Tag: Madhyam

Madhyam

  • Narendra Modi: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে কঠোর ‘যম নিয়ম’ পালন করছেন মোদি, কী এর তাৎপর্য?

    Narendra Modi: রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে কঠোর ‘যম নিয়ম’ পালন করছেন মোদি, কী এর তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্তরের শুদ্ধিকরণে কঠোর নিয়ম পালন করছেন মোদি (Narendra Modi)। রাম মন্দিরের উদ্বোধন এবং প্রাণ প্রতিষ্ঠার ১১ দিন আগে থেকেই এই সংযম করছেন। গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রধান যজমানের ভূমিকা পালন করবেন। তাই খাবার এবং ঘুমে কঠোর নিয়ম পালনে রয়েছেন তিনি। শাস্ত্রের বিধান অনুযায়ী বিধিনিষেধর মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী ২২ জানুয়ারী রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। প্রধান পৌরহিত্য করবেন বারাণসীর লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত। ভারত এবং ভারতের বাইরে থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা যোগদান করবেন এই অনুষ্ঠানে। গতকাল গর্ভগৃহে বাসনো হয়েছে রামলালার কৃষ্ণশিলা মূর্তি।

    খাবারের তালিকায় কী রয়েছে (Narendra Modi)

    প্রাণ প্রতিষ্ঠার ১১ দিনব্যাপী সংযমের মধ্যে দিয়ে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। খাবারের তালিয়ায় কঠিন নিয়মের পালন করছেন। এই নিয়মকে ‘যম নিয়ম’ বলা হয়েছে। এখানে ‘যম’ মানে হল ‘সংযম’। তিনি ডাবের জল খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। খাবারের তালিকায় রয়েছে কেবল মাত্র ফলাহার। মূলত সাত্ত্বিক আহারে দিনপাত করছেন তিনি। রাতে ঘুমাচ্ছেন মাটিতে কম্বল বিছিয়ে।

    সংযমের মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন মোদি

    ‘যম নিয়ম’ এবং অনুশাসনের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) নিজের দফতরের কাজ সামলাচ্ছেন। সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি মহারাষ্ট্র, কেরল, এবং অন্ধ্রপ্রদেশে বিশেষ যাত্রা করেছেন। একই সঙ্গে একাধিক মন্দিরে ভক্তি নিবেদন করতে যাচ্ছেন। রামের ভজন কীর্তন শ্রবণ এবং জপ করছেন। সূর্য উদয়ের আগেই ঘুম থেকে উঠছেন। ঘুম থেকে উঠেই ধ্যান করছেন। কেরলের এর্নাকুলাম সরকারি গেস্ট হাউসে থাকার সময় রাতে কেবলমাত্র ফলাহার করেছেন।

    যম নিয়ম শাস্ত্রসম্মত

    শাস্ত্রের একটি বড় বিধান হল রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় কঠিন নয়ম পালন করতে হয়। এই যমের সঙ্গে শাস্ত্রের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। অষ্টাঙ্গ যোগের আটটি অঙ্গের মধ্যে প্রথমে যম এবং তারপরে নিয়ম ব্যাখ্যার কথা বলা হয়েছে। আচার মেনে নিয়ম করে যজমানদের স্নান করতে হয়। নিয়মের বাইরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করা যায় না। প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে এই নিয়ম পালন করতে হয়। দৈনিক কাজের ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও নানান সংযম পালন করে এক ধর্মীয় নিষ্ঠার প্রকৃষ্ট উদাহরণ তুলে ধরেছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে বসল রামলালার মূর্তি, প্রকাশ্যে সেই ছবি

    Ayodhya Ram Temple: রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে বসল রামলালার মূর্তি, প্রকাশ্যে সেই ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) গর্ভগৃহে কৃষ্ণশিলায় নির্মিত রামলালার মূর্তি বসানোর ছবি সমানে এল। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ২৮ মিনিটের মাহেন্দ্রক্ষণে মন্দিরে বাসনো হয় এই মূর্তি। গর্ভগৃহের এই মূল বেদিতেই বিরাজমান থাকবেন প্রভু রাম। সংবাদমাধ্যমের কাছে এই ছবি প্রকাশিত হতেই রামভক্তদের মধ্যে বিপুল উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    শোভাযাত্রা করে বসানো হল মূর্তি (Ayodhya Ram Temple)

