Tag: Madhyam

Madhyam

  • Purba Medinipur: তৃণমূলের সভায় বিরিয়ানির প্যাকেট পেতে হুড়োহুড়ি, ক্ষুব্ধ হয়ে সভা ছাড়লেন মন্ত্রী

    Purba Medinipur: তৃণমূলের সভায় বিরিয়ানির প্যাকেট পেতে হুড়োহুড়ি, ক্ষুব্ধ হয়ে সভা ছাড়লেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ‘সঙ্ঘবদ্ধ শপথ গ্রহণ’ কর্মসূচিতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা গেল। অনুষ্ঠানে বিরিয়ানি বিলিকে ঘিরে ব্যাপক গোলমালের চিত্র দেখ লক্ষ্য করা গেল আজ বৃহস্পতিবার। এই সভায় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ভাষণের সময় টিফিন বিলিকে ঘিরে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা সভা খালি করে খাবারের দিকে হুড়মুড়িয়ে পড়লেন। এরপর সৃষ্টি হয় ব্যাপক হট্টগোল। আর এরপর এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে যান মন্ত্রী। ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথির বীরেন্দ্র স্মৃতি সৌধে। ঘটনায় দল অত্যন্ত অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে তৃণমূল।

    সভায় ব্যাপক চিৎকার চেঁচামেচি (Purba Medinipur)

    এদিন কাঁথি (Purba Medinipur) সভাগৃহ ছিল কানায় কানায় ভর্তি। ঠিক ১ টায় চন্দ্রিমা ওঠেন মঞ্চে। তাঁকে মঞ্চে বরণ করা নিয়েও একপ্রকার বিশৃঙ্খলা হয়। এরপর হলে  চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। অপর দিকে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীয়ূষকান্তি পন্ডা সকলকে শান্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর চন্দ্রিমা ভাষণ দিতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত হল রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথীর নকল। আয়ুষ্মান ভারত কার্যকর হলে মাত্র ৭০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। আর স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে আড়াই কোটি মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন।” এরপরই টিফিনের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সভাস্থলে। যদিও মাইকে বলা হয় সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বিশৃঙ্খা আরও চরমে উঠে যায়। এরপর ভাষণের মাঝ পথেই রেগেমেগে আসন ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনায় বিজেপি কাঁথি (Purba Medinipur) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের সভায় ভাষণ শোনায় মন নেই। টাকা দিয়ে টিফিনের লোভ দেখিয়ে তৃণমূল নিজেদের মহিলা সভায় লোক ভরার কাজ করছে।” পালটা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাজিয়া বিবি বলেন, “আশাতীত ভিড় হয়েছিল সভায়। তবে অনেকে বসার আসন দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Railways Jobs: রেলে নিচ্ছে প্রায় ৫,৭০০ লোকো পাইলট! আজই আবেদন করুন

    Railways Jobs: রেলে নিচ্ছে প্রায় ৫,৭০০ লোকো পাইলট! আজই আবেদন করুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি লোকো পাইলট হিসেবে ভারতীয় রেলে চাকরি (Railways Jobs) করতে চান? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে বিরাট সুযোগ। দ্রুত জেনে নিন কবে ও কীভাবে আবেদন করবেন। 

    সম্প্রতি, লোকো পাইলট নিয়োগ নিয়ে নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করেছে ভারতীয় রেল। আবেদনকারীদের বয়সে ঊর্ধ্বসীমার ক্ষেত্রে ৩ বছর অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। করোনা অতিমারীর কারণে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত যাঁরা আবেদন করতে পারেননি তাঁদের ক্ষেত্রে সুবর্ণ সুযোগ। আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে ২০ জানুয়ারি এবং জমা করার শেষ তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি।

    কত শূন্যপদ?

