Tag: Madhyam

Madhyam

  • Bankura: কথা রেখেছেন শাহ, দিল্লি যাচ্ছেন বিভীষণ হাঁসদার পরিবার

    Bankura: কথা রেখেছেন শাহ, দিল্লি যাচ্ছেন বিভীষণ হাঁসদার পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘কৃতজ্ঞতা’ জানাতে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন বাঁকুড়ার (Bankura) বিভীষণ হাঁসদা। গতকাল বুধবার রাতে ট্রেনে করেই দিল্লিতে যাত্রা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন মেয়ে এবং স্ত্রী। পালটা তৃণমূলের বক্তব্য, লোকসভার আগে প্রচার পেতে চাইছে বিজেপি।

    প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Bankura)

    চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে বাঁকুড়া (Bankura) সফর করার সময় চতুরডিহি গ্রামে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে এসে মধ্যাহ্ন ভোজন করেছিলেন অমিত শাহ। সেই সময় নিজের বাড়িতে এসে মধ্যাহ্ন ভোজনের সময় বিভীষণ তাঁর মেয়ের অসুস্থার কথা জানিয়ে ছিলেন বিভীষণ হাঁসদা। আর তা শুনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই মতো ওষুধপত্র পাঠিয়ে ছিলেন তিনি। এবার তাঁকেই কৃতজ্ঞতা জানাতে দিল্লি রওনা দিয়েছেন এই আদিবাসী পরিবার। গতকাল রাত আটটার ট্রেনে চেপে দিল্লির জন্য যাত্রা শুরু করেছেন তাঁরা।

    কী বলল বিভীষণের মেয়ে?

    দিল্লির জন্য ট্রেনে উঠে বিভীষণের মেয়ে রচনা হাঁসদা বলেন, “ভীষণ ভাবে আমরা এক্সাইটেড। আমার সমস্ত চিকিৎসার খরচ তিনি চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করে কৃজ্ঞতা জানাবো।” আবার বিজেপির বাঁকুড়া (Bankura) জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র বলেন, “বিভীষণের পরিবারের সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।” এলাকাবাসীর বক্তব্য দীর্ঘদিনের রোগগ্রস্থ পরিবারের পাশে থেকে সবরকম সহযোগিতার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র সরকার।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়কে সমালোচনা করে জেলার (Bankura) তৃণমূল নেতা মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, “ঠিক সেই সময়কার সংবাদ শিরোনামে থাকা বিভীষণের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস ছিল। এখন সামনে লোকসভার ভোট, তাই তাকে হাতিয়ার করে বিশেষ প্রচার করছে হাঁসদা পরিবারকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবটাই রাজনীতির অঙ্গ।”

    রাজনৈতিক টানাটানি করেছে তৃণমূল

    ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর অমিত শাহ একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বাঁকুড়ায়। সেই সময় এই আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সেই সময় এই আদিবাসী পরিবারের মেয়ের অসুস্থার কথা শুনে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর পালটা তৃণমূল থেকেও বারবার পরিবারের কাছে সাহায্যের জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু আদতে এলাকাবাসীর (Bankura) দাবি, শাসক দল রাজনীতি করতে ব্যাপক ভাবে টানাটানি করেছে পরিবারকে নিয়ে। তৃণমূলের কাছ থেকে কিছু সাহায্যও পাঠানো হয়েছিল। কিন্ত মূলত বিজেপির সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতাই বেশি ছিল শাসক দলের।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Australia: অস্ট্রেলিয়ার সংসদে গীতা পাঠ করে শপথ! ইতিহাস রচনা বাঙালি ব্যারিস্টারের

    Australia: অস্ট্রেলিয়ার সংসদে গীতা পাঠ করে শপথ! ইতিহাস রচনা বাঙালি ব্যারিস্টারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্ম ভারতে হলেও বর্তমান বাস তথা কর্মস্থল সুদূর অস্ট্রেলিয়া। আর সেখানেই, ইতিহাস রচনা করলেন এদেশে জন্মগ্রহণকারী বাঙালি ব্যারিস্টার বরুণ ঘোষ। অস্ট্রেলিয়ার সংসদের ইতিহাসে এই প্রথম ভগবদ গীতা পাঠ করে শপথ গ্রহণ করলেন কোনও সাংসদ। অস্ট্রেলিয়ার (Australia) আইনসভায় ভারতীয় সনাতন ধর্মগ্রন্থ গীতা পাঠকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ভারতীয় হিন্দু সমাজ। একই ভাবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁকে।