    বুধবার সন্ধ্যায় শোভাযাত্রা করে অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ayodhya Ram Temple) নিয়ে আসা হয়েছিল রামলালার মূর্তি। এরপর বৃহস্পতিবার দুপরে শিশু সুলভ সরল বালক রূপী রামের ৫১ ইঞ্চির মূর্তিটি ‘শুভ মুহূর্তে’ গর্ভগৃহে স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর, বৈদিক মতে মূর্তিটির বিশেষ পুজো করেন ব্রাহ্মণ এবং আচার্যরা। ওই পুজোতে অংশ গ্রহণ করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং ট্রাস্টের সদস্যরা। পবিত্র বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে এদিন মূর্তির পুজো অনুষ্ঠিত হয়। তার পর রামলালার সেই প্রথম ছবি প্রকাশিত হয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিডিয়া ইনচার্জ শরদ শর্মা ছবিটি প্রথম প্রকাশ্যে তুলে ধরেন। তবে মূর্তির মূখমণ্ডল হলুদ কাপড়ের আবরণে আবৃত। গায়ে ছিল সাদা চাদর। প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনে এই মূর্তি উন্মোচিত হবে।

    ভোটের মাধ্যমে মূর্তি নির্বাচিত হয়

    শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টদের সদস্যরা ভোটদানের মাধ্যমে এই মূর্তিকে মন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) গর্ভগৃহের জন্য নির্বাচিত করেন। মূর্তির শিল্পী হলেন কর্নাটকের ভাস্কর অরুণ যোগীরাজ। জানা গিয়েছে, যোগীরাজের পরিবার কয়েক পাঁচ পুরুষ ধরে মূর্তি নির্মাণের কাজ করে থাকেন। মূর্তিটি কৃষ্ণশিলা থেকে খোদাই করে তৈরি করা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই মূর্তিকে আকর্ষণীয়, টেকসই, ভাস্কর্যের বিচারে চমকপ্রদ করতে কৃষ্ণশিলা ব্যবহার করা হয়েছে। মেঙ্গালুরুর কাছেই কারকালা শহরে পাওয়া যায় এই শিলা। 

    ২২ জানুইয়ারি হবে প্রাণ প্রতিষ্ঠা

    আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দির (Ayodhya Ram Temple) উদ্বোধনের দিন দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে গর্ভগৃহে বাসানো এই মূর্তিটির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রধান যজমানের ভূমিকা পালন করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা আচার-অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধান, সমন্বয় এবং পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন শ্রী গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড়। প্রধান আচার্য হবেন কাশীর শ্রী লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় গর্ভগৃহে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পরিচালক মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: সাঁতরাগাছির ঝিলে ব্যাপক দূষণ! পরিযায়ী পাখি গণনায় অশনি সংকেত!

    Howrah: সাঁতরাগাছির ঝিলে ব্যাপক দূষণ! পরিযায়ী পাখি গণনায় অশনি সংকেত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝিলের জলদূষণ, ক্রমাগত মাথা তুলতে থাকা বহুতল আর জলে কচুরিপানা বেড়ে যাওয়া  মূলত এইসব কারণেই এক ধাক্কায় প্রায় দু’হাজার কম পাখি এবছর হাওড়ার সাঁতরাগাছির (Howrah) ঝিলে এসেছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। এছাড়াও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ও প্রশাসনিক উদাসীনতা রয়েছেই। ট্রান্স-হিমালয়ান বিদশী পাখিদের মধ্যে শুধুমাত্র গ্যাডওয়াল এসেছে, তাও গননার দিন গত শনিবার ৪টি পাখি পাওয়া গেলেও পরবিন মাত্র তিনটির দেখা মিলল।

    ২০১৪ সালে পাখি ছিল ৭ হাজার (Howrah)

    ২০১৪ সালে যেখানে সওয়া সাত হাজারের বেশি পরিযায়ী পাখি এই ঝিলে এসেছিল, সেখানে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা ক্রমাগত কমতে কমতে এখন সাড়ে চার হাজারে ঠেকেছে। প্রকৃতি সংসদের সদস্য প্রসেনজিৎ দাঁর আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, “এভাবে পাখি আসা কমতে থাকলে বছর তিনেক পরে সাঁতরাগাছির (Howrah) ঝিলে আদৌ পরিযায়ী পাখি আসবে কিনা সন্দেহ। এজন্য তিনি আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার পশাপাশি দূষণ ও প্রশাসনিক উদাসীনতাকেও দায়ী করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “বছর দশ এর আগে পর্যন্ত অন্তত ৫-৬ টি প্রজাতির একশোর কাছাকাছি বিদেশি ট্রান্স হিমালয়ান পাখি আসতো। গত বছর মাত্র চারটি এসেছিল। বিদেশি পাখির সংখ্যা একেবারে কমে গেছে।”

    কবে থেকে আসে পরিযায়ী পাখি?

    নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এখানে সাধারণত পরিযায়ী পাখি আসা শুরু হয়। তাদের উপযোগী করে তোলার জন্য ঝিলের (Howrah) মাঝে ‘দ্বীপ’ বানানো হয়। কচুরিপানা সরানো হয়, প্রয়োজনে ওয়াটার-ট্রিটমেন্ট করে জলও কিছুটা শোধনও করা হয়। মোটামুটি ভাবে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে পাখি আসা শুরু হয়। শীত যত বাড়ে পাখির আসাও তত বাড়ে। কিন্তু এবার পরিযায়ী পাখি আসার মরসুমে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায়, সেটি তাদের আসার পথে অন্তরায় তৈরি করেছে।

    পাখি দেখতে ভিড় করেন প্রকৃতি প্রেমীরা

    এই ঝিলের (Howrah) পরিযায়ী পাখিরা বেশিরভাগ আসে হিমালয়ের প্রাচীর টপকে অথবা হিমালয় পাদদেশ থেকে। লেসার হুইসলিং ডাক, গাডোয়াল, ফেরুজিনাস পোচার্ড, নর্দান পিনটেল, কমন টিল এবং গার্গানি প্রজাতির হাঁসেরা হাজার হাজার কিলোমিটার পথ উড়ে এখানে আসে। তারা সারাদিন কচুরিপানা ভর্তি ঝিলের জলে খেলে বেড়ায়। দেশ-বিদেশের হরেকরকম পাখির কলতানে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। আকাশের দিকে চোখ মেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিদের ওড়া নজরে আসে। আর ৩৩ একর রেলের এই ঝিলে পাখি দেখতে ভিড় করেন দূরদূরান্ত থেকে আসা পক্ষীপ্রেমীরা। গোটা শীতে হাতে বায়নোকুলার, বুকে ক্যামেরা আবার কারোর হাতে দামি মোবাইল সেট নিয়ে ভিড় করেন প্রকৃতি প্রেমীরা। যে যেমন পারে মনের আনন্দে পাখি দেখেন এবং ছবি তোলেন। সেই সঙ্গে আসে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও।

    ঝিলে পাখি গণনায় অশনি সংকেত

    সম্প্রতি প্রকৃতি সংসদের সদস্যরা ঝিলে (Howrah) পাখি গণনার কাজটি শেষ করেন। তাতেই বিপদের ইঙ্গিত পেয়েছেন। এবছর ঝিলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা মাত্র ৪৮১৪। প্রজাতির সংখ্যা  ১৪ রকম। ট্রান্স হিমালয়ান বার্ড অর্থাৎ যারা মঙ্গোলিয়া, সাইবেরিয়া এবং উত্তর চীন থেকে আসে তাদের সংখ্যাও মাত্র হাতেগোনা। অথচ গত বছরেও ১৪ ধরনের প্রজাতির মোট ৬৭৪২টি পাখি এসেছিল। তার আগের বছরে ১৩ টি প্রজাতির ৫৬৫১ টি পাখি এসেছিল। আর বছর নয় দশেক আগের যদি হিসাব নেওয়া যায় তাতে দেখা যাচ্ছে ২০ টি প্রজাতির ৭০০০ বেশি পাখি ভিড় করেছিল।

    প্রকৃতি সংসদের বক্তব্য

    প্রকৃতি সংসদের (Howrah) সদস্য এবং প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক প্রসেনজিৎ দা জানিয়েছেন, “যেখান থেকে পাখিরা আসছে সেখানকার জলবায়ুর পরিবর্তন, খাদ্যাভাব এবং শিকার কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে। তবে সাঁতরাগাছি ঝিলে এখনই যদি কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে আগামী তিন-চার বছর পরে পাখিরা এখানে না আসতেও পারে।” ঝিল বিজ্ঞানসম্মতভাবে পরিষ্কার করার জন্য যতটা পরিকল্পনা প্রয়োজন তা করা হচ্ছে না এবং যত টাকা দরকার তাও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রকৃতি সংসদের সদস্যরা।

    পাখির পরিসংখ্যান কত?

    সাঁতরাগাছির ঝিলে পাখির সংখ্যা কমতে কমতে ২০১৮ সালে তা আটশোয় এসে দাঁড়ায়। পরের বছর তা ২৮৮৯ এবং করোনার সময় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ২০২০ সালে তা হয় ৫৬৯৪, পরের বছর ৫৬৫১। ২০২২ সালেও এই ধারা বজায় থাকলেও ২০২৩ সালে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বেড়ে হয় ৬৭৪২। কিন্তু এবছর আবার কমেছে পাখির সংখ্যা। আর এবছর এসেছে ৪৮১৪টি পাখি। প্রকৃতি সংসদ থেকে এই সংখ্যা জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে এবছর সবচেয়ে বেশি এসেছে লেজার হুইসলিং ডাক (৪৬৬৮)। এছাড়াও অল্প সংখ্যায় এসেছে গ্যাডওয়াল (৪), সিনামম বিটার্ন (১), ইয়োলে বিটার্ন (২), ব্ল্যাক উইংড স্টিল্ট (২), লিটল করমোর‌্যান্ট (৬), কমন মুরহেন (২৩), হোয়াইট ব্রেস্টেড ওয়াটারহেন (১), ইন্ডিয়ান পন্ড হেরন (১৩), ক্যাটেল এগ্রেট (৫৮), ব্রোঞ্জ উইংগড জাকানা (৯), বার্ন সোয়ালো (২৩), পার্পল হেরন (১), হোয়াইট থ্রোটেড কিংফিশার (৩)। আবহাওয়ার কারণে এবছর অবশ্য সারা পশ্চিমবঙ্গেই পাখির সংখ্যা কমে গেছে।

