প্রশাসনের অভিযোগের পরেও কেন পুলিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে না? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে পুলিশই বলতে পারবে, আমি কিছু জানিনা।”

    মহকুমা শাসকের বক্তব্য

    মঙ্গলকোর্টে (Purba Bardhaman) অজয় নদের বালি চুরির ঘটনায় কাটোয়া মহকুমা শাসক অর্চনা পো ওয়াংখেড়ের জানিয়েছেন, “বিএলআরও বলেছেন থানায় এফআইআর করা হয়েছে। আমি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা দ্রুত করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: ধানীর মতো অনাহার-অপুষ্টির শিকার আরও অনেক চা শ্রমিক, দাবি মজদুর কমিটির

    Alipurduar: ধানীর মতো অনাহার-অপুষ্টির শিকার আরও অনেক চা শ্রমিক, দাবি মজদুর কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু মৃত ধানী ওরাওঁ বা তাঁর স্ত্রী নন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি ব্লকের মধু চা বাগানের খাদ্যসঙ্কট এবং অপুষ্টিতে ভুগছেন আরও অনেক চা শ্রমিক। এইরকম চা শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৩০ জন। গতকাল শুক্রবার এমনই অভিযোগ করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গ চা মজদুর কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য বিনয় কেরকাট্টা।

    উল্লখ্য, সম্প্রতি অনাহারে মৃত্যর ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়েছে। রাজ্য প্রশাসনের এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের চূড়ান্ত নির্মমতার অভিযোগ করেছেন ওই বাগানের শ্রমিকদের একাংশের মানুষ। ২০০৪ সালে বাম আমলে ঝাড়গ্রামের আমলাশোলে একই রকম অনাহার, অপুষ্টিতে বেশ কিছু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। এই রাজ্যে ২০১১ সালে রাজনৈতিক পালা পরিবর্তনের পর থেকেও চিত্রটা একদম বদলায়নি। রাজ্যের উন্নয়নের জোয়ারে এখন মা-মাটি সরকারের ঘুম কবে ভাঙবে উঠছে প্রশ্ন।

    কী বলেন মজদুর সংগঠন (Alipurduar)?

    কয়েকদিন আগে কালচিনিতে (Alipurduar) অনাহারে অপুষ্টিতে চা বাগানে শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় বিনয় কেরাকাট্টা বলেছেন, “ধানী ও তাঁর স্ত্রী ছাড়াও মধু বাগানে আরও ৩০ জন স্থায়ী, অস্থায়ী এবং অবসর প্রাপ্ত শ্রমিক অপুষ্টির সমস্যায় ভুগছেন। আবার অনেকে রেশন পেলেও পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছেন না। সঠিক সময়ে বেতন না পাওয়ায়, খাবার কিনে খাওয়ার মতো পরিস্থিতির মধ্যে নেই তাঁরা। বাধ্য হয়ে অনেকে ফুল, গাছের পাতা তুলে রান্না করে খাচ্ছেন। নেতারা কেবল ভোটের সমানে এসে প্রতিশ্রুতি দিলে সমস্যা সমাধান নিয়ে কেউ ভাবেন না। ভোট চাইতে আসেন আবার ভোট মিটে গেলে ভুলে যান। শ্রমিকদের জীবন জীবিকা নিয়ে কেউ চিন্তিত নন।”

    ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ান কংগ্রেসের বক্তব্য

    শুধু কালচিনির (Alipurduar) মধু বাগান নয় উত্তরের আরও অনেক বাগানের অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ান কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি নির্মল দাস এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “অনেক বাগানের শ্রমিকেরা নানান দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ খুব করুণ অবস্থায় রয়েছেন। রাজ্যের তৃণমূল সরকার চা শ্রমিকদের নিয়ে কিছু ভাবছে না। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আমরা পথে নামবো।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই সমস্ত অভিযোগের কথা অস্বীকার করে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা সাতালি গ্রাম পঞ্চায়েত (Alipurduar) উপপ্রধান ইসদর খারিয়া পালটা বক্তব্য দিয়ের জানিয়েছেন, “গত ৮ বছর ধরে বাগান বন্ধ। করোনার জন্য লকডাউন ছিল। সেই সময়ে কোনও শ্রমিকের মৃত্যু হয়নি। এখনও তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। অনেকে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কে চরিতার্থ করতে এই রকম অভিযোগ করছেন। আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে আছি। ধানীবাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সমস্যা ছিল, আমরা তাঁকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: তারাপীঠে মা তারার মন্দিরে বিয়ে করতে চান? নিয়ম না মানলে কিন্তু ঠাঁই হতে পারে শ্রীঘরে