    শ্রীকৃষ্ণ-অর্জুনের সম্বাদ পাঠে হল শপথ (Australia)

    অস্ট্রেলিয়ার (Australia) রাজনীতির ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য তথা উজ্জ্বলময় মুহূর্ত ছিল গত ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ। অস্ট্রেলিয়ার সাংসদে অনন্য নজির সৃষ্টি করেন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা ভারতে জন্ম নেওয়া ব্যারিস্টার বরুণ ঘোষ। অস্ট্রেলিয়ার সংসদের ইতিহাসে প্রথম সাংসদ হিসেবে ভগবদ গীতা পাঠ করে শপথ নেন তিনি। শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে শ্রীকৃষ্ণ-অর্জুনের সম্বাদকে পাঠ করেন বরুণ। তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সাংসদ, যিনি এই ইতিহাসের পথে পা বাড়ালেন। এবার সেনেটর হিসেবে বরুণ অস্ট্রেলীয় সংসদের আইনসভা (নিম্নকক্ষ) ও আইন পরিষদ (উচ্চকক্ষ) — উভয় কক্ষেই পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া প্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

    কী বলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী?

    অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিদেশমন্ত্রী পেনি ওং আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, “আপনাকে লেবার সেনেট দলের প্রতিনিধি হিসেবে পেয়ে আমরা রোমাঞ্চিত।” আবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ তাঁকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, “আপনাকে আমাদের পরিমণ্ডলে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে, আমরা অত্যন্ত খুশি।”

    বরুণ ঘোষের পরিচয়

    ১৯৮৫ সালে ভারতে জন্মগ্রহণ করা বরুণ ঘোষ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সন্ধানে ১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দেন। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। থাকেন পারথ্ শহরে। তিনি ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া (Australia) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলা ও আইনে ডিগ্রি অর্জন করেন। সেই সঙ্গে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে একজন কমনওয়েলথ স্কলার হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেন। তিনি এর আগে নিউইয়র্কে একজন ফিনান্স অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করেছেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাঙ্কের পরামর্শদাতা হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন। ২০১৯ ফেডেরাল নির্বাচনের সময় তিনি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির সেনেট টিকিটের পঞ্চম প্রার্থী হিসাবে ভোটে দৌড়েছিলেন, যদিও তিনি তখন নির্বাচিত হননি। তবে, তিনি ব্যারিস্টার হিসাবে আইনি প্র্যাকটিস অব্যাহত রেখেছিলেন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় এবং বিশ্বব্যাঙ্কে।

    কী বললেন বরুণ ঘোষ?

    অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) বরুণ ঘোষ শপথ গ্রহণ করে বলেন, “আমি সৌভাগ্যবান যে একটি মানসম্পন্ন শিক্ষা পেয়েছি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমার কাজ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।” তাঁর মতে, ভগবদ গীতা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে এবং নিরন্তর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে, যা মানুষের প্রজন্মের পর প্রজন্ম জুড়ে প্রভাবিত করে। মানুষের জীবনের পথ নির্দেশনার গভীর আধ্যাত্মিক দর্শন সম্পর্কে জ্ঞান দেয় ভগবদ গীতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan: নির্বাচনের আগের দিন পাকিস্তানে পরপর বিস্ফোরণ! নিহত ২৮, আহত ৪০

    Pakistan: নির্বাচনের আগের দিন পাকিস্তানে পরপর বিস্ফোরণ! নিহত ২৮, আহত ৪০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগের দিনই রক্তাক্ত পাকিস্তান (Pakistan)। বালুচিস্তানে পরপর বিস্ফোরণে ২৮ জন নিহত, ৪০ জন আহত হয়েছে। রবিবার থেকে এই প্রদেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০টির মতো হামলা হয়েছে। সিবি শহরে হামলাকারীরা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি-সমর্থিত এক প্রার্থীর নির্বাচনী সমাবেশকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করে। তাতেও চারজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল।

    কোথায় বিস্ফোরণ ঘটেছে (Pakistan)?