    গত কয়েক বছরে (Howrah) সাঁতরাগাছি ঝিলে পাখির পরিসংখান হল ২০১৪-(২০ প্রজাতির)-৭৩১৭, ২০১৫-(২০ প্রজাতির)-৭২৯৭, ২০১৬-(১৮ প্রজাতির)-৫৪৭৪, ২০১৭-(১৪ প্রজাতির)-৩১১৮, ২০১৮-(১৪ প্রজাতির)-৮০০, ২০১৯-(১৬ প্রজাতির)-২৮৮৯, ২০২০-(১৬ প্রজাতির)-৫৬৯৪, ২০২১-(১৩ টি প্রজাতির)-৫৬৫১, ২০২২-( ১৩ টি প্রজাতির) -৫৬৫১, ২০২৩- ( ১৪ টি প্রজাতির) -৬৭৪২, ২০২৪ – ( ১৪ টি প্রজাতির) – ৪৮১৪

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: এবার স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম! সরব বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা

    Asansol: এবার স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম! সরব বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির বিষয়ে তীব্র শোরগোল। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ একাধিক নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। এবার ফের স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে করা হয়েছে অনিয়ম। এই নিয়োগের অভিযোগের কথা বলে কটাক্ষ করলেন আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। অবশ্য পশ্চিম বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে বহুদিন ধরেই প্রধান শিক্ষকের পদগুলি শূন্য রয়েছে। অপর দিকে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সদস্যরা।

    কী বলেন অগ্নিমিত্রা পল (Asansol)?

    আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের বিজেপি নেত্রী বলেছেন, “সরকারের নিয়ম মেনে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হচ্ছে না। শিক্ষকদের কাউন্সিলিংয়ের সময় তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত থাকছেন। শিক্ষকদের পছন্দের মতো স্কুল বেছে নিতে দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষক নেতারাই জোর করে তাঁদের পছন্দ করা স্কুলে নিয়োগ করাচ্ছেন।”

    কীভাবে অনিয়ম হচ্ছে?

    আসানসোলের (Asansol) বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের নেতা পার্থ পাল জানিয়েছেন, “নিয়োগের নিয়ম অনুযায়ী নিয়ম হল শিক্ষকদের সিনিয়রিটি উপর ভিত্তি করে একটা প্রথমে তালিকা করা হয়। এরপর সেই তালিকা অনুযায়ী একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হয়। তারপরে তালিকায় অনুযায়ী শিক্ষকদের লিখিত চিঠি পাঠিয়ে ডাকার কথা থাকে। কিন্তু তা না করে, জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কর্তারা নিজেদের পছন্দের লোককেই ডেকে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে শেষ করার কাজ করার চেষ্টা করছেন।”

    জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য

    জেলা (Asansol) প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রথীন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, “সরকার নির্দেশিত নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগের কাজ চলছে। না জেনে অনিয়মের অভিযোগ করা হচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে হচ্ছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা (Asansol) সভাপতি হিমাদ্রি সরকার বলেন, “বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। আসলে বিজেপির কোনও কাজ নেই তাই এইরকম অনিয়ম বেনিয়মের কথা বলে মিডিয়ার কাছে জনপ্রিয়তা চাইছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Examination: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বদল, ক’টা থেকে শুরু পরীক্ষা?

    Madhyamik Examination: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বদল, ক’টা থেকে শুরু পরীক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূচি অপরিবর্তিত থাকলেও মাধ্যমিক (Madhyamik Examination) এবং উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার সময় পরিবর্তিত হল। বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে এই পরিবর্তিত সময়ের কথা জানানো হয়। সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে পর্ষদ এবং সংসদের বিশেষ বৈঠক হয় এবং তার পরেই পরীক্ষার সময়ের বদলের কথা জানানো হয়। সমানেই পরীক্ষা তাই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এই নতুন সময় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। 

    কী বলা হয়েছে সংসদের বিবৃতিতে (Madhyamik Examination)?