    রেলের লোকো পাইলট নিয়োগের (Railways Jobs) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মোট শূন্যপদ ৫৬৯৬ এবং বেতন শুরু ৬৩ হাজার থেকে। সংশোধিত যোগ্যতার মানদণ্ড অনুসারে বলা হয়েছে, অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট পদে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ৩৩ বছরের মধ্যে হতে হবে। সাধারণ এবং ইডব্লুএস (আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া) শ্রেণিভুক্ত প্রার্থীদের জান্মের তারিখ ০২.০৭.১৯৯১ এবং ০১.০৭.২০০৬ এর মধ্যে হতে হবে।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা

    আবেদনকারীদের যে কোনও স্বীকৃত বোর্ড থেকে দশম শ্রেণি পাস হতে হবে। যে কোনও বিভাগে আইটিআই বা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা পাস হতে হবে প্রার্থীদের। রেলের তরফ থেকে সাধারণ প্রার্থীদের জন্য আবেদন মূল্য ৫০০ টাকা। অন্যদিকে তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি, অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, ইডব্লুএস, এক্স সার্ভিসম্যান, রূপান্তরকামী, মহিলাদের জন্য আবেদন মূল্য ২৫০ টাকা। চাকরির (Railways Jobs) বেতন হবে ১৯৯০০ টাকা থেকে ৬৩২০০ টাকা পর্যন্ত।

    কীভাবে নির্বাচন হবে?

    নির্বাচন প্রক্রিয়া হিসাবে মোট চারটি ধাপ—

    ১.) কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা (CBT 1)

    ২.) কম্পিউটার ভিত্তিক যোগ্যতা পরীক্ষা (CBAT)

    ৩.) ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন (DV)

    ৪.) মেডিকেল টেস্ট (ME)

    কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?

    আবেদনকারীকে (Railways Jobs) নিম্নলিখিত ডকুমেন্ট আবেদনে উল্লেখ করতে হবে—

    দশম শ্রেণির মার্ক শীট

    দ্বাদশ শ্রেণির মার্ক শীট

    আইটিআই, ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি

    প্রার্থীর ছবি ও স্বাক্ষর

    জাতিগত শংসাপত্র

    প্রার্থীর মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি

    আধার কার্ড

    কীভাবে আবেদন করবেন

    আবেদনকারীদের রেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে রেলবোর্ডে আবেদন (Railways Jobs) করতে হবে। আরআরবি গোরক্ষপুর, আরআরবি পাটনা, আরআরবি সেকান্দ্রাবাদ, আরআরবি চেন্নাইতে আবেদন করা যাবে। indianrailways.gov.in. লিঙ্কে আবেদন করতে হবে। অনলাইন বিজ্ঞপ্তি থেকে অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর টাকা জমা করে ফর্ম সাবমিট করে প্রিন্ট নিতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: সরকারি হাসপাতালেই এক্স-রে হল না রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহর, পদত্যাগ চাইল বিজেপি

    Bardhaman: সরকারি হাসপাতালেই এক্স-রে হল না রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহর, পদত্যাগ চাইল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতে লোক নেই, তাই সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে হল না রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহর। স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নের জোয়ারের কথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের ঢাক পিটিয়ে প্রায় বলতে শোনা যায়। অথচ রাজ্যের খোদ মন্ত্রীর মুখেই এবার শোনা গেল বর্ধমানের (Bardhaman) এক সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা না পাওয়ার কথা। অবাক রাজ্যের মন্ত্রী! ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জীর্ণদশার কথা ফের একবার উঠে এল। পাল্টা মন্ত্রীর পদত্যাগ চাইল বিজেপি। উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও গত কয়েক মাস আগে এসএসকেএমে নিজের পায়ের চিকিৎসার বিষয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মুখের কথাই যেন ফের আওড়ালেন এবার গ্রন্থাগারমন্ত্রী।

    কী বললেন সিদ্দিকুলাহ (Bardhaman)?

    গত মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি শৌচাগার থেকে বের হওয়ার সময় পড়ে গিয়ে আহত হন। ডান পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলে চোট লাগে। এরপর রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এরপর সন্ধ্যায় যন্ত্রণা বাড়তে থাকলে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান (Bardhaman) মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে যান। চিকিৎসকেরা জানধ, এক্স-রে করতে হবে। কিন্তু হাসপাতালের ওপিডিতে দিনে এক্স-রে হলেও রাতে তা করার কোনও ব্যবস্থা নেই বলে জানতে পারেন মন্ত্রী। কথা শুনেই অবাক হয়ে যান তিনি। এরপর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “এই বিরাট হাসপাতালে এক্স-রে হবে না! আমার জানা ছিল না। সব সময় হলে মানুষের অনেক উপকার হবে। আমি উদ্যোগ নিয়ে এই কাজটি করাবো। মানুষের সুবিধার জন্য চেষ্টা করব। মানুষ যাতে সুযোগ পান সেই দিকেই নজর রাখবো। রাজ্যে ৪২-৪৩টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রয়েছে। আমি সরকারি হাসপাতালেই দেখাই, প্রাইভেটে দেখাই না।”