    এদিন প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে বালুচিস্তানের (Pakistan) পিশিন জেলার খানোজাই এলাকায় নির্দল প্রার্থী আসফান্দিয়ার খান কাকারের কার্যালয়ের বাইরে। মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে জখম হন ৩০ জনের বেশি। এনএ-২৬৫ আসনে লড়াই করছেন নির্দল প্রার্থী আসফান্দিয়ার খান কাকর তাঁর দফতরের ঠিক সামনেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়। এরপর কিছু সময় পরেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। দ্বিতীয় হামলা হয় কিলা সইফুল্লা জেলার জামিয়াত উলেমা-এ-ইসলাম ফজলের দফতরের সামনে। উভয় হামলার লক্ষ্য ছিল নির্বাচনী প্রার্থীদের দফতর। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ ব্যক্তি আশঙ্কা জনক অবস্থায় রয়েছেন।

    জরুরি অবস্থায় জারি

    পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের ঘটনার পর পিশিন এলাকায় জরুরি অবস্থায় জারি করা হয়েছে। তবে যখন হামলা হয়েছিল সেই সময় কার্যালয়ে ছিলেন না কাকর। ঘটনায় পর বালুচিস্তানের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ ইনস্পেক্টর জেনারেলের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।

    কাকরের বক্তব্য

    পিশিনের নির্দল প্রার্থীর নেতা আসফান্দিসয়ার খান কাকর বলেছেন, “আমার দফতরের (Pakistan) বাইরে দাঁড়ানো একটি মোটর সাইকেলের থেকে বিস্ফোরণ হয়। দলের মোট আট কর্মী ঘটনায় নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের সময় দফতরে পোলিং এজেন্টদের নাম চূড়ান্ত করা হচ্ছিল।” অপর দিকে বালুচিস্তানের এক মন্ত্রী বলেছেন, মোটর সাইকেলের মধ্যে করে বিস্ফোরক নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে তাঁর আশা, আগামিকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fighter Get Legal Notice: উর্দিতে হৃতিক-দীপিকার চুম্বনদৃশ্য! ফের আইনি জটে ‘ফাইটার’

    Fighter Get Legal Notice: উর্দিতে হৃতিক-দীপিকার চুম্বনদৃশ্য! ফের আইনি জটে ‘ফাইটার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উর্দিতে গভীর চুম্বন হৃতিক-দীপিকার! তাঁদের অভিনীত সিনেমা ‘ফাইটার’কে এবার আইনি নোটিশ (Fighter Get Legal Notice) পাঠালেন বায়ুসেনার এক আধিকারিক। বায়ুসেনার পোশাককে অসম্মান করার এমন আচরণের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে রীতিমতো। সিনেমা মুক্তির পর ১২ দিন কেটে গিয়েছে। এর মধ্যেই বায়ুসেনার নজরে পড়েছে এই বিশেষ দৃশ্য। এমন দৃশ্য দেখিয়ে বাহিনীর কর্মীদের মানহানি এবং অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বায়ুসেনার ওই অফিসার।

    কী অভিযোগ করা হয়েছে (Fighter Get Legal Notice)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ফাইটার সিনেমায় হৃতিক এবং দীপিকার চুম্বনের দৃশ্য রয়েছে। দর্শক মহলে তাতে কোনও সমস্যা না থাকলেও অসমের এক বায়ুসেনার আধিকারিক উইং কমান্ডার সৌম্যদীপ দাস সিনেমার ওই দৃশ্যের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে নোটিশ দিয়ে (Fighter Get Legal Notice) বলেন, “চুম্বনের সময় দুই অভিনেতাকেই বায়ুসেনার পোশাকে দেখা গিয়েছে। এই দৃশ্য বায়ুসেনা সম্পর্কে দেশের মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দিতে পারে। এই দৃশ্য বায়ুসেনার পক্ষে অনুপযুক্ত এবং অপ্রত্যাশিত। ব্যক্তিগত রোম্যান্টিক দৃশ্য প্রচারে সেনার প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না। ভারতীয় বিমান বাহিনীর কর্মীদের মানহানি এবং অপমান করার অভিযোগে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।”