    Tarapith: তারাপীঠে মা তারার মন্দিরে বিয়ে করতে চান? নিয়ম না মানলে কিন্তু ঠাঁই হতে পারে শ্রীঘরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠ (Tarapith) হল সতীর ৫১টি পীঠের একটি। এই পীঠস্থানে অনেক পাত্র-পাত্রীর বিবাহ সম্পন্ন হয়ে থাকে। এবার থেকে এই তারামায়ের মন্দিরে বিবাহ অনুষ্ঠানের নিয়ম-রীতি আরও কড়া করা হল। শুধু শাঁখা-পলা, সিঁদুর কৌটো নিয়ে হাজির হলে হবে না। নতুন নিয়মাবলীকে মান্যতা দিতে হবে। মা তারার মন্দিরে বিয়ে করার কী কী নিয়ম ঠিক করা হয়েছে, আসুন জেনে নিই।

    নতুন কী কী নিয়ম করা হল (Tarapith)?

    তারাপীঠে (Tarapith) এই নিয়ম নির্ধারণের পিছনে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। সেগুলি স্পষ্ট করে জানিয়েছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি। বিবাহের ক্ষেত্রে করোনাকাল থেকেই অনেক নিয়মাবলী প্রকাশ করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। বিবাহবন্ধন যেন অটুট থাকে, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ। যাঁরা দম্পতি হচ্ছেন, তাঁরা সারা জীবন যাতে সুখে সংসার করতে পারেন, সেই বিষয়ে নজর রাখাই মূল লক্ষ্য। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমে দেখা হবে পাত্র-পাত্রীর পরিচয়পত্র। তার পর খবর দেওয়া হয় দু’পক্ষের পরিবারকে। নাবালক বা নাবালিকা যদি হয়, সেক্ষেত্রে বিয়ে দেওয়া যাবে না মন্দিরে। আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এমন কোনও বিষয় থাকলে বিবাহ দেওয়া যাবে না। এছাড়া অসাধু ব্যক্তিবর্গ অনেক সময় পাত্রীকে নেশাসক্ত করিয়ে বিবাহ করাতে চলে আসে। সেক্ষেত্র কোনও অসঙ্গতি লক্ষ্য করলে মন্দির কমিটি তৎক্ষণাৎ পুলিশ-প্রশাসনকে জানাতে বাধ্য থাকবে। সেই সঙ্গে তারাপীঠের হোটেলে প্রাপ্তবয়স্ক প্রেমিক-প্রেমিকাদের রুম দেওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কারণ, অনেকে মন্দিরে ভুয়ো বিয়ে করার ছবি তুলে রুম ভাড়া নিয়ে থাকে। এই বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া মন্দিরের মূল গর্ভগৃহে বিবাহের কাজ করা যাবে না। মায়ের মন্দিরের বাইরে অবস্থিত ছোট মন্দিরগুলিতে বিয়ে হতে পারে, যেমন ষষ্ঠী মন্দির, শিব মন্দির ইত্যাদি।