    বিজেপির বক্তব্য

    মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে তৃণমূল সরকারের কড়া সমালোচনা করে বিজেপি। বিজেপির পূর্ব বর্ধমান (Bardhaman) জেলার সহ সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ বলেন, “সরকারি হাসপাতালে যদি রাজ্যের মন্ত্রীর এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হাল হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ এবং অত্যন্ত জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য ন্যূনতম পরিষেবার ব্যবস্থা নেই। তাই রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুলাহ সাহেবের পদত্যাগ করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মমতার সফরের আগেই রঘুনাথগঞ্জে ব্যাপক বোমাবাজি! গুরুতর আহত ২

    Murshidabad: মমতার সফরের আগেই রঘুনাথগঞ্জে ব্যাপক বোমাবাজি! গুরুতর আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সফরের আগেই ব্যাপক বোমাবাজি। এই ঘটনার জেরে আহত হলেন বাড়ির বৌমা এবং শাশুড়ি। সেই সঙ্গে জখম হয়েছেন আরও একজন ব্যক্তি। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় বোমাবাজির ঘটনা সবথেকে বেশি ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছিল। সালার, ডোমকল, বেলডাঙা সহ একাধিক স্থানে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা বোমাবাজির আঘাতে মারাও গিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও বোমাবাজির উপর প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ আসছে না। তাই জেলার মানুষ পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার রঘুনাথগঞ্জের দফরপুর-শেওড়াতলা এলাকায়। জমি বিবাদকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে মঙ্গলবার একাধিকবার সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে বচশা হয়, এরপর একপক্ষ অপর পক্ষের মধ্যে ঢিল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। ঠিক তারপরেই দেখেতে দেখতেই আক্রমণাত্মক এবং পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। এরপর শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে লক্ষ্য করে চলে মুহুর্মুহু বোমাবাজি। আর এই ঘটনায় ব্যাপক ভাবে জখম হন একই বাড়ির দুই মহিলা। আহত হয়েছেন সদারিন মণ্ডল এবং ক্ষমা মণ্ডল। দুই জনেই সম্পর্কে শাশুড়ি-বৌমা। বর্তমানে ক্ষমা মণ্ডলের অবস্থা ভীষণ আশঙ্কা জনক। তাঁকে বর্তমানে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    আহতদের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বোমার আঘাতে আহত ক্ষমা মণ্ডল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেন, “গ্রামের দুই পক্ষের বিবাদ চলার সময় আমি এবং আমার শাশুড়ি বাড়ির দরজার সামানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আচমকা দেখি শম্ভু মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি আমাদের বাড়ির সমানে বোমা ছুড়ে মারে। এরপর কী ঘটল আর মনে নেই।” হাসপাতাল সূত্রে খবর মিলেছে তাঁর দুই পা গুরুতর ভাবে বোমার আঘাতে আঘাত পেয়েছেন।

    পুলিশের ভূমিকা

    পাশপাশি বোমাবাজির খবর পেয়ে রঘুনাথগঞ্জের (Murshidabad) পুলিশ ছুটে আসে এলাকায়। ঘটনায় বোমার ব্যবহার কোথা থাকে করা হয়েছে, পিছনে কারা কারা রয়েছে এই বিষয়ে তল্লাশি শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Calcutta High Court: শিক্ষা বিষয়ক সমস্ত মামলা সরল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে

    Calcutta High Court: শিক্ষা বিষয়ক সমস্ত মামলা সরল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে সরল শিক্ষা বিষয়ক সমস্ত মামলা। উল্লেখ্য কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছিলেন তিনি। এখন থেকে তাঁর মামলাগুলি শুনবেন বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা। 

    রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি যে দুর্নীতির মাধ্যমে পেয়ছিলেন সেই বিষয়ে উল্লেখ্য যোগ্য রায় প্রদান করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। একই ভাবে প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও যাঁরা চাকরি পাননি, শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাঁরা রাস্তায় আন্দোলন করছিলেন তাঁদের কাছে অত্যন্ত আশার আশ্রয় ছিলেন এই বিচারপতি। এবার তাঁর এজলাস থেকে সকল শিক্ষা বিষয়ক মামলা সরল বলে জানা গিয়েছে।

    হাইকোর্ট সূত্রে খবর (Calcutta High Court)

    কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষা বিষয়ক মামলা সরিয়ে এবার থেকে শ্রম এবং শিল্প সংক্রান্ত মামলার দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের আরেক বিচারপতি সৌমেন সেনের সঙ্গে তাঁর সংঘাতের কথা প্রকাশ্যে আসে। এই বিষয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিমকোর্টে। এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। মাস্টার অফ রস্টার কার্যত তিনিই ঘোষণা করেন। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘আইনের মন্দিরে এমন ঘটনা আশা করা যায় না।’ তবে শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    দুর্নীতির বিষয়ে কঠোর ছিলেন বিচারপতি

    হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় একাধিক সময়ে সিবিআই, ইডি-কে নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। তদন্তকারী অফিসারদের সময় বেঁধে দেওয়া, অভিযুক্তদের কোর্টে হাজিরা দেওয়া, চাকরি বাতিল করার মতো নানান ঘটনায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ এবং মন্তব্য করেছেন তিনি। এমনকী আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের নানান আইনি পরামর্শ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়তিতে তল্লাশি করতে গিয়ে ইডি আক্রান্ত হলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে মন্তব্য করেন। তদন্তকারী আধিকারিকদের হাসপাতালে দেখতেও পর্যন্ত যান তিনি।

    অভিষেকের সম্পত্তির হিসাব চেয়েছিলেন

    সংবাদ মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাব সামজিক মাধ্যমে প্রকাশ করার কথাও বলেন বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতার আয়ের উৎস কী তাও জানতে চেয়ছেন তিনি। সবটা মিলিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর মনোভাব নিয়ে একা অনন্য ব্যক্তিত্বের দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন বলে করছেন অনেকেই। আর এর ফলেও তৃণমূল তাঁকে কটাক্ষ করতে বিন্দু মাত্র দেরি করেনি। তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ একাধিক সময়ে ‘দলাল’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তাঁকে। আবার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে ছিলেন। উল্লেখ্য সম্প্রতি মেডিক্যাল ভর্তির একটি মামলায় ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়ার বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর মামলার উপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ। আর এরপর থেকেই নজির বিহীন সংঘাত দেখা দেয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার পরই তৃণমূলে ধস, নিশীথের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগদানের ঢল

    Cooch Behar: মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার পরই তৃণমূলে ধস, নিশীথের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগদানের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে (Cooch Behar) মুখ্যমন্ত্রী জেলা থেকে প্রস্থান করতেই যেন ধস নামলো তৃণমূলে। লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপিকে আরও শক্ত করতে দলে দলে তৃণমূল কর্মীরা যোগদান করলেন বিজেপিতে। এই যোগদান সভায় বিশেষ নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।

    বিজেপির পার্টি অফিসে যোগদান (Cooch Behar)

    তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের (Cooch Behar) রাসমেলা ময়দানে একাধিক প্রকল্পের কথা যখন ঘোষণা করে গেলেন। সেই সঙ্গে ২১০ টি রাজবংশী বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে গেলেন তিনি। আর ঠিক তার পরেই ২৪ ঘণ্টা ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁর সভাস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে কোচবিহার পৌরসভার ৫, ১৫, ১৬, ১৯, ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একাধিক তৃণমূলকর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। একই সঙ্গে কোচবিহার শহর লাগোয়া মধুপুরগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্য এবং মধুপুর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতৃত্বের একাধিক কর্মী-সমর্থকরা এদিন বিজেপিতে যোগদান করতে দেখা গেল।