    ১২ দিন আগে মুক্তি পেয়ছিল ফাইটার

    যে ফাইটার সিনেমাটিকে নোটিশ (Fighter Get Legal Notice) দেওয়া হয়েছে, তা গত প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালেই মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটি সিদ্ধার্থ আনন্দের পরিচালিত। এখনও পর্যন্ত ৩৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বলে জানা গিয়েছে। সিদ্ধার্থ অবশ্য জানিয়েছেন, “দেশের একটা বড় অংশের মানুষ বিমানে সফর করেন না, তাই ছবির বিষয়বস্তুর সঙ্গে সাধারণ দর্শক একাত্ম হতে পারেননি।” সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সিনেমায় জম্মু-কাশ্মীরে কর্তব্যরত দুই বায়ুসেনার অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছন হৃতিক-দীপিকা। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা এবং পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় সেনার অভিযানের প্রসঙ্গ রয়েছে। সিনেমার গল্পে জানা গিয়েছে, মূল গল্প সন্ত্রাসের হামলার পরের ঘটনা। সিনেমার গল্প যত এগিয়ে যায় প্রেম তত এগিয়ে গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bhagavad Gita: দেশের সমস্ত স্কুলে বিতরণ করা হবে ভগবদগীতা, ঘোষণা তিরুপতি ট্রাস্টের

    Bhagavad Gita: দেশের সমস্ত স্কুলে বিতরণ করা হবে ভগবদগীতা, ঘোষণা তিরুপতি ট্রাস্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মকে সকলের কাছে পৌঁছে দিতে দেশের প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভগবদগীতার (Bhagavad Gita) সংক্ষিপ্ত সংস্করণ বিলি করা হবে। এমনই ঘোষণা করা হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি জেলায় তিরুমালা পর্বতে অবস্থিত ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের দেখভাল করা তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম ট্রাস্টের তরফে।

    কী জানালো টিটিডি ট্রাস্ট (Bhagavad Gita)?

    শনিবার থেকে তিরুমালার আস্তানা মণ্ডপে শুরু হয়েছিল তিনদিনের ধর্মীয় সম্মেলন— শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর ধার্মিক সদা। আয়োজক ছিল তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম। প্রধান পৃষ্ঠোপোষক ছিল হিন্দু ধর্ম প্রচার পরিষদ ও এসভি বৈদিক বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার ওই সম্মেলন সমাপ্ত হয়। ২৫টি পীঠের অধিপতিরা অংশ গ্রহণ করেছিলেন। বিভিন্ন উপায়ে সনাতন ধর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য টিটিডি অর্থাৎ তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানামকে তাঁদের পরামর্শ প্রদান করে। সেখানেই, সংস্থার ট্রাস্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান ভূমন করুণাকর রেড্ডি জানিয়েছেন, ভগবদগীতা (Bhagavad Gita) দেশের সমস্ত স্কুলে বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দি, ইংরেজি, তেলুগু, তামিল এবং কন্নড়- এই পাঁচ ভাষায় প্রত্যেকটিতে ১ কোটি করে গীতার সংক্ষিপ্ত কপি ছাপিয়ে দেশের প্রতিটি স্কুলে শিশুদের মধ্যে বিলি করা হবে।’’ সনাতন ধর্মকে সদাসর্বদা সচল রাখতে একটি বিশেষ প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে শীঘ্রই দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভগবদ্গীতার সংক্ষিপ্ত সংস্করণ বিতরণ করা হবে জানিয়েছে।

    ট্রাস্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান ঠিক কী বললেন?

    ট্রাস্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান রেড্ডি আরও বলেছেন, “আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে শৈশব থেকেই মানুষের মধ্যে সনাতন হিন্দু ধর্মের চেতনা জাগিয়ে তোলা এবং তাঁদেরকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।” তিনি এই প্রসঙ্গে আরও উল্লেখ করে বলেন, “পীঠের অধিপতিদের পরামর্শ অনুসারে আমরা সনাতন হিন্দু ধর্মকে মহিমান্বিত করতে বিভিন্ন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ভাবনায় কাজ করে চলেছি। আমাদের ট্রাস্ট সম্প্রতি দেবতাকে সন্তুষ্ট করার জন্য তিরুমালার পাদদেশে আলিপিরিতে হোম কুণ্ডম (অগ্নি-বেদি) নিত্য অগ্নিহোত্র প্রজ্বলনের একটি বিশাল কাজ হাতে নিয়েছে। ভক্তরা মাত্র ১০০০ টাকা দক্ষিণা প্রদান করে যজ্ঞে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। এই যজ্ঞের আগুন কখনই নিভে যাবে না। যত সময় মন্দির বর্তমান থাকবে এই যজ্ঞের অগ্নিও প্রজ্বলিত থাকবে।”