    মন্দির কমিটির বক্তব্য

    তারাপীঠ (Tarapith) মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কে কখন বিয়ে করল, সব সময় তো নজর রাখা সম্ভব হয় না। তবে যাঁরা পুরোহিত ডেকে বিয়ে করার কথা ভাবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আমরা একটা নিয়ম মেনে চলি। যদিও মন্দিরের বারান্দায় বন্ধুবান্ধব নিয়ে হইহুল্লোড় করে অনেকে বিয়ে সেরে নেন। এমনও ঘটনা নজরে আসে। তবে সব মিলিয়ে তারাপীঠ মন্দিরে বিয়ে করতে গেলে পাত্র-পাত্রীকে মানতে হবে নিয়ম। সঙ্গে থাকতে হবে সঠিক পরিচয়পত্র। পাত্রীকে থাকতে হবে শারীরিক ভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক। সন্দেহ হলে আটকে যাবে বিয়ে। এমনকী যেতে হতে পারে শ্রীঘরেও।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: হাসপাতালের বুড়ি ছুঁয়ে চুটিয়ে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস! ২২ ডাক্তারের বেতন বন্ধ

    Siliguri: হাসপাতালের বুড়ি ছুঁয়ে চুটিয়ে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস! ২২ ডাক্তারের বেতন বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালে ডাক্তাররা থাকেন না, তাঁরা ব্যস্ত প্রাইভেট প্র্যাক্টিসে। অবশ্য এই অভিযোগ বার বার আগেও ব্যাপক ভাবে করা হয়েছিল। কিন্তু তেমন ভাবে রাশ টানা যায়নি। এবার এই একই অভিযোগকে সমানে রেখে ২২ জন প্রফেসর পর্যায়ের চিকিৎসকের বেতন আটকে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য রাজ্য জুড়ে কলকাতা থেকে বদলি হয়ে আসা অনেক ডাক্তার ঠিক মতো জেলার সরকারি হাসপাতালের ডিউটি করেন না। অধিকাংশ সময়ে ব্যক্তিগত নার্সিংহোম অথবা কলকাতায় নিজস্ব চেম্বারে রোগী দেখেন। এমন ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে শিলিগুড়ির (Siliguri) উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। জেলাবাসীর অভিযোগ, রাজ্যের জেলার প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিতে এমন ঘটনা প্রচুর ঘটে চলেছে। প্রশাসনকে জানিয়েও সব ক্ষেত্রে সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না।

    মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য (Siliguri)

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ (Siliguri) কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রিন্সিপাল ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেছেন, “কাউকেই ছাড়া হবে না। নিজের ডিউটি ঠিক মতো পালন না করে কর্তব্যে গাফিলতি করলে ব্যবস্থা হবেই। প্রতি মাসে এবার থেকে রিভিউ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাপ্য ছুটির বাইরে কেউ অনুপস্থিত থাকলে কাটা হবে বেতন। এর থেকে বেশি প্রকাশ্যে কিছু বলবো না।”

    মেডিক্যাল ডিনের বক্তব্য

    মেডিক্যাল কলেজের (Siliguri) ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, “একদল কাজ করছেন, আর এক দল কাজ করছেন না। ফলে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। মেডিক্যাল কলেজের প্রতি আরও দায়বদ্ধ হতে হবে। মেডিক্যালের সঙ্গে যুক্ত থেকে সুবিধা নিয়ে কাজ না করা এবং নিজের ইচ্ছেমতো অনুপস্থিত থাকা চলবে না।”

    সুশ্রুত নাগরিক মঞ্চের বক্তব্য

    মেডিক্যাল কলেজে থাকা স্থানীয় (Siliguri) সুশ্রুত নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক বলেন, “হাসপাতালে অনুপস্থিত থেকে অনেক ডাক্তার নিজেরা প্রাইভেটে রোগী দেখেন। এই সব দেখার কেউ নেই। কিন্তু বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। সকল রোগী পরিবারের মানুষ পরিষেবা চান। ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। এরপর বড় আন্দোলন করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: আরাবুলকে গ্রেফতারের পরই উত্তপ্ত ভাঙড়, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ

    South 24 Parganas: আরাবুলকে গ্রেফতারের পরই উত্তপ্ত ভাঙড়, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা তথা ভাঙড়ের (South 24 Parganas) প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারে। তৃণমূলের এই ‘তাজা নেতাকে’ গ্রেফতারের পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। আইএসএফ-তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে। আজ আরাবুলকে বারুইপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করবে পুলিশ। অন্যদিকে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লাকেও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। ঘটনায় ভাঙড়ে শোরগোল পড়েছে।