    কোন কোন তৃণমূল নেতা যোগ দিলেন(Cooch Behar)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার কোচবিহারের (Cooch Behar) মধুপুর অঞ্চলের উপপ্রধান তথা অঞ্চলের তৃণমূলের চেয়ারম্যান যোগেশচন্দ্র বর্মন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। সেই সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তি রায়, সাধারণ সম্পাদক দীপক রায়, মধুপুর অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম-এর সাথে আরও একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিজেপিতে যোগদান করেন। তৃণমূল নেতাদের মধ্যে এক নেতা বলেন, “১৯৯৮ সাল থেকে আমি তৃণমূল করি। কোনও রাগের জায়গা থেকে দল ছাড়ছি না। কাউর প্রতি কোনও দোষারোপ করব না। বিজেপি একটি সর্ব ভারতীয় দল। ভারতে গত এক দশক ধরে শাসন করছে এই দল। তাঁদের উন্নয়নের কাজে আমি খুশি। আঞ্চলিক দলের হয়ে আর কাজ করব না। এবার জাতীয় দলের সৈনিক হয়ে কাজ করবো। আজ আমরা মোট ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য যোগদান করলাম। আগামী দিনে আরও অনেক মানুষ যোগদান করবে।”

    কী বলেন নিশীথ প্রামাণিক?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহারে (Cooch Behar) এদিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ ভাওতাবাজি দিয়ে গিয়েছেন। মানুষ এই ভাওতার প্রকল্পগুলিকে গ্রহণ করেনি। সাধারণ মানুষ বিজেপির সঙ্গে আছেন এবং থাকবেন। কোচবিহার থাকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত সকল স্থানে মানুষ তৃণমূলকে আগামী লোকসভার ভোটে উচিত জবাব দেবেন। একই ভাবে ২০২৬ সালের বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল দলটা পুরোপুরি উঠে যাবে। এই সরকারের দুর্নীতি এবং অগণতান্ত্রিক আচরণ মানুষের হিতের বিপরীত।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: নরেন্দ্রপুরের স্কুলে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, তীব্র ভর্ৎসনা পুলিশকে

    South 24 Parganas: নরেন্দ্রপুরের স্কুলে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, তীব্র ভর্ৎসনা পুলিশকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুর স্কুলে ঢুকে হামলার ঘটনা এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু ঘটনা ঘটে যাওয়ার দুই দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন আজ এবং সেই সঙ্গে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।

    কী বললেন বিচারপতি (South 24 Parganas)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারপতি বসুর নির্দেশের ২০ ঘণ্টা পার হেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি বলে জানায় পুলিশ। আর তাই আজ দুপুর ২টোর সময় বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশ জেলা সুপারের রিপোর্ট তলব করল আদালত। তবে ভার্চুয়ালি হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই ভাবে সেই সঙ্গে হাজির থাকতে হবে নরেন্দ্রপুর থানার আইসিকে।

    পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতারের নির্দেশ ছিল

    নরেন্দ্রপুর (South 24 Parganas) স্কুলের মধ্যে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। পালটা রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কোর্টের নির্দেশের পর ৩-৪ জায়গায় তল্লাশি অভিযান করা হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যকে বাড়িতে কেন পাওয়া গেল না সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি। একই সঙ্গে ঘটনায় ১২০বি ধারায় মামলা করার নির্দেশ দেয় কোর্ট। যত বড় নেতাই হোক না কেন আগে তাকে গ্রেফতার করতে হবে, ঠিক এইভাবেই নির্দেশ দিয়ে ছিলেন বিচারপতি। অথচ কার্যকর করেনি পুলিশ।