    চলছে একাধিক কর্মসূচী

    টিটিডি ট্রাস্ট গীতার (Bhagavad Gita) পাশাপাশি একাধিক কর্মসূচি চালু করেছে। তার মধ্যে হল যেমন দলিত গোবিন্দম— যার মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া এলাকায় মানুষের দোরগোড়ায় ভগবানের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। মৎস্য গোবিন্দম— যা জেলে সম্প্রদায়কে পুরোহিত হওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সাহিত্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তরিগোন্ডা ভেঙ্গামাম্বা প্রকল্পের কাজ করছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যত প্রজন্মের সামনে বৈদিক শিক্ষা তুলে রাখার জন্য এসভি বৈদিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: মাধ্যমিক পরীক্ষায় জাল অ্যাডমিট কার্ড! পরীক্ষা হলেই ধরা পড়ল পড়ুয়া, চাঞ্চল্য স্কুলে

    Hooghly: মাধ্যমিক পরীক্ষায় জাল অ্যাডমিট কার্ড! পরীক্ষা হলেই ধরা পড়ল পড়ুয়া, চাঞ্চল্য স্কুলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেস্টে ফেল করে অন্যের অ্যাডমিট কার্ড জাল করে মাধ্যমিক পরীক্ষা হলে বসতেই ধরা পড়ল পরীক্ষার্থী। এরপর ওই পড়ুয়ার পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে হুগলি (Hooghly) জেলার উত্তরপাড়া ভদ্রকালী হাইস্কুলে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উপস্থিত হয়েছে স্থানীয় পুলিশ। কিন্তু পুলিশের কাছে এখনও কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি বলে জানা গিয়েছে। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Hooghly)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়া (Hooghly) অমরেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠে পড়ে ওই অভিযুক্ত পড়ুয়া। স্কুলের দশম শ্রেণির স্কুলের টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি সে। ফলে তার স্কুল থেকে তাই মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনও অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়নি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, নিয়মিত স্কুলে যেতো না পড়ুয়া। কিন্তু আজ সোজা ভদ্রকালী হাই স্কুলে পরীক্ষা দিতে চলে আসে পড়ুয়া। তার কাছে যে অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে সেখানে রোল নম্বরের জায়গায় কালো কালি লাগানো ছিল। পরীক্ষা নিতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে শিক্ষকদের। এরপর এই স্কুল থেকে অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুলে খবর দেওয়া হয়। এরপর স্কুলের পরীক্ষা সঞ্চালনার সঙ্গে যুক্ত পর্ষদের আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

    অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য

    মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছিল ভদ্রকালী (Hooghly) স্কুলে। সেখানে অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত রায় এসে ওই ধৃত ছাত্রের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি এরপর বলেন, “স্কুলে এই ছাত্রের উপস্থিতি অনিয়মিত। সবসময় স্কুলে আসে না। তার অ্যাডমিট কার্ডটি নকল। ফলে পরীক্ষার জন্য সে যোগ্য নয়। আর তাই তাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।”

    জেলা পরিদর্শকের বক্তব্য

    হুগলি (Hooghly) জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক মৃন্ময় ঘোষ বলেন, “অভিযুক্ত ছাত্র টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করেনি। তা পরীক্ষা কেন্দ্রে বসতে দেওয়া হয়নি।” অবশ্য ঘটনায় চন্দননগর পুলিশ জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করবে। পরীক্ষার প্রথম দিনেই এমন ঘটনায় স্কুলে একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের যে মাঠে সভা করলেন মমতা, ইডেন গার্ডেন্সে পারবেন? প্রশ্ন ক্রীড়াপ্রেমীদের