    আগে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। যা চলবে ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু এখন নতুন বিবৃতিতে বলা হয়, পরীক্ষার সময় সওয়া ২ ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে। এখন পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে এবং শেষ হবে দুপুর ১টায়। একইভাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, মাধ্যমিকের (Madhyamik Examination) পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে। আগে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে কিন্তু এখন পরীক্ষা শুরু হবে ৯টা ৪৫ মিনিটে। পরীক্ষা শেষ হবে সময় দুপুর ১টায়। তবে সংসদের তরফ থেকে কেন সময় পরিবর্তন করা হয়েছে সেই বিষয়ে কিছুই এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি।

    রুটিনের বদল হচ্ছে না

    পরীক্ষার সময় পরিবর্তিত হলেও সূচি অপরিবর্তিত রয়েছে। বদলাচ্ছে না পরীক্ষার দিন। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু এবং তা চলবে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার সূচি বা রুটিনের মধ্যে বিষয় বা দিনের কোনও রকম বদল ঘটছে না। কেবল মাত্র পরীক্ষার সময় বদলের কথা জানানো হয়েছে।

    একই ভাবে মাধ্যমিক (Madhyamik Examination)  শুরু পরীক্ষা হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি এবং চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রথম দিন হবে প্রথম ভাষার পরীক্ষা৷ পরের দিন ৩ ফেব্রুয়ারি হবে দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি হবে ইতিহাস, ৬ ফেব্রুয়ারি হবে ভূগোল, ৮ ফেব্রুয়ারি হবে অঙ্ক, ৯ ফেব্রুয়ারি হবে জীবন বিজ্ঞান, ১০ ফেব্রুয়ারি হবে ভৌত বিজ্ঞান এবং ১২ ফেব্রুয়ারি-ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা।      

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Artificial Intelligence: “ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে”, কেন বললেন ইসরো প্রধান?

    Artificial Intelligence: “ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে”, কেন বললেন ইসরো প্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভবিষ্যতে বিভিন্ন জিনিসের উপর শাসন-নিয়ন্ত্রণ থাকবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (Artificial Intelligence)। আপনার ব্যবহার করা প্রত্যেকটি ডিভাইস প্রতিনিয়ত আপনাকে একটু একটু করে শিখে চলেছে।” এই কথাগুলি ইসরো প্রধান এস সোমনাথের। অসমের গুয়াহাটির প্রাগজ্যোতিষপুর বিশ্ববিদ্যাল্যয়ের একটি আলোচনাচক্রে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর এই বক্তব্য ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন ইসরো প্রধান (Artificial Intelligence)?

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রভাব নিয়ে কথা বলছিলেন ইসরো প্রধান। তিনি বলেন, “আজকাল আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) বা এআই-এর কথা বলছি। এই এআই আমাদের চারপাশেই রয়েছে। যে সব মোবাইল বা স্মার্টফোন ব্যবহার করি তার মধ্যে থাকা সিস্টেম, ডিভাইস, সফটওয়্যার, অ্যাপগুলি অজান্তেই আমাদের ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নিচ্ছে। যা ব্যবহার করছি সেগুলিই আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে, আপনি কে? আপনার পছন্দ কেমন? সব কিছুই কম্পিউটার আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা যতটা নিজেকে জানি না, তার থেকে অনেক বেশি পারিমাণে কম্পিউটার আপনার ওপর নজর রাখছে। এমনকী, বন্ধু-বান্ধবরা যা জানে না তার থেকে অনেক বেশি জানে এই সিস্টেম। আগামী দিনে এমন একটি সময় আসবে যখন দেখা যাবে এই সিস্টেম এআই একাধিক বিষয়ের উপর শাসন চালাবে। এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের আরও উন্নত প্রযুক্তি আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে।”

    স্যাটেলাইট তৈরির ভূমিকা নেবে এআই

    গত দুই সপ্তাহ আগেও ইসরো প্রধান জানিয়েছিলেন, মহাকাশ গবেষণায় ৫০টি সার্ভেল্যান্স স্যাটেলাইটের একটি সমূহ তৈরি করা হবে। গোটা গবেষণার কাজ করা হবে এআইকে (Artificial Intelligence) কেন্দ্র করেই। এই স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহগুলি একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। ফলে জিও-ইন্টেলিজেন্সের উপর নানান তথ্য সংগ্রহ করবে। ২০২৩ সাল থেকেই এই অভিনব প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে বিজ্ঞানীরা সংশয়ও প্রকাশ করেছেন। আগামী দিনে মানুষের হাতে-কলমে কাজের পরিসর অনেক কমে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  •  Purulia: ঝালদায় দলের হুইপ মানল না তৃণমূলের কাউন্সিলররা, অনাস্থায় অপসারণ পুরপ্রধানের