    স্কুল শিক্ষা দফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কোর্ট

    জানা গিয়েছে, স্কুল শিক্ষা দফতরের দুই সহ-অধিকর্তা তপন কুমার সিনহা এবং অনিন্দ্য কুমার চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি বসু। বিচারপতি বলেন, “স্কুলের (South 24 Parganas) দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে আপনারা গিয়েছিলেন? গিয়ে কী করলেন? জেলা স্কুলে পরিদর্শকের দুটি রিপোর্টে স্পষ্ট করে আর্থিক দুর্নীতির কথা জানিয়েছে। সেই রিপোর্টকে কীভাবে ছুড়ে ফেলে দিলেন আপনারা? ডিআই দুটো রিপোর্টে আর্থিক নয়ছয়ের কথা বলেছেন। স্কুলের অরাজগতা চলছে শিক্ষকরাই জানিয়েছেন। কিন্তু আপনাদের এই রিপোর্টে কিছুই নেই। তদন্ত নিরপেক্ষা না করে প্রধান শিক্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কেন এফআইআর করা হবে না আপনাদের বিরুদ্ধে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংশোধনাগারে মৃত্যু, কমিশনের রিপোর্ট তলব

    Bardhaman: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংশোধনাগারে মৃত্যু, কমিশনের রিপোর্ট তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির বন্দি অবস্থায় মৃত্যু। এই মৃত্যু ঘটেছে বর্ধমান (Bardhaman) সংশোধনাগারে। ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে সংশোধনাগারে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে কীভাবে ঘটল মৃত্যুর ঘটনা তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। এই ঘটনায় জেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    মৃত বন্দির পরিচয় (Bardhaman)?

    সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দির নাম হল হাতেম আলি মণ্ডল। তার বাড়ি হল পূর্ব বর্ধমানের (Bardhaman) মন্তেশ্বর থানার ভাগড়া গ্রামে। গতকাল সোমবার আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম। এছাড়াও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালে কালনার অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা বিচারক এই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে। শাস্তি হিসেবে তার আজীবন কারাবাস হয়। সেই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকার জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত সেপ্টেম্বরের ২১ তারিখ থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য এই আসামী শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    মামলা রুজু করা হয়েছে বর্ধমান থানায়

    সংশোধনাগারের পক্ষ থেকে গত রবিবার রাতে প্রথমে ওই বন্দিকে বর্ধমান (Bardhaman) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ভর্তি না করে বহির্বিভাগে  চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল সোমবার ফের অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে জানায় চিকিৎসকেরা। এরপর ইতিমধ্যে বন্দি মৃত্যুকে ঘিরে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে বর্ধমান থানায়। ঘটনায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, “রবিবার রাত ১ টায় ওই বন্দিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তখন ভর্তির মতো অবস্থায় ছিল না সে। পরে যখন আবার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় সেই সময় সে মৃত ছিল বলে জানা যায়।” এখন ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ ঠিক করে জানা যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন রিপোর্ট তলব করে মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: “বাড়িতে ঢুকলে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে চেপে ধরবেন”, উস্কানি দিলেন তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা

    Malda: “বাড়িতে ঢুকলে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে চেপে ধরবেন”, উস্কানি দিলেন তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষের ফের বিজেপি সাংসদকে উস্কানি মূলক মন্তব্য করলেন। সোমবার মালদার (Malda) টাউনহলে এক প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “বাড়িতে ঢুকলে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে চেপে ধরে রাখবেন।” পালটা মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেনবাবু বলেন, “তৃণমূল কেন বাংলায় এতো চুরি করেছে সেই কৈফিয়ৎ মানুষ চাইবে।” এই তৃণমূল নেত্রীর হুমকির বক্তব্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলায়।

    ঠিক কী বলেন তৃণমূল প্রাক্তন সংসদ (Malda)

    তৃণমূল প্রাক্তন সংসদ অর্পিতা ঘোষ মালদার (Malda) টাউন হলে এদিন বলেন, “একদম বিজেপি সাংসদদের চেপে ধরবেন। বাংলার প্রতিটি মেয়েদের কাছে মায়েদের কাছে এই বার্তা তুলে ধরবেন। ১৫ লক্ষ টাকা না দিলে, বাড়িতে ঢুকলে বেরোতে দেবেন না। অনেক হয়েছে, বড় বড় কথা বলেছেন। কোন সুবিধা মেয়েদের দিয়েছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আজ পর্যন্ত এই ভারতবর্ষে মেয়েদের এতখানি সম্মান কেউ দেননি। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দেশের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। আমরা যাতে বুঝতে না পাড়ি তাই ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে ধর্মের আফিম খাইয়ে গন্ডগোল লাগিয়ে কেবল সুবিধা নিতে চাইছে। বাংলার মেয়েরাই বিজেপিকে আটকাবে, বোঝাবে কত ধানে কত চাল।”

    আর কী বললেন?

    তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা মেয়েদের অধিকার প্রসঙ্গে মালদায় (Malda) আরও বলেন, “সংসদের নতুন বাড়ি হল, সাধু-সন্তরা যজ্ঞ করলেন। অপর দিকে দলিত বলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ডাকা হল না। রাম মন্দিরের উদ্বোধন করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। একটা গ্যাস দিয়ে ছিলেন ঢাক পিটিয়ে কিন্তু এখন এতো দাম যে কিনতেই পারছি না। গ্যাসের দাম এখন হাজার টাকা।”

    বিজপির বক্তব্য

    তৃণমূল নেত্রীর এই উস্কানি মূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে উত্তর মালদার (Malda) বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু তৃণমূলের সমালোচনা করে বলেন, “বাংলায় তৃণমূল নেতারা এতো চুরি করেছে যে মানুষ এবার হিসাব চাইবে। কেন্দ্রের টাকা লুট করেছে তৃণমূলের নেতারা। মানুষ হিসেব চাইবে তাই আগে থেকে বুঝতে পেরে অন্যের উপর দায় চাপানো হয়েছে। আসলে তৃণমূলের নেতারাই তাঁদের উপর বিরক্ত হয়ে আছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SIMI Banned: আরও ৫ বছরের জন্য জঙ্গি সংগঠন সিমিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন অমিত শাহ

    SIMI Banned: আরও ৫ বছরের জন্য জঙ্গি সংগঠন সিমিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গী সংগঠন সিমিকে (SIMI Banned) আরও ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তার জন্য এই সংগঠন অত্যন্ত বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা এবং সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করার কাজে জড়িত ছিল এই সংগঠন।” দেশের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথাকে মাথায় রেখে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত সাধুবাদ জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী(SIMI Banned)?

    ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গতিপ্রকৃতির সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে চলেছে। আজ সোমবার দেশের কেন্দ্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বললেন, “স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অর্থাৎ সিমি (SIMI Banned) হল একটি বেআইনি, অবৈধ সংগঠন। কঠোর সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনের আওতায় নিষেধাজ্ঞার সময় সীমা আরও ৫ বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হল। এই সংগঠন দেশের মধ্যে নাশকতা মূলক কাজকে উৎসাহ দিয়ে থাকে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে আঘাত করার কাজ করে সিমি। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ভারতের সার্বভৌম এবং অখণ্ডতাকে হুমকি দেওয়া সংক্রান্ত নানান অভিযোগও রয়েছে।”

    এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে অমিত শাহ বলেন, “দেশে মোদিজির শাসনে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর মনভাব নিয়ে দমনের কাজ করা হচ্ছে। ইউপিএ আইনের ধারায় সিমিকে (SIMI Banned) নিষিদ্ধ সংগঠন হিসাবে নির্বাচিত করে আগামী আরও ৫ বছরের জন্য বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে।”

    নাশকতা মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত সিমি

    জঙ্গি সংগঠন সিমির (SIMI Banned) সদস্যদের বিরুদ্ধে নানান নাশকতা মূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে গয়া বিস্ফোরণ, ২০১৪ সালে বেঙ্গালুরুতে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম বিস্ফোরণ এবং ২০১৪ সালে ভোপালে জেল ভাঙার মতো সন্ত্রাবাদী কর্মকাণ্ডের মধ্যে প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছে সিমি সদস্যদের। ২৫ এপ্রিল, ১৯৭৭ সালে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সিমি এবং সংগঠনটি একটি ধর্মরাষ্ট্র হিসাবে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে উগ্রপন্থী কার্যকলাপের কাজ করে থাকে। তাদের মূল উদ্দেশ্যে হল, ভারতকে কীভাবে ইসলাম ধর্মপ্রধান রাষ্ট্র এবং শরিয়াবিধি শাসনের অধীনে নেওয়া যায় সেই কাজ করা। আর এই কাজকে জাহাদি কার্যকলাপের দ্বারাই সম্পাদন করে থাকে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share