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের যে মাঠে সভা করলেন মমতা, ইডেন গার্ডেন্সে পারবেন? প্রশ্ন ক্রীড়াপ্রেমীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট স্টেডিয়ামে করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। যা নিয়ে আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বালুরঘাটে। এত মাঠ থাকার পরও কেন রঞ্জি ক্রিকেট খেলার মাঠেই সভা? এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চ খোলার পর থেকে গোটা মাঠে বিশালাকৃতির বড় বড় গর্ত নজরে এসেছে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন জেলার ক্রীড়াপ্রেমী থেকে বিরোধীরা। শহরের ক্রীড়াপ্রেমীদের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বা যুবভারতীতে এরকম ভাবে সভা করতে পারতেন? এর প্রতিবাদ হওয়া দরকার।”

    সভার জন্য বাতিল হয়েছিল খেলা (Dakshin Dinajpur)?

    মুখ্যমন্ত্রী বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur) প্রশাসনিক সভা প্রথমে হওয়ার কথা ছিল শহরের টাউন ক্লাব বা ফ্রেন্ডস উনিয়ন মাঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সভাস্থল নিয়ে যাওয়া হয় বালুরঘাট স্টেডিয়ামে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক অ্যাথলেটিক মিট বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। যা গত জানুয়েরির ২৯ ও ৩০ তারিখে ওই মাঠে এই খেলা ছিল। এমনকি চলতি সপ্তাহের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারিতে সিএবি-র অনূর্ধ্ব ১৬ দলের ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই মাঠে। তাও সাময়িক ভাবে বাতিল করা হয়েছে। কিছু খেলা অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

    সভার পরেও বড় বড় গর্ত!

    বছর কয়েক আগে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল রঞ্জি ক্রিকেট ম্যাচ। এই মাঠে রয়েছে চারটি ক্রিকেট পিচ। মুখ্যমন্ত্রী সভার জন্য ক্রিকেট পিচে গর্ত করা না হলেও তার চারপাশ দিয়ে বড় বড় গর্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারী ভারী লরি ওই পিচের উপর দিয়ে গেছে। যার ফলে বহু অংশে বসে গেছে পিচ। যেখানে খেলা একপ্রকার সম্ভবই নয়।

    ক্রীড়া প্রেমীদের বক্তব্য

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালুঘাটের (Dakshin Dinajpur) এক ক্রীড়াপ্রেমী বলেন, “আরও অনেক মাঠ বালুরঘাটে ছিল। সেগুলোতে এই সভা করা যেত। কী কারণে বালুরঘাট স্টেডিয়ামে করা হল তা বুঝতে পারলাম না। মাঠটি এই মরসুমে খেলার অনুপযোগী হয়ে গেল।” এবিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অমিতাভ ঘোষ বলেন, “জেলা প্রশাসন সব রকম সহযোগিতা করছেন। মাঠটি পূর্বের অবস্থা যাতে করা হয় তার আবেদন প্রশাসনের কাছে করব।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এবিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “জেলার একমাত্র বালুরঘাট স্টেডিয়ামে রঞ্জি ম্যাচ খেলার মত পরিকাঠামো রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য এই মাঠে চলতি মরসুমে কোনও টুর্নামেন্ট করা যাবে না। জেলায় আসার পরও জেলাবাসী কিছু পেল না। অথচ যুব সমাজের চরম সর্বনাশ করে গেলেন।”

    তৃণমূলের বক্তব্য?