    ঘটনাস্থলে পুলিশ, লাঠিচার্জ

    দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের কোচপুকুরে ব্যাপক উত্তেজনা! আইএসএফ-তৃণমূলের মধ্যে মূলত ঝামেলা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের কোচপুকুরে দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিল তৃণমূল। এই ঘটনায় আইএসএফের পতকা ছিঁড়ে তৃণমূল পতাকা লাগাচ্ছিল বলে অভিযোগ আইএসএফের। পাল্টা তৃণমূলের অভিযোগ, আগে থেকেই মাটিতে ছেড়া অবস্থায় পড়েছিল আইএসএফের পতাকা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের ঝামেলা শুরু হলে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে জানা যাচ্ছে।

    বোমা উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য (South 24 Parganas)

    আরাবুল ইসলাম গ্রেফতারের পর দিনই ভাঙড়ে (South 24 Parganas) উদ্ধার হল বোমা। এলাকায় পোলেরহাট থানার পোলেরহাট হাই স্কুলের পাশে আবর্জনার স্তূপে উদ্ধার হল তাজা বোমা। স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসার পথে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথমে দেখতে পেয়েই স্থানীয় থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পোলেরহাট থানার পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে। তবে বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্কিত এলাকার সাধারণ মানুষজন সহ পরীক্ষার্থীর আত্মীয় পরিজনেরা। পাশেই হাইস্কুলে পরীক্ষার সেন্টার হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যেও। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল-আইএসএফের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল। একাধিক বার বোমা উদ্ধার, বোমা বিস্ফোরণ এবং হত্যার ঘটনায় ব্যাপক রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এবার ফের একবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভাঙড়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ভর্ৎসনা পুলিশকে, হাইকোর্টের নির্দেশে নিখোঁজ নাবালিকার তদন্ত করবে সিবিআই

    Purba Bardhaman: ভর্ৎসনা পুলিশকে, হাইকোর্টের নির্দেশে নিখোঁজ নাবালিকার তদন্ত করবে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত মাস ধরে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) খণ্ডঘোষের নাবালিকা নিখোঁজ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল এবার সিবিআইকে। রাজ্য পুলিশের গাফলতি দেখে আজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনায় ফের একবার ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ। মুখ পুড়ল রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের।

    পুলিশের গাফিলতি (Purba Bardhaman)

    খণ্ডঘোষের (Purba Bardhaman) নাবালিকার নিখোঁজ মামলায় শাসকদলের বিধায়ক সহ বড় বড় নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে চরম গাফিলিতির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় আদালত গত ১৫ জানুয়ারি সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পুলিশের হাতে মামলা থাকাকালীন দুইজন গ্রেফতার হয়েছিল। কিন্তু গ্রেফতারের ৯০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে না পাড়ায় পরের দুই দিনের মাথায় জামিন পেয়ে যায় দুই ধৃতরা। মূল অভিযোগ হল যারা জামিন পেয়ছিলো তারা উভয়েই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের খুব কাছের মানুষ। এলাকায় বিধায়কের হয়ে কাজ করে থাকে। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার মধ্যে অভিযুক্ত সকলেই শাসক দলের কাছের বলে পরিচিত। ফলে মামলায় শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের প্রত্যক্ষ যে যোগ রয়েছে একথা অভিযোগকারীরা বার বার বলছেন। সিআইডি মামলায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বেশ কিছু জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কিন্তু আসল দোষীদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি। ফলে পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বারা তদন্তের কথা বার বার দাবি হয়েছিল।

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত আজ মামলার তদন্ত ভার দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “গোটা ঘটনায় রাজ্য পুলিশের বিরটা গাফিলতি রয়েছে।” নিখোঁজ মেয়েকে (Purba Bardhaman) যদি ভিন রাজ্যে বা অন্য দেশে পাচার করে দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সেই বিষয়েও তদন্ত করার কথা কথা বলেছেন বিচারপতি। আগামী ১৩ মার্চ হল মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই দিন সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share