     Purulia: ঝালদায় দলের হুইপ মানল না তৃণমূলের কাউন্সিলররা, অনাস্থায় অপসারণ পুরপ্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় দলেরই হুইপ মানল না তৃণমূলের কাউন্সিলররা। ঠেকানো গেলে না পুরসভায় অনাস্থা। পুরপ্রধানকে অপ্রসারণ করতে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাল তৃণমূলের কাউন্সিলররা। ফের দলের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ এবং অস্বস্তি দুই প্রকাশ্যে এলো। এলাকায় এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র শোরগোল পড়েছে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Purulia)?

    স্থানীয় (Purulia) সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরপ্রধান বিজ্ঞপ্তি জারি করে তলবি বৈঠকের দিন ২৭ জানুয়ারি বদলে দেন। অপরে শাসক দল তৃণমূলের ৫ কাউন্সিলর, কংগ্রেসের ২ কাউন্সিলরের সঙ্গে হাত মিলয়ে ৭-০ ভোটাভুটিতে তৃণমূলের পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায়কে অপাসারণ করে দেন। ২০২১ সালে পুর নির্বাচনের পর ঝালদা পুরসভার বোর্ড গঠন নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হইয়েছিল। তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রকাশ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছিল। এবার এই পুরসভার বোর্ড গঠন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে তৃণমূলের কাউন্সিলরা, কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলালো। এবার পুরপ্রধানকে হবেন তাই নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। এলাকার মানুষের বক্তব্য একেই বলে রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প। ক্ষমতায় টিকে থাকাটাই রাজনীতি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় এই ঘটনায় তৃণমূল নিজের দলের মধ্যে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “এই ঘটনায় ঝালদা শহরের তৃণমূল কর্মী নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট তলব করছি। সমস্ত বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানিয়েছি।” অপর দিকে পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এই তলবি সভা বৈধ নয়। এই বৈঠক পিছিয়ে আমি ২৭ জানুয়ারি করেছি। আমি আমার পুরসভার কাজ করে যাবো। ওঁরা যদি আমাকে কাজ করতে না দেয় তাহলে আমি আইনের সাহায্য নেবো।” এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অন্দরে ফের আইনি যুদ্ধের সূচনা যে হতে চলেছে সে কথা এলাকার অনেক মানুষই বলছেন।

    কংগ্রসের বক্তব্য

    এই দিন তলবি সভায় উপস্থিত থাকা শাসক দল তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রধান (Purulia) সুরেশ আগরওয়াল বলেন, “৭-০ ভোটেপুর প্রধানকে অপসারণ করা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভবপর নয়।” অপর দিকে ঝালদা পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা এই তলবি সভায় অংশ গ্রহণ করা কংগ্রেস কাউন্সিলর বলেন, “গত দুই বছরে এই পুরসভায় কোনও কাজ হয়নি, এমন পুরপ্রধান আগে কোনও সময়ে দেখা যায়নি। সেই জন্য আমরা তাঁকে অপসারণ করলাম।” উল্লেখ্য গত ৬ সেপ্টেম্বরে বাঘমুন্ডিতে (Purulia) স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর হাত ধরে নির্দল কাউন্সিলরা শিলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। এরপর পুরসভার বোর্ড গঠনের সমীকরণ বদলে গিয়েছিল।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • D2M Video: সিম-ইন্টারনেট ছাড়াই মোবাইলে দেখা যাবে ভিডিও! শীঘ্রই আসছে ডিটুএম প্রযুক্তি

    D2M Video: সিম-ইন্টারনেট ছাড়াই মোবাইলে দেখা যাবে ভিডিও! শীঘ্রই আসছে ডিটুএম প্রযুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্টারনেট ছাড়াই মোবাইলে দেখা যাবে ভিডিও (D2M Video)! এমনকী, লাগবে না সিম-ও! অবিশ্বাস্য মনে হলেও খুব তাড়াতাড়ি এই আধুনিক প্রযুক্তিকে সফলভাবে বাস্তবায়িত করতে উদ্যোগী নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই ব্যবস্থা সফল হলে ভারতে প্রযুক্তির বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে চলেছে। 

    বিষয়টা ঠিক কী?