    অন্যদিকে, এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, “সভা হবে এটাও যেমন ঠিক তেমনি মাঠটাকে পূর্বের মত করতে হবে এটাও ঠিক। জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মাঠটি খেলার উপযোগী করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপি করায় নাম নেই ভোটার তালিকায়! নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বিজেপি করায় নাম নেই ভোটার তালিকায়! নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করায় নাম নেই ভোটার তালিকায়! ভোটার লিস্টেও দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “ডায়মন্ড হারবার, আলিপুর সহ গোটা রাজ্যের অনেক এসডিও এই ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন।” সামনেই লোকসভার ভোট, আর কেবলমাত্র বিজেপি করার জন্য নাম বাদ পড়ল! তাঁর এই অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    কয়লা পাচার, গরু পাচার, বালি পাচার, মাটি পাচার, রেশন বণ্টন দুর্নীতি, স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, পুর নিয়োগ দুর্নীতি, মিড-ডে-মিল এবং আবাস দুর্নীতির পর এবার রাজ্যের ভোটার তালিকায় ব্যাপক দুর্নীতির কথায় আরও একবার সরব হল বিজেপি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্যের বিরোধী দলের সমর্থক-কর্মীদের রাজনৈতিক মতপ্রকাশ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে একাধিকবার সরব হয়েছে বিজেপি। এবার ভোটার লিস্ট থেকে বিজেপি কর্মীদের নাম বাদ দিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তালিকায় নাম না থাকা ২৫ জন বিজেপি কর্মী। তিনি বলেন, “ভোটার লিস্টে বাদ যাওয়া সকলেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা। প্রত্যেক বিজেপি কর্মীর নাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই কাজ বিডিও, এসডিও এবং জেলা শাসকের প্রত্যক্ষ মদতে সম্ভব হয়েছে। তাই আজ নির্বাচন কমিশনে জানিয়ে গেলাম। রাজ্যের শাসক দলের নির্দেশে এই কাজ  হয়েছে।”

    আর কী বললেন?

    রাজ্যে ভোটার তালিকায় কারচুপি নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় এবার যে ধরনের কারচুপি ঘটেছে তাতে রাজ্য সরকারের বিডিও, চুক্তি ভিত্তিককর্মী, ডেটা এন্ট্রি অপারেটের একসঙ্গে মিলে গভীর চক্রান্ত করেছে। এটা পরিকল্পিত সংগঠিত অপরাধ। ভারতের কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি। এটাই হল ডায়মন্ড হারবার মডেল। রাজ্যের ৪২টি লোকসভার আসনের মধ্যে সব জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এইভাবে কোনও ভোটারদের নাম বাতিল করা যায় না। তাই যাঁদের নাম বাদ পড়েছে তাঁদের নাম লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কমিশননের কাছে আবেদন করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Midnapore Medical College: ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র! ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ

    Midnapore Medical College: ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র! ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এক ছাত্রী। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ (Midnapore Medical College) থেকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য মেডিক্যালে ভর্তির দুর্নীতির অভিযোগে আগেই মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ইতিমধ্যে দুই বিচারপতির রায়ের সংঘাতে বর্তমানে এই মামলা সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যেই এই বহিস্কারের ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলায়।

    মেডিক্যাল কলেজের বক্তব্য (Midnapore Medical College)

    মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের (Midnapore Medical College) অধ্যক্ষা মৌসুমি নন্দী জানিয়েছেন, “প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে বহিস্কার করা হয়েছে। তাঁর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। ভর্তির সময় ছাত্রী নিজের জাতিগত শংসাপত্র ভুয়ো দিয়েছিল। ইতিমধ্যে আইন মেনে কাজ শুরু হয়েছে।” আবার এই কলেজের মেডিক্যালের ছাত্রী সায়নী টুডু বলেছেন, “যে বা যারা জাল জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে কলেজে ভর্তি হিয়েছে তাদের সবার ভর্তি বাতিল হওয়া উচিত।”

    ছাত্রীর পরিবারে বক্তব্য

    কলেজ (Midnapore Medical College) সূত্রে জানা গিয়েছে প্রথমবর্ষের ওই ছাত্রীর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের একটি এলাকায়। ২০২৩-২৪ সালের শিক্ষাবর্ষে কলেজে ভর্তি হয়েছিল। এখন তাকে ১ লক্ষ টাকা জমা করতে বলেছে কলজে। এই নির্দেশ পেতেই কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রী। ছাত্রী কিছু বলতে না চাইলেও তার বাবা জানায়, “মেয়ে কলেজের নির্দেশিকা পেয়েছে। বিষয়টি বিচারাধীন। তাই এখন কিছু বলা সম্ভব নয়।”

    আদিবাসী কল্যাণ সমিতির বক্তব্য

    এই জাতিগত ভুয়ো শংসাপত্রের বিষয়ে তীব্র খব প্রকাশ করে আদিবাসী কল্যাণ সমিতি এবং ভারত জাকাত মাঝি পারগানার পক্ষ থেকে জানানো হয় আইনানুগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আবার পারগানার নেতা শিবুলাল মুর্মু বলেন, “অবিলম্বে ওই ছাত্রীকে (Midnapore Medical College) গ্রেফতার করতে হবে। একই ভাবে যে প্রশাসনিক আধিকারিক এই শংসাপত্র দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”

    মামলা হয়েছে হাইকোর্টে

    জাল জাতিগত শংসাপত্রের ব্যবহারে মেডিক্যাল কলেজে (Midnapore Medical College) ভর্তির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেছেন ইশিতা সরেন। বেশ কিছু নামও হাইকোর্টে জমা করেছেন এই মামলাকারী। এই নামের মধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি বাতিল হওয়া ছাত্রীর নামও রয়েছে। প্রত্যকের শংসাপত্রকে খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর তাঁর সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে মামলা ডিভিশন বেঞ্চে গেলে, বিচারপতি সৌমেন সেনের রায়ে সঙ্গে সংঘাত দেখা দেয়। এরপর মামলা যায় সুপ্রিমকোর্টে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: হাতে দা উঁচিয়ে চিতাবাঘের সঙ্গে দুর্ধর্ষ লড়াই বৃদ্ধার! প্রাণরক্ষা অল্পের জন্য

    Jalpaiguri: হাতে দা উঁচিয়ে চিতাবাঘের সঙ্গে দুর্ধর্ষ লড়াই বৃদ্ধার! প্রাণরক্ষা অল্পের জন্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্যত হাতে দা উঁচু করে দক্ষিণরায়ের সঙ্গে দুর্ধর্ষ লড়াই চলল এক বৃদ্ধার। সেই সঙ্গে অবশেষে বৃদ্ধার কঠিন আক্রমণাত্মক চোখরাঙানিতে ভয়ে পালাল চিতাবাঘ। এভাবেই মৃত্যর মুখ থেকে রক্ষা পেলেন এই মহিলা। আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতলে। ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সোনাখালি জঙ্গলে। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঘটনা কিভাবে ঘটল (Jalpaiguri)?

    চিতাবাঘের মুখ থেকে প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরলেন ৬৫ বছরের ফতেমা বিবি। ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি সাকোয়াঝোড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সোনাখালির কাছেই আদরপাড়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনাখালি জঙ্গলে মাঠ থেকে গরু নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। আচমকা তাঁর ওপর হামলা করে একটি চিতাবাঘ। পাল্টা প্রতিরোধ করেন ওই বৃদ্ধা। তাঁর হাতে ছিল একটি দা। তা দিয়েই চিতাবাঘের ঘাড়ে আঘাত করেন তিনি। এরপর ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায় চিতাবাঘটি। কিন্তু পিছোলেও ফের একবার আক্রমণের চেষ্টা করে চিতাবাঘটি। কিন্তু আক্রমণাত্মক হয়ে বৃদ্ধা তাঁর হাতের দা উঁচু করলে তৎক্ষণাৎ পালিয়ে যায় দক্ষিণরায়।

    বৃদ্ধার বক্তব্য

    ঘটনার কথা জানিয়ে বৃদ্ধা বলেন, “গরু নিয়ে ফেরার সময় জঙ্গল (Jalpaiguri) থেকে একটি চিতাবাঘ আচমকা আক্রমণ করে আমাকে আহত করে দিয়েছিল। আমি অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে আমার হাতে থাকা দা দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর নিজের দাঁত, নখ বের করে ক্রোধ দেখিয়ে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায় দক্ষিণরায়। এরপর প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়ে রাস্তায় এসে লোকের কাছে সাহায্য চাই। সেই সময় এক ব্যক্তি আমাকে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর ধুপগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়।” অপরদিকে এই আহত বৃদ্ধার নাতনি আনজিনা বেগম বলেন, “মাঠে গরু নিয়ে আসার সময় চিতাবাঘ আক্রমণ করে। কোনও রকমে লড়াই করে প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরে এসেছেন আমার দিদা। তিনি খুবই অসুস্থ। ঘটনায় আমাদের এলাকায় তীব্র আতঙ্কিত ছড়িয়ে পড়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share