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব অপূর্ব চন্দ্র জানিয়েছেন, দেশে তৈরি এই প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে ডিরেক্ট টু মোবাইল (বা সংক্ষেপে ডিটুএম)। দেশের ১৯টি শহরে এই প্রযুক্তির (D2M Video) পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। এই শহরগুলির বাড়িতে বাড়িতে এবার ডিটুএম প্রযুক্তির পরীক্ষা মূলক প্রযুক্তির ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় সচিবের মতে, এর ফলে দেশে ডিজিটাল বিবর্তন হবে। এটা হলে ৫-জি নেটওয়ার্কের থেকে বোঝা কমবে। ইতিমধ্যে তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে নয়ডা, বেঙ্গালুরু, দিল্লিতে।

    ৮০ কোটি দেশবাসীর হাতে স্মার্টফোন

    ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া ভিডিও (D2M Video) দেখা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগের সচিব অপূর্ব চন্দ্র জানান, দেশে মোট ৮০ কোটির বেশি মানুষ এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তাদের মধ্যে ব্যবহার করা সামগ্রীর মধ্যে ৬৯ শতাংশ ভিডিও কন্টেন্ট দেখতে বা ব্যবহার করে থাকেন। ফলত, বেশি পরিমাণে ভিডিও ব্যবহার করার ফলে মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যাম হয়ে যায়। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বিষয় দেখতে বাধার মধ্যে পড়তে হয়।

    কীভাবে কাজ করবে ডিটুএম?

    ডিটুএম  প্রযুক্তির পরিষেবায় ভিডিও ট্রাফিকের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ চলে আসবে ডিটুএমে (D2M Video)। দেশে ৮ থেকে ৯ কোটি পরিবার রয়েছে যাঁদের ঘরে টিভি নেই। সেখানে এই ডিটুএম প্রযুক্তি টিভি দেখার বিশেষ সুযোগ করে দেবে। তাদের কাছেও মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিয়ো কনটেন্ট পৌঁছে যাবে। এর জন্য কোনও ইন্টারনেট সংযোগের দরকার হবে না। ফলে দেশে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটবে। সচিব জানিয়েছেন,  ইতিমধ্যে এই উন্নত প্রযুক্তির জন্য ৪৭০-৫৮২ মেগাহার্ৎজ স্পেকট্রাম সংরক্ষণের জন্য একটি শক্তিশালী জায়গা তৈরি করা হয়েছে। গত বছর এই প্রযুক্তির পরীক্ষা বেঙ্গালুরু, নয়াদিল্লি এবং নয়ডাতে শুরু করা হয়েছে।”

    ডিটুএম সম্প্রচার প্রযুক্তি কী?

    ডিটুএম (D2M Video) সম্প্রচার প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছে সাংখ্য ল্যাবস এবং আইআইটি কানপুর। এই দুই সংস্থাই এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে। স্থলভাগে যে টেলিকমিউনিকেশন পরিকাঠামো রয়েছে, তার উপর নির্ভর করেই চলবে এই ডিটুএম প্রযুক্তি। সবথেকে বড় কথা হল নেটওয়ার্কের উন্নতি হবে। ফোন পেতে আর সমস্যা হবে না গ্রাহকদের। কম হবে খরচের পরিমাণ। একই সঙ্গে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পরিষেবা দিতে জন্য সমস্ত মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাকে তাদের ফোনে একটি ডিটুএম অ্যান্টেনা দেওয়া হবে যা একেবারে ডিটিএইচ-র মতো সেট টপ বক্স রূপে কাজ করবে। নেটওয়ার্ক দক্ষতা উন্নতি এবং দেশব্যাপী জরুরি সতর্কতা ব্যবস্থায় বিশেষ কার্যকর হবে। এই প্রযুক্তি ৫-জি থেকেও বেশি কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে।

     

        

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: ফের সোনার দোকানে ডাকাতি! ক্রেতা সেজে বন্দুক ঠেকিয়ে চলল দুঃসাহসিক লুটপাট

    Howrah: ফের সোনার দোকানে ডাকাতি! ক্রেতা সেজে বন্দুক ঠেকিয়ে চলল দুঃসাহসিক লুটপাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হাওড়ায় (Howrah) দিনেদুপুরে সোনার দোকানে ডাকতির ঘটনা ঘটল। মালিকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে চলল ব্যাপক লুটপাট। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই দুঃসাহসিক ডাকতির ঘটনা ঘটেছে বাগনান-শ্যামপুর রাস্তার পাশে থাকা নিউ রায় জুয়েলার্স নামক একটি দোকানে। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করেছে শ্যামপুর থানার পুলিশ। তবে ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে আগেও একাধিক জেলার সোনার দোকানে ডাকতির ঘটনা ঘটেছিল। বার বার সোনার দোকানে এই ভাবে ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এলাকাবাসীর বক্তব্য এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য চলছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা(Howrah)?

    স্থানীয় (Howrah) সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বুধবার দুপুর ১২ টার সময় দুই দুষ্কৃতী একটি মোটর বাইকে করে শ্যামপুরে শশাটি বাজারে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে। দোকানে ঢুকে রীতিমতো মালিকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দোকানের অলঙ্কার লুট করে চম্পট দেয়। এরপর দোকানের মালিক চিৎকার করলে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসে দোকানে। দোকানে এই দুষ্কৃতীরা অবশ্য ক্রেতা হিসাবে প্রথমে ঢুকেছিল। এরপর নানা রকমের অলঙ্কার দেখে তারা। একই ভাবে বুঝতে না পেরে দোকানদারও আরও বেশ কিছু গয়না সাজিয়ে দেন। ঠিক পরিস্থিতি বুঝে আচমকা পিস্তল বার করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। এই রকম দিনেদুপুরের ডাকাতির ঘটনায় রীতিমতো সোনার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এইভাবে মানুষের ব্যবসা ক্ষেত্রে যদি সুরক্ষা না থাকে, তাহলে বাজারে যে কোনও ব্যবসায়ীর পক্ষে জীবিকা নির্বাহ করা কার্যত মুশকিল হবে বলে মনে করছে এলাকার মানুষ। ঠিক একই ভাবেই প্রশ্ন তুলেছে শশাটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরাও।

    রাজ্যে আগেও ঘটেছে ডাকতি

    উল্লেখ্য, রাজ্যে আগেও সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। বারাকপুর, পুরুলিয়া, রানাঘাট, মালদা, সোনারপুরে ডাকতির ঘটনা ঘটেছিল। গত ২৯ অগাস্ট পুরুলিয়া শহর এবং নদিয়ার রাণাঘাটের সেনকো গোল্ডের দোকানে একই দিনে ডাকাতির ঘটনায় রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ফের একবার হাওড়ায় (Howrah) ডাকতির ঘটনা ঘটল।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “নির্লজ্জ পুলিশমন্ত্রী বলেই হয়তো টিকে আছেন”, মমতাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “নির্লজ্জ পুলিশমন্ত্রী বলেই হয়তো টিকে আছেন”, মমতাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্ধারিত কর্মসূচির তৃতীয় দিনে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে হাজির হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মঙ্গলবার দুপুরে জিয়াগঞ্জের ফুলতলা মোড়ে উপস্থিত হয়ে সেখানে ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জির মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। এরপর সেখান থেকে দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন জিয়াগঞ্জের বাগডহর মোড়ের উদ্দেশ্যে। এরপর বিকেলে দলীয় একটি জনসভায় যোগদান করেন। এদিন একাধিক বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন।

    ভর্ৎসনা পুলিশের নয়, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর (Sukanta Majumdar)?

    সন্দেশখালি প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “পুলিশ কোর্টের সামনে হয়তো ভর্ৎসনার শিকার হচ্ছে কিন্তু এই ভর্ৎসনা পুলিশের নয়, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী কে? আজ কোর্ট মমতাকে থাপ্পড় দিলো, এতো নির্লজ্জ পুলিশমন্ত্রী বলেই হতো টিকে আছেন। অন্য রাজ্য হলে সেই রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে বাড়িতে চলে যেতেন। হাজার হাজার একরের আদিবাসীদের জমি দখল করে নিয়েছে শাহজাহান। ভেড়ির সমস্ত জমি জোর করে দখল করে কোটি কোটি টাকা লুট করেছে এই তৃণমূল নেতা। পুলিশ তাঁকে সংরক্ষণ দিয়েছে।”

    আর কী বললেন?

    এরপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি সুন্দর হাসি মার্কা ছবি দিয়ে লেখা সজল গ্রাম। টাকা দিচ্ছে মোদি অথচ ছবি মুখ্যমন্ত্রীর লাগানো। হিসাব না দিলে টাকা মিলবে না। রাজ্যের ৪১ টা প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। কারণ টাকার হিসেব দেওয়া হচ্ছে না।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ভাতা নিয়ে সুকান্ত বলেন, “পুলিশ না থাকলে তৃণমূল নামক কোনও বস্তুও থাকবে না। পুলিশ না থাকলে মুর্শিদাবাদেও কিছুই থাকবে না তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী যদি ভাতা না নেন তাহলে অ্যাপেলের আই ফোনটা কোথা থেকে এলো? নিজের পরনে সাদা শাড়িটা ডিজাইন করা, বাংলার কোন দোকানে পাওয়া যায় বলতে পারবেন? বাজার থেকে কেউ এক কপি কিনে এনে দিতে পারবেন? ডিজাইন করার টাকার উৎস কী? ভাতা নিচ্ছি না, মানে মুখ দিয়ে খাচ্ছি না স্ট্র দিয়ে খাচ্ছি। মুখ দিয়ে চুরি করলে মুখে লাগবে, তাই স্ট্র দিয়ে চুরি করছেন মুখ্যমন্ত্রী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share